![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
ঢাকার পানি দূষণের জন্য আমরা সবাই শিল্প কারখানাগুলোকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করি। টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানার ৯০ হাজার ঘনমিটার, হাজারীবাগের ট্যানারিগুলো থেকে দৈনিক ২১ হাজার ঘনমিটার অপরিশোধিত বর্জ্য নদীগুলোতে নির্গত হচ্ছে।
কিন্তু পয়ঃবর্জ্যের পরিমাণ ১৩ লাখ ঘনমিটার। এর মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার পরিশোধন ক্ষমতাসম্পন্ন পাগলা পয়ঃবর্জ্য পরিশোধনাগারের মাধ্যমে মাত্র ৫০ হাজার ঘনমিটার পরিশোধন করা হচ্ছে।
তাহলে প্রতিদিন সাড়ে বারো লাখ ঘনমিটার অপরিশোধিত পয়ঃবর্জ্য নদীর পানিতে ফেলা হচ্ছে। ঢাকার সুয়্যারেজ/পয়ঃবর্জ্য পানি দূষণ বা আমাদের নিরাপদ পানি প্রাপ্তির অন্যতম অন্তরায়। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর পয়ঃবর্জ্য কেন্দ্রীয়ভাবে শোধন করা আসলেই ব্যয়বহুল এবং কঠিন।
এক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে পয়ঃবর্জ্য শোধনের চেয়ে স্থানীয়ভাবে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা কম ব্যয়বহুল এবং স্থায়ী। এ বিষয়ে সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। যেমন ইকো স্যানিটেশন ব্যবস্থা গড়ে তুলা যেতে পারে। প্রতিটি বাড়িতেই সেফটি ট্যাংক তৈরি করতে হবে । গৃহস্থালী ব্যবহারের সাধারণ পানি এবং পয়ঃবর্জ্যর পানি দুইটি আলাদা ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে। কারণ গৃহস্থালী কাজের পানি খুব সহজেই অল্প খরচে ব্যবহার যোগ্য করে তোলা যায়।
অন্যদিকে পয়ঃবর্জ্য ও শিল্পবর্জ্য শোধন ব্যয়বহুল। সব চেয়ে বড় কথা হলো, পানি যারা নষ্ট করছে, তাদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে শোধন করার। ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে। বাড়াতে হবে ভূ-উপরিভাগের পানির ব্যবহার। এ জন্য প্রয়োজন রাজধানীর সব পুকুর, খাল, লেক বা ঝিল উদ্ধার কর এবং সেগুলো মানুষের ব্যবহারেপযোগী করা। একইসাথে পানির নতুন নতুন আধার তৈরি করে তা সংরক্ষণ করতে হবে। পানি দূষণ রোধ করতে হবে। পানির যাচ্ছেতাই ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। অপরের স্বার্থ নিশ্চিত করেই নিজে পানি ব্যবহার করতে হবে।
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১০
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৮
ঢাকাবাসী বলেছেন: এদেশে আদর্শ কথায় কিছুই হবেনা। পানির অভাবে আগামী প্রজন্ম না খেয়েই মারা যাবে। ঘুষখোর পানিবিভাগ ঘুষ খেয়ে গভীর নলকুপ বসাবে আর পানির স্তর নীচে নামাবে, ধ্বংশ করবে সব কিছু। কেউ বলার নেই।
৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪২
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কিছু হবে না বললে তো সমাধান হল না। সমাধানের কথা আপনাকে আমাকেই বলতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
প্রবাল ক্ষ্যাপা বলেছেন: যিনি অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করছেন বা বিলাসী জীবন যাপনে পানি ব্যবহার করছেন, তার পানির মূল্য কখনোই ভতুর্কি মূল্যে সরবারহ করা যাবে না। নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি গরীব বা সর্ব সাধারণের জন্য বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে সরকারকে। তবে এর বেশি কেউ ব্যবহার করলে তাকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে।