![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বই পড়া,সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা করা,লেখা-লেখি,ভ্রমন,খেলা-ধুলা।
পহেলা জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত যখন ৯টা বাজে টিভি অন করিলে স্কীনে ভেসে উঠন হলি আর্টিজন বেকারীতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত গুলি বর্ষন ও জিম্মি নাটক। আবেগ ও উৎকণ্ঠার মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে তখন। মাথা টা তখন ঘুরপাক খাচ্ছে আর বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে আমাদের দেশে ও এই রকম ঘটনা ঘটতে পারে............ । দুই জন পুলিশ এর কর্মকর্তার মৃত্যু ঘটে। বিদেশী নাগরিকদের ও দেশী নাগরিকদের কে জিম্মি করে রেখেছা। একটু পর স্থির হলাম পরক্ষনে দেখলাম এর দায় আবার স্বীকার করেছে আই এস। এ আবার কোন নতুন নাটক শুরু হলো ...... ।
এখন প্রশ্ন হলো গুলশান হলো কূটনৈতিক পাড়া এখানে তো নিয়মের কড়াকড়ি তবে এখানে কেন এই ধরনের ঘটনা ভাবতেই গা শিউরে উঠে কিভাবে সম্ভব??? দেশের মধ্যে কতো ধরনের বাহিনী রয়েছে। তাদের কি কাজ তাহলে????? গোয়েন্দা বিভাগ বলে তো একটা বাহিনী আছে এ দেশে আসলে কি তাই মনে হয় প্রশ্ন জাগে মনে। জড়ে গেল দেশের কিছু তাজা প্রাণ। কিন্তু কেন??? নষ্ট হলো আমাদের দেশের ভাবমূর্তি। কিছু স্বার্থন্বেষী মহল এ থেকে আবার ঘোলা পানি থেকে মাছ শিকার করার চেষ্টা করবে ।
একবার ভাবেন তো দায় স্বীকার করেছে আই,এস আবার মুক্তি চাইছে ডেমরা থেকে আটককৃত জেএমবি সদস্য কে এর মানে টা কি??? ভাববার বিষয় নয় কি এগুলো....
কোন সন্ত্রাসী হামলা হলে এর দায় পরে ইসলাম এর উপর। ইসলাম হলো পৃথিবীতে একমাত্র শান্তির ধর্ম। এইধর্ম তো কাউকে অন্যায় ভাবে কোন কিছু করতে কঠোর ভাবে নিষেধ করেছে। আমার জানামতে ইসলাম ধর্মে বিধর্মীদের উপর রাগ করে কথা বলতেই নিষেধ করেছে কিন্তু যারা এখন ইসলামের নাম করে বিভিন্ন অন্যায় কাজ করেছে তাহলে তারা কারা এদের খুজে বের করার জন্য কি কেউ আজ পর্যন্ত রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছে বা করার বিন্দু মাত্র চেষ্টা করেছে। আমার তো মনে হয় না। এই শান্তির ধর্মকে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখোমুখি করছে কিছু ভদ্রবেশী মুখোশধারী নাম মাত্র মুসলিমরা। জঙ্গিরা বলেছিল ইসলামকে প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের এই অভিযানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।৯০ভাগ মুসলিম দেশে তাদের কি ইসলাম প্রতিষ্ঠা???ইসলামতো রক্ত নিয়ে প্রতিষ্ঠার ধর্ম নয়।ইসলামতো শান্তি প্রতিষ্ঠার ধর্ম।সো ডাল মে কুচ কালা হে...............
আপনি জঙ্গিদের শর্ত গুলো দেখলেই মনে হয় একটা স্পষ্ট ধারনা পাবেন। তারা তিনটি শর্ত দিয়েছে শর্তগুলো হলোঃ
১। যেমরা থেকে আটককৃত জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
২। এ রাষ্ট্রকে ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষনা দিতে হবে।
৩। তাদেরকে নিরাপদে বের হবার সুযোগ করে দিতে হবে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে দেশে শতকরা ৯০ ভাগ লোক ই মুসলিম সে দেশে তারা কিভবে মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার ঘোষনা দেয়। তাহলে এই রাষ্ট্র কে অন্য কোন ধর্মে রুপান্তি হচ্ছে..........এই সব আজব-গুজবের স্থান এ দেশে কোন দিন হয় নি আর হবে ও না এটাই আমার বিশ্বাস।
উপরের শর্ত গুলো একটু ভালো ভাবে দেখাল করলেই আপনার নিকট স্পষ্ট হয়ে যাবে আসল রহস্য কি???
০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৪
শুপ্ত বলেছেন: ভাল করে পড়ে একটু বুজার চেষ্টা করেন ।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
মহা সমন্বয় বলেছেন: ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই, ইসলাম হচ্ছে পবিত্র শ্বান্তির ধর্ম।
সারা বিশ্বে যে জঙ্গি কার্যক্রম হচ্ছে এর সবই হচ্ছে নাস্তিকদের কাজ।
......শুক্রবার রাতে অভিযান শুরু কিছু ক্ষণ পরেই এলাকা থেকে সংবাদ মাধ্যমকে সরিয়ে দেওয়া হয়............ ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএস জানিয়েছিল, পণবন্দিদের হত্যা করা হয়েছে। রাতেই জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিল যৌথ বাহিনী। জবাবে জঙ্গিরা আত্মসমর্পণের তিনটি শর্ত দিয়েছিল। শর্তগুলো হলো-
১. একদিন আগে ডেমরা থেকে আটক জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দিতে হবে।
২. তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে দিতে হবে।
৩. ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের এই অভিযান। এই অভিযানকে স্বীকৃতি দিতে হবে।
যৌথ বাহিনী হ্যান্ড মাইকে আত্মসমর্পনের আহ্বানের পরপরই জঙ্গিরা রেস্তোরাঁর মধ্যে থেকে চিৎকার করে তাদের এসব শর্তের কথা জানায়।
আলহামদুল্লীলায় দেশে ধীরে ধীরে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে আর সত্য উদ্ভাসীত হচ্ছে।
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
বাংলার জামিনদার বলেছেন: ইহা সহি ইসলাম নয়, ইসলাম ইহা সমর্থন করেনা। যেই সব মোনাফেক এইসব কথা বলে জংগীদের কুকাম যায়েজ করার চেষ্টা করে, সবার আগে তাদের পিঠের চামড়া তোলা উচিৎ।
০৩ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:৩৫
শুপ্ত বলেছেন: সন্ত্রাসীদের কোন জাত নেই ,নেই কোন ধর্ম।
৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪
প্রীতম বলেছেন: পরিক্ষার আগে প্রশ্নপত্র পাওয়ার মতো কবে যে আমরা সাধারন জনগন এসব প্যাচ পোচ মার্কা ব্যাপারগুলার মানে গুলান আগে আগে জানতে পারবো?
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮
ভ্রান্ত বিলাস বলেছেন: আমার কাছে স্পষ্ট হইনাই। কইতে ইচ্ছা করতাছে কইয়া ফালাও। নাইলে প্যাটে গ্যাস হইবো। বুঝলা না?
আর আরব মানে এই ধরো সিরিয়া, ইরাক, আফ্রিকার কিছুদেশে যে ভালোবাসা লইয়া ইসলাম কায়েম করলো ঐগুলা কি সহি ইসলাম আছিলো আগে যে নুতন কইরা আই এস আবার কায়েম করতে গেছিলো। আর এহন বাংলাদেশ এর ইসলাম ওগোমতে সহি। তোমার কি মনে হয়। আর মনে রাখবা, "কইতে ইচ্ছা করতাছে কইয়া ফালাও। নাইলে প্যাটে গ্যাস হইবো। বুঝলা না?"