![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সাঈদ সৌম্য। ঘুরা ঘুরি করতে ভাল্লাগে আমার ব্যাক্তিগত সাইট http://www.shoummo.com/
আমার মায়ের সোনার নোলক
হারিয়ে গেল শেষে
হেথায় খুঁজি,হোথায় খুঁজি
সারা বাংলাদেশে
সারা বাংলাদেশ অনেক বড়, বিশাল অংশ অদেখা । ১২ই এপ্রিল । মনমেজাজ খুব খারাপ । অফিসে প্রচন্ড চাপ , ছুটি-ছাটা পাইনি বহুদিন । দু'দিন পরে পহেলা বৈশাখ , সেদিনও অফিস করা লাগবে । কোন কাজই ঠিক মতো করতে পারছি না । অডিট করতে একখানে ১০০ডলার লেখার কথা, দেখি ১হাজার ডলার লিখে বিশাল ভজঘট বাঁধিয়ে বসে আছি । বসের কাছে গিয়ে বললাম, কোন কাজে মন বসাতে পারছিনা । ক’দিনের ছুটি দেন, জঙ্গল থেকে ঘুরে আসি । আমাকে হতভম্ব করে ছুটি পাশ হয়ে গেল টুঁ-শব্দ ছাড়া । ১৫ তারিখ থেকে ৪দিনের ছুটি । হাতে একদমই সময় নাই । কই যাই কি করি ? ফোন দিলাম বাবু ভাই-কে । আলী-কদমে আলীর সুরং দেখতে যাব । মীর শামসুল আলম বাবু ভাই বাংলাদেশের সেরা মাউন্টেনিয়ার । হিমালয় নিয়ে উনার কারবার, আলী-কদম যাবার ব্যাপারে উৎসাহ দেখাবেন কি না সন্দেহে ছিলাম । এক কথায় উনিও রাজী । রাতে ফেসবুকে আলাপের সময় 'বাংলার পথে' টিংকু ভাইএর সাথে আলাপ হলো । উনি জানালেন উনিও যাবেন, তার শ্যুটিং টিম নিয়ে ।
ফেসবুকে একটা ইভেন্ট দিলাম ক্যাম্পিং আর রক ক্লাইম্বিং এর দাওয়াত দিয়ে । লিঙ্ক দিলাম সামহোয়ার ইন ব্লগ চ্যাট আর সামহোয়ার ইন ফটোগ্রাফি (এখন এমেচার ফটোগ্রাফি) গ্রুপে । ওমা, দুমিনিটের মধ্যেই দেখি দুই গ্রুপ থেকেই কে জানি আপত্তিকর মনে করে ইভেন্টটা ডিলিট মেরে দিল । ভীষণ রাগ উঠলো, পরে ভাবলাম না গেলে নাই । ট্রেকিং বাংলাদেশে পপুলার হয়েছে, ক্যাম্পিং বা রক ক্লাইম্বিং পপুলার হতে সময় লাগবে।
সে যাইহোক, ৪৮ ঘন্টার নোটিশে যাত্রা । কোন যোগাড়যন্ত্র হয়নি । যোগাড়যন্ত্র করার সুযোগও পাচ্ছিনা, অফিসের অত্যাচারে। তারপরেও কেমন করে জানি দেখলাম রওনা হবার আগে ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাউস ব্যাকপ্যাক গুছিয়ে ফেললাম । ঢাকা থেকে নাইট কোচে আরামেই বের হলাম । পথে বাবু ভাইএর কাছ থেকে বোনাস হিসাবে ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফির ফ্রি কোচিং । (বাবু ভাই বিক্রি করার জন্যে ছবি তোলা শুরু করেন যখন তখনও আমি হাফপ্যান্ট পড়া ধরিনি, ডায়াপারেই ছিলাম) ।
সকাল ৭টার মধ্যেই আমরা চকোরিয়ায় নামলাম । ছোট্ট মফস্বলি ছিমছাম বাস স্ট্যান্ড । ককসোবাজার রুটের বাস বেশী, থেমে থেমে চান্দের গাড়ী আর মুড়ীর টিন-মার্কা বাসের কন্ডাক্টর ওয়েলকাম জানাচ্ছে-লামালীকদম, লামালীকদম (লামা এবং আলীকদম) । বাবু ভাই, আমি আর রাসেল ৩জনে পরোটা আর ডালভাজা শেষ করে চা’য়ে চুমুক দিচ্ছি এমন সময়ে এসে হাজির হলো আরেক সদস্য (সামহোয়ার ইন থেকে), হেলাল হেযাযী । নাম শুনে মানুষের চেহারা টাইপ কিছু একটা সবসময় চোখে ভাসে । হেলাল হেযাযী নাম শুনে গাট্টা গোট্টা, জব্বারের বলী খেলোয়াড় টাইপ কারো কথা মনে হয়, কিন্তু হালকা পাতলা, ক্লাস সিক্স সেভেন চেহারার হাসিখুশী হেলাল হেযাযী’র চেহারা আশা করিনি । ভ্রুকুটি দেখেই হয়তো সে বেশ গরম হয়েই জানালো সে ঢাকা ইউনিভার্সিটি’তে থার্ড ইয়ারে পড়ে। বাকী ক’দিনের জন্যে তার নাম ‘থার্ড ইয়ার’ বানানো ঠেকানো গেলনা । টিঙ্কু ভাই’দের সাথে ফোনে যোগাযোগ হলো। তারা প্রাইভেট-কারে শ্যুটিং এর ক্যামেরা নাকি বন্দুক ফন্দুক নিয়ে আসছে। তারাও পথে আছে ঠিক আমাদের পেছনটায় ।
চুনতি রিজার্ভ ফরেস্টের শ্যামলিমা ভরা পরিচিত কক্সবাজার হাইওয়ে ছেড়ে লামার পাহাড়ি রাস্তায় বাস ঢুকতেই মনটা ভালো হয়ে গেল । বড় বড় গাছের গায়ে ছোট ছোট সতর্কবানী-‘এখানে বুনো হাতি পাওয়া যায়’। এপ্রিল মাস, জুম লাগানোর সময় । পাহাড়ের গায়ে জঙ্গল সাফ করে থরে থরে জুম লাগানোর কাজ চলছে । এর মাঝেই বিসদৃশ ভাবে জায়গায় জায়গায় BAT এর অর্থায়নে তামাক চাষ চলছে । লিমিট ছাড়া ফাজলামীর চুড়ান্ত- লেখা ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো’র অর্থায়নে পাহাড়ে বনায়ন কর্মসুচী।
লামা’তে সম্ভবত ম্রো (মুরং) আর ত্রিপুরা’দের সংখ্যা বেশী। ত্রিপুরা মেয়েরা আর ম্রো ছেলেরা যেন রূপচর্চার কম্পিটিশানে নেমেছে । ত্রিপুরা মেয়েদের দেখলেই চেনা যায়, গলায় হাজারখানেক সুতোর মালা, আর কানে বাহারি ইয়ারিং (সিলেটের ত্রিপুরা বা টিপরা-দের সাথে বান্দারবানের ত্রিপুরা-দের মিল না খোঁজাই শ্রেয়) । থানছি, রুমা, মদক -এর চেয়ে এদিকে ত্রিপুরা মেয়েরা বোধহয় উজ্জ্বল রঙ এর কাপড় বেশী পছন্দ করে, কিংবা বিজু উৎসবের সময় বলেই হয়তো চারদিকে রঙের ঢল নেমেছে । ম্রো মেয়েরা পোশাক আশাকে এত শৌখিন না হলেও তাদের দুর্নাম ঘোচাতে ম্রো পুরুষ বিশেষ করে ব্যাচেলর-রা বদ্ধপরিকর । মাথায় সাদা রঙ এর বাহারি পাগড়ি । লাতিন ফুটবলারদের স্টাইলে লম্বা চুলে খোঁপায় চিরুনী, মুখে রঙ আর ঠোটে হাসির কমতি নেই ।
পরপর দু-রাত ঘুম হয়নি, ঝিমুনিটা জমে ওঠার আগেই শুনি বাস লামা শেষ করে আলীকদম বাস-স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে জোরে জোরে ভোঁ দিয়ে দিল । আমরা সবাই গাট্টি-বোঁচকা বেঁধে নেমে পড়লাম। টিঙ্কু ভাই এন্ড গং এর তখনও দেখা নেই, ফোনেও পাচ্ছি না, পালিয়ে যাচ্ছি বন্ধু নেটওয়ার্কের বাহিরে টাইপ । আমার ব্যাকপ্যাকটা দর্শনীয় । ৩জন থাকার মতো বড় তাঁবু, ট্রাইপড, স্লিপিং ব্যাগ, স্লিপিং ম্যাট আর বাকী জায়গা’তে ঠাসাঠাসি করে জায়গা করে নেয়া অদরকারি কিছু কাপড় চোপড় । এসব নিয়ে রোদের মধ্যে ঘোরাঘুরি না করে, ছায়া ঢাকা একটা চিপায় তলপেটের চাপ কমিয়ে চা’য়ের দোকান খুঁজে বসে পড়লাম । ২কাপ শেষ করার আগেই টিঙ্কু ভাই এন্ড গং হাজির । ব্যাকপ্যাকটা তার গাড়ি’তে তুলে দিয়ে আমরা ছিমছাম উপজেলা শহর আলীকদমের রাস্তায় হাঁটা শুরু করলাম। শহরের আদ্ধেকটা জুড়েই আর্মি গ্যারিসন । আমার হবু শ্বশুর সাহেব তার এক হাবিলদার’কে ধরিয়ে দিয়েছেন, আলীকদম পোষ্টিং । আমরা প্রেস ক্লাবে গিয়ে বসলাম । প্রেসক্লাবে টিংকু ভাই’এর এক সাংবাদিক বন্ধু আছেন । উনি আলী-কদমের ইতিহাস আর নামকরন নিয়ে চমৎকার একটা বই লিখেছেন । সবাই মিলে সৌজন্য সংখ্যা নেবার নাম করে সেটার ফ্রি কপি পকেটস্থ করলাম । ক’জন গেল বাজার করতে, আর আমি, বাবু ভাই আর থার্ড ইয়ার চললাম হাবিলদার সাহেবের সাথে ক্যাম্পিং এর প্রস্তুতি নিতে ।
হালকা উঁচু নিচু রাস্তা, ঠিক পাহাড়ী এখনো শুরু হয়নি । দু'ধারে মাথা উঁচু করে থাকা গম্ভীর পাহাড়ের মাঝে বিশাল সমতল ভূমিকে ভূগোলের ভাষায় ভ্যালি বলে । ঢুকতেই একটা মন্দির, চারপাশে কয়েকটি মারমা, বাঙালী মিক্সড গ্রাম । মন্দিরে বোধহয় কোন উৎসব হচ্ছে। রঙ বেরঙের পোষাকে মারমা মেয়ে’রা ভীড় করেছে । সামনে অস্থায়ী দোকানে তরমুজ, কাঁচা আম, টাম (একধরনের পাহাড়ী ফল । গাড়ী করে কেওকারাডং যাবার পথে মুংলাই পাড়ায় বিশাল এক টাম বাগান আছে, বাগানের মালিক খেতে দিয়ে জানিয়েছিলেন এটার নাম আমের ভাই টাম), আর আছে ডাবের দোকান ।
আমরা ঘাড়ে-পিঠে-মাথায় করে সব বোঁচকা বুঁচকি নিয়ে এলাম গ্রামের এক বাড়ী’তে । গৃহকর্তা ভোলার লোক । পাহাড়ে সেটলার হিসাবে আছেন ২০ বছর ধরে। তার বাসায় গোয়াল ঘরে আমাদের নাকি তাঁবু খাটানোর জায়গা । গোয়াল ঘরে বড় বড় গরু’র সাথে রাত কাটানোর প্রশ্নই উঠেনা । আমরা বেরুলাম ক্যাম্প সাইট ঠিক করতে। সামনে একটু নিচ দিয়ে গেছে ছোট্ট একটা নদী যা পুরো গ্রামের পানির উৎস । গুহার পথে একটা অংশ ঘোড়া’র ন্যাজের মতো বাঁক নিয়েছে । একধারে পাহাড়, কাছে গ্রাম, আর একদম গা ঘেঁষে নদী । ক্যাম্প করার জন্যে অতিরিক্ত রকমের ভালো জায়গা । শুধু একটাই সমস্যা খোলা জায়গা দিয়ে সোজা পাহাড়ের উপরে আর্মি ক্যাম্পের বিশাল সাইজের এলএমজি বাংকার । ঠিক মাথার উপরে কেউ এলএমজি ধরে বসে আছে, ব্যাপারটা অস্বস্তিকর। আমরা গায়ে মাখলাম না। শুনলাম নদীর নাম টিং নদী । একে বেঁকে আর্মি ক্যাম্পের ওধারে মিশেছে মাতামুহুরীর সাথে ।
দুপুরে ঝাল ঝাল মুরগীর মাংসের সাথে লালচালের ভাত অসাধারণ লাগলো । ভয়াবহ ক্ষুধার্ত থাকার কারনে শুধু নয় , রান্নাটাও ছিল সেই রকমের কঠিন । বাকী কাউকে আড্ডা ছেড়ে উঠতে উৎসাহী না দেখে আমি আর থার্ড ইয়ার নেমে পড়লাম ক্যাম্পের দিকে । তাঁবু খাটানোর সময় দেখি বিশালাকার এক লালচে গিরিগিটি গলার রগ ফুলিয়ে রাগ রাগ ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছে । ক্যামেরার অভাবে ছবি নিতে পারলাম না ।
বিকেলে বিজু উৎসবে অনুষ্ঠান শুরু হলো । বিশাল উজ্বল রঙ্গিন শোভাযাত্রা। শুরুর দিকে বালিকারা, এর পরে বাই সিরিয়াল কিশোরী, তরুনী’রা সবাই রঙ চঙে পোষাক পড়ে সেজেগুজে, সবার হাতে টাকার গাছ, অর্থাৎ কি না ডাবের মধ্যে বাঁশের কঞ্চি লাগিয়ে গাছের মতো বানানো, তাতে পাতার বদলে, ৫টাকা ১০টাকার নোট । শোভাযাত্রার একদম সামনে একজন পেতলের ঘন্টা বাদক, আর তার পিছে কারবারী। সবার পিছে ঢোল, বাঁশি আর নানারকম বাদ্যকরেরা । তাদের সামনে উৎসাহ নাচতে ব্যাস্ত । অদ্ভুত রহস্যময় গানের তালে বিশাল শোভাযাত্রাটা ঘুরে ঘুরে মন্দিরের ভেতরে অনেক গুলো চক্কর দিল । ভেতরে মেলা বসেছে ।
আস্তে আস্তে সবাই তাঁবু খাটিয়ে নিল । দূরে পাহাড়ের আড়ালে সূর্যি মামা ঘুমানোর প্রস্তুতি নেয়ার পালা শুরু করলো । আর আমরা শুরু করলাম জম্পেশ ক্যাম্প ফায়ার আর আড্ডার আয়োজন ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৬
সৌম্য বলেছেন: জ্বী না, আপনাকেই খুঁজতেছিলাম। লেখাটা কম্পলিট করার পড়ে ফেসবুকাইতাম।
২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৪১
ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: মেইল করেন আমারে...
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:০২
সৌম্য বলেছেন: ইনশাল্লাহ'
৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২৯
ফিউশন ফাইভ বলেছেন: আপনার ভ্রমণকাহিনী বরাবরই দুর্ধর্ষ। ভালো লাগে আমার। এই জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইচ্ছে ছিল - তাঁবুতে মানুষ কিভাবে রাত কাটায় সেটা দেখা আর সেখানে একটি রাত কাটানো। জানি না, ইচ্ছে পূরণ হবে কিনা।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা।
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:০৫
সৌম্য বলেছেন: থাঙ্কস ফিউশান। নেক্সটে যাবার আগে ফেসবুকে জানাবো। আমার তাবু তে ৩ জন পর্যন্ত ধরে। সমস্যা নাই পরিচয় গোপন রাখতে পারবো।
৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৩:৪২
অগ্নির বলেছেন: শুভ জন্মদিন সৌম্য
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:০৫
সৌম্য বলেছেন: অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় অগ্নির।
৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:১৯
শিশির সিন্ধু বলেছেন: একটা তাবু কিন্তে মুন্চায়...কই পামু আর দাম কত?
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১১:১০
সৌম্য বলেছেন: আমাদের দেশে তাবু / স্লিপিং ব্যাগ পাওয়াটা আসলেই একটু কঠিন। তাঁবু বেশীর ভাগই পাওয়া যাবে ব্যাক্তিগত যোগাযোগে। ট্রাভেল ক্লাব গুলো’তে খোঁজ রাখতে পারেন। চিটাগাং এ ঢাকার তুলনায় অবস্থা ভালো, চোখ কান খোলা রাখলে পাওয়া যায়। অনেক ইপিজেডএ এক্সপোর্টের তাঁবু হয় কিন্তু ওরা দেশের মার্কেটে ছাড়েনা, লাইন ঘাট থাকলে পাওয়া যায়।
আর সুযোগ থাকলে ভালো হয় বাইরে থেকে আনাতে পারলে। নেপালে স্বস্তায় ভালো তাঁবু পাওয়া যায়। বাংলাদেশী টাকায় দেড় থেকে তিনহাজার টাকায় তাঁবু পাবেন। কিন্তু কোলম্যান কিংবা ভালো কোম্পানীর বিশ্বখ্যাত তাবুর অনেক দাম। আমারটা ৩জনের, সাইজে একটু বড়, দাম পড়েছে আড়াই হাজার এর মতো।
৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪১
সৃজনশীল বলেছেন: বাহ, বরাবরের মত ভালো হয়েছে,উপভোগ্য একটা লেখা...কিন্তু বর্ননা'র সাথে ছবি কম মনে হচ্ছে...আরও ছবি চাই কিন্তু
৩০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২১
সৌম্য বলেছেন: পড়ার জন্যে অনেক ধন্যবাদ অলোক ভাই। ছবি তুলিই নাই। আর যা অল্প কিছু তুলেছি, পড়ে বাসায় ফিরে সেগুলো দেখে নিজেরই খারাপ লেগেছে।
৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৩:৩৭
ডেজা-ভু বলেছেন: যাইতে মন চায়।
শুভ জন্মদিন।
০১ লা মে, ২০১১ রাত ১০:৫৪
সৌম্য বলেছেন: লে যান। গ্যরান্টি মজা লাগবে।
৮| ০১ লা মে, ২০১১ রাত ১:২৬
চৌধুরী ওসমান বলেছেন: ‘থার্ড ইয়ার’বইলা আফনে আমার বড় ভাইরে অপমান করছেন,কামডা ভালা হইলো না..........এই কারণে উনি বাসাই আইসা খুফ কান্না কাডি করতাছে.......
০১ লা মে, ২০১১ রাত ১১:০০
সৌম্য বলেছেন: আহারে থার্ড ইয়ার। বেচারা'কে এক সেকেন্ডের জন্যেও হাসি বন্ধ করতে দেখলাম না।
৯| ০১ লা মে, ২০১১ রাত ৮:৩৭
িনদাল বলেছেন: টাকার গাছ দেখে মজা পেলাম
আপনি কিছুদিন আগে ম্যাগনেটিক ল্যাসো দিয়ে ছবি ব্লার করার একটা টিপস দিয়েছিলেন, ওটা আজকে ট্রাই করে দেখলাম, অনেক জোস
এ সংক্রান্ত আরও কোন টিপস থাকলে প্লিজ শেয়ার করবেন/ আপনি ছবি এডিট কিভাবে করেন জানাবেন( উপরের ছবিগুলো তো মনে হয় আনএডিটেড)
০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১:৪৮
সৌম্য বলেছেন: ১ম ৩টা ছবি টোন ম্যাপ চেঞ্জ করছি (ওগুলো অবশ্য আমার তোলা না) আর টিং নদীর পাশে তাঁবু নিয়ে বসে থাকা ছবিটা মুলত ১টা ছবি'কে ৩টা আলাদা এক্সপোজারে (ইভি০,+১,-১) নিয়ে পড়ে একসাথে ব্লেন্ড করা। এতে ছবি'তে এইচডিআরের মতো ইফেক্ট আসে, যদিও জেনুইন এইচডিআরের ধারে কাছেও যেতে পারেনা।
খুব সহজ একটা ট্রিক, দেই। আপনার ক্যামেরা ট্রাইপডে বসান। তার পরে তার সামনে ঘুষি মারার ভঙ্গি করে (যদি রিমোট থাকে তাইলে বেস্ট) একটা শট নেন। এর পরে সরে গিয়ে এক দৌড়ে গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করে ঘুষি খেয়ে পড়ে যাবার একটা ভঙ্গি করে আরেকটা শট নেন। যদি আপনার ক্যামেরাতে বাল্ব (যতোক্ষন শাটার টিপে ধরে থাকা যায় ততক্ষন ক্যামেরার শাটার খোলা থাকবে) অপশন থাকে তাইলে সবচেয়ে ভালো হয়। বাল্ব থাকলে ঘর অন্ধকার করে একটা ফ্ল্যাশ বা অন্য কোন সোর্স থেকে আলো ফেলে করেন। যতোক্ষন আলো ততক্ষন ছবি উঠবে। পড়ের ছবি'তে (ঘুষি খেয়ে পড়ে যাওয়া)'তে আবার আলো ফেললে (বাল্বে) দুই ছবি একটা ছবি হবে কারন অন্ধকারে ছবি উঠবেনা। মুল ছবি'তে দেখা যাবে আপনি নিজেরেই ঘুষি মাইরা কাইত কইরা দিছেন।
এর মাঝে দুইনাম্বারি (ফটোশপিত) বুদ্ধি এই রকম। ট্রাইপডে প্রথমে ঘুষি মারার ছবি তুলেন, এর পরে ঘুষি খাবার আলাদা ছবি তুলেন। ফটো শপে ১ নাম্বার ছবি আর দুই নাম্বার ছবি নেন। ১টা ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ারের কপি বানান, অন্যটাতে ঐ লেয়ারটা ফেলেন। এর পরে লেয়ারটাকে ট্রান্সপারেন্ট করে দিয়ে অপ্রয়োজনিয় অংশ ইরেজ করে দেন। এর পরে ট্রান্সপারেন্সি নর্মাল করে দেন। খুব ইজিলি দেখা যাবে ঘুষি মেরে নিজেকে ফেলে দিচ্ছেন।
খুব দুর্বল উদাহরন- এভাবে দার্জিলিং পাড়ায় আমার সাথে আমার ক্লোন পোজ দিছিল
০৭ ই মে, ২০১১ রাত ১:৫৯
সৌম্য বলেছেন: মুল ধারার ফটোগ্রাফারেরা ১ম বুদ্ধি'তে বাল্ব অপশনে গিয়ে ছবিটা তুলবে। আর দুইনাম্বার (ফটোশপ ক্যামেরাম্যান'রা) এ পদ্ধতি'তে তুলবে। আগের যখন ফিল্মে ছবি তোলা হতো, এরকম ছবি গুলো করতেন ১টা ফিল্মে ১ম ছবি, এই ফিল্ম উল্টায় দিয়ে বা নতুন ফিল্মে আরেক ছবি তুলে একসাথে ডেভলপ করতেন (কিভাবে মাথায় ঢুকে নাই)।
আমি ফটোগ্রাফার মীর শামসুল আলম বাবু ভাইকে জিজ্ঞেস করেছিলাম। উনার একটা ছবি আছে এক মেয়ে কলসি থেকে পানি ঢালছে আর নিজেই সেই পানি খাচ্ছে, ওটা বাল্ব অপশনে তোলা। কিন্তু আমার কাছে ফটোশপে এরকম লেয়ার বানিয়ে করাটাই সবচেয়ে সহজ কম পরিশ্রমের মনে হইছে, কিন্তু সেটা পুরোটাই ফাঁকির কাজ।
১০| ০২ রা মে, ২০১১ বিকাল ৪:০৬
অনিন্দিতা_একা বলেছেন:
আলীকদমের দুই নাম্বার গুহায় রাত কাটানোর অভিজ্ঞতাটা চরম ছিল। গত বছর গিয়েছিলাম জানতো?
অনেক দিন পরে কিছু লিখলা মনে হয়? ভাল হইছে কঠিন কোন পাহাড়ী ট্রিপ দিবা নাকি? ... আমি একটা লম্বা প্লান করতেছি নভেম্বর - ডিসেম্বর এর দিকে কোন এক অচিন পাড়ায় গিয়া বসে থাকার প্লান
....
২২ শে মে, ২০১১ রাত ১:২৯
সৌম্য বলেছেন: হুম। আপনাদের ছবি গুলান দেখছিলাম। সেইরকম।
হ্যা একটা প্ল্যান আছে। বড় এবং লম্বা সময়ের জন্যে পাহাড়ের গভীরে যাবার জন্যে। কিন্তু সুযোগ হচ্ছে না। দেখি কিছু না পেলে দুদিনের জন্যে তাজিনডং গিয়ে শেরকরপাড়ায় গিয়ে বসে থাকবো। অথবা থাইদুং পাড়া। থাইদুং পাড়ার কারবারীর সাথে আলাপ করে রেখেছিলাম। আমার কাছে থাইদুং পাড়া অদ্ভুত ভালো লাগছে। কেমন যেন শাংরি-লা টাইপ অনুভুতী।
১১| ০৮ ই মে, ২০১১ বিকাল ৩:১৮
অক্রুর মাঝি বলেছেন: মনটা এমনিতেই বিষণ্ণ হয়ে আছে । আপনার এই দুর্দান্ত ভ্রমণের পাঁচালি পড়ে মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল । মিস করলাম ।
২২ শে মে, ২০১১ রাত ১:৩০
সৌম্য বলেছেন: সামনে অনেক গুলো প্ল্যান আছে। সুযোগ পাচ্ছি না। আমারও মনটা বিষন্ন।
১২| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ২:৪৭
মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: বাবার চাকুরীসূত্রে বেশ ক'বছর আলীকদম থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। কিন্তু সেসময় আমি নিতান্তই পিচ্চি, তবে আবছা আবছা অনেক কথা মনে পড়ে এ আলীর সুড়ঙ্গ নিয়ে যা বড় হবার পর অবদি বাবা-মা'র মুখে শুনে এসেছি। এ সুড়ং নিয়ে স্থানীয় অধিবাসীদের মাঝে অনেক ধরনের কাহিনী প্রচলিত আছে বলে জানি।
একসময় বের হব, সবচেয়ে ভাল হয় আপনার সাথে বের হতে পারলে...।
{ আছেন কিরাম? সামনে কোন প্ল্যান থাকলে আওয়াজ দিয়েন ...}
২২ শে মে, ২০১১ রাত ১:৩৫
সৌম্য বলেছেন: হুম। আলীকদমে গিয়েছিলাম বৈসাবি উৎসবের মাঝে। পাহাড়িরা সবাই উৎসব নিয়ে ব্যাস্ত। বাঙ্গালীদের কাছে মীথগুলো জানার চেষ্টা করেছি। সবগুলোই হড়ড়ড় গল্প। কয়েকটা ১৮+।
আমার কাছাকাছি সময়ে কয়েকটা প্ল্যান আছে। বর্ষা এলো বলে। আমি আপনাকে জানাবো।
১৩| ১৫ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪
িনদাল বলেছেন: টোন চেন্জ করলে কি এফেক্ট আসে ? কিভাবে করে ?
আমি চেষ্টা করেছিলাম HDR ইফেক্ট দিতে। আমার মনে হয় এটা শুধু প্রাকৃতিক দৃ্শ্যের ক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। ৩ টা আলাদা এস্কপোজার সেট করার পর কি মার্জ দিতে হয় ?
২২ শে মে, ২০১১ রাত ১:৪৯
সৌম্য বলেছেন: অনেক বড় ব্যাপার। ব্যাখ্যা করতে গেলে একটা পুরো পোষ্ট হবে। আসলে কালার টোনের সাথে আরো অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করা উচিত হবে। যেমন হিস্ট্রিগ্রাম, হোয়াইট ব্যালেন্স। কালার, ঠান্ডা কালার গরম কালার, গ্রে স্কেল।
এক কথায় টোন চেঞ্জ হচ্ছে ছবিটার সামগ্রিক রঙের মাত্রা বা ধরন পরিবর্তন। আর আমি নিজেই ভালো জানিনা তাই ভাষা ভাষা জ্ঞান দেয়াটা ঠিক হবে না। শূধু ফটোশপ ওপেন করে টোন পরিবর্তন করে দেখেন। কার্ভটা সামান্য নড়ালেই কি বিশাল পরিবর্তন হয় ছবির ধরনে। গুগল মামার সাহায্য নিয়ে একটূ ঘাটাঘাটি করেন নিজে নিজে শেখাটাই বেটার লাগবে।
এইচডিআর স্থির বস্তুর ক্ষেত্রেই ভালো। কিন্তু সেটা সাধারন মাপের ফটোগ্রাফারদের। ফ্যাশন বা গ্ল্যামার ফটোগ্রাফিতে দেখবেন কত দুর্দান্ত এইচডিআর পোট্রেট। এইটা খুব তুচ্ছ উদাহরন। কিন্তু আমি এটাকে ৩টা আলাদা এক্সপোজার নিয়ে মার্জ করাইছি। আলোর খেলাটা অন্যরকম আসছে। (বিশেষ করে ইলিশগুলোর গায়ে লালচে ইফেক্ট, বাস্তবে সেটা ছিল রুপালী, বর্ষার মেঘলা আলোয় জমছিলো না।
Click This Link
জ্বী আলাদা আলাদা ছবি গুলো নিয়ে একসাথে মার্জ করতে পারেন। যদি এটা'তে সমস্যা হয় শুধু এইচডিআরের জন্যে অনেক ছোট ছোট সফটওয়ার পাওয়া যায়। আমি ফটোম্যাট্রিক্স ইউজ করে দেখেছি দারুন জিনিস। তবে এখনকার অনেক পয়েন্ট এন্ড শুটে (শুনেছি আইফোন-৪এও নাকি) সরাসরি এইচডিআর ইফেক্ট দেওয়া যায়।
১৪| ১৫ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫
িনদাল বলেছেন: আমার পোস্ট টা ঠিকঠাক করসি
View this link
১৫| ২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১২
িনদাল বলেছেন: কষ্ট করে রিপ্লাই দেয়ার জন্য থ্যাংকু
। ট্রাই করে দেখছি
২৯ শে জুলাই, ২০১১ রাত ১১:২৭
সৌম্য বলেছেন: ফটোশপ আসলে ঘাটা ঘাটি আর এক্সপেরিমেন্টের জিনিস। কি ম্যাজিক দেখতে চাই সেটা আগে ঠিক করা, আর এরপরে ঘেটে ঘুটে সেটার প্রসেস বের করা। সব সম্ভবের জিনিস।
১৬| ২৭ শে মে, ২০১১ বিকাল ৫:১৪
িনদাল বলেছেন: ইলিশ এর ছবি টা অসাধারণ হয়েছে
১৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭
ভাইটামিন বদি বলেছেন: আমিও যামু সামনের হপ্তায়.....ওয়েলস্। তাবুতেই ৩ রাত কাটানোর ইচ্ছা....দেশে অনেক যায়গায় ঘুরা মিস করি....সাথে থাকতে পারলে ভাল লাগত।।
১৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯
চতুষ্কোণ বলেছেন: আপনার ভ্রমন ব্লগ সবসময়ই উপভোগ্য। চমৎকার লেগেছে বর্ণনা।
১৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:১৫
ম্যারাডোনা হাসান খান বলেছেন: ছবিগুলো ভাল
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১২:৩৩
ইশতিয়াক অাহমেদ বলেছেন: কেমন আছেন?
এটা কী ছাপা হইছে কোথাও?