| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
শের শায়রী
	হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।
![]()
ঈভান আমার ভাই। শাহবাগ থেকে আসার সময় কার্জন হলের পাশে এক রাজাকার তাকে পথ আটকালো।
‘আসসালামুওলাইকুম। আপনার নাম কি ঈভান?’ খুব শান্ত ভাবে এক বর্ষীয়ান তাকে সালাম দেয়।
‘অলাইকুমআসসালাম। আপনাকে তো চিনতে পারলাম না’ ঈভান খুব শান্ত ভাবে উত্তর দেয়। সন্ধ্যা তখন নেমে  আসছে। আবছা আলো ছায়ায় কিছুটা দূরে দু একজন কে দেখা যাচ্ছে।
‘আমি জামাতের শহর কমিটির প্রচার সম্পাদক, আপনি কেন এই সবের মধ্যে আছেন? বাড়ীর ছেলে বাড়ী যান। বিভিন্ন ব্লগে আপানার লেখা আমাদের বিরুদ্ধে জনরোষ সৃষ্টি করছে, কেন করছেন’? খুব নির্বিকার ভাবে বলে উক্ত জামাত নেতা।
স্বাভাবিক ভাবেই ঈভান ভয় পেল। আশেপাশে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু মনে মনে রাগে গজরাচ্ছে। কি এত বড় সাহস এই প্রজন্ম চত্বরের পাশে কার্জন হলের গেটে আমাকে হুমকি দেয় জামাত?
‘শুনুন, আপনি মুরব্বী মানুষ আপনারা যে ভূল অতীতে করছেন সেই ভুল আর করবেন না। নিজেকে শুধরান’। ঈভান খুব আস্তে আস্তে উত্তর দেয়।
‘কি এত বড় কথা, শালা মালাউন’। বলে কোমড় থেকে বড় একখানা মাংস কাটার দাও বের করে রাজাকারটা। নিজেকে ধরে রাখতে পারে না ঈভান। একাত্তরে বাবা শহীদ হয়ে ছিল। আজ এক শহীদের সন্তানকে প্রজন্ম চত্বরের পাশে হুমকি। প্রচন্ড আক্রোশে ঝাপিয়ে পড়ে ঈভান রাজাকারটার ওপরে। রাজাকারে প্রচন্ড আর্ত চিৎকারে সন্ধ্যার অন্ধকার বিদীর্ন হয়ে যায়। হাতের কাছে আর কিছু না পেয়ে বড় একটা ইট দিয়ে মনের সমস্ত আক্রোশ মিটিয়ে ঈভান আঘাত করে রাজাকারটাকে। গোটা পাচ আঘাত করার পর নিস্তেজ হয়ে যায় রাজাকার টা।
ঈভান যেন বাস্তবে ফিরে আসে কি করলাম। এ আমি কি করলাম। আমি একটা মানূষ মেরে ফেললাম। প্রচন্ড কাপুনি চ লে আসে ঈভানের দেহে। আস্তে আস্তে এক জন দু জন করে মানূষ জমতে থাকে। চার পাশে। কে যেন মোবাইল থকে ফোন করে পুলিশে। হাত থেকে ইট পরে যায় ঈভানের।
আমি তখন প্রজন্ম চত্বরে বসে আছি সবার সাথে। আমার কানে কানে কে যেন ফিস ফিস করে বলল ঈভান কার্জন হলের কাছে এক রাজাকার মেরে ফেলছে। পুলিশ চলে আসছে।
বাতাসের আগে আমি চলে গেলাম কার্জন হলের গেটের কাছে। ঈভান কে জড়িয়ে ধরলাম। ‘ভাই আমার কোন ভয় নাই। যা হবার তা হয়েছে। কোন ভয় নাই, ফিস ফিস করে ঈভানের কানে কানে বললাম’।
আমাকে আমার ভাই জড়িয়ে ধরল। আমি ও ওকে শক্ত করে জ়ড়িয়ে ধরলাম। বললাম ‘ শোন ভাই, তুই পুলিশের কাছে কোন অবস্থাতেই বলবিনা তুই খুন করছিস, তুই শুধু বলবি এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে ওকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করছে। কি পারবি না’? আমি জড়িয় ধরি জোরে ঈভান কে।‘বল ভাই, বল শুধু এইটুকু বলবি আর কিছু না’।
পুলিশের গাড়ীর সাইরেন খুব কাছে চলে এসেছে। আমি ঈভান কে জড়িয়ে ধরে আবারো বললাম তুই পুলিশকে বলবি এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে ওকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করছে, মনে রাখিস শুধু এইটুকু বলবি এর বেশি কিছু না আমি তোকে কথা দিচ্ছি আমি তোকে বের করে নিয়ে আসব’।
ঝট করে আমাদের সামনে পুলিশের গাড়ী থামে। আসে পাশে তখন অসংখ্য মানূষ জমে গেছে। আমি ঈভানের কানে কানে শুধু ফিস ফিস করতে থাকি তুই শুধু বলবি এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে ওকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করছে, আর কিছু না। পুলিশ এসে ঈভানের হাতে কড়া পরায়। প্রায় আচ্ছন্নের মত ঈভান পুলিশের গাড়িতে ওঠে।
এই কেস টা বিরাট আলোড়ন তোলে কারন অনেক মানূষ ই আশে পাশে ছিল যখন ঈভান ঐ রাজাকার টা হত্যা করছিলো যদিও নিজ চোখে কেউ কিছু দেখেনি, কেউ কিছু শুনেনি শুধু রাজাকারটার আর্ত চিৎকার ছাড়া।
জামাত ভাবাপন্ন পত্রিকা একে বিরাট কাভারেজ দিল দেশে গৃহ যুদ্ধ লেগে গেছে এই বলে। ওরা এক বারো বললনা ওই হারামজাদা গেছিল এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কে হত্যা করতে।
যথারীতি কেস কোর্টে উঠল ঈভান আর ওর উকিল শুধু এক কথা বলছে এই হত্যা ঈভান করেনি করতে পারেনা, যে কিনা এক সামান্য চাকুরী করে। জীবনে কাউকে কোন গালিও দেয়নি হত্যা করছে এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে ওকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করছে।
দিন যায় ঈভান ধীরে ধীরে আমার ওপর আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না আমি বুজতে পারছি। রায়ের দিন ঘনিয়ে আসছে, আইন চলে আইনের গতিতে। রাজনীতিবিদদের অতীত ভুলের মাসুল টেনে আজ আর এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলে নিশ্চিত ফাসির দিকে এগিয়ে চলছে। রাজাকারদের ত খন ক্ষ মা আর রাজ নীতিতে পূর্নবাসন না  করলে আজ এরকম হতনা
রায়ের আর বেশী দেরী নেই। মাসখানেকের মধ্যে রায় হয়ে যাবে সবাই জানে রায় কি হবে। কেউ নিজের চোখে না দেখলেও পরিবেশ পরিস্থিতি বলে কে হত্যা করেছে সবার বুজতে বাকী নেই।
এই সময় পরিস্থিতি সম্পূর্ন ভিন্ন দিকে মোড় নিল। রায়ের ঠিক এক সপ্তাহ আগে জামাতের আর এক নেতা খুন হল তার বাসার সামনে। বাসার দারোয়ান সাক্ষ্য দিল এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে হঠাৎ আক্রমন করে ওই রাজাকার টাকে হত্যা করছে।
পেপারে বড় করে হেডিং হল। পরের দিন জামাতের আর এক নেতা চিহ্নিত রাজাকার খুন হল, রাস্তার এক পথচারী হলফ করে সাক্ষী দিল এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করছে।
সমস্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আবার নড়ে চড়ে বসল। মিছিল শুরু হল ঈভানের মুক্তির জন্য। ঈভান এই হত্যা করেনি, কারন ঈভান যা বলছে তাই সত্য। কোন এক পাগল এই হত্যা করছে। চারিদিকে ফিস ফাস শুরু হল, শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা আর সহ্য করতে পারছেনা তাদের সন্তানের ওপর এই রকম অবিচার।তাই তারা প্রতিশোধ নিতে শুরু করছে। শহরে ফিসফাস কানাকানি। রাজাকাররা দেশ ছাড়তে শুরু করছে।
কিন্তু কোন ক্ষমা নেই, পরের পাচ দিন আরো ৭ জন চিহ্নিত রাজাকার খুন হল বিভিন্ন ভাবে প্রতক্ষ্যদর্শীদের এক মাত্র বর্ননা এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে এদের খুন করছে।
রায় ঘোষনার দিন এসে গেল। ঈভান বেকসুর খালাস। আমি ও কে নিয়ে বাসায় আসলাম। জানলা দিয়ে আস্তে করে রক্ত মাখানো ইট আর দাতে রং করার সরঞ্জামাদি বাইরে ফেলে দিলাম। ঈভান আমার দিকে হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে থাকল।
‘ভাই, তুই আমার জন্য এত গুলো খুন করলি? ঈভানের মুখ থেকে অস্ফুটে বের হল।
হ্যা ভাই, আমি তোর ভাই না, তোর জন্য দরকার হলে আমি এই বাংলা রাজাকার শূন্য করে ফেলতাম। ওদের ভাগ্য তুই ছাড়া পেয়ে গেছিস।
‘ভাই,’ ঈভান আবার অস্ফুটে বলল।
‘হ্যা ভাইতো’…………
একটা ঘোরের মধ্যে আমি এই গল্প লিখছি। আমার এক ভাই কে আজ এক রাজাকার হুমকি দিছে এটা সত্য কিন্তু কাহিনীর সাথে কোন বাস্তবতার মিল নেই। আমার পঞ্চম গল্প। এ গল্প আমি উৎসর্গ করলাম কান্ডারী অথর্ব কে যার অনুপ্রেরনা না থাকলে আমি হয়ত গল্প লিখতাম না আর যাকে কিনা এক রাজাকার হুমকি দিয়েছে
 
ইচ্ছামৃত্যু   
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন।
২| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:২৭
রাফা বলেছেন: সেই ইভানের বড় ভাইকে্,   খুব বেশি প্রয়োজন এখন আমাদের।
ভালো হোয়েছে গল্প।
ধন্যবাদ ,শের শায়রি।
জয় বাংলা।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:৩৬
শের শায়রী বলেছেন: ঈভানের ভাইরা প্রস্তুত। অনেক ধন্যবাদ রাফা। আমরা প্রস্তুত।
জয় বাংলা।
৩| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:৩০
অপু চৌধুরী বলেছেন: ভালো লাগলো পড়ে। ধন্যবাদ । তবে আমি প্রথম খুনের পক্ষে না। মারবোনা তবে বিকলাঙ্গ করবো।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: ক্ষমা যেথা ক্ষীন দূর্বলতা হে রুদ্র নিষ্ঠুর যেন হতে পারি সেথা। অনেক ধন্যবাদ অপু।
৪| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:৩০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আফসোস ৪২ বছরেও দেশটাকে আমরা সম্পুর্ণরূপে স্বাধীন করতে পারলাম না।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৩১
শের শায়রী বলেছেন: ভাই এইবার দায় মোচন হবে ইনশাল্লাহ
৫| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:৩৭
মুনতাসীর রোমান বলেছেন: আমরা বলি একটা একটা শিবির ধর ,ধইরা ধইরা জবাই কর । আমরা পারিনা কিন্তু তারা জবাই করে দেখিয়ে দেয় । এক সময় পশুর দল হয়তো আমাদেরও পশুতে পরিনত করবে ।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৩৯
শের শায়রী বলেছেন: ক্ষমা যেথা ক্ষীন দূর্বলতা হে রুদ্র নিষ্ঠুর যেন হতে পারি সেথা।
৬| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সকাল ৭:২২
খুব সাধারন একজন বলেছেন:  ---ডিভাইড এন্ড রুল---
আমরা সত্যর পক্ষে আবেগের আন্দোলন করি অরা দেয় গুটির চাল। দাবা-পাশা খেলার কাছে আবেগ যেন না হারে।
রাজীব থাবা বাবা হওয়াতে মারা যায়নি। থাবা বাবা হওয়ায় মারা গেলে অনেক আগে যেত। সে মারা গেছে শাহবাগে যাওয়ায়। সে মারা গেছে বাংলাদেশে একাত্তর সালে যারা ৩০ লাখ খুন, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ, এখনো মুক্তিযুদ্ধাদের প্রকাশ্যে লাথি দেয়, গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয় আর একাত্তরের খুনীদের রক্ষা করতে প্রতিদিন আটশো কোটি টাকা গচ্চা দেয় হরতাল দিয়ে সেই জামাতির বিচার চাইতে গিয়ে।
রাজীব, রাজীবের জানাযার কথা ভোলেন। মূল প্রসঙ্গে আসো বাংলাদেশের মানুষ। রাজীব নাস্তিক এইজন্য খুন হয় নাই। রাজীব শাহবাগে যায় তাই খুন হয়েছে।
প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের পাঁচটি কর্তব্য। তার মধ্যে এক কর্তব্য হল, যখন কোন লাশ যায়, তার যা বিশ্বাসই হোক না কেন, সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াবে।
ওইক্ক চাই বলে ফেনা তুললে হবে না একতার কাজ করতে হবে। বাংলার মানুষ, দেশের মুখ রক্ষা কর। আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে। দশটা কথার জবাবে একটা কথা হলেও বল।
বাংলাদেশ সবার দেশ। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-নাস্তিক-বাংগালী-চাকমা-মারমা সবাই একাত্তুরে খুন হয়েছে পাকিস্তানিদের হাতে। মনে রেখ, তোমার শত্রু তোমাকে চেনে বাংগালী বাংলাদেশী হিসাবে, কিন্তু মুখে বলে, নাস্তিক-আওয়ামী
কয়দিন পরে বলবে, খুন হইসে ভাল হইসে, ওই পোলা সিগারেট খায়। জিন্সের পেন্ট পড়ে।
বাকিরা বলব, ঠিকই তো করসে সিগারেট খায় জিন্তের পেন্ট পরে ওরে খুন তো করবই। 
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৪০
শের শায়রী বলেছেন: ঐক্যবদ্ধের কোন বিকল্প নেই।
৭| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সকাল ৯:৪৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: 
পোস্ট প্রিয়তে নিলাম ভাই। মাথা নত করে লাল সালাম রইল আপনার প্রতি। 
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৪১
শের শায়রী বলেছেন: ভাই
৮| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১০:০৪
এক্সপেরিয়া বলেছেন: দেশকে রাজাকার মুক্ত করার জন্য লড়াইয়ে নেমেছি ।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৪২
শের শায়রী বলেছেন: সবাই এক থাকুন। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। আঘাত আসলে পালটা আঘাত হানুন।
৯| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১০:১৩
আরজু পনি  বলেছেন: 
রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৪৫
শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। ক্ষমা যেথা ক্ষীন দূর্বলতা হে রুদ্র নিষ্ঠুর যেন হতে পারি সেথা। এরপর আঘাত আসলে পালটা আঘাত চাই। আর আঘাত যদি করতেই হয় দুনিয়ার সব চেয়ে নিষ্ঠুর লোক হয়ে যেতে হবে।
১০| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১০:১৭
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অসাধারণ ++++++++ প্রিয়তে । 
ভালো থাকবেন ভাই । 
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: আপ্নিও ভাল থাকবেন ভ্রাতা
১১| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সকাল ১১:৪৮
ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন: শ্রদ্ধা নিবেন । প্রিয়তে রাখলাম ।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৪৭
শের শায়রী বলেছেন: ভাই দেখা হবে তো? অনেক ধন্যবাদ
১২| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৩০
খুব সাধারন একজন বলেছেন: কিছু উগ্র জামাতিও শ্রদ্ধা ভক্তি জানিয়ে গেল দেখি।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৫২
শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আর একটা কথা যেহেতু এখানে যারা এসেছে তাদের সবাইকে আমি ব্লগে অনেক আগে থেকে চিনি কেউ এখানে জামাতের গুন গান করে কিছু বলেনি। আপনাকে আমি আজকে পেলাম ( ক্ষমা করবেন যদি আগে এসে থাকেন) দয়া করে এখানে এসে কাউকে ট্যাগিং করবেন না। আমার যদি পছন্দ না হয় আমি সরাসরি বলব। আর আপনি যদি কাউকে ব্যাক্তিগত ভাবে চেনেন তা হলে তার সাথে ব্যক্তিগত ভাবে বলুন।
১৩| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৪১
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন: 
খুব ভাল লাগসে এ গল্পটা, ওয়েল ডান ||
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:৫৩
শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্রো
১৪| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:০৪
ফারহান ফারদিন বলেছেন: চমৎকার , এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। ইস এমনটা যদি বাস্তবে সম্ভব হত। আমাদের যদি থাকত একজন রবিন হুড, যে প্রতিদিন একটু একটু করে দেশে কমিয়ে ফেলত রাজাকারের সংখ্যা।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:১৩
শের শায়রী বলেছেন: সময়ের ডাকে কিন্ত রবিন হুডরা জন্ম গ্রহন করে। আমার কৃতজ্ঞতা নিন
১৫| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:১৬
অনীনদিতা বলেছেন: এমনটা যদি বাস্তবে সম্ভব হত![]()
+++
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:১৬
শের শায়রী বলেছেন: অসম্ভব কিন্তু না। দেয়ালে পিঠ ঠেকলে কিন্তু অনেক কিছু হতে পারে। অনেক ধন্যবাদ
১৬| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:২৩
লাবনী আক্তার বলেছেন: গল্প হলেও মনে হয়েছে বাস্তব। গল্পের ভেতরে চলে গিয়েছিলাম।! এরকম হলেত ভালই হত।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:২১
শের শায়রী বলেছেন: এ রকমই হবে। দেখবেন। অনেক কৃতজ্ঞতা
১৭| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:৩০
সায়েম মুন বলেছেন: এরকম হলে তো ভালই হতো। সুন্দর প্লট। ভাল লিখেছেন।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৩৩
শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মুন ভাই
১৮| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:৩৮
নিষিদ্ধ আমি বলেছেন: আপনার এ গল্পটা যেন সত্যি হয়.., 
শুভকামনা! 
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: ভাল থাকবেন নিষিদ্ধ আমি
১৯| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:৪০
শূন্য পথিক বলেছেন: এক আধা পাগল লোক যার সামনের দুই দাত নেই, এক পা ল্যাংড়া সে হঠাৎ তুই রাজাকার বলে ওকে ইট দিয়ে থেতলে হত্যা করছে।
এমন পাগল যদি সত্যি থাকতো 
 
 
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: আমি আত্মবিশ্বাসী এমন পাগল তৈরী হয়ে যাবে
২০| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:৪২
সিয়ন খান বলেছেন: অসাধারণ ++++
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:১১
শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন
২১| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ২:৪২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন: 
একাত্তরের মুক্তিসেনার যুদ্ধ আমি দেখি নাই
তবু মা তোর ধুলোর গন্ধে সংগ্রামের সে স্পর্শ পাই।।
মূহুর্তে তোর গায়ের সবুজ বুড়ে হলেও সূর্য লাল
তিরিশ লক্ষ প্রাণের দামে রক্তে ভেজে তোর কপাল
নির্যাতিতা ফিরছে ঘরে নিখোঁজ তাহার বাপ ও ভাই।।
মাগো যদি জন্ম নিতাম একাত্তরের আগে গো
সন্তানের সে ঋণ শোধাতাম আত্মাহুতির আগে গো
শহীদ হব তোরই বুকে এমন কপাল আমার নাই।।  
মৃত কবিদের কবিতার আসরে
ছবি হয়ে থাকেনা রাতের রাজপথ
পল্টন ময়দান টি এসসির মোড়
জনসমাবেশ আর বিশাল অবরোধ
এই অবসরে দেয়াল লেখা গুলো যদি মানচিত্র হয়ে যায় !
অজস্র কবিতায় জনসমাবেশ থেকে বুলেট কিংবা কবিতায় !
যদি ফেরার পথে ভুল হয়ে যায়।  
-------------------------------------------------
-------------------------------------------------
ব্যারিকেড বেয়নেট বেড়াজাল
পাকে পাকে তড়পায় সমকাল
মারীভয় সংশয় ত্রাসে
অতিকায় অজগর গ্রাসে
মানুষের কলিজা
ছেঁড়ে খোঁড়ে খাবলায়
খাবলায় নরপাল।
ঘুম নয় এই খাঁটি ক্রান্তি
ভাঙো ভাই খোঁয়ারির ক্লান্তি
হালখাতা বৈশাখে
শিস দেয় সৈনিক হরিয়াল।।
দুর্বার বন্যার তোড়জোড়
মুখরিত করে এই রাঙা ভোর
নায়ে ঠেলা মারো হেঁই এইবার
তোলো পাল তোলো পাল ধরো হাল।।
কড়া হাতে ধরে আছি কবিতার
হাতিয়ার কলমের তলোয়ার
সংগ্রামী ব্যালাডে
ডাক দেয় কমরেড কবিয়াল।।
--------------------------------------------------- 
--------------------------------------------------- 
জনতার সংগ্রাম চলবেই
আমাদের সংগ্রাম চলবেই
জনতার সংগ্রাম চলবেই।।
হতমানে অপমানে নয়, সুকগ সম্মানে
বাঁচবার অধিকার কাড়তে
দাস্যের নির্মোক কাড়তে
অগিণিত মানুষের প্রাণপণ যুদ্ধ
চলবেই চলবেই,
জনতার সংগ্রাম চলবেই।।
প্রতারণা প্রলোভন প্রলেপে
হোক না আঁধার নিশ্চিদ্র
আমরা তো সময়ের সারথী
নিশিদিন কাটাবো বিনিদ্র।
দিয়েছি তো শাস্তি আরও দেবো স্বস্তি
দিয়েছি তো সম্ভ্রম আরো দেবো অস্থি
প্রয়োজন হলে দেবো এক নদী রক্ত।
হোক না পথের বাধা প্রস্তর শক্ত
অবিরাম যাত্রার চির সংঘর্ষে
একদিন সে পাহাড় টলবেই
চলবেই চলবেই
জনতার সংগ্রাম চলবেই
আমাদের সংগ্রাম চলবেই।।
হতে পারি পথভ্রম আরও বিধ্বস্ত
ধিকৃত নয় তবু চিত্তে
আশায় তো সুস্থির লক্ষ্যের যাত্রী
চলবার আবেগেই তৃপ্ত।
আমাদের পথরেখা দুস্তর দুর্গম
সাথে তবু অগণিত সঙ্গী
বেদনার কোটি কোটি অংশী
আমাদের চোখে চোখে লেলিহান অগ্নি
সকল বিরোধ বিধ্বংসী।
এই কালো রাত্রির সুকঠিন অর্গল
কোনদিন আমরা যে ভাঙবোই
মুক্ত প্রাণের সাড়া জানবোই।
আমাদের শপথের প্রদীপ্ত স্বাক্ষরে
নুতন অগ্নিশিখা জ্বলবেই
জনতার সংগ্রাম চলবেই
আমাদের সংগ্রাম চলবেই।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:২৬
শের শায়রী বলেছেন: জনতার সংগ্রাম চলবেই
আমাদের সংগ্রাম চলবেই। 
২২| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৩:২২
htusar বলেছেন: খুব ভাল লেখসেন। শাহবাগে যখন থাকি, খুব ইছছা করে বারডেম যাইয়া গো আযম কে থেতলাই দেই। কিন্তু পারি না।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৮:১৮
শের শায়রী বলেছেন: আর যদি আমার কোন ভাই বা বোনের গায়ে হাত পরে ওই শুয়ারটার কোন ক্ষমা নাই। ভাল থাকবেন
২৩| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৩:৪২
এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ চাই।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৮:১৯
শের শায়রী বলেছেন: সহমত
২৪| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  সন্ধ্যা  ৬:১৮
ইখতামিন বলেছেন: 
গল্পে প্লাস +++++
আপনার গল্পগুলো অবশ্যই অনেক অনেক প্রশংসার যোগ্য.
রাজীব হন্তাদের ফাঁসি চাই।
রাজাকার মুক্ত বাংলা চাই।
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৮:১৯
শের শায়রী বলেছেন: রাজাকার মুক্ত বাংলা চাই।
২৫| 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৮:২২
এঞ্জেল বয় বলেছেন: 
চমৎকার লিখা গল্পটা ও ভাল লাগলো। ধন্যবাদ এমন লেখার জন্য। 
 
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৮:৩৪
শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন
২৬| 
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ১:৫৯
তারছেড়া লিমন বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবি দেশ আমাকে কি দিল.............যখন দেখি ৩৩০ জন ছাড়া দেশ আর কিছু দেয়নি......আজ নতুন করে ভাল লাগে দেশ আর কিছু না দিক আমাকে শাহাবাগ দিয়েছে...........আমাকে কিছু ভাল মনের তরুন বন্ধু দিয়েছে...............
 
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ২:০৩
শের শায়রী বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি দিলেন ভাই
২৭| 
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৩:৫৮
বন্ধুহারা বলেছেন: চমৎকার , এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম। ইস এমনটা যদি বাস্তবে সম্ভব হত।
 
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:১৬
শের শায়রী বলেছেন: গল্প কিন্ত কখন ও কখন ও সত্যি হয়
২৮| 
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:১৬
একজন আরমান বলেছেন: 
অসাধারণ 
 
১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৫:৪৯
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ব্রো
২৯| 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  দুপুর ১২:৫২
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: চমৎকার গল্প।
 
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  বিকাল ৪:০৯
শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ জাকারিয়া ভাই
৩০| 
১৯ শে মার্চ, ২০১৩  বিকাল ৫:৫৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া।
 
২০ শে মার্চ, ২০১৩  ভোর ৪:১৬
শের শায়রী বলেছেন: ভালো থাকুন ভাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩  রাত ৩:১৩
মো: আবু জাফর বলেছেন: কমেন্টস করার ভাষা নাই