নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাখির রাজা ঈগলের কথা

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৪



দক্ষিন আমেরিকার আমাযান অরন্যে হারপি ঈগলের বাস। একটি স্ত্রী হারপি তার বিশাল নখ দিয়ে ছয় কেজি ওজনের একটি স্লথ অনায়াসে তুলে নিয়ে আনায়াসে ৬০ ফুটের বেশি খাড়া ঊরে যেতে পারে। আমাদের উপমহাদেশের প্যালাসের সমুদ্র ঈগল ও প্রায় ছয় কেজি ওজ়ন নিয়ে অনায়াসে উরতে পারে। স্টালারের সমুদ্র ঈগল এর ওজন যদি ৯ কেজির কাছাকাছি হয় তবে অনায়াসে সে ৯ কেজ়ি ওজন বহন করে ঊড়ে যেতে পারে।



পৃথিবীতে যত ধরনের শিকারী পাখি আছে ঈগল তার অন্যতম। এরা প্রানী বিজ্ঞানের শ্রেনী বিন্যাস অনুসারে ‘ফ্যালকনিফরমিস’ বর্গের অন্তর্ভুক্ত। ঈগল দিনচর অর্থ্যাৎ এরা দিনের বেলা শিকার ধরে। সবমিলিয়ে স্বভাব ও বৈচিত্র অনু্যায়ী ঈগল মোটামুটি চারভাগে ভাগ করা যায়।

১। সি ও ফিশ ঈগল

২। স্নেক ও সারপেন্ট ঈগল

৩। হারপি ও ক্রেস্টেড ঈগল

৪। বুটেড ঈগল





১। সি ও ফিশ ঈগলঃ এক মাত্র দক্ষিন আমেরিকা ছাড়া গোটা দুনিয়ার আকাশ এর বিচরন ক্ষেত্র। নাম শুনেই বুজা যায় এদের এক মাত্র খাদ্য মাছ। কিন্ত মাছ ছাড়াও যে এরা কিছু খায়না এমন না কিন্তু, সুযোগ পেলে এরা কোন কিছু ছেড়ে কথা বলেনা। আফ্রিকার ফিশ ঈগলের ব্যাপার বড় আজব। নাছোড়বান্দার মত একনাগাড়ে ডাক্তে থাকে। এই জন্য এদের ভয়েস অভ আফ্রিকা বলা হয়।



২। স্নেক ও সারপেন্ট ঈগলঃ থাকে আফ্রিকা ও এশিয়ার বনভূমিতে। বুজতে অসুবিধা হয়না এদের নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে এদের খাদ্য স্বভাব। এদের অস্বাভাবিক তীক্ষ্ণ নজর আর শক্তিশালী পা দুটো থেকে কোন বিষধর সাপ ও রেহাই পায়না। পাদুটো হাটুর গোড়ালি থেকে পালক বিহীন হলেও ঘন আঁশে ঢাকা। পেটের দিকের পালকও বেশ পুরু। এ সব ব্যাবস্থা শুধু সাপের কামড় এড়ানোর জন্য।



৩। হারপি ও ক্রেস্টেড ঈগলঃ পৌরানিক পক্ষীকন্যা হারপির নাম অনুসারে এর নামকরন করা হয় হারপি ঈগল। পক্ষীরাজ্যে স্ত্রী হারপি যেন আস্লেই এক দানব। কারন এদের মত বলবান পাক্ষী আর কি আছে প্রকৃতিতে? এর পা দুটো বেশ মোটা কিছুটা মানব শিশুর হাতের মত। পায়ের আঙ্গুল গুলো লম্বা আর মোটা দেখলেই গা ছমছম করে ওঠে। বাদর, স্লথ ইত্যাদি প্রানী এদের দেখলেই পালাই পালাই করে। একটি হারপি ঈগল উড়ন্ত অবস্থায় একটুও না থেমে কিভাবে একটি স্লথ শীকার করে দেখলেই গায়ে কাটা দেবে।



৪। বুটেড ঈগলঃ এশিয়া, দক্ষিন আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকা জুড়ে বুটেড ঈগলের বিশাল সাম্রাজ্য। এরাই একমাত্র ঈগল যাদের পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত পশমে ঢাকা থাকে। দেখে মনে হয় গামবুট পরে আছে তাই এদের এই রকম নাম। সারা পৃথিবীতে নয় ধরনের বুটেড ঈগল দেখা যায়। ছোট ব্যঙ থেকে শুরু করে সবই এদের খাদ্য।



নিকোবর দ্বীপের মেগাপড পাখিকে সরিয়ে রাখলে পাথির জগতে ঈগলই সব থেকে বড় বাসা বানায়। বেশির ভাগ ঈগল একই বাসা বার বার ব্যবহার করে। বছরের পর বছর এই বাসা মেরামত করে চলতে থাকে দেখতে দেখতে বাসাটি এক প্রকান্ড আকার ধারন করে।



বেশির ভাগ ঈগল একটি বা দুটি ডিম দেয়। সাধারনত স্ত্রী ঈগল ডিমে “তা” দেয়। ৪৩ দিন ব ৪৯ দিন পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। আর তখনই বুটেড ঈগলের অনেক প্রজাতির মধ্যে অদ্ভুত সব ব্যাপার ঘটে। বাসায় যদি দুটি বাচ্চা থাকে তা হলে কেঊ কাউকে সহ্য করতে পারে না। তুমুল লড়াই চলে সবল শাবক দূর্বলকে হত্যা না করা পর্যন্ত লড়াই চলতে থাকে।



ঈগল সচারচর মানুশের শত্রু নয়। বরং সে কিছুটা বন্ধুর কাজ করে থাকে। এরা ইদুর, খরগোশ, প্রভৃতি ফসল বিনষ্টকারীদের খেয়ে ফসলের ক্ষতি রোধ করে। অন্যদিকে পচা গলা প্রানী খেয়ে প্রকৃতির ঊঠোন পরিস্কার রাখে। মানুষের অবিবেচকতায় আজ ফিলিপিন্সের “মাঙ্কি ঈগল” বিপন্নপ্রায় সারা জঙ্গল খুজেও এদের আর ১০০ র বেশি দেখা যাবেনা। “মাদাগাস্কার সারপেন্ট ঈগল” ৯১৫০ সালের পর আর দেখা যায় নি। আমদের দেশের “হিমালয়ান গোল্ডেন ঈগল” আজ বিপন্ন প্রানীর তালিকায়।



পূরান আর লোক কাহিণীতেও আছে ঈগলকে নিয়ে কত গল্প। রামায়নের জ়টায়ূ আর আরব্যরজনীর রক পাখি কিন্ত ঈগলের ভিন্ন রূপ। রোমান দেবরাজ জুপিটারের সাথে ঈগলের সম্প র্ক নাকি নিবিড়। হ্যাইডাস, ক্কাকুইটল, টসিমশিয়ান উপজাতির কাছে ঈগল কিন্ত অত্যান্ত পবিত্র প্রানী। আরবরা ঈগল পোষে শিকার ধরার জন্য। তবে যেই যা বলুক না কেন আমার কাছে ঈগল হল পাখির রাজা।



মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২৫

জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক কথা জানলাম।ঈগল ছোট্টবেলা থেকেই খুব চেনা অথচ চিড়িয়াখানা ছাড়া কোথাও দেখিনি।ইদুরছানা ভয় মরে/ঈগলপাখি পাছে ধরে---ভালো লাগল খুব!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ জয়তি

২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

সুখী চোর বলেছেন: ঈগল, আসলেই অসাধারন একটা পাখি।
সুন্দর লিখেছেন++++

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

কামরুল ইসলাম (সুমন) বলেছেন: ঈগল সম্পর্কে বেশ কিছু জানতাম না। অনেক নতুন কিছু জানলাম ধন্যবাদ।
+++

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: পিলাচ নেন!

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ সহকারে নিলাম।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

তারছেড়া লিমন বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন ভাই......

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৩

শের শায়রী বলেছেন: ভাল থাকবেন ভাই

৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

বরাবরের মতই পোস্টে ভাল্লাগা রইল

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

শের শায়রী বলেছেন: কান্ডারী ব্রো আমার এই পর্যন্ত আসার পিছনে আপানার যে কতখানি অবদান আছে আপনি নিজেও জানেন না। আমার কৃতজ্ঞতা নিন

৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

মামুন (১০৮) বলেছেন: ঈগল নিয়ে অনেক কিছু জানলাম।

ঈগলের শেয়াল শিকারের একটি ভিডিও
View this link

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০২

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

ল্যুদমিলা বলেছেন: আবার প্রিয়তে!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৯

শের শায়রী বলেছেন: এ আমার বিরাট সৌভাগ্য ল্যুদমিলা। ধন্যবাদ

১০| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৯

ল্যুদমিলা বলেছেন: ল্যুদমিলার একটা পাবলিক পরীক্ষার সিট পড়েছিলো মহাখালির ওদিকে । ওখানে গেটের মাথায় ঈগল পাখির মূর্তি আছে একটা । পরীক্ষা দিতে যাবার সময় সে রোজ পাখিটা দেখতো আর ভাবতো ,"এটা কি বানাইসে? ঈগল পাখির পা এতো মোটা হয় নাকী? দেখে মনে হয় হাতির পা!! " :-* :-P :-P

এত্তোদিন পর এই লেখাটা পড়ে ল্যুদমিলা জানতে পারলো , আসলে ওটার মডেল ছিলো হারপি ঈগল। এ কারণেই এতো ভোম্বা পা ! :-B =p~

ধন্যবাদ আপনাকেও!

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

শের শায়রী বলেছেন: স্বার্থক সামান্য হলেও আপনার কৌতুহল নিবৃত করতে পারছি দেখে।

১১| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

ল্যুদমিলা বলেছেন: একটু অফটপিক : ভাইয়া ঢাবিতে কোন ডিপার্টমেন্টে ছিলেন? মাস্টার্স করছেন কবে??

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২২

শের শায়রী বলেছেন: আমি জিওলজিতে ছিলাম ভাইয়া। ১৯৯৭ তে বের হয়েছি। এখন জব করি ড্রিলিং রিগে। এই পোষ্ট দুটো দেখলে একটা আইডিয়া হবে আমার নেচার অভ জব সম্পর্কে
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
ভাল থাকবেন।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩০

ল্যুদমিলা বলেছেন: *করেছেন

১৩| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

লাবনী আক্তার বলেছেন: পোস্ট ভালো লাগল।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ বোন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.