নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব ইজতেমা ও তার ইতিহাস এবং প্রেক্ষাপট

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৮



খুব বাজে একটা স্বভাব আছে আমার। কোন কিছু শুনলেই দেখলেই তার ইতিহাস বা কেন? কোথায়? কিভাবে? বর্তমান অবস্থা এই সব জানতে ইচ্ছে করে। প্রতি বছর আমাদের দেশে বিশ্ব ইজতেমা নামে একটা মুসুল্লী জমায়েত হয়, অন্ধের মত সবাই তাতে সোয়াব কামানোর জন্য যায় কিন্তু কয়জন জানে এর ইতিহাস? এর উৎপত্তির কারন? সবার আগে স্বীকার করে নেই আমার এই পোষ্ট অন্তর্জালে প্রাপ্ত বিভিন্ন লেখা থেকে সংগৃহীত।

কিভাবে এই এজতেমার শুরু?


মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ)

বাংলাপিডিয়ায় দেয়া তথ্য বলছে, "১৯২৬ সালে হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রহঃ) ভারতের উত্তর প্রদেশের মেওয়াত এলাকায় তাবলীগী আন্দোলনের গোড়াপত্তন করেন এবং একই সঙ্গে এলাকাভিত্তিক সম্মিলন বা ইজতেমার আয়োজন করেন। কালক্রমে তাবলীগ সমগ্র উপমহাদেশে বিস্তার লাভ করে এবং উপমহাদেশের বাইরেও এর প্রভাব পড়ে। "১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সূত্র ধরে উপমহাদেশের ভারত, পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তান - এ তিনটি অঞ্চলে মুসলমানদের অবস্থান সাপেক্ষে তাবলীগের তিনটি কেন্দ্র স্থাপিত হয়"।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক এবং লেখক এ কে এম খাদেমুল হক বিবিসি বাংলাকে বলেন, "১৯২০ সালের দিকে যখন এটি শুরু হয়েছিল তখন এটা একটা আন্দোলন হিসেবে শুরু হয়েছিল ভারতে।" তিনি বলেন, "একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে এটা শুরু হয়েছিল। তখন হিন্দুদের মধ্যে একটা সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। হিন্দু ধর্ম থেকে যারা অন্য ধর্মে চলে যাচ্ছিল তাদেরকে আবারো হিন্দু ধর্মে ফিরিয়ে নেয়ার একটা চেষ্টা ভারতবর্ষে বিভিন্ন প্রদেশে শুরু হয়।



"এটা একটা প্রক্রিয়া যেটাকে আন্দোলন বলা যায়। তখন মুসলমানদের সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। তখন দেওবন্দ কেন্দ্রীক মুসলমানেরা চিন্তা করলেন মুসলমানদের ইসলাম সম্পর্কে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। এটাকে আন্দোলন বলা হয় এই অর্থে যখন একটা গোষ্ঠী অনেক লোক নিয়ে একটা নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে সংগঠিত করে তখন সেটা আন্দোলনের রূপ নেয়"। খাদেমুল হক বলেন, যখন এই আন্দোলন শুরু হয়েছিল তখন ব্রিটিশরা ভারতবর্ষ শাসন করছে। তাবলীগ জামাত কখনোই নিজেদেরকে ব্রিটিশ বিরোধী হিসেবে প্রচার করতে চায়নি।

কিভাবে বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা আসে?



বাংলাদেশে এর সূত্রপাত হয় চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে ১৯৪০-এর দশকের শেষের দিকে। চট্টগ্রামের সমুদ্রবন্দর দিয়ে হজে যাওয়ার জন্য মানুষ সেখানকার হজ ক্যাম্পে জড়ো হতেন, আর সেখান থেকেই শুরু হয়েছিল আঞ্চলিক ইজতেমার প্রক্রিয়াটা। বাংলাদেশে প্রথম তাবলীগের জামাত নিয়ে আসেন তাবলীগ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ। ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশে ইসলাম প্রচারের কাজ করছিলেন মোহাম্মদ ইউসুফ। ভারত এবং পাকিস্তান দুটি আলাদা দেশ হওয়ার পর মোহাম্মদ ইউসুফ দুই দেশেই জামাত পাঠানো শুরু করলেন ইজতেমা আয়োজনের জন্য। তবে তখন ছোট আকারে ইজতেমা হত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষক এবং গবেষক ড. আব্দুর রশিদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, "১৯৪৬ সালে বাংলাদেশে ঢাকার রমনা পার্কের কাছে কাকরাইল মসজিদ - যেটা সে সময় মালওয়ালি মসজিদ নামে পরিচিত ছিল - সেখানে এই সম্মেলনটা হয়। এরপরে হয়েছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে"। বাংলাদেশ যখন পূর্ব পাকিস্তান হিসেবে পরিচিত ছিল, তখন ১৯৬৫ সালে ঢাকার কাকরাইল মসজিদে একটি জামাত আসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মো. খান শাহাবুদ্দিন নাফিস। তখনকার সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খান শাহাবুদ্দিন নাফিস বর্তমানে তাবলীগ জামাতের শুরা কমিটির একজন উপদেষ্টা।



এখন যেভাবে বিদেশ থেকে প্রচুর মুসলমান ইজতেমায় অংশ নেন, সেই সময়ে অবশ্য অন্যান্য দেশ থেকে লোকজন আসেনি বলে জানান খান শাহাবুদ্দিন নাফিস। "ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছিল, আর ছিল গ্রামের মানুষ"। ঢাকার পর মোহাম্মদ ইউসুফ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সফর করেন। খান শাহাবুদ্দিন নাফিস বলেন, তাবলীগের জমায়েতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকার কারণে এর পরের বছর অর্থাৎ ১৯৬৬ সালে ইজতেমা হয় টঙ্গীর মনসুর জুট মিলের কাছে। এর পরের বছর ঠিক করা হয় ইজতেমা হবে টঙ্গীর তুরাগ নদের কাছে।

আরো পরে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান টঙ্গীতেই ১৬০ একর জমি নির্ধারণ করে দেন ইজতেমার জন্য, জানাচ্ছিলেন খান শাহাবুদ্দিন নাফিস।

কিভাবে বিশ্ব ইজতেমা নাম করন হয়?



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের শিক্ষক এবং গবেষক ড. আব্দুর রশিদ বলছিলেন, 'বিশ্ব ইজতেমা' তাবলীগের দেয়া নাম নয়, বরং তাবলীগের লোকজন এটাকে বার্ষিক সম্মেলন বলতেন। খান শাহাবুদ্দিন নাফিস জানান, তাবলীগ জামাতের পক্ষ থেকে বিদেশীদের পাঠানো শুরু হয় এক সময়। "যখন বিদেশ থেকে লোক আসা শুরু করলো, তখন গ্রামের লোক এটাকে বিশ্ব ইজতেমা বলা শুরু করলো। শুরার একজন প্রবীণ ব্যক্তি বললেন জনগণের চাহিদার উপর আল্লাহতায়ালা বিশ্ব ইজতেমা করে দিয়েন"।

'বিশ্ব ইজতেমা' নাম নিয়ে তাবলীগ জামাতের মধ্যেই শুরুতে বিতর্ক ছিল। তবে সময়ের সাথে সাথে বিশ্ব ইজতেমা নামটি প্রচলিত হয়ে যায়।

কেন বাংলাদেশ বিশ্ব ইজতেমার স্থান হিসেবে নির্ধারিত হল?



ইজতেমার ধারণা শুরু হয়েছিল ভারতে। ভারত ভাগের পর পূর্ব পাকিস্তানে ইজতেমা হতো। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এটি ভারত, পাকিস্তান বা অন্য কোন দেশে না হয়ে বাংলাদেশেই স্থায়ী হয়েছে। খান শাহাবুদ্দিন নাফিস বলছিলেন, "এর একটা কারণ ছিল সে সময়ে বাংলাদেশের ভিসা পাওয়া সহজ ছিল। ইজতেমার নামে কেউ ভিসা আবেদন করলে কেউ ফেরত যেত না। এটা সরকারের একটা ভালো পলিসি ছিল"।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি সরকার এই ইজতেমাকে সমর্থন করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির শিক্ষক এবং লেখক একেএম খাদেমুল হক বলেন যে দুটো কারণে বিশ্ব ইজতেমার স্থায়ী ঠিকানা বাংলাদেশে হয়েছে। "একটি বিশ্ব রাজনীতির মেরুকরণ। আরেকটি তাবলীগ জামাতের যে আন্দোলন সেটা পুরো দক্ষিণ এশিয়া-কেন্দ্রীক। যদিও ভারতে এর শুরু কিন্তু ভারতে মুসলিম-প্রধান দেশ না হওয়ার কারণে অনেক দেশের মুসলিমরা সেদেশে যেতে কমফোর্ট ফিল করেননি। আবার পাকিস্তানকে নিয়ে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট আছে।"

মি. হক আরও বলেন, তাবলীগের জমায়েত বাংলাদেশে শুরু থেকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা যতটা পেয়েছে ততটা ভারত বা অন্য কোথাও পায়নি। এছাড়া সবচেয়ে কম খরচে মানুষ বাংলাদেশে আসতে পারতো। গবেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে বিশ্ব ইজতেমা হওয়ার পিছনে কিছু রাজনৈতিক কারণও ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আব্দুর রশিদ বলেন, ভারতের কিছু স্থানে তখনো মুসলমানদের মধ্যে শিয়া-সুন্নি মতবিরোধ ছিল। সে তুলনায় বাংলাদেশে মুসলমানদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ছিল, যাকে একটা নিরাপদ পরিবেশ বলে মনে করেছিলেন তারা।



তবে তিনি এও বলেন যে তাবলীগের এক সম্মেলনে ইজতেমার স্থান হিসেবে লটারির মাধ্যমে বাংলাদেশের উঠে আসে বলে অনেকে উল্লেখ করেন। অবশ্য এই তথ্য নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে তিনি জানান। ভারত এবং পাকিস্তান - এই দুটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তুলনামূলক নিরপেক্ষ একটা স্থান ছিল। কারণ হিসেবে বলা হয়, রাজনৈতিক কারণে তখন ভারতের নাগরিকরা যেমন সহজে পাকিস্তানে যেতে পারতেন না, তেমনি পাকিস্তানের নাগরিকদের জন্য ভারতে পাওয়া ছিল কঠিন একটি বিষয়। ফলে বাংলাদেশই ছিল ওই দেশ যেখানে সহজে সবাই আসা-যাওয়া করতে পারতেন বলে গবেষকরা মনে করেন।

তবে তাবলীগের ইজতেমা যে বিশ্বের অন্য কোথাও হচ্ছে না তা নয়। পাকিস্তানের রাইবেন্ড এবং ভারতের ভোপালে বড় আকারে ইজতেমা হয় বাংলাদেশের বিশ্ব ইজতেমার ঠিক আগে ও পরে। তবে যে সংখ্যায় বিদেশীরা বাংলাদেশের ইজতেমায় আসেন, তাতে করে তুরাগ তীরের ইজতেমাই 'বিশ্ব ইজতেমা' হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে।

ইজতেমাতে আসলে কী হয়? কী শিখানো হয়? ইজতেমার দ্বারা সাধারণ মানুষের উপকারই বা কতটুকু হচ্ছে?



এসব প্রশ্নের উত্তরে বলা যায়, ইজতেমার মূল আমল হলো- বয়ান। প্রতিদিন ফজর এবং মাগরিবের নামাজের পর লম্বা সময় নিয়ে বয়ান করা হয়। জোহর এবং আসরের পরেও ছোট্ট পরিসরে বয়ান হয়। সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিশেষ শ্রেণী বা পেশার মানুষ যেমন ছাত্র, শিক্ষক, পেশাজীবি, সাংবাদিক ও আলেমদের নিয়ে আলাদা আলাদা বয়ান হয়। এ সময় মাঠে থাকা অন্যরা তালিমের কাজে ব্যস্ত থাকেন। বয়ান সাধারণত ভারত-পাকিস্তানের বিজ্ঞ আলেম ও মুরুব্বিরা করে থাকেন। বয়ান উর্দুতেই বেশি হয়। পরে এটা সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে বাংলায় অনুবাদ হয়। তবে বাংলাদেশের কেউ বয়ান করলে সরাসরি বাংলাতেই করেন। বিদেশি মেহমানদের জন্য এসব বয়ান তাদের নিজ নিজ ভাষায় অনুবাদ করে শোনানোর ব্যবস্থা করা হয়, এমনকি শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বয়ানের মর্মার্থ বুঝানোর ব্যবস্থা রয়েছে।


এ সব বয়ানের মূল উদ্দেশ্য থাকে, মানুষের মধ্যে ঈমানি চেতনা বৃদ্ধি এবং দ্বীনের প্রচার-প্রসারের ভাবনা তৈরি করে তাদেরকে জামাতে বের হওয়ার জন্য উৎসাহিত করা। এক্ষেত্রে শুধু বয়ানের দ্বারা সবাই তৈরি হয়ে যায় না। বরং পুরো ইজতেমার সময় জামাতে লোকজনকে বের করার জন্য আলাদাভাবে তাশকিল করা হয়। বস্তুত উপস্থিত শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে প্রদেয় বয়ান ইজতেমার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আর ইজতেমার মুনাজাত হলো, দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে রওয়ানাকারী জামাতের সদস্যদের জন্য। আসলে ইজতেমার আখেরি মুনাজাত ইজতেমা শেষ- এ জন্য করা হয় না। বরং ইজতেমা থেকে অনেক জামাত দেশের বিভিন্ন এলাকায় দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে বের হয়। এসব জামাত রওয়ানা হওয়ার সময় তাদের উদ্দেশ্য নির্দেশনামূলক একটি বয়ান হয়। যাকে হেদায়েতি বয়ান বলা হয়। বয়ান শেষে দ্বীনের রাস্তায় বের হওয়া সব জামাতের জন্য, সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য- বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আর এই মুনাজাতের মাধ্যমে ইজতেমা শেষ হয়। দোয়ার পর জামাতগুলো তাদের গন্তব্য জেনে সে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। হজরত নবী করিম (সা.) কোথাও কোনো জামাত পাঠালে এভাবে তাদেরকে হেদায়েত, নির্দেশনা ও তাদের জন্য আন্তরিক দোয়া দিয়ে বিদায় দিতেন। এ ধারা পরম্পরায় ইজতেমার মাঠে এই বিশেষ দোয়া করা হয়।

বিশ্ব ইজতেমার তারিখ এবং কি কারনে এর দুই ভাগে সময় নির্ধারিত হল




পুরো সমাবেশস্থলটি একটি উন্মুক্ত মাঠ, যা বাঁশের খুঁটির উপর চট লাগিয়ে ছাউনি দিয়ে সমাবেশের জন্য প্রস্তুত করা হয়। শুধুমাত্র বিদেশী মেহমানদের জন্য টিনের ছাউনি ও টিনের বেড়ার ব্যবস্থা করা হয়। সমাবেশস্থলটি প্রথমে খিত্তা ও পরে খুঁটি নম্বর দিয়ে ভাগ করা হয়। অংশগ্রহণকারীগণ খিত্তা নম্বর ও খুঁটি নম্বর দিয়ে নিজেদের অবস্থান শনাক্ত করেন। তাছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলাওয়ারি মাঠের বিভিন্ন অংশ ভাগ করা থাকে। বিদেশি মেহমানদের জন্য আলাদা নিরাপত্তাবেষ্টনীসমৃদ্ধ এলাকা থাকে, সেখানে স্বেচ্ছাসেবকরাই কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন, কোনো সশস্ত্র বাহিনীর অনুপ্রবেশের অধিকার দেয়া হয় না।



সাধারণত তাবলিগ জামাতের অংশগ্রহণকারীরা সর্বনিম্ন তিন দিন আল্লাহর পথে কাটানোর নিয়ত বা মনোবাঞ্ছা পোষণ করেন। সে হিসাবেই প্রতিবছরই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয় তিনদিন জুড়ে। সাধারণত প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুক্রবার আমবয়ান ও বাদ জুমা থেকে বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতি বছরই এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশ্ব ইজতেমা প্রতিবছর দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয় কাকরাইল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় এবং তিনদিন করে আলাদা সময়ে মোট ছয়দিন এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।কিন্তু এতে করেও ব্যাপক মুসল্লিদের ঢল থাকায় ২০১৬ থেকে ৩২ টি জেলা নির্বাচন করে ইজতেমার কার্যক্রম অবিরত রাখা হয় । বাকি ৩২ জেলাদের ইজতেমা পরবর্তী বছর ধার্য করা হয় । সমাবেশ আ'ম বয়ান বা উন্মুক্ত বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হয় এবং আখেরি মোনাজাত বা সমাপণী প্রার্থণার মাধ্যমে শেষ হয়। অনেক সাধারণ মুসলমান তিনদিন ইজতেমায় ব্যয় করেন না, বরং শুধু জুমা'র নামাজে অংশগ্রহণ করেন কিংবা আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন; তবে সবচেয়ে বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করেন আখেরি মোনাজাতে। বাংলাদেশ সরকারের সরকার প্রধান (প্রধানমন্ত্রী), রাষ্ট্রপ্রধান (রাষ্ট্রপতি), বিরোধী দলীয় নেতাসহ অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা আখেরি মোনাজাতে আলাদা-আলাদাভাবে অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ব ইজতেমার শেষ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আখেরি মোনাজাত। প্রবল ধর্মচেতনায়র উদ্দীপনা নিয়ে মুসল্লিগণ আখেরি মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন আর আমিন আমিন বলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আখেরি মোজাতের সময় টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর যেন পরিণত হয় মুসল্লিদের জোয়ারে। আর আখেরি মোনাজাতের মধ্য বিশ্ব ইজতেমার মূল কার্যক্রম শেষ হয়। বলা হয়ে থাকে মক্কা মদিনায় হজ্বের পরই এটাই মুসলিম উম্মাহর সব থেকে বড় জমায়েত।

আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে দ্বীন এবং ইসলাম কে সঠিক ভাবে উপলদ্ধি করিয়ে এর আমল করার তৌফিক দেন।

সূত্রঃ বিশ্ব ইজতেমা উইকিপিডিয়া

বিশ্ব ইজতেমা কি ও কেন?

তাবলীগের বিশ্ব ইজতেমা

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিশ্ব ইজতেমা কি কেন বা কিভাবে প্রভৃতি সম্পর্কে অনেক খুঁটিনাটি জানলাম। এককথায় ব্যতিক্রমধর্মী পোস্টে ভালোলাগা। আমার পরিচিত একজন বেশ কয়েক বছর আগে সাইকেলে করে টুঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমায় গেছিলেন। ওনার কাছে সর্বপ্রথম বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে ধারণা লাভ করি। আজ আপনার পোস্ট মারফত সে ধারণা সম্পৃক্ত লাভ করল।
শুভেচ্ছা নিয়েন শ্রদ্ধেয় শায়রী ভাই।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৪

শের শায়রী বলেছেন: ব্লগে লিখতে গিয়ে কিছু মানুষের সাথে এক অদেখা আত্মিক সম্পর্ক তৈরী হয়। আপনিও সে রকম একজন।

পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: ভালো লাগল ইজতেমা সম্পর্কে তথ্যগুলো জেনে ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৭

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভাসা ভাসা জ্ঞান ছিল। খুব ভালো কালেকশন, তথ্যবহুল।

আমার ধারণা, অনেকে বিশ্ব ইজতেমায় জমায়েত হওয়াটাকেই অনেক বড়ো সওয়াবের কাজ মনে করেন, আদতে এটা সে ধরনের কিছু না। ওয়াজ মাহফিলের বিশালকায় সংস্করণও মনে হয় বলা যায়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২০

শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি ভাই, এটা অনেকটা ওয়াজ মাহফিলের বড় সংস্করন। তবে যে কোন ধর্মীয় কাজে অংশ নেয়াই বিশ্বাসীদের সৃষ্টিকর্তার নৈকট্যের লাভ আশা থাকেই, সেক্ষেত্রে এখানেও সওয়াবের ব্যাপারটা ওইভাবে জড়িত।

৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:০৫

হিজ মাস্টার ভয়েস বলেছেন: ইনফরমেটিভ

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১৮

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভ্রাতা।

৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইজতেমার কারনে পুরো শহর অচল হয়ে যায়। সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের ভীষন কষ্ট হয়।
ইজতেমা করে দেশের কি উপয়ার হয়? বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমে?
ইজতেমা ঢাকার বাইরে করলে ভালো হয়। কোনো চর এলাকায়।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪১

শের শায়রী বলেছেন: এটা সত্যি রাজীব ভাই ইজতেমার জন্য ঢাকার একাংশে চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। তবে আগের তুলনায় অনেক কমেছে।

ইজতেমা করে দেশের কি উপয়ার হয়? বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমে? এটা আপনার প্রশ্ন ছিল। ভাই ইজতেমা তো মানসিক প্রশান্তির ধর্মীয় একটা প্রসেস জিনিস পত্রের দাম বাড়ানো বা কমানর জন্য তো ধর্মকে দায়ী করা যায় না, ইজতেমা যেমন দাম বাড়ায় নি তেমনি কমাতেও পারে না, তবে বিশ্বাসীদের মানসিক প্রশান্তি আনতে সহায়তা করে। বানিজ্য মেলা এক মাস ধরে চলে ওই এলাকার অনেক রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয় তখন, এক মাস! ঢাকার প্রান কেন্দ্রে! সেখানেও তো জিনিস পত্রের দাম কমে বলে জানা নেই। বইমেলা তাও এক মাস সেটার জন্যও ওই এলাকায় অনেক জান জট হয়, আর ইজতেমা তিন দিন ভাই।

আপনি বলছেন, ইজতেমা ঢাকার বাইরে করলে ভালো হয়। কোনো চর এলাকায়। ভাই এখানে সারা দেশ থেকে এমন কি বিদেশ থেকেও মানুষ আসে, কেন আসে? ধর্মের মাধ্যমে তিনটা দিন মানসিক প্রশান্তি লাভের জন্য। সেখানে যদি এদের কে চর এলাকায় পাঠান তাদের যাতায়াত কিভাবে হবে? লাখ লাখ মানুষের যাতায়াত থাকা খাওয়া নিরাপত্তা সেটা কি সরকার দেবার সামর্থ্য রাখে? না সে ধরনের ষ্ট্রাকচার আছে? ভাই মাত্র তিন দিন অথচ নির্বাচন উপলক্ষ্যে একটা মিছিল নামলে পুরা ঢাকাই জ্যামে অচল হয়ে যায়।

আমি ইজতেমার পক্ষে বিপক্ষে না, আমি শুধু এটুকুই বলি ধর্মের নামে কেউ যদি প্রশান্তি পায় তবে সেটুকু দিতে কেন আমরা কার্পন্য করব? আমার কাছে তো বানিজ্য মেলা একটা অহেতুক ব্যাপার কারন আমার অত টাকা নেই যে ওখানে গিয়ে কিছু কিনব তাই বলে যারা কেনে তাদের কে আমি অস্বীকার করে সরিয়ে দিতে পারি?

আপনি বুজদার মানুষ। আশা রাখি বুজতে পারছেন। আরো আশা রাখি আপনি আমার যুক্তিতে রাগ করবেন না, আপনাকে আমি অনেক পছন্দ করি ভাই। :)

৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

পারগালি বলেছেন: অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানলাম।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক শুকরিয়া ভাই।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
চমৎকার তথ্য বহুল পোস্ট। ভালো লাগলো।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা সৌরভ ভাই।

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

হাসান রাজু বলেছেন: পোস্টটি পড়ে অনেক কিছু জানা হ্ল । ভালো লাগলো ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: কৃতজ্ঞতা জানবেন রাজু ভাই।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:০১

সাাজ্জাাদ বলেছেন: আমার পরিচিত এক আরবি দুবাই থেকে ইজতেমাই অংশগ্রহণ করেছিল, ইজতেমা শেষে ফিরে আসার পর তার কি যে সুনাম বাংলাদেশ নিয়ে। আগে সে বাংলাদেশকে জানত শুধু একটা গরিব দেশ হিসেবে। ধর্মীয় দিক দিয়ে বাংলাদেশের এতো বড় আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। ধর্মীয় অনেক কথাই বলছিল যা তাঁকে ভীষণ ভাবে প্রভাবিত করেছিল, সে জেনেছিল এক গরিব হুজুরের কাছে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি সাজ্জাদ ভাই এই সব ব্যাপার আমাদের ধর্মীয় দিক হতেও গর্বিত করে বৈকি। অনেক ধন্যবাদ আপনার ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করায়।

১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: লেখা ভালো লাগলো। তবে আসল জিনিস কেন দিলেন না?
গত কয়েক বছর ধরে কেন এরা নিজেরদের মধ্যে মারামারি করছে?
বড়ই দৃষ্টিকটু লাগে এইসব হাস্যকর ব্যাপার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

শের শায়রী বলেছেন: নীল আকাশ ভাই সালাম। আমি এই ব্যাপারটা নিয়ে মানে মারামারির ব্যাপারটা নিয়ে লিখব কি লিখব না এনিয়ে অনেক ভেবেছি, পরে ব্যাক্তিগত অভিমত বা যুক্তিতে বাদ দেই। কেন দেই তার সামান্য দু' একটা যুক্তি আপনাকে দিচ্ছি

প্রথমতঃ এটা একটা ইতিহাস ভিত্তিক পোষ্ট মানে কিভাবে ইজতেমার উৎপত্তি হয়েছে? কেন? কিভাবে বাংলাদেশে এসেছে? এর থেকে কি শিক্ষা পাই আমরা তা লেখার চেষ্টা করছি বর্তমান কিছু আনতে চাইনি।

দ্বিতীয়তঃ ধর্মীয় দিকের দুটো দিক আছে একটা আলো আর একটা অন্ধকার, প্রতিটা ধর্মেই কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষ থাকে যারা নিজেদের সুবিধা দেখবে, এটা অতীতেও চলে আসছে এখনো চলে, ভবিষ্যতেও চলবে। প্রশ্ন হল আমি কোনটা গ্রহন করব? আমি কি ওদের মারামারিটাকে দেখে নিজে কোন পক্ষে যাবার চেষ্টা করব নাকি আমি স্রষ্টার সান্নিধ্যে লাভের জন্য এই তিন দিন ব্যায় করব? আমার কাছে দ্বিতীয়টাই শ্রেয় মনে হওয়ায় ওগুলো টানিনি।

তৃতীয়তঃ ওই সব মারামারি টানতে গেলে অহেতুক অনেক ভেজাল কথা লিখতে হত যা সম্পুর্ন সময়ের অপচয় বলে আমার মনে হয়েছে।

আমি স্রেফ এদের ইগনোর করি। আর এই পোষ্ট যতটা না ধর্মীয় তার থেকে অনেক বেশী গবেষনা বা ইতিহাস নির্ভর তাই ওই সব আনার ইচ্ছা হয় নি।

ভালো লাগায় কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যে রেগে না গিয়ে আপনি সহজ ভাবে আমাকে বুঝিয়েছেন।
এজন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, আমি রেগে যাবার তো প্রশ্নই ওঠে না। আর আপনি আমার প্রিয় একজন ব্লগার। আপনার বিবেচনা বোধের ওপর আমার পূর্ন আস্থা আছে।

কৃতজ্ঞতা জানুন।

১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: কিছু অলস আর অকর্মা লোকের কাজ কর্ম তাবলীগ। কিছুদিন পরপর ঘর বাড়ি সংসার কাজ কর্ম ফেলে কাঁথা বালিশ কাধে নিয়ে ছোটে, ইজতেমা হলে এদের দাপোটে এলাকার লোক অস্থির। কিছুদিন আগে ইজতেমা নিয়ে যে এক খানা যুদ্ধ হয়ে গেলো মাশাল্লাহ।

১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৩

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি তা হয়ে গেছে, ভয়াবহ যুদ্ধ। কিন্তু উনারাই ইজতেমা না। আমার কাছে ইজতেমা হল কিছু ভালো ধর্মীয় কথা শোনা। আমার জানামতে তাবলীগে যাবার আগে নিজের ফ্যামিলির থাকা খাওয়া নিশ্চিত করে যাওয়া উচিত। কেউ যদি এটা না করে তবে সে অবশ্যই অকর্মা।

পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:৩৫

ইসিয়াক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। পরে মন্তব্য করবো।
শুভকামনা রইলো ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩১

রমিত বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।
ইদানিং সময়ের অভাবে আমি ইচ্ছা থাকা সত্বেও লম্বা মন্তব্য করতে পারিনা।
যাহোক, আমার ছোটবেলায় ১৯৮০/৮১ সালে বিশ্ব এজতেমায় বিদেশী মেহমান আসতে দেখেছিলাম।
বিশ্ব এজতেমা-কে ঘিরে বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখে আসছি চিরকাল ধরে।
এদিকে বিদেশী শক্তিগুলো 'বিশ্ব এজতেমা'-কে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলেও শুনেছি!

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০০

শের শায়রী বলেছেন: এত ব্যাস্ততার মাঝে সময় করে আপনি যে মন্তব্য দিয়েছেন এর জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা জানুন।

১৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব সুন্দর করে লিখেছেন।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সম্রাট ভাই।

১৬| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫০

করুণাধারা বলেছেন: আপনার মত আমারও বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আসে মাথায়- কিন্তু উত্তর খুঁজে বের করার জন্য পরিশ্রম করতে ইচ্ছা হচ্ছিল না। আপনার এই পোস্ট পড়ে অনেক প্রশ্নের জবাব মিলল- অসংখ্য ধন্যবাদ।

বয়ান আর আখেরি মোনাজাত সম্পর্কে এত কিছু জানা ছিল না। এদ্দিন জানতাম আখেরি মোনাজাতে অংশ নিলে অনেক নেকী হাসিল হয়, তাই এদিনে সবাই সব কাজ ফেলে মোনাজাত করতে ছুটে যায়। আজকে দেখলাম ইজতেমার মাঠে তিনজন মারা গেছেন। এখানে যারা যাওয়াকেও অনেকে খুব ভালো বলে মনে করেন!

১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৯

শের শায়রী বলেছেন: আখেরি মোনাজাত সন্মন্ধ্যে আমারো বিস্তারিত কোন ধারনা ছিল না, পরে পোষ্ট লিখতে গিয়ে এ ব্যাপারে নিজেও বিস্তারিত জানলাম আপা। আমরা যে অর্থে আখেরি মোনাজাত জানি বাস্তবে সেটা সেভাবে না পোষ্টেই উল্লেখ্য করছি "হজরত নবী করিম (সা.) কোথাও কোনো জামাত পাঠালে এভাবে তাদেরকে হেদায়েত, নির্দেশনা ও তাদের জন্য আন্তরিক দোয়া দিয়ে বিদায় দিতেন। এ ধারা পরম্পরায় ইজতেমার মাঠে এই বিশেষ দোয়া করা হয়।"

আর আজকে তিনজন মারা গেছে আপা এটা আসলে শুধু ইজতেমায় ঘটে না, যে কোন ধর্মীয় জমায়েতের শেষে এই করুন ঘটনা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। আমার অবাক লাগে যে মানুষ গুলো তিন দিন ইজতেমায় ধৈর্য্য ধরে অংশ নিল তারাই কেমন তাড়াহুড়া করে ফেরত যাবার সময় আর একজন কে পদ দলিত করে! আবারো বলি যে কোন ধর্মের বড় সম্মিলানে এটা অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে দাড়িয়েছে। সওয়াব কামানোর পর সবাই যেন অধৈর্য্য হয়ে যায় বাড়ী ফেরার জন্য।

পাঠে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
তাবলিগের দাওয়াত কার্যক্রম আছে বলেই আল্লাহর ইচ্চায় প্রতিদিন সারা বিশ্বে অমুসলিমরা মুসলিম হচ্ছে। দাওয়াত বন্ধ হলে তা বন্ধ হয়ে যাবে এবং মানুষ ধর্ম থেকে অনেকটা বিচ্ছুতি হবে।

সাধারণ মানুষের দ্বীন শিখার অন্যতম মাধ্যম।

সরাসরি তাবলীগ কার্যক্রম েএ অংশ গ্রহণ না করে শুধু শুধু সমালোচনা করা বোকামী বৈ কিছুই নয়।

+++++++

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:০৪

শের শায়রী বলেছেন: কেউ কেউ ধর্ম নিয়ে অপ্রয়োজনেও কুৎসা বলে আমি বুজি না ভাই এট কেন করে? এর দ্ধারা কি নিজেকে প্রগতিশীল প্রমান করা যায়?

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: পোস্ট ও মন্তব্যে কয়েক জায়গায় 'আত্বিক প্রশান্তি' কথাটা এসেছে।
বাংলাদেশে ধর্মীয় আচার বিশ্বাস শতধা বিভক্ত, কেউ তাবলীগ,কেউ পিরের মুরিদ, কেউ মাজার ভক্ত। বিভক্তির মাঝে আমি যে বিষয়টাকে প্রাধান্য দেই সেটা হচ্ছে 'আত্বিক প্রশান্তি'। শেষ বিচারের মালিক আল্লাহ। 'আত্বিক প্রশান্তি'র জন্য যে যেখানে যেতে চায় আমি এটাকে সমর্থন করি, যদিও ব্যাক্তিগত ভাবে আমি তাবলীগ পছন্দ মানুষ।
পোস্টটি ভাল লাগল। ধন্যবাদ জানবেন জনাব।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৯

শের শায়রী বলেছেন: শেষ বিচারের মালিক আল্লাহ। এটাই শেষ কথা প্রিয় লিটন ভাই। আত্মার শান্তির জন্যই তো ধর্ম। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.