নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীটা আজ বড়ই অদ্ভূত মনে হয়, ভাতের অভাবে যখন মৃত্যুময় জীবন, চাঁদের আলোয় তবু বেঁচে থাকা! ব্যার্থ প্রেমে জীবননাশ যেখানে, আবার সিগারেটের ধোঁয়ায় জীবনের ছবি আঁকা ।

শরীফ বিন ঈসমাইল

আমি ভীষণ খারাপ মানুষ, তবে ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে দুর্দান্ত অভিনয় করি, সে হিসাবে আমি একজন তুখোড় অভিনেতাও বটে

শরীফ বিন ঈসমাইল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার গলায় ফাঁসির দড়ি

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:১৭




‘আমি আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করেছি’—এই অপরাধের জন্য
আমাকে তিন দিনের রিম্যান্ডে পাঠানো হ’লো।

সংবাদপত্রে—নিউজপেপারে, হেডলাইনে—শিরোনামে
সমগ্র দেশ হতে দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়লো খবর।

খবরের কাগজ হাতে পথে পথে চিৎকার করছে পথশিশুঃ
‘আজকের তাজা খবর! আজকের তাজা খবর!
পিতার হাতে মেয়ে খুন, বিক্ষোভে ফেঁটে যাচ্ছে বাংলাদেশ!’

রিম্যান্ড শেষে—
‘আমি আমার মেয়েকে গলা টিপে হত্যা করেছি’—এই অপরাধের জন্য
আমাকে পুনরায় আদালতে হাজির করা হলো।

কালো গাউন পরা উকিলগুলো সবাই আমার দিকে
বন্দুকের নলের মতো আঙুল তাক করে বললোঃ
‘এই মানুষগুলো’ই পিতা নামের কলঙ্ক’
‘ছিঃ ছিঃ তিন মাসের একটি বাচ্চাকে......ভাবলেই গা শিউরে উঠে’
‘এরকম পিতাকে জীবিত অবস্থায় মাটিতে পুঁতে ফেলা উচিত’
‘দিস টাইপ অব ফাদার ইয নান বাট আ ফাকিং বীচ’

সমগ্র আদালত আমাকে ঘৃণা ছুঁড়ে দিলো
তবুও একটিবারের জন্যে আমি নিজেকে অপরাধী ভাবিনি।
আমি শুধু তাদের চোখ’কে শাসিয়ে—তাদের চোখ’কে রাঙিয়ে
একটি কথা’ই বলেছিলামঃ ‘আমি যা করেছি তা ঠিক’ই করেছি।‘
আমাকে
উল্টো
চোখ রাঙিয়ে
দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে—আইনের ভারসাম্য রক্ষার উদ্দ্যেশ্যে
আমাকে’ই ফাঁসি দেয়ার জন্য
আদালতের নিকট আকুল আবেদন জানালো কালো গাউনের দল।

মাননীয় আদালত ফাঁসির রায় ঘোষণা করে আমার শেষ ইচ্ছে জানতে চাইলো।
আমি বললামঃ
‘আমাকে অবশ্যই খোলা ময়দানে জন সম্মুখে ফাঁসি দিতে হবে
যেখানে কন্যা সন্তানের হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকবে তাদের পিতারা এবং
সেখানে দাঁড়িয়ে ফাঁসির দড়ি গলায় পরে আমি শেষবারের মতো কিছু কথা বলতে চাই।‘

জনসম্মুখে খোলা ময়দানে ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত হ’লো এবং
সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সশস্ত্র বাহিনী
সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো উকিল
সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সাংবাদিক
সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো পিতা এবং তাদের কন্যা সন্তানেরা
সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো বাংলাদেশ
আর
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম ফাঁসির মঞ্চের ঠিক মাঝখানে।

অতঃপর—
ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে শুরু করলাম জীবনের শেষ বক্তব্যঃ
‘জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছি।
আমার জন্ম এবং মৃত্যুর মাঝখানে একটি ফাঁসির মঞ্চ
ব্যাবিলনের ঝুলন্ত উদ্যানের মতোই ঝুলে আছে।
কিছুক্ষণ পরে'ই আমাকে ফাঁসি দেয়া হবে।
কিন্তু আমি মোটেই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ নই।
তাকিয়ে দেখুন, আমার কন্ঠ—আমার আঙুল কোনকিছুই ভয়ে কাঁপছে না আর।
আমার কোনো অনুভূতি নেই। আমি অনুভূতিহীন।
যে রাতে ওরা সাতজন মিলে আমার স্ত্রীকে আমার সামনে ধর্ষণ করেছে,
আমি সে রাতেই অনুভূতিশূন্য হয়ে গেছি।
ছয়টি পা আমাকে ফ্লোরে পিষেছে নির্মম ভাবে।

আপনারা জানেন স্বামীর চোখের সামনে যখন স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয় তখন স্বামীর অনুভূতি কেমন হয়?

মাননীয় সশস্ত্রবাহিনী,
ওরা যখন আমার স্ত্রী'র চুড়িগুলো ভাঙছিলো
তখন মনে হচ্ছিল কেউ আমার কলিজা টেনে টেনে ছিঁড়ছে।

সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ,
ওরা যখন আমার প্রিয়তমাকে আমার'ই সামনে বিবস্ত্র করে ফেললো
তখন মনে হচ্ছিলো আমার একটা চোখের সামনে
আরেকটা চোখকে কেউ একজন ছুঁড়ি দিয়ে কাটছে।

মাননীয় উকিল,
মাননীয় পিতা,
মাননীয় বাংলাদেশ-
ওরা যখন আমার'ই চোখের সামনে আমারই বউ'কে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে গেলো,
তখন মনে হচ্ছিলো কেউ একজন আমার ডেথবডিকে পোস্টমর্টেম করে
আমারই চোখের সামনে ঝুলিয়ে রেখে দিলো।

এই বাংলাদেশ—এই,
আপনি জানেন স্বামীর চোখের সামনে যখন স্ত্রীকে রেপ করা হয় তখন স্বামীর অনুভূতি কেমন হয়?
আমি জানি।
আর জানি বলেই আমি আমার তিন মাসের বাচ্চা মেয়েকে হত্যা করেছি
যেনো কোনো নরপশু আমার মেয়েকে তার স্বামীর চোখের সামনে রেপ করতে না পারে।
বাংলাদেশ! আপনি জানেন রেপ মানে কী?
রেপ মানে ধর্ষণ......ধর্ষণ।‘

আমার বক্তব্য শুনে,
সশস্ত্রবাহিনীর চোখ দিয়ে জল ঝরতে লাগলো যদিও সেখানে কোনো
ডেট এক্সপায়ার্ড—মেয়াদ উত্তীর্ণ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়নি।
সাংবাদিক’দের ক্যামেরাগুলো মৃত মানুষের মস্তকের মতো
রাস্তায় গড়াগড়ি খেলো যদিও সেখানে ‘রাজায়-রাজায়’ যুদ্ধ হয়নি।
আকাশ থেকে বৃষ্টির পরিবর্তে কেরোসিন ঝরতে লাগলো এবং
উকিল’রা তাদের আইনের পোশাকে আগুন ধরিয়ে দিলো!

এবং আমার বক্তব্য শুনে,
প্রত্যেক পিতা তার কন্যা সন্তান’কে গলা টিপে হত্যা করলো।
সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো সাংবাদিক, উকিল এবং সশস্ত্রবাহিনী
কিন্তু কেউ’ই পিতাদের হাত থেকে কন্যাদের গলাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলো না।

আর আমার বক্তব্য শুনে,
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ করে বাংলাদেশ চিরনিদ্রায় ঘুমিয়ে গেলো
এবং পতাকাটি অর্ধনমিত অবস্থায় মাথানত করলো।


(প্রিন্স ভায়ের ওয়াল থেকে সংগৃহীত)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


অনেক টাইপ মাইপ করেছেন, ভালো লাগেনি; ভালোই বিরক্তিকর

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কি?

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৪

ইনাম আহমদ বলেছেন: গাঁজা বোধহয় অনেক সস্তা হয়ে গেছে। কয় কেজি টানসেন বলতে পারবেন?
ভালো কথা, মেয়েদের নরম করে না পাললে মেয়েরা নিজেরাই ধর্ষণকারীদের সাইজ করতে পারে। টেক্সাসে একবার এক পারভার্ট মহিলা তাঁকে ধর্ষণ করতে আসা এক বখাটে যুবককে ধরে বেঁধে টানা তিনদিন যৌনদাস হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। বেচারা এরপর পুলিশের হাতে পড়ে প্রাণে বেঁচেছে।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: দারুন কবিতা।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

আনু মোল্লাহ বলেছেন: প্রতিবাদী ও সিম্বোলিক লেখা।
আমার ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা নেবেন।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

বাংলার মেলা বলেছেন: বিশুদ্ধ গাঁজা খোরী লেখা। আমি মডুকে অনুরোধ করব এই ব্লগারকে নজরবন্দী করতে। উলটাপালটা লিখে যাতে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে না পারে।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫

অজ্ঞ বালক বলেছেন: মাথা ব্যাথা, তাইলে কাটো মাথা - এইডা কোন সিস্টেম হইতে পারে না।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লাগলো খুব খুব খুব।
আপনার প্রতিটি কথাই অত্যান্ত যুক্তি সঙ্গত।

অজস্র ভালো লাগা রেখে গেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.