নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক পাতায় বাংলার শ্রেষ্ট প্রেমের কবিতা

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:০০



অভিশাপ

কাজী নজরুল ইসলাম

যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে,

অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে -

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

ছবি আমার বুকে বেঁধে

পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে

ফিরবে মরু কানন গিরি,

সাগর আকাশ বাতাস চিরি'

যেদিন আমায় খুঁজবে -

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

স্বপন ভেঙে নিশুত্ রাতে জাগবে হঠাৎ চমকে,

কাহার যেন চেনা-ছোওয়ায় উঠবে ও-বুক ছমকে, -

জাগবে হঠাৎ চমকে!

ভাববে বুঝি আমিই এসে

ব'সনু বুকের কোলটি ঘেঁষে,

ধরতে গিয়ে দেখবে যখন

শূন্য শয্যা! মিথ্যা স্বপন!

বেদনাতে চোখ বুজবে -

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

গাইতে ব'সে কন্ঠ ছিড়ে আসবে যখন কান্না,

ব'লবে সবাই - "সেই যে পথিক, তার শেখানো গান না?"

আসবে ভেঙে কান্না!

প'ড়বে মনে আমার সোহাগ,

কন্ঠে তোমার কাঁদবে বেহাগ!

প'ড়বে মনে অনেক ফাঁকি

অশ্রু-হারা কঠিন আঁখি

ঘন ঘন মুছবে -

বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আবার যেদিন শিউলি ফুটে ভ'রবে তোমার অঙ্গন,

তুলতে সে-ফুল গাঁথতে মালা কাঁপবে তোমার কঙ্কণ -

কাঁদবে কুটীর-অঙ্গন!

শিউলি ঢাকা মোর সমাধি

প'ড়বে মনে, উঠবে কাঁদি'!

বুকের মালা ক'রবে জ্বালা

চোখের জলে সেদিন বালা

মুখের হাসি ঘুচবে -

বুঝবে সেদিন বুঝবে!







প্রস্থান

--হেলাল হাফিজ



এখন তুমি কোথায় আছো কেমন আছো, পএ দিও

এক বিকেলে মেলায় কেনা খামখেয়ালীর তাল পাখাটা

খুব নিশীথে তোমার হাতে কেমন আছে, পএ দিও।

ক্যালেন্ডারের কোন পাতাটা আমার মতো খুব ব্যথিত

ডাগর চোখে তাকিয়ে থাকে তোমার দিকে, পএ দিও।

কোন কথাটা অষ্টপ্রহর কেবল বাজে মনের কানে

কোন স্মৃতিটা উস্কানি দেয় ভাসতে বলে প্রেমের বানে

পত্র দিও, পত্র দিও।



আর না হলে যত্ন করে ভুলেই যেও, আপত্তি নেই।

গিয়ে থাকলে আমার গেছে, কার কী তাতে?

আমি না হয় ভালবাসেই ভুল করেছি ভুল করেছি,

নষ্ট ফুলের পরাগ মেখে

পাঁচ দুপুরে নির্জনতা খুন করেছি, কি আসে যায়?

এক জীবনে কতোটা আর নষ্ট হবে,

এক মানবী কতোটা বা কষ্ট দেবে





প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী

--আবুল হাসান



অতো বড় চোখ নিয়ে, অতো বড় খোঁপা নিয়ে

অতো বড় দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস নিয়ে

যতো তুমি মেলে দাও কোমরের কোমল সারশ

যতো তুমি খুলে দাও ঘরের পাহারা

যতো আনো ও-আঙ্গুলে অবৈধ ইশারা

যতো না জাগাও তুমি ফুলের সুরভী

আঁচলে আগলা করো কোমলতা, অন্ধকার

মাটি থেকে মৌনতার ময়ূর নাচাও কোন

আমি ফিরব না আর, আমি কোনদিন

কারো প্রেমিক হবো না; প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী চাই আজ

আমি সব প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হবো।





নিঃসঙ্গতা

আবুল হাসান



অতোটুকু চায় নি বালিকা!

অতো শোভা, অতো স্বাধীনতা!

চেয়েছিলো আরো কিছু কম,



আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে

বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলো

মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!



অতোটুকু চায় নি বালিকা!

অতো হৈ রৈ লোক, অতো ভিড়, অতো সমাগম!

চেয়েছিলো আরো কিছু কম!



একটি জলের খনি

তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিলো



একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!







আকাঙ্খা

--আবুল হাসান



তুমি কি আমার আকাশ হবে?

মেঘ হয়ে যাকে সাজাব

আমার মনের মত করে ।



তুমি কি আমার নদী হবে?

যার নিবিড় আলিঙ্গনে ধন্য হয়ে

তরী বেশে ভেসে যাব কোন অজানা গন্তব্যের পথে ।



তুমি কি আমার জোছনা হবে?

যার মায়াজালে বিভোর হয়ে

নিজেকে সঁপে দেব সকল বাস্তবতা ভুলে ।



তুমি কি আমার কবর হবে?

যেখানে শান্তির শীতল বাতাসে

বয়ে যাবে আমার চিরনিদ্রার অফুরন্ত প্রহর ।





প্রশ্ন

--আবুল হাসান



চোখ ভরে যে দেখতে চাও

রঞ্জন রশ্মিটা চেনো তো?

বুক ভরে যে শ্বাস নিতে চাও

জানো তো অক্সিজেনের পরিমাণটা কত?

এত যে কাছে আসতে চাও

কতটুকু সংযম আছে তোমার?

এত যে ভালোবাসতে চাও

তার কতটুকু উত্তাপ সইতে পারবে তুমি?







কথোপকথন --৪

--পুর্ণেন্দু পত্রী



- যে কোন একটা ফুলের নাম বল

- দুঃখ ।

- যে কোন একটা নদীর নাম বল

- বেদনা ।

- যে কোন একটা গাছের নাম বল

- দীর্ঘশ্বাস ।

- যে কোন একটা নক্ষত্রের নাম বল

- অশ্রু ।

- এবার আমি তোমার ভবিষ্যত বলে দিতে পারি ।

- বলো ।

- খুব সুখী হবে জীবনে ।

শ্বেত পাথরে পা ।

সোনার পালঙ্কে গা ।

এগুতে সাতমহল

পিছোতে সাতমহল ।

ঝর্ণার জলে স্নান

ফোয়ারার জলে কুলকুচি ।

তুমি বলবে, সাজবো ।

বাগানে মালিণীরা গাঁথবে মালা

ঘরে দাসিরা বাটবে চন্দন ।

তুমি বলবে, ঘুমবো ।

অমনি গাছে গাছে পাখোয়াজ তানপুরা,

অমনি জোৎস্নার ভিতরে এক লক্ষ নর্তকী ।

সুখের নাগর দোলায় এইভাবে অনেকদিন ।

তারপর

বুকের ডান পাঁজরে গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে

রক্তের রাঙ্গা মাটির পথে সুড়ঙ্গ কেটে কেটে

একটা সাপ

পায়ে বালুচরীর নকশা

নদীর বুকে ঝুঁকে-পড়া লাল গোধূলি তার চোখ

বিয়েবাড়ির ব্যাকুল নহবত তার হাসি,

দাঁতে মুক্তোর দানার মত বিষ,

পাকে পাকে জড়িয়ে ধরবে তোমাকে

যেন বটের শিকড়

মাটিকে ভেদ করে যার আলিঙ্গন ।

ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত হাসির রং হলুদ

ধীরে ধীরে তোমার সমস্ত গয়নায় শ্যাওলা

ধীরে ধীরে তোমার মখমল বিছানা

ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে, ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টিতে সাদা ।

- সেই সাপটা বুঝি তুমি ?

- না ।

- তবে ?

- স্মৃতি ।

বাসর ঘরে ঢুকার সময় যাকে ফেলে এসেছিলে

পোড়া ধুপের পাশে ।





সে

--জীবনানন্দ দাস



আমাকে সে নিয়েছিলো ডেকে;

বলেছিলোঃ 'এ নদীর জল

তোমার চোখের মত ম্লান বেতফল;

সব ক্লান্তি রক্তের থেকে

স্নিগ্ধ রাখছে পটভূমি;

এই নদী তুমি।'



'এর নাম ধানসিঁড়ি বুঝি?'

মাছরাঙাদের বললাম;

গভীর মেয়েটি এসে দিয়েছিলো নাম।

আজো আমি মেয়েটিকে খুঁজি;

জলের অপার সিঁড়ি বেয়ে

কোথায় যে চলে গেছে মেয়ে।



সময়ের অবিরল শাদা আর কালো

বনানীর বুক থেকে এসে

মাছ আর মন আর মাছরাঙাদের ভালোবেসে

ঢের আগে নারী এক - তবু চোখ ঝলসানো আলো

ভালোবেসে ষোলো আনা নাগরিক যদি

না হয়ে বরং হতো ধানসিঁড়ি নদী।



বনলতা সেন

--জীবনানন্দ দাশ



হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে,

সিংহল-সমুদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয়-সাগরে

অনেক ঘুরেছি আমি; বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগতে

সেখানে ছিলাম আমি; আরও দূর অন্ধকারে বিদর্ভ নগরে;

আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারিদিকে জীবনের সমুদ্র সফেন,

আমারে দু-দন্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন ।



চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,

মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের পর

হাল ভেঙ্গে যে নাবিক হারায়েছে দিশা

সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,

তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'

পাখির নীড়ের মত চোখ তুলে নাটোরের বনলতা সেন।



সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মত

সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল;

পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পান্ডুলিপি করে আয়োজন

তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল;

সব পাখি ঘরে আসে - সব নদী - ফুরায় এ জীবনের সব লেনদেন;

থাকে শুধু অন্ধকার, মুখোমুখি বসিবার বনলতা সেন।







দোতলার ল্যন্ডিং মুখোমুখি ফ্ল্যাট। একজন সিঁড়িতে, একজন দরোজায়

--আহসান হাবীব



: আপনারা যাচ্ছেন বুঝি?

: চ’লে যাচ্ছি, মালপত্র উঠে গেছে সব।

: বছর দু’য়েক হ’লো, তাই নয়?

: তারো বেশি। আপনার ডাকনাম শানু, ভালো নাম?

: শাহানা, আপনার?

: মাবু।

: জানি।

: মাহবুব হোসেন। আপনি খুব ভালো সেলাই জানেন।

: কে বলেছে। আপনার তো অনার্স ফাইনাল, তাই নয়?

: এবার ফাইনাল

: ফিজিক্স-এ অনার্স।

: কি আশ্বর্য। আপনি কেন ছাড়লেন হঠাৎ?

: মা চান না। মানে ছেলেদের সঙ্গে ব’সে…

: সে যাক গে, পা সেরেছে?

: কি ক’রে জানলেন?

: এই আর কি। সেরে গেছে?

: ও কিছু না, প্যাসেজটা পিছল ছিলো মানে…

: সত্যি নয়। উঁচু থেকে পড়ে গিয়ে…

: ধ্যাৎ। খাবার টেবিলে রোজ মাকে অতো জ্বালানো কি ভালো?

: মা বলেছে?

: শুনতে পাই? বছর দুয়েক হ’লো, তাই নয়?

: তারো বেশি। আপনার টবের গাছে ফুল এসেছে?

: নেবেন? না থাক। রিকসা এলো, মা এলেন, যাই।

: যাই। আপনি সন্ধেবেলা ওভাবে পড়বেন না,

চোখ যাবে, যাই।

: হলুদ শার্টের মাঝখানে বোতাম নেই, লাগিয়ে নেবেন, যাই।

: যান, আপনার মা আসছেন। মা ডাকছেন, যাই।





তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা

--শহীদ কাদরী



ভয় নেই

আমি এমন ব্যবস্থা করবো যাতে সেনাবাহিনী

গোলাপের গুচ্ছ কাঁধে নিয়ে

মার্চপাস্ট করে চলে যাবে

এবং স্যালুট করবে

কেবল তোমাকে প্রিয়তমা।



ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো

বন-বাদাড় ডিঙ্গিয়ে

কাঁটা-তার, ব্যারিকেড পার হয়ে, অনেক রণাঙ্গনের স্মৃতি নিয়ে

আর্মার্ড-কারগুলো এসে দাঁড়াবে

ভায়োলিন বোঝাই করে

কেবল তোমার দোরগোড়ায় প্রিয়তমা।



ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো-

বি-৫২ আর মিগ-২১গুলো

মাথার ওপর গোঁ-গোঁ করবে

ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো

চকোলেট, টফি আর লজেন্সগুলো

প্যারাট্রুপারদের মতো ঝরে পড়বে

কেবল তোমার উঠোনে প্রিয়তমা।



ভয় নেই...আমি এমন ব্যবস্থা করবো

একজন কবি কমান্ড করবেন বঙ্গোপসাগরের সবগুলো রণতরী

এবং আসন্ন নির্বাচনে সমরমন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতায়

সবগুলো গণভোট পাবেন একজন প্রেমিক, প্রিয়তমা!



সংঘর্ষের সব সম্ভাবনা, ঠিক জেনো, শেষ হবে যাবে-

আমি এমন ব্যবস্থা করবো, একজন গায়ক

অনায়াসে বিরোধীদলের অধিনায়ক হয়ে যাবেন

সীমান্তের ট্রেঞ্চগুলোয় পাহারা দেবে সারাটা বৎসর

লাল নীল সোনালি মাছি-

ভালোবাসার চোরাচালান ছাড়া সবকিছু নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, প্রিয়তমা।



ভয় নেই আমি এমন ব্যবস্থা করবো মুদ্রাস্ফীতি কমে গিয়ে বেড়ে যাবে

শিল্পোত্তীর্ণ কবিতার সংখ্যা প্রতিদিন

আমি এমন ব্যবস্থা করবো গণরোষের বদলে

গণচুম্বনের ভয়ে

হন্তারকের হাত থেকে পড়ে যাবে ছুরি, প্রিয়তমা।



ভয় নেই,

আমি এমন ব্যবস্থা করবো

শীতের পার্কের ওপর বসন্তের সংগোপন আক্রমণের মতো

অ্যাকর্ডিয়ান বাজাতে-বাজাতে বিপ্লবীরা দাঁড়াবে শহরে,



ভয় নেই, আমি এমন ব্যবস্থা করবো

স্টেটব্যাংকে গিয়ে

গোলাপ কিম্বা চন্দ্রমল্লিকা ভাঙালে অন্তত চার লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে

একটি বেলফুল দিলে চারটি কার্ডিগান।

ভয় নেই, ভয় নেই

ভয় নেই,

আমি এমন ব্যবস্থা করবো

নৌ, বিমান আর পদাতিক বাহিনী

কেবল তোমাকেই চতুর্দিক থেকে ঘিরে-ঘিরে

নিশিদিন অভিবাদন করবে, প্রিয়তমা।





তুই কি আমার দুঃখ হবি?


--আনিসুল হক



তুই কি আমার দুঃখ হবি?

এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল

রুখো চুলে পথের ধুলো

চোখের নীচে কালো ছায়া

সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।



তুই কি আমার দুঃখ হবি?

তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?

মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?

তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর

নির্জনতা ভেঙে দিয়ে

ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে

ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?

একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা

কেমন যেন বিষাদ হবি?



তুই কি আমার শুন্য বুকে

দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?

নরম হাতের ছোঁয়া হবি?

একটুখানি কষ্ট দিবি,

নীচের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি?

একটুখানি কষ্ট দিবি

প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়

কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?

একটুখানি কষ্ট দিবি



তুই কি একা আমার হবি?

তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?





রাত্রি


অমিয় চক্রবরতি

অতন্দ্রিলা,

ঘুমোওনি জানি

তাই চুপি চুপি গাঢ় রাত্রে শুয়ে

বলি, শোনো,

সৌরতারা-ছাওয়া এই বিছানায়

—সূক্ষ্মজাল রাত্রির মশারি—

কত দীর্ঘ দুজনার গেলো সারাদিন,

আলাদা নিশ্বাসে—

এতক্ষণে ছায়া-ছায়া পাশে ছুঁই

কী আশ্চর্য দু-জনে দু-জনা—

অতন্দ্রিলা,

হঠাত্ কখন শুভ্র বিছানায় পড়ে জ্যোত্স্না,

দেখি তুমি নেই ||





যাত্রাভঙ্গ

নির্মলেন্দু গুন



হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে

মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না

এক কে করি দুই।



হেমের মাঝে শুই না যবে,

প্রেমের মাঝে শুই

তুই কেমন কর যাবি?

পা বাড়ালেই পায়ের ছায়া

আমাকেই তুই পাবি।



তবুও তুই বলিস যদি যাই,

দেখবি তোর সমুখে পথ নাই।



তখন আমি একটু ছোঁব

হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর

বিদায় দুটি পায়ে,

তুই উঠবি আমার নায়ে,

আমার বৈতরণী নায়ে।



নায়ের মাঝে বসবো বটে,

না-এর মাঝে শোবো,

হাত দিয়েতো ছোঁব না মুখ

দুঃখ দিয়ে ছোঁব।







প্রেমিক

জয় গোস্বামী

তুমি আমাকে মেঘ ডাকবার যে বইটা দিয়েছিলে একদিন

আজ খুলতেই দেখি তার মধ্যে এক কোমর জল।

পরের পাতায় গিয়ে সে এক নদীর অংশ হয়ে দূরে বেঁকে

গেছে।

আমাকে তুমি উদ্ভিদ ভরা যে বইটা দিয়েছিলে

আজ সেখানে এক পা-ও এগোনো যাচ্ছে না, এত জঙ্গল।

গাছগুলো এত বড় হয়েছে যে মাটিতে আলো আসতে

দিচ্ছে না।



তুমি আমাকে ঝর্ণা শেখবার যে বইটা দিয়েছিলে

আজ সেখানে মস্ত এক জলপ্রপাত লাফিয়ে পড়ছে

সারাদিন।

এমনকি তোমার দেওয়া পেজ-মার্কের সাদা পালকটাও

যে বইতে রেখেছিলাম, সেখানে আজ

কত সব পাখি উড়ছে, বসছে, সাঁতার কাটছে।

তোমার দেওয়া সব বই এখন মরুভূমি আর পর্বতমালা,

সব বই আজ সূর্য, সব বই দিগন্ত …

অথচ আজকেই যে আমার লাইব্রেরি দেখতে আসছে বন্ধুরা

আমার পড়াশোনা আছে কিনা জানার জন্য! তাদের আমি

কী দেখাবো? তাদের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো আমি!







শেষের কবিতা



হে বন্ধু, বিদায়।

মোর লাগি করিয়ো না শোক-

আমার রয়েছে কর্ম, আমার রয়েছে বিশ্বলোক।

মোর পাত্র রিক্ত হয় নাই,

শূন্যের করিব পূর্ণ, এই ব্রত বহিব সদাই।

উৎকন্ঠ আমার লাগি কেহ যদি প্রতীক্ষিয়া থাকে

সেই ধন্য করিবে আমাকে।

শুক্লপক্ষ হতে আনি

রজনীগন্ধার বৃন-খানি

যে পারে সাজাতে

অর্ঘ্যথালা কৃষ্ণপক্ষ রাতে,

যে আমারে দেখিবারে পায়

অসীম ক্ষমায়

ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি,

এবার পূজায় তারি আপনারে দিতে চাই বলি।

তোমারে যা দিয়েছিনু তার

পেয়েছে নিঃশেষ অধিকার।

হেথা মোর তিলে তিলে দান,

করুণ মুহুর্তগুলি গন্ডুষ ভরিয়া করে পান

হৃদয় অঞ্জলি হতে মম।

ওমো তুমি নিরুপম,

হে ঐশ্বর্য্যবান,

তোমারে যা দিয়েছিনু সে তোমারি দান;

গ্রহন করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।

হে বন্ধু বিদায়।



সত্যবদ্ধ অভিমান

--সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়



এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ

আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি ?

শেষ বিকেলের সেই ঝুল বারান্দায়

তার মুখে পড়েছিল দুর্দান্ত সাহসী এক আলো

যেন এক টেলিগ্রাম, মুহূর্তে উন্মুক্ত করে

নীরার সুষমা

চোখে ও ভুরুতে মেশা হাসি, নাকি অভ্রবিন্দু ?

তখন সে যুবতীকে খুকি বলে ডাকতে ইচ্ছে হয়--

আমি ডান হাত তুলি, পুরুষ পাঞ্জার দিকে

মনে মনে বলি,

যোগ্য হও, যোগ্য হয়ে ওঠো--

ছুঁয়ে দিই নীরার চিবুক

এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ

আমি কি এ হাতে আর কোনোদিন

পাপ করতে পারি ?



এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে , ভালোবাসি--

এই ওষ্ঠে আর কোনো মিথ্যে কি মানায় ?

সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মনে পড়ে ভীষণ জরুরী

কথাটাই বলা হয়নি

লঘু মরালীর মতো নারীটিকে নিয়ে যাবে বিদেশী বাতাস

আকস্মিক ভূমিকম্পে ভেঙ্গে যাবে সবগুলো সিঁড়ি

থমকে দাঁড়িয়ে আমি নীরার চোখের দিকে....

ভালোবাসা এক তীব্র অঙ্গীকার, যেন মায়াপাশ

সত্যবদ্ধ অভিমান--চোখ জ্বালা করে ওঠে,

সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে

এই ওষ্ঠ বলেছে নীরাকে, ভালোবাসি--

এই ওষ্ঠে আর কোন মিথ্যে কি মানায় ?







যা চেয়েছি যা পাবো না


--সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়



যা চেয়েছি, যা পাবো না

-কী চাও আমার কাছে ?

-কিছু তো চাইনি আমি ।

-চাওনি তা ঠিক । তবু কেন

এমন ঝড়ের মতো ডাক দাও ?

-জানি না । ওদিকে দ্যাখো

রোদ্দুরে রুপোর মতো জল

তোমার চোখের মতো

দূরবর্তী নৌকো

চর্তুদিকে তোমাকেই দেখা

-সত্যি করে বলো, কবি, কী চাও আমার কাছে ?

-মনে হয় তুমি দেবী...

-আমি দেবী নই ।

-তুমি তো জানো না তুমি কে !

-কে আমি !

-তুমি সরস্বতী, শব্দটির মূল অর্থে

যদিও মানবী, তাই কাছাকাছি পাওয়া

মাঝে মাঝে নারী নামে ডাকি

-হাসি পায় শুনে । যখন যা মনে আসে

তাই বলো, ঠিক নয় ?

-অনেকটা ঠিক । যখন যা মনে আসে-

কেন মনে আসে ?

-কী চাও, বলো তো সত্যি ? কথা ঘুরিয়ো না

-আশীর্বাদ !

-আশীর্বাদ ? আমার, না সত্যি যিনি দেবী

-তুমিই তো সেই ! টেবিলের ঐ পাশে

ফিকে লাল শাড়ি

আঙ্গুলে ছোঁয়ানো থুতনি,

উঠে এসো

আশীর্বাদ দাও, মাথার ওপরে রাখো হাত

আশীর্বাদে আশীর্বাদে আমাকে পাগল করে তোলো

খিমচে ধরো চুল, আমার কপাল

নোখ দিয়ে চিরে দাও

-যথেষ্ট পাগল আছো ! আরও হতে চাও বুঝি ?

-তোমাকে দেখলেই শুধু এরকম, নয়তো কেমন

শান্তশিষ্ট

-না দেখাই ভালো তবে ! তাই নয় ?

-ভালো মন্দ জেনে শুনে যদি এ-জীবন

কাটাতুম

তবে সে-জীবন ছিল শালিকের, দোয়েলের

বনবিড়ালের কিংবা মহাত্মা গান্ধীর

ইরি ধানে, ধানের পোকার যে-জীবন

-যে জীবন মানুষের ?

-আমি কি মানুষ নাকি ? ছিলাম মানুষ বটে

তোমাকে দেখার আগে

-তুমি সোজাসুজি তাকাও চোখের দিকে

অনেকক্ষণ চেয়ে থাকো

পলক পড়ে না

কী দেখো অমন করে ?

-তোমার ভিতরে তুমি, শাড়ি-সজ্জা খুলে ফেললে

তুমি

তারা আড়ালে যে তুমি

-সে কি সত্যি আমি ? না তোমার নিজের কল্পনা

-শোন্ খুকী

-এই মাত্র দেবী বললে-

-একই কথা ! কল্পনা আধার যিনি, তিনি দেবী-

তুই সেই নীরা

তোর কাছে আশীর্বাদ চাই

-সে আর এমন কি শক্ত ? এক্ষুনি তা দিতে পারি

-তোমার অনেক আছে, কণা মাত্র দাও

-কী আছে আমার ? জানি না তো

-তুমি আছো, তুমি আছো, এর চেয়ে বড় সত্য নেই

-সিঁড়ির ওপরে সেই দেখা

তখন তো বলোনি কিছু ?

আমার নিঃসঙ্গ দিন, আমার অবেলা

আমারই নিজস্ব--শৈশবের হাওয়া শুধু জানে



-দেবে কি দুঃখের অংশভাগ ? আমি

ধনী হবো

-আমার তো দুঃখ নেই--দুঃখের চেয়েও

কোনো সুমহান আবিষ্টতা

আমাকে রয়েছে ঘিরে

তার কোনো ভাগ হয় না

আমার কী আছে আর, কী দেবো তোমাকে ?

-তুমি আছো, তুমি আছো, এর চেয়ে বড় সত্য নেই !

তুমি দেবী, ইচ্ছে হয় হাঁটু গেড়ে বসি

মাথায় তোমার করতল, আশীর্বাদ...

তবু সেখানেও শেষ নেই

কবি নয়, মুহূর্তে পুরুষ হয়ে উঠি

অস্থির দু'হাত

দশ আঙুলে আঁকড়ে ধরতে চায়

সিংহিনীর মতো ঐ যে তোমার কোমর

অবোধ শিশুর মতো মুখ ঘষে তোমার শরীরে

যেন কোনো গুপ্ত সংবাদের জন্য ছটফটানি

-পুরুষ দূরত্বে যাও, কবি কাছে এসো

তোমায় কী দিতে পারি ?

-কিছু নয় !

-অভিমান ?

-নাম দাও অভিমান !

-এটা কিন্তু বেশ ! যদি

অসুখের নাম দিই নির্বাসন

না-দেখার নাম দিই অনস্তিত্ব

দূরত্বের নাম দিই অভিমান ?

-কতটুকু দূরত্ব ? কী, মনে পড়ে ?

-কী করে ভাবলে যে ভুলবো ?

-তুমি এই যে বসে আছো, আঙুলে ছোঁয়ানো থুতনি

কপালে পড়েছে চূর্ণ চুল

পাড়ের নক্সায় ঢাকা পা

ওষ্ঠাগ্রে আসন্ন হাসি-

এই দৃশ্যে অমরত্ব

তুমি তো জানো না, নীরা,

আমার মৃত্যুর পরও এই ছবি থেকে যাবে ।

-সময় কি থেমে থাকবে ? কী চাও আমার কাছে ?

-মৃত্যু ?

-ছিঃ , বলতে নেই

-তবে স্নেহ ? আমি বড় স্নেহের কাঙাল

-পাওনি কি ?

-বুঝতে পারি না ঠিক । বয়স্ক পুরুষ যদি স্নেহ চায়

শরীরও সে চায়

তার গালে গাল চেপে দিতে পারো মধুর উত্তাপ ?

-ফের পাগলামি ?

-দেখা দাও ।

-আমিও তোমায় দেখতে চাই ।

-না !

-কেন ?

-বোলো না । কক্ষনো বোলো না আর এ কথা

আমি ভয় পাবো ।

এ শুধুই এক দিকের

আমি কে ? সামান্য, অতি নগণ্য, কেউ না

তুবি এত স্পর্ধা করে তোমার রূপের কাছে--

-তুমি কবি ?

-তা কি মনে থাকে ? বারবার ভুলে যাই

অবুঝ পুরুষ হয়ে কৃপাপ্রার্থী

-কী চাও আমার কাছে ?

-কিছু নয় । আমার দু'চোখে যদি ধুলো পড়ে

আঁচলের ভাপ দিয়ে মুছে দেবে ?

মন্তব্য ৭৬ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৭৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: কবিতা পারত পক্ষে পড়ি না ভাই :)
আশা করছি আপনার আর সব পোষ্টের মত এটাও অসাধারণ হয়েছে । গুড জব । কেরি অন ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৫

শের শায়রী বলেছেন: আমিও খুব একটা পড়িনা ব্রো, কিন্তু খুব অল্প সংখ্যক কবিতা আমার এই জীবনে দাগ কেটেছে, চেষ্টা করছি সেগুলোকে এক ফ্রেমে বন্দী করতে। আপনার সম্পূর্ন মন্তব্যটার জান্য আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভাল থাকবেন।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪

কাউসার রুশো বলেছেন: গ্রেট পোস্ট। সরাসরি প্রিয়তে

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯

শের শায়রী বলেছেন: চেষ্টা করছি পছন্দের কবিতা গুলোকে এক পাতায় আনতে। ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯

কা জী ন জ রু ল ই স লা ম বলেছেন: নজরুল চর্চা আশংকাজনকহারে কমে যাচ্ছে ।সচেতন হওয়া দরকার ।ধন্যবাদ ।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪২

শের শায়রী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

নেক্সাস বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

অদ্বিতীয়া আমি বলেছেন: বাহ , ভাইয়া সুন্দর পোস্ট । আপনার প্রতিটা পোস্টই সুন্দর ।

দ্রুত একবার পড়ে গেলাম ।পড়ে আবার পড়ব । ++++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০১

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ বহিন

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

হবেনা আমি খেলুম না, জীবনানন্দ দাশের সুরঞ্জনা কবিতা নাই কেন ?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫

শের শায়রী বলেছেন: ভাল কথা মনে করছেন, এখন লঞ্চে আছি, ইন্টারনেট স্পীড কম, কালকে যোগ করে দেব, এখন চলেন ভাই খেলি

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

ইখতামিন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

রুদ্রনীল আর নীলকষ্ট বলেছেন: অসাধারণ। প্রিয়তে নিলাম।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

শায়মা বলেছেন: ১০০টা + ভাইয়া।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ বহিন

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২২

শব্দহীন জোছনা বলেছেন:


সুন্দর সুন্দর...


১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: সোজা প্রিয়তে

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: আনন্দ। আনন্দ।

১২| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

১৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪৫

ফ্রাস্ট্রেটেড বলেছেন: খুবই সুন্দর কালেকশন। ভাল লাগলো পড়ে

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ফ্রাস্ট্রেটেড।

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

শিব্বির আহমেদ বলেছেন: প্রিয়তে +

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ

১৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

অ্যামাটার বলেছেন: বিখ্যাত সব কবিদের মাঝে 'পু' আনিসুল হক বড্ড বেমানান!

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১

শের শায়রী বলেছেন: কেন ভাই? আর 'পু' মানে?

১৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৪

shfikul বলেছেন: +++

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১২

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো

১৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভাললাগা রাখলাম ...।।

+++++++++ সহ :)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: ভাল লাগা পেয়ে গেলাম জানবেন। চমৎকার প্রোপিক

১৮| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৬

অন্তহীন বালক বলেছেন: আরো সাহিত্য কালেকশন চাই...
+++++++++++++++++++

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৫

শের শায়রী বলেছেন: পেয়ে যাবেন ভাই

১৯| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

রাইসুল নয়ন বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ রাইসুল ভাই

২০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাই মাঝে মাঝে আবৃত্তি করি । এই কবিতা গুলো অসাধারন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০১

শের শায়রী বলেছেন: নিজে পারিনা কিন্ত যখন শুনি কেউ আবৃতি পারে তার কাছে খুব শুন্তে ইচ্ছে করে। শুনাবেন ভাই?

২১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৪

তারছেড়া লিমন বলেছেন: অবশ্যই..................

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১২

শের শায়রী বলেছেন: ফেবুতে ফোন নাম্বার দিয়েন ভাই।

২২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:০৭

হাবিব কবি বলেছেন: ধন্যবাদ।

এক পাতায় ''বিশ্বের শ্রেষ্ট কবিতাগুলো'' পড়ুন-
Click This Link

২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

শের শায়রী বলেছেন: চমৎকার কাজ করেছেন। বেশ লাগল কবিতাগুলো

২৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

শাহীন ভূইঁয়া বলেছেন: লেখক ভাই ....যারা কবিতা পছন্দ করেন আমি তাদের শ্রদ্ধাকরি ভালোবাসি

২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৭

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা নিন

২৪| ২৬ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন:
অনেক ভাল লাগল। কেমন আছেন?

২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:০৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক যুগ পরে আপনাকে দেখলাম আপু। আমি একটু সমস্যায় আছি তাই কিছুটা অনিয়মিত। খুব শীঘ্রী আসব। আপনি কেমন আছেন? ভালো আছেন তো?

২৫| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

শাহেদ খান বলেছেন: চমৎকার পোস্ট ! অবশ্যই প্রিয়তে !

হেলাল হাফিজের কবিতায় "পএ দিও" স্থানে "পত্র দিও" হবে নিশ্চয়ই ! আর গুন-এর যাত্রাভঙ্গ কবিতাটা ২বার এসেছে !

খুব দারুণ একটা পোস্ট। অনেক অনেক ভাল লাগা আর শুভকামনা !

[পোস্ট-শেষের ছবিটা কার?]

২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১২

শের শায়রী বলেছেন: আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা নিন। ঠিক করে দিলাম।

২৬| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

নোমান নমি বলেছেন: এই পোষ্ট এত দেরীতে দেখলাম। প্রিয়তে নিয়ে ভুল শুধরালাম।

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আপনার ভাল লেগেছে নিজেকে ধন্য মনে হয়েছে।

২৭| ২৭ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

অচিন.... বলেছেন: কবিতা গুলো সংকলন করে এক পাতায় আনায় অনেক ধন্যবাদ। পোস্ট প্রিয়তে…

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ব্রো।

২৮| ২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় প্রিয় এবং প্রিয়তেই নিলাম :) :)

২৯ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন ভাইডি :) :)

২৯| ২৯ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

এক্সপেরিয়া বলেছেন: কবিতা পড়ি কম.... অনেক দিন পর ব্লগে আসায় ধন্যবাদ... কন্টিনিউ করবেন দয়া করে...

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৯

শের শায়রী বলেছেন: এই তো ভাই এসে গেছি

৩০| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:০৮

সায়েম মুন বলেছেন: আমার প্রিয় সাবজেক্ট এখন কবিতা। পোস্টটা প্রিয়তে নিলাম বস। আশা রাখি এখন দিনকাল ভাল যাচ্ছে। শুভকামনা থাকলো।

০৩ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩১

শের শায়রী বলেছেন: কেমন আছ সা্যেম?

৩১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম ।

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২২

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই

৩২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

অজানাবন্ধু বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম ।
অবসরে পড়ব ইনশাল্লহ।
আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক অনেক.................. ধন্যবাদ।

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন অজানা বন্ধু

৩৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৭

রাখালছেলে বলেছেন: স্বার্থক ...পোষ্ট স্বার্থক । আমাও কিছু প্রিয় কবিতা এই পোষ্টে পেয়ে গ্যালাম।

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা ভাই

৩৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭

তুষার আহাসান বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৪০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৩৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আদ্রিজা বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো।

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১২

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা

৩৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১২

দুরন্তু পথিক বলেছেন: awesome

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৯

উদাস কিশোর বলেছেন: চমত্‍কার একখানা পোষ্ট ।
প্রিয় কবিতা গুলো একসাথে পড়ে ভাল লাগলো

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩৮| ০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৪৫

নীরব হাসান মুননা ০০৭ বলেছেন: সব গুলো চমতকার কবিতা একসাথে পেয়ে খুবই ভালো লাগছে! ধন্যবাদ অনেক , যদিও অনেকদিন পরে!

০৫ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.