নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পানির উৎস রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩১

বাংলাদেশে সুপেয় পানির অফুরন্ত সম্ভাবনা নদীনালা, খাল-বিল, পুকুরসহ সবরকম জলাশয় দখল ও দূষণের কারণে পানির আধার ধ্বংস হয়ে পানি সঙ্কট বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া জলাশয় দখল ও দূষণের শিকার হওয়ায় পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। পানির উৎস দখল ও দূষণ রোধসহ পরিবেশ উন্নয়নে সবাই যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখলেই জলাধার দূষণ ও দখল রোধ করা সম্ভব।





জলাধার দখল ও দূষণরোধসহ পরিবেশ রক্ষায় জরিমানা আদায়, শাস্তি প্রদান করে কখনো পরিবেশ উন্নয়ন সম্ভব নয়। সবার মধ্যে যদি দায়বদ্ধতা, দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলা যায় তবেই পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কোন উন্নয়ন বা অবকাঠামোমূলক প্রকল্প যেন পরিবেশ বিধ্বংসী কোন কার্যক্রম পরিচালনা না করে সেজন্য তাদের দায়বদ্ধ করে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ আইনের অধীন ৬৪টি জেলায় পরিবেশ আদালত গঠিত হয়েছে। এ আদালতগুলো সক্রিয় করতে নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকে সহযোগিতা করতে হবে।



মানুষ এখন পরিবেশ বিষয়ে সোচ্চার। কোথাও পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যকলাপ হতে দেখলেই নাগরিক সমাজের সংগঠনের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ সংগঠিত হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। উচ্চ আদালত ইতিবাচকভাবে পরিবেশ সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। গণমাধ্যম পরিবেশ দূষণ ও দখলের সংবাদ প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে। এসব ইতিবাচক পদক্ষেপ পরিবেশ অধিদপ্তরের কার্যক্রমে সহায়ক।



পরিবেশ অধিদপ্তর প্রায় ১০০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে, প্রায় ৮০ভাগ আদায় হয়েছে। কিন্তু আমরা চাই এমন দিন আসুক, যখন জরিমানা করতে হবে না। সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আইন মেনে চলবে।



পানি সঙ্কট মোকাবিলা ও পানির যোগান নিশ্চিত করতে সকল প্রকার পানির উৎস নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর ও জলাশয়ের দূষণ প্রতিরোধ ও ভরাট বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। পানির চাহিদা মিটাতে বর্তমানে ঢাকা ৮৩% ভূ-গর্ভস্থ পানি ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া বৃষ্টিহীনতা এবং খরার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া এবং নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাশয় দূষণ, ভরাট এবং নদী তীরবর্তী এলাকা দখল হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর রিচার্জ হচ্ছে না। পানির স্থর ভয়াবহ পরিমাণে নেমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে আমাদের দেশে সেচের জন্য পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না। শহরের অধিকাংশ স্থানে ইট, বালু, সিমেন্টের আস্তর ভূ-গর্ভস্থ পানি প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে। যা পানি সংকটকে বৃদ্ধি করছে।



১৩টি নদীর পানির মান পরীক্ষা করে দেখা গেছে, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু নদীর পানির মান খুব খারাপ। শুষ্ক মৌসুমে কোন প্রাণই এখানে বাঁচতে পারবে না। এছাড়া কর্ণফুলী, বাকখালী, পশুর নদীও দূষিত। রূপসা, পশুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানিতে লবনাক্ততা বেশি। নদীর পানির মান রক্ষায় পয়ঃবর্জ্য, শিল্পবর্জ্য নিক্ষেপের মাধ্যমে দুষণ বন্ধ করতে হবে।



পানির উৎস হিসেবে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষা আইন বাস্তবায়ন করা; শিল্প-কারখানার, পয়ঃবর্জ্য এবং গৃহস্থালী বর্জ্য নদী বা জলাশয়ে ফেলা বন্ধ করা; শহর ও নগর এলাকায় নতুন করে পুকুর, জলাধার তৈরির করতে হবে। পাশাপাশি পরিবেশ আইনসহ পরিবেশ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তরের ক্ষমতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সরকারী ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে দায়বদ্ধ করে তুলতে হবে।









মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.