![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
বাংলা ভাষা এবং ভাষা আন্দোলন নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। কিন্তু ভাষার জন্য শুধুই আমরা রক্ত দিয়েছি এই রকম প্রচারণা অন্য ভাষা-ভাষীদের ভাষার আন্দোলনে-লড়াইকে যথাযথ মূল্যায়ন করতে শিখাবে না। পৃথিবীতে বিভিন্ন দেশে ভাষা নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। কোথাও কোথাও শত শত মানুষ জীবন দিয়েছে তাদের মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে। আমাদের গর্বে ২১শের আলোচনায় যদি সেই সব ভাষা-শহিদের ত্যাগের কথা উল্লেখ করা হয় তবে তাতে ২১শের চেতনা আরো দৃঢ় হবে। শ্রদ্ধা করতে শেখাবে অন্য ভাষাভাষীদের।
যদিও শ্রদ্ধা জানাতে পারি, সম্মান জানাতে পারি জুন ১৬, ১৯৭৬ সাল দক্ষিন আফ্রিকার, ১৯৬৫ সালের ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যর মাদ্রাজ (বর্তমান চেন্নাই), আমেরিকার বিভিন্ন নেটিভ/আদি/স্থানীয় ভাষা রক্ষার আন্দোলনগুলোকে তবে মাতৃভাষা দিবস আরো অর্থবহুল হয়ে উঠবে।
ভারত, বার্মা, পাকিস্থানের চলমান বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের ভাষার অধিকার পাওয়ার আন্দোলনগুলোকে সমর্থন দেওয়া মাতৃভাষা দিবসের অঙ্গিকার হওয়া উচিত। সর্বশেষ বলি আমাদের আঞ্চলিক ভাষা ও আদিবাসীদের ভাষার অধিকারের বিষয়গুলোতে চোখ বন্ধ করে রাখার সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসা প্রয়োজন।
আমাদের শহিদমিনার শুধুই আমাদের বাঙ্গালীর ভাষা রক্ষার আন্দোলনের প্রতীক নয়। সারা পৃথিবীব্যাপী চলমান সকল ভাষা অধিকার রক্ষার আন্দোলনকে সমর্থন দেওয়ার প্রতীক। তাই এই মিনারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আমিও বলতে চাই।
লড়াইটা যেখানেই হোক পাহাড়ে সমতলে, ভারত, পাকিস্থান, বার্মা ভাষার এই আন্দোলনে আমি এবং আমরা সমর্থন করি।
©somewhere in net ltd.