নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনষ্টাইন এবং নিউটনের স্পেসটাইমের রোমাঞ্চকর দ্বন্দ্ব

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১০



হাজার হাজার বছরের বৈজ্ঞানিক গবেষনা যে টাইম (সময়) আর স্পেস (মহাশুন্য) কে নিত্য এবং ধ্রুব বলে মেনে নিয়ে বিভিন্ন আবিস্কার হল, ১৯০৫ সালে আইনষ্টাইনের থিওরী অভ রিলেটিভিটি এক মুহুর্তে তা নসাৎ করে দিল। তিনি হিসাব কষে দেখালেন একটি ছুটন্ত ট্রেনের যাত্রীর কাছে প্লাটফর্মে দাঁড়ানো যাত্রীর তুলনায় টাইম অবশ্যই ধীরে চলে। মানে হল যে জিনিস যত জোরে ছুটবে সময় তত ধীরে বইবে। তবে সেটা বুজবে ট্রেনে চড়া আর প্লাটফর্মে দাঁড়ানো মানুষটির সাপেক্ষে যে স্থির আছে। সমস্যা হল বর্তমান যুগে যার সামান্যতম অক্ষরজ্ঞান আছে, সেও জানে এই বিশ্ব ব্রাক্ষ্মান্ডের কোন কিছুই স্থির না, গ্রহ বলেন আর গ্যালাক্সি বলেন বা নক্ষত্রপুঞ্জ যাই বলেন সবই নিয়ত নড়াচড়া করছে। তাই সময় ও স্থির না। সময় ও আপেক্ষিক।

আইনষ্টাইন একবার মজা করে বলছিলো “আপনি যদি একটা গরম কেটলিতে এক মিনিট হাত রাখেন তবে মনে হবে এক ঘন্টা আর এক জন সুন্দরী মহিলার পাশে এক ঘন্টা বসে থাকলে মনে হবে এক মিনিট, এটাই আপেক্ষিকতা।” শুধু মাত্র থিওরী দিয়েই বিখ্যাত হয়ে গেলেন ছাব্বিশ বছরের আইনষ্টাইন। সবাই ধন্য ধন্য করছে তাকে।

আর এই “থিওরী অভ রিলেটিভিটি” থিওরী হয়েই আছে এর প্রমান তখনো দেয়া সম্ভব হয় নি। সমস্যা সেখানেও না, সমস্যাটা তখনি তৈরী হল যখন এই থিওরী কে প্রমান করার প্রশ্ন চলে আসল। থিওরী অভ রিলেটিভিটি প্রমান করতে গিয়ে এমন এক আবিস্কারকে চ্যালেঞ্জ জানানো হল যিনি কিনা তখনো ছিলেন পদার্থবিদ্যার অঘোষিত ঈশ্বর। এখান থেকেই গল্প শুরু হল আমার।

১৬৬৬ সালে, ইংল্যান্ডে এক যুবক আপেল বাগানে বসে ছিল হঠাৎ তার সামনে টুপ করে গাছ থেকে আপেল পড়ল। এক লহমায় আবিস্কার হয়ে গেল সেই প্রশ্নের উত্তর যার সমাধান জানার জন্য জন্য বহুরাত না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে কোপারনিকাস, কেপলার, গ্যালিলিও। কেন আমরা মাটিতে আটকে আছি? কেন গাছ থেকে ফল আকাশের দিকে না যেয়ে মাটিতে পরে?



আইজ্যাক নিউটন আবিস্কার করে বসলেন কেন আপেল মাটিতে পরে? তিনি আবিস্কার করলেন এই মহাবিশ্বের সব কিছু, সব কিছুকে আকর্ষন করে। সেই আকর্ষন নির্ভর করে বস্তু দুটোর ভর এবং দূরত্বের ওপর। সে ক্ষেত্রে আপেল পৃথিবীকে আকর্ষন করে আবার পৃথিবী আপেল কে আকর্ষন করে তবে আপেল মাটিতে কেন পরে? উত্তর খুবই সোজা পৃথিবীর ভর আপেলের তুলনায় বেশী।

নিউটনের এই মহাকর্ষ সুত্র পদার্থবিজ্ঞানে এক সাথে “সব পেয়েছির উত্তর” এর সুত্র হয়ে দাড়াল, ধনুক থেকে তীর ছুড়লে তার গতি কি হবে বা হ্যালির ধুমকেতুর গতিবেগ কত হবে সব কিছুর উত্তর এক নিমিষে নিউটনের মহাকর্ষ সুত্র দিয়ে নির্নয় করা সম্ভব হল। নিউটন হয়ে গেলেন পদার্থবিদ্যার ঈশ্বর তার জীবদ্দশাতেই।

এখানে এসেই বিপদে পড়ল আইনষ্টাইনের “থিওরী অভ রিলেটিভি”। আইনষ্টাইন স্পষ্ট বুজলেন, “মহাকর্ষ সুত্র” একটা সীমিত আকারের মাঝে ঠিকই আছে, কিন্তু মহাবিশ্বের হিসাব নিকাষে মারাত্মক গড়মিল আছে। আইনষ্টাইনের মতে টাইম এবং স্পেশ দুটো আলাদা সত্তা না বরং একই সত্তার আলাদা দুটো রূপ। যেমন পানি তরল অবস্থায় ও থাকতে পারে আবার উত্তপ্ত অবস্থায় জলীয় বাস্প হয়ে যায়। জিনিস একই পানি কিন্তু এক সময় তরল এক সময় বাস্প। একই সত্তার দুটো রূপ আর কি।

এই স্পেসটাইম টান টান করে ছড়ানো আছে সমগ্র মহাবিশ্ব বরাবর রাবারের চাদরের মত।



আবার কোন ভারী বস্তু ধরি সূর্য অথবা অন্য কোন গ্রহ নক্ষত্র সেই স্পেসটাইম চাদরের ওপর আসে সেই চাদরের ওপর একটা বড় সড় টোল ফেলে।



অপেক্ষাকৃত কম ভারী গ্রহ বা নক্ষত্র তখন টোল খাওয়া স্পেসটাইমের মাঝে পাক খেয়ে চলে।



নিউটনের মহাকর্ষ সুত্রে এই স্পেসটাইমের কোন বালাই নাই বিধায় সেখান টোল খাওয়া খাওয়ির হিসাব নিকাষ না থাকায় বিশাল মহাশুন্যের হিসাব নিকাষে অনেক গড়মিল হয়ে যাবে। আপেল পৃথিবীর পতনের হিসাব বা হ্যালির ধুমকেতুর গতির হিসাব মহাকর্ষ সুত্র দ্ধারা সম্ভব কিন্তু কোটি কোটি আলোকবর্ষ দুরের কোন কিছু হিসাব করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ন অচল ( বর্তমান স্পেস যুগে আলোকবর্ষ দূরত্বের গ্রহ নক্ষত্র বা স্পেসশীপের হিসাব খুবই সাধারন ব্যাপার)।

আইনষ্টাইন বললেন তিনি তার “থিওরী অভ রিলেটিভিটি” প্রমান করে দেবেন এবং মহাবিশ্বের বিশালতার ক্ষেত্রে “মহাকর্ষ” সুত্রের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দেবেন। “Matter tells space how to bend and space tells matter how to move



এখানেই ক্যাচালটা লেগে গেল আইনষ্টাইন “থিওরী অভ রিলেটিভিটি” এবং নিউটনের “মহাকর্ষ” সুত্র। যারা আইনষ্টাইনকে থিওরী অভ রিলেটিভি সুত্র আবিস্কারের জন্য বাহাবা দিয়েছিল তারাই তখন তাকে বলতে লাগল পাগলামি ছাড়। ম্যাক্স প্লাংকের মত বিজ্ঞানী আইনষ্টাইন কে বলল, “বড় ভাই হিসাবে বলছি একাজ করো না, হয় তুমি সাফল্য পাবে না হলে সাফল্য পেলেও মানুষ বিশ্বাস করবে না।”

আইনষ্টাইন তার সূত্রের বিভিন্ন প্রমান দিতে লাগলেন পৃথিবীর বিভিন্ন চেনা জানা জিনিসের সাপেক্ষে কিন্তু সেগুলো তো নিউটনের সুত্রেও প্রমান করে দেয়া যায় তবে তার সূত্রের বিশেষত্ব কি? আবার কেউ কেউ বললেন প্রমানিত জিনিস প্রমানের মাঝে বাহাদুরি কি? আবার কেউ বললেন তোমার থিওরীই বানিয়েছ মহাকর্ষ সুত্র কে সামনে রেখে তবে এত জ্ঞানী ভাব কেন? মোট কথা আইনষ্টাইনের “থিওরী অভ রিলেটিভি” ইজ্জত যায় যায় অবস্থা।

বিজ্ঞানে কোন থিওরীর প্রমান করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হল থিওরী দিয়ে কোন, না ঘটা ঘটনার ব্যাখ্যা আগে ভাগে দিয়ে দেয়া। তবেই সবার মুখ বন্ধ। আইনষ্টাইনের সমস্যা হল পার্থিব কোন বস্তু দ্ধারা তো স্পেসটাইমের টোল খাওয়া প্রমান করা যাবে না আবার পৃথিবীর ভর সমগ্র মহাবিশ্বের তুলনায় এত অল্প যে তাতে স্পেসটাইমের চাদরে যে টোল খায় তা দিয়ে আশপাশের উপগ্রহর হিসাব দেখানো যাবে না। ধরলেন বৃহস্পতি গ্রহ কিন্তু সে চেষ্টাও ফলপ্রসু হল না। এরপর দৃষ্টি দিলেন সূর্য নামক নক্ষত্রের দিকে।

সুর্যের ভর এত বিশাল যে তা নিশ্চিত ভাবে স্পেসটাইমের চাদরে টোল ফেলবেই এবং তার পেছনে যে তারারা আছে তাদের আলো পৃথিবীতে আসার সময় বক্ররেখা হয়ে আসবে।

কিন্তু সমস্যা হল সুর্যের আলোতে অন্য তারার আলো দেখা যাবে না, এর সমাধানও বের করে ফেললেন আইনষ্টাইন বললেন যখন সূর্য গ্রহন হবে তখন তিনি সূর্যের পেছনে যে তারা আছে তার আলোর পৃথিবীতে পৌছানোর ছবি তুলে দেখিয়ে দেবেন সে আলো সোজা পথে আসছে না আসছে বক্র পথে। যেটা প্রমান করবে স্পেসটাইমের ওপর ভর প্রভাব ফেলে এবং হিসাবেও ভিন্নতা আনে। হিসাব করে দেখা গেল ১৯১৪ সালের ২১ শে আগষ্ট ক্রিমিয়ায় সূর্য গ্রহন হবে। আইনষ্টাইন এর জোর্তিবিদ বন্ধু ফ্রেন্ডলীচ ক্রিমিয়ায় গেলেন। তত দিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ক্রিমিয়ায় ফ্রেন্ডলীচ কে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় । অনেক দেন দরবার করে ২ রা সেপ্টেম্বর সে বার্লিনে ফেরত আসেন। “থিওরী অভ রিলেটিভিটি” প্রমান আবারো ব্যার্থতায় পর্যবসিত হল।

আইনষ্টাইনের থিওরী অভ রিলেটিভিটি প্রমান করেন বৃটিশ বিজ্ঞানী আর্থার এডিংটন। ১৯১৯ সালের ২৯শে মে পূর্ন সূর্যগ্রহন হবে যা দেখা যাবে মধ্য আফ্রিকা এবং দক্ষিন আমেরিকা থেকে, আরো বড় ব্যাপার সে সময় সূর্যের ঠিক পেছনে থাকবে হায়াডেস নক্ষত্রপুচ্ছ। সেখান থেকে আলোর বক্রতার পরিমাপ করে আইনষ্টাইনের থিওরী প্রমান করা যাবে।

সমস্যা হল অন্য জায়গায়, ব্রিটিশ রয়েল একাডেমীর কিছু সদস্য এবং সরকার কোন অবস্থাতেই চাচ্ছিল না এই সব প্রমান ট্রমান তাদের দেশ থেকে হোক কারন পদার্থবিদ্যার ঈশ্বর নিউটন যে তাদের দেশেরই। কিন্তু বিজ্ঞান সাহিত্য এইসব যে সীমানা মানে না তাই আইনষ্টাইনের গুনমুগ্ধ এডিংটন তার ওপরওলাদের বুজালেন উলটা, “এই জার্মানটা বড় বাড় বেড়েছে আমাকে সুযোগ দাও আমি ওর দেখানো পথেই ওকে প্রমান করে দেব যে তার থিওরী ভুল।” এই বার ব্রিটিশ সরকার এডিংটনকে সব রকমের সহায়তা দিলেন।

১৯১৯ সালের ৮ ই মার্চ HMS Anselm জাহাজে চেপে সে সময়ের সব থেকে শক্তিশালী দুরবীন এবং অনেক যন্ত্রপাতি সহ একদল বিজ্ঞানী সহকারে মাদিরা দ্বীপে গিয়ে দলটি দুভাগে বিভক্ত হয়ে একদল কে পাঠালেন ব্রাজিলের সোব্রাল জঙ্গলে আর নিজে গেলেন মধ্য আফ্রিকায় প্রিন্সেপ শহরে। এর দূরবীন টুরবীন সেট করে ২৯শে মের অপেক্ষায় থাকলেন।


Instruments used during the solar eclipse expedition in Sobral, Brazil.Credit...SSPL, via Getty Images

আইনষ্টাইন তার থিওরীর সাহায্যে হিসাব করে আগেই বলছিলেন সুর্যের পরিধি বরাবর আসার সময় হায়াডেস নক্ষত্রপুঞ্জের আলোক রশ্মি বাকাবে ০.০০০৫°, সহজ ভাষায় এক কিলোমিটার দুরের একটি মোমবাতির আলো ১ সে.মি বায়ে সরালে যা ঠিক ততটুকু। কিন্তু নিউটনের মহাকর্ষ সুত্র অনুযায়ী আলোর তো সরলরেখায় আসার কথা।


How the 1919 Solar Eclipse Made Einstein the World's Most Famous Scientist

প্রিন্সেপের দল মোট ষোলটি ছবি তুলল, তার মাঝে অনেক গুলোই নষ্ট হয়ে গেল, একটি মাত্র ছবি ঠিক ভাবে পাওয়া গেল, অতি সুক্ষ্ম যন্ত্রপাতি দিয়ে হিসাব নিকাষ করে দেখা গেল, তারার আলো সূর্যের পাশ দিয়ে আসার সময় বাঁক নেয় আর তার পরিমান ০.০০০৫°!!!! ঠিক আইনষ্টাইন যেভাবে বলছেন। ব্রাজিল দলের ছবিতেও সেই একই রেজাল্ট।

১৯১৯ সালের ৬ ই নভেম্ভর লন্ডনের রয়েল এ্যাষ্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটির হলে তিল ধারনের জায়গা নেই। আস্তে আস্তে এডিংটন ষ্টেজে উঠলেন। ব্যাখ্যা করলেন গোটা অভিযান এবং প্রমান পেশ করলেন। পরদিন লন্ডনের “The Times” পত্রিকায় হেডিং আসল “Revolution of science – New theory of universe – Newtonian Ideas overthrown

আইনষ্টাইন তখন নিজের অন্য একটা গবেষনা নিয়ে ব্যাস্ত তার এক ছাত্র ছুটতে ছুটতে এসে তাকে বলল, “স্যার আপনার থিওরী প্রমানিত”

আইনষ্টাইন শুধু বললেন “ও আচ্ছা।”

ছাত্র আবার জিজ্ঞাস করল, “কিন্তু স্যার আপনার থিওরী যদি ভুল প্রমানিত হত?”

আইনষ্টাইন তখন যে জবাব দিল তা বিজ্ঞানের ইতিহাসে অমর হয়ে আছে, “সেক্ষেত্রে ঈশ্বরের প্রতি আমার করুনা হত কারন আমি জানি আমি নির্ভুল।” আইনষ্টাইন রাতারাতি পদার্থবিদ্যার ঈশ্বরের জায়গা করে নিলেন নিউটন কে সরিয়ে।

বিজ্ঞানের দুটি শর্তঃ তত্ত্ব এবং প্রমান। আইনষ্টাইন তত্ত্ব দিয়েছেন আর এডিংটন তা প্রমান করেন। এই এডিংটনকে একবার রিলেটিভিটি বিশেষজ্ঞ লুডভিগ সিলভারষ্টেইন বলছিলেন, “আপনিই তো এই জগতের তিনজনের একজন যিনি রিলেটিভিটি বোজেন।”

জবাবে এডিংটন অবাক বিস্ময়ে উত্তর দিয়েছিলেন, “ভাবছি আমি আর আইনষ্টাইন ছাড়া সেই তৃতীয় জন কে?”


আইনষ্টাইন এবং এডিংটন

আমি শুধু বিজ্ঞানের এক মহান আবিস্কারের এবং প্রমানের থ্রিলিং গল্পটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তবে এহেন আইনষ্টাইনের ভুলও কিন্তু শুধরে দিয়েছিলেন এক মহান বিজ্ঞানী এবং তিনি ছিলেন বাঙ্গালী যার নাম সত্যেন্দ্রনাথ বোস। বোস আইনষ্টাইন কনডেনসেট থিওরী নামে যা সারা দুনিয়ায় পরিচিত। ভালো লাগলে আর একদিন তার গল্প শোনাব।

আইনষ্টাইনের একটা উক্তি যা আমার ভীষন পছন্দঃ



যারা এই ধরনের লেখা পছন্দ করেন তারা বিড়ালটি বেচে আছে আবার মরে গেছেঃ শ্রোয়েডিংগারের সংকট লেখাটি দেখতে পারেন। আমার নিজের খুব পছন্দের ব্যাপার। কোয়ান্টম মেকানিক্সের সাথে জড়িত।। আর একটা লেখা বড় ভাইরে আকাশে পাঠালে ভাইয়ের বয়স কমে কেন? ভারী বস্তুর পাশ দিয়ে গেলে আলো বাঁকে কেন? এটাও দারুন একটা লেখা পড়ে দেখতে পারেন।।

কৃতজ্ঞতাঃ বিভিন্ন পত্রিকা এবং ইন্টারনেট

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫৩

কলাবাগান১ বলেছেন: "১৯১৪ সালের ২১ শে আগষ্ট ক্রিমিয়ায় সূর্য গ্রহন হবে। আইনষ্টাইন তার জোর্তিবিদ বন্ধু ফ্রেন্ডলীচ কে নিয়ে ক্রিমিয়ায় গেলেন। তত দিন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। ক্রিমিয়ায় আইনষ্টাইন এবং ফ্রেন্ডলীচ কে গুপ্তচর সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়"

আইনস্টাইন কোনদিন ক্রাইমিয়াতে যান নাই

সুন্দর হয়েছে লিখা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২২

শের শায়রী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যর পর ডাবল চেক করতে গিয়ে দেখি দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ওখানে ফ্রেন্ডলীচ গিয়েছিল। আইনষ্টাইন যায় নি। ওখানে ফ্রেন্ডলীচকে গুপ্তচর সন্দেহে আটক করে। আমি দুঃখিত। আসলে এটা লিখতে গিয়ে বেশ কিছু ফিচার নাড়াচাড়া করতে গিয়ে এই ইনফোটা ভুল হয়েছে। ধরিয়ে দেবার জন্য কৃতজ্ঞতা। আমি ঠিক করে দিচ্ছি।

আশা করি ভবিষ্যতেও এভাবে সাহায্য করবেন যদি সময় পান।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



১ নং মন্তব্য কি সঠিক?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:২৮

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা সঠিক লিঙ্ক সহকারে দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শুধরে দিয়েছি উনার কমেন্টে।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৩৬

নতুন বলেছেন: চমতকার ++

আপনার লেখাগুলি পুরোটা পড়া হয় কারন আপনার বলার স্টাইলটা সহজ...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪০

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, ওটা ভয়ংকর কিছু নয়; "স্পেস- টাইম"কে্ে আপনি যেভাবে বর্ণনা করেছেন, সেটা কি আইনষ্টাইনের সাথে মিল আছে কিনা দেখতে হবে।

বিজ্ঞান নিয়ে লিখছেন, খুবই ভালো কথা

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫১

শের শায়রী বলেছেন: আ প্লেযার। তবে ধর্ম এবং ইতিহাস আমার প্রিয় বিষয়। আমার ম্যাক্সিমাম লেখাই ওই সব বিষয়।। আর স্পেসটাইম নিয়ে আইনষ্টাইন কি বলছে আপনি জানার পর এসে একটু জানিয়ে গেলে খুশী হব। অপেক্ষায় থাকলাম।

ভালো থাকুন।

৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩০

ইসিয়াক বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটি লেখা আমাকে আকর্ষণ করে।
যদিও এ সম্পর্কিত জ্ঞান আমার সীমিত । আমার জানার ও বোঝার পরিধি আপনার পোষ্টের কারণে বাড়ছে ....
পোষ্টে ভালো লাগা।
ধন্যবাদ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০২

শের শায়রী বলেছেন: পড়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ছোটবেলায় একবার ভেবেছিলাম বিজ্ঞানী হবো। কিন্তু আমার কোনো চিন্তা ভাবনাই দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই এই পোষ্টটার ভাবনা মাথায় আসছে আমার গত পোষ্ট মানে ভাসমান পৃথিবীর কথা কন্টিনেন্টাল ড্রিফট থিওরী এবং প্লেট টেকটোনিক থিওরী আপনার কমেন্টের কথা মাথায় রেখে, ওই পোষ্টে বিজ্ঞানের একটা ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করছিলাম মন্তব্যে।

সেটার উদাহরন আর প্রমান খুজতে গিয়ে এই পোষ্টের অবতারনা। পোষ্টে যদি কারো ভালো লাগা থাকে সে কৃতিত্ব আপনার। আর যদি কোন ভুল ভ্রান্তি হয় সে দায়িত্ব একান্ত আমার। :)

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫

শায়মা বলেছেন: বাপরে! এত যুদ্ধ বিগ্রহ করে করে তারা টাইম স্পেস, গ্রাভিটি নিয়ে ভাবলো। ছবি তুলতে গিয়েও কত বিপদে পড়লো। আর আমরা আজ মহানন্দে তার উপরে বাস করে চলেছি!

তবে স্টুপিডিটি আর জিনিয়াস নিয়ে আইন্স্টাইনের মন্তব্যটা দারুন! :P

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

শের শায়রী বলেছেন: বোন আমি আসলে অনেক গুলো ব্যাপার বাদ দিয়ে কাট ছাট করে লিখছি, যদি সব ব্যাপারগুলো তুলে দিতাম তবে দেখতেন আরো কত ফ্যাসাদে পড়ছিলো এইটা প্রমানে গিয়ে, সূর্যগ্রহনের দিন দুপুর পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে ওদিকে গ্রহনকাল শেষ হয়ে যাচ্ছে কি যে ফ্যাসাদ এমন আরো অনেক কিছু আছে।

ষ্টুপিডিটি জিনিয়াস নিয়ে অনেক আগেই একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম জ্ঞানের সীমা চিরকালই আছে কিন্তু অজ্ঞতার সীমা কোন দিনই ছিল না হাতে সময় থাকলে এক ঘুরে আসার আমন্ত্রন রইল।

অনেক ধন্যবাদ।।

৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১১

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
খুব জ্ঞানের কথা।
বিজ্ঞানের নারী নক্ষত্র বুঝিনা বলে
বিজ্ঞান নিয়ে পড়া হয়নি।
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৯

শের শায়রী বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।

৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ফাটাফাটি পোস্ট ! মাগার বাস্তব জীবনে সাথে আইনস্টাইনের সূত্র কামে লাগে না ! আমি যখন প্রচন্ড ব্যস্ত থাকি, প্রচন্ড গতিতে কাজ করি , আইনস্টাইনের সূত্র অনুযায়ী সময় ধীরে বহেনা ! বরং হাতে পায়ে ধরিয়াও সময় কে ধরিয়া রাখা যায় না , " জারা ধীরে চালোজি" কহিলেও গতি কমায় না ! তাই আইনস্টাইনের থিওরি বুল !

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ইশশিরে ভাই আইনষ্টাইন এখন বাইচা থাকলে তার থিওরী কারেকশান কইরা নিত আর কারেকশানের নাম হত "টারজান০০০০৭ আইনষ্টাইন কারেকশান" কপালই আপনের খারাপ ভাই, ব্যাডায় কয়েক বছর আগে মইরা গেছে। ;)

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫০

জুল ভার্ন বলেছেন: তোমার লেখা মানেই তথ্য তত্ব আর জ্ঞানের এনসাক্লোপিডিয়া! খুব পরিশ্রম করে এক একটা পোস্ট সাজাও যা পড়ে পাঠক তার জ্ঞানের ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করতে পারে। আরো লেখো....
শুভ কামনা। +

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই।

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৩

করুণাধারা বলেছেন: ভারী জিনিসের উপস্থিতিতে স্পেস টাইম কার্ভেচার আলোকরশ্মিকে বাঁকিয়ে দেয়, এটুকু জানা ছিল। কিন্তু কিভাবে সেটা করে জানতাম না, আর এর প্রমাণ করা নিয়ে যে এত কাহিনী সেটাও জানতাম না। ১ ডিগ্রির ১০ হাজার ভাগের ৫ ভাগ- এটাও মাপা সম্ভব!!! বিজ্ঞানীরা কত কিছুই না করতে পারেন! আপনি এমন জলবৎ তরলং করে একটা কঠিন বিষয়ে লিখেছেন যে, আমি সমস্ত কাজকর্ম ফেলে এটা পড়তে শুরু করে একদমে শেষ করে আমার মন্তব্য লিখতে লগইন করলাম, +++++++++++++++++++

দয়া করে ভবিষ্যতেও এমন লেখা, দিন সামুতে বিজ্ঞান লেখক খুবই অভাব।

আইনস্টাইনকে চিনতে পারলাম, পাশে বসা উনি কি এডিংটন? শুভকামনা রইল।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪২

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমি নিজেও বিজ্ঞান ভালো বুজি না। কোন রকম জোড়াতালি মেরে দু একটা পোষ্ট দেই। আপনার ভালো লেগেছে জেনে কৃতার্থ। হ্যা আইনষ্টাইনের পাশে এডিংটন বসা।

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বুঝা যাচ্ছে 'আলো সরল পথে চলে' এটা সব সময় সঠিক নয় !
চমৎকার পোস্টের জন্য অভিনন্দন নিন!

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন লিটন ভাই।

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মনোমুগ্ধকর লেখা।

আইনস্টাইনের থিওরি অব রিলেটিভি প্রমাণিত হলো, কিন্তু আইনস্টাইন কি নিউটনের মহাকর্ষ সূত্রের সীমাবদ্ধতা দেখিয়ে দিয়েছিলেন? সেটা কী ছিল? নিউটনের ৩য় সূত্রে নাকি কিছু ভুল আছে শুনেছিলাম, এটা কি সত্যি? সত্যি হলে ভুলটা কী?

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫১

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই সালাম সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই। অনেক দিন পর আপনার সাথে দেখা হল।

মহাকর্ষ সুত্রের সীমাবদ্ধতা হচ্ছে পৃথিবী এবং আশেপাশের পরিসরে এটার হিসাব নিকাশ ঠিক আছে কিন্তু যখনি আপনি মহাশুন্যের বিশাল পরিসরে বিভিন্ন হিসাব নিকাষ করতে যাবেন তখন এই মহাকর্ষ সুত্র অচল কারন নিউটনের মহাকর্ষ সুত্রে স্পেসটাইমের ব্যাপারটা নাই। এদিক থেকে আইনষ্টাইনের রিলিটিভিটি নিউটনের মহাকর্ষ সুত্রকে কাভার করে মহাবিশ্বের অনেক অনেক দুরের (আমি আলোকবর্ষ) হিসাব করা যায় নিখুতভাবে। আর মহাশুন্যের সামান্য হিসাবে গড়মিল হলে লক্ষ কোটি মাইল এদিক ওদিক হয়ে যায়।

আমি আসলে জানিনা নিউটনের তৃতীয় সুত্রের ভুল আছে কিনা। কোথাও দেখি নি।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন উদার মনের আধুনিক মানুষ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: এ আপনার উদার এবং উচু মানসিকতা। আর এ ধরনের মানসিকতাই আপনাকে সাধারন কিছুকে অসাধারন প্রশংসা করতে উদ্ভুদ্ধ করে। আমার কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই।

১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। বিজ্ঞানের মতো খটোমটো বিষয়কে এত সহজবোধ্যভাবে সবাই লিখতে পারে না। ধন্যবাদ ভাই শের শায়রী।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই।

১৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুগ্ধ পাঠ!

এত সাবলীল ভাবে এত কঠিন্বিষয়কে উপস্থাপন করেছেন.. ব্রােভা! গ্রেট!
টুপি খোলা অভিবাদন নিন ভায়া :)

এরকম জেম্পস জিনিষ যিদ স্মরিনকায় না পাই... আপনার সাতে কাট্টি! ;)






০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫১

শের শায়রী বলেছেন: সেই পথ চলা শুরু থেকে আপনার উৎসাহ আমাকে প্রেরনা দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও যেন পাই এই কামনায় ভ্রাতা।

১৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০২

পুলক ঢালী বলেছেন: বিজ্ঞানের জটিল বিষয় এত সরস ও সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন যে গোগ্রাসে খাওয়ার পর মনে হল এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল ?? :D
খুব ভাল লাগলো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা পুলক ভাই। এটা বিড়ালটি বেচে আছে আবার মরে গেছেঃ শ্রোয়েডিংগারের সংকট কি দেখছেন?

১৮| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিউটনের সূত্রগুলো ভূপৃষ্ঠে ঠিক আছে কিন্তু স্পেসে বৃহৎ পরিসরে কিছু ব্যাতিক্রম হয়।
তাই বলে সব বাতিল হয়ে যায় না।

বিজ্ঞানের প্রমানিত জিনিসগুলো একটি অপরটিকে খন্ডন করে না। আপডেট করে।
সেটা নিউটন হোক আর ডারউইন হোক।

পোস্টে ++

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: আমিও তাই লিখছি পোষ্টে। ধন্যবাদ ভাই।

১৯| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৪

পল্লব কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। কঠিন বিষয়টাকে অনেক সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন। শুভকামনা।
++++++

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

২০| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মুল্যবান তথ্যসমৃদ্ধ অসাধারণ পোষ্ট ।
সরাসরি প্রিয়তে ।

শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:০১

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

২১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৪৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




সতেন্দ্রনাথ আইনস্টাইনের যৌথ গবেষনা কর্ম সহ বিখ্যাত বাংগালি বিজ্ঞানী সতেন্দ্রনাথ বসুকে নিয়ে পোষ্ট দিলে ভাল হয় । তাঁর কির্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে পদার্থ বিজ্ঞানের মত জটিল বিষয়ের উপর আপনার সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষা হতে। এই পোষ্টে থাকা বোস আইস্টাইন কনডেনসেট লিংকটিতে গিয়ে তেমন কিছু দেখতে পেলাম না ।তবে নীচের এই লিংকে গিয়ে কিছুটা জানা হলো Click This Link
আপনার মুল্যবান লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

শের শায়রী বলেছেন: ডঃ আলী ভাই, আমি আসলে বিজ্ঞানের ব্যাপারে খুব কম বুজি, সাহস করে বিভিন্ন জার্নাল ফার্নাল দেখে দু' একটা লেখা দিয়েছি এই পর্যন্ত। বোস আইনষ্টাইন থিওরী নিয়ে কিছু লেখার সাহস এখনো করে উঠিনি। পড়াশুনা করতে হবে আরো। আপনার লিঙ্ক টা অনেক উপকার হবে যদি সাহস করে পোষ্ট দিতে পারি।

আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই ব্যাপারে লেখার। পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

২২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: জটিল (অন্তত আমার কাছে ) একটা বিষয় কতই না সহজে প্রকাশ করলেন। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই আমার, হয়ত ভালোবাসার কারনে আমার মত নগন্য একজনের লেখা আপনার কাছে সহজবোধ্য মনে হয়েছে। আমি শিওর একটু চেষ্টা করলে আপনিও এরকম লিখতে পারবেন। আমার থেকেও ভালো ভাবে পারবেন এ বিশ্বাস আমার আছে।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

২৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: খুবই সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করেছেন। ভালো লাগলো।

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৫

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

ঘুটুরি বলেছেন: এক রাশ মুগ্ধতা

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানুন।

২৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৮

কালো যাদুকর বলেছেন: এই তথ্য গুলো জানা ছিল টুকরো আকারে। সবকিছু একটি লেখাতে খুবই সুন্দর করে লিখেছেন। এর সূত্র ধরে আপনার পুরনো লেখা গুলো পরলাম। খুবই আকর্ষনীয় ভঙ্গিতে ডকুমেন্টারি টাইপ লিখার হাত আপনার। অভিনন্দন। ভাল থাকুন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনিও ভালো থাকুন

২৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৫৪

ইমরান আশফাক বলেছেন: ইতিহাস, ধর্ম ও বিজ্ঞান, সব জায়গাতেই আপনার এমন স্বাচ্ছন্দ্য বিচরন.............। :|

ব্যাপারটা অবাক করার মতই। যাই হোক, আপনার কাছ থেকে নিয়মিত পোষ্ট চাই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

শের শায়রী বলেছেন: আমার নিজস্বতা তো কিছু নেই এই সব লেখায় ভাই, বিভিন্ন বই, পত্র, জার্নাল দেখে এখান থেকে দু লাইন ওখান থেকে তিন লাইন যোগ দিয়ে পোষ্ট দেই। চাইলে যে কেউ এর থেকে ভালো লিখতে পারবেন এ বিশ্বাস আমার আছে একটু চেষ্টা করলেই।

পাঠে কৃতজ্ঞতা। চেষ্টা থাকবে ভাই।

২৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: একজন রিসার্চার কতটা অধ্যাবসায়ি তাদের গবেষণা তাই বলে দেয়। আমি অপেক্ষায় থাকলাম আমাদের সত্যেন বোস কে নিয়ে একটা পোস্ট যদি দেন। দারুন বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্টের জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: শুকরিয়া ভাইডি। দেখি সত্যেন বোস কে নিয়ে একটা লেখা লেখব।

২৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫১

সোহানী বলেছেন: এরকম খটমটে বিষয় আপনি এতো সহজ সরল ও চমৎকারভাবে উপস্থাপন করেছেন যে আইনাস্টাইন বেচেঁ থাকলে আপনার জন্য একটা প্রশংসা পত্র পাঠাতো নিশ্চিত। এই ধরেন আমি, বিজ্ঞানের অ আ বুঝি না, হকিং এর ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম তৃতীয় পড়ে বোঝার চেস্টা করে ক্ষান্ত দিয়েছিলাম :( । আমিও কিছুটা হলেও আপনার লিখা পড়ে আইনাস্টাইন এর থিউরি বুঝতে শুরু করলাম ;) যদিও আমি বিজ্ঞান আমার বিষয় নয় তবে পড়তে ভালো লাগে।

এরকম অনেক অনেক লিখা চাই...............

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৪

শের শায়রী বলেছেন: বোন আইনষ্টাইন জীবিত থাকলে প্রশংসাপত্র পাঠালে তো বাচা যেত কিন্তু যদি মারতে আসত এই বলে যে "তুই আমার "রিলেটিভিটিরে" না বুইজা ছাড়াব্যাড়া কইরা দিছস ক্যা? যা বুজস না তাতে হাত দ্যাস ক্যা?" তাইলে কি হত একবার চিন্তা করেন, ওই পাগল আবার খুব ভালো বেহালা বাজাত। হয়ত বেহালাটাই আমার মাথায় বা পিঠে ভাঙ্গত। তার এই ভালো হয়েছে ঠিক হোক আর ভুল হোক যা বুজছি ওর মরার পর বুজছি :)

এ রকম অনেক লেখা আমারো লিখতে ইচ্ছা করে বোন কিন্তু আমার মত গাধা দিয়ে তো রেসের ঘোড়ার কাজ করানো যাবে না :P নিজে অতি সামান্য জানি, কিছু লিখতে গেলে ভয় হয় কোথায় ভুল টা হয়ে গেল এই আর কি! কে কোন জায়গা দিয়ে ধরে নাকানি চুবানি খাওয়ায় :D

২৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পুরনো কাহিনি আবারো পড়লাম। সুন্দর করে লিখেছেন ।

ছোটবেলায় চাদরের উপর একটা বড় কমলা রেখে তার চারদিকে ছোট কমলা দিয়ে মহাকর্ষ ক্ষেত্রের পরীক্ষা করেছিলাম :D

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর্কিওপটেরিক্স ভাই। :) আপনার পরীক্ষার কথা শুনে আমারো এক্সপেরিমেন্টটা করতে লোভ হচ্ছে, করে দেখব নাকি :) ?

৩০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: করে ফেলুন চুপিচুপি :)

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: তবে তাই হোক মহাশয় :)

৩১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

সাকিবুল ইসলাম সাজ্জাদ বলেছেন: পড়লাম, খুবই ভাল লাগছে এত সুন্দর একটা লেখা নিমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ। আমি ডিসকাশনের জন্য একটা ছোট্ট ব্যাপার শেয়ার করতে চাই।
আপনি একটা জায়গায় লিখছেন যে পৃথিবী এর ভর খুব কম ফলে এর জন্য স্পেস টাইম বাঁকবে না বা টোল খাবে না এমন কিছু না। আসলে রিলেটিভিটি হচ্ছে এখন পর্যন্ত কসমোলজি ব্যাখ্যার জন্য সার্বজনীন একটা থিওরি। এইখানে পৃথিবীর জন্য স্পেস টাইম বাঁকবে না। আর এই স্পেস টাইম না বাকলে অভিকর্ষজ ত্বরণ সৃষ্টি হত না। বস্তু পৃথিবীর টানে নিচে পড়ত না। সহজ ভাবে চিন্তা করেন- একটা টান টান চাদর এর মাঝে একটা ছোট্ট আপেল রাখলে মাঝে একটা গর্ত হয়, আপেল চাদরকে বাঁকায়ে ফেলে। সেইখানে একটা মার্বেল ছেড়ে দিলে মার্বেল গড়ায়ে গড়ায়ে আপেলদের তৈরি গড়তের মধ্যে পরে যায়। এখন আপনি এর পর যা বলছেন সেইটা থিক, এইটা পৃথিবীতে বসে পর্যবেক্ষণ করা যাবে না। বাইরে থেকে দেখতে হবে। তখনও রকেট আসে নাই, দেখার একটা উপায় সূর্যগ্রহণ।

ধইন্না পাতা অসম্ভব সুন্দর করে আইনস্টাইন আর এডিংতনের রোমান্স তুলে ধরার জন্য।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: দারুন এক মন্তব্যে ভালোলাগা জানুন। অশেষ ধন্যবাদ।

৩২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

ইফতি সৌরভ বলেছেন: গুরুগম্ভীর বিষয় সহজ করে পড়তে খুব ভালো লাগল। এ সময়ে এমন লেখা খুব কার্যকর। আমরা এখন ঘরে বসে দেখতে পারব, কোন বস্তু টান টান চাদরে কতটুকু গর্ত করে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৭

শের শায়রী বলেছেন: তাড়াতাড়ি পরীক্ষাটা করে ফেলুন এবং আমাদের জানান। অনেক অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.