![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাঈদ সৌম্য। ঘুরা ঘুরি করতে ভাল্লাগে আমার ব্যাক্তিগত সাইট http://www.shoummo.com/
চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার সিটি গেট।
প্রাচ্যের রানী চট্টগ্রামে বৃহঃস্পতিবার গিয়েছিলাম প্রথম আলো ব্লগের ব্লগার্স মিট আপে। চাঁটগাঁবাসীদের আন্তরিক আতিথিয়েতা আর মেজবানীর লোভ উপেক্ষা করা সম্ভব না। আরেকটা ইচ্ছে ছিল চন্দ্রনাথ থেকে সীতাকুন্ড ইকোপার্কে ঢোকা। জিপিএস আলম ভাই (কয়েকজন আলম ভাই আছেন। ইনি জিপিএস নিয়ে সারাদিন মাতামাতি করেন) এই ট্রেকটার অনেক প্রশংসা করেন।
নেই। ব্লগার মিট-আপে কয়েকজন ব্লগারকে বলেছিলাম ট্রেকটার কথা কয়েকজন রাজী হলেন। আরেকজন ব্লগার খুব উতসাহী ছিলেন। কিন্তু তার ওপেন হার্ট সার্জারী হবার কথা শুনে তাকে তার ভালোর জন্যেই মানা করে দিতে হলো। নিজেরই মন খারাপ হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত রাজী হলেন তৈয়ব ভাই, চন্দন ভাই, ওস্তাদের ওস্তাদ নাবিল ভাই আর আমাদের কারিম ভাই। রাতের বেলা চন্দন ভাই জানালেন তার ভার্সিটি একটা সমস্যা হওয়ায় তাকে জরুরীভিত্তিতে সেখানে যেতে হবে। একটা জরুরী কাজে শেষ মুহুর্তে চন্দন ভাইও বাদ গেলেন। শেষমেশ কারিম ভাই, ওস্তাদ আর আমি চললাম একটা সিএনজিতে করে।
সকালে আমার ছোট্ট ব্যাগটা কাঁধে নিতে গিয়ে আতকে উঠলাম। ৩ লিটারের ২টা জার টাইট হয়ে আছে। কত ধানে কত খই। ওস্তাদের ব্যাগের অবস্থাও একই, একটা বোতল আর বিস্কুটের বিশাল এক জার। সেদিক দিয়ে কারিম ভাই ঝারা হাত পা। আল-মদিনা রেস্টুরেন্টে আগুন গরম পরোটা আর ডাল ভাজি খেয়ে আমরা সিএনজির খোঁজে বেরুলাম। ডায়রেক্ট কিছু না পেয়ে প্রথমে গেলাম সিটি গেট পর্যন্ত। এর পরে ভাটিয়ারীর সামনে দিয়ে সীতাকুন্ড। এই এলাকাটায় আসলেই মন উড়ু উড়ু করে। ডানদিকে সাগর আর বাঁ-দিকে সীতাকুন্ড রেঞ্জের পাহাড়্গুলো। এরমাঝে তেমন বৈশিষ্ট্যহীন একটা পাহাড় ‘চির উন্নত মমশির’। এই পাহাড়টার কোলে জীবনের সেরা সময়ের একাংশ কাটিয়ে এসেছিলাম।
শ্মশান সংলগ্ন পুকুর ঘাট থেকে সামনে বাইনারী পিক দুটো। সবচেয়ে উচুটা চন্দ্রনাথ। চুড়ায় বিন্দুটাই চন্দ্রনাথ মন্দির।
শঙ্কর মঠ থেকে চন্দ্রনাথের বাইনারী পিক।
সিএনজিওয়ালা একটু আগেই নামিয়ে দিয়েছে। একটা শ্মশান ঘাটের পাশে। অনেকবছর আগে স্কুল বয় থাকতে একবার চন্দ্রনাথে এসেছিলাম। স্মৃতি হাতরে হাতরে কিছুই বের করতে পারলাম না। শ্মসান ঘাটের পুকুরে ওস্তাদ তার গামছা ভিজিয়ে নিল। শ্মসানের পিছনে সগর্বে মাথা তুলে দাড়িয়েছে দুটো যমজ চুড়া। বাইনারী পিকদুটোর একটা আরেকটার চেয়ে উচু। দুটোর চুড়াতেই দুটো মন্দির আছে। সবচেয়ে উচু চুড়াটাই চন্দ্রনাথ। ওখানে চন্দ্রনাথ ধাম মন্দির। আর তুলনামুলক ছোটটায় সীতাধাম মন্দির।
কলেজ রোড ধরে একটু এগিয়ে আমরা শঙ্কর মঠের সামনে আসলাম। সিড়ি বেয়ে উঠা। টুরিস্ট আকর্ষনের জন্যে অনেক জায়গাতেই সীতাকুন্ডের উচ্চতা বাড়িয়ে বলা আছে। আসলে সবচেয়ে উচু পিক চন্দ্রনাথের উচ্চতা ১১০০ফিট এবোভ সী লেভেল। এই সিড়িই একে বেকে পাহাড়ের বুক পেচিয়ে উঠে গেছে এগারোশত ফুট উপরে। শঙ্করমঠে উঠে আমরা পানি খাবার জন্যে বসলাম।
নিচের চুড়ায় মন্দিরটা সীতামন্দির। চন্দ্রনাথ থেকে।
সেখানে কয়েকজন বৃদ্ধা এবং এক বৃদ্ধ ছিলেন। কথার টোনেই বুঝলাম ভারত থেকে এসেছেন। সীতাকুন্ড পাহাড় নির্জন। কুখ্যাতিও কম না। প্রায়ই নাকি নির্জন পাহাড়ি পথে ডাকাতি হয়। মন্দিরের পুরুতও একই কথা বলছিলেন। উনাদের একলা যেতে মানা করেন। আমরা আসতেই বললেন এদের সাথে দল বেধে যান।
হিন্দুরা বিশ্বাস করে রাবণের হাত থেকে উদ্ধারের পরে যখন সীতা আত্মাহুতি দেন তার শরীরের ছয় অংশের এক অংশ পরে এই পাহাড়ে। আবার অনেকে বলেন এখানের একটা কুন্ডে সীতা পানি পান করায় এর নাম সীতাকুন্ড। অবশ্য রামলক্ষন কুন্ডও আছে। এছাড়াও আছে শিব-মন্দির, ভবানী মন্দির, হনুমানজ্বীর মন্দির, শম্ভুনাথ মন্দির, সোনার বিল্বপত্র আরো অনেক কিছু।
বাইনারী পিকের অন্যটা।
আদিনাথ মন্দিরের একজন পুরোহিত বলেছিলেন (সত্য মিথ্যা যাচাই করতে পারিনি) নেপালের একজন রাজা স্বপ্নে আদিষ্ট হয়ে বিশ্বের পাচ কোনে পাঁচটি শিবমন্দির নির্মান করেন। এগুলো হলো নেপালের পশুপতিনাথ, কাশিতে বিশ্বনাথ, পাকিস্তানে ভুতনাথ, মহেশখালীর আদিনাথ আর সীতাকুন্ডে চন্দ্রনাথ। প্রতিবছরই হাজার হাজার পূণ্যার্থী আসেন সারা উপমহাদেশ থেকে। আমাদের সঙ্গি বৃদ্ধাদের দলের একজন জানালেন উনারা এসেছেন ভারতের মধ্যপ্রদেশ থেকে। যদিও অরিজিনেট ফ্রম কলকাতা। তাদের সাথে কথা বলতে বলতে আস্তে আস্তে আমরা উঠতে লাগলাম।
উনাদের ধর্মপ্রীতি কষ্টকে উপেক্ষা করলো। এগারোশ ফিট উপরে যখন আর অল্প দুরত্ব বাকী তখন দেখি তাদের উঠার বেগ আরো বেরে যাচ্ছে। আমরা শেষ সিড়িটায় পা দিয়ে যখন হাপাচ্ছি ততক্ষনে উনারা উঠে মোমবাতি আর আগরবাতী জ্বালিয়ে হরে রাম হরে কৃষ্ণ শুরু করেদিয়েছেন।
উপর থেকে পাওয়া ভিউটা অসাধারন। সামনে বঙ্গোপসাগর। ওপাশে সন্দীপের কালো কালো ছায়া। আর ডানদিকে যতোদুর চোখ যায় সমতল ভুমী। কোন উঠা নামা নাই। একসময় দৃষ্টি থমকে যায় অসীমে। মনে হয় পুরো বাংলাদেশটাই যেন এক পলকে দেখে ফেলছি।
ওস্তাদের ওস্তাদ বিস্কুট ছাড়াও নুডলস আর ডিমভাজা রুটি খাবারের পাহাড় নিয়ে এসেছে। সদ্ব্যাবহার করতে দেরী হলো না। খেয়ে দেয়ে জিরোতে জিরোতে আরেকটা গ্রুপ এসে হাজির। তারা স্থানীয় পূণ্যার্থী। তাদের কাছে শুনলাম গতকালকেও নাকি ডাকাতী হয়েছে ইকোপার্কে যাবার রাস্তায়। পাহাড়ের ভিতর দিয়ে নির্জন এক পথে ইকো-পার্কে যাবার একটা রাস্তা আছে।
আশির দশকে তেল গ্যাস খুজতে একটা মাইনিং কোম্পানী রাস্তা বানায়। কিন্তু তেমন কিছু না পাওয়া যাওয়ায় পুরোটাই পরিত্যাক্ত হয়। এখন এই রাস্তায় নাকি রুটিন করে ডাকাতী হয়, ওরা বললো যদি দল করে যেতে পারেন তাহলে ভাল। যাব কি যাব না করতে করতে সিড়ি বেয়ে নেমে পাহাড়ি রাস্তাটার সামনে দাড়ালাম। আরেকটা টিম পেলাম ৩জনের। এরা স্থানীয়। ঢাকায় থাকেন। তাদের সাথেই ভিড়ে গেলাম। ৬জনের দল যথেষ্ঠ নিরাপদ।
ঝকঝকে পাহাড়ি রাস্তায় আমরা মন খুলে হাটছি। পথে একদল আদিবাসীর দল বসে গাছ লাগাচ্ছিলো। সরকারী বৃক্ষরোপণ কর্মসুচীর আওতায় গাছ লাগানো হচ্ছে। ওদের সাথে কথা বলে জানলাম তারা ত্রিপুরা। বেশী কথা বলার সুযোগ পেলাম না। সবাই এগিয়ে গেছে। তারা তারি পা চালিয়ে গিয়ে তাদের ধরলাম।
এয়ারফোর্সের রেডিও স্টেশনটার পাশ ঘেসে আমরা সীতাকুন্ড ইকোপার্কে ঢুকলাম। হরেক রকমের বিচিত্র গাছের সম্ভারে কৃত্রিম অরন্য। এখানে দুটো ঝর্না আছে। সহস্রধারা আর সুপ্ত ধারা। সহস্রধারা সবার পরে কিন্তু আমরা এসেছি উলটা দিক থেকে তাই আমাদের জন্যে সবার আগে। সামনে একটা সাইনবোর্ডে লিখা নিচে সহস্রধারা ঝর্না ১২০০ফিট নিচে। সাইনবোর্ডটা পুরাই আগডুম বাগডুম। কারন চন্দ্রনাথই ১১০০ ফিট। সেখান থেকে অনেক নেমেছি আমরা । এই নোটিশটার ভয়ে দেখলাম অনেক টুরিস্টই নামতে চাইছে না। নামা শুরু করতেই বুঝলাম ওটা নিতান্তই চাপাবাজি। শ-খানেক ফুট নামতেই জঙ্গুলে পথে মাথায় কুন্ডের গায়ে সগর্জনে সহস্রধারা ঝর্ণা পেলাম। প্রায় দুশো ফুট (চোখের আন্দাজ) উপর থেকে পানি পড়ছে। অসাধারন একটা ঝর্না।
জঙ্গুলে রাস্তা আস্তে আস্তে নিচু হয়ে সমতলে চলে এসেছে। পথে হাস্যকর আরেকটা সাইনবোর্ড পেলাম। আপনি এখন সাগরপৃষ্ঠ থেকে ১২০০ফিট উপরে
আছেন।
সহস্রধারার জলছটা।
সহস্রধারা ঝর্না। সীতাকুন্ড ইকোপার্ক।
সহস্রধারা ঝর্ণা। সীতাকুন্ড ইকো-পার্ক।
ঝর্ণা ঝর্ণা
সুন্দরী ঝর্ণা
তরলিত চন্দ্রিকা
চন্দন বর্ণা।
ঝর্নার সামনে দাঁড়ায় স্টাইল মারতেছি।
কারিম ভাই অফিস ফাঁকি দিয়ে আসছেন। অফিসের ফোন। জ্বী বস। আমি তো এখন কল্যানপুরে।
শ্যাওলা ধরা রহস্যময়ী অরণ্যের পাথুরে বিছানা ভেদ করে নামছে জলস্রোত।
এই কারনেই এর নামকরন, সহস্রধারা।
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:১৬
সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ এমাটার ভাই (আমি অভ্রতে অ্যা লিখতে পারি না)
২| ১৮ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৭:০১
রশীদ বলেছেন: ভালো লাগলো।
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৩৯
সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ রশীদ ভাই।
৩| ১৮ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:০০
ফিরোজ-২ বলেছেন: ভালো লাগলো +++
ভালো থাকুন।
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৩৯
সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ ফিরোজ ভাই। আপনিও ভালো থাকবেন।
৪| ১৮ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩৩
জেড ইসলাম বলেছেন: মজা লাগলো। কিন্তু মন্দিরের এবং মন্দিরের স্থানের ছবি দিলেন না কেন ? উপর থেকে বঙ্গোপসাগরের ভিউটার ছবি দিলে চমৎকার হতো।
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৩৮
সৌম্য বলেছেন: হুম। বঙ্গোপসাগরের কিছু ছবি তুলছিলাম ভালো হয় নাই মোটেও। এজন্যেই দেই নাই। আর আকাশ ঘোলা সন্দ্বীপের ভিউটা আনতে পারি নাই।
৫| ১৮ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৩৬
বিডি আইডল বলেছেন: চমৎকার...মদীনা হোটেল কোনটায় গিয়েছিলেন...ওদের চায়ের খুব সুনাম আছে
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:২৫
সৌম্য বলেছেন: রেলষ্টেশনে জামান হোটেলের পাশে যেটা। প্রশংসা শুনেই ঢুকছিলাম। আমি যখন চিটাগাং এ ছিলাম নিরব হোটেলের চায়ের অন্ধ ভক্ত ছিলাম। এখন হতাশ হতে হয়।
৬| ১৮ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৫৮
মুহাম্মদ মোহেব্বুর রহমান বলেছেন: চন্দ্রনাথ পাহাড় থেকে নাকি সাগর দেখা যায়। খুব শখ ছিল দেখার।
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:১১
সৌম্য বলেছেন: ইয়েস বস। শুধু চন্দ্রনাথ না। সীতাকুন্ড রেঞ্জের যেকোন পাহাড় থেকেই সাগর এবং সন্দ্বীপ দেখা যায় পরিষ্কার সব সময়ে। সাগর তো খুব কাছে।
৭| ১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৩
রুবেল শাহ বলেছেন: বেশ ক বার গেছি বস....................
কেমন আছেন ?
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:২৫
সৌম্য বলেছেন: এইতো ভালোই আছি। আপনি কেমন আছেন?
৮| ১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:১৯
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: Apnar plan wise sylhet ghure ashlam 12-14 june. 26 june ctg jacchi
১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৩৭
সৌম্য বলেছেন: ইস কি মজা। আগামী উইকে রেমা কালিঙ্গা যাবার মতলব করছিলাম। লোক পাইতেছি না। জুলাইয়ের ফার্স্ট উইকে ভালো মতো বৃষ্টি নামলে ইনশাল্লাহ পাহাড়ে যাব।
৯| ১৯ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৫৪
অদ্রোহ বলেছেন: এই মাস পাঁচেক আগেই চন্দ্রনাথ পাহাড়ে ঢুঁ মেরেছিলাম।কুয়াশায় ঢাকা সেই পাহাড়ের সৌন্দর্য্য আবার অন্যরকম।তবে কুয়াশার জন্যই সাগর দেখতে পারিনি বলে মেজাজ খানিকটা খারাপ হয়েছিল বৈকি।
১৯ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:০১
সৌম্য বলেছেন: তাই নাকি? ভাটিয়ারীতে একটা ছোট্ট পাহাড় 'চির উন্নত মম শির'। ওখানে আমি দেড় বছর ছিলাম। শীত বর্ষা সবসময় একদম সন্দ্বীপ পর্যন্ত দেখা যেত।
১০| ১৯ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৯:৪৩
বাংলাদেশী সাইকেল ভ্রমণকারী বলেছেন: জ্বী বস। আমি তো এখন কল্যানপুরে। +
২০ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:৪৮
সৌম্য বলেছেন: ঐখানে কি করেন?
১১| ১৯ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩৮
মোহাম্মদ লোমান বলেছেন: বেশ লাগলো। আমি চট্রগ্রামে জন্মেও ঐ পর্যন্ত যেতে পারিনি। ইচ্ছে ছিল কিন্তু সময় বের করতে না পারাতে হয়ে ওঠেনি। ধন্য বাদ আমাকে ঐ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য।
২০ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:১৯
সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ।
১২| ২০ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:৫২
রুবেল শাহ বলেছেন: গত রাতে কল দিয়েছিলাম.................
২০ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৫০
সৌম্য বলেছেন: মোবাইলের ডিস প্লে গেছে। স্যরি।
১৩| ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:০৬
তারার হাসি বলেছেন:
দারুণ সুন্দর করে পোস্ট করেছেন, খুব ভাল লেগেছে।
সিঁড়ির ধাপ গুনেন নাই ? আমি এখন ভুলে গিয়েছি কয়টা ধাপ ছিল।
শুভকামনা ...
২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
সৌম্য বলেছেন: গুনার বুদ্ধি মাথাতেও আসেনাই। মনে করার চেষ্টা করেন না কতো গুলা। জানতে ইচ্ছা হচ্ছে।
১৪| ২২ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৩৪
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: সৌম্য ভাই, একটু অফটপিক সাহায্য চাই। দেশে আসছি জুলাইতে। সহধর্মিনীকে সাথে নিয়ে ঘুরতে যাবার ইচ্ছে আছে। ঠিক করেছি আগ্রা অথবা দার্জিলিং অথবা দুটোই। কিন্তু কিভাবে গেলে সবচাইতে ভালো হবে জানা নেই। আগস্টের মাঝামাঝি থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়টুকুতে বাদে গেলে কেমন হবে? মানে পুরো রোজা এবং ঈদের সময়টুকু বাদে। একটু ডিটেইলস দিয়ে সাহায্য করবেন অথবা কোন পোস্টের খবর দিতে পারবেন? খুব কৃতজ্ঞ থাকব।
২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:৪৮
সৌম্য বলেছেন: বিদেশে ঘুরার ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। আগ্রা যাই নাই কখনো। দার্জিলিং এ গেছিলাম, কিন্তু সেটা এভাবে, দাদাবাড়ি নীলফামারী তে, সেখান থেকে বাই রোড চিলাহাটি বর্ডার পেড়িয়ে শিলিগুড়িতে নানা বাড়ি। ওখান থেকে দার্জিলিং ট্রেনে। এর বেশী হেল্প করতে পারছি না।
আপনি ঘুরে এসে আমাকে জানিয়েন। সান্ডাকফু ওয়েস্ট বেঙ্গলের হাইয়েস্ট পিক। দশহাজার ফুটের মতো। উঠার ইচ্ছে আছে।
১৫| ২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:১৫
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: অট: অনেক অনেক ধন্যবাদ সৌম্য ভাই। যাক, একটা আলো পেলাম। আরেকটি কথা জানার ছিল ।বিভিন্ন প্যাকেজ দেখি বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টদের। ওগুলো আসলে ভাল কি?
সান্ডাকফু গেলে পোস্ট দেবেন।
১৬| ২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:২১
তারার হাসি বলেছেন: @ রুবাইয়াত - আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝে না যাওয়াই ভাল, তখন ওখানে বর্ষাকাল। দেখতে পাবেন না কাঞ্চনজঙ্ঘা ...
অক্টোবরের মাঝামাঝি করে যান দার্জিলিং, সব চেয়ে ভাল। দার্জিলিং আর আগ্রার দূরত্ব অনেক বেশি। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে দার্জিলিং মেইল ধরে কলকাতা গিয়ে আবার দিল্লীর পথ ধরতে হবে। এইটুকু বলতে পারি দুটোই দেখার মত।
দার্জিলিং গিয়ে আফসোস করতে হবে না।
শুভকামনা।
১৭| ২৩ শে জুন, ২০০৯ রাত ১:৪৩
রুবাইয়াত ইসলাম সাদাত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তারার হাসি এবং সৌম্য ভাইকে। সৌম্য ভাই, আমার কমেন্টগুলো মুছে দিলে খুব খুশি হব। আপনার পোস্টের সৌন্দর্যহানি করতে চাইনা। তথ্যগুলো আমি নিয়ে নিয়েছি। অশেষ ধন্যবাদ।
১৮| ২৩ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:০৯
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঝর্নার স্বাস্থ্য দেখি ভাল না। আপনের কথায় লাউয়াছড়ায় ভাল ট্রেকিং হইলো, চন্দ্রনাথেও যাওয়া লাগবে কখনো। কম খরচে কোথাও হইলে ডাক দিয়েন, বেকার আছি, ঘুরাঘুরি করা দরকার এই সুযোগে।
২৩ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:১৩
সৌম্য বলেছেন: বুধবার রথ যাত্রা দেখতে যাব। যাবেন নাকি?
ঝুম বৃষ্টি নামুক। গ্রামের কাদা পথে হাটু ডুবিয়ে ডুবিয়ে ঘুরার ধান্ধা করতেছি।
১৯| ২৩ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:১৫
ফারহান দাউদ বলেছেন: কোনখানে যাবেন? বৃষ্টির আশা বাদ দেন।
২৩ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:২৩
সৌম্য বলেছেন: আজকে ৯ই আষাঢ, বৃষ্টি যাবে কই, একটু দেরী হইতেছে মৌসুমী বৃষ্টির।
চিম্বুকে একটা প্রোগ্রাম প্রতিবছর হবার কথা। এবছর ওটা ঝুলে আছে। নইলে হাওড় অঞ্চল। সুনামগঞ্জ থেকে হেটে বিরিশিরির দিকে। পহেলা শ্রাবনে সোমেশ্বরীর রুদ্ররুপ এখনো ভুলতে পারি নাই। মাথা মুথা খারাপ হয়ে যায়। তাবু টাবুর ব্যাবস্থা আমি করে নিব। যাবেন তো?
২০| ২৩ শে জুন, ২০০৯ ভোর ৪:৪৮
ফারহান দাউদ বলেছেন: প্ল্যান দেইখা তো মনে হইতাসে মেগা সাইজ জোঁকের কামড় খাওয়ার এক নম্বর বুদ্ধি (লাউয়াছড়ার পিচ্চিগুলার চুলকানিই এখনো যায় নাই, ২ ঘণ্টার ট্রেইল ধরসিলাম, ঐটা নতুন)। আমি আবার সাঁতার জানি না। তবে লোভ হইতাসে, দিন দুয়েকের প্রোগ্রাম আর অল্প খরচ হইলে (বেকার মানুষ, ঐটা মাথায় রাখতেই হয়) চেষ্টা নেয়া যায় একটা।
০৫ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:১০
সৌম্য বলেছেন: সব ক্যান্সেল হয় গেছে। সময় পাইতেছি না।
২১| ২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৪২
তারার হাসি বলেছেন: সৌম্য, আপনি আমার দার্জিলিং বিষয়ক পোস্ট মুছে দিতে পারেন।
২২| ২৫ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:০৭
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: চিটাগাংয়ে যাচ্ছি কাল নাইটে । ২৬,২৭ দুই রাতে বিয়ের প্রোগ্রামে অ্যাটেন্ড করব , কিন্তু সারাদিন ফ্রি । ২৮ তারিখ সঙ্গীরা রাঙামাটি যাওয়ার প্ল্যান করছে । একটা ভাল প্ল্যান কি দিতে পারবেন সৌম্য ভাই ?
২৫ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৮:২২
সৌম্য বলেছেন: চিটাগাং কই থাকবেন বস?
চিটাগাং এ তো দেখার জায়গা কম নাই। পার্কি বীচ (পতেঙ্গা বাজারের মতো লাগে), বাটালী হিল বা জিলাপী পাহাড়ে বসে সন্ধ্যা যাপন, ইকো পার্ক, ভাটিয়ারী-হাটহাজারী লিঙ্ক রোডটা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। একজনের কাছে শুনলাম হাটহাজারীতে আগুন পানির প্রস্রবনের কথা। ঐটা দেখার অনেক শখ।
২৩| ২৫ শে জুন, ২০০৯ রাত ১২:১০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আগেও অনেকবার চিটাগাং গিয়েছি , রাঙামাটিতেও জটিল একটা ট্যুর দিয়েছিলাম । কিন্তু এবার নতুন গ্রুপের সাথে যাচ্ছি , আর আপনার এক্সপিরিয়েন্স তো অনেক ভাল ,সিলেট ট্যুরের থেকে অন্তত সেটা জেনেছি, তাই সাজেশন চাইছি ।
২৫ শে জুন, ২০০৯ সকাল ৮:২৩
সৌম্য বলেছেন: আপনি আমার সাথে কথা বলতে পারেন? ০১৭১৩০৮২২৮৭।
২৪| ৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:২৭
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: ছবিগুলা জটিল, বর্ণনাও।
অ:ট: শুনলাম রেসিডেন্সিয়ালের, কোন ব্যাচ? মর্নিং না ডে?
৩০ শে জুন, ২০০৯ রাত ৩:৫৮
সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ।
হুম। কিন্তু কই শুনলেন?
২৫| ০১ লা জুলাই, ২০০৯ রাত ৩:২৫
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: অনেক থ্যাংকস সৌম্য ভাই
০৫ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
সৌম্য বলেছেন: আপনার ঘুরা কেমন হইলো?
২৬| ০৫ ই জুলাই, ২০০৯ সকাল ১১:৫৭
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: সীতাকুন্ড যাওয়া হলেও ইকোপার্কে যাওয়া হয়নি। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে অবশ্যই যাইতে হবে। ঘুরাঘুরির ব্যাপারে আমারো প্রবল আগ্রহ, সময় বের করতে পারিনা। আপনার সব লেখা পড়ে ফেলবো আশা করছি।
একটা জিনিস অনেক আগেই বলবো ভেবেছিলাম, আমার সামুতে যোগদান কিন্তু আপনার বগালেকের উপরে লেখাটা পড়ে । ধন্যবাদ।
০৫ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
সৌম্য বলেছেন: বর্ষাকালে পাহাড়ের কোন জুড়ি নাই।
আগামী মাসের ১৩ তারিখ জন্মাষ্টমী, ১৪ তারিখ শুক্রবার আর ১৫ তারিখ বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত দিবস। চান্স নিবেন? ঝিরির পথে কেওকারাডং, চ্যামা খাল হয়ে থানছি দিয়া ব্যাক। কঠিন এডভেঞ্চার হবার কথা। ১৪ জন এখন পর্যন্ত কনফার্মড।
২৭| ০৫ ই জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৯
চন্দন বলেছেন: সৌম্য ভাই ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ভাল একটা প্রোগ্রাম আমি মিস করলাম।
১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩৫
সৌম্য বলেছেন: আমি কত্ত মিস করলাম। লঙ্গেস্ট বীচ এডভেঞ্চার, সেন্টমার্টিনে এই ট্যুর টা। আপনি তো সবগুলাতেই ছিলেন।
২৮| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৮:৪২
অন্যরকম বলেছেন: আরে...... ফটুকগুলা সেইরকম হইছে বস! পুরা সেইরকম!
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪১
সৌম্য বলেছেন: ধন্যবাদ অন্যরকম।
২৯| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ৯:৫৬
মাহমুদুল হাসান তুষার বলেছেন: আমার ত মনে হয় সহস্রধারা জলপ্রপাত থেকে সুপ্ত ধারা জলপ্রপাত তা অনেক সুন্দর এবং বড় ।
Click This Link
১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩৬
সৌম্য বলেছেন: গুরু মানছি ওস্তাদ। দেখে মাথা ঘুরাইতেছে। ভাটিয়ারীতে থাকাকালীন একাধিকবার সীতাকুন্ড গেছি, কিন্তু কোনবারও এত্ত সুন্দর ছিলনা।
৩০| ১৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১০:১১
ছুক্কুরালী বলেছেন: কিরে বাই... বিরিজ দ্যাকতে আইলাম, বিরিজতো ফাইলাম্না।
১৮ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:৩৩
সৌম্য বলেছেন:
শাহ আমানত ব্রীজ
এটা ফেব্রুয়ারীতে বলিপাড়া-কেওকারাডং (নর্মাল কেওকারাডং রুটের উলটা দিক দিয়ে থানছি দিয়ে) ট্রেকের আগে তোলা চিটাগাং থিকা।
৩১| ২০ শে জুলাই, ২০০৯ রাত ১:৫৭
মে ঘ দূ ত বলেছেন: ছবিসহ বর্ণনা ধারুণ লাগলো।
+++
৩২| ২০ শে জুলাই, ২০০৯ দুপুর ২:২১
বকলম বলেছেন: আমার বাড়ি সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট এলাকায়। ক্যাডেট কলেজ আমার বাড়ে সম্মুখ ভাগে আর পেছন দিকে সাঙ্গু গ্যাস ল্যান্ডিং স্টেশন হয়ে সাগর। পাহাড় আর সাগর এ জায়গাটায় খুব কাছাকাছি। এত সুন্দর জায়গায় জন্ম নিয়েও এক অজানা অভিশাপে আজ প্রবাসী হয়ে আছি বিদেশ বিভুইয়ে। ঝাটা মারি এই হতচ্ছারা জীবনের
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:০৪
সৌম্য বলেছেন: অদ্ভুত সেই ছেলেটি। শুরু করলো হাটা। কালো লম্বা এলোমেলো চুলে চোখ দুটো তার ঢাকা।
আপনার অবশ্য ছোট ছোট চুল।
ভাটিয়ারীতে থাকাকালীন সময় গহিরা, কুমিরা এদিকে কর্নেলের হাট, ফৌজদার হাট, মাদামবিবির হাট বিশাল এলাকা পায়ে হেটে ঘোরার সৌভাগ্য হইছিলো। আপনি অসাধারন রুপসী জননীর ছেলে।
৩৩| ২৪ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৬:২৫
মিলটনরহমান বলেছেন: কত সুন্দর আমার এলাকা ছেড়ে পড়ে আছি মৃত্যুপুরীতে.....
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪২
সৌম্য বলেছেন:
৩৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:৪৫
কালাপাহাড়ী বলেছেন: soummo bhai bma te kon batch e chelen ? amee 47 lc er sathe der bochor chilam, pore ligament chere medical board out hoye geche..
valo thakben !
১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩৮
সৌম্য বলেছেন: আপনে খুব সহজেই আমারে ড্রেনে চুবাইতে পারবেন।
৪৭ আমার ফাইনাল টার্ম ছিল। আমি ৫০ লং।
৩৫| ১০ ই জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১
নষ্ট কবি বলেছেন: +++++++++++++
৩৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:২০
হানী বলেছেন: গেচিলাম...দুই ঝর্ণার পাশে ছবিও তুলেছিলাম.....দু:খের বিষয়, একটাও হাতে পাইনাই ( স্মৃতি ধরে রাখতে পারি নাই)
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০০৯ রাত ২:৫৯
অ্যামাটার বলেছেন: ছবিগুলো দেখে সত্যিই হারিয়ে গিয়েছিলাম, বিশেষ করে চন্দ্রনাথ থেকে সীতামন্দিরের ভিউটা...