নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসরাইলিয়দের ইতিহাস যেভাবে তাদের উৎপত্তি (প্রথম পর্ব)

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:০৮


Jacob wrestling with the angel - Wikipedia

ইসরাইলে (হিব্রু ভাষায় যার অর্থ ঈশ্বরের কাছে যিনি রাজপুত্র)। নামটি দেয়া হয়েছিল জ্যাকবকে যখন তিনি পেনিয়েলে এক দেবদুতের সাথে হাতাহাতি লড়াইয়ে অবতীর্ন হন (বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায়ে বর্নিত) সেখান থেকেই তার বংশধরদের নাম হয় ইসরাইলেয়।

মিশর উত্তর আফ্রিকার এক বিখ্যাত দেশ, হিব্রুরা একে বলত “মিজরাইন”, আরবরা বলত “মিজর” রোমানরা বলত ঈজিপ্টাস। এখান থেকেই নাম আসে ঈজিপ্ট। রামেসিসের পর মিশরের সিংহাসনে বসেন মেনেপ্টা। ঐতিহাসিকরা এ ব্যাপারে একমত এই মেনেপ্টার সময়ই ইজরাইলীদের দেশ ত্যাগের ঘটনা ঘটে। বর্তমান বিশ্বের আলোচিত এবং ইতিহাস সমৃদ্ধ এই জাতির জন্ম হয়েছিল উর নগর থেকে। যা ছিল আব্রাহামের জন্মস্থান।

আব্রাহাম ছিলেন শেম এর বংশধর এবং তেরাহ এর পুত্র। ১৯৯৬ খ্রীষ্ট্র পূর্বাব্দে তার জন্ম। ১৯২২ খ্রীষ্টপুর্বে তিনি রওনা দেন মেসোপটমিয়ার হারানের উদ্দেশ্যে। এটি হচ্ছে ইউফেট্রিসের উত্তর পূর্বাব্দে একটি জায়গা। তার সাথে ছিলেন তার পিতা, স্ত্রী সারাই, ভাই নাহর এবং ভ্রাতুষ্পুত্র লত যে ঘটনার কথা বাইবেলে উল্লেখ্যে আছে। স্ত্রী এবং ভ্রাতুষ্পুত্রকে নিয়ে নিয়ে তিনি প্রতিশ্রুত কেনানে প্রবেশ করেন। ভাইর ছেলে লতকে সডোম উপত্যাকার উর্বরভুমিতে বসবাসের অনুমতি দিয়ে তিনি নিজে “মামর” এ আসেন। যা বর্তমানে হেবরন নামে পরিচিত। এখানেই তার বংশ ধারা পঞ্চম প্রজন্ম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ধর্মিক স্বভাবের জন্য আব্রাহামকে সবাই ঈশ্বরের বন্ধু হিসাবে ডাকত।


Birth of Abraham

আব্রাহামের স্ত্রী সারাই ছিল বন্ধ্যা যার কারনে সন্তান জন্মদানের জন্য সারাই আব্রাহামের কাছে তার মিশরীয় দাসী হাজার কে পাঠান। ১৯১০ খ্রীষ্টপূর্বে তার গর্ভে জন্ম হয় ইশমায়েলের। এই খানে ঈশ্বর আব্রাহামকে খাতনা করার নির্দেশ দেন (ইহুদীদের মাঝে খাতনা করার প্রচলন এখনো আছে)। একই সাথে ঈশ্বর বন্ধ্যা সারাইয়ের গর্ভে সন্তান দেবার ঘোষনা দেন যার নাম ইসাক। ঐশ্বরিক প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সারাহের গর্ভে ১৮৯৬ খ্রীষ্টপূর্বে জন্ম নেয় ইসাক। আব্রাহামের বয়স তখন একশ পাচ বছর এবং সারাইয়ের পচানব্বই। সারাইয়ের মৃত্যুর পাচ বছর পর আব্রাহাম কেতুরাহ নামক এক নারীকে বিয়ে করেন। যার গর্ভে ছয়টি সন্তান হয়। একশ পচাত্তর বছর বয়সে ১৮২২ খ্রীষ্টপূর্বে আব্রাহাম মৃত্যুবরন করলে ইশমায়েল এবং ইশাক তাকে এফরনের মঠে মাকপেলাহ নামক গুহায় সমাহিত করেন।

চল্লিশ বছর বয়সে ইসাক রেবেকা নামক এক আত্মীয়াকে বিয়ে করেন যার গর্ভে যমজ সন্তান জন্ম লাভ করে এবং নাম হয় এসাউ এবং জ্যাকব। পরবর্তীতে জ্যাকবই ইসরাইল নামে পরিচিত হন। জ্যাকবের বারো ছেলের মাঝে একজন ছিলেন জোসেফ যার জন্ম ১৭৪৫ খ্রীষ্টপূর্বে। তিনি ছিলেন তার পিতা জ্যাকবের অত্যান্ত প্রিয় পাত্র। পিতার প্রিয়পাত্র হবার কারনে তার ভাইয়েরা তাকে হিংসা করত এবং তাকে কৌশলে মিদিয়ানীর একদল দাস ব্যাবসায়ীর কাছে দাস হিসাবে বিক্রি করে দেয়।

ব্যাবসায়ীরা তাকে মিশর নিয়ে যায় এখানে তাকে পেদিফার নামক একজন সেনা কর্মকর্তার কাছে বিক্রি করে দেয়। জোসেফ ছিলেন রূপে গুনে অনন্য এবং ঈশ্বরনিষ্ঠ। এখানে নিজ গুনে জোসেফ পেদিফারের প্রিয়পাত্র হয়ে ওঠেন, এমতাবস্থায় পেদিফারের স্ত্রী তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিলে তিনি রাজি না হওয়ায় পেদিফারের স্ত্রীর চক্রান্তে জেলে যেতে হয়। এখানে তিনি একে একে সাত বছর জেল খাটেন।


Genesis 40 Bible Pictures: Joseph in prison

এখানে তিনি দুই সহ বন্দীর স্বপ্নের মানে বলে দেন যারা ছিল রাজার রুটিপ্রস্ততকারী এবং প্রধান খবার সরবরাহকারী। স্বপ্নের ব্যাখ্যা যখন মিলে যায় তখন ফারাওয়ের খাবার সরবরাহকারী মুক্ত হয় স্বপ্নর ব্যাখ্যা অনুযায়ী আর রুটি প্রস্ততকারীর ফাসি হয়। তাকে ফারাওয়ের একটা স্বপ্নের মানে বলার জন্য ফারাওয়ের খাবার সরবরাহকারী ফারাওয়ের সামনে হাজির করলে জোসেফ ঠিক ঠিক স্বপ্নের মানে বলে দেন। ফারাওয়ের দুটি স্বপ্নের মানে ছিল প্রথম সাত বছর প্রচুর ফলন হবে মিশরে এবং পরের সাত বছর মারাত্মক দুর্ভিক্ষ হবে।

রাজা জোসেফের ব্যাখ্যায় সন্তষ্ট হয়ে তাকে প্রদেশের শাষনকর্তা নিযুক্ত করে এবং তার বুদ্ধি অনুযায়ী কাজ করে যার ফলে মিশর বেচে যায় মারাত্মক দুর্ভিক্ষের হাত থেকে। এই দুর্ভিক্ষ থেকে বাচার নিমিত্তে জ্যাকব তার ছেলেদের মিশর পাঠান মিশরীয় শস্য ভান্ডার থেকে খাবার সংগ্রহ করতে। এখানে এসে জোসেফের ভাইরা জোসেফের মুখোমুখি হন এবং জোসেফ তাদের ক্ষমা করে দেন। জোসেফের নির্দেশে তার পরিবারের সত্তর জন সদস্য কে মিশরের গোসেনে পূর্নবাসিত করা হয়। এটি ছিল ১৭০৬ খ্রীষ্টপূর্বের ঘটনা ( তবে কোন কোন ঐতিহাসিকের মতে এটি ১৫৫০ খ্রীষ্টপূর্বের ঘটনা)। এই গোসেনে পরবর্তী ২৫০ বছর জোসেফের বংশধররা বসবাস করেন। ওন বা হোলিওপোলিসের প্রধান পুরোহিতের কন্যাকে জোসেফ বিয়ে করলে তার গর্ভে জোসেফের দুই পুত্র সন্তান হয় যাদের নাম মানাসেহ এবং এফ্রাইম। যারা নিজ নিজ নামে গোত্র প্রতিষ্ঠিত করে এবং ভবিষ্যত ইজরাইলের সব থেকে শক্তিশালী গোত্রে পরিনত হয়। ১৬৩৫ খ্রীষ্টপূর্বে একশত দশ বছর বয়সে জোসেফ মারা গেলে তার দেহ প্যালেষ্টাইনের শেকেমে সমাহিত করা হয়। এখনো সেখানে তার সমাধি দেখা যায়।


Traditional and probable grave of Joseph, the Jewish patriarch, Shechem, Palestine (Josh. xxiv:32)


Shechem (Nablus): Joseph's Tomb - Israel

শুরুতে মিশরীয় শাষকরা ইজরাইলী গোত্রগুলোকে শ্রদ্ধার সাথে দেখত কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা পালটে বিরূপ থেকে বিরূপতর হতে থাকে। অত্যাচারের খড়্গ নেমে আসে ইজরাইলীদের ওপর। বিভিন্ন ধরনের কঠোর কায়িক শ্রমের কাজ তাদের দিয়ে করানো হয়। এক পর্যায়ে ইজরাইলীদের ধর্মীয় রীতিতে বাধা দিয়ে তাদের কে মিশরীয় সূর্য্য দেবতা "রা" এর উপাসনায় বাধ্য করা হলে বিদ্রোহ দেখা দিতে শুরু করে। ১৫৭৩ খ্রীষ্টপূর্বে হিব্রুদের সকল পুরুষ শিশুদের ডুবিয়ে মারার আদেশ দেন ফারাও। এর দুই বছর পর আমরামের স্ত্রী জোশেবেদ এক পুত্র সন্তান প্রসব করে।

কিন্তু নিজের কাছে ছেলে সন্তান রাখা মানে সন্তানের জীবনের ওপর হুমকি হওয়ায় জোসেবেদ নিজ সন্তান কে প্যাপিরাসের ঝুড়িতে করে নীল নদে ভাসিয়ে দেন এবং নিজ বোন মিরিয়ামকে আদেশ দেন সে যেন গোপনে ওই ঝুড়ি অনুসরন করে এবং কোথায় যায় বা কে তাকে পেল যেন জানায়। ফারাওয়ের এক মেয়ে ওই সময় নীল নদে গোসল করতে গেলে ঝুড়িতে শিশু সন্তানটিকে দেখে শিশুটির রূপে মুগ্ধ হয়ে তাকে নিজ সন্তান হিসাবে মানুষ করার নিমিত্তে ফারাওয়ের প্রাসাদে নিয়ে যাবার মনস্থ করেন। এমতাবস্থায় মিরিয়াম নিজের গোপন অবস্থান থেকে প্রকাশিত হয়ে ফারাওয়ের মেয়েকে বাচ্চাটির দুধ পান করানোর জন্য একজন ধাত্রী নিয়োগের পরামর্শ দেন। মিরিয়ামের পরামর্শ অনুযায়ী ফারাওয়ের মেয়ে শিশুটির আসল মা জোসেবেদকেই বাচ্চাটির দুধ মা হিসাবে নিয়োগ দেন এবং বাচ্চাটির নাম দেন “মোজেস”।


Moses found by Pharoah's daughter. | Bible Persons | Biblical art, Baby moses, Bible pictures

ফারাওয়ের আদেশে মিশরীয় পুরোহিতরা মোজেস কে বিভিন্ন প্রকাশ্য এবং গুপ্ত জ্ঞানে শিক্ষিত করে তুলেন। এক পর্যায়ে মোজেস যখন বড় হয় এক ইহুদীর ওপর অত্যাচার চালানোর জন্য একজন মিশরীয়কে হত্যা করে এবং মিদিয়ানদের এলাকায় পালিয়ে যান এখানে জেথরো নামক এক মেষ পালকের আশ্রয়ে থাকেন এবং তার মেয়েকে বিয়ে করেন। ( এই ব্যাপারে ক্রিশ্চীয়ান জাঁক “রামেসিস” নামক পাচ খন্ডের বিশাল এক উপন্যাস লেখেন। সৌভাগ্য বশতঃ পুরা পাচ খন্ডই আমার কালেশানে আছে, এতে ইতিহাসের সাথে গল্প মিশিয়ে এক মহাকাব্যিক উপন্যাসের বিস্তৃতি ঘটছে সে সময়ের।)

সিনাই পর্বতের দুর্গম অঞ্চলে মোজেস যখন শ্বশুড়ের মেষ পালন চড়াচ্ছিলেন তখন ঈশ্বরের নির্দেশ আসে নিজ জাতিকে অত্যাচারের নাগপাশ থেকে মুক্ত করে প্রতিশ্রুত ভুখন্ডে নিয়ে যাবার। বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে মোজেস ইহুদীদের নেতা নির্বাচিত হন, এবং এক পর্যায়ে ফারাওকে কিছু অলৌকিক ঘটনা দেখানে যাতে ফারাও তাদের দেশ ত্যাগের অনুমতি দেয়। মোজেস হিব্রু জনগোষ্ঠী নিয়ে মিশর ত্যাগ করে কিন্তু এক পর্যায়ে ফারাও মত পালটে ইজরাইলীদের ধ্বংস করার নিমিত্তে তাদের পেছনে তার সৈন্য বাহিনী লেলিয়ে দেয় এবং ওয়াদি তুমিলাত নামক উপত্যাক্যার মধ্য দিয়ে যায় যেটি সুয়েজ প্রনালী পর্যন্ত চলে গেছে তার কয়েক মাইল দক্ষিনে এসে থামে এখানে ফারাও বাহিনী ইজরাইলীদের আক্রমন করতে উদ্যত হয়। প্রনালীর এই অংশটি ছিল অগভীর এবং ভাটার সময় এখানে পানি খুব কম থাকত।

“মোজেস তার দুই হাত সাগরের উদ্দেশ্যে প্রসারিত করলেন এবং ঈশ্বর একটি শক্তিশালী পূবালি বাতাস বইয়ে দিলেন সারা রাত, যার ফলে সাগর শুকিয়ে গেল এবং পানি দুই ভাগ হয়ে গেল” এমন বর্ননাই পাওয়া যায় বাইবেলে। এর ফলে ছয় লক্ষ তিন হাজার ইজরাইলী সৈন্য এবং সর্বমোট প্রায় বিশ লক্ষ নারী পুরুষ নিরাপদে অপর পাড়ে পার হয়ে যায় এবং তাদের পেছনে ধাওয়ারত মিশরীয় ফারাওয়ের সৈন্যরা সাগরের পানিতে ডুবে যায় কারন যেই মুহুর্তে শেষ ইজরাইলী সাগর পাড়ি দিল সাগরের দুই পাশের পানি এসে আবার এক হয়ে গেল। সলীল সমাধি ঘটল অসংখ্য ফারাও সৈন্যর।


Old Testament 2, Lesson 9: Crossing the Red Sea

এর পর মোজেস তার অনুসারীদের নিয়ে সিনাইয়ের উদ্দেশ্যে গমন করেন পথে বিভিন্ন বুনো সম্প্রদায়ের হামলার শিকার হলেও তাদের পরাস্ত করেই এগিয়ে যান। সিনাই পর্বতে অবস্থিত সিনাই উপদ্বীপ, যেটি লোহিত সাগর বা সুয়েজ প্রনালী এবং আকারার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এখানেই জিহোভার ঘর স্থাপন করেন। ইহুদীদের প্রথম প্রার্থনা ঘর সিনাগগ এবং ঈশ্বরের বানী সম্বলিত সিন্দুক “আর্ক অভ কভেন্যান্ট” ও এখানেই তৈরী হয়। ১৪৯০ খ্রীষ্টাব্দে এই কাজ শেষ করেন আহোলিয়াব এবং বেজোলিল মোজেসের তত্ত্বাবধানে। গোত্রকে বিভক্ত করা হয় পিতার নাম অনুসারে যাদের মধ্যে ছিল আব্রাহামের বংশধর এবং জোসেফের বারো পুত্র। এই বারো পুত্রের নাম ছিল রিউবেন, সিমিওন, লেভি, জুডাহ, জেবলুন, ইসাচার, দান, গাদ, আশার, নাফতালি, জোসেফ এবং বেঞ্জামিন।


The Levitical Priesthood

লেভিওদের দায়িত্ব দেয়া হয় জাতীয় উপাসানাগারের পুরোহিত এবং রক্ষনাবেক্ষনের। লেভিয় গোত্রকে কোন নির্দিষ্ট জমি প্রদান না করে তাদের কেনানে ছড়িয়ে থাকা আটচল্লিশটি শহরের অধিকার দেয়া হয়। সেই সাথে পুরা এলাকায় যত ফল উৎপাদিত হত তার দশ ভাগের এক ভাগ দেয় তাদের নামে বরাদ্ধ করে। মোজেসের ভাই এ্যারন কে অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমে প্রধান পুরোহিত নিয়োগ দেয়া হয়।

মোজেস নির্দেশ দেন সিনাগগের মধ্যে বারোটি লাঠি বারোটি গোত্র স্থাপন করা হয় এবং যে লাঠিটিতে ফুল ফুটবে সেই লাঠিকে তিনি বেছে নেবেন। বারোটি গোত্র বারোটি লাঠি স্থাপন করে এবং লেভিয়দের নামে নির্বাচিত লাঠি যা এ্যারনের লাঠি নামে পরিচিত এই মোট তেরটি লাঠি স্থাপন করে। মোজেস বলেন, যার লাঠিতে ফুল ফুটবে তার লাঠিকে আমি নির্বাচিত করব। পরের দিন সব লাঠি সামনে আনলে দেখা গেল এ্যারনের লাঠিতে ফুল ফুটছে। ফিলো জুডাস বলেন, মিশরীয় পুরোহিতদের কাছ থেকে প্রতীক বিদ্যা এবং হায়ারোগ্লিফিকস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করছিলেন মোজেস এবং সেই সাথে জেনেছিলেন পবিত্র প্রানীদের রহস্য। মানেথো এবং অন্যান্য লেখকরা লিখছেন মোজেস কে পুরোহিত হিসাবে হোলিওপোলিসে শিক্ষা দেয়া হয়ে এবং তার মিশরের নাম হয় ওসারফিস। সাহিত্য এবং বিজ্ঞানের সকল বিষয় জ্ঞান লাভ করেন তিনি যা তার পৌরহিত্যকে দেয় পূর্ন মাত্রা। যার ফলে এটি খুব স্বাভাবিক তিনি যখন নুতন ধর্ম প্রচার করেন তার নীল নদের তীরে পাওয়া বিভিন্ন প্রতীক বিষয়ক শিক্ষা এবং জ্ঞান কে ভালো ভাবেই কাজ লাগান।


Aaron, brother of Moses and the first High Priest of Israel ..

এখানে একটা ব্যাপারে ক্লিয়ার রাখতে চাই আমার এই লেখা হিব্রু বাইবেল এবং নিউ টেষ্টামেন্টের বিভিন্ন অংশ থেকে নেয়া, যেহেতু ইসলাম, খ্রীষ্টান এবং ইহুদী ধর্মের অনেক নবীই একই নবী হয়ত ভাষার কারনে তাদের নাম ভিন্ন হতে পারে কিন্তু মানুষ হিসাবে এক। আমি এখানে তিন ধর্মের তুলনা না কিছু ইন্টারেষ্টিং তথ্য এক করেছি মাত্র শুধু মাত্র জানা এবং জ্ঞানের জন্য।

পরবর্তী পর্বের জন্য লেখা চলছে।

সুত্রঃ History of ancient Israel and Judah

ancient israel

Israel

The origin of freemasonry and Knights templar

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:১১

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভাটার সময় জিন্জিরা দ্বীপ থেকে ছেড়া দ্বীপে হেটে যাওয়া যায়।কিন্ত জোয়ারের সময় কেউ এই চেষ্টা করলে তাকে সমুদ্রে ডুবে মরতে হবে।
এখানে কোনো কেরামতি নাই!!!!!
সব নদী-সমুদ্রেই এটা হয়।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনি যদি ক্রিশ্চিয়ান জ্যাঁকের "রামেসিস" সিরিজের উপন্যাস গুলো পড়েন তাহলে দেখবেন সেখানে লেখক বলছে অন্ধকার রাতে মোজেস এক কর্দমাক্ত এলাকায় কাশবনের মত গাছ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পলায়ন করে, আর ফারাও সেনারা তাদের খুজে পায় না। হ্যা নানা মুনির নান মত নানা জায়গায় নানা থিওরীতে এসেছে।

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভের সময় ১৯৯২ সালে সেন্ট মার্টিনে আমাদের সাত দিনের ষ্ট্যাডি ট্যুর করতে হয়েছিল সেখানে থেকে তাই নারকেল জিঞ্জিরা আর ছেড়া দ্বীপের জোয়ার ভাটা সম্পর্কে আমি ভালই অবগত। আপনার যুক্তি মেনে নিতে আমার সমস্যা ছিলনা ছেড়া দ্বীপ আর নারকেল জিঞ্জিরার উদাহরনের মত, কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন অঞ্চল নেই যেখানে ভাটার সময় বিশ লাখের মত মানুষ পায়ে হেটে পেরিয়ে যাবার সময় শুকনা বা অর্ধশুকনা মানে হেটে পার হবার মত অবস্থায় থাকবে আর যেই না ধাওয়ারত সৈন্য বা অন্য গোত্র বা যাই বলেন না কেন তারা পার হবার সময়ই হুড়মুড় করে ঢেউ এসে তাদের ভাসিয়ে নেবে।

যুক্তিটা একটু যেন কেমন হয়ে গেল না? যাই হোক আপনার যুক্তির জন্য ধন্যবাদ। মত ভিন্ন মত থাকবেই, এতে অবাক হবার কিছু নেই ভাই।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:

সময় নিয়ে পড়তে হবে বলে প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।
শুভেচ্ছা রইল

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন আমার।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার উদ্দেশ্য, আদর্শ কিছু আছে টাছে নাকি, নাকি ইতিহাসের ক্লাশ?

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: আরে গাজী সাহেব কেমন আছেন? শরীর স্বাস্থ্য ভালো? প্রায়শঃই তো রোগে ভোগেন সম্ভবত বাত, আমাশয়, কোষ্ঠ কাঠিন্য (অনুমান করে নিলাম বার্ধক্য জনিত রোগতো) বর্তমান ব্লগে আপনি বোধ হয় নিজ গুনে আলোচনায়/ সমালোচনায় আসতে পেরেছেন। ভালো। আলোচনায় আসা যাওয়ার সাথে নিজের ব্যাক্তিত্বটাও যেন বজায় থাকে এদিকে একটু খেয়াল রাখবেন প্লীজ ( বিনা পয়সায় উপদেশ যেটা আপনি সবাইকে দেন আজকে না হয় আমিই দিলাম)।

আসি আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমার লেখার উদ্দেশ্য? উদ্দেশ্য নিজের লেখা নিজে পড়তে ভালো লাগে (অনেকটা নার্সিসাস) আর কি! আর কেউ যদি দয়া করে পড়ে তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি।

আদর্শ! সেটা আবার কি? সেতো সেই শিশু বয়সে আদর্শলিপীতে শেষ করে আসছি, তবে আপনার পোষ্ট দেখলাম দু একটা, সেগুলো তো আদর্শে টইটুম্বুর। আপনি সাহেব পারেন ও বটে এত আদর্শ কোথা থেকে যে পান খোদা মালুম, অবশ্য ইউরোপ আমেরিকায় বসে নাকি দেশে আদর্শ শিক্ষা দেয়ার ভালো উপায় আছে, দেখেন তো দেশে ওটার শাখা খোলা যায় কিনা B-))।

নাকি ইতিহাসের ক্লাশ! ধুর ভাই আপনি দিলেন এক নিমিষে আপনার বুদ্ধি শুদ্ধিকে প্রশ্নর মুখে ফেলে এখানে ইতিহাস কোথায় দেখলেন? এটা তো রম্য রচনা, বড় জোর বিবলিক্যাল অথবা মাইথোলজি অথবা ছোট গল্পও বলতে পারেন। এইটুকু পার্থক্যও ধরতে পারলেন না!! আপনি কিভাবে আলোচিত মানুষ হন, না না না দুঃখ জনক। :<

ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন। আদর্শ টাদর্শ নিয়ে ব্লগকে পূর্ন করুন ;) এই কামনায়।।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: ইতিহাস নিয়ে আমি মোটেও মাথা ঘামাই না।
আমি চিন্তা করি ভবিষ্যৎ নিয়ে।

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

শের শায়রী বলেছেন: ভবিষ্যত নিয়ে একদম ভানি না ভাই, ইতিহাস, রহস্য আর মাইথোলজি আমার আনন্দ।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৯

আল ইফরান বলেছেন: খুব সাবলীলতার সাথে অনেক কঠিন ইতিহাসকে সহজভাবে উপস্থাপন করেছেন। এই বিষয়ের উপর ইউপিএল থেকে বের হওয়া একটা বই পড়েছিলাম যাতে মনে হয়েছে খুব দ্রুত উপসংহার টেনে দেয়া হয়েছে (আধুনিক ইতিহাসকে লেখক প্রাসঙ্গিক মনে করেন নি হয়তো)।
আশা করবো আপনার লেখায় তা পাওয়া যাবে। সাথেই আছি, পরের পর্ব পড়ার অপেক্ষায়।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে যেন পুরো ব্যাপারটা বুজা যায় আসলে এই সব ব্যাপারে বিস্তারিত লেখা মানে মহাকাব্যকেও হার মানানো। কারন হাজার বছরের ইতিহাস।

শিঘ্রিই দ্বিতীয় পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে কিন্তু ক্ষুন্নিবৃত্তি নির্বাসনে এত ব্যাস্ত থাকতে হয় যে, আসলে সময় বের করা খুব কঠিন হয়।

পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৩

কনফুসিয়াস বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ে নিলাম। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: আশা রাখি শিঘ্রিই দ্বিতীয় পর্ব দিতে পারব। সময় নিয়ে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩১

জুল ভার্ন বলেছেন: এমন তথ্যবহুল লেখা তোমার কাছেই আশা করি এবং তুমি সেই প্রত্যাশা শত ভাগ পূরণ করছো।
চালিয়ে যাও, পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করবো।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাংকস ভাই।

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৫

সোহানী বলেছেন: আপনার লিখা মানে সব কাজ বন্ধ। ট্রেনে আসতে আসতে পড়ছিলাম এবং অফিসে ঢুকে কাম কাইজ শুরু করার আগে ব্লগে লগ ইন করতে বাধ্য হলাম ;)

বিভিন্ন ধর্মের আঙ্গিকে ইসরাইল এর উত্থান পতন নিয়ে অনেক লিখা পড়লেও আপনার লিখায় জাদু আছে। একবার শুরু করলে থামা যায় না।

এটি আমার বিষয় নয় তাই এসব নিয়ে লিখতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি না। কিন্তু পড়তে অসম্ভব পছন্দ করি। অনেক মিথোলজির বই আমার কালেকশানে ছিল (এক সময়। যা দেশের বাইরে আসার সময় একজনের কাছে জিম্মা দিয়ে এসেছিলাম :(( । ফিরে যেয়ে আদৈা পাবো কিনা সন্দেহ)।

চলুক, সাথে আছি সবসময়ই।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই বলি, আপনার অভিজ্ঞতা নিয়ে বেশ কয়েকটি লেখা আমি পড়ছি, বেশ লাগল। জড়তাহীন। বোজাই যায়, বই পড়ার অভ্যাস আপনার আছে। কারন লিখতে গেলে পড়তে হয়। আর না পড়লে লেখা যায় না।

আমি আসলে কিছুটা লজ্জাই পেলাম, আপনি যেভাবে কমপ্লিমেন্ট দিলেন। আসলে প্রবাসে থাকায় আমার এই সব সাধারন লেখা আপনার কাছে ভালো লেগেছে, দেশে থাকলে বিভিন্ন বই পত্র পত্রিকা পড়লে এগুলো কে সাধারন মানের ই কিছু একটা মনে হত। আমার নিজের হাজার পাচেক বইর কালেকশান আছে, আমি সব দিতে প্রস্তত কিন্তু কাউকে বই দেবার ব্যাপারে ভীষ্ণ অনীহা কারন বই একবার হাতের বাইরে গেলে তা আর ফেরত আসে না। আপনার বইও সে রকম ফেরত পাবেন বলে মনে হয় না (আফসোস লাগছে আমাকে দিয়ে গেলেও পারতেন :(( )

যাই হোক বোন আপনার এন কারেজিং মন্তব্যগুলো আমাকে লিখতে উৎসাহ যোগায়। কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৩

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা..... আমি দেশে থাকি বা বাইরে থাকি সবসময়ই বাংলা বই বা পত্রিকাই পড়ি। ইংরেজী সাহিত্য পড়ে কোন মজা পাই না।

হাজার পাঁচেক বই!!! ও মাই গড!!! আপনার বাসার ঠিকানা দেন, হামলা চালাই। ........ আমার বইয়ের কাহিনী হলো, একজনের কাছে জিম্মা রেখেছিলাম। তারপর বেশ কিছু টাকা পাঠিয়েছিলাম বইগুলো যেন আমার কাছে পাঠিয়ে দেয়...... তাহার আর পর নাই। বাঙ্গালী চরিত্র পুরোপুরো আবারো দেখলাম।

আপনি সত্যিই ভালো লিখেন ;)

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

শের শায়রী বলেছেন: ওই বই আর ফেরত পাবেন না, ফি সাফিলিল্লাহ। হা হা হা হা। হায় হায় আবার টাকাও পাডাইছেন! আর বই নিয়া মার্ক টোয়েনের সেই বিখ্যাত কাহিনী তো জানেন ই। যার কাছে বই সে নিশ্চয়ই মার্ক টোয়েন কিসিমের। আরে না না আমার জাহার পাচেক বই না গোটা পাচেক বই আছে যা লিখছি আগে ওইডা টাইপো মিসটেক (হামলার কতা শুইনা ডরাইছি ;)

অনেক অনেক শুকরিয়া বইনডি।

১০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:২৩

এমজেডএফ বলেছেন: সুন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সিরিজ শুরু করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ। চালিয়ে যান, সাথে আছি।
The levitical priesthood-এর ছবিটি ছোট হওয়ায় নামগুলো পড়া যাচ্ছে না। তাই ছবিটির আলাদা লিঙ্ক এখানে দিলাম।
The levitical priesthood
শুভকামনা রইল।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৬

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা পাঠে। আর লিঙ্কটা দেয়ায় আমার লেখাটা যেন পূর্নতা পেল। অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



ইসলাম ধর্ম অনুসারে নবী ইব্রাহীম (আঃ) এর পুত্র ইসহাক (আঃ) এবং তাঁর পুত্র ইসরাইল(আঃ) এর বংশধররাই হলো বণি ইসরাইল। ইসরাইল (আঃ) ছিলেন কেনান রাজ্যের শাসক যদিও সেটা তিনি পেয়েছিলেন তাঁর শ্বশুর এর মৃত্যুর পর। এই ঘরেই জন্ম হয় ইউসুফ (আঃ) এর। যিনি পরবর্তীতে ঈজিপ্টাসের প্রধানমন্ত্রী এবং কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। তাঁর কল্যানেই ইসরাইল (আঃ) এবং তাঁর বারো জন পুত্র সহ কেনান ছেড়ে ঈজিপ্টাসে এসে বসবাস শুরু করে। সেটার পেছনে অবশ্য মূল কারণ ছিল লাগাতার সাত বছরের দূর্ভিক্ষ। ইসরাইল (আঃ) এর বারো জন পুত্রের নামানুসারেই বারোটি গোত্রের জন্ম হয়েছিল। তাঁর এক পুত্রের ঘরে জন্ম হয়েছিল মূসা (আঃ) এর। এবং তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র যার নাম ছিল ইয়াহুদা তারই নামানুসারে কিংবা তারই অনুসারীরাই হলো ইহুদী ধর্মীয়।

ইব্রাহীম (আঃ) এর পুত্র ইসহাক (আঃ) এর বংশেই বেশীরভাগ নবীদের আগমন ঘটেছিল অর্থাৎ বণি ইসরাইল রা সহজেই তাঁদের দম্ভের কারণে ইসলামের পথ ভুলে যেত। তারা নিজেদের রাজ বংশীয় বলে দাবী করত; এখনও তাই করে। এর কারণ হিসাবে প্রমিজ ল্যান্ডের কথাই মূল। যে কারণে ইসরাইলের পার্লামেন্ট ভবনের ফটকে লেখা আছে দজলা থেকে ফোরাত পর্যন্ত তাঁদেরই অধিকার। অপরদিকে ইব্রাহীম (আঃ) এর আরেক পুত্র ইসমাইল (আঃ) এর বংশে খুব বেশী নবীর জন্ম না হলেও শেষ নবী মুহাম্মদ (সঃ) এর জন্ম হয়েছিল।

নিউ টেস্টামেন্ট এর অনেক কিছুই সাপোর্ট করেনা কিন্তু ওল্ড টেস্টামেন্ট অনেকাংশেই সাপোর্ট করে।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

শের শায়রী বলেছেন: এই জন্যই তোর জন্য অপেক্ষা। অনেক সময় পোষ্টের কমেন্ট পোষ্টকে পূর্নাঙ্গ রূপ দেয়। যাই হোক আমি আসলে ইসলাম ধর্মের দৃষ্টি থেকে এই পোষ্ট লিখিনি। এই পোষ্ট আমি বিভিন্ন ঐতিহাসিকের সমন্বয় করার চেষ্টা করছি মাত্র। মুল বই হিসাবে "দ্যা ওরিজিন অভ ফ্রি ম্যাসনারি এ্যান্ড নাইট টেম্পলার" কে ধরছি, বাকী অনেক জায়গা থেকে সহায়তা নিয়েছি। সূত্রে ওই বইর লিঙ্ক দেয়া আছে চাইলে পি ডি এফ নামিয়ে দেখতে পারিস।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।।

১২| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:০৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: পৃথিবীতে এমন কোন অঞ্চল নেই যেখানে ভাটার সময় বিশ লাখের মত মানুষ পায়ে হেটে পেরিয়ে যাবার সময় শুকনা বা অর্ধশুকনা মানে হেটে পার হবার মত অবস্থায় থাকবে আর যেই না ধাওয়ারত সৈন্য বা অন্য গোত্র বা যাই বলেন না কেন তারা পার হবার সময়ই হুড়মুড় করে ঢেউ এসে তাদের ভাসিয়ে নেবে সংখ্যাটা যে ২০ লাখ ছিলো,তার প্রমাণ কি? এতো লোক পালাতে তো প্রায় ১ মাস লাগার কথা। তাহলে মিশরীয় সৈন্যরা তাদের ধাওয়া করে এসেছিলো ১ মাস পর?

এমনও হতে পারে ইহুদীরা নীল নদের পারে বসে ছিলো। ৪ ঘন্টা পর পর জোয়ারের সময় পার হয়েছে !!!
কিন্ত সবই অনুমান আমার কাছেও কোনো প্রমাণ নাই।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩১

শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় অনল ভাই, সংখ্যাটা যে ২০ লাখ এমন কোন প্রমান নেই কোথাও। কোথাও ছয় লাখ (বাইবেলের যাত্রা পুস্তকে) আবার কোথাও হাজার হাজার ( পবিত্র কোরান শরীফ ২: ২৪৩) উল্লেখ্য করা হয়েছে। আসলে এই ব্যাপারগুলোর নিরেট কোন প্রমান নেই। তবে সংখ্যা যাই হোক মুসা (আঃ) যে ইসরাইলীদের নেতৃত্ব দিয়ে সাগর পারে নিয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে কোন মতভেদ নেই। তবে মতভেদ আছে কোন রাস্তা ধরে তারা সাগর পারে গিয়েছিল, তারও অসমর্থিত কিছু রাস্তা আছে। সেদিকে না যাই,



পন্ডিতরা মনে করেন মুসা (আঃ) যখন সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে পৌছেন তখন ভাটার টান শুরু হয়, ফলে পানি কমতে শুরু করে, যা পারাপারের জন্য সহজ হয়েছিল। কিন্তু ফারাও বাহিনী যখন সাগরে নামে তখন আবার জোয়ার শুরু হয় ফলে দু পাশের পানি এসে তাদের ডুবিয়ে দেয়।

বিষয়টি নিয়ে সাম্প্রতিক বিজ্ঞানীরাও অনেক ভেবেছেন। ইজরাইলের হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুবিজ্ঞানের অধ্যাপক নাদান গ্যালাদর এবং ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডোরেন নফ এ ব্যাপারে কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমি খুব অল্পতে ব্যাখ্যা দিচ্ছি তাদের মতানুযায়ী ঘন্টায় যদি ৬৪ কিলোমিটার বা ৪০ নট বেগে ১০ ঘন্টা বাতাস প্রবাহিত হয়, তবে সমুদ্রতীর থেকে দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত পানি নেমে যাওয়া সম্ভব। সেক্ষেত্রে গভীর অংশের পানির উচ্চতাও কমে যাবার সম্ভাবনা। গালফ অভ সুয়েজ দিয়ে তিনি লোহিত সাগর পাড়ি দিয়েছিলেন বলে ধারন করা হয়, এখানে সাগরের প্রস্ততা ছিল ১৬ কিলো মিটারের মত।

বাইবেল এবং কোরান অনুযায়ী এ ঘটনা ঘটেছিল রাতে। বাইবেলের যাত্রা পুস্তকে (১৪: ২১, ২২, ২৩, ২৪, ২৫) বলা হয়েছে প্রবল পূবীয় বায়ু দ্ধারা সমুদ্রকে সরিয়ে দিয়ে হয়েছিল। আসলে এর সঠিক প্রমান নেই। তবে বিজ্ঞান অনেক অগ্রসর হয়েছে তারা কিন্তু এখন বিভিন্ন স্যাট ইমেজ বা অন্যান্য ডাটা উপাত্ত বের করে হাজার বছর আগের জিনিস নিখুঁত বলে দিতে পারছে। আমরা বিজ্ঞানের ওপর ভরসা রাখি। আরো অনেক কিছু লিখতে পারতাম কিন্তু তাতে আলাদা পোষ্ট হয়ে যেত। আপাতত এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন How the Israelites crossed the Red Sea with a little help from the prevailing wind

অশেষ ধন্যবাদ আপনি প্রশ্ন করাতে।

১৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ পর্ব থেকেই শুরু করলাম ; জানা ইতিহাস, তারপর ও খুঁটিনাটি তথ্য সহ বলেই ভাল লাগছে।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩১

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা আপা। আপনার মন্তব্য সব সময়ই অনুপ্রানিত করে।

১৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।
ইসরাইরীদের মিসর থেকে পালানেনাব নিয়ে সত্যি কোনো সন্দেহ নাই্
না হলে এখনো মিসরে ইনরাইলের মতোই এতো ইহুদী থাকতো। ছোটোবেলা থেকে বহুবার টেন কমেন্ডমেন্টস ( ১৯৫৬) ছবিটা দেখেছি,যেখানে মুসা (আঃ) দলবল নিয়ে নীল নদ পার হওয়া আর ফারাও সৈন্যদের ডুবে মরা দেখানো হয়েছিলো।
আরো অনেক আগে মুন অফ ইসরাইল (১৯১৮) উপন্যাসে হেনরী রাইডার হ্যাগার্ডও এসব লিখেছেন।
ইসরাইলীরাই সম্ভবত পৃথিবীর একমাত্র জাতি,যাদের সবাই শুধু ইহুদী ধর্মেরই অনুসারী। আরবদের মধ্যেও অনেক খৃষ্টান থাকলেও তাদের মধ্যে কেউ অন্য ধর্মের অনুসারী ছিলো না। তবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বসবাসকারীদের মধ্যেও অনেক ইহুদী আছে। কিন্ত তারা কি ইসরাইলী জাতির বংশধর না ধর্মান্তরিত?
আর বাংলাদেশে কি কোনো ইহুদী আছে? বোম্বেতে কিন্ত অনেক।
তবে একটা অবাক ব্যাপার হচ্ছে, ইসরাইলী জাতি এতো দেশ ঘুরেও এখনো টিকে আছে।কিন্ত প্রাচীন মিসরীয় জাতি এবং তাদের ভাষা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এর কারণ কি আরব আক্রমণ না অন্য কিছু-সেটা নিয়ে একটা লেখেন।
কারণ আপনি এ বিষয় নিয়ে গবেষণা করেন।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

শের শায়রী বলেছেন: অনল ভাই, মুলতঃ ইসরাইলীরা বারোটি গোত্র দিয়ে উৎপত্তি এরা ছিল জোসেফের পুত্র। ইসরাইলীদের এই বারোটি শাখার দশটির খোজ পাওয়া যায় বাকী দুটোর খোজ পাওয়া যায় না, যেটা এখনো মিসিং লিংক হিসাবে রহস্যাবৃত্ত। যাই হোক আপনার প্রশ্ন ছিল পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বসবাসকারীদের মধ্যেও অনেক ইহুদী আছে। কিন্ত তারা কি ইসরাইলী জাতির বংশধর না ধর্মান্তরিত? বংশ পরম্পরায় আসলে অবশ্যই ওই সব কোন না কোন গোত্রের সাথে সম্পৃক্ত। কিন্তু বর্তমানে ভালো থাকা খাওয়া এবং ক্ষমতার লোভে (কারন আপনি জানেন এই মুহুর্তে পৃথিবীর অন্যতম আর্থিক এবং রাজনৈতিক ক্ষমতাবান ধর্মীয় সংগঠন ইহুদীরা) অনেকেই ধর্মান্তরিত হচ্ছে, তবে সেটা আমাদের মত দেশে না, এই ধর্মান্তরও হচ্ছে মুলতঃ ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে। বাংলাদেশে ইহুদী আছে কিনা সে খোজ নিতে গিয়ে নীচের তথ্যগুলো নেটে পেলামঃ

১৯৪৭ সালের পর তৎকালিন পূর্বপাকিস্তানের অধিবাসি অনেক ইহুদি ভারত বা ইংল্যান্ড চলে যান। এদের অনেকেই ১৯৪৮ সালে ইসরাইল এর অবৈধ প্রতিষ্ঠার পর ইসরাইল চলে যান এবং সেখানে যথেষ্ট প্রভাবশালি হন। তবে তখনও কয়েকটি পরিবার রয়ে যায়। যার মধ্যে রাজশাহির কোহেন পরিবার এবং চট্টগ্রামের বারোক পরিবার অন্যতম। ঢাকাতেও থেকে যায় কিছু পরিবার। রাজশাহির কোহেন রা একমাত্র ইহুদি পরিবার হলেও খ্যাত হয়ে নানা কারনে। এই পরিবারের একজন সদস্য মরডেকাই কোহেন রাজশাহি শহরে বিশেষ খ্যাত ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি রাজশাহি রেডিওর ঘোষক হন এবং পরবর্তিতে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র চালু হলে টেলিভিশন এর ঘোষক এবং ইংরেজি সংবাদ পাঠক হন। শিল্পি মনের অধিকারি এই প্রতিভাবান ব্যাক্তি খান আতাউর রহমান এর বিখ্যাত "নবাব সিরাজউদ্দেীলা" সহ আরো কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর তিনি তার পরিবার সহ কলকাতা চলে যান। সম্ভবত এখনও জিবিত আছেন এবং কলকাতাতেই আছেন। তিনি সেখানেও তপন সিংহ এর বিখ্যাত ছবি ”সাগিনা মাহাত” সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার একভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স ডিগ্রি নিয়েছিলেন। তিনি পরবর্তি তে ইসরাইল এর একটি বিশ্ববিদ্যালয় এ বাংলার অধ্যাপক হয়েছিলেন।

চট্টগ্রামের বারোক পরিবারে ছিলেন দুই ভাই। রহমিম এজরা বারোক এবং রহমিম ডেভিড বারোক। এজরা বারোক চাকমা রাজপরিবারের এক রাজকন্যা কে বিয়ে করেন এবং চন্দ্রঘোনায় বসবাস করতেন। তিনি বাংলাদেশ আমলে মৃত্যবরন করেন। চন্দ্রঘোনা ক্যাথলিক কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। ইহুদি হলেও স্থানিয় দের কাছে তিনি খৃষ্টান বলেই পরিচিত ছিলেন। এডি এডওয়ার্ড নামে পরিচিত ছিলেন তিনি। ব্যবসায়ি এবং মহাজন হিসেবে তার সুনাম ছিল। তার কোন সন্তান ছিলনা। তার ছোট ভাই ডেভিড বারোক বসবাস করতেন চট্টগ্রাম শহরে। সম্ভবত পাথরঘাটায়। তিনিও একজন ধনি ব্যবসায়ি ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন এবং তাকে চট্টগ্রাম ক্যাথলিক চার্চ এর কবরস্থানে কবর দেওয়া হয়। ডেভিড বারোক এর ছেলে জোসেফ বর্তমানে কানাডাতে বসবাস করছেন। এছাড়া ইউনুস দানিয়েল নামে আরেকজন ইহুদি ব্যবসায়ি ও চট্টগ্রামে বসবাস করতেন যার নামের কারনে অনেকেই তাকে ইরানি মুসলিম বা ইসমাইলি শিয়া বলে ভুল করত।

চট্টগ্রাম এবং রাজশাহিতে কেউ না থাকলেও ঢাকায় এখনও একাধিক ইহুদি পরিবার রয়ে গিয়েছে। এরা খুবই নিরব জিবনযাপন করেন। ঢাকার আরমানিটোলায় বৃটিশ আমলে একটি সিনাগগ স্থাপিত হলেও বর্তমানে তা সরকারি অফিস। চট্টগ্রামেও বর্তমান চট্টগ্রাম রাইফেল ক্লাব এর স্থানে একটি সিনাগগ থাকার কথা শুনা যায়। ঢাকায় অবস্থান কারি ইহুদিরা প্রধানত টেক্সটাইল ব্যবসা এবং আমদানি অর্থায়ন এর ব্যবসা করে থাকেন। এছাড়া তারা মহাজনি ব্যবসায়ও তারা করে থাকেন যা ই্হুদিদের মধ্যে বহুল প্রচলিত। এরা নিজেদের ইহুদির পরিবর্তে অর্থডোক্স খৃস্টান বা জেহোভাস উইটনেস গোষ্ঠির বলেও পরিচয় দিয়ে থাকেন। এই সম্প্রদায় এর কয়েকজন ইংরেজি মা্ধ্যম এর স্কুল পরিচালনার ক্ষেত্রে জড়িত। এমন একজন হচ্ছেন প্রিসিলা জ্যাকব। যদিও তার স্বামি একজন ক্যাথলিক খ্রিস্টান। ঢাকায় বসবাসকারি ইহুদি সম্প্রদায় এর সন্তানরা সবাই অল্প কিছুদিন তাদের পরিচালিত ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়েন এবং একটু বড় হলেই ভারত বা অন্য কোথাও গিয়ে লেখাপড়া করেন। এদের অনেকেই পরে অন্য দেশে গিয়ে বসতি স্থাপন করেন । তাই এই সম্প্রদায় এর বাংলাদেশে অবস্থান সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞাত।

* লিখাটির তথ্যগুলি ইন্টারনেট এর বিভিন্ন সুত্র বিশেষ করে জোসেফ বারোক এবং ভারতীয় ইহুদিদের ইতিহাস গবেষক ডেভিড ওয়েলির লিখা থেকে নেওয়া।

প্রাচীন মিশরীয়দের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে অনেক মজার ইতিহাস আছে, হয়ত কোন দিন লিখব আপনার কথা স্মরন করে। কৃতজ্ঞতা জানবেন। ভাই আমি অতি সাধারন একজন শখের বশে বই পত্র পড়ি , মাঝে সাঝে দুই এক পাতা ব্লগে লিখি, গবেষনা বলতে যা বোঝায় তার যোগ্যতা আমার নেই। ভালো থাকুন অনল ভাই।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৪১

হাসান রাজু বলেছেন: সিনেমা কি ওইভাবে দেখেন? বইয়ের পোকারা সাধারণত সিনেমা কম দেখেন। যাই হোক, The Ten Commandments ১৯৫৬ সিনেমাটি দেখতে পারেন। যেমনটি অনল চৌধুরী ভাই বলেছেন। একজন মানুষকে তার অনুসারীরা কি পরিমান জ্বালাতে পারে এটা দেখে কিছুটা উপলব্দি করতে পেরেছিলাম।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫০

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, সিনেমা খুব কম দেখি, তবে ইদানিং দুই ছেলের উৎপাতে রাতে সিনেমা দেখতে হয় তাদের নিয়ে, আমাকে ছাড়া তারা আবার সিনেমা দেখে মজা পায় না। "টেন কমান্ডেন্টস" মুভিটা অল রেডি ডাউন লোড করে ফেলছি প্রায় ৪ ঘন্টার মত!! বই পড়তেই আমি স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করি, যে কোন দিন ছেলেদের সহ মুভিটা দেখে ফেলব।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:১১

অনল চৌধুরী বলেছেন: বইয়ের পোকারা সাধারণত সিনেমা কম দেখেন- সবার জন্য প্রযোজ্য না।
আমার কাছে চলচ্চিত্রও একট জ্ঞান-অর্জন ও গবেষণার উৎস। বই যতো পড়ি, ছবিও তার চেয়ে কম দেখিনা।
যদিও হলিউড বা বোম্বের বেশীরভাগ ঐতিহাসিক ছবিতে প্রকৃত ইতিহাস পাওয়া যায় না,তারপরও।
লেনিন সব শিল্পের মধ্যে মহত্তম বলেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন,মানুষ বই বা পত্রিকা যতো পড়ে,তারচেয়ে অনেক বেশী ছবি দেখে।
এর মাধ্যমে যেকোনো বিষয়কে দ্রুত জনগণের কাছে পৌছানো যায়।

এজন্যই পরে সোভিয়েত চলচ্চিত্র সারা বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেছিলো।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫২

শের শায়রী বলেছেন: অনল ভাই ব্যাক্তিগত ভাবে আমি সিনেমা খুব কম দেখি, তার থেকে আমি বই পড়তে পড়তে নিজের মত করে কল্পনায় সিনেমা বানাতে বেশী পছন্দ করি :)

১৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার জ্ঞানের বিশাল ভাণ্ডারে নিজেকে বড়োই তুচ্ছ মনে হয় - কত কিছুই এখনো জানার বাকি ! বাংলাদেশের ইহুদিদের সম্পর্কে আপনার তথ্যটি সত্যি এক্সক্লুসিভ - ধারণাই করতে পারিনি এদেশে কিছু ইহুদি পরিবারের অস্তিত্ব ছিল। এদের মতোই আরো অনেক ক্ষুদ্র গোষ্ঠী ধীরে ধীরে দেশ ত্যাগ করেছে - আমরা এদের অনেককেই ধরে রাখতে পারি নি।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: স্বামীজি দিলেন তো লজ্জায় ফেলে, এই সব তথ্য চাইলেই আপনি নেট ঘেটে অথবা বই পড়লেই পাবেন, এতে জ্ঞানের কিছু নেই। হ্যা অনেক ক্ষুদ্র গোষ্ঠী এদেশ থেকে হারিয়ে গেছে, অবশ্য এটা এদেশেই বা কেন বলি সারা বিশ্বেই এক অবস্থা, আবার ভাষার দিকে দেখুন কত প্রাচীন ভাষা প্রতিদিন হারিয়ে যাচ্ছে।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৮

হাসান রাজু বলেছেন: @অনল চৌধুরী, আপনার সাথে দ্বিমত করছি না, যোগ করছি। যারা বইয়ের পোকা ওরা একটু ডিটেইলে অভ্যস্থ। বইয়ে যে মজাটা পাওয়া যায়, সিনেমায় সেটা সম্ভব না।
উদাহরন হিসেবে বলব সাহিত্য থেকে যেসব সিনেমা হয় সেগুলো পড়ে যে মজা পাওয়া যায় সেটা সিনেমা দেখে পাওয়া যায় না। আবার যার গল্পটি পড়া থাকে, সে সিনেমা দেখে একটু বেশি মজা পায়। এখানে একটা কথা থেকে যায়, এধরনের সিনেমা মেকিং একটা বড় চ্যালেঞ্জ। পাঠকের মনে যে ক্যানভাস তৈরি হয়ে থাকে তার কাছাকাছি কিছু একটা তৈরি করতে না পারলে সে সিনেমা ডুববে নিশ্চিত।
আর একটা কথা। বইয়ের পোকারা সিনেমা দেখাকে অনেক ক্ষেত্রে তাচ্ছিল্যের ছলে দেখে। আমি বইয়ের চাইতে সিনেমায় বেশি অভ্যস্থ। কিন্তু বই পড়ুয়াদের অন্যরকম সুনজরে দেখি।

২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৩

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, আমি অবশ্য সিনেমা দেখাকে তাচ্ছিল্যের ছলে দেখি না :) তবে বই পড়তে স্বাচ্ছ্বন্দ্য বোধ করি সিনেমা দেখার থেকে যা অনল ভাইকেও বলছি।

১৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩২

করুণাধারা বলেছেন: কিছুটা জানা ছিল যে ইতিহাসের, আপনি তার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন! অনেক কিছু জানা হলো। মোজেসকে পানিতে ভাসিয়ে দেবার যে কাহিনী আপনি হিব্রু বাইবেল আর নিউ টেস্টামেন্ট থেকে বর্ণনা করেছেন, তার সাথে কুরআনে বর্ণিত মুসা (আ.) এর কাহিনীর অনেক মিল আছে। তফাত, এখানে বলছেন মোজেসের মা জোসেবেদ তার নিজের বোন মিরিয়ামকে বলেন মোজেসের উপর নজর রাখতে, আর কুরআনে আছে মুসা (আ.) এর মা তার মেয়েকে বলেন শিশু মুসা(আ.) এর উপর নজর রাখতে।

১৪ নম্বর প্রতিমন্তব্য পড়েও অনেক কিছু জানলাম। মাত্র ক'দিন আগেই কোথাও পড়ছিলাম জোসেফ নামে একজন বাংলাদেশের স্মৃতিচারণ করেছেন, তখন জানলাম স্বাধীনতা পূর্ব সময়ে চট্টগ্রামে বেশ কিছু ইহুদি পরিবার ছিলেন।

তথ্য সমৃদ্ধ পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ শের শায়রী।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

শের শায়রী বলেছেন: বোন আপনার প্রতিটা পয়েন্ট রাইট, কিন্তু আমি তুলনামুলক আলোচনায় না গিয়ে শুধু পশ্চিমা লেখক এবং তোরাহ এর আলোকে পোষ্ট লিখছি।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২১

অনল চৌধুরী বলেছেন: শের শায়রী ভাই, ৩০ বছরের বেশী সময় ধরে চলচ্চিত্র নিয়ে পড়াশোনা আর গবেষণা করছি।এর উপর এম এ- ও করেছি।এসবকিছুই ভালো চলচ্চিত্র বানানোর ইচ্ছাতেই।
যদিও আমার ইউটিউব চ্যানেলে অনেক প্রামাণ্যচিত্র দেয়া আছে ,কিন্ত চলচ্চিত্র এখনো বানানো হয়নি। তবে এই জগতে নারীদের অসন্মানের অন্যায়ের সাথে আপোষ করলে এতোদিনে হয়ে যেতো।
আশা করি,শীঘ্রই সেটা বানাবো।

হাসান রাজু- মগজের ব্যবহার কম করে দ্রুত বিনোদন লাভের জন্য বাংলাদেশের লোকজন বই বেশী পড়ে না, ছবি দেখে অনেক বেশী। তাই তারা ছবির নামই দিয়েছে -বই !!!!!
তাও ভালো ছবি দেখলে সমস্যা ছিলো না, দেখে দেশ-বিদেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ছবিগুলি।
তবে পাঠকের চেয়ে দর্শসংখ্যা বেশী হওয়ার কারণে এটা অবশ্যই সত্য যে বইয়ের চেয়ে চলচ্চিত্র তাৎক্ষণিকভাবে অনেক শক্তিশালী মাধ্যম।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

শের শায়রী বলেছেন: অপেক্ষায় থাকলাম অনল ভাই, আপনার সিনেমা বানানোর। আপনার ইউ টিউব চ্যানেলের লিঙ্ক দিলে এক পাক ঘুরে আসতাম। ধন্যবাদ ভাই।

২১| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:২১

অনল চৌধুরী বলেছেন: এটা এখানে প্রকাশ্যে দেয়া যাবে না। ইমেইলে দিতে হবে।
কারণ আপনি তো জানেনই ,কিছু লোক সব সময় ঝামেলাে করে। একবার দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় এক বড় ভাই আমাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তার অনুরোধে ফোন নম্বর দিয়েছিলোম।
তিনি আমার খোজ নিয়ে তার দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিন্ত এক বদমাশ সাইবার ক্রিমিনাল এই সুযোগে সব কথা রেকর্ড করেছে। সেটা আবার সে এখানে প্রচারও করেছে।

২২| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:০৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: Old Testament 2, Lesson 9: Crossing The Red Sea শিরোনামের অধীন অনুচ্ছেদটির ষষ্ঠ লাইনে মনে হয় একটি সামান্য ভুল হয়ে গেছে। লাইনটিতে "জোসেফের বার পুত্র" এর স্থলে মনে হয় জ্যাকব এর বার পুত্র হবে।

এক অসাধারণ পোস্ট সহজবোধ্য ভাষায় লিখে আপনি আমার মত একজন (এ বিষয়ে অজ্ঞ) ব্যক্তিকে অমূল্য জ্ঞান দান করেছেন, এজন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

পোস্টে একাদশতম ভাল লাগার প্রতীক (+) রেখে গেলাম, এবং ভবিষ্যৎ পাঠের জন্য পোস্টটিকে "প্রিয়" তে তুলে রাখলাম।

২৩| ১৯ শে মে, ২০২১ রাত ৯:৩৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: The levitical priesthood এর ছবিটা পরিষ্কারভাবে দেখার জন্য এমজেডএফ আলাদা করে একটি লিঙ্ক দিয়েছেন, এজন্য তাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার পোস্টের সূত্র ধরে কান্ডারি অথর্বও মূল্যবান আলোচনা রেখেছেন। এজন্য তাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

অনেকগুলো প্রতিমন্তব্য খুবই চমৎকার এবং যথোপযুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে ১৪ নম্বর প্রতিমন্তব্যটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।

আপনি এখন আর ব্লগে আসছেন না দেখে আফসোস হচ্ছে। আশাকরি ভাল আছেন, সপরিবারে, সুস্বাস্থ্যে। আপনার জন্য দোয়া এবং শুভভকামনা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.