নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাইকিং বিভীষিকা

২০ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৫



স্ক্যানন্ডেনেভিয়ার লৌহ যুগ শেষে ভাইকিং যুগের শুরু হয়। ভাইকিং শব্দটির উৎপত্তি নিয়ে নানা মত চালু আছে। কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন ভাইকিং শব্দ মানে “জলদস্যু”। আবার অনেকে মনে করেন “ভাইকেন” অঞ্চল থেকে আগত লোক জনকে ভাইকিং বলা হয়। বর্তমান নরওয়ের অসলোর অন্তর্গত কিছু অঞ্চলের নাম ছিল ভাইকেন। ভাইকেন শব্দটি প্রাচীন “নর্স” ভাষা থেকে আগত। নর্স ভাষায় ভাইকিং শব্দের অর্থ হচ্ছে ফিয়র্ডের সন্তান। ফিয়র্ড হচ্ছে- সমুদ্র উপকূলের বিশেষ ভূপ্রাকৃতিক গঠন, যার প্রকৃতি খুব ভঙ্গুর। বরফ যুগের হিমবাহের ফলে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান ভূমির অনেক অংশ বিলীন হয়ে এই ফিয়র্ডের সৃষ্টি হয়। ভূমির গঠন ভঙ্গুর হওয়ায় এই অঞ্চলের বাসিন্দারা ভূমিতে বসবাসের চেয়ে ছোট-বড় নৌকাতে বসবাস করতে পছন্দ করত।


When the Vikings spread across Europe

বর্তমানে “ভাইকিং” বলতে সাধারনতঃ ৭৫০ খ্রিঃ থেকে ১১০০ খ্রিঃ মাঝে স্ক্যানন্ডেনেভিয়ার সুইডেন, নরওয়ে এবং ডেনমার্ক অঞ্চলে বসবাস কারী জার্মান জাতি গোষ্ঠীর মানুষদের বোঝায়। বর্তমান আইসল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, হল্যান্ড এবং উত্তর জার্মানীর তৎকালীন অধিবাসীদের সাধারনভাবে নর্সম্যান বলা হত।


Varangian Guard

রাশিয়া, বাইজেনন্টাইন সাম্রাজ্যের ভাইকিংদের “ভ্যারাঞ্জিয়ান” নামেও ডাকা হত, বাইজান্টাইন সম্রাটদের ভাইকিং দেহরক্ষীদের “ভ্যারাঞ্জিয়ান রক্ষী” নামেও ডাকা হত। ভাইকিংরা জার্মান জাতিরই একটি শাখা। তারা ছিল মুলতঃ সমুদ্রচারী। সমুদ্র অভিযানে তারা যে কোন জাতি থেকেই এগিয়ে ছিল। সমুদ্রযোদ্ধা হিসাবে তাদের খ্যাতি বা কুখ্যাতি ছিল। তবে ভাইকিং জাতির অল্প কিছু সদস্য কৃষিকাজেও অভ্যস্ত ছিল। অন্যান্য জার্মান জাতির গোষ্ঠী গথ, ভ্যান্ডাল এবং স্যাক্সন দের মত তারাও ছিল ভয়ংকর আক্রমনকারী বৈশিষ্ট্য।


Thor

ভাইকিংদের জাহাজ দেখা আর আজরাইলকে দেখা–এই দুটোই ইউরোপের মানুষের কাছে ছিলো সমান বিষয়। ভাইকিংদের দেবতাদের মধ্যে ওডিন, থর, টাইর, লোকি, ম্যানি, সাগা প্রমুখ উল্লেখ্যযোগ্য। এদের মধ্যে মার্ভেল কমিক্সের কারণে থর চরিত্রটি আমাদের সবার কাছেই বেশ পরিচিত। ইংরেজিতে সপ্তাহের ৭ দিনের নামের মধ্যে ৬ দিনই ভাইকিংদের দেবদেবীদের নামের সাথে জড়িত। যেমন Tyr’s day থেকে Thursday; Odin’s day থেকে Wednesday; Frigg’s day থেকে Friday; Sun’s day থেকে Sunday; Moon’s থেকে Monday। এছাড়া Sun ও Moon শব্দ দুইটির সম্ভাব্য উৎপত্তি ভাইকিংদের ভাষা থেকে বলে অনেক ভাষাবিদ মনে করেন।


the first Viking raid: Lindisfarne Monastery, off England's east

৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে, উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ইংল্যান্ডের নর্থমার ল্যান্ডের উপকূলে লিন্ডসফার্নে এক সন্ন্যাসীদের আশ্রমে আক্রমণের মধ্য দিয়ে ভাইকিং যুগের সূচনা হয়েছিল। যাজকদের নির্মম ভাবে কুপিয়ে হত্যার পর তারা লুট করে নিয়ে যায় সেখানে রক্ষিত সমস্ত মূল্যবান সম্পদ। কোনোমতে সেই হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে পালিয়ে আসা যাজকদের মুখে সমস্ত বিবরন শুনে শোক আর আতংকে স্তব্ধ হয় ইংরেজরা। সেকালে ইংল্যান্ডের অনেক ধর্ম যাজক বিশ্বাস করতেন ভাইকিং আক্রমন হল ঈশ্বরের পক্ষ থেকে অ্যাংলো স্যাক্সনদের ওপর বর্ষিত অভিশাপ; ঈশ্বর তাদের পাপের শাস্তি দেবার জন্য ভাইকিংদের পাঠিয়েছে।

যাজকদের লেখা একটি চিঠিতে ভাইকিং আক্রমনের বর্ননা নিম্ন লিখিত ভাবে এসেছেঃ “আমরা এখন একটা বিধর্মী জাতির কাছ থেকে যেভাবে আক্রমনের স্বীকার হচ্ছি, তা ব্রিটেন ইতিপূর্ব কখনো দেখেনি।.... চিন্তা করুন সেইন্ট কুথবার্ট চার্চ তলিয়ে গিয়েছে ঈশ্বরের যাজকদের রক্তের তলায়, লুন্ঠিত হয়েছে এর সকল ঐশ্বর্য্য। অথচ এটা হল ব্রিটেন একটি সব চেয়ে শ্রদ্ধেয় স্থান যা এখন বিধর্মীদের সব থেকে সহজ শিকার।" (ইয়র্কের সেইন্ট কুইনের লেখা চিঠি)।



ইতিহাস সব সময় লিখিত হয় বিজয়ীদের দ্ধারা। ভাইকিংরা আজ নিশ্চিহ্ন কিন্তু ব্রিটেন দাড়িয়ে আছে, সে সময়ের যাজকরা ভাইকিংদের নৃশংসতা বেশি বেশি করে দেখাত। বাস্তবতা হল সে সময়ের অনেক ব্রিটিশ শাষক ভাইকিংদের থেকে কোন অংশে কম নিষ্ঠুর ছিল না। বর্তমানে ইতিহাসবেত্তারা নির্মোহভাবে দেখছেন, ভাইকিংদের হিংস্রতা এবং লুঠতরাজ মুলতঃ তাদের পূর্ব পুরুষদের ভুমিতে খ্রিষ্টান শাষকদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে এক হিংস্র প্রতিহিংসা। প্রায় তিন শত বছর ধরে খ্রিষ্টধর্মীদের এবং খ্রিষ্টান রাজাদের হাতে সংগঠিত গন হত্যার বিরুদ্ধে ভাইকিংরা আদিম পন্থায় এভাবে নিষ্ঠুর প্রতিশোধ নিত।



ভাইকিংসরা কোন বংশ বা ধর্মের মতাবলম্বী ছিলো না তারা ছিল প্যাগান। তাদেরকে ইউরোপীয়রা নিজেদের স্বজাতি হিসেবে মেনে নিতে পারেনি কারন ততদিনে ইউরোপের অনেক জায়গায়ই খ্রিষ্ট ধর্ম বিস্তার লাভ করছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তারা খৃস্টান ছিলো না ক্যাথলিক ফ্রান্সের বিরুদ্ধে বিধর্মী মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা যুদ্ধ ছিল মুলতঃ ৬৯০ সাল থেকে ৮০৪ সাল পর্যন্ত চলা ফ্রিজিয়ান স্যাক্সন যুদ্ধের সমুদ্রভিত্তিক সম্প্রসারন। ক্যাথলিক খ্রিষ্টানরা ইচ্ছা করেই বিধর্মী (খ্রিষ্টানদের ভাষায়) দের পবিত্র স্থানের ওপর তাদের চার্চ বা মনাষ্টোরী তৈরী করত। তাই ভাইকিংরা যেসব মনাষ্টোরী ধ্বংস করত তা ছিল অনেকটা প্রতিশোধ মুলক যেমন অতীতে তাদের ওপর চালিয়েছে খ্রিষ্টান রাজারা। আবার এই লুটতরাজের সাথে ভাইকিংদের অস্তিত্বের প্রশ্নও জড়িত থাকত। কারন ওই সব মনাষ্টোরী এবং চার্চে রক্ষিত সোনা বা মূল্যবান বস্তু খ্রিষ্টান ধর্মযোদ্ধাদের পেছনে ব্যয় করা হত যারা ভাইকিংদের মাতৃভুতিতে মাঝে মাঝে হানা দিয়ে নির্বিচার ধর্ষন এবং লুটতরাজ চালাত।


Viking War Ship Sailing for Invasion

ভাইকিংদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ছিল জার্মানদের ইতিহাসে অনেকটা ব্যাতিক্রম। ভাইকিংরা তাদের সময় সব থেকে উন্নত জাহাজ নির্মান করত। ম্যাপ বানানো বা লেখালিখির অভ্যাস তাদের মধ্যে তো সেভাবে ছিলোই না, এমনকি সামান্য একটা কম্পাস পর্যন্ত ছিলো না তাদের কাছে। অথচ জাহাজের গতি বা রণকৌশল দুজায়গাতেই ভাইকিংদের কাছে সমানে মার খেয়েছে সেসময়ের তথাকথিত আধুনিক ও সভ্য দেশগুলো।

ভাইকিংরা জাহাজ বানানোতে ছিলো অসম্ভব রকমের পটু। একটা জাহাজ কোন পথে যাবে বা কি পরিমাণ ভার বহন করতে হবে এসব বিবেচনা করে তারা জাহাজ নির্মাণ করতে পারতো। প্রতিটি অভিযান শেষে নিরাপদে ফেরত আসা নাবিকদের মুখে সমুদ্রযাত্রার বিবরণ শুনে সেই রুটের জাহাজের নকশা তৈরী করতো নির্মাতারা।


"Viking War Ship"

সাধারনত দুই ধরনের জাহাজ বানাতো, তার মধ্যে সবচেয়ে কুখ্যাত ছিলো ‘ল্যাংস্কিপ’ – যেটা ছিলো আদতে যুদ্ধ জাহাজ। এই জাহাজগুলোতে চেপে তারা হামলা করতো বিভিন্ন দেশে। জাহাজগুলোর সামনে ভয়ংকর এক ড্রাগনের নকশা কাটা থাকতো বলে এটি পরিচিত ছিলো ‘ড্রাগন জাহাজ’ নামে। ল্যাংস্কিপগুলো বানানো হতো সরু আর লম্বা করে। প্রায় পঞ্চাশ থেকে ষাটজন যোদ্ধা বহন করতে পারতো এই জাহাজগুলো। দুই পাশে ষোলজন করে মোট বত্রিশ জন যোদ্ধা দাড় বাইতো। দ্রুতগামী এবং সহজে বাঁক নিতে সক্ষম হওয়ার কারণে নৌপথের যুদ্ধেও ল্যাংস্কিপ ছিলো রীতিমতো অজেয়।


Viking cargo ship // knarr

‘নার’ নামে আর একটি জাহাজ ভাইকিংরা ব্যাবহার করতো মালামাল বহণ আর মানুষ পারাপারের কাজে। এটি তৈরী করা হতো বেশ চওড়া করে। ল্যাংস্কিপের চেয়ে ধীরগতির হলেও ভাইকিংদের বসতি গুলোতে অনায়াসে যাতাযাত করতো ওক কাঠের এই জাহাজগুলো।

সমুদ্র অভিযানের জন্য তারা যে ডিসট্যান্স টেবিল বানিয়েছিল তার সাথে বর্তমান উপগ্রহের মাত্র ২ থেকে ৪ শতাংশ পার্থক্য। আটলান্টিক মহাসাগরের মতো বিশাল দূরত্বের জলরাশিতে তাদের ডিসট্যান্স টেবিল অনেক নিখুত হয়েছিল। এক সময়ের বর্বর ও খুনী জাতি হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি থাকলেও বর্তমান প্রত্নতাত্বিক খননে অনেক নতুন নতুন তথ্য বেড়িয়ে আসছে মধ্যযুগে খ্রিষ্টান পাদ্রীদের বর্ননায় ভাইকিংদের যেভাবে খুনী লুটেরা হিসাবে বর্ননা দেয়া আছে তার বাইরে তাদের অনেক অর্জনও আছে


Viking sun compass

দিক চাকতি ছিলো ভাইকিংদের ‘হাতে বানানো কম্পাস’। খুবই সাধারণ একটি যন্ত্র, নকশা কাটা কাঠের চাকতির ঠিক মাঝখানে পেরেক লাগনো থাকতো। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে সেই পেরেকের ছায়া বরাবর একটা রেখা টেনে দিতো জাহাজের ‘ক্যাপ্টেন’। তারপর নাবিকদের কাজ ছিলো সোজাসুজি সেই রেখা ধরে জাহাজ চালিয়ে যাওয়া। দিক ঠিক রাখার এই কৌশল খাটিয়েই ভাইকিংরা প্রতি বছর হানা দিতো ইংল্যান্ডে। প্রতিবছর খোলা সমুদ্রে জাহাজ চালিয়ে যারা একটা দ্বীপদেশে হানা দিতে পারে, তারা চুম্বকের ব্যাবহার পর্যন্ত জানতো না, বিশ্বাস হয়!


Celestial Reflections: Viking Sunstone Discovered?

ভাইকিংদের লোকগাঁথা গুলোতে বার বার এক জাদুকরী পাথরের কথা বলা হয়েছে। সমুদ্র পথে চলার সময় এই পাথর সবসময় সাথে রাখতো তারা। এর বিশেষত্ব্য হলো, মেঘলা দিনে যখন আকাশে সূর্য থাকতো না , তখন এই পাথরটি আকাশের দিকে ধরলে তার ভেতরে সূর্যের দেখা পাওয়া যেত। নর্ডিকদের মতে, দেবরাজ ওডিন নাকি সূর্য থেকে একটি টুকরো ভেঙ্গে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন যেনো মেঘাচ্ছন্ন দিনে ভাইকিং জাহাজগুলো পথ হারিয়ে না ফেলে। আধুনিক গবেষকদের মতে, সূর্যপাথর বলতে তারা আসলে ‘আইসল্যান্ডিক স্পার’ নামের এক ধরনের স্ফটিককে বোঝাতো। সূর্যের হালকা রশ্নি যখন এর ভেতর দিয়ে যায় তখন তা বিভাজিত হয়, ফলে সেই পাথরের ভেতর তাকালে মেঘলা আকাশেও সূর্যের অবস্থান বুঝতে পারা সম্ভব। তবে এই পাথরের খোঁজ ভাইকিংরা কিভাবে পেয়েছিলো সে এক রহস্য বটে!


Viking Runes Guide | Runic Alphabet Meanings | Norse / Nordic Letters

অন্যান্য জার্মান জাতির মত ভাইকিংদের এক মাত্র পুরাতাত্বিক দলিল হল রুনীয় অক্ষরে লেখা কিছু শিলালিপি। প্রাচীন টিউটনিক বর্নমালার অক্ষরকে রুন অক্ষর বলা হয়, জার্মানদের নিজ হাতে লিখিত এক মাত্র দলিল হল এ অক্ষরে রচিত এক মাত্র পুরাতাত্বিক শিলালিপিগুলো। সুইডেনে প্রায় ৩৫০০ টি রুনীয় শিলালিপি পাওয়া গেছে। এছাড়া কিছু বড় আকারের ভাইকিং জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে ভাইকিংদের সন্মন্ধ্যে অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সুইডেনের রাজধানী ষ্টকহোমের কাছে বিরকা নামক স্থানে ৩০০০ ভাইকিং কবর আবিস্কৃত হয়েছে।


The Bloodiest Viking Ritual That Will Scare People Off

ভাইকিংদের অন্তুষ্টিক্রিয়ার একটি রীতি ছিল মৃতের হাত ও পায়ের নখ কেটে রেখে দেয়া কারন তারা বিশ্বাস করত, মৃতের নখ দিয়ে তৈরী “নাগফার” নামক একটি জাহাজ দানবদের যুদ্ধে নিয়ে যেত। যত বেশী নখ পাবে তত বড় জাহাজ হবে, আর যত বড় জাহাজ হবে তাতে তত বেশী দানব উঠবে, এই কারনে জাহাজ যেন বড় না হয় তাই মৃতের হাত এবং পায়ের নখ কেটে দেয়া ভাইকিং অন্তুষ্টিক্রিয়ার একটি অন্যতম বিষয় ছিল।


Vikings are coming home.

স্ক্যানন্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রগুলোতে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রসার লাভের সাথে সাথে ভাইকিং যুগের অবসান ঘটে। তবে গবেষকদের মতে শুধু খ্রিষ্ট ধর্ম না ভাইকিংরা মুল ইউরোপের নাগরিক হয়ে আস্তে আস্তে থিতু হয়ে বসে, এছাড়াও কয়েক শতাব্দীব্যাপী সাগর ভিত্তিক লুন্ঠনও অনেক স্তিমিত হয়ে আসছিলো প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোতে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে ওঠায়। এক পর্যায়ে নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন রাজ্য গঠিত হলে সেখানকার রাজারা শান্তিপূর্ন পরিবেশ কামনা করায় ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় সাগরের বিভীষিকা ভাইকিংরা।

কৃতজ্ঞতাঃ Viking Funerals Buriels and the Afterlife , How Did The Vikings Honor Their Dead? , Viking seafarers may have navigated with legendary crystals , Types of Viking Ships , Viking Runes Guide , Frisian Vikings: masters of amphibious warfare. , Viking Raids in Britain , A brief history of the Vikings, Æthelstan , What Was the Significance of the Viking Attack on Lindisfarne? , Varangians , How could the Viking Sun compass be used with sunstones before and after sunset ,ভাইকিংদের কথা, সূর্যপাথর ও ড্রাগন জাহাজ , মার্ভেল কমিক্সের থর ও ভাইকিংদের উত্থানের গল্প , বৈচিত্র্যময় কিছু জনগোষ্ঠীর কথাঃ ভাইকিংস , Viking , ভাইকিংদের নিয়ে কিছু অবাক করা তথ্য সহ আরো অনেক অন্তর্জাল সাইট

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: এত রাতে আর পড়বো না। কালকে ভালো করে পড়ে তবেই মন্তব্য করবো।
শুভ রাত্রী।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১০

শের শায়রী বলেছেন: শুভ রাত্রি। আমি আবার নিশাচর গোত্রের প্রানী। অপেক্ষায় রইলাম ভাই কেমন লাগল জানাবেন।

২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫২

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: ভাইকিংদের নিয়ে খুব অল্প-স্বল্প জানতে পেরেছিলাম যখন আইসল্যান্ডে 'ভাইকিং ভিলেজ' ঘুরতে গিয়েছিলাম। আরো জানতে পেরে ভালো লাগলো।
আপনি বলেছেন -
''ভাইকিংসরা কোন বংশ বা ধর্মের মতাবলম্বী ছিলো না তারা ছিল প্যাগান।''
প্যাগান কি কোনো ধর্ম নয় ? কিছু মনে করবেননা প্লিজ। শুধুমাত্র জানতে চাওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করলাম।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: এতে মনে করার কিছু নেই বোন। এখানে অল্প কথায় প্যাগান শব্দটির বর্ননা দেবার চেষ্টা করব Pagan শব্দটি এসেছে ল্যাটিন Paganus শব্দটি থেকে যার মানে Villagers বা Rural। মানে গ্রাম্যদের ধর্ম খ্রিষ্টবাদ আসার আগে প্রাচীন গ্রীস এবং রোমের মানুষদের এক বিশাল অংশ ছিল প্যাগান ধর্মের উপাসক। আসলে ধর্ম বলতে আমাদের যে ধারনা মাথার ভেতর আছে প্যাগান ধর্ম তা থেকে ভিন্ন তারা আসলে ছিল প্রকৃতির উপাসক, এবং পরিস্থিতির সাথে সাথে স্থান ভেদে এই প্রকৃতির উপাসনা ভিন্ন হত। তারা পৃথিবীর ব্যাসিক চারটি উপাদানে বিশ্বাস করত এয়ার, আর্থ, ফায়ার, ওয়াটার। খ্রিষ্টান ধর্ম আসার সাথে সাথে প্যাগান ধর্মের বিলুপ্তি ঘটে। বর্তমান বিভিন্ন ধর্মে এখনো প্যাগান ধর্মের বিভিন্ন সিম্বল ব্যাবহার হয় নিজ ধর্মের নামে।

আশা রাখি প্যাগান কথাটির মানে বুজতে পারছেন।

পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাইকিংদের ইতিহাস সুন্দরভাবে সচিত্র উঠে এসেছে লেখাটিতে।
অসাধারন তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্ট সাথে দুর্লভ চিত্র।
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল ।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় আলী ভাই, অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:১৩

ইসিয়াক বলেছেন: প্রিয় ভাইয়া ,
আপনার বিষয় নির্বাচন সত্যি অনন্য । এই মুহুর্তে আপনার সাথে করমর্দন করতে খুব ইচ্ছা করছে।
পোষ্টটি পড়ে খুব তৃপ্তি পেলাম ।
শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

শের শায়রী বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে হয় একদিন বুকে বুক মিলাবো প্রিয় কবি।

শুভ কামনা নিরন্তর।।

৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: স্বল্প জানা ভাইকিংদের একমূখি উপস্থাপনার বদলে বহুমূখি সত্যানন্বেষী উপস্থাপনা ভাবনাকে বদলে দিল বটে।

দু:সাহসী, অকুতোভয় এক জাতির সমৃদ্ধ ইতিহাস পাঠে ভাললাগা।

+++

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

শের শায়রী বলেছেন: আসলে আমরা প্রায়ই এক তরফা ইতিহাস পাই, প্রায় ক্ষেত্রেই, নিরপেক্ষ লেখার ইতিহাস খুবই অভাব কারন ইতিহাস লিখিত হয় বিজয়ীদের দ্ধারা।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।।

৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০৯

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ভাইকিংদের নিয়ে সামান্যই জানতাম। তারা জলদস্যু, ওডিন তাদের দেবতা, এই জাতীয় কিছু। আজ অনেক কিছু জানলাম। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ওঠে এসেছে পোষ্টে। বিশেষ করে সপ্তাহের নামের উৎপত্তি।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানুন প্রিয় ভাই। আপনার লাষ্ট পোষ্ট মানুষ সৃষ্টির গল্প আমাকে মুগ্ধ করেছে।

৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেন। পড়তে একটুও বিরক্ত লাগে না।
এটাই আপনার বড় গুন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৯

শের শায়রী বলেছেন: এ আপনাদের ভালোবাসা ভাই। যার জন্য আমি সব সময়ই কৃতজ্ঞ।

৮| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:২৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ভাইকিংদের ইতিহাস নিয়ে এমন ভাবে লিখেছেন মনে হলো সিনেমা দেখে ফেললাম। দুর্দান্ত লেখা , মূল্যবান তথ্য আর বর্ণনা।
আমি আপনার নিচের প্যারার সাথে খানিকটা উপকথা যুক্ত করেদিলাম। লোভ সামলাতে পারলাম না।

ভাইকিংদের অন্তুষ্টিক্রিয়ার একটি রীতি ছিল মৃতের হাত ও পায়ের নখ কেটে রেখে দেয়া কারন তারা বিশ্বাস করত, মৃতের নখ দিয়ে তৈরী “নাগফার” নামক একটি জাহাজ দানবদের যুদ্ধে নিয়ে যেত।
--------------------------------------------------------------

ভাইকিং উপকথা বলে -- মানব ইতিহাসে যেদিন থেকে মৃত্যুর শুরু , ঠিক সেইদিন থেকেই মৃত ব্যক্তিরা পৃথিবীর শেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে আছে। তারা সেইদিন জেগে উঠবে। তবে সবাই নয়, যারা খারাপ তারা , যারা নরকে ঠাই পেয়েছে তারাই। সেই দিন তারা বিশাল এক নৌকা নিয়ে মানবজাতির অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে অগ্রসর হবে। তবে সেটিও কোনো সাধারণ নৌকা হবে না, সেটি মৃত ব্যক্তির নখ দিয়ে বানানো! হ্রাইম্র নামক এক দানব নৌকাটিকে দেবতাদের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রের পথে চালিয়ে নেবে, হাল ধরে থাকবে স্বয়ং ধূর্ত দেবতা লোকি।

ভাইকিংরা বিশ্বাস করতো, লোকির সেই নৌকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় নখ আসবে মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। এমন বিশ্বাসের কারণে কেউ মারা গেলে তার ভাই/সহকর্মীরা তার হাত-পায়ের নখগুলো কেটে দিতো। তারপর অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে কখনো আবার পুরো নখটিই তুলে ফেলা হতো। এদিকে ভাইকিংরা ছিলো খুবই সতর্ক। তারা মনে করতো নৌকা বানানোর জন্য যথেষ্ট নখ পেয়ে যাওয়া মানেই হলো পৃথিবীর শেষ ঘনিয়ে আসা।

পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহ সেই ক্রান্তিকালের তারা নাম দিয়েছিলো ‘র‍্যাগনারক’।
ভাইকিংদের ইতিহাস নিয়ে এমন ভাবে লিখেছেন মনে হলো সিনেমা দেখে ফেললাম। দুর্দান্ত লেখা , মূল্যবান তথ্য আর বর্ণনা।
আমি আপনার নিচের প্যারার সাথে খানিকটা উপকথা যুক্ত করেদিলাম। লোভ সামলাতে পারলাম না।

ভাইকিংদের অন্তুষ্টিক্রিয়ার একটি রীতি ছিল মৃতের হাত ও পায়ের নখ কেটে রেখে দেয়া কারন তারা বিশ্বাস করত, মৃতের নখ দিয়ে তৈরী “নাগফার” নামক একটি জাহাজ দানবদের যুদ্ধে নিয়ে যেত।
--------------------------------------------------------------

ভাইকিং উপকথা বলে -- মানব ইতিহাসে যেদিন থেকে মৃত্যুর শুরু , ঠিক সেইদিন থেকেই মৃত ব্যক্তিরা পৃথিবীর শেষ দিনটির জন্য অপেক্ষা করে আছে। তারা সেইদিন জেগে উঠবে। তবে সবাই নয়, যারা খারাপ তারা , যারা নরকে ঠাই পেয়েছে তারাই। সেই দিন তারা বিশাল এক নৌকা নিয়ে মানবজাতির অবশিষ্টাংশের বিরুদ্ধে অগ্রসর হবে। তবে সেটিও কোনো সাধারণ নৌকা হবে না, সেটি মৃত ব্যক্তির নখ দিয়ে বানানো! হ্রাইম্র নামক এক দানব নৌকাটিকে দেবতাদের সাথে যুদ্ধক্ষেত্রের পথে চালিয়ে নেবে, হাল ধরে থাকবে স্বয়ং ধূর্ত দেবতা লোকি।

ভাইকিংরা বিশ্বাস করতো, লোকির সেই নৌকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় নখ আসবে মৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে। এমন বিশ্বাসের কারণে কেউ মারা গেলে তার ভাই/সহকর্মীরা তার হাত-পায়ের নখগুলো কেটে দিতো। তারপর অতিরিক্ত সতর্কতার অংশ হিসেবে কখনো আবার পুরো নখটিই তুলে ফেলা হতো। এদিকে ভাইকিংরা ছিলো খুবই সতর্ক। তারা মনে করতো নৌকা বানানোর জন্য যথেষ্ট নখ পেয়ে যাওয়া মানেই হলো পৃথিবীর শেষ ঘনিয়ে আসা।

পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহ সেই ক্রান্তিকালের তারা নাম দিয়েছিলো ‘র‍্যাগনারক’।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

শের শায়রী বলেছেন: আহ এই ধরনের মন্তব্য পোষ্টকে পূর্নতা দেয়। পুরা মীথটা এমনভাবে উঠিয়ে এনেছেন যে, মনে হল চোখের সামনে কোন হলিউডি মুভি দেখছি। Ragnarok নিয়ে লেখাটা আর একবার চোখ বুলিয়ে আসলাম। অসাধারন লিখছেন। আপনি যে একজন শক্তিমান লেখক তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নাই।

আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানুন এমন মন্তব্যে।।

৯| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ----শ্রদ্বেয় ইমন জুবায়ের ভাই এর ব্লগ গুলো এখনো মাঝে মাঝে পড়ি- ইতিহাসের স্বাদ রোমন্থন করার জন্য।

আর আপনার লেখায় তার স্বাদ খুঁজে পাই!

বিশেষ ধন্যবাদ- সুন্দর গুছানো লেখার জন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: আমি সব সময়ই স্বীকার করে আসছি, ইমন ভাইকে অক্ষম অনুকরন করার চেষ্টা করি। উনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি কিনা একক প্রচেষ্টায় ব্লগ কে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিল।

আমার লেখায় যদি উনার লেখার স্বাধ খুজে পান তবে সে আমার অনেক পাওয়া।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানুন।।

১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

ভাইকিংদের শিংযুক্ত হেলমেট :
আপনার পোস্টের প্রথম ছবিতে শিংযুক্ত হেলমেট পরিহিত একজন ভাইকিংকে দেখা যাচ্ছে। ভাইকিংদের কথা মনে আসলেই প্রথমে তাদের যে ছবি আমাদের চোখে ভেসে ওঠে, সেটা হচ্ছে মাথায় একটি হেলমেট এবং তার সাথে দু'পাশে থাকে দুটি শিং।
কিন্তু ইতিহাস বলে , ভাইকিংরা আসলে কোনোদিনই এমন শিংযুক্ত হেলমেট ব্যবহার করেনি। তারা হেলমেট ব্যবহার করতো ঠিকই, তবে সেগুলো ছিল আর আট-দশটা হেলমেটের মতোই সাধারণ, যার উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র পরিধানকারীর মাথার সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
১৮৭০ এর দশকে কস্টিউম ডিজাইনার কার্ল এমিল ডোপলার ভাইকিং চরিত্রগুলো কে দর্শকদের মনে ভীতিকর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য যেসব হেলমেটে শিং জুড়ে দিতেন। তাই বাস্তবে ভাইকিংদের হেলমেটে শিং না থাকলেও কস্টিউম ডিজাইনার আর কার্টুনিস্টদের কল্যাণে হেলমেটে কিন্তু শিং পেয়েই গেছে ভাইকিংরা।
ভাইকিংদের শিংযুক্ত হেলমেট

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২০

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় সৌরভ ভাই, আপনার দুটো কমেন্টই পোষ্টের সাথে সাযুজ্যপূর্ন এবং পোষ্টের পূর্নতা প্রাপ্তিতে সহায়তা করছে। তবে ভাইকিং বলতেই চোখের সামনে শিং অলা শিরোনাস্ত্র ভেসে ওঠে :)

১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৮

ফয়সাল রকি বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। এত বিস্তারিত জানা ছিলনা ওদের সম্পর্কে। আমি তো শুধুই জলদস্যু ভাবতাম! +++

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৮

শের শায়রী বলেছেন: অবশ্য ই তারা জল দস্যু ছিল ভাই এবং নির্মম ও ছিল। কিন্তু সেই নির্মমতার কারন কেউ দেখতে যায় না সহসা।

১২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:২২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গতকাল আপনার পোষ্টে এখনও পোন্দে মন্তব্য করতে পারিনি। এর মধ্যে আরও একটি তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট দিলেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী পোস্ট। ভাইকিং সম্পর্কে আগে ভাসা ভাসা ধারণা ছিল।আজ বিষয়টি পরিস্কার হলো। তাদের ব্যতিক্রমী সমুদ্রযাত্রা, যুদ্ধজাহাজ, তাদের মালবাহী জাহাজ, সমুদ্র অভিযানের ডিসটেন্স টেবিল, হাতে বানানো সান কম্পাস, ঐযুগে রহস্যময় এবং অকল্পনীয়ও বটে জাদুকরী পাথর বা সূর্য পাথরের গল্প পড়ে ঋদ্ধ হলাম। কোন ধন্যবাদ-ই এই এমন পরিশ্রমী পোষ্টের জন্য যথেষ্ট নয়। ++++

শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, এই ধরনের মন্তব্য পেলে কোন পরিশ্রম ই আর পরিশ্রম মনে হয় না।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

১৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

ঘুটুরি বলেছেন: একটি “পাকা আমের স্বাদ” সমতূল্য পোষ্ট। খুব তৃপ্তি পেয়েছি লেখাটা পড়ে। জানেন খুব জানতে ইচ্ছে করে কিভাবে এত দারুন করে লেখেন।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২

শের শায়রী বলেছেন: ঘুটুরি ভাই, আপনার পোষ্টে একটা মন্তব্য দিয়ে আসছি। আসলে এমন সবাই লিখতে পারে হয়ত সময় করে ওঠা হয় না এই যা, আমার হাতে অঢেল সময় এই মুহুর্তে যার কারনে লিখতে পারছি।

পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাইকিংদের সম্পর্কে এতদিন যাবত বিজয়ীদের কথার উল্টাদিকের বিবরন এত চমতকারভাবে সচিত্র তুলে ধরার কাহিনীগুলি আবারো এসে পাঠ করলাম । পান্ডিত্যময় বিশ্লেষনে আমি বিমোহিত ।

মন্তব্যের ঘরে স্বপ্ন সৌরভের ভাইকিং উপকথা আখ্যানটি এই পোষ্টকে একটি চমতকার মাত্রা দিয়েছে। তাঁর মন্তব্যের প্রতিউত্তরে আপনার দেয়া Ragnarok লিংকটিতে গিয়ে অনেকটা সময় বিচরণ করেছি । সেখানে লেখাটিতেথাকা অসংখ্য লিংকে অনেক সুন্দর সুন্দর কাহিনী রয়েছে দেখতে পেলাম ।

আপনারা দুজনেই অতি শক্তিমান লেখক । তাই দুজনের প্রতিই একটি অনুরোধ থাকল Ragnarok সহ নর্স গাথাগুলিতে থাকা কাহিনীগুলিকে যদি আপনাদের শক্তিমান লেখার মুন্সিয়ানায় আমাদের সাধারন পাঠকদের কাছে তুলে ধরেন তাহলে মনে হয় ব্লগের অনুবাদ সাহিত্য পাতাটি অনেক সমৃদ্ধ হতো ।

অনেক শুভেচ্ছা রইল

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৬

শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আলী ভাই, নর্স মিথোলজী নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে, আপনার মন্তব্য সেটাকে আরো উস্কে দিল। হ্যা সৌরভের মন্তব্য পোষ্টে পূর্নতা দিল, আমার বিশ্বাস সৌরভ ভাই যদি লেখে অনেক ভালো করবে, ব্লগ সমৃদ্ধ হবে।

আপনার মন্তব্য সব সময়ই আমাকে অনুপ্রানিত করে প্রিয় ভাই। সালাম জানবেন।

১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ডঃ এম এ আলী স্যার এবং প্রিয় ব্লগার শের শায়রী ভাই,
প্রথমেই বলে রাখি মন্তব্য দুটিতে আমার তেমন কোন মুন্সিয়ানা নেই। এই বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিল এবং সেই হিসেবে পোস্ট টা দেখে একটু ঘাঁটাঘাটি করেছিলাম। কয়েক জায়গা থেকে টুকে এনে নিজের মত সংযোজন করেছি মাত্র ।

আপনাদের মন্তব্যতে প্রচন্ড অনুপ্রাণিত হলাম । আশাকরি কাজে দেবে। শ্রদ্ধা রইল ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: অসাধারন এক পোষ্ট তো অল রেডি দিয়ে দিলেন, এখন দয়া করে কন্টিনিউ করেন প্লীজ নাবাতিয়ান লাল পাথর অভিনন্দন সৌরভ ভাই।।

১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:০৯

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
সম্ভাবত বাংলা সাহিত্যে ফ্রান্সিসের অভিযান পড়েই ছোটবেলা
ভাইকিং সম্পর্কে জেনেছিলাম। পরবর্তিতে তো গাদা গাদা মুভিতে
ভাইকিংদের কাহিনী তন্ময় হয়ে দেখেছি। সম্ভাবত গতমাসেই
নেটফ্লিক্সে Viking Destiny দেখলাম। ইউ কে’র মুভি। বেশি ভালো
না লাগলেও ভাইকিং নামের জন্যই দেখা!

আপনার পোষ্টটি দু’বার পড়েছি।
অসাধারণ—
ধারাবাহিক তুলনাহীন পোষ্ট দেওয়া মনে হয় শুধু আপনার দ্বারা সম্ভব!
শুভকামনা রইল ভাই—

২২ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

শের শায়রী বলেছেন: ভারতীয় কোন পুজা সংখ্যা পত্রিকায় যেন ফ্রান্সিসের অভিযান নিয়ে কোন লেখক যেন সিরিয়াল লিখত ভুলে গেছি আমিও তার দু একটা পড়ছি। মজার ব্যাপার কি জানেন ভাই আজ পর্যন্ত কোন ভাইকিং মুভি দেখিনি। দু একটা ভাইকিং মুভির সাজেষ্ট দিয়েন ভাই দেখব।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২২

অনল চৌধুরী বলেছেন: তারা কলম্বাসেরও অনেক আগে এ্যামেরিকায় যায় লুটপাট করতে।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১২

শের শায়রী বলেছেন: এ্যাকজাক্টলি ভাই, আসলে ভাইকিংরাই আমেরিকার আবিস্কারক।

১৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:২৫

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

র‍্যাগনারক নিয়ে কি লেখা শুরু করেছেন ?

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: না আপনি কাইন্ডলি লেখেন। আমি অন্যদিকে ব্যাস্ত।

১৯| ০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: অবশেষে লেখাটা পড়ে শেষ করলাম।
লেখা ভালো লেগেছে। এই পৃথিবীতে জানা কোন শেষ নেই।

০২ রা মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: থ্যাঙ্কস ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.