নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রষ্টার সৃষ্টি সমগ্রই সৌন্দর্যময়

ধিক্কার তাদের যারা স্বার্থপরতা, বিভ্রান্তি ও বিশ্বাসঘাতকতায় মানুষকে পরাজিত করতে চায়.....

স্বপ্নচূড়ায় আমি

নিঃস্বার্থ সুন্দরের প্রতিক্ষায় প্রতিক্ষণ.......

স্বপ্নচূড়ায় আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা ও তথাকথিত ব্রয়লার প্রজন্ম

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮

আমাদের শহরের নামি-দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়- অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা মোটামুটি ‘উচুস্তরের’, ফলে সমাজের অন্য ষ্ট্যাটাসের সমবয়সীদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ তাদের কখনোই ঘটে না। নিজেদের গোত্রের বাইরের কাউকে নিজের জায়গায় বসিয়ে চিন্তা করাটা তাদের কাছে হয়ে দাঁড়ায় অসম্ভবের কাছাকাছি। বন্ধুর বাবাকে দেখলে সালাম দিয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া ভদ্র ছেলেটিও তাই একই বয়সী রিক্সাওয়ালাকে হাঁক দিয়ে বলে “এই খালি, যাবি?”................
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অর্থনৈতিক মানদন্ডের নিচের সারির মানুষদের আত্মমর্যাদার জায়গাটা দেখিয়ে দিতে ব্যর্থ। তাই প্রতিনিয়ত অপমানিত দুর্বল রিক্সাওয়ালা নতমুখে রওনা দেয় গন্তব্যে। যাত্রীর আসনে বসা কানে ইয়ারফোন গোজা ছেলেটির মাথায়ও আসে না যে চালক মানুষটির সন্তানও হয়তো তারই বয়সী, সামাজিকভাবে তার জন্য নির্দিষ্ট গ্রামের সস্তা কোন স্কুল বা মাদরাসা এখনকার ঠিকানা। একটি মানুষকে বিচার করার অনেকগুলো মানদন্ডের মধ্যে সবচেয়ে স্থুল যে অর্থনৈতিক মানদন্ড তা দিয়েই নিয়ন্ত্রিত হয় এই “অসামাজিক ব্রয়লার প্রজন্মের”। যাবতীয় আচরণ ও বুদ্ধি বিবেচনা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া খালি গায়ে লুঙ্গি পরিহিত বয়স্ক তাই তার ততোটা শ্রদ্ধা ও মনোযোগ কাড়তে পারে না যতটা পারেন পাজেরো আরোহী স্যুটেড কোন আঙ্কেল।

এ মুহুর্তে আমাদের দেশ যে সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা যতোটা না রাজনৈতিক তার চেয়ে বেশি সামাজিক। একটি অপুষ্ট ব্যর্থ শিক্ষা ব্যবস্থার ফলাফল হিসেবে আমরা এই ছোট্ট দেশে জন্ম দিয়েছি একটি প্রচন্ড ভারসাম্যহীন শ্রেণিব্যবস্থার। সহযোগিতার বদলে সম্পর্কগুলো হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্দেহের, আতঙ্কের, প্রতিহিংসার। আজও দেশকে আমরা নিজের ভাবতে শিখিনি। নিজেরাই আমরা নিজেদের ঠেলে দিয়েছি সংঘাতের দিকে।
আমাদের শেকড়হীন শিক্ষা আমাদের অক্ষরজ্ঞান দিয়েছে, অর্থ উপার্জনের উপায় বাতলে দিয়েছে কিন্তু আমাদের মানুষ করতে পারেনি। মানুষকে সম্মান করতে শেখায়নি। কাজের থেকে এই নোংরা সমাজে কাজের পারিশ্রমিক বেশি সম্মানীয়। মনুষ্যত্বের থেকে মূল্যবান ব্যাংক ব্যালেন্স। কোটি কোটি কর্মক্ষম যুবককে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখতে শেখায়নি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। শিখিয়েছে বহুজাতিক কোম্পনীর দাসত্ব করার। টেনে নামিয়েছে অপ্রয়োজনীয়-অসম সামাজিক লড়াইয়ে। যে লড়াই প্রকৃতপক্ষে দিন শেষে নিজের সঙ্গে নিজেরই যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা।

(সংকলিত)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

ইলুমিনাতি ইতআনিমুলি বলেছেন: কোটি কোটি কর্মক্ষম যুবককে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখতে শেখায়নি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। শিখিয়েছে বহুজাতিক কোম্পনীর দাসত্ব করার।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪

স্বপ্নচূড়ায় আমি বলেছেন: হাম

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪২

সকাল হাসান বলেছেন: শিক্ষার থেকে এখানে মনুষত্ব্যের প্রয়োগ করার দরকার বেশি!

এই ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছে আশা না করে পরিবার থেকে দেওয়াই ভাল! পরিবার থেকে না দিলে, পরিবারের মানুষদের কাছ থেকে এসব না দেখলে হাজার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিলেও এই অবস্থার উন্নতি ঘটবে না!

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

স্বপ্নচূড়ায় আমি বলেছেন: সহমত.................

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৫

স্বপ্নচূড়ায় আমি বলেছেন: সহমত.................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.