নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাবুই পাখি

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৬



বাবুই পাখিরে ডাকি বলিছে চড়াই/কুঁড়েঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই/আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে/তুমি কত কষ্ট পাও রোদ বৃষ্টি ঝড়ে/বাবুই হাসিয়া কহে সন্দেহ কি তায়?/কষ্ট পাই তবু থাকি নিজের বাসায়। এটি রজনীকান্ত সেনের বিখ্যাত ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতার চিরচেনা কয়েকটি লাইন।



বর্তমানে যেমন তাল জাতীয় গাছ হারিয়ে যাচ্ছে তেমন হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখিও। বাবুই পাখি ও এর শৈল্পিক নিদর্শনকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের সবার উদ্দ্যেগ নিতে হবে। বাবুই পাখির চোখ জুরানো বাসা এখন আর চোখে পড়ে না। ছোট হলেও বুদ্ধিতে সব পাখিকে হার মানায়।



খড়ের ফালি, ধানের পাতা, তালের কচি পাতা, ঝাউ ও কাশবনের লতাপাতা দিয়ে উঁচু তালগাছে চমৎকার আকৃতির বাসা তৈরি করত ছোট্ট বুদ্ধিমান বাবুই পাখিরা। ঠোঁট দিয়ে ঘাসের আস্তরণ ছড়ায়। পেট দিয়ে ঘসে গোল অবয়ব মসৃণ করে। শুরুতে দুটি নিম্নমুখী গর্ত থাকে। পরে এক দিকে বন্ধ করে ডিম রাখার জায়গা হয়। অন্য দিকে লম্বা করে প্রবেশ ও প্রস্থান পথ তৈরি করে বাবুই পাখির বাসা যেমন দৃষ্টিনন্দন তেমনি মজবুত।



মাঝে-মধ্যে খেজুর কিংবা নারিকেল গাছের শাখাতেও এরা বাসা বাঁধে। মেধাবী বলেই এরা সুন্দর বাসা বোনে। প্রবল ঝড়ে বাতাসে টিকে থাকে তাদের বাসা। বাবুই পাখির মুক্ত বুননের এ বাসা টেনেও ছেঁড়া কঠিন। বাবুই একধারে শিল্পী, স্থাপতি এবং সামাজিক বন্ধনের প্রতিচ্ছবি।



এরা এক বাসা থেকে আরেক বাসায় যায় পছন্দের সঙ্গী খুঁজতে। সঙ্গী পছন্দ হলে স্ত্রী বাবুইকে সঙ্গী বানানোর জন্য খালবিল ও ডোবায় গোসল করে ফুর্তিতে নেচে নেচে বেড়ায় গাছের ডালে ডালে। এরপর উঁচু তালগাছ, নারিকেল বা সুপারি গাছের ডালে বাসা তৈরির কাজ শুরু করে। স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরণা পেয়ে পুরুষ বাবুই খুবই শিল্পসম্মতভাবে নিপুণ বাসা তৈরি করে।



পুরুষ বাবুই পাখি কেবল বাসা তৈরি করে। স্ত্রী বাবুই ডিম দেয়ার সঙ্গেই পুরুষ বাবুই খুঁজতেই থাকে আরেক সঙ্গীকে। পুরুষ বাবুই এক মৌসুমে ছয়টি পর্যন্ত বাসা তৈরি করতে পারে। অর্থ্যৎ এরা ঘর-সংসার করতে পারে ছয় সঙ্গীর সঙ্গেত, তাতে স্ত্রী বাবুইয়ের বাধা নেই। প্রজনন প্রক্রিয়ায় স্ত্রী বাবুই ডিমে তা দেয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে বাচ্চা ফোটে। আর তিন সপ্তাহ পর বাবুই বাচ্চা ছেড়ে উড়ে যায়।





জানা গেছে, সারা বিশ্বে বাবুই পাখির প্রজাতির সংখ্যা ১১৭। তবে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাসা দেখা যায়।দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান ছাড়া আর কোথাও নেই।

১ । দেশি বাবুই (Ploceus philippinus),

২ । দাগি বাবুই (Ploceus manyar)

৩। বাংলা বাবুই (Ploceus bengalensis)



বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়।



বাবুই খাবারের জন্য রাতের বেলা ঝাঁকবেঁধে নামে। এই সুযোগটাই নেয় শিকারিরা। তারা জাল পেতে রাখে। জালে আটকা পড়ে শত শত বাবুই। প্রতিটি পাখি থেকে ৫০ থেকে ১০০ গ্রাম মাংস পাওয়া যায়। সামান্য লোভের জন্য এভাবেই বাবুই পাখি শিকার চলছে।

কৃতজ্ঞতাঃ

http://en.wikipedia.org/wiki/Ploceidae

Click This Link

http://www.kishorgonj.com/?p=7614

Click This Link







মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

মাক্স বলেছেন: ছবিগুলো সুন্দর হৈছে!!!

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স ভায়া

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

অদৃশ্য বলেছেন:



ঠিক বলেছেন.... এই সুন্দর বাবুইরাও একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে....

মাঝের ছবিগুলো যেন বাবুই এর দুঃখ ছবি....

শুভকামনা রইলো...

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: ভাই প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে, মাঝে মাঝে ভাবি আমরা কেন বিলুপ্ত হচ্ছি না। ভাল থাকুন

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

শার্লক বলেছেন: ভাল লাগলো।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাই

৪| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

সিডির দোকান বলেছেন: ভালা অইছে রে.....

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

শের শায়রী বলেছেন: হাছা কইছেন তো

৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: ছবিগুলো চমৎকার। হ্যাঁ এই দুপেয়ে জীব তথা মনুষ্যকূলের সংখ্যাধিক্যের জন্য এই সুন্দর সৃস্টিগুলো ধ্বংশ হয়ে যাচ্ছে।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: বলতে পারেন আমরা কেন ধবংস হচ্ছিনা?

৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বাবুই নিয়ে অনেক কিছু জানলাম , ভালো লাগল অনেক ।২ য় ভালোলাগা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী ভাই

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভালো লাগা রেখে গেলাম ++++

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

শের শায়রী বলেছেন: আমার শুভেচ্ছা জেনে যাবেন।

৮| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: ভালা অইছে রে.....

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৬

শের শায়রী বলেছেন: আজকে আমাকে রিপোর্ট করতে হবে সিডির দোকানদার এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণার আইডি হ্যাক করছে ;) :) :D B-)

৯| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৭

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: ;) :) :D B-)

শুভ সকাল। কেমন আছেন?

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

শের শায়রী বলেছেন: শুভ সকাল, স্বর্না। এর থেকে ভাল খুব কমই থাকি আমি আজকে আমার বরিশাল (হোম টাউন) চলে এসেছি। আপনি ভাল আছেন তো?

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
ও। কেমন লাগছে? অনেক ছবি তুলেন, প্লিজ।

আমিও ভাল আছি। আর বাংলাদেশে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে অবশ্যই পোষ্ট দিবেন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: স্বর্না আমি এক মাস দেশে থাকি আর এক মাস বিদেশে থাকি, মানে এক মাস কাজ, এক মাস ছুটি, আমাদের জব এর ক্রাইটেরিয়াই এটা। ১৫ বছ র যাবত এই ভাবে দেশ বিদেশ কাজ করছি, তবে কি জানেন প্রতিবার মানে এক মাস পর পর যখন দেশে আসি স ব সময় ই ভাল লাগে। ভাল থাকুন সব সময়

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: ও B:-) B:-) B:-)

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: দেশে আসবেন নাকি শিঘ্রী?

১২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

নাঈম রেজা বলেছেন: আমরা বাবুই পাখি নিয়ে আনেক কবিতা, গান, পদ্য, গদ্য, গল্প, ছড়া ইত্যাদি লিখি কিন্তু কেউ তাকে বাচিয়ে রাখার চিন্তা করি না। তাই আসুন আমরা বাবুই পাখিকে বাচিয়ে রাখি।

http://niemreza.blogspot.com/2015/07/blog-post_15.html

২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই

১৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৩

নাঈম রেজা বলেছেন: বাবুই পাখিকে ঘিরে কবি রজনীকান্ত সেনের ‘স্বাধীনতার সুখ’ কবিতাটি আজও উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করে মানুষ। কবিতাটি তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বাংলা বিষয়ে পাঠ্য। আজও কবিতাটি উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করলেও হারিয়ে যেতে বসেছে বাবুই পাখি।

মানুষের মানবিক দিক জাগ্রত করতে কবি রজনীকান্ত সেন কবিতাটি লিখেন। কবিতাটি এরকম-

বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
“কুঁড়ে ঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পরে
তুমি কত কষ্ট পাও রোধ, বৃষ্টির, ঝড়ে।”
বাবুই হাসিয়া কহে, “সন্দেহ কি তাই?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরেরও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।”
কবিতাটি আজও মানুষের মুখে মুখে। কিন্তু হারিয়ে যাওয়ার পথে আজ বাবুই পাখির বাসা।
বাবুই চড়ুই সদৃশ পাখি। গাছের ঝুরির মতো চমৎকার বাসা বুনে বাস করায় এ পাখির পরিচিতি জগৎজোড়া। অনেকেই একে ‘তাঁতি পাখি’ও বলেন।
এখন থেকে ১৫-২০ বছর আগে গ্রামগঞ্জের তালগাছ, নারিকেল গাছ বা আখক্ষেতে ব্যাপকভাবে বাবুই পাখির বাসা চোখে পড়ত। বাবুই পাখির এসব বাসা শুধু শৈল্পিক নিদর্শনই ছিল না, মানুষের মনে চিন্তার খোরাক জোগাত, উৎসাহ যোগাত মানুষকে স্বাবলম্বী হতে।
সারাবিশ্বে বাবুই পাখির প্রজাতির সংখ্যা ১১৭টি। তবে বাংলাদেশে তিন প্রজাতির বাবুই পাখির বাস। বাবুই পাখির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো রাতের বেলায় ঘর আলোকিত করার জন্য এরা জোনাকি পোকা ধরে নিয়ে বাসায় রাখে এবং সকাল হলে আবার তাদের ছেড়ে দেয়। প্রজনন সময় ছাড়া অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী পাখির গায়ে কালো কালো দাগসহ পিঠ বর্ণের তামাটে হয়। নিচের দিকে কোনো দাগ থাকে না। ঠোঁট পুরো মোচাকৃতি, লেজ চৌকা।
তবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ পাখির রঙ হয় গাঢ় বাদামি। বুকের উপরের দিক হয় ফ্যাকাশে। অন্য সময় পুরুষ ও স্ত্রী বাবুই পাখির চাঁদি পিঠের পালকের মতোই বাদামি। বুকের কালো ডোরা ততটা স্পষ্ট নয়। প্রকট ভ্রূরেখা কানের পেছনে একটি ফোঁটা থাকে।
বাবুই পাখি সাধারণত তাল, খেজুর, নারিকেল ও আখেতে বাসা বাঁধে। ধান, চাল, গম ও পোকা-মাকড় প্রভূতি তাদের প্রধান খাবার।
এক সময় প্রচুর তাল, নারিকেল ও খেজুরগাছ ছিল। এসব গাছে বাসা বেঁধে বাবুই পাখি বসবাস করত। ফুটিয়ে তুলত শৈল্পিক নিদর্শন। বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ আর তাদের শৈল্পিক বাসা মানুষকে পুলকিত করত।
বর্তমানে গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার রাস্তার ধারে, বাড়ি ও পুকুর পারে সেই তালগাছ যেমন আর দেখা যায় না তেমনি দেখা মেলে না ছড়ার নায়ক বাবুই পাখিরও। গ্রামের মাঠের ধারে, পুকুর কিংবা নদীর পারে একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তালগাছ হারিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেছে আপন ঘর নির্মাণে ব্যস্ত শিল্পমনা বাবুই পাখির কিচিরমিচির শব্দ। এখন এসব দৃশ্য শুধুই কল্পনার বিষয়।
এসমব গাছ হারিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখিও, এমনটি মনে করেণ স্থানীয় প্রবীণ শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবকরা।
তাই বাবুই পাখি ও এর শৈল্পিক নিদর্শন টিকিয়ে রাখার জন্য দ্রুত সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়জন বলে মনে করেন তারা।

কিন্তু আমরা েএসেছি বাবুই পাখিকে ফিরিয়ে আনতে আমরা চাই তাদের জন্য বাসস্থান তৈরী করতে, তাই সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি! আমরা প্রাই 5000 তাল গাছ ও অন্য বৃক্ষ রোপন করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য এক সথে দুই। আমরা প্রথীবির সব থেকে দির্ঘতম তালের সারি ও বাবুই পাখির আবাস্থান গড়ে তুলব। প্রথিবীর প্রাণীদের মধে সব থেকে শৈল্পিক নিপুন কাজ একমাত্র বাবু্ই পাখি করে থাকে। এদের বাঁচাতে আপনিও আমাদের সাথে আসুন-01818655090

১৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

নাঈম রেজা বলেছেন: বগুড়ার নন্দীগ্রামে সিধইল রাস্তার দু'ধারে সারিবদ্ধ তালগাছ। তবে বাবুই পাখির দেখা নেই। তালগাছে বাসা বেঁধে আগের দিনের মত বাবুই পাখি আর চোখে পড়ে না। সূত্রমতে, আষাঢ় মাসের প্রায় অর্ধেক দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই উপজেলাজুড়ে দেখা গেছে তালের শাঁস বিক্রির ধুম। বিক্রি হয়েছে অত্যন্ত চড়া দামে। ক্লান্ত পথিকের রসনা তৃপ্ত আর আত্মাকে প্রশান্ত করে তালের শাঁস। এক সময় গ্রামাঞ্চল ও শহর বন্দরে তালের শাঁস খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না। রাস্তা-ঘাটে তালের শাঁস বিক্রি হতেও খুব একটা দেখা যায়নি। বড়বড় শহরে মাঝে মাঝে তালের দোকান থাকলেও মানুষ এই তালের শাঁসের দিকে খুব একটা ঝুঁকতো না। বিগত ২/৩ দশকে শহরের পরিধি ও স্কুল-কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন বন্য ফলফলাদির সাথে তালের শাঁস জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অাঁটি হিসেবে তালের শাঁসের মূল্য নির্ধারণ হয়ে থাকে। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগের দিনগুলোতে গ্রামাঞ্চলে সারিবদ্ধ তালগাছ ছিল। এখন আর নেই। কোনো কোনো গ্রামে শতশত তাল গাছের অস্তিত্ব ছিল। একটি সুউচ্চ তাল গাছ গ্রামের ঠিকানা নির্দেশ করতো। আমাদের শিল্প সাহিত্যেও তাল গাছ নিয়ে রচিত হয়েছে বহু সংখ্যক গল্প কবিতা। 'ওই দেখা যায় তাল গাছ, ওই আমাদের গাঁ। ওইখানেতে বাস করে কানা বগির ছা'। এখন অনেক গ্রাম রয়েছে যেসব গ্রামে আগের দিনেরমত তালগাছ আর দেখা যায় না। নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা, কালিশ, পুনাইল, বুড়ইল, মুরাদপুর, খেংশহরসহ বেশ কিছু গ্রামে তালগাছের সংখ্যা বেশি। পৌর শহরের ফোকপাল-সিধইল রাস্তার দু-ধারে সারিবদ্ধ তাল বৃক্ষের টানে বিকেলে শতশত তালগাছ প্রেমী মানুষ ওই রাস্তায় ছুটে আসে। তবে তালগাছের সারি থাকলেও দেখা মেলে না বাবুই পাখির। আগের দিনগুলোতে তালগাছের সারিবদ্ধতার মাঝে বাবুই পাখি উড়ে বেরিয়ে গুন-গুন করে গান গাইতো। সেই পাখির দেখা নেই। হারিয়ে যেতে বসেছে তালবৃক্ষে বাবুই পাখির বাসা।
তালগাছ ব্যবসায়ী আলহাজ ইয়াকুব আলী, হাসান আব্বাসী ও আব্দুল জলিল জানান, তালগাছ দিয়ে বসতবাড়ির ঘরের তীর, উয়া, পার তৈরি হয়। এক একটি গাছ বাজারে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার ক্রয় করে ছ'মিলে ফাঁড়াই করা হয়। পরে বসতবাড়ির ৯ হাত লম্বা একটি তীর বিক্রি হয় ৭০০ টাকা।
রেটিং দিন :
সুত্র: http://www.karatoa.com.bd/details.php…

১৫| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৪

নাঈম রেজা বলেছেন: বগুড়ার নন্দীগ্রামে সিধইল রাস্তার দু'ধারে সারিবদ্ধ তালগাছ। তবে বাবুই পাখির দেখা নেই। তালগাছে বাসা বেঁধে আগের দিনের মত বাবুই পাখি আর চোখে পড়ে না। সূত্রমতে, আষাঢ় মাসের প্রায় অর্ধেক দিন পেরিয়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই উপজেলাজুড়ে দেখা গেছে তালের শাঁস বিক্রির ধুম। বিক্রি হয়েছে অত্যন্ত চড়া দামে। ক্লান্ত পথিকের রসনা তৃপ্ত আর আত্মাকে প্রশান্ত করে তালের শাঁস। এক সময় গ্রামাঞ্চল ও শহর বন্দরে তালের শাঁস খুব একটা জনপ্রিয় ছিল না। রাস্তা-ঘাটে তালের শাঁস বিক্রি হতেও খুব একটা দেখা যায়নি। বড়বড় শহরে মাঝে মাঝে তালের দোকান থাকলেও মানুষ এই তালের শাঁসের দিকে খুব একটা ঝুঁকতো না। বিগত ২/৩ দশকে শহরের পরিধি ও স্কুল-কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন বন্য ফলফলাদির সাথে তালের শাঁস জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অাঁটি হিসেবে তালের শাঁসের মূল্য নির্ধারণ হয়ে থাকে। বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, আগের দিনগুলোতে গ্রামাঞ্চলে সারিবদ্ধ তালগাছ ছিল। এখন আর নেই। কোনো কোনো গ্রামে শতশত তাল গাছের অস্তিত্ব ছিল। একটি সুউচ্চ তাল গাছ গ্রামের ঠিকানা নির্দেশ করতো। আমাদের শিল্প সাহিত্যেও তাল গাছ নিয়ে রচিত হয়েছে বহু সংখ্যক গল্প কবিতা। 'ওই দেখা যায় তাল গাছ, ওই আমাদের গাঁ। ওইখানেতে বাস করে কানা বগির ছা'। এখন অনেক গ্রাম রয়েছে যেসব গ্রামে আগের দিনেরমত তালগাছ আর দেখা যায় না। নন্দীগ্রাম উপজেলার চাকলমা, কালিশ, পুনাইল, বুড়ইল, মুরাদপুর, খেংশহরসহ বেশ কিছু গ্রামে তালগাছের সংখ্যা বেশি। পৌর শহরের ফোকপাল-সিধইল রাস্তার দু-ধারে সারিবদ্ধ তাল বৃক্ষের টানে বিকেলে শতশত তালগাছ প্রেমী মানুষ ওই রাস্তায় ছুটে আসে। তবে তালগাছের সারি থাকলেও দেখা মেলে না বাবুই পাখির। আগের দিনগুলোতে তালগাছের সারিবদ্ধতার মাঝে বাবুই পাখি উড়ে বেরিয়ে গুন-গুন করে গান গাইতো। সেই পাখির দেখা নেই। হারিয়ে যেতে বসেছে তালবৃক্ষে বাবুই পাখির বাসা।
তালগাছ ব্যবসায়ী আলহাজ ইয়াকুব আলী, হাসান আব্বাসী ও আব্দুল জলিল জানান, তালগাছ দিয়ে বসতবাড়ির ঘরের তীর, উয়া, পার তৈরি হয়। এক একটি গাছ বাজারে ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকার ক্রয় করে ছ'মিলে ফাঁড়াই করা হয়। পরে বসতবাড়ির ৯ হাত লম্বা একটি তীর বিক্রি হয় ৭০০ টাকা।
রেটিং দিন :
সুত্র: http://www.karatoa.com.bd/details.php…

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.