নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইটি, সেটি, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে (শেষ পর্ব)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৭

ইটি, সেটি, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে?( প্রথম পর্ব)


How a NASA Spacecraft May Help Aliens Find Earth

১৯৫৯ সালের সমসাময়িক পরিস্থিতি কেমন ছিল সেটাও একটু বুজতে হবে, সে সময়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর বহু মানুষ বিশ্বাস করত উড়ন্ত সশারে করে ভিন গ্রহ দিয়ে মানুষ এই পৃথিবীতে আসছে, নিরন্তর বিভিন্ন পত্রিকাতে সব আজগুবি খবর হত ইটিদের নিয়ে, প্রচুর প্রমান্য চাক্ষুষ সাক্ষীর সাক্ষাৎকারের গাজাখুরি গপ্প ফেদে বসত, মানে রাতারাতি নাম কামানোর একটা উপায় হয়ে দাড়াল, এরই পাশাপাশি বছর কয়েক আগে বাজারে এসেছে প্রথম বানিজ্যিক কম্পুটার, তার থেকেও বড় সাফল্য আসল লুনা-১ এর মহাকাশ অভিযান, মানুষের মহাকাশে প্রথম অভিযান। এহেন পরিস্থিতিতে কোকোনি মরিসনের যুগল পেপার


Cocconi giving a lecture in CERN's main auditorium 1967

তাদের পেপারে যে প্রশ্নটা গুরুত্বের সাথে এসেছে ইটি যদি সত্যিই থেকে থাকে তবে তারা কিভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবে? এর উত্তর সহজ। জানা মাধ্যমের মধ্যে “বেতার তরঙ্গের” মাধ্যমে। কারন বেতার তরঙ্গ হল অদৃশ্য আলো আর একথা আমরা সবাই জানি আলো সব থেকে দ্রুত গতি। মাধ্যম তো জানলাম কিন্তু কোন কম্পাঙ্কে? কোকোনি মরিসন সে জবাব দিলেন তাদের পেপারে এই মহাবিশ্বে যে পদার্থটির উপস্থিতি সব থেকে বেশী তা হল হাইড্রোজেন। আর এর পরমানু কম্পাঙ্ক ছড়ায় ১৪২০ মেগাহার্টজ এ। কোকোনি মরিসন পেপারে কতখানি উদ্ভুদ্ধ হয়েছিলেন ফ্রাঙ্ক ড্রেক তার প্রমান মেলে ইটির সিগন্যাল সনাক্ত করনে রেডিও টেলিস্কোপ ১৪২০ মেগাহার্টজে টিউন ই শুধু করেন নি তাক করেছিলেন পৃথিবী থেকে ১১ আলোকবর্ষ দূরে টাউ সেটি এবং এপসাইলন এরিদানি নামক দুটো নক্ষত্রের দিকে যার আছে নিজস্ব গ্রহ এবং যেখানে প্রান থাকার কথা অনুমান করেছিলেন কোকোনি মরিসন পেপারে।

এ ঘটনা আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগের। এর মাঝে যে বিজ্ঞানীরা যে কত মরীচিকায় বিভ্রান্ত হয়েছেন তার তার ঘটনা লিখতে গেলে অন্ততঃ ১০০ সিরিজ লেখা যাবে, সেদিকে না গিয়ে একটা উদাহরন দেই, ১৯৬৭ সালের ২৮শে নভেম্ভর ব্রিটিশ রেডিও টেলিস্কোপে চোখ রেখেছিলেন দুই গবেষক জসলিন বেল বারনেল এবং এ্যান্টনি হিউইশ তারা পিক করলেন নির্দিষ্ট সময়ের পর পর বিপ বিপ শব্দ। উৎসাহের অতিশয্যে তারা বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষায় মন দিলেন, মন ভাঙতেও দেরী হল না, আসলে ওই বিপ বিপ শব্দ কোন গ্রহ থেকে আসছে না, আসছে অকল্পনীয় ভাবে ঘুর্নায়মান এক ধরনের বিশেষ তারা থেকে আর ওই ধরনের তারা মহাকাশে অনেক আছে এদেরকে “পালসার” বলে। এই পালসার আবিস্কারের জন্য হিউইশ অবশ্য পরে নোবেল পান। এমন আরো অনেক উদাহরন দেয়া যায় যেখানে বিপুল উৎসাহে ভিনগ্রহবাসীর সিগন্যাল পেলেও পরে দেখা যায় সেগুলো আসলে অন্য কোন মহাজাগতিক কারনে অথবা সেগুলোর কোন কন্টিনিউটি নেই।



হোয়ার ইজ এভরি বডি” ইটিরা তাহলে কোথায়? নোবেলজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী এনরিকো ফার্মির এই প্রশ্ন একদা ছুড়ে দিয়েছিলেন তার সতীর্থ অন্য তিন বিজ্ঞানীর দিকে টেলর, ইয়র্ক এবং কোনোপিনস্কির উদ্দেশ্যে। এই প্রশ্ন আজো আলোচিত হয় ইটি খোজার মহলে। অবশ্য এর একটা যেন তেন উত্তর ফার্মি নিজেই দিয়েছিলেন, পৃথিবীর বুকে ইটি দের খুজে পাওয়া যায় না কারন (১) মহাকাশের দূরত্ব এত বিশাল যে ইটিরা তা পাড়ি দিতে পারে না। (২) সাধ্য হলেও ইটিরা আলসেমি করে সেদিকে যায় না। (৩) মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে এত সুদীর্ঘ কাল ইটি সভ্যতা টিকে থাকতে পারে না যে তারা সাম্রাজ্য বিস্তারে বেড়োবে। ১৯৫০ সালের গ্রীস্মে যে প্রশ্ন ফার্মি করেছিলেন তা আবার আলোচনায় নিয়ে আসেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানী মাইকেল হার্ট কোয়ার্টারলি জার্নাল অভ রয়েল এ্যাষ্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি” র জার্নালে “এ্যান এক্সপ্লানেশান ফর দ্যা এ্যাবসেন্স অভ এক্সট্রাটেরিষ্টিয়ালস অন আর্থ” প্রবন্ধে। তার প্রবন্ধের মুল বক্তব্য অনেকটা ফার্মির উত্তরের মত। কিন্তু এদের ব্যাখ্যাই শেষ কথা মানতে অনেকে মনে করেন না, তবে তাদের সেই ধাঁধা মানে “হোয়ার ইজ এভরিবডি” এটা এখনো ইটি খোজার মহলে “ফার্মি হার্ট প্যারাডক্স” নামে পরিচিত।

এর পাশাপাশি আর একটা ধাঁধা যা প্রায় “ফার্মি হার্ট প্যারাডক্সের” মত তা পরিচিত আছে “গ্রেট সাইলেন্স” নামে। গ্রেট সাইলেন্সের মূল কথা ধরে নিলাম দূর গ্রহে কোন বুদ্ধিমান প্রানী আছে মহাবিশ্বের অকল্পনীয় দূরত্ব পাড়ি দেয়া তাদের পক্ষেও সম্ভব না কিন্তু তারা তো পারে বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে কিন্তু তাও কেন করে না? এটাই “গ্রেট সাইলেন্স” প্যারাডক্সের মুল কথা।

এই সব ধাধার বিপরীতে যারা অবস্থান করছে তারাও বিভিন্ন যুক্তি ফুক্তি নিয়ে হাজির তার কোনটা কিছুটা যুক্তিপূর্ন কিছু অত্যান্ত ছেলেমানুষী। সে আলোচনায় এখানে যাব না গেলে এ লেখা শেষ হবে না। তবে সামান্য একটা উদাহরন দেই যা “জু হাইপোথিসিস” নামে পরিচিত। তাদের মতে ভিন গ্রহের বাসিন্দারা আমাদের কে দেখছে মানে অবজার্ভ করছে কিন্তু চাচ্ছে না আমাদের আমাদের বিবর্তনে নাক গলাতে। মানে চিড়িয়াখানায় যেভাবে বন্দী পশুপাখিকে মানুষ অবজার্ভ করে আর কি! আর এক দল বলে রেডিও তরঙ্গ আমাদের জানা মতে ফাষ্টেষ্ট ওয়ে ফর কম্যুনিকেশান কিন্তু এর থেকে কি অন্য কোন আধুনিক উপায় নেই আমরা তা কেমন করে জানব যে উপায় হয়ত ওই সব ভিনগ্রহবাসীরা জানে মানে জ্ঞান বিজ্ঞানের বিবর্তনের ধারায় আমরা ওদের থেকে অনেক পিছিয়ে আছি, এই টাইপের হাজারো যুক্তি।


Drake Equation | SETI Institute

১৯৬০ সালের নভেম্ভর মাস। ফ্রাঙ্ক ড্রেক ওয়েষ্ট ভার্জিনিয়ার গ্রীন ব্যাংকে ন্যাশনাল রেডিও এ্যাষ্ট্রোনমি অভর্জাভেশানে রেডিও রিসিভার সাজিয়ে বসেছেন, ওদিকে পেপারে শুরু হল হৈ চৈ। নাসা ঠিক করল ইটির অস্তিত্ব খোজা কতখানি বিজ্ঞান সম্মত তা আগে যাচাই করতে হবে। আয়োজিত হল এক আলোচনা চক্র। নাসার উদ্যেগে সে আলোচনায় সিদ্ধান্ত হল এ সংক্রান্ত সব কিছুর দায়িত্বে থাকবেন ড্রেক। ড্রেকই অতিথিদের তালিকা ঠিক করলেন। মোট বারোজন, এদের মাঝে জোর্তিবিজ্ঞানী, পদার্থবিদ, জীববিজ্ঞানী, সমাজতাত্ত্বিক এমনকি একজন শিল্পপতিও ছিলেন। আলোচনা তো হবে কিন্তু এ্যাজেন্ডা কি? ভাবতে বসলেন ড্রেক। ভাবতে ভাবতে পৌছুলেন এক সমীকরনে:

N=R* X fp X ne X fl X fi X fc X L যেখানে

R*= মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে প্রতি বছর সূর্যের মত যতগুলো নক্ষত্র জন্মায়

Fp= সেই নক্ষত্রগুলোর যত অংশের চারপাশে গ্রহ পরিবার গড়ে ওঠে

Ne= সেই পরিবারগুলোর প্রত্যেকটাতে যত গুলো পৃথিবীর মত গ্রহ থাকে

Fl= সেই গ্রহগুলোর যত অংশের মধ্যে প্রানের আবির্ভাব ঘটে

Fi= তাদের মধ্যে যত অংশ বুদ্ধিমান প্রানী হয়ে ওঠে

Fc= সেই বুদ্ধিমান জীবদের যত অংশ গ্যালাক্সিতে অন্য গ্রহের বাসিন্দাদের সঙ্গে যোগাযোগের উপযোগী প্রযুক্তিগত উন্নতি করে

L= এ রকম সভ্যতার আয়ুস্কাল।

এই ইক্যুয়েশান “ড্রেক ইক্যুয়েশান” নামে পরিচিত। এই ইক্যুয়েশান আসলে কিছু ফ্যাক্টরের সম্মিলিত হিসাব। ইটি তো আর বাতাস থেকে আসতে পারে না তার বেড়ে উঠার জন্য কিছু ফ্যাক্টর লাগবে ড্রেক ইক্যুয়েশান ঠিস সেই ফ্যাক্টরগুলোকে একত্র করেছে। ২০০২ সালে নর্থ ইষ্টার্ন ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক গ্রাহাম ফারমেলো বিজ্ঞানের ১১ টি সূত্র একত্র করে একটি বই সম্পাদনা করেন যার মাঝে আইনষ্টাইনের E = mc², ডিরাকের ইলেকট্রন সংক্রান্ত ফর্মুলা, শ্রোয়েডিংগারের পারমানবিক কনাদের আচরন নির্ধারন ই ক্যুয়েশানের পাশাপাশি ড্রেক ফর্মুলাও রাখেন। কেন এত মর্যদা ড্রেক ইক্যুয়েশানের? ব্যাখ্যা দেন ফারমেলো, বিখ্যাত ফর্মুলার যা মুল কাজ ঘটনাবলীর পূর্বাভাষ দেয়া (যেমন নিউটনের ফর্মুলা বলে দিতে পারে হাজার বছর পরে কবে কখন সূর্য গ্রহন হবে।) কিন্তু ড্রেক ফর্মুলা তা করে না এ বরং উন্নত সভ্যতার অস্তিত্বের সম্ভাবনা বিষয়ে আমাদের ভাবনা কে সুসংহত রূপ দেয়। গবেষনার ভাসা ভাসা চিন্তা আর অন্ধ বিশ্বাস কে একটা শৃঙ্খলায় আনে।

ড্রেকের ইক্যুয়েশানের দিকে খেয়াল করুন তা এগিয়েছে জোর্তিবিজ্ঞান থেকে জীববিদ্যায়। জীব বিদ্যা থেকে সমাজতত্ত্বের দিকে। তার থেকে বড় কথা অল্প অনিশ্চয়তা থেকে আরো বড় অনিশ্চয়তার দিকে। ১৯৬১ সালে এই ইক্যূয়েশান তৈরী করার (আমি আবিস্কার বলব না কারন এখানে আবিস্কার লিখলে অনেক কিছুই মেলে না) পর বিভিন্ন ফ্যাক্টরের যে সব মান কাজে লাগান N এর মান পাবার জন্য তা নিম্নরূপঃ


Anybody out there? | Scienceline

R*= ১০ (মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সিতে বছরে গড়ে ১০ টার মত নতুন সূর্য জন্মে)

Fp= ০.৫ (যত সে রকম তারা জন্মায় তার অর্ধেকের গ্রহ থাকে)

Ne= ২ (এরকম দুটো গ্রহের মাঝে অন্তত দুটোতে প্রানের আবির্ভাব হবার সম্ভাবনা থাকে)

Fl= ১ (এরকম গ্রহের ১০০% সত্যিকার প্রান গড়ে ওঠে)

Fi= ০.০১ (তাদের মাঝে ১ শতাংশ বুদ্ধিমান হয়)

Fc= ০.০১ (ও রকম প্রানীর ১ শতাংশ রেডিও সিগন্যাল পাঠানোর উপযোগী হয়।)

L= ১০০০০ (এ রকম সভ্যতা ১০০০০ বছর স্থায়ী হয়)।

সুতারাং N= ১০ X ০.৫ X২ X১ X০.০১ X০.০১ X১০০০০ = ১০ অর্থ্যাৎ বছরে দশটি করে নতুন সভ্যতা গড়ে উঠছে এই মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে। আমাদের গ্যালাক্সির বয়সই তো কয়েক শো কোটি বছর তাহলে ড্রেক ইক্যুয়েশান অনুযায়ী কত লক্ষ কোটি ইটি সভ্যতা গড়ে উঠেছে তার কোন হিসাব নাই! রেডিও খুললেই তো ভিন গ্রহ বাসীদের পাঠানো রেডিও সিগন্যালের জ্বালায় নিজ দেশের কোন চ্যানেল ই ধরা সম্ভব না। কিন্তু কোথায়? কেন?

এ প্রশ্নের জবাবে অনেক বিরাট আলোচনার ছিল, কিন্তু অত আলোচনায় যাবার মত পরিসর ব্লগ না এটা শুধু ধারনা দেবার জায়গা, যে প্রশ্ন আপনার আমার মাথায় আসে সে সব প্রশ্ন দুনিয়ার বড় বড় বিজ্ঞানীর মাথায় আসবে না এটা ভাবাও বোকামী। ড্রেক ইক্যুয়েশান বিরাট জটিল এক জিজ্ঞাসাকে ছোট ছোট করে জবাব খোজার চেষ্টা করে, তবে ওই ছোট প্রশ্ন গুলোর উত্তর কি হবে তা কিন্তু অনেক টা আন্দাজের ওপর এখনো। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে কি প্রতি বছর ১০ টা নক্ষত্রের ই জন্ম হয় (R*)? তার মাঝে কি ৫ টার চার পাশে গ্রহ থাকে (fp)। এগুলোর কোন স্বীকৃত জবাব নেই। ড্রেক ইক্যুয়েশানের প্রতিটা ফ্যাক্টরই প্রশ্ন সাপেক্ষ কিন্তু তারপরো এত ইম্পর্ট্যান্ট কারন আগেই বলছি উন্নত সভ্যতার অস্তিত্বের সম্ভাবনা বিষয়ে আমাদের ভাবনা কে সুসংহত রূপ দেয়। গবেষনার ভাসা ভাসা চিন্তা আর অন্ধ বিশ্বাস কে একটা শৃঙ্খলায় আনে।

ভিগ্র গ্রহে জীবন আছে কি নেই তা নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে তর্কের শেষ নেই, বরং এটা বিজ্ঞান থেকে আমাদের দর্শনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রানের উদ্ভব হয় কিভাবে? বুদ্ধি জিনিস টা কি? সভ্যতা কাকে বলে? হয়ত এজন্যই কার্ল সাগান “সার্চ ফর দ্যা এক্সট্রা টেরিষ্ট্ররিয়াল ইন্টেলিজেন্স” (SETI) কে বলতেন “সার্চ ফর হু উই আর”। ইটি অভিযান যেন এক দিক দিয়ে মানুষের নিজেকে চেনার সাধনা। যাই হোক ষাঠ (৬০) বছর প্রায় হতে চলল ইটিদের পাঠানো সংকেত ধরার জন্য, লাভের লাভ কিছু হয়নি, নাসা তার বাজেট বন্ধ করে দিয়েছে, ফলে ইটি সন্ধান এখন মুলতঃ ধনাঢ্য ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যের মুখাপেক্ষী, যেমন মাইক্রোসফট কোম্পানীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেনের পয়সায় ক্যালিফোর্নিয়ায় তৈরী হয়েছে অ্যালেন টেলিস্কোপ এ্যারে – ৩৫০ টি এ্যান্টেনার সমন্বয়ে তৈরী বিশাল এলাকা জুড়ে অভজারভেটরী।



এখনো কিন্তু সময় আসেনি সেই সিদ্ধান্ত নেবার যে মহাবিশ্বে আসলে প্রানের কোন অস্তিত্ব নেই, এই ব্রম্মান্ডে গ্যালাক্সির সংখ্যা দশ হাজার কোটি তাও আনুমানিক, তার মাঝে নক্ষত্রের সংখ্যা পৃথিবীর সব কটি সমুদ্রতটে যত বালুকনা আছে তার থেকেও অনেক অনেক গুন বেশী। রেডিও টেলিস্কোপে এখন পর্যন্ত ধরা পড়ছে মাত্র ৩০০০০ হাজার তারা। সেন্টার ফর সেটি রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর জিল টারটার কে দেখে কার্ল সাগান তার “কন্ট্যাক্ট” (এই ছবিটা দেখার জন্য আমাকে ব্লগার নীল আকাশ ভাই ষ্ট্রংলি সাজেষ্ট করছেন, আমি অল রেডি ডাউন লোড করে ফেলছি দেখে ফেলব যে কোন সময়) উপন্যাসের নায়িকা এলি অ্যারোয়া (সিনেমায় জোডি ফষ্টার)র কল্পনা করছিলেন। যারা ইটির সন্ধান না পেয়ে হতাশ তাদের উদ্দেশ্যে জিল বলেছেন, “ আট আউন্স এর গ্লাসে সমুদ্রের পানি তুলে তার মধ্যে মাছ না পেয়ে আপনি যদি ডিসিশান নেন সমুদ্রে মাছ নেই তবে ইটি অনুসন্ধানে হতাশা হয়ে সিদ্ধান্তে পৌছানোও তার সামিল।”


Jill Tarter | SETI Institute

১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে মহাশুন্যে গেছে দুই মহাকাশ যান পাইওনিয়ার ১০ এবং ১১ তাতে আছে খোদাই করা সোনার পাতে মানুষ এবং এই গ্রহের ছবি আশা যদি কোন বুদ্ধিমান প্রানীর হাতে এগুলো পরে তবে তারা যেন দেখে বুজতে পারে আমরা কোথায় আছি। ১৯৭৪ সালে ফ্রাঙ্ক ড্রেক রেডিও মেসেজ পাঠিয়েছেন M13 নক্ষত্রপুঞ্জে পৃথিবী থেকে যার দুরত্ব ২৫০০০ হাজার আলোক বর্ষ। অর্থ্যাৎ ওই মেসেজ ওখানে পৌছাবে ২৫০০০ বছর পর। আর ইটিরা তার জবাব যদি বেতার তরঙ্গে পাঠায় তবে তবে তা আসতে লাগবে আরো ২৫০০০ বছর। ১৯৭৭ সালেন ভয়েজার ১ এবং ২ বহন করছে গোল্ড প্লেটেড ফোনোগ্রাফিক রেকর্ড, আশা ওই একই যদি তা কোন বুদ্ধিমান প্রানীর হাতে পরে।


The Golden Record

এদিকে সব শেষে এই বিতর্কে ঘি ঢালছেন প্রয়াত পদার্থবিজ্ঞানী হকিন্স, তিনি বলেছেন ইটিদের উদ্দেশ্যে বার্তা পাঠানো ঠিক না, কারন তারা হিংস্র কিনা তা আমরা জানি না। ইটিরা হিংস্র না দয়ালু এ বিতর্কের মাঝে আবার তৈরী হয়ে গেছে সত্যি সত্যি যদি তেমন কিছু ঘটে তবে এই গ্রহের মানুষ কিভাবে তা গ্রহন করবে তার জন্য “সেটি পোষ্ট ডিটেকশান টাক্স গ্রুপ” যার চেয়ারম্যান হলেন বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞান লেখক পল ডেভিস।

লেখা আর টানতে চাচ্ছি না, অনেক অনেক কিছুই আলোচনা একদম করিনি, বা করলেও অতি সামান্য ভাসা ভাসা। অভ্যাস মত দেখতে গেলাম নেটে এনিয়ে আমাদের ধর্মগ্রন্থে কি কিছু লেখা আছে কিনা? কি পেলাম জানেন আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন, তাঁর ইঙ্গিত সমুহের একটি – নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলের সৃষ্টি এবং এদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া জীব। তিনি যখন ইচ্ছা এদেরকে একত্র করতে সক্ষম। [আস শুরা : ২৯] তিনি আল্লাহ যিনি সপ্ত আকাশ সৃষ্টি করেছেন এবং সমসংখ্যক (৭টি) পৃথিবীও সৃষ্টি করেছেন। [তালাক্ব : ১২]

আল্লাহ মহান ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহই জগতসমূহের প্রতিপালক। বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা। [৪০: ৬৪-৬৫] জগতসমূহের প্রতিপালক- এই কথার মাঝে একাধিক জগতের অস্তিত্বের ইঙ্গিত রয়েছে। আল্লাহ মহান আরো ইরশাদ করেন, তিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীসমূহ এবং উহাদিগের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছুর প্রতিপালক যদি তোমরা নিশ্চিত বিশ্বাসী হও। [২৬:২৩-২৪] তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। [৪২ : ২৯] আল্লাহ তিনি, যিনি সৃষ্টি করেছেন অসংখ্য আকাশ আর অনুরূপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের উপরও আল্লাহর নির্দেশ অবতীর্ণ হয়; (এ তথ্যটি) এই জন্য যে তোমরা যেন অবগত হও, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও সর্বাজ্ঞ। [৬৫ : ১২] আল-কুরআনের আরো অনেক আয়াতে ইঙ্গিত প্রদান করা হয়েছে যে- শুধু আমাদের এই পৃথিবীই নয়, অন্য কোন অজানা প্রান্তেও রয়েছে আল্লাহর সৃষ্টি জীব। কিন্তু এর বিপরীতে মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণ নেই এরকম কোন বার্তা আল-কুরআনের কোথাও পাওযা যায় না।

সমাপ্ত

কৃতজ্ঞতাঃ বিভিন্ন বই, পত্রিকা, নেট, এবং ভারতীয় বিজ্ঞান লেখক পথিক গুহ
কেউ যদি এরিক ফন দানিকেনের "দেবতা কি গ্রহান্তরের মানুষ" এই বইটির বাংলা অনুবাদ পড়তে চান তবে ক্লিক করে ডাউন লোড করে পড়তে পারেন। মজা পাবেন।
প্রয়োজনীয় স্থানে লিঙ্ক দেয়া আছে নীল রং এ চাইলে ক্লিক করে দেখতে পারেন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

রাজীব নুর বলেছেন: কিচ্ছু বুঝি না। কিচ্ছু বুঝি না।
মাথা কাজ করে না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই আমারো মাথা ঘুরাচ্ছে যাই বাইরে দিয়ে একটু ঘুরে আসি। B-)

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,




পুরোটাই পড়লুম। খুব খাটাখাটনির লেখা, প্রশংসার যোগ্য। ফন দেনিকেন পড়েছি সম্ভবত ৭২/৭৩ এর দিকে। এখনও গ্রহান্তরের আগন্তুক সহ মহাকাশ নিয়ে আমার আগ্রহ কম নয়। আপনার লেখাটি সংক্ষিপ্ত হলেও এ বিষয়ে যাদের কৌতূহল আছে তাদেরকে আপনার দেয়া লিংকগুলো আগ্রাহান্বিত করে তুলবে। মহাকাশ বিজ্ঞানের অনেক অত্যাশ্চর্য্য বিষয়ে তাদের জানা হবে এবং বুঝতে পারবেন এই বিশ্বে মানুষ কতো ক্ষুদ্র! কি সীমিত মানুষের জ্ঞান!

পবিত্র কোরান এর অনেক সুরাতেই এই রকমের অনেক আসমান ও জমিনের কথা বলা আছে, বলা আছে প্রানের কথাও। এবং পাশাপাশি এই আয়াত ও আছে - " ইহাতে রহিয়াছে জ্ঞানীদের জন্যে নিদর্শন।"
সঙ্গত কারনেই ধর্মগ্রন্থের সে সব নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছিনে।

ভালো লেখা। ++++++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই সালাম আহমেদ জী এস ভাই, মহাকাশ বিষয়ক লেখাগুলো পড়লে নিজের ক্ষুদ্রতাকে উপলদ্ধি করতে খুব সুবিধা হয়। কত নশ্বর কত ক্ষুদ্র আমি অথচ এই আমার কি অহংকার! কি দাপট! কি জ্ঞান! সঙ্গত কারনে আমিও ধর্মগ্রন্থের আলোচনায় না যাই। আমি আসলে এই লেখাটায় মহাবিশ্বে প্রান আছে কি নেই তা নিয়ে সায়েন্টিষ্টদের গবেষনা থেকে বিভিন্ন যুক্তি তর্ক অত্যান্ত স্বল্প পরিসরে দেবার ধারনা করছি। কারো যদি এব্যাপারে ইন্টারেষ্ট থাকে তবে সে আরো দেখতে পাবে নেট দুনিয়া ঘেটে ( এটা এই সময়ের সুবিধা)। কি বিশাল পরিব্যাপ্তি নিয়ে দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে।

পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক কিছু যেন মাথা কুটে মরে ভেতরে ভেতরে!

প্রকাশের ভাষা মেলে না।
হুম তারা আছে সত্যি। তাদের মাত্রায় আমরা বা আমাদের মাত্রায় তাদের যোগাযোগ বস্তুগতভাবে হয়ে উঠছে না।
পিপড়ার সাতে যেমন চোখের সামনে থাকার পরো মানুষের যোগোযোগ হচ্ছে না ;)

দারুন লাগে এমন লেখা পাঠে
মুগ্ধ কৃতজ্ঞতা।

++++++

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৩

শের শায়রী বলেছেন: সালাম ভৃগু ভায়া,

এই যে একটা শব্দ উচ্চারন করছেন “মাত্রা”। এই একটা শব্দের ব্যাখাই তো এখনো আমরা জানি না, সেখানে কিভাবে অপার মহাবিশ্বের সব রহস্যর সমাধান আশা করি। আসলে মহাবিশ্বের দিকে তাকালে নিজের ক্ষুদ্রতা ছাড়া আর কিছুই চোখে পড়ে না। আসুন মাত্রা নিয়ে দুটো লাইন লিখি অথচ পাতার পর পাতা লিখলেও শেষ হবে না।

আমাদের জানা পৃথিবীকে আমরা থ্রি ডাইমেনশানে দেখি। দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা। এখন আমরা জানি চতুর্থ মাত্রা সময়। আচ্ছা বলতে পারেন জানা থ্রি ডাইমেনশানের সাথে যদি ফোর্থ ডাইমেনশান মানে সময়কে মিশিয়ে দেয়া যায় তবে কেমন হত? লিঙ্কে কিছু পাবেন।

আচ্ছা ফিফথ, ষিক্সথ, সেভেন ডাইমেনশান কি জিনিস? জিনিসগুলো কি আছে? আমাদের জ্ঞান কি তাদের উপলদ্ধি করতে পারে?

অন্য ডাইমেনশানে যদি জীবনের উদ্ভব ঘটে সেখানে যদি বেতার তরঙ্গ ব্যাপারটাই না ঘটে তবে কিভাবে আমরা যোগাযোগ করব? কোন ডাইমেনশানে যদি মানসিক চিন্তাটা যোগাযোগের মাধ্যম হয় অথবা আমাদের জ্ঞানের বাইরে অন্য কোন উপায় হয় তবে? বাদ দেই কি বলেন ভাই? ফোর্থ ডাইমেনশান নিয়ে লেখাটা দেখতে পারেন

সামান্য ছবিটা জানি দ্বি মাত্রিক তাও দেখেন কত জটিল


৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: কোন আইডিয়া ছিল না। ইন্টারেস্টিং!!! দুই পর্বেই শেষ? :(
লিংকগুলোতে ঢু মারতে হবে। ইন্টারেস্টিং কিন্তু জটিল বিষয়।
সালাম জানবেন,গুরুজি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৪

শের শায়রী বলেছেন: রূপম আসলে এনিয়ে লিখতে গেলে অন্ততঃ দশ টা পর্বতো লিখতে পারবোই, কিন্তু তাতে কারো পড়ার আগ্রহ থাকবে না, বিরক্তও হবে। যদিও আমি নিজের আনন্দে লিখি, কিন্তু একই সাথে দেখতে হয় মানুষের যেন ভালো লাগে অন্ততঃ সামান্য দু চারজন যারা দয়া করে আমার লেখা এই সব পড়ে। আমি আসলে ধারনা দেবার চেষ্টা করছি রূপম।

নেট দুনিয়া ঘটালে প্রচুর লেখা পাবে এনিয়ে, তবে তোমাকে অন্য একটা মজার জিনিস দেই যেটা তোমার ওপরের মন্তব্যে ভৃগু ভায়ার মন্তব্যে লিখছি, ডাইমেনশান কি? ফোর্থ ডাইমেনশান, ফিফথ ডাইমেনশান এগুলো নিয়ে জান এর থেকেও মজার লিঙ্কটা দেখ পারলে লেখ। আসলে বিজ্ঞানের একদম অজানা একটা দিক এই ডাইমেনশান, মানে থার্ড ডাইমেনশানের পর। সার্চ দিয়ে আরো দেখ।

তোমার ওপর আমার আস্থা আছে চাইলে লিখতে পারবা। ভালো থাক। অলাইকুম আস সালাম

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:১৭

সুপারডুপার বলেছেন: ইসলাম ধর্ম অনুসারে :

রাসুল (সঃ) যখন রাত্রি বেলা উর্ধ আকাশে ভ্রমণ কেরেছিলেন । আল্লাহ তখন তাকে সাত আকাশে অবস্থিত ফেরেশতাদের দেখিয়েছেন, সাত আকাশে নবীর সাথে কথা বলিয়েছেন, জান্নাতের নেয়ামত এবং জাহান্নামের আজাব পরিদর্শন করিয়েছেন, শেষ সীমান্ত সিদরাতুল মুনতাহায় অবস্থান করিয়েছেন । অতঃপর তার (আল্লাহর) সাথে সাক্ষাত করিয়েছেন । আল্লাহ এক রাতে তাকে কুদরতের এত নিদর্শন দেখিয়েছেন অথচ অন্যান্য পৃথিবীর বুদ্ধিমান প্রাণী বা বুদ্ধিমান মানবজাতি সাথে দেখা স্বাক্ষাত করালেন না? আর যদি স্বাক্ষাত করাতেন তবে রসুল (সঃ) সাহবিদেরকে মেরাজের ঘটনা বর্ণনা করার সময় বলতেন।

নাসা এতো বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ না করে একজন দাড়িঅলা পাগরিঅলা জ্বীন সাধকের পিছনে হাজার হাজার ডলার খরচ করলেই, সে জ্বীন দ্বারা প্রথম আসমান পর্যন্ত সব খবর এনে দিতে পারতো

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমার এই লেখাটা দেখে কি আপনার মনে হয়েছে আমি ইসলাম ধর্ম দিয়ে ভিন গ্রহে প্রানের অস্তিত্ব প্রমান করতে চেয়েছি? পুরা পোষ্টের লাষ্ট দুটো প্যারা পবিত্র কোরানের সামান্য কয়েক টি আয়াতের বাংলা অনুবাদ দেয়া আছে এই শুধু, সেখানে আপনার মন্তব্যটা কিসের সাথে রিলেটেড কিছুই বুজলাম না।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

সোহানী বলেছেন: এবার মাথার উপর নীচ কোনদিকেই ঢোকানোর চেস্টা করিনি :P । কারন চেস্টা তদ্বীর করলেও ঢুকবে না....হাহাহাহা। তারপরও আমার খুব ভালোলাগে এ বিষয়ে পড়তে ও মুভি দেখতে।

তবে আমার একান্ত বিশ্বাস অবশ্যই কেউ না কেউ আছে। কারন মহাবিশ্ব এতো বড় এর ঠিকানা পাওয়া এখনো পর্যন্ত সম্ভব হয়নি, হয়তো ভবিষ্যতে হতেও পারে। আপনার মতই বলি সমুদ্র থেকে এক গ্লাস পানি নিয়ে পুরো সমুদ্রের বৈশিস্ঠ বের করা সম্ভব নয়। সেরকম এরকম মহাবিশ্ব পৃথিবী সূর্য্য চাঁদ যদি একটি কোনায় থাকতে পারে ও সেখানে প্রানের উদ্ভব হয় তাহলে অন্যকোন কোন কোনায় এরকম সেটআপ অবশ্যই আছে। প্রানের সৃষ্টির জন্য যে বৈশিস্ঠ এখানে যেমন তৈরী হয়েছে সেখেত্রে অন্য আরেকটি পৃথিবী তৈরী হওয়া খুব স্বাভাবিক।...........

আর হকিংস এর মতোই বলি, ওরা যদি আমাদেরকে আগে খুজেঁ পায় তারমানে ওরা আমাদের থেকে বুদ্ধিমান। আর এরকম বুদ্ধিমানদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। ;)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:২৯

শের শায়রী বলেছেন: বোন এ আমার একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যার্থতা হিসাবে ধরে নেবেন যে আপনি আমার লেখা পড়ে বুজেন নি। আসলে ভাসা ভাসা জ্ঞান থাকলে যা হয় আর কি, আমার সেই ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে ব্লগে লিখতে গেলে অনেক কিছুই বুজাতে পারি না, এটা আমার ব্যার্থতা হিসাবে নিয়ে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আমারো কেন যেন বিশ্বাস হয় কোথাও না কোথাও অন্য কোন জীবন বিকশিত হচ্ছে, তবে সেটা হয়ত আমাদের চেনা মাত্রায় (Dimension) না। চতুর্থ পঞ্চম বা অন্য কোন মাত্রায়, যেখানে রেডিও তরঙ্গ দ্ধারা যোগাযোগ হয় না, অন্য কোন উপায়ে যা আমাদের বোধগম্যের বাইরে। তবে কোন দিন হয়ত তা আমাদের আয়ত্বে আসবে, সেদিন হয়ত আপনি আমি কেউ থাকব না। আবার আমরা ধরে নেই প্রান ধারনের অন্যতম বৈশিষ্ট অক্সিজেন, কিন্তু দেখুন আমাদের চোখের সামনে মাছ যা পিওর অক্সিজেনের মধ্যে বাচতেই পারে না। এখন মাছের যদি চিন্তা ভাবনা থাকে তারা হয়ত বিস্ময়াভুত হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে ভাবে কিভাবে এই প্রানীগুলো কিভাবে পিওর অক্সিজেনে বাচে?!

আবার গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড নিয়ে অক্সিজেন ত্যাগ করে তাহলে জীবন ধারনের জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য্য এটা নস্যাৎ হয়ে যায়।

খুব ভাসা ভাসা যেটুকু খেয়াল আছে থ্রি ডাইমেনশানের সাথে যদি চতুর্থ মাত্রা সময় যোগ করা যায় তবে নাকি বস্তু অদৃশ্য হয়ে যায় (এটা কোথায় দেখছিলাম ভুলে গেছি, ব্যাপারটা ঠিক আছে কিনা তাও খেয়াল নেই)।

আর জানেন ই তো আইনষ্টাইন বলে গেছে “ঈশ্বর তার সৃষ্টিকে নিয়ে পাশা খেলেন না”

ভালো থাকুন বোন।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

নতুন বলেছেন: মহাবিশ্বের বিশালতার কথা উপলব্ধি করলে নিজেকে অবশ্যই কারুর বড় মনে হবেনা।

মহাবিশ্বে প্রানের অস্তিত্ব থাকার সম্ভবনা খুবই বেশি। কিন্তু ঐ প্রানের ধরন হয়তো আমাদের থেকে আলাদা।

পৃথিবি, প্রান, মানুষ এই সব সৃম্টির মাঝে যেই স্টেপগুলি আছে সেইগুলির কোন ধাপের পরিবত`ন হলেই সেই গ্রহের প্রানীরা আমাদের মতন মানুষের মতন না হবার সম্ভবনাই বেশি।

পৃথিবিতেই তো অন্য কোন প্রানীর সাথে আমাদের পুরু বোঝা পড়া হয় না।

এই সবকিছু নিয়ে চিন্তা করলে শুধুই আফসোসই বাড়ে..... মনে হয় কত রহস্যের জবাব না যেনেই মারা যেতে হবে :(

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই আমিও বিশ্বাস করি, ভিন গ্রহে যদি প্রানের অস্তিত্ব থেকেও থাকে তবে তাদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম আমাদের চেনা জানা মাধ্যমের থেকে ভিন্ন হবে, দেখুন একজন বোবা মানুষ যদি আপনার সাথে কথা বলে তবে আপনি তার আআআআআ ছাড়া আর কিছুই শুনবেন না, কিন্তু আপনি যদি ওই মানুষ টির সাথে আমেরিকান সাইন ল্যাঙ্গুয়েজে (ASL) এ মানে আকার ঈঙ্গিতে কথা বলেন তবে কিন্তু উভয়ে উভয়ের কথা বুজবেন।

কিন্তু এক্ষেত্রে উভয়কেই সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে, আপনি কথা বলছেন আর বোবা সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ দিচ্ছে, কি হল রেজাল্ট? কিছুই না দু জনেই দু দিক থেকে চেষ্টা চালাচ্ছেন কিন্তু কেউ কারো কথা বুজছেন না।

ইদানিং প্রমানিত হয়েছে তিমিরা নিজেদের মাঝে শব্দ দিয়ে ভাব আদান প্রদান করে সেক্ষেত্রে তাদের ভাব বুজতে হলে আপনাকে এর মানে বুজতে হবে ওই ভাবে তার সাথে শব্দ সৃষ্টি করতে হবে তা না করে আপনি যদি তিমিকে রেডিঈও ফ্রিকোয়েন্সি পাঠান, কি হবে?

আর আফসোস কেন করেন? মানুষের জীবনে মৃত্যুই সব থেকে বড় রহস্য। হয়ত এমন হতে মৃত্যুর পর এক নিমিষে আপনার এই সব প্রশ্নের উত্তর জেনে আরো বড় কোন প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন তখন!!!!! মৃত্যু মানেই যে সব শেষ এমন কিছু কিন্তু এখনো কোন সুত্র দ্ধারা প্রমানিত না। ;)

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: শের শায়রী,
আপনার লেখা পরে মনে হলো গোল্ডেন রেকর্ড, ফার্মি'স ল' আর জু হাইপোথিসিস নিয়ে আরো একটু বলতে পারতেন । আপনার লেখা পড়েই একটা লেখা পোস্ট করলাম 'জু হাইপোথিসিস' নিয়ে । আপনার থেকে একটু ভিন্ন হলেও আপনার লেখার সাথে একটু সম্পর্কও আছে আমার লেখাটার । আপনার লেখা ভালো হয়েছে । আপনার লেখাগুলোর অনেকগুলোই পড়া হয়েছে কিন্তু আর কমেন্টস করা হয়ে উঠে নি নান কারণে । একদিন সকালে উঠে দেখবেন আপনার অনেকগুলো লেখায় আমি একসাথে কমেন্ট করে ফেলেছি । ভালো থাকুন ।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

শের শায়রী বলেছেন: মলাসইলমুইনা ভাই, আমি অপেক্ষায় থাকলাম সেই ফাইন মর্নিং এর যে দিন দেখব আপনি আমার অনেক গুলো লেখায় কমেন্ট দিয়েছেন। হ্যা এটা ঠিক গোল্ডেন রেকর্ড, ফার্মি'স ল' আর জু হাইপোথিসিস বা ড্রেক ইক্যুয়েশান নিয়ে পাতার পর পাতা লিখে যেতে পারব কিন্তু তাতে অনেকেই লেখার মুল থিম নিয়ে উৎসাহ হারাবে আমি আসলে প্রশ্ন রাখছি ইটিরা আছে কি নেই? বিজ্ঞানীরা কি বলেন এনিয়ে এই আর কি তাও অনেক কিছু বাদ দিয়ে গেছি।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথম দিকে বেশ কিছুটা ধৈর্য নিয়ে পড়লেও পরে আর ধৈর্য রাখতে পারেনি। তবে আপনি চেষ্টা করেছেন বিষয়টির নিখুঁত উপস্থাপনের। এমন দুর্বল ছাত্রদের দিয়ে কিছু হবে না তা আপনাকে জানিয়ে রাখলাম... হাহা হা

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আমার কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই সময় নিয়ে পাঠ করার জন্য।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

সুপারডুপার বলেছেন: আপনি যেহেতু সব শেষে আল কোরআনের কথা এনেছেন, তাই আল কোরআনের কথায় আমি বলেছি।

আরেকটি ব্যাপার দেখুন : কোরআন অনুসারে ফেরেশেতাই সেই ভিনগ্রহের প্রানী বা জীব এবং আমাদের কথিতো এলিয়েন।
ডিটেইল পড়ুন : Click This Link

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৪

শের শায়রী বলেছেন: সেক্ষেত্রে আপনি ভুল বুজছেন, পুরো পোষ্টটা এলিয়েন আছে কি নেই এনিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানী এবং সংস্থার কাজ এবং মতামত তুলে ধরার চেষ্টা করছি স্বল্প পরিসরে। লাষ্ট প্যারায় কোরানের কয়েকটা আয়াত দিয়েছি তার মানে এই না যে এটা ধর্মীয় পোষ্ট।

আপনার লিঙ্কে গিয়েছিলাম, ডিটেইল পড়িনি, হাল্কা চোখ বুলিয়ে বের হয়ে আসছি কোন এক ব্লগার ফেরেশতাদের এলিয়েন বানাইছে, ভালো। তার সাথে আমার এই পোষ্টের কোন সম্পর্কতো দেখি না। আপনি বা আমি এই টাইপের ব্লগ লিখলে সেটা কি বিজ্ঞানে প্রমান্য হিসাবে গন্য হবে?

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই আমারো মাথা ঘুরাচ্ছে যাই বাইরে দিয়ে একটু ঘুরে আসি।

আমি করি কি রাস্তায় গিয়ে রাস্তার মাঝখান দিয়ে এলোমেলো হাঁটি। তারপর চা খাই। তখন মাথাটা কিছুটা কাজ করে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:২৮

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই কোথাকার রাস্তার মাঝ দিয়ে হাটেন? ঢাকার! তাও এলোমেলো! আল্লাহ আপনাকে সহি সালামতে রাখুক, আমার অত সাহস নাই :P

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: মনে হয় না অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যাবে। পাওয়া গেলেও মানুষের সমান বুদ্ধিমত্তার কোন প্রাণী পাওয়া যাইবে না !

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪১

শের শায়রী বলেছেন: অসম্ভব কিছু না, আপনার ধারনা ঠিক হতেও পারে।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি অনেক জ্ঞানী লোকদের বই, রিসার্চ পেপার, মেথ ফরমুলা'র ছবি টবি যোগ করে, নিজে না বুঝে, পোষ্ট লিখছেন। আপনার ইংরেজীর দোঁড় কতটুকু? ইরাজীতে পড়ে কিছু বুঝতেছেন, নাকি ভুল বুঝে ভুল লিখছেন? পুরো পোষ্ট ভুলে ভরা।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

শের শায়রী বলেছেন: চাঁদগাজী সাহেব, আপনি বায়োজোষ্ঠ। আমার পারিবারিক শিক্ষা আমাকে বলেছে বায়োজোষ্ঠদের সন্মান দিতে, ছোটদের স্নেহ করতে। আফসোস সবাই এই পারিবারিক শিক্ষা পায়না। আপনি ব্যাক্তিগত আক্রমনের দিকে গেছেন। ব্লগে অপরিচিত মানুষের সাথে কিভাবে মন্তব্য দিতে হয় সেটা সম্ভবতঃ আপনি শেখেন নি, একটু ত্যাড়া টাইপের মন্তব্য করে নজরে আসাই আপানার উদ্দেশ্য।

আমার ইংরেজী জ্ঞান কতটুকু তার জবাব দেবার আগে আমি কি জানতে পারি আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কি? আপনি ড্রেক ইক্যুয়েশান সন্মন্ধ্যে কি জানেন? সম্ভবতঃ আমার দেয়া উইকি লিঙ্কই আপনার ড্রেক কে নিয়া জানা সমস্ত জ্ঞানের উৎস। কিন্তু আমাকে পোষ্টটা লেখার আগে শুধু ড্রেক কে নিয়ে ৬/৭ আর্টিকেল পড়তে হয়েছে। আপনি মলাসইলমুইনার পোষ্টে জিজ্ঞাস করেন L এর মান কত? যেটা আমাকে জিজ্ঞাস করবেন। L এর মান কত সেটা একটা রেঞ্জের মধ্যে (উইকিতে দেয়া আছে) আমি কিভাবে ১০০০০ লিখছি পারলে বের করুন তো? আপনার বিদ্যার দৌড় একবার দেখি।

আমার প্রতিটা পোষ্টে এসে, আমার পোষ্টের ভুল এই টাইপের মন্তব্য করে যান, তাতে আমার সমস্যা নাই, কিন্তু ব্যাক্তিগত আক্রমনে যাবেন না, ব্লগে আসছেন বছর চারেক, মানে ব্লগ কি জিনিস আপনি কিছুই জানেন না, দিনে তিনটা যে টাইপের রাজনৈতিক পোষ্ট প্রসব করেন ওগুলো পেপার পত্রিকায় লেখা থাকে লিখতে গেলে ব্লগার হওয়া লাগে না। আগে যারা রাজনৈতিক পোষ্ট দিত তাদের পোষ্ট ও দেখছি, বিশ্বাস করুন আপনার লেখা অখাদ্য।

সব শেষে পারলে আমার পোষ্টগুলোর কোথায় কি ভুল করছি বিদ্যা বুদ্ধি থাকলে সে ভুল গুলো উল্লেখ্য করে পোষ্ট দিন অথবা আমার পোষ্টেই মন্তব্য করুন। ওয়েলকাম। কিন্তু ব্যাক্তি আক্রমনে যাবেন না।

১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব ভাই কোথাকার রাস্তার মাঝ দিয়ে হাটেন? ঢাকার! তাও এলোমেলো! আল্লাহ আপনাকে সহি সালামতে রাখুক, আমার অত সাহস নাই

বিয়ের আগে এরকম হাঁটতাম। এর পর সুরভির অনুরোধে হাঁটা বাদ দিয়েছি।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৩

শের শায়রী বলেছেন: যাক ভাবীকে আমার সালাম দেবেন। শী ইজ আ লাইফ সেভার। ঢাকার রাস্তায় এলোমেলো হাটা! :)

১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


"Drake Euation" L= কত?
কত বছর লিখেছেন?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩১

শের শায়রী বলেছেন: "Drake Euation" L= কত?
কত বছর লিখেছেন?

আপনার বোধের যে মারাত্মক ঘাটতি আছে সেটা কি আপনি বুজতে পারেন? হয়ত বয়স হয়ে গেছে যার কারনে এই সব বোজার মত অবস্থায় নেই, আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আপনার আগের মন্তব্যে দিয়ে দিয়েছি, হুবহু সেটাই আবার কপি করে দিলামঃ

“আপনি ড্রেক ইক্যুয়েশান সন্মন্ধ্যে কি জানেন? সম্ভবতঃ আমার দেয়া উইকি লিঙ্কই আপনার ড্রেক কে নিয়া জানা সমস্ত জ্ঞানের উৎস। কিন্তু আমাকে পোষ্টটা লেখার আগে শুধু ড্রেক কে নিয়ে ৬/৭ আর্টিকেল পড়তে হয়েছে। আপনি মলাসইলমুইনার পোষ্টে জিজ্ঞাস করেন L এর মান কত? যেটা আমাকে জিজ্ঞাস করবেন। L এর মান কত সেটা একটা রেঞ্জের মধ্যে (উইকিতে দেয়া আছে) আমি কিভাবে ১০০০০ লিখছি পারলে বের করুন তো? আপনার বিদ্যার দৌড় একবার দেখি।"

আপনি যা আমাকে জিজ্ঞাসা করবেন তার জবাব আমি আগেই দিয়ে রাখছি মানে আপনার মেন্টালিটি রীড করা খুবই সাধারন অথচ আপনি আবার বুদ্ধিহীন ভাবে একই প্রশ্ন করছেন? কোন প্রশ্ন করার আগে সে প্রশ্ন করার যোগ্যতা আপনার আছে কিনা আপনি সম্ভবতঃ সেই বোধের উর্ধ্বে।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

শের শায়রী বলেছেন: আমি কত বছর লিখছি? এত দিন মানে ৪ বছর ১১ মাস আপনি ব্লগিং করছেন (অন্তত এই নামে) এটুকু তো আপনার শেখার কথা যে "আমার পরিসংখ্যান" বলে নামের নীচে একটা কলাম আছে সেখানে লেখা আছে ওখানে দয়া করে দেখে নেবেন।

১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



এসব ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মৌলিক ধারণা না থাকাতে, অন্যদে৩র আইডিয়াকে আপনি সঠিকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হননি।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২

শের শায়রী বলেছেন: আপনার কি ধারনা আছে আপনি যে সব প্রশ্ন করেন তা কতটা বোধ বুদ্ধিহীন? আপনি লিখছেন, “এসব ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মৌলিক ধারণা না থাকাতে, অন্যদে৩র আইডিয়াকে আপনি সঠিকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হননি।" এসব ব্যাপারে মৌলিক ধারনা মানে? “এসব ব্যাপারে মৌলিক ধারনা” কাকে বলে আপনি জানেন? এখানে যাদের উদ্ধৃতি দিয়ে আমি পোষ্ট দিয়েছে তাদের অনেকেই নোবেল প্রাইজ পাওয়া কারন তাদের মৌলিক ধারনার জন্য। আপনি আমাকে বলছেন “আমার মৌলিক ধারনা না থাকায়!” অত্যান্ত বিনীতভাবে আপনাকে জানাচ্ছি এই ব্যাপারে আমারে বিন্দুমাত্র মৌলিক ধারনা নাই, পোষ্টে যা লিখছি বিভিন্ন পদার্থবিদ বা নভোঃবিদের ধারনা। আমার যদি মৌলিক ধারনা থাকতই তবে আজকে আমি এই পোষ্ট দিতাম না পেপার লিখে অন্তত একটা ডক্টরেট ফক্টরেট নামে আগে যোগ করতাম।

বোজা যাচ্ছে এই সব ব্যাপারে আপনার বিরাটা মৌলিক ধারনা আছে। তা কি মৌলিক ধারনা তা কি আপনি লিখে আমাদের মত সামান্য জন কে একটু আলোকিত করবেন?

শোনেন, এটা আমি খুব ভালো ভাবে বুজছি আমি যে টাইপের লেখা লিখি তাতে কমেন্ট করতে যেটুকু বোধ থাকতে হয় তা আপনার যে নাই কারন আমার প্রায় পোষ্টেই আপনার গৎবাধা জবাব থাকে আমার পোষ্টে ভুল আছে, কিন্তু কি ভুল আছে তা আর আপনি উল্লেখ্য করতে পারেন না। মানে সবাইকে একই টাইপের হিসাব করে নিজেকে অনেক জ্ঞানী প্রমান করতে চান। আমি আমার পোষ্টে কয়েকবার উল্লেখ্য করছি স্থান আর সময়াভাবে লেখাটা অনেক জায়গায় ছোট করছি বিশদ আলোচনায় না গিয়ে তার মানে এই না যে আমি কি লিখছি তা আমি জানি না।

যাই হোক আমি লজ্জিত, আপনি হয়ত দুঃখিত আমার ভাষা ব্যাবহারের কারনে, আমি এই ভাবে জবাব দিতে অভ্যস্থ নই, কিন্তু কারো অপমানজনক মন্তব্য দেখতেও বাধ্য নই। ব্লগিং এখন অনেক ছোট একটা কম্যুনিটি এখানে কেউ কাউকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি না তাই আমাদের আচরনও সেভাবে আশা করি। আমার ভুল হতেই পারে, আপনি শুধরে দেবেন এটাও কোন সমস্যা না, কিন্তু গৎবাধা জবাব “আমার ভুল হয়েছে” কিন্তু কোথায় ভুল সেটা বলতে পারবেন না তা তো হবে না।

ভালো থাকুন।

১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আপনার কি ধারনা আছে আপনি যে সব প্রশ্ন করেন তা কতটা বোধ বুদ্ধিহীন? আপনি লিখছেন, “এসব ব্যাপারে আপনার নিজস্ব মৌলিক ধারণা না থাকাতে, অন্যদে৩র আইডিয়াকে আপনি সঠিকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হননি।"

-মৌলিক ধারণার একটা উডাহরণ হলো, একটা নতুন তারকার জন্ম হলে, এবং সাথে সাথে পরে যদি সেই তারকার গ্রহ সৃষ্টি হয়, সেগুলো কত মিলিয়ন/বিলিয়ন বছরে প্রাণের সাপোর্ট করতে পারে; কোন গুলোতে প্রাণের উদ্ভব হবে না, এসব সাধারণ ব্যাপারগুলো।

জ্বীন নিয়ে আপনার কি ধারণা?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭

শের শায়রী বলেছেন: মৌলিক ধারণার একটা উডাহরণ হলো, একটা নতুন তারকার জন্ম হলে, এবং সাথে সাথে পরে যদি সেই তারকার গ্রহ সৃষ্টি হয়, সেগুলো কত মিলিয়ন/বিলিয়ন বছরে প্রাণের সাপোর্ট করতে পারে; কোন গুলোতে প্রাণের উদ্ভব হবে না, এসব সাধারণ ব্যাপারগুলো।
হল না, এটা মৌলিক ধারনা না, ড্রেক ইক্যুয়েশানে এগুলো নিয়েই আলোচনা হয়েছে। একে আপনি মৌলিক বলে চালাচ্ছেন কোন যুক্তিতে? সে একটা ধারনা দিয়ে রেঞ্জ দিয়েছে। আরো পড়াশুনা করুন আরো জানুন।

মৌলিক ব্যাপার তখনি হবে যখন আপনি এই রেঞ্জটাকে কোন একটা নির্দিষ্ট সুত্র বা থিওরোমের মাধ্যমে একটা সংখ্যায় আনতে পারবেন। আরো পড়ুন।

আর জ্বীন, পরী, দেও, দানব নিয়ে কি পোষ্টে কোন আলোচনা আসছে? আমি বিশ্বাসী কি অবিশ্বাসী? আপনি চোখে দেখেন নাকি দেখেন না? কানে শোনেনে কি শোনেন না এই সব প্রশ্ন অবান্তর না এই পোষ্টে?

১৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


@লেখক,

আপনি বলেছেন, "আর জ্বীন, পরী, দেও, দানব নিয়ে কি পোষ্টে কোন আলোচনা আসছে? আমি বিশ্বাসী কি অবিশ্বাসী? আপনি চোখে দেখেন নাকি দেখেন না? কানে শোনেনে কি শোনেন না এই সব প্রশ্ন অবান্তর না এই পোষ্টে? "

-মনে হয়, আপনি জ্বীন, মীন নিয়ে লিখলে ভালো করতেন।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩২

শের শায়রী বলেছেন: দেখা যাচ্ছে এ ব্যাপারে আপনি অতি উৎসাহী এবং মনে হয় অনেক জানেন টানেন ও। আপনি লেখেন না কেন? আমি কি লিখলে ভালো করব সেটা না হয় আমার হাতেই ছেড়ে দিন আপনার মনে হলে তো হবে না ;)

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: তবে এক দম যে লিখি নাই তাই বা কিভাবে বলি ঘুরে আসুন না মৎসকন্যা- সাগরের রহস্যময়তা ইংল্যান্ডের রাজা রানীদের প্রেতাত্মারা :P

১৯| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০১

সুপারডুপার বলেছেন: আপনি নিশ্চয় আপনার থিসিস পেপার লিখেছেন; জার্নালেও আপনার পাবলিকেশন থাকতে পারে । বিজ্ঞান ভিত্তিক একটা থিসিস পেপারের শেষে যদি কোরআন হাদিস বাইবেল আনেন, আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখেন, এই থিসিস পেপারের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু ?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনার ভুল ধারনা। ব্লগ আমার স্রেফ শখ। সময় কাটানোর একটা মাধ্যম মাত্র।

২০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:২৫

সুপারডুপার বলেছেন: ব্লগে আমার কাছে এটাই অবাক লাগে যে অনেক ব্লগার ব্লগে বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে প্রমান করার চেষ্টায় নেমেছেন, কিন্তু বাস্তব জীবনে বিজ্ঞান ভিত্তিক রিসার্চে একটা কোরআন -বাইবেলের আয়াত লিখে সামঞ্জস্যতার চেষ্টা করলে 'ফেল' ছাড়া আর কিছু কপালে জুটবে না তাদের।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১০

শের শায়রী বলেছেন: বিজ্ঞান নিয়ে আমার লেখাগুলো আপনার দেখা থাকার কথা কোথাও কি দেখছেন, আমি বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম প্রমানের চেষ্টা করছি? আবার এটাও আমার কাছে অবাক লাগে কেউ অবিশ্বাসী হতেই পারে কিন্তু কোন কারন ছাড়া সম্পূর্ন অযৌক্তিকভাবে বিজ্ঞানের মাঝে ধর্মকে টেনে এনে তাকে হেয় করার চেষ্টা করে।

আর একাডেমিক পেপার এবং ব্লগ তো এক জিনিস না ভাই। কেউ যদেই করেও, তাকে চ্যালেঞ্জ করুন যৌক্তিক ভাবে এটার জন্যই তো ব্লগ!

২১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:৩৭

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: @লেখক। প্রথম অংশে আপনার সাথে কথা হয়েছিল। শেষ অংশটাও ভাল হয়েছে।

কিছু মাথামোটাকে আমি আমার "নিষিদ্ধ লিস্টে" ফেলেছি। তারপরও দেখি তাদের লেখা চোখে পড়ে। তারা বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে "less than polite", ফালতু আলাপ জুড়ে দেয়। আপনার পোস্টে এসেও তাদের কেউ কেউ একই কান্ড করছে দেখছি।

আচ্ছা, "নিষিদ্ধ লিস্ট" কি ঠিকমতো কাজ করে? আমার তো তাদের লিখা পড়তে পারার কথা না। Any idea?

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৫

শের শায়রী বলেছেন: না ভাই আমার কোন ধারনা নেই এই নিষিদ্ধ লিষ্ট নিয়ে, তবে নিষিদ্ধ লিষতে ফেলার পরো যেহেতু আপনি তাদের দেখতে পারেন আমার ধারনা এটা ঠিক মত কাজ করছে না, কারন নিষিদ্ধ লিষ্টে ফেললে তো দেখতে পাবার কথা না! অথচ আপনি তাদের দেখছেন মানে তারাও আপনাকে দেখছে।

২২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমার আরো অনেক পড়াশোনা করা দরকার। একটা বিষয়ে না জেনে অথবা কম জেনে কোনো মন্তব্য করা উচিত হবে না বলেই আমি মনে করি।
আপনার দুটো পোস্ট আমাকে আরো জানতে আগ্রহী করছে। ব্লগার হিসেবে এই প্রাপ্তি নেহায়েত কম না। পোস্ট ভালো লাগা সহ প্রিয়তে। ++

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০৪

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। আমি নিজেও অনেক কিছু জানি না। জানার চেষ্টা করছি মাত্র। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি সামান্য চেষ্টা করলে আপনি এর থেকে ভালো লিখতে পারবেন।

পাঠে কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।

২৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি রেখে দিয়েছিলাম যথেষ্ট সময় নিয়ে পরে পড়বো বলে | জটিল বিষয়টিকে অনেক সাবলীলভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ | পোস্টে ভালো লাগা | ++

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.