নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারস্য অথবা আধুনিক ইরান ইতিহাসের উল্টো ভুমিকায়

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৪


দারিয়ুসের সময়ে পার্সিয়ান সাম্রাজ্যের ম্যাপ

পারস্য তথা আধুনা ইরানে অনেক আগে দারিয়ুস নামক একজন রাজা ছিল। প্রচন্ড প্রতাপশালী রাজা। এবং সে সময় বর্তমান পৃথিবীতে সব থেকে প্রভাবশালী সুপার পাওয়ার হিসাবেই পারস্য কে তথা রাজা দারিয়ুস কে সমীহ করা হত। বর্তমানে যেমন আমেরিকা। এশিয়া মাইনর থেকে সিন্ধু নদ পর্যন্ত রাজা দারিয়ুসের সাম্রাজ্য ছিল। মিশর থেকে কিছু গ্রীক নগর রাষ্ট্রও এই পারস্য রাজ্যের অধীনে ছিল। রাজা দারিয়ুস একজন প্রাতাপশালী রাজা হিসাবেই ইতিহাসে প্রসিদ্ধ। তিনি তার রাজ্যর এমাথা থেকে ওমাথা পর্যন্ত বিরাট এক রাজপথ তৈরী করছিলেন যার সাহায্যে নিয়মিত খবর আদান প্রদান করে পারস্য কে এক শক্তিশালী ভীতের ওপর দাড় করায়। এই পারস্যের সাথে ছোট ছোট গ্রীক নগর রাষ্ট্রগুলোর এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ সংগঠিত হয় যা দিয়ে অনেক কিছু শিক্ষনীয় বিষয় বের হয়ে আসে। গ্রীক ইতিহাসবিদ হিরডটাস এর লেখায় এর বিবরন আছে।


ইরানরাজ রাজা দারিয়ুস

দারিয়ুস কি কারনে জানি মনস্থির করেন যে সামান্য কয়েকটি গ্রীক নগর রাষ্ট্র তখনো তাদের বশ্যতা মেনে নেয়নি তাদের রাজ্য দখল করে নেবে। এখানে নগর রাষ্ট্র বলতে কি বোজায় এক লাইনে তার সংজ্ঞা দেই, সেকালে মানে খ্রীষ্টের জন্মের পাচ/ ছয়শত বছর পূর্বে গ্রীসে নগর কেন্দ্রিক ছোট ছোট রাজ্য গড়ে উঠছিলো যেমন, গ্রীস, স্পার্টা, লিডিয়া। এর প্রত্যেকেই স্বাধীন ছিল। এক একজন রাজার অধীনে এই সব ছোট ছোট রাজ্য শাষিত হত, একেই নগর রাষ্ট্র বলে।


ম্যারাথনের যুদ্ধ

দারিয়ুসের প্রথম অভিযান সফল হয়নি কারন দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে গিয়ে তার বহু সৈন্য মারা যায় আবার অনেক রোগে আক্রান্ত হয়। তারা গ্রীস পর্যন্ত পৌছাতেই পারেনি, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তারা আবার পারস্য ফেরত যায়। পরে আবার খ্রিষ্টপূর্ব ৪৯০ অব্দে দারিয়ুস দ্বিতীয় অভিযানে নামে। এইবার তারা স্থলপথে না গিয়ে সমুদ্র পথে গ্রীস অভিযান চালায়। গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের কাছাকাছি ম্যারাথন নামক স্থানে পারস্য সৈন্যরা অবতরন করে।


ফেইডিপ্পিডেস কোথাও না থেমে এক দৌড়ে এথেন্সে এসে “নিকোমেন” শব্দটা উচ্চারন করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

প্রতাপশালী পারস্যরাজের ম্যারাথন অবতরনে গ্রীস বাসীর কাপাকাপি শুরু হল বাধ্যহয়ে তারা তাদের পুরানো শত্রু স্পার্টার সাহায্য কামনা করে। স্পার্টান সৈন্য এসে পৌছানোর আগেই ছোট গ্রীক রাজ্য প্রতাপশালী ইরানরাজ কে হারিয়ে দেয়। ইতিহাসে এই যুদ্ধ ম্যারাথন যুদ্ধ নামে পরিচিত যা খ্রিষ্টপূর্ব ৪৯০ সালে সংগঠিত হয়। গ্রীক রাজা যুদ্ধে জয়ের পর ফেইডিপ্পিডেস নামক একজন সৈন্যকে সে যুদ্ধ জয়ের খবর এথেন্সে পৌছানোর জন্য পাঠালে, ফেইডিপ্পিডেস কোথাও না থেমে এক দৌড়ে এথেন্সে এসে “নিকোমেন” শব্দটা উচ্চারন করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। গ্রীক নিকোমেন মানে হল “আমরা জয়ী হয়েছি।” অবশ্য হেরোডেটাস ভিন্ন বর্ননা দিয়েছেন তার মতে ফেইডিপ্পিডিস গ্রীক থেকে স্পার্টায় যায় সাহায্যলাভের জন্য যেখানে দুরত্ব বর্ননা আছে ১৫০ মাইল। ঘটনা যাই হোক ফেইডিপ্পিডিসের এই দৌড় ইতিহাসে অমর হয়ে আছে “ম্যারাথন” নামক দৌড়ের মাধ্যমে যার দূরত্ব ২৬ মাইল ৩৮৫ গজ।

যাই হোক এখানে একটা প্রশ্ন আসে এত ক্ষমতাশালী ইরানরাজ কে কিভাবে সামান্য একটা নগররাষ্ট্র গ্রীস পরাজিত করে? গ্রীসরা লড়াই করছিলো নিজ দেশ রক্ষায় আপন দেশের পাশে, আর ইরানী বাহিনী এসেছিল অনেক দূর থেকে। তার ওপর তারা এসেছিল সাম্রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে জড়ো করা পাচমিশালী বাহিনী নিয়ে। তারা ছিল মাইনে করা সৈন্য দল, লড়াই করছে পয়সার জন্য। অপরপক্ষে গ্রীস বাসী লড়াই করছিলো নিজেদের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য। স্বাধীনতা হারানোর থেকে মরনপন লড়াইকেই তারা শ্রেয় মনে করছিলো। যারা কোন মহৎ উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করে তখন তাদের পরাজিত করা যায় না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে কি কিছু মিল পাচ্ছেন?


পারস্যরাজ জেরোক্সেস

ম্যারাথন থেকে পারস্যরাজ দারিয়ুস ভগ্ন মনোরথে নিজ দেশে ফেরত যান। তার মৃত্যুর পর তার ছেলে জেরেক্সিস রাজা হন, বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য তিনি মনোস্থির করেন। হিরোডেটাস এখানে কিছু চমৎকার বর্ননা দিয়েছেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন সে বর্ননা হিরোডেটাসের ভাষায় তুলে দিচ্ছি। আর্তাবানাস ছিল জেরোক্সিসের চাচা। আর্তাবানাস তার ভাইর ছেলে জেরোক্সিস কে না করলেন বিপদ সঙ্কুল গ্রীস আক্রমন না করার জন্য, তখন জেরোক্সিস তার জবাবে তার চাচাকে যা বলছিলেন, তা নিম্নরূপঃ

“আপনি যা বলছেন তাতে যুক্তি আছে বটে, কিন্তু চারিদিকে কেবল বিপদ দেখে যদি আতকে উঠি তাহলে কিভাবে চলবে? সব বিপদ কে গ্রাহ্য করলে চলে না। সংসারে সকল বিপদকে যদি একই মাপ কাঠিতে বিচার করি তবে কোন কাজ করাই সম্ভব হবে না, ভবিষ্যত জুজুর ভয় সারাক্ষন সিটকে থাকলে লাভ কি? না হয় খানিকটা দুঃখবোধ এড়ানো গেল। এর থেকে আমি বলি আশাবাদী হয়ে ভবিষ্যতের সন্মুখীন হওয়াই শ্রেয়, তাতে যদি দুঃখভোগ করতে হয় তাও শ্রেয়। সঠিকপন্থা নির্দেশ না করে যদি সকল কাজের বিরোধিতা করেন তবে আপনিও দুঃখ পাবেন, অপরপক্ষও দুঃখ পাবে। প্রত্যেক কাজেই সফলতা বিফলতার সম্ভাবনা সমান সমান থাকে। ভবিষ্যতের দাড়িপাল্লাটা কোন দিকে ঝুকবে তা মানুষ কিভাবে জানবে? তার পক্ষে সেটা জানা সম্ভব না। কিন্তু সফলতা তারাই অর্জন করে যারা এগিয়ে গিয়ে কাজে হাত দেয়। আর যারা ভীরু তারা কেবল চুল ছেড়া বিশ্লেষান করে, তাদের পক্ষে সফলতার আশা সুদুঢ় পরাহত। ইরানরাজ আজকে যে বিশাল শক্তি অর্জন করছে তা একবার ভেবে দেখুন। আমার যে সব পূর্ব পুরুষ এই সিংহাসনে বসেছেন তারা যদি আপনার অনুরূপ চিন্তা পোষন করত অথবা আপনার মত পরামর্শদাতা পেত তবে কি আজকের এই পারস্য সাম্রাজ্য হত? তারা বিপদ কে বরন করত বলেই আজ আমাদের এত উন্নত অবস্থা। বৃহৎ জিনিস লাভ করতে গেলে বড় বিপদ মেনে নিয়েই করতে হয়।”


কার্যক্ষেত্রে জেরেক্সিস পরাজিত হল। আর্তাবনাসের পরামর্শই ঠিক ছিল। কিন্তু জেরোক্সিস তার চাচা আর্তাবানাস কে যে কথাগুলো বলছিলো তার মাঝে কিন্তু অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আছে, যে কোন মহৎ বা বৃহৎ উদ্দেশ্য সাধন করতে গেলে অনেক বিপদের মাঝ দিয়েই যেতে হয়। যে উপলদ্ধিটুকু সেই সময়ের পারস্যরাজের ছিল আজকে যদি আমাদেরো কোন উদ্দেশ্য সাধন করতে হয় তবে একই মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।


হেলেসপন্ট প্রনালী পার হবার জন্য জেরোক্সিস বিরাট এক সেতু নির্মান করেন।

জেরোক্সিস তার বিরাট সৈন্যদল নিয়ে এশিয়া মাইনরের ভেতর দিয়ে দার্দানেলিস প্রনালী অতিক্রম করে ইউরোপে পা দেয়। পথে জেরোক্সিস ট্রয় নগরী দেখেন যেখানে হেলেনকে উদ্ধার করার জন্য গ্রীক বীরেরা লড়াই করেছিলেন। হেলেসপন্ট প্রনালী পার হবার জন্য জেরোক্সিস বিরাট এক সেতু নির্মান করেন। পারস্য সৈন্যরা যখন সেই সেতু অতিক্রম করছিলো জেরোক্সিস তখন নিকটবর্তী এক পাহাড়ের চুড়ায় বসে দেখছিলেন। এখানেও হেরোডেটাসের বর্ননা তুলে দিলাম, কারন এই বর্ননার মাঝেও অনেক নিগুঢ় সত্য লুকিয়ে আছেঃ

সমস্ত হেলেসপন্ট জাহাজে পরিপূর্ন এবং এবিডিসের তীরভুমি এবং আশেপাশ লোকে লোকারন্য। সেই দৃশ্য দেখে জেরোক্সিস বললেন, “আমি আজকে সত্যিই সুখী” এরপরই সে কেদে দিল। চাচা আর্তাবানাস পাশেই ছিল, সে জেরোক্সিস কে জিজ্ঞাস করল “মহারাজ, অল্প সময়ের ভেতর কি এমন ঘটল যে আপনি চোখের পানি ফেলছেন? যে তুমি দেশে বসে আমাকে বিজয়ের উপদেশ দিয়ে যুদ্ধে রওনা দিয়েছেন সেখানে কেন এখন চোখের পানি?” জেরোক্সিস বললেন, “এই দৃশ্য হঠাৎ আমার মনে হল মানুষের জীবন কত ক্ষন স্থায়ী, এই চর্তুদিকে অগুনিত মানুষ দেখা যাচ্ছে একশত বছর পর এর একজনও থাকবে না।” জেরোক্সিসের এই উপলদ্ধি যেন আমাদের প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের হাজার বছর ধরে উপলদ্ধির কি নিদারুন বহিঃপ্রকাশ।

যাই হোক এই বিরাট সৈন্যদল স্থলপথ এবং নৌপথে গ্রীস অভিমুখে এগিয়ে চলল। কিন্তু ভাগ্যও বোধ হয় এক সময় অত্যচারীর বিপক্ষে চলে যায়, সমুদ্রে মারাত্মক ঝড় ওঠে, সে ঝড়ে অনেক পারসিয়ান জাহাজ ধ্বংস হয়ে যায়। তারপরো যা অবশিষ্ট ছিল তাও অনেক ছোট ছোট নগর রাষ্ট্রগুলোর বিপক্ষে। জেরোক্সিসের এই বিরাট সৈন্যদল দেখে গ্রীকরা ভয় পেয়ে গেল। আত্ম কলহ ভুলে সব গ্রীক রাষ্ট্র গুলো সম্মিলিতভাবে ইরানরাজকে বাধা দিতে আসল, থার্মোপলিস নামক স্থানে তারা ইরান কে বাধা দিতে চায়, সে স্থানটি ছিল এক গিরিপথ, তার এক দিকে পাহাড় অন্য দিকে সমুদ্র। কাজেই বিশাল সৈন্যদল এই জায়গা একত্রে পার হতে পারছিলো না।


থার্মোপলিস নামক স্থানে তারা ইরান কে বাধা দিতে চায়

অবস্থান গত ভাবে সামরিক দিক দিয়ে অল্প সংখ্যক সৈন্যও বিরাট সেনাদল কে বাধা দিতে পারে। ম্যারাথন যুদ্ধের ঠিক দশ বছর পর ৪৮০ খ্রিষ্টপূর্বে তিনশত স্পার্টান সৈন্য পশ্চাদ অপসরনকারী গ্রীক সৈন্যদলকে নিরাপদে যেতে দেবার জন্য থার্মোপলিসের সেই গিরিখাতে অবস্থান নেয়। (এ ব্যাপারে হলিউডের বিখ্যাত মুভি থ্রি হান্ডেড দেখতে পারেন, যদিও সিনেমার খাতিরে কিছু অতিরঞ্জিত হয়েছে কিন্তু মুল কাহিনী ঠিকই আছে)। তিনশত স্পার্টান সহ গ্রীক বীর লিওনিডাস সেখানে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন বৃষ্টির মত পারশিয়ান আক্রমনের মুখে একের পর এক স্পার্টান শহীদ হতে থাকে একজন মারা গেলে তার জায়গায় এসে আর একজন স্পার্টান জায়গা নিচ্ছিল এবং হাসতে হাসতে প্রান দিচ্ছিল। (বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল ও কিন্তু এভাবে পাক বাহিনীকে আটকে দিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করে নিজের সহযোদ্ধাদের নিরাপদে ফিরে যেতে সহায়তা করে হাসিমুখে প্রান দেন)।


হে পথিক যাও, স্পার্টায় গিয়ে বল তাদের আজ্ঞা পালনে আমরা অবহেলে প্রান বিসর্জন করছি।

লিওনিডাস এবং তার তিনশত সঙ্গী একে একে নিহত হন। কিন্তু ততক্ষনে গ্রীক বাহিনী নিরাপদ স্থানে পৌছে যায়। থার্মোপলিসে এখনো গেলে আপনি দেখতে পাবেন সেই তিনশত অজেয় বীরদের স্মরনে লিখিত প্রস্তর ফলকে লেখা আছেঃ হে পথিক যাও, স্পার্টায় গিয়ে বল তাদের আজ্ঞা পালনে আমরা অবহেলে প্রান বিসর্জন করছি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এর থেকেও অনেক রোমাঞ্চকর জীবন বিসর্জনের ইতিহাস আছে কিন্তু আমরা কতজনকে স্বরন রাখছি সে প্রশ্ন আপনাদের কাছে রেখে গেলাম।


সালামিসের নৌযুদ্ধ রাজা জেরোক্সিস দেখছে এই যুদ্ধে তার পরাজয় ঘটে।

থার্মোপলিসে যে উদ্দেশ্যে লিওনিডাস এবং তিনশত স্পার্টান প্রান বিসর্জন দিয়েছিল সে উদ্দেশ্য সফল হয়েছিল, মানে সহযোদ্ধাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন কিন্তু তাতে বিশাল পারস্যরাজ জেরোক্সিসের অগ্রগতি থামানো গেল না, থার্মোপলিস জয় করে পারস্য বাহিনী গ্রীসের ভেতর দিকে ঢুকে গেল, কোন কোন গ্রীক রাষ্ট্র তাদের বশ্যতা স্বীকার করে নিলেও এথেন্সবাসী আত্ম সমর্পন করার থেকে নগর ত্যাগ করার ডিসিশান নিল। নিজেদের নগর নিজেরাই পুড়িয়ে দিয়ে সমুদ্রপথে তারা পালাল। বিজয়ী জেরোক্সিস এথেন্সে প্রবেশ করে অবশিষ্ট এথেন্সকে পুড়িয়ে ছাড়খার করে দিল। স্থলপথে পরাজিত হলেও গ্রীকদের নৌবাহিনী তখনো অক্ষত। সেই সামান্য নৌবাহিনীকে দেশরক্ষার প্রেমে বলীয়ান করে বিশাল পারস্য নৌবাহিনীকে সালামিস নামক স্থানে আক্রমন করে আর পুরো পারস্য নৌবাহিনীকে ধ্বংস করে দেয়। সম্রাট জেরোক্সিস পরাজয়ের এই আঘাত সহ্য করতে না পেরে ভগ্নমনে পারস্য ফিরে যায়।

মুলতঃ এখান থেকেই বিশাল পারস্য সাম্রাজ্য ধ্বংসের সূচনা হয় যদিও আরো কিছু কাল পারস্য সাম্রাজ্যের গৌরব ছিল। সামান্য কিছু নগর রাষ্ট্রের কাছে এই সুবিশাল ইরানরাজের পরাজয় সেকালে সবাইকে বিস্মিত করেছিলো। হেরোডেটাস ও এই পরাজয় নিয়ে চিন্তা করেছিলো এবং এর একটি কারন ও বের করেছিলো যা আজো একইভাবে আছে। তিনি বলেন, প্রতিটা বড় জাতির ইতিহাসে তিনটি পর্যায় আছে, প্রথম পর্যায়ে সাফল্য, দ্বিতীয় পর্যায়ে সাফল্যজনিত অহমিকা এবং অন্যায়ের প্রশ্রয় এবং সব শেষে এর ফলে অধঃপতন।

ইতিহাসের কি নিদারুন পরিনতি কালের পরিক্রমায় আজকে যেন, গ্রীসের সেই ছোট নগর রাষ্ট্রের ভুমিকায় প্রবল প্রতাপশালী পারস্যরাজ অভিনয় করছে, আর ক্ষমতাশালী পারস্যরাজের ভুমিকায় ৫০০ বছর আগের কলম্বাস কর্তৃক আবিস্কৃত নিউ ওয়ার্ল্ড আমেরিকা অভিনয় করছে। জেরোক্সিসের মত বলতে হয় ভবিষ্যতে কি হবে তা মানুষ কিভাবে জানবে? তবে যাই হোক, হিষ্টোরী রিপিটস ইটসেলফ। আর ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।


সংশ্লিষ্ট পোষ্টঃ প্রাচীন পারস্যে থেকে আধুনিক ইরান পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত যাত্রা

সূত্রঃ পোষ্টে প্রয়োজন মত নেটের লিঙ্ক সংযোগ করা হয়েছে এবং Glimpses of World History

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:২৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: পূর্ব-পশ্চিমের লড়াই প্রাচীন কাল থেকেই আছে।
ইলিয়াড-অডিসির গ্রীস ও তার মিত্রদের সাথে ট্রয় (বর্তমানের তুরস্ক)-এর লড়াইও তাই ছিলো।
জারেক্সিসের এই কাহিনী নিয়ে হলিউডে ৩০০ নামে ছবি বানানো হয়েছে।
ছবিতে কাহিনী বিকৃত করায় এবয় জারেক্সিস-কে স্বল্প পোষাকে দেখানোর কারণে ইরান বিষয়টা নিয়ে জাতিসংঘেও গিয়েছিলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩২

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি ভাই পোষ্টেও আমি সেটা উল্লেখ্য করছি।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৮

কনফুসিয়াস বলেছেন: হিষ্টোরী রিপিটস ইটসেলফ। আর ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।


অনেক ধন্যবাদ জানবেন এত কষ্ট করে লিখার জন্য। অনেক কিছু জানতে পারলাম।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৭

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪০

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ইতিহাস আমার ভালো লাগে এবং বর্ননা অত্যন্ত ভালো হয়েছে ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৮

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৪৩

সোহানী বলেছেন: চমৎকার কিছু জানলাম। কোটগুলো ভালোলেগেছে কিন্তু সবাই সব কিছু জানে কিন্তু শিক্ষা নেয় না কেউই।

হিষ্টোরী রিপিটস ইটসেলফ। আর ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আর সে কারনেই দেশে দেশে এতো হানাহানি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: পৃথিবী ধ্বংস হবার আগ পর্যন্ত এগুলো থাকবে প্রিয় বোন। বাই দ্য ওয়ে হ্যাপী বার্থ ডে।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৫

এমজেডএফ বলেছেন: সঠিক সময়ে সঠিক বিষয়ের ইতিহাস বর্ণনা চমৎকার হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ।

থার্মোপলিসে সেই তিনশত অজেয় বীরদের স্মরণে লিখিত প্রস্তর ফলক দেখে আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কোল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ-এর কথা মনে হলো।

আজকের তরুণ প্রজন্ম কীভাবে সেই বীর শহীদদের সম্মান :( করছে তা উল্লেখ করে আমি একটি পোস্ট লিখেছিলাম। যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ

ইরানে ইসলাম ধর্মের কট্টর নিয়মকানুনের কারণে দেশ-বিদেশের বেশিরভাগ লোক ইরানকে আরব সাম্রাজ্যের একটি দেশ এবং ইরানের মানুষকে আরব জাতির লোক মনে করে। আবার অনেকের ঐতিহাসিক পারস্য সাম্রাজ্যের সাথে আজকের ইরানের যোগসূত্র সম্পর্কে ধারণা নেই। যাই হোক আপনার লেখাটি পড়ে আশা করি অনেকের ভুল ধারণা সংশোধন হবে।

"প্রতিটা বড় জাতির ইতিহাসে তিনটি পর্যায় আছে, প্রথম পর্যায়ে সাফল্য, দ্বিতীয় পর্যায়ে সাফল্যজনিত অহমিকা এবং অন্যায়ের প্রশ্রয় এবং সব শেষে এর ফলে অধঃপতন।"
হেরোডেটাসের উল্লেখিত বাণীর শেষের অংশটি আমেরিকার ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন হওয়ার অপেক্ষায় আছি। মনে হয় সেদিন বেশি দূরে নয়!

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

শের শায়রী বলেছেন: বাপেক্সের কসবা একটা ড্রিলিং চলছিলো তো কিছু দিন আমাকে ওখানে গিয়ে কাজ করতে হয়েছে। প্রতিদিন বিকালে প্রায় তিন কিলোমিটার হেটে কোল্লাপাথর যেতাম কিছুক্ষন রেষ্ট নিয়ে আবার ক্যাম্পে ব্যাক করতাম। এক দম সীমান্ত লাগোয়া। বেশ কিছু ছবি তুলছিলাম কোল্লাপাথর স্মৃতি সৌদের। আসলেই বেশ সুন্দর করে ওই জায়গাটা রাখা। তবে খারাপ লাগছে ওখানে কিছু নেশাকারীর নেশা সেবন করতে দেখে। পাশে বিরাট এক পুকুর আছে। ডাক বাংলো আছে।

আমি আসলে লেখাটা লিখে বুজাতে চেয়েছি, কেউই পাহাড়ের চুড়ায় চিরদিন থাকেনা আবার কেউই পাহাড়ের পাদ দেশেও দাড়িয়ে থাকেনা। উত্থান পতনের মাঝ দিয়েই মানুষ এবং জাতিকে যেতে হয়।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমেরিকার অধঃপতন এই মাথামোটা ব্যাবসায়ী দিয়েই হবে।

পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি ইতিহাসে ছাত্র?
আপনার কি কোনো বই বের হয়েছে?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৬

শের শায়রী বলেছেন: কন কি ভাই, আমি পিওর সায়েন্সের ছাত্র ছিলাম তাও অনেক অনেক কাল আগে। এখন সব ভুলে গেছি। ভাই আমাদের দেশে একটা কথা আছে, তেলাপোকাও একটা পাখি, পেয়াজ ও একটা ফল আর আমিও লিখব বই না ভাই ইতিহাস পড়তে আমার ভালো লাগে এই পর্যন্ত, যেহেতু ব্লগে লিখি মাঝে মাঝে টুক টাক লিখে যাই বিভিন্ন লেখা পড়ে। :)

পাঠে কৃতজ্ঞতা রাজীব ভাই।

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পার্শিরা আরবিদের তুলনায় কালচারালি উন্নত।
আরবের তুলনায় কম রিসোর্স নিয়েও পারস্য সাম্রাজ্যে কাব্য চর্চা সাহিত্য চর্চা বেশি হয়েছে

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২১

শের শায়রী বলেছেন: ভালো কথা বলছেন হাসান ভাই এনিয়ে একটা পোষ্ট দিতে হবে।

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৭

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম। এই ধরনের পোষ্ট পড়তে আমার খুব ভালো লাগে।
সেজন্য বিশেষ ধন্যবাদ ও আন্তরিক শুভকামনা রইলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৮

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় কবি।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: পার্শিরা আরবিদের তুলনায় কালচারালি উন্নত। আরবের তুলনায় কম রিসোর্স নিয়েও পারস্য সাম্রাজ্যে কাব্য চর্চা সাহিত্য চর্চা বেশি হয়েছে আমি যা বলতে এসেছিলাম সেটা উনি বলে গেছেন। মুভি ৩০০ য়ে ইচ্ছেকৃত ভাবে জারেক্সিস-কে স্বল্প পোষাকে দেখানো হয়েছে এবং রক্ত পিপাসু বুঝানো হয়েছে। আসলে তখন বড় বড় সব রাজারাই সীমানা বাড়ানোর জন্য যুদ্ধ করে যেত।
লেখা ভালো লেগেছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৯

শের শায়রী বলেছেন: ইতিহাস বিজয়ীদের দ্ধারাই লিখিত হয় ভাই, আর হলিউডের মুভি আমেরিকাদের দ্ধারাই বানানো হয় :)

পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:০৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ছবিতে জারেক্সিস-কে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে। তবে মূল থিম ঠিকই আছে। আপনার বর্ননা অসাধারন লেগেছে। দারুন উপসংহার টেনেছেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা ভাই। শুকরিয়া।।

১১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:




শিবের গীতি, নাকি কোরাস?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: সবার জন্য সব কিছু না মুরুবভব্বী :P আপনার দৌড় পেপার দেখে কপি পেষ্ট মারা। এগুলো শিব নাকি ব্রক্ষ্মা, কোরাস নাকি কাওয়ালি তা বুজতে পারার মত জ্ঞান আপনার ঘটে না থাকারই কথা।

ট্রাম্প যখন হুংকার দিছে আপনিও দেখলাম মোসাহেবীর চুড়ান্ত দেখিয়ে ব্লগে বোমা টোমা মেরে ইরান কে এক হাত দেখিয়ে দিলেন দেখুন আপনার নিজের পোষ্ট ইরান ঠিক সাদ্দাম হোসেনের মত নিশ্চিহ্ন হওয়ার মনোভাব দেখাচ্ছে! যেই দেখলাম ট্রাম্প ইরানী বোমা খেয়ে মিউ মিউ করছে আপনিও সুন্দর ব্লগে পোষ্ট দিলেন আমেরিকা কাঁপছিলো, ট্রাম্প ও তার কেবিনেট বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে

ব্যাক্তিত্ব হীন মানুষ আসলে আমি পছন্দ করি না। জানি এই সব আপনার লিলিপুটিয়ান মগজে ঢুকবে না, ম্যাও প্যাও করতেই থাকবেন। বিদ্যা বুদ্ধি থাকলে কি এই বয়সে অভিবাসী হয়?

১২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কেউই পাহাড়ের চুড়ায় চিরদিন থাকেনা আবার কেউই পাহাড়ের পাদ দেশেও দাড়িয়ে থাকেনা।, আপনার বাণীই কোট করলাম।
সব গাধাই এটা জানে, কিন্তু কোন গাধাই মানে না; ভাবে, এটা আমার জন্য প্রযোজ্য না, আমার পরের গাধাটার জন্য প্রযোজ্য হলেও হতে পারে!! এজ ইউজ্যুয়াল, ট্রাম্প গাধাটাও তাই ভাবছে। =p~

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: =p~ =p~ =p~ আপনার মন্তব্য দেখে হাসতেই আছি।

১৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই সমৃদ্ধ পোষ্ট

সাগরের ঢেউয়ের মতো আসে উত্থান পতন!
এক সময় ইতিহাসের বেলাভুমে মূখথুবরে আছরে পড়ে নি:শেষ হয়ে যায়!

ভাল লাগা একরাশ
+++++

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৩

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

আমার কাছে জেরোক্সিসের এই কথাটা অসাধারন লাগছে ভাই , “এই দৃশ্য হঠাৎ আমার মনে হল মানুষের জীবন কত ক্ষন স্থায়ী, এই চর্তুদিকে অগুনিত মানুষ দেখা যাচ্ছে একশত বছর পর এর একজনও থাকবে না।”

১৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: চমৎকার লাগলো পোস্টটি। ++
কি নেই, একেবারে শুরুতে গ্রীসের নগররাষ্ট্র থেকে শুরু করে দারায়ুসের পারস্য সাম্রাজ্যের সাথে যুদ্ধ। বিভেদ ভুলে নগররাষ্ট্রের সাময়িক মৈত্রী। দারায়ুসের পরাজয়,সব‌ সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।লিওডিডাসের বিরত্ব, বাংলাদেশের আসপেক্টে তার সাজুয্য সহ আজকের ইরান ও আমেরিকার মধ্যে ঘটা সদ্য ঘটনার তুল্যমূল্য আলোচনা করে নগররাষ্ট্রের আদলে তুলে ধরে ঐতিহাসিক সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হ্যাঁ আমারা কেউই ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করিনা। ঘটনা ঘটার পরে আমরা কপালের দোষ দিই।


পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন শ্রদ্ধেয় শায়রীভাই।


০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় পদাতিক ভাই।।

১৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৮

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ইতিহাস ঐতিহ্য আমার প্রিয় বিষয়। পড়ে খুব ভাল লাগল।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ভাই।

১৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৭

এইচ তালুকদার বলেছেন: ইমন জুবায়ের এর পর আপনার ইতিহাস নিয়ে লেখাগুলোই সবচেয়ে ভালো লাগে।অসাধারন পোষ্ট এর জন্য ধন্যবাদ

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৫

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা। আর আপনি যার কথা বলছেন সেই ইমন ভাই কে আমি আমার ব্লগিং এর প্রেরনা মনে করি। শুভ কামনা।

১৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২১

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: বহুত দিন পর আপ্নার পোস্ট দেখে মনে পড়লো আপ্নার সম্পর্কে একটা জিনিস জানার ছিলো।
আচ্ছ ভাই আপ্নে কি টাকলা? টাকলা হলে ফুল না হাফ টাকলা?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০০

শের শায়রী বলেছেন: শাহী, এক সময় ফুল টাকলা ছিলাম এখন আবার মাথায় চুল ভরে গেছে। কেমন আছ ভাই?

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩৬

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: মিস খাই। ভালো দিন আসলে দুই ভাই আরো একবার ঝগড়া করমু খুব। ততদিন পর্যন্ত আল্লাহ আপনারে হেফাজত রাখুক। লেখালেখিটা থামাইয়েন না। লেখক শোভন এর উপর সব সময় শ্রদ্ধা ছিলো, আগামীতেও থাকবে।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ শাহী। দেখা হবে, কথা হবে, আড্ডা ও হবে ইনশাল্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.