নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মা ও প্লানচেট

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২২



আত্মার অবিনশ্বরতার কথা সব ধর্মেই বলা আছে। মৃত্যুর পর আমদের আত্মা কোথায় যায়? এ প্রশ্ন আমার না যুগে যুগে সব মানুষের, মানুষ মাত্রই আত্মার অধিকারী। যুক্তি তর্কের মাপকাঠীতে আত্মাকে বর্ননা করা যায় না। আত্মা একবার সৃষ্টি হলে তা আর বিনষ্ট হয়না। তাই আত্মা নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজের কৌতুহল পিছিয়ে নাই।



বলা হয়ে থাকে জুন ১০, ১৮৫৩ সালে অ্যালান কারডেক নামে এক ফরাসী ব্যাক্তি সর্ব প্রথম আত্মাকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ডেকে আনার উপায় প্লানচেট আবিস্কার করেন।



কিভাবে প্লানচেট করবেন? একটা হার্ট শেপ কাঠের তিন মাথায় তিনটা হুইল থাকবে যেন বোর্ডটা গড়িয়ে চলতে পারে। বোর্ডের মাথায় একটা গর্ত থাকে যেখানে একটা পেন্সিল থাকবে একে ওইজ়া বোর্ডও বলা হয়। আর মিডিয়াম তার হাত বোর্ডের ওপর রেখে ধ্যান মগ্ন হলে আত্মা মি্ডিয়ামের ওপর ভর করে আর ওইজা বোর্ড গড়িয়ে চলতে থাকে বোর্ডের নীচে কাগজ়ে ফুটে ওঠে লেখা



আত্মা নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজের কৌতুহল ও পিছিয়ে থাকেনি তাই বিভিন্ন সময় ইউরোপ আমেরিকায় বিভিন্ন দেশে গঠিত হয়েছিল আত্মিক অনুসন্ধান কমিটি। ১৮৮২ সালে লন্ডনে যে আত্মিক সমিতি গঠিত হয়েছিল তার সভাপতি ছিলেন কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত প্রফেসর হেনরি সি জুইক, তার সহকারীদের মধ্যে ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী আর্থার জ়ে ব্যালফুর।



ভারতীয় আর্যরা আত্মা সন্মন্ধ্যে ব্যাপক আলোচনা করেছে কিন্তু তা পাশ্চাত্যের মত বিজ্ঞানমনস্ক দৃষ্টি ভঙ্গি নিয়ে না, আধ্যাতিক চিন্তার মধ্যেই ভারতীয়রা তাদের চিন্তা সীমাবদ্ধ রেখেছিল। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন সবাই প্লানচেট করতেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যাদের প্লানচেটের মাধ্যমে আনতেন তাদের মধ্যে ছিল তার কনিষ্ঠ পূত্র শমিন্দ্রনাথ, জোষ্ঠ কন্যা মাধুরীলতা, সত্যেন্দ্রনাথ প্রমূখ।



রবীন্দ্রনাথের প্রিয় মিডিয়াম ছিলেন উমা দেবী। উমাদেবীর উপর ভর করেই পরলোকের আত্মারা এ ধরায় আসতেন। কলমের খোচায় লিখে যেতেন পরোলৌকিক আত্মাদের বিভিন্ন কথা। ভীষন ভালবাসতেন রবীন্দ্রনাথ শমীন্দ্রনাথ কে। তাই বার বার ডাকতেন শমীন্দ্রর আত্মাকে।



ইংল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেক আগেই পরলোক চর্চা শুরু করে। আধ্যাতিক ভাবে অনেক আগে থেকে ভারতবর্ষে পরোলৌকিক চর্চা হয় কিন্তু বিজ্ঞান সন্মত ভাবে শুরু হয় ১৮৮০ সালে। নাম ছিল ‘ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েসন অভ স্পিরিচুয়ালিষ্ট’। জ়ে জ়ে মিউজেন্স এর সভাপতি ছিলেন আর সম্পাদক ছিলেন ইন্ডিয়া মিররের সম্পাদক নরেন্দ্র সেন।



যতদূর জ়ানা যায় বাংলাদেশে ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ‘আত্মিক অনুসন্ধান সমিতি’ গঠিত হয়, এর প্রসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডঃ এ্যান্ড্রু অলক দেওয়ারী।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪০

এম এম ইসলাম বলেছেন: আত্মাকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে ডেকে আনার উপায় প্লানচেট। বুঝলাম না। একটু বুঝিয়ে বলবেন?

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৩

শের শায়রী বলেছেন: কোন মন্ত্র তন্ত্র না গভীর ধ্যানের মাধ্যমে, এক ধরনের অটো সাজেশন, মিডিয়াম মানে যে কিনা আত্মাকে ডাকবে ধ্যান মগ্ন হয়ে একটা ওইজা বোর্ডে হাত রাখবে আর আত্মা তার ওপর ভর করে ওইজা বোর্ডের মাধমে আত্মা তার কথা লিখে যাওয়াকে বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্লানচেট বলা হয়েছে। ধন্যবাদ

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

সিরাজ সাঁই বলেছেন: রহস্যঘেরা আমার অতি প্রিয় একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ব্রো। প্রাপ্য প্লাস দিলাম। আমিও দুয়েক কথা হয়ত বলতে পারতাম, কিন্তু মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে গেলো।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডঃ এ্যান্ড্রু অলক কুমার দেওয়ারীর সাথে আমার আত্মার যোগাযোগ ছিল। তিন বছরের বড় ছিলেন আমার, নিজের ভাইয়ের মতো দেখতেন আমাকে, কাছে রাখতেন। সংবেদনশীল ও অভিমানী মানুষটির সঙ্গ আমার আমার ভালো লাগত।

অনেক গুন ছিল তাঁর। সারাক্ষণ কবিতা নিয়ে ভাবতেন, স্বভাব-কবি ছিলেন, সুন্দর হাতের লেখায় দেয়াল পত্রিকা লিখতেন। অলৌকিক আর অতীন্দ্রিয় বিষয়ে ভীষণ আগ্রহী ছিলেন, প্ল্যানচেট করতেন সুযোগ পেলেই। আমরা দুজনে মিলে একবার একটা প্ল্যানচেটের আসর করেছিলাম। কেউ আসেনি, তবে মোমবাতির আলোর কাঁপুনি দেখে আমি কিছুটা ভয় পেয়েছিলাম মনে আছে।

২০০২ এর পর থেকে তাঁর সাথে আর যোগাযোগ ছিল না। ২০০৮ এ অজানা কোনও কারনে অভিমানী মানুষটি আত্মহত্যা করেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১০

শের শায়রী বলেছেন: ডঃ এ্যান্ড্রু অলক কুমার এর বিদেহী আত্মা শান্তি পাক। ভাল থাকবেন ভাই। ভাল লাগল ডঃ এ্যান্ড্রু অলক কুমার এর ওপর কয়টি কথা শুনে।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৮

এক্সপেরিয়া বলেছেন: আমি মইরা গেলে আপনি আমার আত্মারে প্ল্যানচেট করে নিয়ে আইসেন ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫

শের শায়রী বলেছেন: মাফ চাই ভাই আমি ভুত লইয়া কারবার করি না। ভুত ডরাই

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমি এই ধরনের আত্মারে প্ল্যানচেট বিশ্বাস করিনা।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৪১

শের শায়রী বলেছেন: আমিও না ভাই

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪১

গাংচিল মন বলেছেন: প্লানচেট নিয়ে সত্যজিৎ রায় এর, মজার একটা গল্প আছে "প্রোফেসর শঙ্কু ও ভূত"

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: আচ্ছা! দেখিনি তো, কোথাও পেলে পড়ে দেখব। ধন্যবাদ

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১৪

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: এ নিয়ে তো ছবিও আছে। "তালাশ ২০১২"

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

শের শায়রী বলেছেন: দেখতে হবে তো যদিও আমি ছবি খুব একটা দেখি না। ধন্যবাদ ব্রো

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৩

আদম_ বলেছেন: এক্সপেরিয়া বলেছেন: আমি মইরা গেলে আপনি আমার আত্মারে প্ল্যানচেট করে নিয়ে আইসেন ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: ভুত লইয়া কারবার করি না ;)

৮| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২

তারছেড়া লিমন বলেছেন: প্ল্যানচেট ভয়পাই :| :| :| :| :|

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: ভয় নাই। পানি পড়া খাইয়ে দেব।

৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪১

কক্ষ পথের শেষ ইলেকট্রন বলেছেন: ট্রাই কইরা দেখুম কিনা ভাবতেছি।

০২ রা জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

শের শায়রী বলেছেন: দেখুন না এক বার আমাদের জানান কি পেলেন :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.