নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি পৃথিবীর সন্তান।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন

এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃষকের ছেলে সৌরভ,আমাদের গুগুল জ্ঞানী হাম্বা

২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩১





হাম্বা। এটি হাম্বার ছবি।



মাস কয়েক আগে ঢাকার কাছের এক গ্রামে গিয়েছিলাম। এই গ্রামে আমার সাথে প্রথম হাম্বার পরিচয় হল। হাম্বা হল গরুর বাছুর মারা গেলে তার চামড়া সংরক্ষণ করে। খড়,বাঁশ, দড়ি দিয়ে বাছুরের আকৃতি তৈরি করা হয়।



কেন মৃত বাছুর কে এই ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। এই প্রশ্নের উত্তরে উপস্থিত কয়েকজনের উত্তর ছিল হয়তবা গ্রামবাসী বর্বর, অজ্ঞ, কুসংস্কার ইত্যাদি। এই সকল প্রশ্নের সমাধান করতে এগিয়ে আসলেন গ্রামের কিশোর সৌরভ আর মুয়াজ্জিন সাহেব।



বাছুর মারা যাওয়ার পর বাছুর সংরক্ষণ করা হয় ববর্তা, অজ্ঞতা কিংবা কুসংস্কারের জন্য নয়। গাভীর দুধ নেওয়ার জন্য এই হাম্বাটির গায়ে লবন মাখিয়ে স্থানীয়রা গাভীর সামনে রাখে। গাভী হাম্বার গা চাটতে থাকে। ফলে তাদের দুধ সংগ্রহে সুবিধা হয় এবং অধিক পরিমান দুধ পাওয়া যায়।



গ্রামের কিশোর সৌরভ আর মুয়াজ্জিন সাহেবের এই যুক্তি আমাদের অনেকের কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়। অজপাড়া গায়ের কৃষকের ছেলে আর মুয়াজ্জিনের যুক্তি হাম্বা গাভীর দুধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে । তা জ্ঞানীদের মেনে নেওয়াটা কঠিন। সারা রাস্তায় চলছে যুক্তি তর্ক। কি কারণে গ্রামে বিজ্ঞান ভিত্তিক শিক্ষার প্রসার দরকার। কুসংস্কার মুক্ত ও উন্নত কৃষির জন্য গ্রামের মানুষদের আরো উন্নত শিক্ষা দেওয়া দরকার।



অস্টেলিয়ার গবেষকরা দাবী করেছেন, গাভীকে গান শুনালে গাভী দুধ বেশি দেয়? সাদা চামড়ার এই গবেষকদের দাবীর বিপক্ষে কারো কোন বিতর্ক নেই। বেশির ভাগের উত্তর হুম হতেই পারে। বিষয়টা মনস্তাত্ত্বিক, গাভী মনে হয়তোবা প্রশান্তি আনে। তাই তার উৎপাদন বাড়ে।



হুম ভাই-ব্রাদার তর্কের জন্য শুধু আপনাদের জানাতে চাই। বিলাতের গরুর যদি গানে মনে প্রশান্তি মেলে তাহলে আমাদের দেশীয় গরুর কেন নিজের বাচ্চার দেহ চেটে শান্তি মিলবে না?আর কেনইবা সেই শান্তি গাভীর দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা নিবে না?



যদি কারণ হয়ে থাকে কিংবা মনে করে থাকেন যে আপনার জ্ঞানের খনি গুগুল কিংবা স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ কৃষকের ছেলে সৌরভের কাছে কিংবা মুয়াজ্জিনের কাছে নেই। এটা তাদের অযোগ্যতা। এই কারণে তাদের কথার কোন যুক্তি নেই। তবে শ্রদ্ধার সাথে জানাই,



জনাব গুগুল নির্ভর জ্ঞানী বন্ধুরা,

আপনাদের গুগুলের যে তথ্য কিংবা জ্ঞান তার জোগানদাতা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি কৃষকের ছেলে সৌরভ আর প্রকৃতির কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সমৃদ্ধ মুয়াজ্জিনরাই।



আপনাদের আছে গুগুল আর তাদের আছে প্রকৃতি। আপনার গুগুল থেকে তথ্য নেন আর তারা তথ্যের যোগানদাতা। আপনি আমাকে প্রায়ই গুগুল ভুল তথ্য সরবারহ করে । কিন্তু প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেওয়া সৌরভদের শিক্ষাটা অনেক বেশি সরস।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: গাভি বাচ্চা দেখলে মাতৃস্নেহে তার দুধ রিলিজ বাড়ে এটা তো কেউ অস্বীকার করেনা!

২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হুম কিন্তু গুগুল জ্ঞানীরা তো দাবী করে তারাই সব জানে।

২| ২৫ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:৫৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: যৌক্তিকতা আছে লেখায়।

২৫ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:০০

সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ

৩| ২৫ শে মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১২

বিষক্ষয় বলেছেন: Cows in developed countries like Australia has been specifically bred by selection for producing milk and they line up the at the gate of the milking station to get milked every day without their calves.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.