নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুলের গ্রামে কিছুক্ষণ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

হরতাল, বেতাল, অবরোধ, বন্যা, ঝড়, ব্যস্ততা যাই থাকু না কেন, ঘুরতে/বেড়াতে আমি সপ্তাহে একবার যাবই। শুধু অসুস্থ না হলে এই কর্মসূচীর তেমন পরিবর্তন হয়নি বিগত বছরগুলোতে। কখনো দলবেধে কিংবা দল ছাড়া। ১০০টাকা-১০টাকা কিংবা ১০০০টাকায় এই ঘুরাঘুরি পর্ব শেষ হয়। গত কয়েকদিনে কোথায় কোথায় গেলাম। তার তালিকা বেশ বড়।





ঢাকার কাছে সাভারের ফুলের গ্রামের গল্প শুনেছি বহুবার আজ শুক্রবার সুযোগ পেয়ে চলে গেলাম। ঢাকার কাছের গ্রামে ঘুরাঘুরি নামের আমার এবং আমাদের একটা প্যাকেজ আছে। সেই প্যাকেজে আজ গিয়ে ছিলাম শ্যামপুর, রাজাসন, নগরকুন্ডা, বিরুলিয়া গ্রামে। ২টার পর রওনা হওয়াতে যেতে যেতে বিকেল হয়ে গেল।





অসংখ্য ছোট ছোট টিলা, লাল মাটি, সরু পিচ ঢালা রাস্ত, কখনো কখনো মঠো পথ, নদী, সবুজ সবজির ক্ষেত, তার মাঝে ফুল আর ফুলের বাগান। শুধু যে ফুলের গ্রামে ফুল দেখে মুগ্ধ হবেন তা নয়। এই গ্রামগুলোর মানুষের সাথে কথা বলে প্রাণ জুড়াবে। অররোধ, হরতালের মাঝেও আমরা ঢাকাবাসী যে তাজা শাক সবজি পাই, তার অনেকটাই আসে এই গ্রামগুলো থেকে। এখানে গ্রামবাসীর নেশা/পেশার সাথে এখনো কৃষি জড়িত।





প্রতিবছর এই গ্রামগুলো থেকে উৎপাদিত শতকোটি টাকার গোলাপ,গ্যালোটিলাস, চন্দ্র মল্লিকা শহরের মানুষের জীবন রাঙ্গাতে যায়। কিন্ত এই গ্রামের মানুষগুলোর মাঝে মাস কয়েক ধরে মনে রঙ নেই।কারণ তাদের গ্রামের ফুল কিনতে এখন আর তেমন পাইকার আসছে না। শহরে অস্থিরতায়, মানুষ আর তেমন ফুল কিনে না।শহরে উৎসব নেই। শুধু শোকের মাতম। শোকার্ত মানুষ ফুল দিয়ে কি করবে?





গ্রামবাসী হরতাল, অবরোধের দোহাই দিয়ে কোন ভাবেই ফুল ফোটা বন্ধ করতে পারছে না। গাছগুলো হরতাল, অবরোধ মানে না। বিরতিহীন ভাবে ফুল দিয়ে যাচ্ছে।গাছগুলোকে বুঝানো যাচ্ছে না। শহরের মানুষের মন ভাল নেই। তোরা ফুল দিস না।





এখনো সন্ধ্যার আগে সারি সারি বক উড়ে যাওয়া, রাতে শিয়ালের হাঁক সবই আছে ঐ গ্রামে। শুধু গ্রামের মানুষগুলোর জীবনে রঙ নেই। সারি সারি ফুটন্ত গোলাপের মাঝে বিবর্ণ কৃষকের কান্না হাছিনা/খালেদাকে এক টেবিলে বসাতে পারবে না। শহরের অস্থিরতা কমাতে পারবে না।





কৃষকের কান্নায় সিক্ত গোলাপ সিদ্বার্থ রায় নামের পুলিশের কফিনের উপর স্থান নিতে চায় না। গোলাপগুলো হাছিনা/খালেদার বৈঠক টেবিলের ফুলদানীতে অবস্থান নিতে চায়।





শহরের মানুষের মনে রঙ লাগুক, রাইফেলগুলো আবারও অস্ত্রাগারে বন্দী হোক। শুধু গোলাপ আর গোলাপে শহর ভরে যাক।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৯

বেলা শেষে বলেছেন: Oh , very beautiful. Thenk you very much for good writing.
Salam to you.

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৩

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২

ঘোর ছাড়া এক সুখি ছেলে বলেছেন: বাসা মিরপুরে তাই ফ্রেন্ড সার্কেল মিল্লা মজা করতে যখন খুশি যাইতাম সেই মজা :(( আগের দিন আর নাই ! শাহদুল্লাহপুর ঘাট এর মিষ্টি আর দুধ ভালোই

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৪

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সময় পেলে আগের মজা আবার একটু নাড়াচাড়া দিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.