![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
রাত ১.২৫ আমি আর জুলু গাবতলী থেকে কাপ্তান বাজার হেঁটে যাচ্ছি। নগর রাখালদের সাথে। এই শহরে রাখাল আছে। শুনতে অবাক হলেও তা সত্যি। তারা পেশায় রাখাল। গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া চড়ায় নগরের রুক্ষ সড়কে।
আজ আমরা যার সঙ্গী হলাম তার নাম যুবায়ের ভাই। জনাব যুবায়ের ভাই এবং ২৮টি মহিষ নিয়ে আমাদের চলা শুরু।
যুবায়ের ভাই !!!
ভদ্রলোক নগরের রাখাল প্রায় ২৫ বছরের উপর। তিনি আমাকে বিশেষ কারণে পছন্দ করেন। আমি তার সাথে বহুদিন হেঁটে হেঁটে গরু,ছাগল,মহিষ নিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি।মহিষের পালের সাথে গেলে ক্লান্ত হলে আমাকে তিনি মহিষের পিঠে চড়ে বসতে বলতেন। আমি চড়ব চড়ব বলে আর চড়তে পারিনি। আমি পাল সামলাতে পারি। এই শিক্ষা আমি আমার গুরু যুবায়ের ভাই থেকে পেয়েছি।
একবার যুবায়ের ভাই আমাকে মহিষের দুধ খাওয়ানোর জন্য ভালুকায় নিয়ে গিয়েছিলেন। যুবায়ের ভাইয়ের আন্তরিকতার শেষ নেই। বরিশাল থেকে মহিষের দুধের লবন কম পনির, মহিষের দুধের দইসহ নানা খাবারের পরিচয় হয়েছে তার মাধ্যমে।
পরিচয় পর্ব যুবায়ের ভাই শেষ। তার কন্ঠ অসাধারণ বেসুর আমাকেও হার মানায়। তারপর ব্যাটা বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় গান গায়। গুন গুন করে নয় ব্যাপক শব্দ করে।
জুলু আমার সাথে আড্ডা দিয়ে মজা পায় কারণ আমি তার সাথে যেখানে সেখানে ঘুমাতে পারি। সে এক বাক্যে ঢাকার সবচেয়ে বড় অলস ব্যাক্তি। ৫ফিট ৪ উচ্চতার ওজন ৮৬কেজি। খাবার ছাড়া কোন কিছুতে তার আগ্রহ নেই। কথা ছিল সে বড় হয়ে বাবুর্চি হবে। কিন্তু তা বাদ দিয়ে জুলুকে পড়তে হল রস কষ হীন বিষয় গণিত শাস্ত্র। যদিও জুলুর গণিতই নাকি ভাল লাগে। গণিতে ভাল জুলু দাবায় ভাল।আমি তার সাথে নিয়মিত দাবা খেলায় হারি। তারপরও আমরা দুজন দাবা খেলি। সে মন্ত্রী নৌকা বাদ দিয়ে আমার সাথে খেলে।
এই জুলুর জ্ঞানের প্রতিভা আমাকে মুগ্ধ করে। মুগ্ধ করে তার রান্নার প্রতিভা ও। অসাধারণ রান্না করে। বলতে পারেন স্বর্গের বাবুর্চি হবার যোগ্যতা রাখে সে। জুলুর বক্তব্য একটাই এই দেশে রান্নায় বরিশালের মানুষ সেরা।
কিন্তু যুবায়ের ভাইয়ের দাবী ময়মনসিংহ সেরা। আমার কোন দাবী নাই। জুলুকে আমি নতুন নতুন খাবারের দোকানের খবর দেই। দামে সস্তা খাবারের দোকান। শুধুই দামে সস্তা নয়, খেয়ে তৃপ্তি পেতে হবে।
জুলু এবং যুবায়ের ভাইয়ের পরিচয় পর্ব শেষ।
বেশ কয়েদিন হল আমি শহরে বেশ কিছু সস্তায় খাবারের দোকানের ঠিকানা জমিয়ে রেখেছি। আমি অলস তাই পোস্ট দিতে পারিনি। যেমন ধরুন শুক্রাবাদ ভাঙ্গা বাজারের পাশে বরিশাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট।এখানে ৩০ টাকায় ভুনা খিচুরী পাওয়া যায়।
আজকের দিনটা ভুনা খিচুরী খাবার দিন। আগামীকালও বৃষ্টি এবং ঠান্ডা থাকবে। তাই সুযোগ পেলে স্বাদ নিন ভুনা খিচুড়ির।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: চলে আসব ভাই একদিন।
২| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
শুক্রাবাদ যেতে যে আর্থিক দণ্ড দিতে হবে
তার চেয়ে এখানেই খেয়ে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: জ্বি আপনি বুদ্ধিমান।
৩| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ইস! দেরীতে পেলাম খবরটা। দুপুরের খাওয়া ইতিমধ্যে খেয়ে ফেলেছি।
রাতে একবার ট্রাই করবো নিশ্চিৎ।
৪| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
আমি মাঝেমধ্যেই শুক্রাবাদ যাই। দেখি যাওয়া যায় কিনা!
৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এদের খাওয়া দাওয়ার মানের উপর ভিত্তি করে যদি বরিশাল প্রতিযোগিতায় নামে, তাহলে প্রথম হতে পারে তবে সেটা নিচ থেকে, উপর থেকে নয়। ত্রিশ টাকায় যে খিচুরি বিক্রি করছে, তারচেয়ে ভ্যান গাড়ির খিচুরি মন্দ নয়।
এই হোটেলের গরুর মাংস রান্নার স্টাইল ভালো। তবে প্রয়োজনীয় মশলার অনেক অভাব আছে। অবশ্য নতুন হোটেল। কি আর করা।
৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দেশে একটা জরিপ হওয়া দরকার কোন জেলার মানুষ রান্নায় সবচেয়ে ভাল।
জরিপ ছাড়াই কেউ যদি জানেন জানাবেন।
৭| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: কুমিল্লা, চাঁদপুর অঞ্চলের মেয়েরা রান্নায় সবচেয়ে পারদর্শী।
৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২
সুমন কর বলেছেন: আপনার জুলু আর যুবায়ের ভাইয়ের কাহিনী পড়ে, কিছু জানতে পারলাম.....
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: শোভন ভাই একটু পরে খেচুড়ি খাব,আসেন দুই ভাই এক সাথে খাই।
আমি যশোরের লোক।যশোরের মানুষও ভাল রান্না করে।