নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ম ও বিজ্ঞান আসলেই কি সাংঘর্ষিক

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০



ধর্ম নিয়ে আমি পারতপক্ষে কোন আলাপ করি না। কারো সাথে না। করা পছন্দও করিনা। আমি কার সাথে ধর্ম নিয়ে আলাপ করব? সেই ধার্মিকের সাথে যে কিনা ভারতে মসজিদ ভাঙ্গছে দেখে বাংলাদেশে মন্দির ভাঙ্গার স্লোগান দেয়? আমি কোন হুজুরের সাথে ধর্ম নিয়ে আলাপ করব যে কিনা পবিত্র কোরান শরীফ পড়তেই পারে কিন্তু তার অন্তঃর্নিহিত কিছুই বোজে না?

আমি কি সেই পাদ্রীর সাথে বাইবেল নিয়ে আলাপ করব যে কিনা জানেই না যে বর্তমান বাইবেল কোন ঐশী গ্রন্থ ই না এটা ৬ষ্ঠ শতকে রাজা কনষ্ট্যানটিন এর আহ্বানে সে সময়ের ক্রিশ্চিয়ান ধর্মগুরুদের মোডিফাইড বাইবেল।

অতীত বা বর্তমান অন লাইনে কিছু মানুষ আস্তিক নাস্তিক ইস্যু নিয়ে বেজায় ঝগড়া করছে ভাব খানা যেন এমন পরস্পর পরস্পরকে বিশ্বাসীরা সব গাধা আর অবিশ্বাসীরা সব ইবলিশ প্রমান করতে পারলেই মোক্ষ লাভ। যে নিজেকে আস্তিক দাবী করছে কোন যুক্তির ধার না ধরে পবিত্র কোরানের বা বাইবেলের ইচ্ছামত ব্যাখ্যা দিয়ে নাস্তিক কে জ্ঞান দেয়ার মাঝে নিজে অনেক পূন্য অর্জন করে। আর যারা নিজেদের নাস্তিক দাবী করে তারা তো কোটি কোটি বিশ্বাসীর সৃষ্টিকর্তা বা নবী রাসুল দের অপমান গালাগালি করে নিজেকে বিশ্বাসদের ওপরে স্থান অর্জন করাতে পেরে বিশাল আত্ম তৃপ্তি লাভ করে।

আমি বিশ্বাস করি পৃথিবী অচিরেই বড় কোন মীমাংসার দিকে যাবে । সেদিকেই সায়েন্স যাচ্ছে। বিজ্ঞান এবং ধর্ম অনেকেই কন্ট্রাডাক্টরি বলে দাবী করেন। কোন ধর্ম এবং বিজ্ঞান সাংঘার্ষিক? অবশ্যই যে ধর্ম ডাইনি পোড়ান সমর্থন করে (মধ্যযুগে ইউরোপে) অথবা যে ধর্ম গরুর পেচ্ছাব খাওয়াকে পবিত্র ভাবে অথবা যে ধর্ম ইসলামের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা করে (আই এস) সে ধর্মের সাথে বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক।

আমি মুসলমান, আমার চোখের সামনে ধর্মের নামে আমি কোন দিন কোন অন্য ধর্মাবলাম্বীকে হত্যা অথবা তাদের উপসানলয় ভাঙ্গা হতে দেব না, ভারতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গছে দেখে এদেশে আমি মন্দির ভাঙ্গতে উৎসাহ দেব? ভুল ভেবেছেন আপনি। আমার ইসলাম কোন দিন এটা বলে নাই। আমিও করব না।

“কোয়ান্টাম মেকানিক্স” বিজ্ঞানের এক আধুনিক শাখা, এটা যতটা না বৈজ্ঞানিক তার থেকে আধ্যাত্মিক। পৃথিবীতে খুব অল্প মানুষ ই কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে আলাপ করার যোগ্যতা রাখে। এই আধ্যাত্মিকতাই এখন বিজ্ঞানের সর্ব শেষ শাখা। কিছু দিন আগে অন্য এক পোষ্টে “বিড়ালটি বেচে আছে আবার মরে গেছেঃ শ্রোয়েডিংগারের সংকট” নামে কোয়ান্টাম নিয়ে কিছু লিখছিলাম (আবার আমাকে কোয়ান্টাম কুতুব ভাববেন না, নিজেও কিছু জানি না তাই জানার জন্য পড়ছি সোজা ভাবে কিছু বুজতে পারলে লিখে রাখি)। কোয়ান্টাম বলে প্রতিটা ব্যাপার দুই অবস্থানে থাকে একই সাথে, “হতে পারে, না ও হতে পারে” কোন শক্তিশালী ম্যাটার সেই নিশ্চয়, অনিশ্চয় অবস্থা থেকে ব্যাপারটা বের করে আনে। প্রায় প্রতিটা ধর্মেই আছে সৃষ্টিকর্তা বলেছেন, “হও” এবং মানুষ, পৃথিবী তৈরী হয়েছে। এই হওয়া, না হওয়া কে, যে হুকুম করে হওয়ায় সেই সৃষ্টিকর্তা। আপেক্ষিক তত্ত্ব আমাদের বিগ ব্যাং পর্যন্ত নিয়ে গেছে কিন্তু তারপর কেবলই ব্লাক হোল। কোয়ান্টাম মেকানিক্স তারপর নিয়ে যাবে যদিও ব্যাপারটা এক দম প্রাক পর্যায়ে। পারমানবিক বোমা নিয়ে মানুষ যে আতংকে আছে তার থেকে হাজার কোটি গুন শক্তিশালী পাওয়ার মানুষ হাতে পাবে যে দিন এই কোয়ান্টাম শক্তিকে মানুষ কাজে লাগাবে।

তাত্ত্বিক জ্ঞানে কোয়ান্টাম হল ইলেকট্রন প্রোটন নিউট্রনের আবর্তনের দিক এবং এটা কখনো তরঙ্গ আকারে কখনো অক্ষরেখায় প্রতিফলিত হয় এখানেও অনিশ্চয়তা। আর এনিয়ে আলাপে যাব না।

বিজ্ঞানের এক বিশেষ শাখা মানুষের মনের ক্ষমতা ( অনেকে একে কল্পনা বলেন) নিয়ে কাজ করছে, এবং এটা এখনো গোপন প্রোজেক্ট এ আছে । টেলিপ্যাথি কিন্তু এখন আর অলৌকিক কিছু না, যদিও পুরো ব্যাপারটা মানুষ এখনো কন্ট্রোলে আনতে পারে নি। হয়ত কয়েক শত বছর লাগবে। আত্মা আছে কি নেই এ নিয়ে বিলিয়ন ডলারের গবেষনা চলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান নাৎসী বাহিনী গোপনে অনেক বৈজ্ঞানিক গবেষনা করছে যেগুলো সাধারন বিজ্ঞান গবেষনার মাঝে কোন ভাবেই পরে না, এমনকি সরকারী গোপন তত্ত্বাবধানে ব্লাক ম্যাজিক এর ওপর গবেষনা চালাত যারা এই সব বিষয়ে এক্সপার্ট তাদের দিয়ে। দূর দৃষ্টি, টেলিপোর্টেশান এই সব গোপন গবেষনার পেছনে সি আই এ বা বিভিন্ন ইনিষ্টিটিউট অঢেল ডলার ঢালছে। কেন? ধর্মীয় বিভিন্ন বইপত্রে তো এগুলোর অহরহ উল্লেখ্য আছে, তবে বিজ্ঞান কেন এগুলো নিয়ে গবেষনা করবে? আর গবেষনা করে যেদিন বাস্তব প্রমান দিতে পারবে সেদিন কি ধর্মকে অবজ্ঞা করা হবে না ধর্মকে আরো জোরালো করবে? নাকি বিজ্ঞান নিজের অবস্থান থেকে নীচে নেমে যাবে?

হাজার বছরের পুরানো ধর্ম যেখানে উড়ন্ত মানুষের কথা বলে গেছে ( গিলগামেশ, পুরানো চাইনীজ ধর্মীয় বই, মায়া সভ্যতা) সেটা আজকের বিজ্ঞানে বাস্তব হয়ে দাড়িয়েছে, মানে কি বিজ্ঞান কি ধর্মকে অসাড় প্রমান করল না ধর্মকে আরো বাস্তবে রূপ দিল?

এ নিয়ে আলাপ করার মত মানুষ কোথায়? তাই যখন এই ব্লগ বা ফেসবুকে জ্ঞানী আস্তিক নাস্তিক তর্ক দেখি নিজের অজ্ঞতায় লজ্জিত হই। আমি আসলেই কত কম জানি। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মূল পার্থক্য কোথায়? নিজেকে নিজে অনেক প্রশ্ন করছি, নিজের সামান্য জ্ঞানে যেটুকু বুজছি তাতে এটুকু বুজি বিজ্ঞান বাস্তব ( এই বাস্তব জিনিসটা বলতে আমরা যা বুজি সেটাও কতটা বাস্তব তাও কিন্তু প্রশ্ন সাপেক্ষ, এই বিজ্ঞান ই এখন মিরর ওয়ার্ল্ড, প্যারালাল ওয়ার্ল্ড বলে অনেক কিছু নিয়ে গবেষনা করছে যা আমাদের চেনা জানা “বাস্তব” শব্দকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়। এনিয়ে আর কথা বাড়াব না কারন মিরর ওয়ার্ল্ড বা প্যারালাল ওয়ার্ল্ড এত বিশাল ব্যাপার লিখতে গেলে তা নিয়ে আলাদা কয়েকটা পোষ্ট হয়ে যাবে নেটে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন) এবং প্রমান সাপেক্ষে যা সিদ্ধ তাকে গ্রহন করে আর ধর্ম হল বিশ্বাসের ব্যাপার। বিজ্ঞান যেহেতু আল্লাহ গড বা ভগবানকে দেখছে না তাই তাকে গ্রহন করছে না। আর ধর্ম কোন প্রমান ট্রমান ছাড়াই সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করছে। এই তো মুল ব্যাপার, নাকি? আচ্ছা এই পর্যন্ত এটুকু থাকুক। এর জবাব পরে খুজব। চলুন অন্য দিক দিয়ে একটু ঘুরে আসি।

পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যাক্তি আছে যারা মোটেই ধার্মিক ছিলেন না তারাও বিশ্বাস করত মানুষের মনে এক বিরাট শক্তি আছে। বিখ্যাত হার্মাটিক প্রবাদ, “তুমি কি এখনো জানো না, তুমি নিজেই ঈশ্বর?” যত ওপরে তত নীচে...... ঈশ্বরের আদলে মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে...... অ্যাপোথিওসিস। অনেক প্রাচীন গ্রন্থে এটা বার বার উল্লেখ্য করা হয়েছে। এমন কি বাইবেলের সামস ৮২:৬ এ জোর দিয়ে বলা আছে “তুমিই ঈশ্বর।“ আবার যদি বিখ্যাত মুসলিম দার্শনিক সুফিবাদী মানসুর হাল্লাজের দিকে তাকান যিনি তার “আনাল হাক্ক” যার মানে হল “আমিই পরম সত্য” (এটা আল্লাহ তায়ালার পবিত্র ৯৯ টি নামের একটি) এই শব্দটির কারনে নিজ ধর্মীয় মানুষদের দ্ধারা বিচারের মাধ্যমে ফাসিতে ঝুলছিলেন এই অভিযোগে যে নিজেকে সে খোদা দাবী করছে। আমি আসলে মানসুর হাল্লাজের ন্যায় অন্যায় বা পক্ষে বিপক্ষে যুক্তির অবতারনার জন্য এই পোষ্ট লিখছি না। তাই এই ব্যাপারে এখানেই ক্ষ্যান্ত দেব।



That which is impenetrable to us really exists. Behind the secrets of nature remains something subtle, intangible, and inexplicable. Veneration for this force beyond anything that we can comprehend is my religion.” “আমাদের বোধগম্যতার বাইরে তার অস্তিত্ব আছে ; প্রকৃতির আড়ালে যে সিক্রেট সেটা খুবই সুক্ষ্ম, অস্পষ্ট এবং রহস্যময়। আমাদের বোধগম্যতার বাইরে এই শক্তিকে পুজো বা আরাধনা বা বন্দনা করাই আমার ধর্ম” কথাটা কে বলছেন জানেন? বিজ্ঞানের শেষ কথা যার কথা সেই এ্যালবার্ট আইনষ্টাইন।



এইবার আসি অন্য একটা প্রসঙ্গে, বিজ্ঞান নিয়ে যাদের কিছুটা ইন্টারেষ্ট আছে তারা “নোয়েটিক সায়েন্স” শব্দটার সাথে কিছুটা হলেও পরিচিত আছে। এই নোয়েটিক সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন এষ্ট্রোনট যার নাম এডগার মিচেল, যিনি কিনা ষষ্ঠ মানব হিসাবে মহাশুন্যে হাটছিলেন। এই নোয়েটিক সায়েন্সের গবেষনার বিষয় কি জানেন হঠাৎ আরোগ্য লাভ, ধ্যান, মানব চেতনা, অল্টারনেট হিলিং, শারিরীক মৃত্যুর পর চেতনা জীবিত রাখা ( নাস্তিক বা যুক্তিবাদীদের কথায় সো কল্ড ধর্মীয় বিষয়) The Institute conducts research on topics such as spontaneous remission, meditation, consciousness, alternative healing practices, consciousness-based healthcare, spirituality, human potential, psychic abilities, psychokinesis and survival of consciousness after bodily death. The Institute maintains a free database, available on the Internet,[2] with citations to more than 6,500 articles about whether physical and mental health benefits might be connected to meditation and yoga.Headquartered outside Petaluma, California, the IONS is situated on a 200-acre (81 ha) campus that includes offices, a research laboratory and a retreat center (originally the campus of World College West). Its current director is Cassandra Vieten. Other researchers associated with it include Dean Radin and Rupert Sheldrake. না মহাশুন্য থেকে এসে এডগার মিচেলরা কিন্তু খ্রীষ্টান পাদ্রী বা মুসলমান হয়ে যায় নি। তারা কিন্তু এগুলো করছে এক দম বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে। এব্যাপারে আর বাড়াব না যারা নোয়েটিক সায়েন্স নিয়ে জানতে চান আমি জাষ্ট উইকি লিঙ্ক দিলাম ক্লিক করে দেখে আসুন এর বাইরেও অনেক আর্টিকেল ফিচার আছে।

প্রায় প্রতিটা ধর্মের অনুসারীদের মাঝে কিছু সিক্রেট কাল্টের দেখা যায়, যারা সাধারন ধর্মাবলাম্বীদের ওপর ওঠে কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজে ফেরে অথবা নিজ সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের চেষ্টা করে। ইসলাম ধর্মে যেমন আছে সুফীবাদ বা মারফতীবাদ। সুফীবাদ নিয়ে কিছু বই পড়তেছি সমস্যা হল আমি প্রায় কিছুই বুজি নাই, এখন কি এর মানে এই যে আমি কিছুই বুজিনা দেখে সুফীবাদ বা মারফতী নিয়ে যারা দিনের পর দিন কঠিন ধ্যান, তপস্যা করে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভ করছে তা কি মিথ্যা হয়ে যাবে?! তবে এটুকু বুজতে পারছি এরা কঠিন তপস্যা বা ধ্যানের মাধ্যমে নিজের মনকে কন্ট্রোল করার একটা ক্ষমতা পেয়ে যায়। আর নিজের কন্ট্রোল থেকে এরা কি দেখতে পায় বা অনুভব করে তা আমাদের সাধারনের বোধগম্যের বাইরে। পৃথিবীতে যুগ যুগ এত মানুষ যে সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য এত এত ত্যাগ করছে তা কি সব বৃথা? সবাই কি বোকা?



প্রতিনিয়ত আমাদের জ্ঞানের বিস্তার ঘটছে বিজ্ঞানের মাধ্যমে, যতই জানতে পারছি ততই শেখার ক্ষমতা বাড়ছে, বাড়ছে আমাদের জ্ঞানের পরিধি। বিজ্ঞানে এটা আমরা সব সময়ই দেখে আসছি একটা নতুন আবিস্কার আর একটা নতুন আবিস্কারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে...... এভাবেই চলছে। জ্যামিতিক অনুপাতে এটা বিকশিত হচ্ছে। এজন্যই বিগত পাচ হাজারে বছরের চেয়ে গত দশ বছরে বিজ্ঞান অনেক এগিয়েছে। এখন তো প্রতি মুহুর্তে এগিয়ে যাচ্ছে, প্রতি নিয়ত গতি বাড়ছে।

ধর্ম মানে দেওয়ানবাগী বা বাবা নিত্যানন্দ না, ধর্ম মানে ঐশী বানীকে বিজ্ঞানের ওপর স্থান দেয়া না অথবা সব বিজ্ঞানের এক এনসাইক্লোপিডিয়া না। বান্দর দিয়ে মানুষ, না মানুষ দিয়ে বান্দর এই প্রশ্নের তর্ক বিতর্কের হার জিতের মধ্যে ধর্মের বিজয় যে লুকিয়ে নাই এব্যাপারে আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে কোন সন্দেহ নাই। মঙ্গল গ্রহে মানুষ যখন যাবে তখন কেউ যদি কোরান শরীফের মাধ্যমে প্রমান করতে চায় যে এটাতো কোরান শরীফে আগেই লিখছে তার জন্য যেমন একরাশ করুনা তেমনি কেউ যদি মঙ্গলে মানুষ পাঠিয়ে যুক্তি দেয় কোথায় তোমার সৃষ্টিকর্তা তেমনি তার জন্য একরাশ সমবেদনা।

ধর্ম আর বিজ্ঞান কখনো কেউ কারো পরিপুরক বা প্রতিস্থাপক না। যে যার টা নিয়ে থাকুক না, শুধু লিমিটটা যেন ক্রস না হয়। এই সময়ে অবিশ্বাসীকে বিশ্বাস করানো যেমন আমার দায়িত্ব না তেমন বিশ্বাসীর বিশ্বাসকে আঘাত হানাও আমার হীনমন্যতার ই প্রমান মাত্র।

ধর্ম নিয়ে এটা প্রথম এবং শেষ ষ্ট্যাটাস। বিরক্ত লাগে অহেতুক তর্ক দেখে। ধর্ম অনেক বিশাল, সেই বিশাল জিনিসটা কে বিজ্ঞান নাম একটা যন্ত্র দিয়ে বিভিন্ন অংশ দেখার চেষ্টা চলছে মাত্র। যে জিনিস নিজেও ভালো বুজি না তা নিয়ে আলোচনা হবে না। তবে ধর্মের নামে ঘৃনা আর হত্যা যারা করে তারা যদি স্ব ধর্মের হয় তাদের ও আমি ঘৃনা করি।

অথচ এই ধর্ম নাম দিয়ে এখন বিশ্বকে বিভক্ত করে নোংরামি চলছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি কি নোংরা গায়ে লাগাব কি না? অনেক অনেক কিছু লেখার ছিল, কিন্তু ব্লগের সীমিত পরিসরে সেটা সম্ভব না। যুক্তি হোক, যুক্তির বিপক্ষে পালটা যুক্তি হোক কিন্তু সেটা যেন যুক্তিসঙ্গত হয়।

একান্ত ব্যাক্তিগত একটা অভজার্ভেশান এখানে শেয়ার করি, যারা মৃত্যুকে খুব কাছ দিয়ে দেখছে যেমন ডাক্তার বা সামরিক বাহিনীতে যারা সত্যিকারের যুদ্ধের বা কোন যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকায় কাজ করছে তারা কেন যেন অন্যান্য প্রফেশানের তুলনায় কিছুটা বেশী হলেও ধার্মিক ( এই ধার্মিকতা মানে নামায রোযা, প্রার্থনা বুজিয়েছি)। এটা আমার একান্ত ব্যাক্তিগত মতামত। কেন?

সবশেষে একটা ছোট ঘটনা দিয়ে লেখা শেষ করি, পাকিস্তানী নোবেল জয়ী পদার্থবিদ প্রফেসর সালাম কে একবার এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করছিলো, “আপনি বিজ্ঞানী হয়েও নামায পরেন কেন”? জবাবে প্রফেসর সালাম উত্তর দিয়েছিলেন, “ পড়ি কারন মৃত্যুর পর যদি দেখি সত্যি সত্যি আল্লাহ আছে তখন তাকে কি জবাব দেব?”

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিক আছে আপনার বক্তব্য।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১

শের শায়রী বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৫

নতুন বলেছেন: ভাই এই বোধটুকু হতে আপনার কতটুকু পড়ালেখা করতে হয়েছে?

কতগুলি বিষয় আপনার মনে এই দৃস্টিভঙ্গীর পরিবত`নে সাহাজ্য করেছে?

ধম` এবং বিজ্ঞানের কত বিষয় নিয়ে আপনি পড়াশুনা করেছেন?

আমি দেখেছি মানুষ যত জ্ঞানী হয় তত বিনয়ী হয়, কারন তখন মানুষের মূল্য বুঝতে পারে, ধমের ধান্দাবাজদের ফাদে পা দেয় না।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই, পড়াটা আমার নেশার মত এক রকম, কাগজের ওপর যাই লেখা দেখি তাই পড়ি এব্যাপারে আমার কোন ক্লান্তি নেই। আর যতই পড়ছি ততই নিজেকে এক রকম করুনা করি আসলে আমি কত কম জানি।

আর ধর্মের ধান্ধাবাজদের কথা যদি বলেন তবে এদের আমি নরকের কীটের থেকেও বেশী ঘৃনা করি কারন এরা মানুষের পরম বিশ্বাস নিয়ে ব্যাবসা থেকে যৌন কামনা পর্যন্ত চরিতার্থ করে। কিন্তু ভাই এর পাশাপাশি একটা ব্যাপার বলি, আমাদের গ্রামের এক সুদখোর আছে তাই বলে কি আপনি এখন আমাদের গ্রামের সবাইকে সুদ খোর বলবেন? আবার এটা আমাকে ভীষন কষ্ট দেয় যখন দেখি দেওয়ানবাগীর লাখের ওপর ভক্ত! এই এক লাখ মানুষ এদের কি আল্লাহ সামান্য বিবেক দিয়ে পৃথিবীতে পাঠায়নি? আ পার্ট, আবার এই দেওয়ানবাগী মানেই ধর্ম না। কয়েক কোটি মানুষ কিন্তু তাকে ঘৃনাও করে।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



কোয়ান্টাম মেকানিক্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আপনি বলেছেন যে, ইহা যতটুকু না বৈজ্ঞানিক, তার চেয়ে বেশী আধ্যাত্মিক!

-আমার মনে হয়, আপনি এখানে ভালোই তালগোল পাকায়েছেন!

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: অসম্ভব কিছু না ব্রাদার, আমার জ্ঞান সীমিত। যেহেতু আপনি ব্যাপারটা বোজেন ( অন্তত আমার থেকে ভালো বোজেন নিশ্চয়ই না হলে কিভাবে বুজলেন আমি তাল গোল পাকিয়েছি) মেহেরবানী করে যদি একটু বুজিয়ে দিতেন সহজ ভাষায় কৃতজ্ঞ থাকব।

কোয়ান্টম মেকানিক্সের কিছু ইক্যুয়েশান আমি দেখছি, ভয়াবহ দুর্বোধ্য লাগছে তাই দয়া করে ওদিক দিয়ে বোজাবেন না। সব থেকে ভালো হয় শ্রোয়েডিংগারের বিড়াল অথবা তরঙ্গের অনিশ্চয়তা বা এই টাইপের কিছু দিয়ে যদি বুজান।

অগ্রিম কৃতজ্ঞতা।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২

শাহিন বিন রফিক বলেছেন:



চমৎকার লেখা, শুধু একটানা পড়ে নিলাম, বুদ্ধি বিদ্দা কম তাই মন্তব্য থেকে বিরত।
আপনার উপলব্ধির সাথে সহমত, এই একুশ বিংশ শতাব্দীতে হানাহানি না করে থাকুক সবাই সবার মত।

লেখায়, +++

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই আমার কৃতজ্ঞতা জানুন আপনার ভালো লাগায়।

আর বুদ্ধের একটা বানী বলি, "একজন মুর্খ যে নিজেকে জানে মুর্খ, শুধু এই জানার কারনেই সে জ্ঞানী, যে মুর্খ নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবে সে অবশ্যই মুর্খ।" সমাজদারকে লিয়ে ইশারায় কাফি।

ভালো থাকুন ভাই।

৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: অবশ্যই সাংঘর্ষিক।
তেল আর জল কি মিশ খায়?

তাই আমাদের আধুনিক হতে হবে। তবেই মুক্তি মিলবে।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২১

শের শায়রী বলেছেন: ভাই ধর্মতো আধুনিক হতে কোন বাধা দেয়নি। ইউরোপের মানুষ আক্ষরিক অর্থেই জঙ্গলে বাস করত বা ডাইনী নাম দিয়ে মানুষ পোড়াত তখন মুসলিম বিজ্ঞানীরা ইবনে সিনা, আল বেরুনী, ইবনে জাহর, আল জাহরাওয়ি, উবায়দুল্লা জেব্রিল, আলী ইবনে সহল রব্বান আল-তাবারি, আল রাজী, আলী বিন-আব্বাস সে আমলের পরিপ্রেক্ষিতে আধুনিক জ্ঞানের ভান্ডার ছিল। আরো অসংখ্য নামের তালিকা দিতে পারি।

আমরা যদি ভোগ বিলাস যথেচ্চারে মত্ত হয়ে নিজেদের ধ্বংস করি তার জন্য তো ধর্ম দায়ী না।

৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: আসেন ভাই ইসলামের ছায়াতলে আসেন | দুনিয়ার ও আখিরাতের জীবনে কামিয়াভি হবেন |

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৫

শের শায়রী বলেছেন: মিয়া ভাই আস সালামু আলাইকুম। ব্লগে ছয় বছর পর আসলেও অলি গলি কিন্তু মুখস্থ। মাল্টিবাজি একটা আর্ট। সবাই সেটা পারে না। নমস্কার।

৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩০

স্বপ্নময় স্বপ্নের পথচারী বলেছেন: পের্নাম সাশ্রীয়কাল দাদাবাবু | আল্লাহর রহমতে ভালো থাকবেন | জয় হিন্দ

৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি হয়তো, উদাহরণ, টুদারণ, আলোচনা ইত্যাদিতে যাবো না; সামান্য কথায় 'কোয়ান্টাম মেকানিক্স' যে বিজ্ঞানেরই অংশ/একাংশ তাই বলবো; বিজ্ঞান ও ধর্মের পার্থক্য আপনি জানেন: বিজ্ঞানে কোন ধরণের আধ্যাত্মিক কিছু নেই, আছে বিষয় সম্পর্কে লজিক্যাল ব্যাখ্যা।

'কোয়ান্টাম মেকানিক্স' হচ্ছে অনেকগুলো বৈজ্ঞানিক রুলস যেখানে ইলেকট্রন, মিলেকট্রন, ফোটন, মোটন, ঈশ্বরকনা ইত্যাদির মৌলিক ধর্ম ও ইহাদের পরস্পরের যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে; এগুলো লজিক্যাল ব্যাখা, আধ্যাত্মিকতার কিছু না।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, আমার পোষ্টে আমি খুব পরিস্কারভাবে লিখছি কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞান শুধু লজিক্যাল ব্যাপার না বিভিন্ন ইক্যুয়েশান ক্যালক্যুলেশান ইত্যাদি দিয়ে প্রমানিত। তাই এব্যাপারে আপনার সাথে আমার কোন দ্বিমত নেই। আমি যদি বোজার ভুল না করি তবে আপনার আপত্তি হল আমি বলছি "কোয়ান্টাম মেকানিক্স যতটা না বৈজ্ঞানিক তার থেকে আধ্যাত্মিক" এই "আধ্যাত্মিক" কথাটায়।

আক্ষরিক অর্থে "আধ্যাত্মিক" কথাটার অর্থ আপনি যেমন জানেন, আমার বিশ্বাস আমরা সবাই কম বেশি জানি। এখানে মুল ব্যাপারটা আমি যেটা বুজাতে চেয়েছি হয়ত সেটা আপনি বুজতে পারেন নি, এটা অবশ্যই আমার লেখার সীমাবদ্ধতা। থিওরীটিক্যালি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের একই বস্তু কয়েক অবস্থায় থাকতে পারে, পরে বিভিন্ন হিসাব নিকাষ (যা প্রাক্টিক্যাল কোঃমেঃ) সেই অনিশ্চয়তা অবস্থা থেকে যেটা হবার সম্ভাবনা বেশী সেই অবস্থায় চলে আসে এখানেই কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিজ্ঞান কিন্তু তার আগে যে অনিশ্চয়তা সেটা কিন্তু বিজ্ঞান না সেটা অনেকটা অবাস্তব বা অলৌকিক (যেমন ধরুন আমি যদি বলি আপনি এখন একই সাথে বাংলাদেশে এবং আমেরিকায় আছেন, সেটা কি কোন বিজ্ঞান বা যুক্তিমনস্ক কথা হবে!?)। অথচ বিভিন্ন পুরা কাহিনী বা ধর্মীয় ব্যাপার স্যাপারে আমরা অনেক উদাহরন দেখাতে পারব যেখানে একই ব্যাক্তিকে কয়েক জায়গায় দেখা গেছে বলে উল্লেখ্য আছে (এটাকে নিশ্চয়ই আপনি বিজ্ঞান বলবেন না)।

কোয়ান্টাম মেকানিক্স বিভিন্ন গানিতিক সুত্র দ্ধারা এখন প্রমান করে দেবে আপনার সম্ভাব্য সব কিছু বিবেচনা করে আপনি আমেরিকায় আছেন । এটাই কোঃমেঃ করে দেখাচ্ছে লজিক্যালি ইক্যুয়েশনালি। ( আবার কোঃমেঃ শুধু যে এটুকুর মাঝে সীমাবদ্ধ তাও কিন্তু না এর পরিব্যাপ্তি আরো বিশাল)।

আশা করি আপনি বুজতে পারছেন আমি কি বলতে চেয়েছি। আর যদি তাও না পারি সে ধরুন আমার জ্ঞানের আর লেখনির সীমাবদ্ধতা। এখানে আমি বিজ্ঞান দিয়ে আধ্যাত্মিকতা যেমন জাষ্টিফাই করছি না তেমনি আধ্যাত্মিকতাকে মহিমান্বিতও করছি না।

আশা রাখি আপনি সুচিন্তিত মতামত দিয়ে আমার জ্ঞানের উৎকর্ষকতাকে আরো বর্ধিত করবেন।

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৩

সুপারডুপার বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম। বুঝলাম আপনার আধ্যাত্মিক বিষয়ে কিছুটা তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে কিন্তু ব্যবহারিক জ্ঞান নাই।

আধ্যাত্মিকতা সম্পূর্ণ প্রাকটিক্যাল ও অসীম । ''আধ্যাত্মিকতায় 'বিশ্বাসের ' স্থান নাই। এই জন্য সাধক আধ্যাত্মিকতায় প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকটায় 'নাস্তিক ' । সাধক তার ব্যবহারিক আধ্যাত্মিকতায় প্রমান পেয়ে বলেন ' হাঁ এটা এই রকম '। না জানলে বলেন ' আমি জানি না ' । কিন্তু কখনও সাধক বিশ্বাস এর আশ্রয় নেন না। ''

জানি না উপরের কথা টি কি বুঝতে পারছেন! না বুঝতে পারলে আপনার সাথে আর আধ্যাত্মিকতার আলোচনায় যাই না। আপনার পোস্টের আলোচনায় যাই :

১) প্রথমে অন্ধকারের বস্ত্রহরণ by এস. এম. জাকির হুসাইন এই বইটা পড়ে দেখবেন। লিংক : অন্ধকারের বস্ত্রহরণ

২) ধর্ম ও বিজ্ঞান আলাদা বিষয়। ধর্ম সসীম কিন্তু বিজ্ঞানের যাত্রাপথ অসীমের দিকে। কুরান , পুরাণ , বাইবেল ইত্যাদি ফিক্সড। মানুষের জ্ঞান লাভের সাথে পরিবর্তনশীল না। এই জন্য মানুষ একটা সময় এই গুলো সব ছেড়ে চলে যাবে।

৩) শুধুমাত্র ইলেক্ট্রনের স্পিন একটু পরিবর্তন হলেই আমরা পুরা জগৎকে অন্যরকম দেখতাম , আমাদের গঠন অন্যরকম হত। কেন , কেমন হত , কি রকম হত এই গুলো আমরা গভীর চিন্তায় বের করতে পারি (কল্পনা - মনোজগত)। মানুষকে ডিসপ্লে তে প্রমাণ হিসাবে দেখানোর জন্য আমাদের অনেক জটিল গণিত টুলস হিসাবে ব্যবহার করতে হয়। তখন এটা মনোজগতের চিন্তা থেকে বিজ্ঞানে চলে আসে। তাই মনোজগত ও বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক না। মনোজগতে যত বিপ্লব হবে , বিজ্ঞান তত এগিয়ে যাবে। ধর্ম সেই আগের অবস্থানেয় পরে থাকবে।

----------
চাঁদগাজী সাহেবকে বোঝানোর জন্য বলি ;
কোয়ান্টাম মেকানিক্স যত না বৈজ্ঞানিক, তার চেয়ে বেশী মনোজাগতিক ! আইনস্টাইন প্রথমে মনোজগতে আপেক্ষিক তত্ত্বর ব্লু প্রিন্ট করেছিলেন। মানুষকে বুঝানোর গণিত দিয়ে বুঝিয়েছেন। কিন্তু কোনো ল্যাবে প্রমান করতে পারেন নি। এই জন্য বিজ্ঞান তখনও গ্রহণ করতে পারে নি , যত দিন পর্যন্ত না প্রমান হয়। তাই আইনস্টাইন আপেক্ষিক তত্ত্বর উপর কোনো নোবেল ও পান নি।

আইনস্টাইনের সবকিছুই মহাজগতে ট্রাভেল না করে ও ল্যাবে না ঢুকে মনোজগতেয় হিসাব কষতে হয়েছে (তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যা)।

মজার ব্যাপার অনেক দেব দেবতারা আকাশে ও স্বর্গে গেছেন ঠিকই, কিন্তু সামান্য সৌরজগতের কথায় ঠিক মত বলতে পারেন নি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০

শের শায়রী বলেছেন: সুপারডুপার ভাই,

প্রথমেই আমার কৃতজ্ঞতা জানুন পোষ্ট রিলেটেড একটা ব্যাপারে এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

আপনি লিখছেন “আপনার লেখাটা পড়লাম। বুঝলাম আপনার আধ্যাত্মিক বিষয়ে কিছুটা তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে কিন্তু ব্যবহারিক জ্ঞান নাই।" তাত্ত্বিক আধ্যাত্মিক বিষয়ে আমি অল্প কয়েকটা বই পড়ছি মাত্র তাতে স্বীকার করতে বিন্দুমাত্র লজ্জিত না যে তাতে যেটুকু জ্ঞান আমি পেয়েছি তাতে আসলে আপনি যেমন বলেছেন “কিছুটা তাত্ত্বিক জ্ঞান আছে” সেটুকুও হয়নি, মানে “কিছুটা” বলতে আমি যা বুজি সেটুকু জ্ঞানও আমার নেই। সামান্য কয়েকটা বই পড়ে এত গুঢ় কোন বিষয়ে কিছুটা জ্ঞান অর্জনও অনেক বড় ব্যাপার যেটা একদম আমার হয়নি। আর ব্যাবহারিক জ্ঞানের তো প্রশ্নই ওঠে না। সো এই ব্যাপার নিয়ে আপনার সাথে আমি বাহাস করার কোন যোগ্যতাই রাখি না।

এর পর আপনি লিখছেন, “আধ্যাত্মিকতা সম্পূর্ণ প্রাকটিক্যাল ও অসীম । ''আধ্যাত্মিকতায় 'বিশ্বাসের ' স্থান নাই। এই জন্য সাধক আধ্যাত্মিকতায় প্রাথমিক পর্যায়ে অনেকটায় 'নাস্তিক ' । সাধক তার ব্যবহারিক আধ্যাত্মিকতায় প্রমান পেয়ে বলেন ' হাঁ এটা এই রকম '। না জানলে বলেন ' আমি জানি না ' । কিন্তু কখনও সাধক বিশ্বাস এর আশ্রয় নেন না। '' আপনার পরিস্কার প্রাঞ্জল ভাষায় লেখনির গুনে ঐটুকু ক্লিয়ার বুজছি। যদি আমার বোজার ভুল না হয়ে থাকে আপনি যেটা বলতে চেয়েছেন আধ্যাত্মিকতা একটা প্রাক্টিক্যাল ব্যাপার যেখানে প্রমান পেলে সাধক সেটা গ্রহন করে প্রমান না পেলে সেটা বর্জন করে বা “আমি জানি না” ধরে নেয় এখানে কোন বিশ্বাস টিশ্বাসের স্থান নেই। যদি অনুমতি দেন বিনয়ের সাথে জানার জন্য প্রাথমিক দু একটা প্রশ্ন রাখি, হয়ত এক্ষেত্রে আমার প্রশ্নগুলো বোকার মত হয়ে যাবে সেক্ষেত্রে নিজ গুনে আমার মত এই বিষয়ে সম্পূর্ন অজ্ঞ একজন কে নিজ গুনে মার্জনা করবেন।

১।সাধক প্রাথমিক পর্যায়ে কি ধরনের ভাবনা বা চিন্তা নিয়ে কাজ করে? আধ্যাত্মিকতার প্রাথমিক পর্যায়ে কি সবাই “নাস্তিক”?

২। সাধক যখন তার সাধনার দ্ধারা বিভিন্ন পর্যায়ে উপনীত হয় তখনও যদি সে তার ভাবনা বা চিন্তাগুলো তার ধারনাকৃত অবস্থার সাথে মিলে যায় তবে কি আস্তিক বা ধার্মিক হয়ে যায়? না কি নাস্তিকই থাকে?

৩। আধ্যাত্মিকতা কি শুধুই যারা ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন তাদের জন্য নাকি যারা ধর্মকে বিশ্বাস করে তারাও করতে পারে? কোয়ান্টাম মেথড নিয়ে আমি অতি সামান্য ভাষা ভাষা পড়ছি সেটা আর আধ্যাত্মিকতা কি পরিপুরক?

৪। “ওয়াহদাতুল ওজুদ” বলতে আসলে কি বুজায়? ওয়াহদাতুল ওযুদ কি আধ্যাত্মিকবাদ না? সুফিবাদ আর আধ্যাত্মবাদের পার্থক্যটা কি? ওয়াহদাতুল ওযুদ আর ইসলাম কি সাংঘার্ষিক?

৫। আল্লামা ইকবালের খুদিতত্ত্ব আর ঐশীজ্ঞান কি আধ্যাত্মিক বাদের মাঝে পড়ে? যদি না পড়ে তবে কেন? আর যদি পড়ে তবেও বা কেন?

আমি যদি কোন প্রশ্ন ভুল করে থাকি দয়া করে শুধরে দেবেন আর অন্যায় হলে নিজগুনে ক্ষমা করে দেবেন। আমি শুধু নিজের জ্ঞান কে বাড়াতে চাচ্ছি মাত্র।

আপনার সাজেশান মত আমি সময় করে অবশ্যই সময় অন্ধকারের বস্ত্রহরন বইটি দেখব।

আমার পুরো পোষ্ট কিন্তু শুধু আধ্যাত্মবাদ নিয়ে নয়। আমি লিখতে চেয়েছি ধর্ম আর বিজ্ঞান কি সাংঘার্ষিক? আপনি বলেছেন বিজ্ঞান ও ধর্ম আলাদা বিষয়, আমিও কিন্ত্ এক একই মত পোষন করছি।

কিন্তু আপনি লিখছেন “ধর্ম সসীম কিন্তু বিজ্ঞানের যাত্রাপথ অসীমের দিকে। কুরান , পুরাণ , বাইবেল ইত্যাদি ফিক্সড। মানুষের জ্ঞান লাভের সাথে পরিবর্তনশীল না। এই জন্য মানুষ একটা সময় এই গুলো সব ছেড়ে চলে যাবে।" আপনি যেহেতু একজন আধ্যাত্মিক তাত্ত্বিক এবং প্রাকটিক্যাল জ্ঞানের আলোকে আলোকিত (অন্য আর শ্রদ্ধেয় ব্লগারের পোষ্ট তাই দেখলাম) তাই এনিয়ে আর আলোচনায় যাব না। তবে ধর্মীয় আধ্যাত্মবাদ যা ভিন্ন নামে পরিচিত সেগুলোর কিছু পড়ছি তাতে আপনার মতের সাথে তাদের মতের প্রায় দ্বিমত। যাক সেটা আমার বিষয় না।

তিন নাম্বারে আপনি লিখছেন “মনোজগতের চিন্তা থেকে বিজ্ঞানে চলে আসে। তাই মনোজগত ও বিজ্ঞান সাংঘর্ষিক না। মনোজগতে যত বিপ্লব হবে , বিজ্ঞান তত এগিয়ে যাবে। ধর্ম সেই আগের অবস্থানেয় পরে থাকবে।" মনোজগতে কি শুধু বিজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন আসবে? আমি কে? কোথা থেকে আসছি? কোথায় যাব? এগুলো কি মনোজগতে আসতে পারে না? আসলেও সেটা কি আধ্যাত্মবাদ হবে না?

হয়ত অনেক প্রশ্ন করে ফেলেছি, কিন্তু সব সময় তো সব বিষয়ে জানার লোক থাকে না আপনাকে পেয়ে এক্টাই বিষয়ে জ্ঞান লাভের স্পৃহা তৃপ্তি পাক।

পরিশেষে আমার পুরো পোষ্টে আরো অনেক বিষয় আছে সেগুলো নিয়ে আপনার মতামত জানালে খুশী হব। যেমন “নোয়েটিক সায়েন্স” এটা কিভাবে সায়েন্স হয়? যেখান spontaneous remission, meditation, consciousness, alternative healing practices, consciousness-based healthcare, spirituality, human potential, psychic abilities, psychokinesis and survival of consciousness after bodily death এগুলোর প্রায় সবগুলোই সো কল্ড ধর্মগুরুরা বিভিন্ন সময় করে গেছেন নিজেদের উইল পাওয়ারের মাধ্যমে?

আপাতত এই টুকু। আবারো যদি বোকার মত জানতে চেয়ে বিরক্ত করি নিজ গুনে ক্ষমা করবেন

১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ধর্ম নিয়ে যত কম কথা বলা যায়, ততই ভালো।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আসলে যতই কম কথা বলা যায়, ততই ভালো। সম্পূর্ন এক মত ভাই আপনার সাথে। তাই তো করিনা। অনেক দিনের কিছু প্রশ্ন জানতে ইচ্ছা হচ্ছিল তাই এই প্রসঙ্গ উত্থাপন। কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্ম নিজেই এখনো স্থির সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
পৃথিবীতে হাজার হাজার ধর্ম। কোনটা সত্য?
মানলাম ইসলাম সত্য। এরপরও ইসলাম শিয়া সুন্নি ইত্যাদি দেড়শো ভাগে বিভক্ত।
সুন্নিও অর্ধ শতাধিক বিভক্ত। ধর্ম পুস্তকগুলোর বাক্যে অস্পষ্টতার সুযোগে জাকিরনায়েকের মত মোল্লারা নিজেদের ইচ্ছে মত বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। আরো ছড়াবে।

বিজ্ঞান সম্পুর্ন আলাদা বিষয়। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের কিছু নেই। পরীক্ষা করে প্রমানিত হতে হয়। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি দিলে সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০০

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, আমি আসলে ধর্মগুলোর মাঝে কে শ্রেষ্ঠ কে দ্বিতীয় এই নিয়ে আলোচনায় পোষ্ট টা দেই নি, আমি আসলে পোষ্ট দিয়েছি ধর্ম আর বিজ্ঞান কি সাংঘার্ষিক কিনা? দুটো আলাদা ব্যাপার। আমি যেটা দেখছি বিজ্ঞানের নামে অনেক কিছুই নতুন নতুন শাখা আসছে যেগুলো এক সময় ধর্মের নামে এক চেটিয়া পেটেন্ট ছিল মানে শুধু ধর্মীয় গুরুরা করতেন সেগুলো এখন বিজ্ঞানের সিষ্টেমিক পদ্ধতির মাধ্যমে চর্চা হচ্ছে। আমিও জানি বিজ্ঞান এর সংজ্ঞা কি কারন একাডেমিক কারনেই ঢাবির বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টি থেকে একটা বিষয়ে ডিগ্রী নিতে হয়েছে।

এই যে ধর্মীয় কিছু বিষয় যা এক চেটিয়া ধর্মীয় বিষয় হিসাবে গন্য হত (যেমন ধরুন কোঃ মেঃ থিওরি পার্টিয়ালি অথবা নোয়েটিক সায়েন্সের spontaneous remission, meditation, consciousness, alternative healing practices, consciousness-based healthcare, spirituality, human potential, psychic abilities, psychokinesis and survival of consciousness after bodily death) আর যুক্তিবাদীদের কাছে ধর্মীয়গুরুদের বুজরুকি হিসাবে চিহ্নিত ছিল তা নিয়ে বিজ্ঞান গবেষনায় নেমেছে। এই টুকুই এতে কি ধর্ম কি নীচে নেমে গেল না বিজ্ঞান উপরে উঠে গেল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খোজার একটা প্রচেষ্টা মাত্র। মুলতঃ আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে এটুকু বুজি কেউ কারো পরিপুরক না। এই তো এর বেশি আর কি? বাকী সব আলোচনা।

যাই হোক পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ আালোচনায় ভাল লাগা।

প্রকৃত জিগিষায় আছে যে সে এভাবেই সূক্ষতাকে অনুভব করে জ্ঞানের পথে ধাবিত হবে।
আপনার জিগিষা পূর্ণ হোক।

ইসলাম সেতো পরশ মানিক, তারে কে পেয়েছে খুঁজি
তার পরশে সোনা হলো যারা তাদেরেই মোরা বুঝি - কাজী নজরুল ইসলামের বাক্য দুটি অনেক কিছুকে সরল করে দেয়।

সূফিজম এক অনন্ত অন্তহীন জ্ঞানের পথ। যে পথের শুরু আছে, শেষ নেই
ইমাম গাজ্জালীর জ্ঞান সাগেরর পারে নুড়ি কুড়ানোর কথা, সাগরে নামিনি বলার মধ্যেই সে বিশালতার ইংগিত আছে।
বিনয় এবং জিগিষার দারুন মিশেলেই জ্ঞান পতের সন্ধান মেলে।

বিজ্ঞানও এখন যতটা না বিজ্ঞানময়, তারচে বেশী সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলেই মনে হয়।
লাল সালুতে মজিদ যেমন ক্যামোফ্লেজের মাধ্যমে সম সাময়িক মানুষকে বশিভূত করেছিল নিজের স্বার্থে
বস্তুবাদী, ভোগবাদী, সাম্রাজ্যবাদী অক্ষ শক্তি তেমনি বিজ্ঞানের বাহ্য ক্যামোফ্লেজে মানুষকে আংশিক আচ্ছন্নতায় বুদ করে রাখছে তাদের স্বার্থেই। তাইতো সহায়ক না হয়ে মূখোমূখি দাড়ায় ধর্ম আর বিজ্ঞান।

সত্য সন্ধান থাকুক অবিরত।
ধর্মের প্রকৃত স্বাদাস্বেদনে মানুষ পাক পূর্ণ প্রশান্তি।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: আমার প্রিয় ম্যায়াভাই,

প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাই এত সুন্দর একটা প্রশান্তিময় মন্তব্যর জন্য। আমি চাই বিজ্ঞাব আরো বেশী করে ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করুক, যত বেশী চ্যালেঞ্জ করবে ততই ধর্মের শ্বাশত দিক গুলো উন্মোচিত হবে।

আমার কাছে নাস্তিক হওয়া অন্যায় কিছু না, হতেই পারে যে কেউ না দেখে সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব বিশ্বাস করবে না, কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ যে মানুষ বা মানুষ গুলোকে অনুসরন করে কিছুটা শান্তির সন্ধান (হোক সেটা মানসিক) পাচ্ছে সেই সব মানুষকে অহেতুক নোংরা গালি দিচ্ছে বা নোংরামি করছে শুধু নিজেকে বিজ্ঞান মনস্ক দাবী করে। কিন্তু কোন কিছু দাবী করার আগে নিজে সে বিষয়ে কতটুকু জানে সেটাই সে জানে না। আমার ধর্ম বলতে তারা সব সময় ধর্মের নামে যে সব কুলাঙ্গার আছে সেগুলোকে উদাহরন হিসাবে ব্যাবহার আস্তিকদের খাটো করে অথচ তার থেকে হাজার গুন ভালো উদাহরন থাকতে তাদের কে উদাহরন দেবে না।

আবার দেখুন সো কল্ড আস্তিক বিজ্ঞানের জানে না বিজ্ঞানের ই কারটা অথচ বিজ্ঞানের উদাহরন টেনে সে তার আস্তিকতা প্রমান করতে চায়। বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে জাষ্টিফাই করতে চায়! কত বড় ষ্টুপিড হলে এমন মুর্খামি করে?

আমার নিজের কথা বললে অবিরত উত্তর খুজছি অসংখ্য প্রশ্নের হাতড়ে বেড়াই চারিদিকে, জানিনা কবে পাব পূর্ন প্রশান্তি। আমার জন্য দোয়া রাখবেন।

ভালো থাকুন।

১৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

নীল আকাশ বলেছেন: শ্রোয়েডিংগারের উপর পড়ালেখা করতে হয়েছিল লেভেল ১ টার্ম ২তে। পুরোকোর্স মাথার উপর দিয়ে গেছে। স্যারকে বললাম, আমরা কিছু বুঝতে পারছি না। উনি হাসি মুখে বল্লেন, আমি নিজেও এখনও ভালোমতো বুঝিনা আর তোমরা এত তাড়াতাড়ি কিভাবে বুঝবে? পরীক্ষা কি লিখেছি আর কিভাবে A গ্রেড পেয়েছি নিজেও জানি না।
যাই হোক, বিজ্ঞান এবং ধর্মের ব্যাপারে একটা সত্য আমি মেনে চলি। বিজ্ঞান সবসময় পরিবর্তনশীল। কিন্তু ধর্ম শাশ্বত। বিজ্ঞানের এখনকার কথা মেনে ধর্মের ভুল ধরতে যাওয়াটা হলো বোকামী। কারণ কালকেই বিজ্ঞান নতুন কিছু আবিষ্কার করে ফেলবে যেটা ধর্মের সাথে প্রাসঙ্গিক।
লেখা ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই অভিনন্দন নীল আকাশ ভাই এমন একটা খটোমটো ব্যাপারে A গ্রেড পাওয়ায়। আপনি লিখেছেন আপনি কিভাবে পেয়েছেন আপনি নিজেও জানেন না।! এটাই হল আপনার পাওয়ার মুল কারন, একটু ব্যাখ্যা দেই, যে যত জানবে সে তত বিনয়ী হবে, যে গাছ টা যত বড় সে গাছটা তত তার ডাল পালা মেলে নুইয়ে থাকে এতে মহীরুহের সন্মানহানি হয় না। আর যে গাছটা যত ছোট আর পাতলা সে তত মাথা উচু করে জানান দেয়ার চেষ্টা করে নিজের অবস্থান কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসে না যখন কেউ মহীরুহ দেখে। আপনাকে একজামিনার নিশ্চয়ই খালি পাতা বা এক গাদা আবোল তাবোল লেখার জন্য A গ্রেড দেয় নি। আবারো অভিনন্দন নিন।

এখন একটু ভয়ও হচ্ছে আমার এই সব ছাই পাশ ভুল ভাল লেখা দেখে না জানি কি হাসিটাই হাসছেন। ভাই কোন ভুল দেখলে শুধরে দেবেন সে দাবীটুকু করতেই পারি।

আর ধর্ম আমার কাছে আমার একান্ত বিশ্বাস, এবং সে বিশ্বাস আমার লদ্ধ অর্জিত জ্ঞান এবং জিনের মধ্যে প্রোথিত থাকা হাজার বছরের পূর্ব পুরুষের অনুরনন। বিজ্ঞান তার জায়গায় থেকে তার কাজ করুক আমার ধর্ম আমার কাছে থাকুক। ধর্মের কোথাও বলা নেই ধর্ম করতে গেলে বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা যাবে না। আর আমার সামান্য জ্ঞানে বিজ্ঞানের যতটুকু পড়ছি তাতেও কোথাও লেখা দেখিনি বিজ্ঞান চর্চা করতে গেলে ধর্ম কর্ম করা যাবে না।

অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন:
"অতীত বা বর্তমান অন লাইনে কিছু মানুষ আস্তিক নাস্তিক ইস্যু নিয়ে বেজায় ঝগড়া করছে ভাব খানা যেন এমন পরস্পর পরস্পরকে বিশ্বাসীরা সব গাধা আরঅবিশ্বাসীরা সব ইবলিশ প্রমান করতে পারলেই মোক্ষ লাভ। যে নিজেকে আস্তিক দাবী করছে কোন যুক্তির ধার না ধরে পবিত্র কোরানের বা বাইবেলেরইচ্ছামত ব্যাখ্যা দিয়ে নাস্তিক কে জ্ঞান দেয়ার মাঝে নিজে অনেক পূন্য অর্জন করে। আর যারা নিজেদের নাস্তিক দাবী করে তারা তো কোটি কোটি বিশ্বাসীর সৃষ্টিকর্তা বা নবী রাসুল দের অপমান গালাগালি করে নিজেকে বিশ্বাসদের ওপরে স্থান অর্জন করাতে পেরে বিশাল আত্ম তৃপ্তি লাভ করে।"

লাইনটা বেশ ভালো লেগেছে। মুল কথা এটাই।
আমাদের ব্লগীয় গরু, ছাগল, ভেড়া-পাঁঠাগুলো মানুষ হোক!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১২

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা পাঠে।

১৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মকর্ম পালন করে ইহকালে কিছুই পাওয়া যায় না। হয়তো মৃত্যুর পর কিছু পাওয়া যাবে।
তাই মানুষ দুনিয়াতে ধর্মকর্ম পালন করতে চাহে না।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৯

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

শুধু এক জায়গায় আমার সামান্য ব্যাতিক্রম চিন্তা আছে হয়ত সে আমারই ভুল তাও সাহস করে বলে ফেলি এটা একান্ত আমার ব্যাক্তিগত অনুভুতি, একটা পর্যায় পর্যন্ত ধরুন আমি কোন বিপদে পড়লাম বা ব্যাথ্যা পড়লাম সবার আগে মা বাবার কাছে ছুটে যেতাম যত ব্যাথা, কষ্ট সব এক নিমেষে শেষ হয়ে যেত মা বা বাবা যখন একটু ছোয়া দিত। সময়ের স্রোতে বাবা নেই এক মা জীবিত ওদিকে আমিও এমন একটা বয়সে পৌছে গেছি যেখানে নিজে ব্যাথ্যা পেলে মায়ের কাছে ছুটে যাবার থেকে মা ব্যাথ্যা পেল কিনা এটাই এখন আমার কাছে মূখ্য।

এই বয়সে বিভিন্ন কষ্ট হতাশা দুঃখের মাঝ দিয়ে মাঝে মাঝেই যেতে হয়, সেক্ষেত্রে আমি মা বা বাবার বিকল্প কাউকে খুজতে চাই, সহধর্মিনী আছে সেও অনেক সাপোর্টিং কিন্তু কখনো কখনো আমার অনুভুতিগুলোর (মুলতঃ বয়সের কারনে) উপশম কোন মানুষের দ্ধারা সম্ভব হয় না। তখন আমি স্বাভাবিক আচারের মাধ্যমে ধর্ম পালন করে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকি। একটা মানসিক প্রশান্তি পাই। ইহকালে ধর্ম দিয়ে এর থেকে বেশী কিছু আশাও করিনা। পাশাপাশি আমি দেখছি কোন ধর্মেই (আমার সামান্য জ্ঞানে) খারাপ কোন কিছু করতে উৎসাহ দেয় না, যৌবনের উদ্দামতায় অনেক কিছু আমিও করছি সেটা যৌবনের ধর্ম বলে পার পেয়ে যাই আমরা। কিন্তু খারাপ সব সময়ই খারাপ। যদি সে সময়ে ধর্মর উপদেশ গুলো পালন করতাম তবে ওগুলো হয়ত করতাম না, এখন প্রশ্ন করতে পারেন ধর্ম না করেও তো অনেকে ভালো আছে খারাপ কাজ থেকে বিরত আছে, তবে এর জন্য ধর্ম কেন? না খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য ধর্ম লাগে না যদি তার মাঝে ন্যায় অন্যায় নীতি বোধ থাকে। তবে ধর্মের স্বাভাবিক নিয়ম গুলো পালন করলে (উগ্রপন্থা বা ধর্মীয় রাজনীতি এখানে মোটেও প্রযোজ্য না) ভালো থাকার একটা ক্যাটালিষ্ট তো হতে পারে। হতে পারে আমার ধারনা ভুল। সে ক্ষেত্রে নিজ গুনে মার্জনা করবেন।

১৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার পোষ্ট। ভাইরে এই ধরনের একটা লেখার জন্য প্রচুর প্রচুর সময় দিতে হয়। আফসোস, সঠিক মন্তব্য করবে, সঠিক যুক্তি তর্কে অংশ নিবে এমন ব্লগারের সংখ্যা বর্তমানে খুবই কম। নিজের চর্চার জন্য লেখা চালিয়ে যাওয়া কঠিন অনুপ্রেরণার ব্যাপার। আপনি সেটা পারছেন।

ধর্ম আর বিজ্ঞান নিয়ে আমার অবস্থান বেশ পরিষ্কার। পৃথিবীর সব কিছুই ধর্ম আছে। ধর্ম মানে কোন জিনিসের কিছু নির্দিষ্ট চরিত্র, কিছু বৈশিষ্ট্য। যেমন ধরুন মুসলিমরা নামাজ পড়বেন, হিন্দুরা পূজা করবেন, খ্রীষ্টানরা প্রার্থনা করবেন। ইলেকট্রন কনার যেমন কিছু বৈশিষ্ট্য আছে 'ধর্ম' আছে তেমনি মানুষেরও ধর্ম থাকবে, সমাজেরও ধর্ম থাকবে। ধর্ম বা বৈশিষ্ঠ্য উপযুক্ত প্রেক্ষাপটে অনেক সময় পরিবর্তিতও হতে পারে। মানুষও ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে। এইগুলো আসলে খুবই মোটা দাগের কথা।

এই বিষয়ে আমার একটা হাইপোথিসিস আছে। সেটা হলো - বিজ্ঞান আর ধর্ম দুই সহদোর। বিজ্ঞানের উৎপত্তি হয়েছে ধর্মকে ব্যাখ্যা করার জন্য, বুঝার জন্য।

যেমন ধরুন, মুরুব্বীরা প্রায় বিভিন্ন বিপদ আপদ থেকে বা কোন অশুভ শক্তি থেকে মুক্তি পেতে বা দূরে থাকতে আমাদেরকে বিভিন্ন মন্ত্র পড়ে ফুঁ দেয় বা আমাদেরকে শিখায় কোন বিপদের আশংকা থাকলে ঐ সকল দোয়া পড়ার জন্য।

আপনি আমি সকলেই জানি, পৃথিবীতে অনেক প্রাণী আছে যাদের শ্রবণ শক্তি বা দেখার শক্তি মানুষের চাইতে অনেক বেশি। বাজারে একটা হাই পিচের বাঁশি পাওয়া যায়, যা দিয়ে কুকুরকে ডাকা যায়। বাঁশির ঐ শব্দ কিন্তু আবার মানুষ শুনে না।
এখানে ক্লিক করে হাই পিচের কিছু শব্দ শোনার চেষ্টা করতে পারেন। প্রথম কয়েকটা সাউন্ড কুকুর বা এই জাতীয় কোন প্রাণি ছাড়া কেউ শুনতে পাবে না। এখানে মুল হচ্ছে শব্দ তরঙ্গ বা একটা ভাইভ্রেশন। বাজারে তো ইতিমধ্যে আপনি আল্ট্রা সাউন্ডের ইনসেক্ট কিলার পাবেন।

আমি যা বলতে চাইছি তা হলো, এই ধরনের মন্ত্র বা দোয়া পাঠের মাধ্যমে আপনার কেন্দ্র থেকে এক ধরনের ওয়েভ ছড়িয়ে পড়ছে যা হয়ত আশেপাশে থাকা কোন নির্দিষ্ট প্রানী বা অশুভ কিছুকে যা মানুষ হয়ত দেখতে পায় বা পায় না তাদের জন্য অসহ্য বা অসহনীয়। এই হাইপোথিসসকে যদি মানি তাহলে ধর্ম আর বিজ্ঞানকে সাংঘর্ষিক মনে হবে না বরং হয়ত উল্টা মনে হতে পারে।

সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই, এই জাতীয় তর্ক খুবই বেহুদা! যারা ঈশ্বর বিশ্বাস করেন না তাদের একটা বড় অংশ আবার এলিয়নে বিশ্বাস করেন। তাঁরা প্রতিনয়ত এমন অনেক কিছুই বিশ্বাস করেন, যা তাঁরা দেখে না, শোনেন না বা বুঝেন না। তাঁরা গনিতে বিশ্বাস করেন, তাঁরা সংখ্যা হিসেবে শূন্য বিশ্বাস করেন। শূন্য মানে খালি বা ফাঁকা। এই খালি স্থানের কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল বা অংশ নেই, এটা অসীম। তারমানে শূন্যর যদি কোন মান না থাকে, তাহলে তাকে অসীমও বলা যেতে পারে।

যদি শূন্য মানে অসীম হয়, তাহলে কিছু প্রশ্ন থাকে। যেমন, অসীম মানে যার কোন সীমা নেই। কিন্তু কেউ যদি মনে করেন, অসীম বলে কিছু নেই, মানুষ যার সীমা আবিষ্কার করতে পারে নি, সেটাকেই অসীম বলে চালিয়ে দিয়েছে বা যার শেষ সীমা পর্যন্ত না গিয়ে কিছু আনুমানিক ধারনাকে মাধ্যম ধরে, বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে, তাকেই অসীম বলে, - এটা কি ভুল হবে?

যদি ভুল হয় তাহলে আরো একটা প্রশ্ন সামনে আসে, তা হলো, এখন পর্যন্ত মানুষ যে জ্ঞান অর্জন করতে পারে নি, জ্ঞানের সেই অপ্রকাশিত অংশকে বিজ্ঞান কি সমর্থন করে না কি সমর্থন করে না? যদি বিজ্ঞান মানুষের অপ্রকাশিত জ্ঞানের উপর আস্থা রাখে বা বিশ্বাস করে, তাহলে 'ঈশ্বর' ধারনাটিকে কি বিজ্ঞান উড়িয়ে দিতে পারে?

সবচেয়ে বিপদের কথা হলো সৃষ্টিকর্তা দেখতে কেমন? বলা হয়েছে - তিনি নিরাকার, অসীম, এক এবং অদ্বিতীয়! গণিত অস্বীকার করার কিছু নাই। গণিত এ একটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হলো শূন্য! এই দিকে কোরানে বলা আছে, আল্লাহ সব কিছুর সৃষ্টি করেছেন শূন্য থেকে – ২:১১৭।

চিন্তা করুন, ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করুন। প্রকৃত বিজ্ঞান চর্চা মানুষকে অর্ধ্মী বানায় না বরং ধর্মকে বুঝতে সাহায্য করে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

শের শায়রী বলেছেন: কখনো কখনো মন্তব্য পোষ্টকে পূর্নতা দেয়। তোমার মন্তব্য এই পোষ্টকে পূর্নতা দিল ভাইডি। এখানেই ব্লগ আর অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলোর মাঝে পার্থক্য। আমার কৃতজ্ঞতা জান।

তুমি যে পয়েন্টগুলো দিছ সেগুলো আমার ভাবনায় ছিল না। নতুন করে ভাবতে হচ্ছে।

সব চেয়ে বড় কথা এটাই "চিন্তা করুন, ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে চিন্তা করুন। প্রকৃত বিজ্ঞান চর্চা মানুষকে অর্ধ্মী বানায় না বরং ধর্মকে বুঝতে সাহায্য করে।" এট লিষ্ট ধর্ম কে অপমানিত করতে শিখায় না।

১৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

@নীল আকাশ বলেছেন, " শ্রোয়েডিংগারের উপর পড়ালেখা করতে হয়েছিল লেভেল ১ টার্ম ২তে। পুরোকোর্স মাথার উপর দিয়ে গেছে। স্যারকে বললাম, আমরা কিছু বুঝতে পারছি না। উনি হাসি মুখে বল্লেন, আমি নিজেও এখনও ভালোমতো বুঝিনা আর তোমরা এত তাড়াতাড়ি কিভাবে বুঝবে? পরীক্ষা কি লিখেছি আর কিভাবে A গ্রেড পেয়েছি নিজেও জানি না। "

-কিভাবে A গ্রেড পেয়েছেন, সেটা আপনার জানার কথা নয়; ব্লগে কি লেখছেন, এগুলোও আপনার জানার কথা নয়।

১৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগে সায়েন্স লেখক খুবই কম; যখন সায়েন্স নিয়ে লেখেন, উহাকে সায়েন্সের টার্মিনোলোজীর ভেতরে রাখুন, এটাই সহজ নিয়ম।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৫

শের শায়রী বলেছেন: আমি নিজেকে কোন অবস্থাতেই সায়েন্স নিয়ে লেখক ভাবতে রাজি না, আমার অন্যান্য পোষ্টগুলো দেখলেই বুজতে পারবেন অনেকটা পাচমিশালী জগা খিচুড়ী। আর ব্লগে কে কিভাবে লিখবে সেটা একান্ত তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার, শুধু যেন ব্লগীয় শর্ত ভঙ্গ না হয়। সায়েন্স নিয়ে লিখলে সায়েন্স টার্মিনোলোজী, ইতিহাস নিয়ে লিখলে ইতিহাস টার্মিনোলজি, গনিত নিয়ে লিখলে গনিত টার্মিনোলজি, রাজনীতি নিয়ে লিখলে রাজনৈতিক টার্মিনোলজি বা কবিতা লিখলে কবিতা টার্মিনোলজির মাঝেই থাকতে হবে এমন কোন নিয়ম কানুন কোথাও লেখা আছে কিনা আমার জানা নেই, যদি অজান্তে কোন ভুল করে ফেলি ক্ষমা করে দেবেন? তবে এই সব বিষয় ভিত্তিক টার্মিনোলজি কোন নিয়মে কোথায় লেখা আছে জানলে ভবিষ্যতে লিখতে সুবিধা হবে।

মেহেরবানী করে কি জানাবেন এই সব লেখার নিয়ম কানুন আর টার্মিনোলজিগুলো? :||

১৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: দ্বিতীয় সহস্রাব্দের নতুন সংস্কারক (মুজাদ্দিদে আলফে সানী জাদিদ) ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে সহমত।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

২০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১১

সোহানী বলেছেন: বেশ কিছুদিন খুব বিজি ছিলাম তাই ব্লগে তেমন করে ঢুকা হয়নি। মনে মনে ভেবে রেখেছি আপনার পোস্টগুলো পরপরই পড়বো। এতে আপনার মনের চিন্তাধারা পরিবর্তনের সাথে সাথে আমি ও নিজেকে আপডেট করবো। কিন্তু এমন একটি বিষয় নিয়ে এবার আসলেন যে আগেই উকিঁ দিতেই হলো।

প্রথমেই বলে নেই, আমার চিন্তাধারার এভাবে যে আপনার সাথে মিলে যাবে তা ভাবতে পারিনি। আমি ঠিক একই আঙ্গিকে এমন একটি লিখা ড্রাফট্ করেছিলাম যখন ব্লগে আস্তিক নাস্তিক নিয়ে ঝড় বচ্ছিল। যাহোক, তারপর অনেক চিন্তা ভাবনার পর পোস্টটা দেইনি। আজ অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে মনে পড়লো।

যাহোক, আপনি যা বলেছেন বা বোঝাতে চাচ্ছেন তা বোঝার মতো খুব কম মানুষই পাবেন। কারন যে চক্ষু কর্ণ মস্তিস্ক সজাগ থাকতে হয় আর সে দৃব্য দৃষ্টি সজাগ রাখার জন্য যে ব্যকগ্রাউন্ড দরকার তা খুব কম আছে বলে মনে হয়। তাই বলে নিজেকে খুব জ্ঞানীর কাতারে নিজেকে ফেলছি না। আমার জ্ঞানের একটি বড় অংশই আমার বাবার কাছ থেকে ধার করা। যার সংগ্রহে আপনার মতই কয়েক হাজার বই ছিল। এবং দুনিয়ার এমন কোন বিষয় নেই তাঁর দখলে নেবার চেস্টা ছিল না এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেনি।...…...বাবা শুধু বলতেন পড় পড় পড়…… যা সামনে পাবে পড়বে। খারাপ বা ভালো বিবেচ্য নয়। নিজের বিচার বুদ্ধি দিয়ে তার বিচার করবে। আর তুমি যদি নাই পড় তাহলে জানবে কিভাবে যে সেটি খারাপ। থাক বাবার কথা আরেকদিন হবে…….

পৃথিবীর সবাই সত্যিকারে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হোক এ প্রত্যাশায়।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪০

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই আপনার বাবার কাছে আমার সশ্রদ্ধ সালাম পৌছে দেবেন। এমন একজন বাবার মেয়ে হয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন। আমিও আমার সন্তানদের খুব চেষ্টা করি বই পড়ানোর কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি এক্ষেত্রে আমি অনেকটা ব্যার্থ যদিও তাদের বয়স খুব বেশী না, বড় টা মাত্র কৈশোরে পা দিল। এযুগের যা নিয়ম সেই নিয়ম মেনে তারা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটেই বেশী সময় দেয়। বড় আফসোস হয়। যাক……

এটা ভাবতেও ভালো লাগছে বোন যে আপনার সাথে আমার চিন্তাধারার মিল আছে। হ্য একটা সময় ব্লগে আস্তিক নাস্তিক এক বিরাট ফাইট হত, তবে সে সময়ে যারা নাস্তিক ছিল তারা জানত এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। তারা পড়াশুনা বা জ্ঞানের লেভেল অনেক ওপরে ছিল, যার মাঝে কয়েকজন তো নাস্তিক জগতের কিংবদন্তী হয়ে গেছে।

বছর সাতেক আগে আমি যখন ব্লগিং শুরু করি তখন এ ধারার অস্তমিত। আমি এই আস্তিক নাস্তিক ঝগড়া বা কোন ঝগড়ায় ই নাক ঢুকাতাম না। নিজ মনে লিখে যেতাম। আজকের পোষ্টটাও কিন্তু বোন ভিন্ন আঙ্গিকে যেহেতু আপনি ব্যাপারটা উপলদ্ধি করেন তাই অনেক সহজ হবে বলা যে বিজ্ঞান আর ধর্ম কিন্তু সাংঘার্ষিক না, এখানে সৃষ্টিকর্তা আছে কি নেই বা ঐশীগ্রন্থের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কোন তর্কে যাই নি, ইচ্ছা ও নেই। সমস্যা হল আপনি যেমন বলছেন “যাহোক, আপনি যা বলেছেন বা বোঝাতে চাচ্ছেন তা বোঝার মতো খুব কম মানুষই পাবেন।" বাস্তবতা হল ছয় বছর পরে এসে দেখি ব্লগারদের স্বকীয়তা প্রায় বিসর্জন দিয়ে ব্লগ এখন প্রায় ফেসবুকে লীন হয়ে গেছে।

আগে একটা পোষ্ট দিয়ে ভয়ে থাকতাম কি ধরনের প্রশ্ন পাব তার জবাব কি দিতে পারব বা প্রশ্নের জবাব খুজতে গিয়ে আবার নতুন করে বইপত্র নিয়ে বসতে হত পড়তে। আবার মন্তব্যে এমন সব মন্তব্য আসত যাতে নিজেকে আরো ঋদ্ধ করতে পারতাম। এটাই ব্লগিং। আর ফেসবুক মানে “সহমত”। যাক এগুলো নিয়ে আলাপ না করি। বয়স ও হয়েছে, আগের মত আর সময় দিতে পারি না, তারপরো নিজের আনন্দে এখনো মাঝে মাঝে লিখি আর কৃতজ্ঞতা অনুভব করি এখনো কিছু মানুষ আমার এই ছাইপাশ পড়ে দেখে।

ভালো থাকুন বোন

২১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: @ চাঁদগাজী বলেছেনঃ কিভাবে A গ্রেড পেয়েছেন, সেটা আপনার জানার কথা নয়; ব্লগে কি লেখছেন, এগুলোও আপনার জানার কথা নয়!
আপ্নি নিশ্চয় জানেন, তাইনা? আপ্নি ব্লগের সব বিষয়ে সব ধরনের মন্তব্য করে যে বিপুল উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন সেটা দেখলে আইন্সটাইন, শ্রোয়েডিংগার নির্ঘাত হার্টফেইল করতো! ভাগ্যিস এরা সামুতে কোন পোস্ট দেয়নি। দিলে এদেরকেও আপনি প্রশ্ন ফাস জেনারেশন বলতেন। আপনার জ্ঞানের বহর দেখলে অনেক ব্লগারদেরই মুহুর্তেই নিশ্বাস প্রশ্বাস উল্টো হয়ে যায়! বিনা টিকেটে এত ব্যাপক বিনোদন সামু ছাড়া আর কোথায় কি পাওয়া যাবে!

২২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩১

সুপারডুপার বলেছেন: শের শায়রী ভাই ,

আমি কোনো আধ্যাত্বিক গুরু বাবা বিশাল কোনো কিছু না। আপনি তো অনেক অনেক বেশি বিনয়ের সাথে কথা বলেন। প্লিজ এতো বেশি বিনয়ের সাথে আমার সঙ্গে কথা বলবেন না। স্বাভাবিক ভাবে বলবেন প্লিজ। আমাকে কি আপনার জ্ঞানের জাহাজ মনে হয় ! আপনি আমার কাছে থেকে অনেক বেশি আশা করে ফেলেছেন। অসীম আধ্যাত্মিকতার জগতে আমার জানার পরিধি খুবই খুবই ক্ষুদ্র। আমি আপনার সব গুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না। অনেক বিষয় এখনও জানি না। অনেক বিষয় বোঝাতে পারবো না।

যেমন রাবেয়া বসরী বলেছিলেন ,
''
True description from the real taste.
The one who tastes, knows;
the one who explains, lies.
How can you describe the true form of Something
''
ওয়াহদাতুল ওজুদ, আল্লামা ইকবালের খুদিতত্ত্ব নিয়ে আমার পড়া হয়নি। দুঃখিত, তাই এটা সমন্ধে কিছু বলতে পারবো না।

উইকএন্ডে আমি আপনাকে খুবই অল্প জ্ঞান থেকে কিছু বলতে পারবো। অনেক অনেক শুভ কামনা ।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি, যদি আমার ব্যাবহার আপনাকে আঘাত দিয়ে থাকে পূর্বোক্ত মন্তব্যের জবাবে। আমি জানি না আমার ব্যাবহারকে কি বিনয় বলে নাকি, তবে আমি আসলে অনেকটা এভাবেই কথা বলতে অভ্যস্থ (তবে একান্ত ঘনিষ্ঠজনের সাথে ভিন্ন ব্যাপার)।

অনেক অনেক শুভ কামনা।

২৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৪৬

সুপারডুপার বলেছেন: শের শায়রী ভাই,আপনার প্রশ্নের উত্তর অনেকটা এক বাক্য দিয়ে দেওয়ার মনস্থির করলাম । ভেবেছিলাম ব্যাখ্যার কথা, এই জন্য উইকএন্ডে দিবো বলেছিলাম। চিন্তা করে দেখলাম, ব্যাখ্যা দিলে আরো বেশি ভুল বোঝাবোঝির সৃষ্টি হবে।

প্রশ্ন -উত্তর :
১। ক ) সাধক প্রাথমিক পর্যায়ে কি ধরনের ভাবনা বা চিন্তা নিয়ে কাজ করে? খ )আধ্যাত্মিকতার প্রাথমিক পর্যায়ে কি সবাই “নাস্তিক”?

উত্তর : ক) এটা নির্ভর করে সাধকের শিক্ষক কে। খ ) অনেকটা। কারণ তার মনের মধ্যে বাসা বেঁধে থাকা ভুল সৃষ্টিকর্তার মূর্তি প্রথমে ধ্বংস করতে হয়। এর পরেই কেবল সে সঠিক সৃষ্টিকর্তার সন্ধান পেতে পারে । আপনার মত ধার্মিক মানুষকে বুঝানোর জন্য: প্রথমে ' লা ইলাহা ' এর পরে 'ইল্লাল্লাহ'।

২। সাধক যখন তার সাধনার দ্ধারা বিভিন্ন পর্যায়ে উপনীত হয় তখনও যদি সে তার ভাবনা বা চিন্তাগুলো তার ধারনাকৃত অবস্থার সাথে মিলে যায় তবে কি আস্তিক বা ধার্মিক হয়ে যায়? না কি নাস্তিকই থাকে?

উত্তর : নাস্তিক -ই থেকে যায়। কারণ তার ভাবনা বা চিন্তাগুলো তার ধারনাকৃত অবস্থার সাথে মিলে গেছে কিন্তু সাধক তখনও সৃষ্টিকর্তার দেখা / প্রমাণ পান নি।

৩। ( ক ) আধ্যাত্মিকতা কি শুধুই যারা ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন তাদের জন্য নাকি যারা ধর্মকে বিশ্বাস করে তারাও করতে পারে? (খ) কোয়ান্টাম মেথড নিয়ে আমি অতি সামান্য ভাষা ভাষা পড়ছি সেটা আর আধ্যাত্মিকতা কি পরিপুরক?

উত্তর : ( ক ) আধ্যাত্মিকতার দরজা সবার জন্য উন্মুক্ত (খ) না। কোয়ান্টাম মেথড ও আধ্যাত্মিকতা পরিপুরক না।

৪। ( ক ) “ওয়াহদাতুল ওজুদ” বলতে আসলে কি বুজায়? (খ) ওয়াহদাতুল ওযুদ কি আধ্যাত্মিকবাদ না? (গ )সুফিবাদ আর আধ্যাত্মবাদের পার্থক্যটা কি? (ঘ ) ওয়াহদাতুল ওযুদ আর ইসলাম কি সাংঘার্ষিক?

উত্তর : ( ক ), (খ) (ঘ ): জানা নাই (গ ) একটা ইসলামিকের মত শোনায়, আরেকটা সবার জন্য। দুটির-ই সাধক যখন সাধনার কয়েকটি ধাপ পার করেন, তখন বুঝতে পারেন দুইটাই এক।

৫। আল্লামা ইকবালের খুদিতত্ত্ব আর ঐশীজ্ঞান কি আধ্যাত্মিক বাদের মাঝে পড়ে? যদি না পড়ে তবে কেন? আর যদি পড়ে তবেও বা কেন?

উত্তর : পড়ি নাই , তাই জানা নাই।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০১

শের শায়রী বলেছেন: সময় নিয়ে উত্তর দেবার জন্য অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

২৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিজ্ঞানের পরিপূর্ণ বিকাশে পবিত্র কুরআন অর্থাৎ ধর্মের সঙ্গে এর কোনো সংঘর্ষ থাকবে না। যতটুকু মিল আছে বিজ্ঞানের ততটুকু ঠিক আছে। বিজ্ঞানী হিসেবে সফল হতে হলে সহজতম পথ হলো কুরআনের কথা মত গবেষণা করা। কারণ এতে সময় বেঁচে যাবে অনেক। তবে যারা নাস্তিক তাদের উচিত আল্লাহ আছে কী না ই সে বিষয়ে গভীর চিন্তা গবেষণা করে আল্লাহর অস্তিত্ব নিশ্চিত হওয়া র পর অন্য বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করা। কারণ ঈমান সবচেয়ে মূল্যবান। ঈমান ছাড়া বাকি সব শূন্য মানের। শূন্য বাড়িয়ে লাভ কি? কুলু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ তুফলিহুন। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বিশ্বাস করো কামিয়াব অর্থাৎ সফল হবে।
বিগ ব্যাং থিওরি এই কদিন আগের অথচ কুরআনে তা লিপিবদ্ধ আছে বহু আগে থেকেই। একটি কবিতা যেমন আপনি আপনি হয় না তেমনি কোনো সৃষ্টি স্রষ্টা ছাড়া হয় না। ছোট্ট একটা পাখির বাসা পাখি ছাড়া তৈরি অসম্ভব এত বড় পৃথিবী চন্দ্র সূর্য ছায়াপথ ও তেমনি স্রষ্টা ছাড়া তৈরি হওয়া অসম্ভব। বিজ্ঞানের সাথে যতটা সঙ্ঘাত ততটুকু বিজ্ঞান ভুলের উপর আছে। বিজ্ঞান এখনো আখেরাতের ব্যাখ্যা দিতে অপারগ মৃত্যুর সাথে সাথে বিজ্ঞানের কবর হয়ে যায়। এটা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। কিছু একটা তো বলতে হবে না কি । সুন্দর পোষ্ট।+

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৪

শের শায়রী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা। ভালো থাক ভাইডি।

২৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৩

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: বিজ্ঞান হলো মহাবিশ্বের ভাষা। এই ভাষা দিয়েই আমরা মহাবিশ্বের রহস্যগুলো বুঝতে সক্ষম হচ্ছি। বিজ্ঞানের কোন সৃষ্টি ক্ষমতা নেই, কিন্তু এটি সমগ্র সৃষ্টি প্রক্রিয়া এবং তার পূর্ব ও পরবর্তী অবস্থার প্রায় নিঁখুত বিশ্লেষণ প্রদানে সক্ষম। মহাবিশ্ব তার নিজস্ব নিয়মেই চলছে। নিয়মগুলোর সাথে মিল রাখার নিমিত্তে বিজ্ঞান প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। কিন্তু এই নিয়মগুলো কেন পূর্বনির্ধারিত এবং সুনির্দিষ্ট? সৃষ্টকর্তার অস্তিত্ব খোঁজার আগে এই প্রশ্নটির উত্তর আমাদের খুঁজে পেতে হবে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমার মনে পড়ল আইনষ্টাইনের বিখ্যাত উক্তি "ঈশ্বর তার সৃষ্টিকে নিয়ে পাশা খেলেন না।" ইনফ্যাক্ট আপনার মন্তব্যের লাষ্ট লাইনের জবাবে বলতে হয় আমার এই পোষ্ট ঈশ্বর বা সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নিয়ে নয়। আমি আসলে প্রশ্নটা করছি ধর্ম আর বিজ্ঞান কি সাংঘার্ষিক।

অনেক অকেন কৃতজ্ঞতা।

২৬| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১১

সুপারডুপার বলেছেন: শের শায়রী ভাই, ´জানি না , আপনি এখন কোন দেশে আছেন! কি বা সেই দেশের রীতিনীতি! আমি যে দেশে আছি সেই দেশে ভুল করলে মাফ করবেন / দুঃখিত বলার রীতিনীতি, না ভুল করলে দুঃখিত বলার রীতিনীতি নাই। হেল্প করলে ধন্যবাদ দেওয়ার রীতিনীতি , না হেল্প করলে ধন্যবাদ দেওয়ার রীতিনীতি নাই। আপনি কি ভুল করছেন বা ব্যক্তিগত আঘাত দেওয়ার মত কথা বলেছেন যে আপনাকে দুঃখিত বলতে হবে। আজব তো !! ব্লগে দুঃখিত বলা আপনার মুদ্রাদোষ ও হতে পারে। তখন বলার কিছু নাই। একমত বা দ্বিমত থাকতেই পারে। এটা মুক্ত চিন্তার বৈশিষ্ট্য। এর জন্য দুঃখিত বলার দরকার নাই।

লেখক বলেছেন: তাই অনেক সহজ হবে বলা যে বিজ্ঞান আর ধর্ম কিন্তু সাংঘার্ষিক না

--
''বিজ্ঞান আর ধর্ম কিন্তু সাংঘার্ষিক না' / বিজ্ঞানের সাথে ধর্ম মিলানো '- পিছিয়ে পরা দেশ গুলোর বৈশিষ্ট্য। উন্নত দেশ গুলোতে সিভি , অফিস -আদালত কোথাও ধর্ম বলার প্রয়োজন নাই ; বরং সিভিতে ধর্ম থাকলে তা নেগেটিভ।

এই ব্লগের অনেক 'জোর গলার ধার্মিক' ব্লগার উন্নত দেশে থাকতে পারে। মজার ব্যাপার এই জোর গলা শুধু বাংলাদেশেই খাটাতে পারে , উন্নত ঐ দেশে না। উন্নত দেশে যদি কোনো হিন্দু , খ্রিস্টান , মুসলিম যেই হোক না কেন , অফিসে ধর্ম নিয়ে বেশি কথা বললে ; তার অজান্তেই চাকরি চলে যেতে পারে।

যেমন : ভার্সিটিতে রিসার্চের সময়, এক উগ্র মুসলিম মিশরিয়ান রিসার্চার আমার নাম দেখে প্রায়ই নামাজের জন্য জোর করতো / ভয় দেখানোর চেষ্টা করতো। একবার যখন বললাম , এর পরে যদি ধর্ম টেনে আনো ; প্রফেসরকে বলবো। তারপরে থেকে সে মিন মিনে বিলাই হয়ে গিয়েছিলো।

আর '''ইবনে সিনা ' জ্বিনদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করেছিলেন; কুরআনের অনেক বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত করে তার বৈজ্ঞানিক মতামত দেয়াতে তাকে দেশান্তরিত হতে বাধ্য হয়; ইবনে সিনা পরকালে অবিশ্বাসী ছিলেন। অর্থ্যাৎ মৃত্যুর পর পুনরুত্থানে অবিশ্বাসী ছিলেন'' ( আপনি নিজেই ইতিহাস ঘেটে দেখুন ). তাহলে ইবনে সিনা কিভাবে মুসলিম বিজ্ঞানী হল? নাম মুসলিম হয়ে বিখ্যাত হলেই মুসলিম মুসলিম বলে ঢোল ফাটে।

দেখেন পৃথিবীর বিখ্যাত গবেষণা ইনস্টিটিউট গুলোতে বেদ , পুরাণ , কুরান বাইবেল পড়া চালু করতে পারেন কি না ?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৯

শের শায়রী বলেছেন: সুপারডুপার ভাই, আপনি লিখছেন দেখেন "পৃথিবীর বিখ্যাত গবেষণা ইনস্টিটিউট গুলোতে বেদ , পুরাণ , কুরান বাইবেল পড়া চালু করতে পারেন কি না ?" আমি কি কোথাও এমন কিছু দাবী করছি? ধর্ম একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। আমার মুল ব্যাপারটা হল ধর্ম আর বিজ্ঞান সাংঘার্ষিক না। ধার্মিক হলে বিজ্ঞান জানা যাবে না আর বিজ্ঞান জানলে ধর্ম কর্ম করা যাবে না এই ব্যাপার। এবং বিজ্ঞান অনেক ক্ষেত্রেই ধর্মকে বুজতে সাহায্য করে আমিয়ার বক্তব্য এটুকুই। ইবনে সিনার ওই ঘটনা আমি জানি না। আর যদি হয়ও সমস্যা কি? সেটা তার একান্ত ব্যাক্তিগত।

ইজিপশীয়ান্দের সাথে আমারো কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে বাস্তবতা হল ওদের মত কর্কশভাষী আমি কমই দেখছি, এক এক জনের এক এক রকম অভিজ্ঞতা। হতেই পারে।

২৭| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানুষের মত প্রানীর আবির্ভাব আড়াই কোটি বছর আগে। ৮০ লাখ বছর আগেকার চোয়ালের দাত সহ ফসিল পাওয়া গেছে।
মানবকুল ৯৯.৯% সময় ধর্ম বিহীন কাটিয়েছিল।
মানুষ কোটি বছরের বিবর্তনে একসময় সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয় পায়,
একসময় তাঁরা প্রকৃতিকে ভয় পেত, ভক্তি করতো। পরে মুর্তির বা কিছু একটা কিছু বানিয়ে তাকেই ঈশ্বর মনে করতো। সময়ে সময়ে দেবদেবির সংখা বাড়তে থাকে।

মানুষ ক্রমশ বুদ্ধিমান হল, অস্ত্র হাতে নিল। শক্তিশালী হল; অন্যান্ন জীব প্রকৃতি জগতের ওপর দখল শ্রেষ্ঠত্ব কায়েম করল। তখন দেখা গেল মুর্তিফুর্তি আর ভয় পায়না লোকে। তাই একসময় লৌকিক মুর্তি বাদ দিয়ে অদৃশ্ব ঈশ্বর অলৌকিকে বদলে গেল। কিছু চতুর ঈশ্বর প্রতিনিধী দাবি করে বিভিন্ন বুজুর্গি দেখিয়ে বদলে দিল।
মাত্র ২ হাজার বছর আগে বড় ধর্মগুলো আবির্ভাব।
কিছু সমাজপ্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহের জন্যই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
এরপর সমাজ গোত্র বড় হয়, গোত্রের মাস্তান চতুররা সময় কেউ বুঝে গাছতলায় ধ্যানে বসে, কেউ পর্বতের গুহায় বসে নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে, মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে! বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জনে ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে।
বর্তমানে কিছু বান্দা ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও ..
অতচ মানবকুল ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন কাটিয়েছিল।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: মানুষের (মত) প্রানীর আবির্ভাব আড়াই কোটি বছর আগে, আশি লাখ বছর আগে চোয়াল সহ ফসিল পাওয়া গেছে, সব ঠিক আছে, হয়ত দেখছেন আমার একটা পোষ্টও এব্যাপারে। কিন্তু আধুনিক মানুষ হোমো স্যাপিয়েন্স এর আবির্ভাব ( পঞ্চাশ থেকে দশ হাজার বছর আগে)।

এভালুয়েশানের অনেক ব্যাপারই আপনার জানা আছে ধরে নিচ্ছি সেক্ষেত্রে জানেন নিশ্চয়ই অনেক পাখির আদি পুরুষ পানিতে বাস করত! সেক্ষেত্রে পাখি আর মাছ ( মানে ঐ পাখির পূর্ব পুরুষ) কি এক হয়ে গেল?

যাই হোক এব্যাপারে আমার জ্ঞান অতি সীমিত। তর্কে যাবার মত না। ধর্ম অনেকটা বিশ্বাস এটাই আমি জানতাম কিন্তু ইদানিং বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা ধর্মের এই সব অলৌকিক ব্যাপারে উৎসাহী দেখে আমিও কিছুটা জানার জন্য উৎসাহী উঠছি এই আর কি?

২৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৮

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: ব্লগে ক'দিন যে অবস্থা চলছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে পারফেক্ট পোস্ট! ধর্ম ও বিজ্ঞান সবসময়ই সমান্তরাল দুটি বিষয়। দুটো বিষয়ের ইন্টারসেকশন খোঁজাটা একদম বোকামি।
সালাম জানবেন,গুরুজি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

শের শায়রী বলেছেন: অলাইকুম আস সালাম। অনেক দিন তোমার খোজ নেই একটু ভাবনাতেই ছিলাম কোথায় তুমি যাক আজকের পোষ্ট টা দেখে বুজলাম দারুন একটা কাজ করছ।

২৯| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:১৪

সুপারডুপার বলেছেন: সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিজ্ঞানের পরিপূর্ণ বিকাশে পবিত্র কুরআন অর্থাৎ ধর্মের সঙ্গে এর কোনো সংঘর্ষ থাকবে না। যতটুকু মিল আছে বিজ্ঞানের ততটুকু ঠিক আছে। বিজ্ঞানী হিসেবে সফল হতে হলে সহজতম পথ হলো কুরআনের কথা মত গবেষণা করা। কারণ এতে সময় বেঁচে যাবে অনেক।
-------------------------------------------------------------------------------------
@সেলিম আনোয়ার ভাই, NASA (National Aeronautics and Space Administration) কে আপনার প্রস্তাবনা জানাতে পারেন। আপনার প্রস্তাবনা NASA চালু করতে পারে। এতে NASA -র অনেক সময় বেঁচে যাবে। এবং NASA তাদের ভুল বুঝতে পেরে মঙ্গলগ্রহ , গ্যালাক্সি ম্যালক্সি বাদ দিয়ে সিদরাতুল মুনতাহা , লাওহে মাহফুজ , প্রথম , দ্বিতীয় , ..... সপ্তম আসমানের জন্য গবেষণা শুরু করবে। NASA -র কাছে পরে মনে হবে আজাইরা অনেক সময় ও অর্থ নষ্ট হয়েছিল স্যাটেলাইট , চাঁদ , মঙ্গলগ্রহ গ্যালাক্সি ম্যালক্সি ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা করে । ইস ! আগেই যদি সেলিম আনোয়ার সাহেবের কথা NASA শুনতো , কত অর্থ ও সময় বেঁচে যেত !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.