![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল প্রকার তথ্য কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা যাবে ।
ভাকুর্তা।
ধানমন্ডি,মোহাম্মদপুর থেকে ৩০/৪০ মিনিটের দূরুত্ব। ভাকুর্তা গ্রামে আবুল কারিগর নামে এক লোক থাকেন। আবুল ভাই যদিও নিজেকে কারিগর বলতে চান না।
নানা ব্যবসায় ধরা খেয়ে আবুল ভাই মিষ্টি ব্যবসা শুরু করেন। এই অজপাড়া গ্রামে মিষ্টি ব্যবসা কেন, কে কিনবে মিষ্টি? হাসাহাসি, এই ব্যবসায়ও ধরা খাবি আবুল। এই ভবিষ্যৎ বাণী শুনেই তিনি ব্যবসায় নামলেন।
ভাকুর্তা গ্রামটা বলা যায় গরুর দুধের খনি। শুধু ভাকুর্তায়ই নয় আশেপাশে সব গ্রামের বাড়িতে গরু আছে। আশে পাশে যতদূর দেখা যায় সবুজ আর সবুজ ঘাসের মাঠ।
এত এত সুযোগ থাকার পরও আবুল ভাইয়ে মূল সমস্যা মিষ্টির কারিগর। যে চাকুরীতে আসে সেই দিন কয়েক পর চলে যায়।
ওস্তাদ, কারিগর ছাড়া একদিন সকাল থেকে আবুল ভাই নিজেই মিষ্টি তৈরি করা শুরু করলেন। আবুলের মিষ্টির সুনাম দু চার গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল। আমিও ৪/৫বছর আগে এক রাতে আবুল ভাইয়ে বাড়িতে গিয়ে হাজির।
আবুল ভাই নতুন কোন ধরনের মিষ্টি বানালে আমাকে ডেকে খাওয়ান। আবুল ভাইয়ের অসাধরণ সৃষ্টি চিনি ছাড়া বা কম চিনিতে রসমলাই। এই রসমলাইয়ের তুলনা হয় না। আর বেশি চিনি দিয়ে বানান কাঠগোল্লা।
রাত বিরাতে নাকি মিষ্টি আর মাছ নিয়ে আসা যাওয়া ঠিক না। আমি মিষ্টি খেয়ে রাত বিরাতে নির্জন পথ মাড়িয়ে, বুড়িগঙ্গা পাড়ি দিয়ে রসমলাই নিয়ে বাসায় আসি। জিন আমাকে কখনো আসা যাওয়ার পথে মিষ্টির জন্য দাবীদাবা করে না। শুধু মাঝে পথে র্যাব-পুলিশের টহল গাড়ির সাথে দেখা হয়। তারাও মিষ্টি খেতে চায় না কোনদিন।
রাস্তা ঘাটে মিষ্টির জন্য কোন প্রকার চাঁদা না দিয়ে। আমি ভাল পার করছি ।
ভাকুর্তায় যাওয়ার পথে ওয়াসপুরে নামে একগ্রামে আমি গরু দুধের সর খাই। চায়ের দোকানগুলো বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত মাঝে মাঝে আমি ইরান, রাশিয়া, কোরিয়া, ফিলিস্তিন, আমেরিকা, ভারত, পাকিস্তানের রাজনীতির আলাপ শুনি।
এই দোকানগুলোতে কেউ দেশের রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ নিয়ে আলোচনা করে না।
ওয়াসপুর গ্রামের কিছু অংশ বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এই বর্ষায় হয়ত আরো যাবে। কিন্তু তেমন একটা জোরালো প্রতিবাদ নেই। এই গ্রামে কয়েকশ একর কৃষকের জমি, নদী, খাল দখল করে নিয়েছে বর্তমান এক এমপি।
পাশের গ্রামগুলোতে এক মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে দখল শুরু করেছেন বছর তিন হল। ঢাকার পশ্চিম এই অংশের দখলের সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশ অনেকটাই নিষিদ্ধ।
সাংবাদিকরা চেষ্টা করলেও পত্রিকার মালিক পক্ষ এই দখলের সংবাদ প্রকাশ করতে পারেন না। ফোন যায়, উপর থেকে ফোন।
তাই দিন কয়েক রোদে পুড়ে সংবাদকর্মী যে সংবাদ জমা দেয় তা চাপ পড়ে থাকে।
এত বড় শহর উপশহর কি করে গড়ে ওঠে অনুমোদন ছাড়াই। রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তর যে অসহায়। তাদের অভিযোগ দেওয়ার কোন কারণ নেই। শুধু শুধু থানা পুলিশকে অভিযোগ দিয়ে লাভ নেই। এটা তাদের দায়িত্ব নয়।
গত তিন বছর আসা যাওয়ার পথে আমি কম চিনির রসমলাই খেয়ে ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে প্রার্থনা করি। একটা প্রলয় হোক মহাপ্রলয়।
ঢাকা রক্ষায় এই প্রলয় ছাড়া বোধ হয় কোন বিকল্প নেই। যেখানে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রশাসন, আইন, আদালত সব থমকে গেছে কয়েকজনের কাছে।
তখন আমার সাথে আপনি প্রার্থনা করুন।
হে বুড়িগঙ্গা জেগে ওঠো, জেগে ওঠো বালু,বংশী, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ভেঙ্গে দাও সবকিছু। লাখো মানুষ, কোটি মানুষের মৃত্যু হোক। তারপরও আগামী প্রজন্ম একটা সচ্ছ পানির নদী ফিরে পাক, গ্রামের কৃষক, সাধারণ মানুষগুলো মুক্তি পাক।
সুযোগ পেলেই ভাকুর্তার আবুল ভাইয়ের কম চিনির রসমাইল খান। আর ঘরে ঘরে শান্তিবাদী প্রার্থনা করেন। কোন মিটিং, মিছিল নয়।
ধ্বংসের প্রার্থনা। আচ্ছা আমি যদি মিছিলে না গিয়ে ঘরে বসে ধ্বংসের প্রার্থনা করি তাহলে কি কেউ মামলা করার ক্ষমতা রাখেন?
দখলদার যতই শক্তিশালী হোক প্রার্থনা করুন।
গণমাধ্যমে ফোনে বন্ধ থাকে সংবাদ প্রকাশ। থাকুক।
মৃদু হলেও প্রতিবাদ করুন।
১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হ্যাঁ হাতুড়ির ভয় তো থাকবে তারপরও প্রতিবাদ হোক
২| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৯
সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক !!
১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: হ্যাঁ
৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ছোট দেশ যে যেভাবে পারছে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে, খেয়েও শান্তি পাচ্ছেনা, সবাই পুরোটা খেতে চায়।
১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: রুখতে হবে।
৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিবাদের জন্য সাহস দরকার। সাহস আসে সচ্চরিত্র থেকে।
১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আমাদের সাহসী হতেই হবে
৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন ,
আপনার সাথে প্রার্থনা করছি ---
হে বুড়িগঙ্গা জেগে ওঠো, জেগে ওঠো বালু,বংশী, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ভেঙ্গে দাও সবকিছু। লাখো মানুষ, কোটি মানুষের মৃত্যু হোক। তারপরও আগামী প্রজন্ম একটা সচ্ছ পানির নদী ফিরে পাক, গ্রামের কৃষক, সাধারণ মানুষগুলো মুক্তি পাক।
১০ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪২
সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন বলেছেন: আসুন প্রার্থনা করি
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিবাদ করতে গেলে হাতুড়ি দিয়ে হাড় ভেঙ্গে দিবে।