![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
গেল সপ্তাহে এক জেলা শহরের জেলা প্রশাসকের অফিসে গেলাম। আমি একটি চিঠি পাঠিয়েছিলাম তার খবর নিতে এসেছি। আমি ইমেইলে পাঠিয়ে ছিলাম। এইবার হাতে করে চিঠি নিয়ে আসলাম। যদি একটা কপি রাখেনে তবে তদন্তে সুবিধা হতে পারে। কিসের চিঠি? চিঠির বিষয় শুনার পর ডিসি অফিসের লোকজন মন হল দড়ি খোঁজা শুরু করেছে আমাকে আটকানোর জন্য।
আমি নিরহ মানুষ । দড়ির দরকার কি? বললেই তো চুপচাপ বছরখানি এক জায়গায় বসে থাকি। তারা আমার নাম, বাপের নাম, বাড়ি, ফোন নাম্বার সব লিখে রাখে। সরকারী বিভাগের চিঠি দিস। ব্যাটা তোর কাজ করার জন্য সরকারী লোকজন বসে থাকে? আমরা তোর চাকর?
আমার কিছুই বলার নেই। যাহাদের বিপক্ষে অভিযোগ তারা অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে জেলা প্রশাসক অফিসে চলে আসে। কর্মকর্তারা তাদের সাথে ভাব জমিয়ে গল্প করছে। এই প্রতারক গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলে মাত্রারিক্ত মুনাফা দিবে বলে আমানত সংগ্রহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে কেটে পড়ে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলে ইহার বিপক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া তাদের কাজ নয়, পুলিশ বলে তুইকে অভিযোগ করার, আর ডিসি অফিসের লোকজন আমি অভিযোগ করায় আমার জন্য দড়ি খোঁজে। অভিযুক্তদের তাহাদের জন্য চায়ে আয়োজন করে।
এই প্রতারক গোষ্ঠীর এইবার যদি টাকা নিয়ে ভাগে তবে তার দায় আমার। কারণ সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের লোকজন যেহেতু প্রতিষ্ঠানের মালিক। তাই আমি অভিযোগকারী হিসেবে তাহাদের সুনাম ক্ষুণ করার দায়ে দন্ডি হইবার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যাওয়ার দেশে কোটি টাকা লুট হয়ে যাওয়া কোন বিষয়ই নয়।
শুধু একটাই অনুরোধ আপনাদের পাশে যদি কেউ থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিবন্ধিত নয় এমন কোন ব্যাংকে অথবা সমবায় ব্যাংক, সহজেই টাকা দ্বিগুন,তিনগুন হয় এমন প্রতিষ্ঠানে টাকা রেখেছেন। তাহারা অতি দ্রুত তাদের টাকাগুলো এক সপ্তাহের জন্য তুলে সরকারী কোন ব্যাংকে রাখার পরামর্শ দিন। কারণ প্রতারক গোষ্ঠী আগামী ১০দিনের মধ্যেই পালাবে
ছবি ইন্টার নেট থেকে
আবারও পত্রিকার পাতায় ছাপা হবে আমানত হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া কোন কৃষকের কান্নার ছবি। পাশেই লেখা সংবাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের বক্তব্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আমাকে খুঁজে পাচ্ছে না। কইলাম ভাই তাহারা আমাকে খুঁজবে কেন? আমাকে তো খুঁজে বের করার কথা তদন্তকারী সরকারী লোকজন। যাই হোকে আমার পছন্দ হইছে । যাহার বিপক্ষে অভিযোগ তাহাকে দেওয়া হয় তদন্তে।
জনতার এই বড্ড বাড়াবাড়ি, বাংলাদেশ ব্যাংক, ডিসি অফিসে গিয়ে চোরের বিপক্ষে করে নালিশ। দড়ি কই দড়ি শোভনকে বাইন্ধা ফেল।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৪৯
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: সবাই লুটতে চায় গরীবের সম্পদ।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১২:২২
রাজীব বলেছেন: আমার মনে হয় আপনি পাগল!!!!
কারন যারা এই হীরক রাজার দেশে বসে এসব বলে তারা অবশ্যই পাগল।
আপনাকে যন্তর মন্তর ঘরে পাঠানো দরকার।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫০
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: কি করার আছে এই হীরক রাজার দেশে পাগল হবার ছাড়া।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪২
প্রামানিক বলেছেন: এইরকমই এখন দেশের অবস্থা।