![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার জন্মদিন ১লা সেপ্টেম্বর। আসল না সার্টিফিকেট অনুযায়ী,।আসলটা একটু কষ্ট করলেই বের করা যাবে কিন্তু জন্মদিনের ব্যাপারে আমার বিন্দু মাত্র আগ্রহ নেই। জ্ঞানীদের মত বলি জন্ম হোন যেদিন সেদিন কর্ম হোক ভাল।জন্মদিনের ব্যাপারে আমার আগ্রহ না থাকলেও আমার বন্ধুদের এ ব্যাপারে খুবই আগ্রহ বুঝতে পারলাম যখন আমি এ নিয়ে ম্যানকা চিপায় পড়লাম।মূল ঘটনায় আসি, রাত ১২ টা বাজার পর পরই ফেসবুকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা আসতে শুরু করল।গতানুগতিক অনুযায়ী থ্যাকস দিলাম এর মধ্যে দেখি একটি গ্রুপে মেহের ইনিয়ে বিনিয়ে গরুর রচনা মার্কা জন্মদিনের শুভেচ্ছা পোষ্ট করেছে সাথে সবাইকে শুভেচ্ছা দিতে বলেছে।এতেও কোন সমস্যা না । সকালে হাটি হাটি পা পা করে ক্যাম্পাসের ক্যাফেটেরিয়াতে গেলাম।গিয়ে দেখি বন্ধুরা কেও নেই ফোন দিলাম বিপ্লবকে বললাম আয় আড্ডা দেই সাথে ইউনুসকে নিয়ে আসিস,তখনও বুঝিনাই যে ফোন দিয়েছি বিপদকে আর সাথে আনতে বলেছি কুমিরকে যার খাল আমি নিজে কেটেছি।একটু পরেই অনেকেই এসে হাজির। আমি অনেক জায়গায় দেখেছি জন্মদিনে গিফট্ আনে কিন্তু এদের বেলায় দেখলাম মুখে হাসি এনেছে হ্যাপি বার্থ ডে বলেই বলল দোস্ত খাওয়া ।আমি খাওয়াবনা এ নিয়ে ব্যাপক জোরাজুরি অবশেষে বললাম খাওয়াতে পারি তবে এমনি কোন বার্থডে উপলক্ষে না। বন্ধরা বলল তাই সই তোর বার্থডে গোল্লায় যাক।ক্যাফের পিচ্চিকে ডাকতেই বন্ধুরা একে একে খাবারের অডার দেওয়া শুরূ করল আমি অসহায়ের মত চুপচাপ দেখলাম, কিচ্ছু করার নেই। ফাফের পিচ্চি তার দন্ত বিকশিত করে খাবার নিয়ে হাজির। সবাই গো গ্রাসে গিলে এই বার আমার পিছনে কাছা মেরে লাগল।এতক্ষনে বুঝতে পাড়লাম যে কাল সাপদের খাওয়াইলাম। ইউনুস দফায় দফায় আমাকে উইশ করছে আর হ্যান্ডশেক প্লাস কোলাকুলি করছে। জন্মদিনের উইশ করতে কোলাকুলি করতে হয় আমার জানা ছিল না। তার সাথে হ্য্ান্ডশেকের জন্য আমার কব্জির বারোটা বেজে গেছে আর কোলাকুলির ঠেলায় আমার অবস্থা ১১ টা ৫৯। অন্যদিকে সবাই অন্যদের ফোন দিচ্ছে বলছে তোরা কোথায় ক্যাফে আয় শরীফের জন্মদিন ও সবাই কে খাওয়াচ্ছে ব্যাস একটু পরেই প্লাবন এসে হাজির সাথে আমার ক্যাফের বিল উর্ধগতি।কোথাথেকে যেন ইউনুস ফুল নিয়ে হাজির আবারো উইশ করবে।ফুলকে মনে হল বোমা কারন ওটা আমার হাতে জোর করে গুজে দিয়েই আমার উপর ঝাপিয়ে পড়ল কোলাকুলি করার জন্য এই বার আমার অবস্থা বাংলা ছিনেমার ভিলেনের হাতে পড়া নায়কের বোনের মত।বন্ধুরা অন্যদের ফোন করছে আমাকে উইশ করার জন্য ব্যস্ ঘনঘন ফোন আসতে শুরু করল। ফোন রিসিভ ও কেটে দিচ্ছে বন্ধুরাই আমি শুধূ উইশ শুনতে পাচ্ছি।আমার কল আমার ফোন নিয়ন্ত্রন করে অন্যজন হায়রে আমার অবস্থা। রাসেল বন্ধু ফোন দিয়ে উইশ করল তারপর বলল ডিপার্টমেন্টে যা নোটিশ বোর্ড দেখে আমাকে জানা আমি বললাম আমি ম্যাইনকা চিপায় যাইতে পারমু না সে বলল পালাইয়া যা আমি বললাম ভাই গোয়ান্তানামো বে কারাগার হতে পালাইত পারমু এইহান থেকে সম্ভব না। রুমি ওর বন্ধুদের ফোন দিচ্ছে আর আমার অবস্থা বর্ননা করে উইশ করতে বলতেছে ওরা রাজি হতেই আমার সামনে এসে নাছতেছে আর বলতেছে ওয়ান মোন কল ইজ কামিং।একে একে বহু কল আসল যতবার কল আসে ততবার বন্ধদের দন্ত বিকশিত হয় আর উল্লাসে ফেটে পড়ে।আইনষ্টইন এর থিওরি অব রিয়েলিটির কথা মনে পড়ল ক্যাফে বন্ধ হবে ২ টায় অন্য দিন এই সময় জেট প্লেনের গতিতে যায় আর আজ গরুর গাড়ির গাতি।যাই হোক এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবল্মন করলাম প্রথমে অনুরোধ করেই বুঝতে পারলাম উলুবনে মুক্ত ছড়ালাম বিভিন্ন হুমকি দিতেই শাস্তির মাত্রা বেড়ে গেল সবার দুর্বল পয়েন্ট গুলো নিয়ে আর খ্যাপাবো না বলে চুক্তি করতে চাইলাম কেও রাজি হল না।
এভাবে চলতে চলতে ক্যাফে বন্ধ হল ভাবলাম বাচলাম ।না তা কিকরে হয় এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে ফোন আসল আননোন নাম্বার তাই চিনতে পারলাম না সে আমারে উইশ করে কয় তোর জন্মদিন তোকে আজ জন্মদিনের পোশাক পড়িয়ে ছাড়ব বলতে বলতে সামনে এসে হাজির ভয়ে দিলাম দৌড়।এতদিন জানতান হরতালে পুলিশের কাছে দৌড়ানি খাইতে হয় এখন জানলাম উইশকারীর কাছেও খাইতে হয়।যাইহোক মাফচেয়ে কোন রকম বাচলাম।তবে আমি এই দিন কোনদিন ভুলব না বিরম্বনার শিকার হলেও আমি অনেক মজা করেছি। আমার অনেক ভাল লেগেছে।বন্ধুরা আমাকে সত্যিই অনেক ভালবাসে।এরকম বিরম্বনা মুলক ভালবাসার জন্য বন্ধুদের কাছে আমি অনেক কৃতজ্ঞ।
©somewhere in net ltd.