বৃষ্টির গান

২৮ শে জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫৯

অনেক দিন পর মতিন সাহেব তার তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে গ্রামে এসেছেন। গ্রামে আসার প্রধান কারন নিজ হাতে লাগানো আমের বাগানের আম খাওয়া, গ্রামে আসার পর থেকে শুরু হয়েছে বিরতি হিন বৃষ্টি, গ্রামের নিচু এলাকা সব পানিতে ডুবে গেছে.।জেলেরা মহা আনান্দে মাছ মারে বাসায় গিয়ে বিক্রি করতেছে.।মতিন সাহেব ব্যাপারটা খুব উপভোগ করতেছেন.।বাসায় বসে ছোট-ছোট মাছ কিনতেছেন.।

মতিন সাহেবর বড় মেয়ের নাম নীলা, এবার এইচ, এস,সি পরিক্ষা দিছে। কখন গ্রাম এ থাকেনি, এই প্রথম গ্রামে, মহা আনান্দে গ্রামের ঢুবে যাওয়া নিচু জমিতে খালি পায়ে হাটতেছে, কথাও পানি হাটু পূযন্ত কথও বা পায়ের গোড়ালি পূযন্ত।

গ্রামে সবচে বেশি মজা করতেছে নীলা, সারা দিন খালি পায়ে মাঠে-ঘাটে ঘুরে বেড়াছে, এর মধ্যে কয়েক জন বন্ধুও হয়েছে, যাদের প্রধান কাজ নীলাকে গ্রামের মজার- মজার জিনিস দেখান যেমন নদিতে নৌকা করে ঘুরে বেড়ান, পুকুরে কলা গাছের ভেলা কি ভাবে ভাসাতে হয়, বক পাখি মারার ফাদ.। এর মধ্যে একটা বক পাখিও মেরেছে তারা।

সব বন্ধুরা প্লান করল কাল কলাগাছের ভেলায় করে নদি দিয়ে ঘুরবে, সবার আলাদা আলাদা ভেলা হবে.। সকাল ১০টার দিক নীলা একা পুকুরে নামলো ভেলা চালানো প্রেক্টিস করতে.।



না নীলা আর তার বন্ধুদের সাথে নদিতে ভেলা ভাসায়নি, সে আর কোন দিন ফিরেও আসেনি.।









ছবি সংগৃহীত: Google.com

০ টি +০/-০