নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
মাঝ রাতে আপনি অথবা আপনার পরিজন কেউ দূর্ঘটনায় আহত। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রাস্তা থেকে অপরিচিত কয়েকজন লোক কিংবা পুলিশ চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জরুরী বিভাগে ভর্তি, দালালকে টাকা দেওয়া, দূর্নীতি, নোংরা পরিবেশ, ডাক্তার ডাক্তার চিৎকার, নার্স...নার্স, ঔষধ নাই এই সবই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গল্প। এই গল্প সবাই জানে। যে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে কোনদিন যায়নি, তারও জানা এই গল্প।
এই গল্পগুলো কতটুকু সত্য কিংবা মিথ্যা তার হিসেব জানাতে চাই না। কিন্তু একবার চিন্তা করুন যখন আপনি দূর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন, আপনার পরিচয় ছাড়াই কে আপনাকে চিকিৎসা ( মেঝেতে হলেও আশ্রয় দিয়ে) দিয়েছিল? অনেক তো নামিদামি হাসপাতাল ছিল শহরে। কিন্তু কেন ঐ হাসপাতালে আপনাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? কি বিশ্বাস পাবলিকের ঐ হাসপাতাল সম্পর্কে?
হ্যাঁ বিশ্বাস একটাই। যতই সীমাবদ্ধতা থাকুক। এই শহরে একটা মাত্র হাসপাতাল ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতাল, যে কিনা কোন পরিচয় ছাড়াই আপনাকে চিকিৎসা দিবে। গত ৬৭বছরে এই হাসপাতাল কত কোটি পরিচয়হীন আর ভারী পরিচয়যুক্ত মানুষের সুখ,দু:খের সাথী হয়ে তার হিসেব কোথাও নেই। এখনও বছরে এই হাসপাতালে মাত্র দুই হাজার+ কর্মকর্তা কর্মচারী ১০লক্ষের বেশি মানুষকে সরাসরি সেবা দেয়।
এই হাসপাতাল আমার আপনার অর্থে পরিচালিত হয়। তাই এই হাসপাতাল সর্ম্পকে প্রতিদিনেই আমাদের ক্ষোভ, অভিমান, অভিযোগের শেষ নেই। কিন্তু যারা প্রায় বিনামূল্যে বছরে ১০লক্ষ+ লোকের সরাসরি সেবা দেয়।
কোনদিন কি জানতে চেয়েছি তাদের অভাব, অভিযোগের কথা ?
তাদের কি আমরা একবার বলেছি ধন্যবাদ। এই ধন্যবাদ পাওয়া কিংবা দেওয়া তাদের প্রতি করুনা নয়। এটা তাদের প্রাপ্য। যদি বিশ্বাস করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল আপনার। তবে শুধু অভিযোগ, অভিমান,রাগ, ক্ষোভ, গালাগালির দিয়ে এর পরিবর্তন সম্ভব নয়।
পরিবর্তনের দোহাই দিয়ে অনেক গালাগালি হয়েছে। যদি সত্যিকারের পরিবর্তন চান আসুন নিজেরাও একটু দায়িত্বশীল হই। হাসপাতালটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, সুশৃংঙ্খল ভাবে পরিচালনার স্বার্থে আমরাও তাদের সহযোগিতা করি।
ব্যস্ততার আপনার শেষ নেই। তারপর একদিন আপনার অবসর সময়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্যস্ত ঝাড়ুদার, ওয়ার্ড বয়, নার্স, ডাক্তার, কর্মকর্তা/কর্মচারী যেকোন একজনকে একটু সময় করে বলে যান।
“ধন্যবাদ আপনাদের, আমাদের সেবা দেওয়ার জন্য “
আমাদের বিশ্বাস সাধারণ জনগণের দায়িত্বশীল আচরণ আর ভালবাসায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম আরো গতিশীল হয়ে ওঠবে।
আজ আমরা গিয়েছিলাম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্মকর্তা/কর্মচারীদে কে “ধন্যবাদ“ জানাতে।
আপনি কখন যাবেন? আপনার সাথে আমরা আবারও যেতে চাই। বলতে চাই “ধন্যবাদ আপনাদের, আমাদের সেবা দেওয়ার জন্য “
১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৮
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২৫
সুমন কর বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা বলেছেন এবং আপনাদের মহৎ কাজের জন্য ধন্যবাদ। আসলে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে সাধারণ মানুষরা তেমন চিকিৎসা পায় না। অনেক অবহেলা আর দুর্রনীতিতে ভরপুর ঢাকা মেডিকেল। তারা ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাদের কাছে থাকা সত্বেও বাহির থেকে আনতে বলে। পরে আবার ঐসব জিনিসগুলো রোগীর দেখিয়ে বাহিরে বিক্রি করে পয়সা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। আবার অপারেশনের নামে দামী ওষুধ লিখিয়ে, তা আদৌ ঐ কাজে লাগে না তবুও তারা তা পরে ফার্মেসীতে বিক্রি করে অনেক টাকা চুরি করে। তাই বলে একদম যে সেবা পাই না, তা কিন্তু বলছি না। আমি নিজে ঐগুলো দেখেছি। আমার বোন এবং মাকে ওখানে চিকিৎসা করেছি এবং আমার বোন একজন সরকারী ডাক্তার। তাই ব্যাপারগুলো আমি প্রত্যক্ষভাবে জানি। তবে আপনাদের কাজের জন্য শুভেচ্ছা রইল।
১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:০৯
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হুম তারপরও একমাত্র ঢাকা মেডিক্যালে আপনি বিনামূল্যে যে সেবা পাবেন তা পৃথিবীর কোথাও পাবেন না।
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৮:৫১
কথাটা সত্য বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:০৩
পুরানো আমি বলেছেন: ভালো বলেছেন।
৫| ১৯ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
দি সুফি বলেছেন: সাহায্যের প্রতিউত্তরে অন্তত ধন্যবাদ বলা উচিত।
ভালো উদ্যোগ।
১৭ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১৮
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
হেডস্যার বলেছেন:
আমার তরফ থেকে ও ধন্যবাদ।