নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্যিকারের “রবিনসন ক্রুশো” আলেকজান্ডার সেলকার্কের কাহিনী

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০২



বই পড়ার অভ্যেস এই প্রজন্মের মাঝে প্রায় চোখেই পড়ে না, অথচ আমাদের সময় বই পড়াই ছিল শৈশব কৈশোরে সব থেকে মারাত্মক নেশা। সেকালে আমরা পড়ার বইর নীচে গল্পের বই পড়তাম আর ধরা পড়লে বাবা, মার হাতে মিনিমাম এক গাদা দাত খিচুনি, ম্যাক্সিমাম তাল পাখার ডান্ডার বাড়ী প্রায় অবধারিত, পাঠ্য পুস্তকের বাইরে অন্য বই একটা নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে পড়তে দেখলে স্যারদের মন্তব্যে আসত এ ছেলেকে দিয়ে আর কিছু হবে না। নভেল পড়েই উচ্ছন্নে যাবে। আপনাকে বুজতে হবে মোবাইল সেট তো দুরের কথা সে সময় মফস্বল টাউনে টেলিভিশন, ডায়াল টেলিফোন ছিল হাতে গোনা কয়েকটি বাসায়।

ক্লাশ ফাইভে বসেই সে সময়ে প্রকাশিত বিশ্বের ম্যাক্সিমাম ক্ল্যাসিক বই (বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া থেকে বাংলায় প্রকাশিত অনুবাদ) পড়া হয়ে গিয়েছিল। উল্লেখ্য করা অপ্রাসাঙ্গিক হবে না যে আমার মায়ের পরিবারের সবাই গল্পের বই পড়তে উৎসাহী, আমার ৭৪ বছরের বৃদ্ধা মা, ৭৯ বছরের বৃদ্ধা খালা, ৭৭ বছরের বৃদ্ধ মামা এরা এখনো রহস্য পত্রিকা থেকে হালের শীর্ষেন্দু নিয়ে চোখের সামনে মেলে পড়ে। টম সয়্যার, হাক ফিন, রবিনসন ক্রুশো, প্রফেসর শঙ্কু, ফেলুদা, অলিভার টুইষ্ট, লা মিজারেবল, চিলড্রেন অভ দ্য নিউ ফরেষ্ট, টু সিটিজ, ট্রাজেডি অভ শেক্সপীয়র, রবিনহুড, দস্যু বনহুর, দস্যু বাহরাম, শার্লক হোমস এদের বা এদের সমগোত্রীয়দের সাথে ওই ক্লাশ ফাইভ সিক্সেই পরিচয়ের হয়ে গিয়েছিল, ললিতা কে চিনেছিলাম ক্লাশ এইটে, এমিলি জোলার উপন্যাসগুলো গোপনে ততদিনে এক রাউন্ড পড়া হয়ে গিয়েছিল। এখন আমার কাছে প্রায় হাজার ৫০০০ বই আছে নিজের কালেকশানে। আত্মচরিত বাদ দেই। মুল লেখায় আসি।



একটা নির্জন দ্বীপে একজন মানুষ সহায় সম্বলহীন ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে কোন সঙ্গী সাথী নেই, কথা বলার মত কোন আত্মীয় স্বজন নেই, শুধু আছে “পোলো” নামে এক কথা বলা কাকাতুয়া। দীর্ঘ ২৮ বছর সে ওই নির্জন দ্বীপে একা একা কাটায় কিছু কুকুর বিড়াল ছাগলকে সঙ্গী করে। পরে অবশ্য ফ্রাইডে নামক এক আধিবাসীকে পায়। এর পর উদ্ধার পায়। এই হল ড্যানিয়েল ডিফোর বিখ্যাত “রবিনসন ক্রুশো”র কাহিনী। হয়ত বিশ্ব ক্ল্যসিকের “রবিনসন ক্রুশো” অনেকেই পড়েছেন, কিন্তু ক’জনে জানি যে একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে এই ঘটনা ডিফো লিখছিলেন। চলুন ৩১৬ বছর পেছনে।



প্রশান্ত মহাসাগরে তখন অনেক জলদস্যুদের জাহাজ ঘুরে বেড়াত। এই জাহাজগুলো সুযোগ পেলেই অন্য জাহাজ আক্রমন করে টাকা পয়সা লুটে নিত। এই সব জাহাজের ক্যাপ্টেন থেকে নাবিক কুক পর্যন্ত সব কয়টা সাধারনতঃ এক একটা খুনে বদমাস হত। এ রকম একটি জাহাজের নাবিক ছিল আলেকজান্ডার সেলকার্ক নামক এক স্কটিশ তরুন। ১৭০৩ সালে যে জাহাজে সে চাকুরী নেয় তার ক্যাপ্টেন ছিল সে কালের প্রসিদ্ধ জলদস্যু (একটা সময় জলদস্যুদের সরকারীভাবে সহায়তা দেয়া হত) এবং নাবিক উইলিয়াম ড্যাম্পিয়ের। তার জাহাজটি ছিল সিঙ্ক পোর্ট অঞ্চলের। ইংল্যান্ডের দক্ষিনের পাচটি বন্দর ডোভার, হাইদ, রমনি, স্যানউইজ এবং হেষ্টিংস কে একত্রে “সিঙ্ক পোর্টস” নামে ডাকা হয়।

প্রশান্ত মহাসাগরে যখন ড্যাম্পিয়েরের জাহাজ ভেসে বেড়াচ্ছে তখন তার সাথে সেলকার্কের ভীষন রকম ঝগড়া হয়। দু’জনেই ছিল রগচটা টাইপের। ঝগড়ার চরমে সেলকার্ক তার ক্যাপ্টেনকে বললেন সে আর তার সাথে এক পাও যাবে না তাকে যেন কোথাও নামিয়ে দেয়। বলতে যা দেরী ড্যাম্পিয়ের সামনে যে দ্বীপ দেখতে পায় সেখানে সেলকার্ক কে নামিয়ে দেয় জামা কাপড়, বিছানাপত্র, গাদা বন্দুক, বুলেট, বারুদ, কুঠার, কম্পাস, বাইবেল এবং কিছু বই সহ। সেলকার্ককে যখন ওই দ্বীপে নামিয়ে দেয়া হয় ততক্ষনে সেলকার্ক বুজে গেছে ক্যাপ্টেনের সাথে ঝগড়া করে নিজের কত বড় বিপদ ডেকে এনেছে, তাই তাকে অনুরোধ করল সে যেন সেলকার্ককে মাফ করে দেয়। কিন্তু জলদস্যু জাহাজের ক্যাপ্টেন এত অল্পতে মন নরম হবার কারন নেই। ড্যাম্পিয়ের, সেলকার্ককে ওই নির্জন দ্বীপে ফেলে জাহাজ ঘুরিয়ে চলে গেল। এই ঘটনা ১৭০৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে।



আলেকজান্ডার সেলকার্ক স্কটল্যান্ডের মানুষ তার ওপর নিজেও জলদস্যু এত অল্পতে সেও ভেঙ্গে পড়ার পাত্র না। ১৬৭৬ সালের স্কটল্যান্ডের ফাইফ সমুদ্র উপকুলের লারগো নামক জায়গায় তার জন্ম। বাবার ছিল জুতো তৈরীর ব্যাবসা, কিন্তু যার রক্তে আছে জলদস্যুর হিংস্রতা আর নীল সাগরের ডাক সে কিভাবে জুতা তৈরী করে? ১৬৯৫ সালে জলদস্যুদের জাহাজে নাবিক হিসাবে যোগ দেয় ১৭০৩ সালে ড্যাম্পিয়েরের জাহাজে এবং ১৭০৪ সালে নির্বাসিত হয় নির্জন দ্বীপে। সেলকার্ক দেখতে পেলেন দ্বীপে কিছু ছাগল, শুকর ঘুরে বেড়াচ্ছে, তার মনে প্রশ্ন দেখা দিল তবে কি এই দ্বীপে কেউ বসবাস করত? কিন্তু ঘুরে ফিরে ওই দ্বীপে যা দেখছে তাতে সে তো একাই তবে কিভাবে এই সব গৃহ পালিত জীব গুলো আসল?


Map of Robinson Crusoe Island, Archipelago Juan Fernández, Chile. Shaded relief.

জুয়ান ফার্নান্দেজ একজন স্প্যানিশ অভিযাত্রী জন্ম ১৫৩৬ সালে। ১৫৬৩ সালে দক্ষিন আমেরিকার পেরুর কালাও থেকে পাল তোলা নৌকায় যাত্রা শুরু করে মাত্র ৩০ দিনে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে চিলির ভ্যালপারাইসোতে পৌছেন। তার এই দুঃসাহসিক অভিযাত্রার জন্য তাকে তার দেশে “জাদুকর” নামে ডাকত। আনুমানিক ১৫৬৩ থেকে ১৫৭৪ সালের মধ্যে জুয়ান তৎকালীন স্পেনের রাজার সহায়তায় প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে একটি দ্বীপমালা আবিস্কার করেছেন। এই প্রদেশ গুলো চিলির অন্তর্গত ভ্যালপ্যারাইসো প্রদেশের পশ্চিমে ৪০০ মেইল দূরে অবস্থিত। তিনটি দ্বীপ নিয়ে গড়ে ওঠা এই দ্বীপগুলোর নাম মাস এ তিয়েরা, মাস অফুয়েরা এবং সান্তা ক্লারা। জুয়ান ফার্নান্দেজ এই দ্বীপমালা আবিস্কার করছেন বলে তার নাম অনুসারে এ দ্বীপমালার নামকরন করা হয় “জুয়ান ফার্নান্দেজ আইল্যান্ডস।” আলেকজান্ডার সেলকার্ক যে দ্বীপে নির্বাসিত হন তার নাম মাস এ তিয়েরা। স্পেনের রাজার সহায়তায় জুয়ান ওই সব দ্বীপে লোকজন নিয়ে বসবাস করেন ১৫৮০ সাল পর্যন্ত। পরে তিনি চলে গেলেও প্রানীগুলো দ্বীপে থেকে যায়।



সেলকার্কতো এসবের কিছু জানতেন না, প্রানীগুলো দেখে তার মনে আশা জাগলেও তিনি কাউকে খুজে পেলেন না। আত্মরক্ষায় প্রথমে তিনি গাছ লতা পাতা কেটে একটি কুটির বানালেন, এবং ফলমুল এবং সমুদ্রের মাছ, কাকড়া, শামুক খেয়ে জীবন ধারন শুরু করলেন। এর মাঝে বন্দুকের গুলিও ফুরিয়ে গেল। কিন্তু ততদিনে তিনি বুনো ছাগল পোষ মানানো শিখে গেছেন। মাস এ তিয়েরা দ্বীপটি দক্ষিন গোলার্ধে হওয়ায় এখানে শীত পড়ত জুন এবং জুলাই মাসে। শীতের প্রকোপও তেমন ছিল না, তাই সেলকার্ককে তেমন অসুবিধার সন্মুখীন হতে হয়নি। তার পোষাক ও ছিল ছাগলের চামড়ায় তৈরী। গ্রীস্মকালেও তেমন একটা গরম পড়ত না। সারাদিন প্রচন্ড পরিশ্রম করত বিধায় তার দেহ ও মন সবল ছিল। সে জানত না কবে এ থেকে মুক্তি পাবে। এভাবে চার বছর চার মাস কেটে গেছে।



হঠাৎ একদিন তার চোখে পড়ল দ্বীপের পাশ দিয়ে একটি জাহাজ যাচ্ছে। সেলকার্ক পাগলের মত চিৎকার করে নাবিকদের দৃষ্টি আকর্ষন করল। সেদিন ছিল ৩১শে জানুয়ারী ১৭০৯ সাল। “ডিউক” নামে ওই জাহাজের ক্যাপ্টেনের নাম ছিল উডস রজার্স। তিনি আদেশ দিলেন নৌকা নামিয়ে লোকটাকে উদ্ধার করতে। শেষ হল সেলকার্কের চার বছর চার মাসের নির্জনবাস।



১৭১১ সালের অক্টোবর মাসে “ডিউক” ইংল্যান্ডে এসে পৌছাল। পরের বছর রজার্স প্রকাশ করলেন, “ক্রুজিং ভয়েজ রাউন্ড দ্যা ওয়ার্ল্ড”। যার মাঝে বর্ননা ছিল সেলকার্কের নির্জনবাসের ইতিহাস। এই ঘটনা চারিদিকে সাড়া পরে গেল। ১৭১৩ সালে ৩ রা ডিসেম্বর “দ্য ইংলিশম্যান” পত্রিকার প্রাবন্ধিক রিচার্ড ষ্টিল আলেকজান্ডার সেলকার্কের সেই নির্জনবাস বিস্তারিত বর্ননা করেন।



সাহিত্যিক ড্যানিয়েল ডিফো এই কাহিনী পড়ে সেলকার্কের বিস্তারিত সংগ্রহ করেন, লেখেন তার অমর উপন্যাস “রবিনসন ক্রুশো" যা প্রকাশ হয় ১৭১৯ সালে ডিফোর ৫৯ বছর বয়সে। দুই খন্ডে তিনি রবিনসন ক্রুশো উপন্যাসটি প্রকাশ করেন। প্রথম খন্ড “দ্যা লাইফ এ্যান্ড ষ্ট্রেঞ্জ সারপ্রাইজিং অ্যাডভেঞ্চার্স অভ রবিনসন ক্রুশো, অব ইয়র্ক, মেরিনার” দ্বিতীয় খন্ডটি “দ্যা ফারদার অ্যাডভেঞ্চার্স অভ রবিনসন ক্রুশো, বিইং দ্য সেকেন্ড এ্যান্ড লাষ্ট পার্ট অভ হিজ লাইফ” নামে।

মাস এ তিয়েরার বর্তমান নাম “রবিনসন ক্রুশো দ্বীপ” এবং মাস অফুয়েরার বর্তমান নাম “ আলেকজান্ডার সেলকার্ক দ্বীপ”। এই দ্বীপ দুটোর আয়তন যথাক্রমে ৩৬ বর্গমাইল এবং ৩৩ বর্গমাইল। ১৭২১ সালে ব্রিটিশ জাহাজের উচ্চ পদস্থ অফিসার হিসাবে জাহাজে চাকুরীরত অবস্থায় ৪৬ বছর বয়সে সেলকার্কের মৃত্যু হয়।



১৮৫৮ সালে কিছু নাবিক মাস এ তিয়েরা বা বর্তমান রবিনসন ক্রুশো দ্বীপে সেলকার্কের স্মরনে একটি স্মৃতিফলক রেখে আসেন। সেলকার্ক অমর হয়ে আছেন “রবিনসন ক্রুশো” উপন্যাসের মাধ্যমে। ২০০৫ সালে এক আর্কিওলজিক্যাল এক্সপেডিশনের মাধ্যমে একটি ক্যালিপারের অংশ বিশেষ আবিস্কার করেন যা আঠারো শতকের প্রথম দিকের অথবা সতেরো শতকের শেষ দিকের বলে ধারনা করা হয় এবং যেখানে সেলকার্কের কুটির ছিল তার কাছেই এই আবিস্কার প্রমান করে এটা সেলকার্কেরই ছিল।

সূত্রঃAlexander Selkirk

The Real Robinson Crusoe

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি সব সময় চমৎকার বিষয় নিয়ে তা আর বলার দরকার নাই আমার।
আপনার পোষ্ট পড়লেই বুঝা যায় আপনি অনেক পড়েন। অনেক পড়লেই এরকম সুন্দর লেখা যায়।
এযুগের ছেলে মেয়েরা এত পড়ে না। তারা ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটক আর প্রেম ভালোবাসা নিয়ে ভীষন ব্যস্ত।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমি অবাক হয়ে দেখি কোথাও এই জেনারেশানের ৫/৬ জন এক সাথে বসে আছে কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা বলছে না, হয় ফেবুতে চ্যাট না হয় অন্য কিছু মোবাইলে করছে। আমি কল্পনাও করতে পারিনা। কি অদ্ভুত! নাকি আমিই অদ্ভুত! আসলে আমাদের প্রজন্ম এক ট্রানজিশান টাইমে এসেছে, যারা টাইপ রাইটারে এক সময় টাইপ করছে আবার এখন নিত্য নতুন কম্প্যুটার মডেলের সাথে পরিচিত হচ্ছে।

আমি আজ পর্যন্ত টিক টক দেখি নি মানে এই সফটোয়্যারই দেখি নি বিশ্বাস করুন বা না করুন। ইচ্ছা করেই দেখি না। প্রযুক্তি যত পারি কম ইউজ করি। তবে নাম জানি। মোবাইল ফোন আমার কাছে এক বিরাট বিড়ম্বনা। শুধু লাগে বিধায় ইউজ করি, না হলে তাও করতাম না। তবে প্রায়ই বন্ধ থাকে। আমার দরকার বই (নট ই বুক, কাগজের বই) আর আড্ডা, তবে আগের মত আড্ডা দেবার মানুষ পাই না। সব বয়েস হয়ে গেছে, নিজস্ব বউ পোলাপান নিয়ে ব্যাস্ত।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা পাঠে।

২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ভালো

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: সুন্দর লেখা। স্কুল জীবনের কত স্মৃতির রবিনসন ক্রূসোর গল্প পড়া আর উইলিয়াম কপারের আলেজান্ডার সেলকার্ক কবিতা ! আহা কখনো কি ভোলা যায় I স্কুলে পড়া আলেক্সান্ডার সেলকার্ক কবিতার অনেক লাইন ভুলে গেলেও নীচের লাইনগুলো এখনো আমার মুখস্ত :

I am monarch of all I survey;
My right there is none to dispute;
From the centre all round to the sea
I am lord of the fowl and the brute
O Solitude! where are the charms
That sages have seen in thy face?
Better dwell in the midst of alarms,
Than reign in this horrible place.
-------------------------------------
Society, Friendship, and Love
Divinely bestow'd upon man,
Oh had I the wings of a dove
How soon would I taste you again!

-The Solitude of Alexander Selkirk
by William Cowper

স্মৃতি জড়ানো কাহিনীর পোস্টে ভালো লাগা ।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: মাই গড! আপনার এখনো মনে আছে? হ্যাটস অফ ব্রাদার। ইদানিং যেন কি হয়েছে, শুধু পুরানো স্মৃতিগুলো হানা দেয়। বুড়ো হওয়ার এই এক জ্বালা মনে হয়।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সত্যিকারের এই ঘটনাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

রবিনসম ক্রুশো কি একটা আগ্রহ নিয়েই না পড়েছিলাম। কি উত্তেজনা ছিল। আবার পড়ব বইটা। খুব সম্ভবত আগামীকালকেই।।।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: কেমন লাগল জানাবেন দ্বিতীয় বার পড়ে। তবে কি জানেন আমার মনে হয় এগুলো একটা নির্দিষ্ট বয়সে মানে কৈশোরে খুব বেশী দোলা দেয়। প্রথমবার যদি কৈশোরে পড়েন তবে এইবার পড়ার মাঝে যদি মাঝে কয়েক বছর গ্যাপ হয় অনেক ফারাক পাবেন উপলদ্ধিতে। আমি যদিও এখনো ঠাকুমার ঝুলি ও পড়ি। :)

৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৪০

সোহানী বলেছেন: আহ্ আপনার লিখা মানেই একরাশ আনন্দ নিয়ে লিখা শুরু করা ও শেষ করা।.........

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:১৪

শের শায়রী বলেছেন: আর তার সাথে আপনার মত ভাই বোন দের মন্তব্য পাওয়া আমার জন্য বিশেষ কিছু পাওয়া। অদেখা এক আত্মিক বন্ধনে আবদ্ধ করা। কৃতজ্ঞতা বোন।

৬| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:১২

ইসিয়াক বলেছেন: একরাশ মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেলো ।
ভালোবাসা অবিরাম । এ ধরনের লেখা আরো আরো অনেক চাই । ভাই হিসাবে দাবি করছি।
শুভকামনা।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই। চেষ্টা থাকবে এ ধরনের লেখা। সমস্যা হল এই মনে করেন আমি এ্যান্টি গ্রাভিটি নিয়ে কোন পেপার পড়ছি পর মুহুর্তে হয়ত ঠাকুরমার ঝুলি বা ভয়াবহ কোন ভুতের গল্প শুরু করলাম, আর যখন যেটা প্রছি তখন হয়ত সেটা লেখে রাখি ভালো লাগলে। তবে যেহেতু আপনি বলছেন অবশ্যই চেষ্টা থাকবে এই টাইপের লেখা লেখার।

৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২২

নতুন বলেছেন: ভাল +++

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা নতুন ভাই।

৮| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০১

ইসিয়াক বলেছেন: আবারো এলাম কৃতজ্ঞতা জানাতে ।
শুভকামনা রইলো্ প্রিয় শের শায়েরী ভাই । ভাইপোর জন্য ও শুভেচ্ছা রইলো।
আমার কথা নয়, ভুয়া মফিজ ভা্ই এর কথা। তাইতো খেয়াল করে আপনার ছবিতে দেখলাম আপনার সাথে ভাইপোকে....হা হা হা মজা করলাম।

ভালো থাকুন সব সময়।
https://www.somewhereinblog.net/blog/shovan13

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৩

শের শায়রী বলেছেন: =p~

৯| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার পোস্ট শ্রদ্ধেয় শায়রীভাই। রবিনসন ক্রুসোর গল্পের পিছনে যে এইরকম একটা মর্মস্পর্শী কাহিনী ছিল তা আজ আপনার পোস্ট মারফত জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে। অনেক দিন আগে ব্লু লেগুন মুভিটি দেখেছিলাম। যদিও এসব ফিল্ম।তবে বাস্তবটা নির্মম।
পোস্টে ভালোলাগা।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৪১

শের শায়রী বলেছেন: ব্লু লেগুন, সুইস ফ্যামিলি রবিনসন, কোরাল আইল্যান্ড এই ঘরানার মুভি পদাতিক ভাই। আমরা আসলে মুভি দেখে বাস্তবতাটুকু উপলদ্ধি করতে পারিনা, ঠিকই বলেছেন, বাস্তবতা ভীষন নির্মম।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: আমার স্টুডেন্ট সেদিন জিজ্ঞেস করেছিলো এই গল্পটার ব্যাপারে । সে জানতে চেয়েছিলো যে গল্পটা সত্যি কি না । আমি তো বলেছিলাম যে গল্পটা বানানো । এখন দেখি বানানো হলেও খানিকটা সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত । আমার সত্যিই মাঝে মাঝে এমন স্থানে চলে যেতে ইচ্ছে করে ।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

শের শায়রী বলেছেন: রাইট অপু ভাই। ক্রুশোর কাহিনী ইন ফ্যাক্ট সত্য ঘটনা অবলম্বনে, অবশ্যই মুল ঘটনা থেকে কিছু রং চং চড়িয়ে। এমন যদি কোথাও যেতেন কয়দিনেই বুজতেন জীবন কি নির্মম :) । তবে আমারো ইচ্ছা হয়, তাই সুযোগ পেলে গ্রামে চলে আসি। গ্রাম এখনো অনেক টা নিরিবিলি। ট্রাই করে দেখতে পারেন, তবে ঢাকার আশে পাশের গ্রাম না। অনেক দূরে, যেখানে হয়ত এখনো ইলেক্ট্রিসিটি পৌছে নাই।

১১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৪

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



একজন ব্লগ লিজেন্ডের ফিরে আসা এবং অতপর তার লিজেন্ডারি পোস্ট ---- সত্যি আপনার পোস্ট পড়ে অতীতের কথা ভেবে চোখদুটো ছল ছল করে উঠলো যেন ভাই।

কারে যে থ্যাংকু জানামু ঠিক বুঝতাছিনা ভাই!! আপনি আর আমি আবার ফিরে ব্লগে !!!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

শের শায়রী বলেছেন: ভালো লাগছে পুরানো মানুষ গুলো এক দুই করে দেখা দিচ্ছে দেখে। হ তুই আর আমি আবার ব্লগে যেখান থেকে শুরু!!!

১২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আপনার পোস্টগুলো প্রবল আগ্রহ নিয়ে পড়ি। কারণ আপনার লেখার বিষয় বস্তু কৌতূহল জাগায় , জানার ইচ্ছে জাগে।
এই পোস্টে আপনার পরিশ্রম সার্থক। ভালো থাকবেন। ++

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: সেই সাত বছর আগে যখন ব্লগ লিখতে আসি আপনাদের মত কিছু মানুষ সব সময় এমন সব প্রেরনা দায়ক মন্তব্য দিত যে নিজের সব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে লেখার চেষ্টা করতাম। জানিনা কতটুকু সফল, যদি সফলতা কিছু থাকে সে আপনাদের প্রাপ্য আর ভুল ভ্রান্তি গুলো মাথা পেতে নিলাম।

পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই। ব্লগ ডে তো অতীব আগ্রহ নিয়ে আপনার ছবি দেখলাম। আমার ধারনা ছিল আপনি আর একটু হ্যাংলা পাতলা হবেন, এক মাথা ঝাকড়া চুলের অধিকারী সুদর্শন যুবক আশা করিনি। হয়ত দেখা হয়ে যাবে কোন দিন কোন খানে :) । ভালো থাকুন ভাই।।

১৩| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমার ঝাঁকড়া চুলের ছবিটা ঠিক ওই সময়ের , ব্লগে রেজি করিনি। শুধু পাঠক ছিলাম । মন্তব্য করার ইচ্ছে হলেও সাহস পেতাম না। পড়েই যেতাম শুধু।
উপরের কান্ডারি অথর্ব মন্তব্য করেছেন। উনার লেখাও খুব পড়েছি। উনি ফিরে এসেছেন দ এবং নিয়মিত লেখছেন। খুব ভালো লাগছে। ব্লগ এগিয়ে যাক।
ভালো থাকবেন। দেখা একদিন হবেই।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৯

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা অনেক পুরানো মানুষ ফিরে আসছে, এটা একটা ভালো লক্ষন ব্লগের জন্য। আসলে ফেসবুক যদি হয় টি২০ তবে ব্লগ হল টেষ্ট। যার আভিজাত্য আর কৌলিন্য অন্য রকম।

আশায় আছি পুরানো মানুষ গুলোকে কোন এক দিন দেখা হবে অনেকক্ষন আড্ডা দেব।

শুভ কামনা নিরন্তর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.