নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীরা কি নবী হতে পারেন?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৯

নিজেকে ধার্মিক দাবী করার মত যোগ্যতা আমার নেই, তবে এব্যাপারে আমার কোন দ্বিধা নেই আমি একজন বিশ্বাসী। বিশ্বাসী বলতে আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালায় বিশ্বাসী। সারা জীবন অনেক বইই পড়ছি, কিন্তু ইদানিং এসে খেয়াল হল ধর্ম বিষয়ে বিশেষ করে নিজের ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান প্রায় শুন্যের কোঠায়। তাই কিছু বই পত্র কিনে এনেছি, পড়ার জন্য। এই পোষ্ট কোন আস্তিক নাস্তিক তর্ক না, এটা সুস্পষ্ট একটা প্রশ্ন রাখছি, যদি কারো কোন যুক্তি থাকে দয়া করে সে মন্তব্য করুন। কেউ যদি ব্যাক্তিগতভাবে অবিশ্বাসী, নাস্তিক বা সংশয়বাদী হয় তাকে নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই, তেমনি আমিও আশা রাখব আমার বিশ্বাসী হওয়া নিয়ে কারো কোন সমস্যা যেন না হয়, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধটাই মুল। ধর্মীয় অনুভুতি যার যার ব্যাক্তিগত।

যাই হোক আসি মুল ব্যাপারে। ইসলামে নারীদের অনেক সন্মান দিয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমি সামান্য যেটুকু পড়াশুনা করছি তাতে দেখলাম, কিন্তু এক জায়গায় এসে বার বার আটকে যাচ্ছি, সেটা হল সুস্পষ্টভাবে কোন নারীকে ইসলামে নবী হিসাবে ঘোষনা দেয়া হয় নি, অথবা হলেও আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে তা জানি না, এনিয়ে সামান্য পড়াশুনা শুরু করলাম, এক্ষেত্রে যাকে নিয়ে সব থেকে বেশী বিতর্ক তিনি হলেন মরিয়াম (অঃ) কে নিয়ে যিনি কিনা ঈশা (অঃ) এর মা। মরিয়াম (অঃ) কি নবী ছিলেন?

মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক, আবুল হাসান আশআরী, কুরতুবী, আল্লামা ইবনে হাযমের মতামত হচ্ছে নারীরা নবী হতে পারে, এক ধাপ এগিয়ে ইবনে হাযম তো এই দাবী করে বসেন যে হযরত হাওয়া, সারা, হাজেরা উম্মে মুসা (আঃ), আসিয়া এবং মরিয়াম এরা নবী ছিলেন।

অপরপক্ষে হাসান বসরী, ইমামুল হারমাইন শায়েখ আবদুল আযীয এবং কাযী আইয়াসের মতামত হচ্ছে নারীরা নবী হতে পারে না, অতএব মরিয়াম (আঃ) নবী না। যে সব আলেমের মতে নারীরা নবী হতে পারে না তারা নিজেদের মতামতের সমর্থনে পবিত্র কোরান শরীফের নিম্ন লিখিত আয়াত উপস্থাপন করেনঃ “আপনার পূর্বে আমি যতজনকে রসূল করে পাঠিয়েছি, তারা সবাই পুরুষই ছিল জনপদবাসীদের মধ্য থেকে। আমি তাঁদের কাছে ওহী প্রেরণ করতাম।” (সুরা ইউসুফ, আয়াত ১০৯)

তারা বিশেষভাবে হযরত মরিয়ম (আঃ) যে নবী ছিলেন না, এ সম্পর্কে নিম্নোক্ত প্রমান উল্লেখ্য করেন, “মরিয়ম-তনয় মসীহ রসূল ছাড়া আর কিছু নন। তাঁর পূর্বে অনেক রসূল অতিক্রান্ত হয়েছেন আর তার জননী একজন ওলী (সত্যবাদী মহিলা)” (সুরা মায়িদা, আয়াত ৭৫)

সুরা নিসায় কুরান মজিদ অনুগ্রহ প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের যে তালিকা দিয়েছেন তা এ ব্যাপারে চুড়ান্ত প্রমান। অর্থ্যাৎ সত্যবাদীদের মর্তবা নবুয়তের মর্তবার তুলনায় কম, “আর যে কেউ আল্লাহর হুকুম এবং তাঁর রসূলের হুকুম মান্য করবে, তাহলে যাঁদের প্রতি আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, সে তাঁদের সঙ্গী হবে। তাঁরা হলেন নবী, ছিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীল ব্যক্তিবর্গ। আর তাদের সান্নিধ্যই হল উত্তম। (সুরা নিসা, আয়াত ৬৯)

আবার যে সব বিশেষজ্ঞ আলেম মহিলাদের নবী হওয়ার প্রবক্তা তারা বলেন, কুরান মযীদ হযরত সারা, উম্মে মুসা, এবং মরিয়ম (আঃ) সম্পর্কে যে সব যে সব ঘটনার বর্ননা করেছে তাতে সুস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে আল্লাহর মালায়েকাগন ওহী সহ নাযিল হয়েছে। আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের সুস্পষ্ট সু খবর প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা তাদের কাছে নিজের পরিচয় এবং ইবাদতের হুকুম পৌছে দিয়েছেন। অতেব হযরত সারার ক্ষেত্রে সুরা হুদ এবং সুরা যারিয়াত, উম্মে মুসার ক্ষেত্রে সুরা সুরা কাসাস এবং মারিয়ামের ক্ষেত্রে সুরা আল ইমরান ও সুরা মরিয়ামে কখনো কখনো মালায়েকাদের মাধ্যমে কখনো কখনো সরাসরি আল্লাহ তাদের সম্বোধন করেছেন, আর এসব স্থানে ওহী শব্দটি যে আভিধানিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়নি তা পরিস্কার। যেমনঃ মৌমাছির ক্ষেত্রে বলা হয়েছে “তোমাদের রব মৌমাছিদের ইংগিত করছেন” (সুরা নাহল, আয়াত ৬৮) এখানে ওহী শব্দটি আভিধানিক অর্থে ব্যাবহৃত হয়েছে।

বিশেষ করে সুরা মারিয়ামে হযরত মারিয়াম (আঃ) সম্পর্কে যেভাবে বর্ননা দেয়া হয়েছে তাতে সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে তিনি নবী ছিলেন, কেননা নবী রাসুল দের সম্পর্কে কোরান মজীদে যেভাবে আলোচনা হয়েছে এখানে একইভাবে হযরত মারিয়াম কে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেমনঃ

এই কিতাবে ইদ্রীসের কথা আলোচনা করুন, তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী। (সুরা মরিয়াম, আয়াত, ৫৬)

এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা বর্ণনা করুন, তিনি প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং তিনি ছিলেন রসূল, নবী। ((সুরা মরিয়াম, আয়াত, ৫৪)

এই কিতাবে মূসার কথা বর্ণনা করুন, তিনি ছিলেন মনোনীত এবং তিনি ছিলেন রাসূল, নবী। (সুরা মরিয়াম, আয়াত, ৫১)

আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন। নিশ্চয় তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী। (সুরা মরিয়াম, আয়াত, ৪১)

এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।(সুরা মরিয়াম, আয়াত, ১৬)

অতঃপর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আত্নপ্রকাশ করল। (সুরা মরিয়াম, আয়াত, ১৭)

সে বললঃ আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, (সুরা মরিয়াম, আয়াত, ১৯)

মরিয়াম (আঃ) কে কোরান মযিদে যারা “সত্যবাদী” হিসাবে বর্ননা করায় নবী হিসাবে অন্তরায় হিসাবে দেখেন তাদের উত্তর দিতে গিয়ে যারা তার নবী হবার স্বপক্ষে তারা বলেন, যদিও কুরান মযীদে মরিয়ামকে সিদ্দীকা হিসাবে বর্ননা করা হয়েছে তবে তা নবী হওয়ার পক্ষে কোন অন্তরায় না, যেমন হযরত ইউসুফ (আঃ) সর্ব সমর্থিতভাবে একজন নবী তা সত্ত্বেও তাকে বলা হয়েছে তাকেও সত্যবাদী হিসাবে কোরানে বর্ননা করা হয়েছে। যদি “সত্যবাদী” সম্বোধন ইউসুফ (আঃ) এর নবী হবার পক্ষে অন্তরায় না হয় তবে মরিয়াম (আঃ) এর পক্ষেও তা অন্তরায় না। আর যিনি নবী তিনি নিশ্চয়ই সিদ্দীক বা সিদ্দীকা, এর বিপরীত হবার কোন কারন নেই।

মুসলিম উম্মাহর যে সব বিশেষজ্ঞ আলিম নারীদের নবী হবার পক্ষে মত দিয়েছেন তার মাঝে বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা ইবনে হাসম (রহঃ) তার “কিতাবুল ফাসল” এ সম্পর্কে সুবিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এখন আমি কিতাবুল ফাসল এর বাংলায় অনুবাদ বা এটা কি বাংলা কিনা জানতে চাচ্ছি, এবং পেলেই কিনে পড়ব।

ধর্ম আমার কাছে বিশ্বাস। সেই বিশ্বাসের মাঝেও আলোচনা হতে পারে, যদি সে ধর্ম নিয়ে সম্যক জ্ঞান রাখে, আমি নিজে প্রায় কিছুই জানি না তাই এ নিয়ে আলোচনার সাহস ও রাখি না। তবে পড়া শুরু করছি। কারো ব্যাক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত দেয়া আমার কাছে চুড়ান্ত অনুচিত। আমার কাছে ধর্ম একটা সুশৃঙ্খল জীবনের চাবি কাঠি। কোন ধর্মই কাউকে খারাপ হতে শেখায় না, যারা এটা ব্যাবসা করতে চায় তারাই ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষের মন বিষিয়ে দেয়। তাদের থেকে শত হাত দূরে থাকা উত্তম বলেই বিবেচনা করি।

যাই হোক যে আলোচনার জন্য এই পোষ্ট দিয়েছি, কারো কোন যুক্তি বা বিশ্লেষান থাকলে দিলে বাধিত থাকব। ফাতাহুল বারীর, ষষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৮ তে এ নিয়ে কিছু আলোচনা আছে তবে পোষ্ট বড় হয়ে যাবে বিধায় টানলাম না। দয়া করে কেউ কিছু জানলে জানাবেন।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সূরা বাকারা পড়লেই বুঝবেন ইসলাম কতটুকু নারীকে সম্মান দিয়েছে।
এই পোষ্ট নিয়ে অনেক মন্তব্য আমার মাথায় এসেছে। কিন্তু আমি কোনো মন্তব্য করবো না। মন্তব্য করলেই কারো কারো ভালো লাগবে না।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৬

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই, আমিও কিছু উদাহরন দিতে পারতাম নারীর সন্মান বিষয়ে ইসলাম, কিন্তু সেদিকে না যাই কারন পোষ্টের প্রসঙ্গ ভিন্ন। "নারীরা কি নবী হতে পারে?"

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৭

ময়ূরী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। কিন্তু আমি আরো জানতে চাচ্ছি, আসলে পারে কি পারে না।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫০

মেটালক্সাইড বলেছেন: আদম আঃ কে সৃষ্টির বাসনায় আল্লাহ্‌ সুবহানুতায়ালা যখন মালাইকাদের জানালেন, ঠিক তখন আপনার বিষয়ের মর্মাথের মত প্রশ্ন তারাও করেছিল। সূরা কাহাফে আল্লাহ্‌ আজ্জাওজ্জাল মানুষকে প্রাগ অতীতের বিষয়ে অতিরিক্ত কথা, বিতর্ক করতে নিষেধ করেছেন, কারণ সমস্ত কিছুর জ্ঞান সম্পর্কে তিনি ছাড়া অন্য কেউ অবগত নয়। এজন্য তাফসীর ভালভাবে অনুধাবন করতে হয়। ইসলামী জ্ঞানী আলেমরা এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর নিমিষেই দিতে সক্ষম। কারণ কোরানের তাফসীর রাসূলের যুগে শুরু হয়েছিল। আর যেখানে কোন অপূর্ণতা রাখা হয়নি। সমসামইয়িক ঘটনাপ্রবাহের বিষয়কে ইসলামের নামে চালিয়ে দিতে নিজেকে বা অন্যকে আল্লাহ্‌র কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, কারণ আপনি নিজেকে বিশ্বাসী বলে স্বীকার করেছেন এবং তার পরীক্ষা আল্লাহ্‌ আপনার কাছে থেকে যাচাই করছেন যেটা আপনি নিজেও বুজতে পারছে না। অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হলে আল্লাহ্‌র খুশির জন্য হলেও ক্ষমা করে দেবেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: আপনি সম্ভবতঃ না পড়ে না বুজে একটা মন্তব্য দিয়েছেন, যা আমার কাম্য না, আপনার মন্তব্যেই বলছেন "ইসলামী জ্ঞানী আলেমরা এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর নিমিষেই দিতে সক্ষম। কারণ কোরানের তাফসীর রাসূলের যুগে শুরু হয়েছিল। আর যেখানে কোন অপূর্ণতা রাখা হয়নি। আমিও সে রকম কাউকে খুজছি যিনি এর উত্তর দিতে সক্ষম, এই ব্লগেই কেউ কেউ সে ই পরিমান ধর্মীয় জ্ঞান রাখেন আপনি হয়ত জানেন না।

সমসামইয়িক ঘটনাপ্রবাহের বিষয়কে ইসলামের নামে চালিয়ে দিতে নিজেকে বা অন্যকে আল্লাহ্‌র কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, এই পোষ্টে সমসাময়িক ঘটনা প্রবাহের বিষয় কে ইসলামের নামে চালালাম একটু ধরিয়ে দেবেন কি? এমন কিছু আমি লিখি নি যা লিখছি যথাযথ উদ্ধৃতি দিয়ে লিখছি।

অনুভূতিতে আঘাত প্রাপ্ত হলে আল্লাহ্‌র খুশির জন্য হলেও ক্ষমা করে দেবেন। কার কোন অনুভুতিতে আঘাত দিয়েছি একটু বুজিয়ে বলুন তো।

৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



নারীরা মিথ্যা কম বলেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০১

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী এইডা আপনার এখতিয়ারের বাইরে মনে হয়। আপনার মন্তব্য পোষ্টের সাথে সামঞ্জস্য হীন।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


নুরু সাহেব আপনার পোষ্টে এলে, উনি আমার কমেন্ট বুঝতে পারবেন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:২৪

শের শায়রী বলেছেন: সেটা হতে পারে, কিন্তু এই পোষ্ট তো আমি দিয়েছি নুরু ভাই না, তাই দয়া করে আমার বোধগম্য জবাব দিলে বাধিত থাকব মুরুব্বী।

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৮

সুপারডুপার বলেছেন:



নারীরা কি নবী হতে পারেন?

উত্তর : না।

কারণ, সূরা মুমিনুন এর আয়াত ৬ এ বলা আছে : ''তবে তাদের স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।''

নারীরা নবী হলে, এটা লংঘিত হয়ে, ''তবে তাদের স্বামী /স্ত্রী ও মালিকানাভুক্ত দাস /দাসীদের ক্ষেত্রে সংযত না রাখলে তারা তিরস্কৃত হবে না।'' - এই রকম হতে পারার সম্ভবনা ছিল। এটা যেহেতু সম্ভব না, তাই নারীরা নবী হতে পারেন না।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫০

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই।

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪২

নির্ঝর রাজু বলেছেন: আর একটা কথা ভাইয়া, ঠিক ভাবে ধর্ম পালনের চেষ্টা করলেই নিজেকে ধার্মিক বলতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। শুভকামনা রইলো।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫১

শের শায়রী বলেছেন: চেষ্টা করি, বাকী টা আল্লাহর ইচ্ছা। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২১

নীল আকাশ বলেছেন: নারীরা সুনির্দিষ্ট ভন্ড কিছু লোকের চেয়ে অন্ততঃ যে মিথ্যাকথা কম বলে সেটা প্রমাণ আমরা এখানে অহরহই পাই।

আমি এখন এখানে সূত্র দিতে পারছি না তবে, আমি যতটুকু জানি বিবি মরিয়ম নবী বা রাসুল ছিলেন না৷এই সর্ম্পকে একটা হাদিস আছে আমি পেলে এখানে দিয়ে যাবো। তবে ইয়াহুদি এবং নাসারা'রা সেটা মানে - নীচে দেখুনঃ
The label “prophetess” or “woman prophet” (něbī’āh) is attributed to five women in the Old Testament: Miriam (Exod. 15:20), Deborah (Judg. 4:4), Huldah (2 Kings 22:14; 2 Chron. 34:22), Noadiah (Neh. 6:14), and “the prophetess” (Isa. 8:3). Its significance is clear. Miriam claims the Lord “has spoken” through her (Num. 12:2). Deborah says to Barak: “Look, the Lord, the God of Israel, has commanded” (Judg. 4:6). Huldah similarly uses the prophetic introductory formula: “Thus says the Lord God of Israel…” (2 Kings 22:15). Scripture, then, describes a woman prophet as someone through whom God speaks to his people. In this regard, a “prophetess” is no different than her male counterpart, the “prophet” (nābī’). For this reason, I prefer the translation “woman prophet.”

Women Prophets in the New Testament
Luke presents Anna as a “woman prophet” (prophētis), which is the same Greek word the Septuagint, the Greek translation of the Old Testament, uses to translate the Hebrew něbī’āh (Luke 2:36). Like the prophet Simeon who is paired with her (2:25–27), Anna is led by the Holy Spirit to speak about Jesus “to all who were looking for the redemption of Jerusalem” (2:38). The masculine gender of the signifiers describing her intended audience suggests Anna prophesies to both men and women. Elsewhere, Luke uses the feminine signifier to define an audience of women only (15:9).

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

শের শায়রী বলেছেন: পড়ছি, আরো জানার চেষ্টা করছি প্রিয় ভাই, সামনে ইনশাল্লাহ আরো অনেক আলাপ হবে ধর্মের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া নিশ্চয়ই অন্যায় কিছু না।

৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:৪৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সকলের আলোচনা সমালোচনাতে সঠিক তথ্য ও সত্য বেরিয়ে আসে ।
ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান অতি মাত্রায় সীমিত ও অসম্পুর্ণ । আমি জানার পর্যায়ে আছি। যেখানে ধর্ম বিষয়ে আলোচনা হয় সেখান থেকে সঠিক বিষয় জানতে চেষ্টা করি । সে সকল লেখাগুলিকে মনযোগ দিয় পাঠ করি। আলোচনায় অংশ নেয়ার চেষ্টা করি। ধরণা শেয়ার করি, ভুল হলে কৃতজ্ঞতার সহিত সঠিক আলোচনা গ্রহণ করি ।

আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ মহা জ্ঞানের অধিকারী । তিনি যা কিছু করেন তাই মহিমান্বিত । তাঁর একটি নাম হাকিম (অতি জ্ঞানী) এবং তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল হল হিকমাহ (প্রজ্ঞা)।

নবি রসূলগণের অন্যতম বৈশিষ্ট হচ্ছে পুরুষতন্ত্র। কিছু আলেমও এই বিষয়ে ঐক্যমত পোষণ করেছেন ।

শায়খ ‘উমর আল আশকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন:

আল্লাহ প্রদত্ত পরিপূর্ণতার আরেকটি দিক হ'ল যে আল্লাহ তাঁর সমস্ত মনোনীত নবি রাসূলকে মানুষের মধ্য থেকে প্রেরণ করেছেন। তিনি মহিলাদের মধ্যে থেকে কোনও নবি রাসুল প্রেরণ করেছেন কিনা সে সম্পর্কে সুষ্পষ্ট কোন আয়াত নেই। তবে ইঙ্গিতপুর্ণ কিছু আয়াতের উদ্ধৃতি দেখা যায় ।তাই বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ আছে ।

অনেকেই বলে থাকেন গুরু দায়ীত্বপুর্ণ কাজের প্রকৃতির কারণে নবি রাসুলগন মনোনীত ও প্রেরিত হয়েছিলেন বিধায় নবি গন পুরুষ ছিলেন মহিলা নন। উদাহরণ স্বরূপ;
১) নবির ভূমিকা পালনের জন্য অনেক বড় বড় কাজ সম্পাদন করা প্রয়োজন যেমন- পুরুষ ও মহিলাদেরকে সম্বোধন করা, গোপনে এবং প্রকাশ্যে লোকদের সাথে দেখা করা, পুরো দেশ জুড়ে চলা ফিরা করা , মিথ্যাবাদীদের মুখোমুখি হওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রমান স্থাপন করা এবং তাদের সাথে বিতর্ক করা, সেনাবাহিনী প্রস্তুত করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া এবং যুদ্ধ ও দুর্যোগের মধ্য দিয়ে যাওয়া । এগুলি পুরুষদের পক্ষে উপযুক্ত এবং মহিলাদের জন্য তেমন ভাবে উযুক্ত নয়।

২) নবির ভূমিকাপালন দাবি করে যে তিনি তাঁর অনুসরণকারীদের দায়িত্বে বহন করবেন সুতরাং তিনি তাঁর অনুসারীদের কাছে আদেশ ও নিষেধাজ্ঞাগুলি জারি করবেন এবং তিনি তাদের মধ্যে শাসক ও বিচারক এর দায়িত্ব পালন করবেন। যদি কোনও মহিলাকে এই জাতীয় দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, তবে তিনি সেগুলি সঠিকভাবে করতে সক্ষম হবে না এবং সেখানে এমন লোকেরাও থাকবে যারা তাঁকে অনুসরণ করতে অস্বীকার করবে।
৩) পুরুষতন্ত্র অনেক বেশী নিখুঁত। সুতরাং আল্লাহ নারীদের উপর পুরুষদের উপর দায়িত্বের ভূমিকা দিয়েছেন:
"পুরুষরা মহিলাদের রক্ষাকর্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী" [আন-নিসা ’৪:৩৪]।
এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে মহিলারা যুক্তিযুক্ত প্রতিশ্রুতি পালনে কিছু সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকেন । যেমন মহিলাদের এমন কিছু বিষয়ের সাথে লড়াই করতে হয় যা তাদের অনেক কাজ করতে বাধা দেয় যেমন ঋতুস্রাব, গর্ভাবস্থা, প্রসব এবং নিফাস (প্রসবের পরে রক্তক্ষরণ), যেগুলী যত্নের সাথে তার সন্তান প্রতিপালনে মানসিক চাপ এবং বেদনা সহ হয়। এগুলি সবই তাঁকে নবির ভূমিকা সম্পাদন করতে এবং তাঁর দায়িত্ব পালন করতে বাধা দেয়।)

দ্বিতীয়ত:

নবুওয়াত সম্পর্কে, কিছু আলেম যেমন- আবু'ল-হাসান আল-আশিয়ারী, আল-কুরতুবী এবং ইবনে হাজম - এর মতে কিছু মহিলা নবী ছিলেন! মরিয়ম বিনতে ‘ইমরান সহ। তাদের প্রমাণ হ'ল কোরানের কিছু আয়াতসমূহ যেখানে বলা হয়েছে যে মুসার মায়ের প্রতি ওহী প্রেরিত ঞয়েছিল , এবং মরিয়ম (আঃ) -এর সাথে ফেরেশতাদের কথা হয়েছিল এবং তাঁরা বলেছিলেন যে আল্লাহ তাঁকে বিশ্বের নারীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ করে তুলেছেন।

তবে তাঁরা যা বলেছিলেন তা সঠিক বলে অনেকে মনে করছেন না।

শায়খ ‘উমর আল আশকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন:

তাঁরা যা বলে তা নারীদের নবুওয়াতের প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা যায় না। তাঁদের মতামত বেশ কয়েকটি দৃষ্টিকোণ থেকে খণ্ডন করা যেতে পারে:
১) তাদের এই মত গ্রহণ করা যায় না এই কারণে যে নবীকে বাণী পৌঁছে দেওয়ার, শিক্ষা দেওয়ার এবং লোকদের সাথে মিলামেশা করার আদেশ দেওয়া হয়নি। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি হ'ল পুর্বে প্রেরিত সমস্ত নবি রাসুলগনকে যে সমস্ত ভূমিকা পালনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এর পরের নবি রাসুলগনকেও ঠিক একই রকম ভুমিকা পালন করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
তাই যদি একই রকম ভুমিকা পালনের জন্য নবী প্রেরণের প্রয়োজন হয় তাহলে সেগুলি মহিলা নবীকে প্রেরণের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কিন্তু এমন এমন অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যা পালন করার ক্ষেত্রে একজন নারী নবীর বেশ সীমাবদ্ধতা রয়েছে ।
২) মুসার মা ও আসিয়ার কাছে আল্লাহ প্রেরিত ওহী স্বপ্নের আকারে ঘটেছিল। আমরা জানি যে স্বপ্নগুলি ওহীর অংশ হতে পারে তবে নবীগণ ব্যতীত অন্য ব্যক্তির ক্ষেত্রেও এটি ঘটতে পারে।
৩) ফেরেসতাদের দ্বারা সম্বোধিত সবা্ই যে নবী তাঁদের এ দৃষ্টিভঙ্গিও সর্বোতভাবে গ্রহণযোগ্য নয় । এর অনেক ব্যতিক্রমও আছে মর্মে দেখা যায় ।

যাহোক , আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবীতে নাকি লক্ষাধিক নবি প্রেরণ করেছেন বলে অনেক জায়তাতেই বলা হয়ে থাকে , নবিদের নামের কোন পুর্নাঙ্গ তালিকা কিংবা স্পষ্ট বিবরণ কোথাও এখনো দেখতে পাইনি , তাই মহাবিজ্ঞ আল্লাহই ভাল জানেন তিনি কোন মহিলা নবী পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন কিনা । মহিলা নবি থাকতেও পারেন আবার নাও থাকতে পারেন । তবে বিষয়টির উপরে বিজ্ঞ ব্লগারদের আলোচনা চলুক । আমরা সহি তথ্য জানতে পারব ।

বিষয়টির উপর আলোচনার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: শ্রদ্ধেয় আলী ভাই, সামনেও কিছু বিষয় আনব ইনশাল্লাহ, এবং সেখানেও আপনার মতামত আশা করব, ইসলামে জানতে চাওয়ায় নিষেধ কিছু নাই সামান্য কিছু বিষয় ছাড়া। আর আমি এব্যাপারে এক দম নবিশ সেক্ষেত্রে আপনাদের আলোচনা আমাকে নতুন ভাবনার দিশা দেখাবে।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভাই।

১০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

আসোয়াদ লোদি বলেছেন: ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। নারীরা ইমাম হতে পারে না, আজান দিতে পারে না। নবী কীভাবে হবে ? তবে ইসলামী শাস্ত্রে পরস্পর বিরোধী কথা প্রচুর পাওয়া যায়। যার কারণে ৪টি মাযহাব, বিভিন্ন মতের দল-উপদলে ইসলাম বিভক্ত। সুতরাং কোন একটি দল যদি নারী নবী আবিষ্কার করে, অবাক হওয়ার কিছু নেই।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:০৩

রাশিয়া বলেছেন: নবীদেরকে নেতা হতে হয়, নবীরা সব সময়ই পাক পবিত্র থাকেন, তাদেরকে পবিত্র ওহী ধারণ করতে হয়। নারীদের নেতৃত্ব ইসলামে হারাম, তাছাড়া নারীদের পক্ষে প্রকৃতির নিয়মেই সব সময় পাক পবিত্র থাকা সম্ভব নয়। যুগে যুগে নবীদেরকে যে ভয়ঙ্কর রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে, নারীদের পক্ষে তা মাথা পেতে নেয়া অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। অত্যন্ত যৌক্তিক কারণেই নবী হওয়া নারীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এটা ঠিক ইসলামের প্রচার ও প্রসারে নারীরা পুরুষের চেয়ে অনেক অগ্রগামী। নারীরা মিথ্যা কথা যেমন কম বলেন, সত্য কথাও সহজেই বিশ্বাস করেন, তাই তাদের মধ্যে ইসলাম প্রচার বেশ সহজ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪২

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৭

ইসিয়াক বলেছেন: পোষ্টটি পড়লাম। মন্তব্যগুলো পড়লাম......পরবর্তী মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্যগুলো পড়বো। এ সম্পর্কে আমার জ্ঞান অতি সীমিত । আমি জানতে চেষ্টা করছি। পোষ্টে ভালো লাগা প্রিয় ভাইয়া । শুভকামনা জানবেন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: আমিও জানার জন্যই এই পোষ্ট দিয়েছি ভাইয়া। শুভকামনা।

১৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: আমি আবার যা বলতে এসেছিলাম সেটা আলী ভাই ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছেন। এর সাথে যোগ করুন-
১। ইসলামে পর্দা প্রথা মেয়েদের জন্য ফরজ। তার মানে এটা সব নবী রাসুলদের জন্যও ফরজ।
২। ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য জিহাদে অংশ গ্রহণ করতে হয়
৩। মেয়েদের প্রতি মাসে সুনির্দিষ্ট কিছু সময় দুর্বলতা থাকে।
৪। সন্তান প্রসব এবং মা হবার জন্য কিছু সময়ের জটিলতা।

ধন্যবাদ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় নীল ভাই।

১৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩

নতুন বলেছেন: ইসলামে পুরুষকে নারীদের উপরে স্থান দিয়েছে।

প্রথম মানুষ আদম আ: কে সরাসরি বানানোর পরে নারী সৃষ্টি করা হয়েছে পুরুষের পাজরের থেকে।

নারীদের নেত্রীত্ত্বের কথা ইসলাম সমর্থন করেনা।

নবীর কাজ নেতাদের মতন।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নতুন ভাই

১৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২১

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি পোস্ট পড়লাম, অনেক কিছু লিখতে ইচ্ছে হোল কিন্তু কিছুই লিখলাম না। কমেন্ট পদেখে মৃদু হাসি দিয়ে চলে গেলাম। বাংলাদেশ আর অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে, এটাই আমার বোধোদয় !!! মৌলিক শিক্ষার অভাব স্পস্ট।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩০

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৪০

করুণাধারা বলেছেন: নারীরা কি নবী হতে পারেন

আমার মনে হয় পারেন না। কারণ নবীদের প্রথম কাজ মানুষের কাছে আল্লাহর একত্ববাদের সংবাদ পৌঁছে দেয়া, এবং একনিষ্ঠ ভাবে তা প্রচার করা। নাবাউন অর্থ সংবাদ, নবী অর্থ সংবাদ প্রচারক। আমি মনে করতে পারছি না সেই সূরা গুলোর নাম, যেগুলোতে আল্লাহ বিভিন্ন নবীর নাম উল্লেখ করে বলেছেন তারা সকলে একই কথা বলেছেন তাদের জনগোষ্ঠীর কাছে; তা এই, "অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় কর আর আমাকে অনুসরণ কর"। এই প্রচার কাজে তারা বাধাগ্রস্ত হয়েছিলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্যাতিত হয়েছিলেন। এজন্য আমার মনে হয় কোন নারী নবী হতে পারেন না।

আর যে কারণগুলো মনে এসেছে, তা ডঃ এম এ আলী বলেছেন।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় বোন।

১৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কে কে নবী হতে 'পারবে' বা 'পারবে না' ধর্ম কিতাবে ক্রাইটেরিয়া কিছুই বলা নেই।
ইতিহাসে দেখা যায় অতি সাধারন থেকে নিজের যোগ্যতা শক্তি বলে নবী বা মহাপুরুষ হয়েছে।
একটা অবস্থান হয়েছে।
কিতাব পরে এসেছে।
ধর্মপুস্তকে সব নবীদের/মহাপুরুষদের তালিকাও দেয়া নেই।
মহাপুরুষ, পয়গম্বর, নবী, দেব-দেবী, এরা আগে দলগঠন করে শক্তিশালী হইছে,
পেশীশক্তির বলে কিছু এলাকা দখল করে একটা আস্তানা বানাইছে, তার পরে নবী/পয়গম্বর/দেবতা/মহাপুরুষ হইছে।
এরপর কিতাব এসেছে। তাও একবারে সব আসে নি, একটা একটা করে আয়াত/ বাক্য এসেছে। নবী/দেবতা/পয়গম্বরের মৃত্যুর পর আয়াত/বাক্য একত্র করে পুস্তক তৈরি হয়েছে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই আমার পোষ্ট মহাপুরুষ, পয়গম্বর, নবী, দেব-দেবী এদের নিয়ে নয় আমার সু স্পষ্ট প্রশ্ন নারীরা কি নবী হতে পারেন? না পারলে কেন? অনেক সুন্দর সুন্দর উত্তর এসেছে।

১৮| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১২

একাল-সেকাল বলেছেন:
কোরআনের ৩৩ নং সুরায় আল্লাহ বলেন,
مَّا كَانَ مُحَمَّدٌ أَبَا أَحَدٍ مِّن رِّجَالِكُمْ وَلَكِن رَّسُولَ اللَّهِ وَخَاتَمَ النَّبِيِّينَ وَكَانَ اللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمًا
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
Muhammad is not the father of any of your men, but (he is) the Messenger of Allah, and the Seal of the Prophets: and Allah has full knowledge of all things. [ 33) সূরা আল আহযাব, আয়াতঃ 40 ]

মোহাম্মদ (সাঃ) খতমে নবুয়াত অর্থাৎ শেষ নবী। নবীদের চূড়ান্ত তালিকায় কোন নারী নাই । তাহলে নারীদের নবী হওয়ার প্রশ্ন আসে কি করে ?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

শের শায়রী বলেছেন: সুপ্রিয় একাল সেকাল,

খতমে নবুয়তের সাথে তো নারীদের নবী হবার প্রশ্ন জড়িত নেই, আপনি হয়ত পোষ্ট পড়েন নাই, বা পড়লেও সেভাবে অনুধাবন করেন নাই, খতমে নবুয়তের সাথে সাথে যে নবুয়তীর দরজা বন্ধ হয়ে গেছে এটা ইসলামের ভেরী ব্যাসিক। আপনার কি ধারনা আমি এই ব্যাপারটুকু জানি না? পোষ্টে আমি খুব ক্লিয়ার করে দিয়েছি নারীরা কি নবী হতে পারেন? কারন এ নিয়ে মুহাদ্দেশে হাদীস বা বিভিন্ন তাফসীরে বিভিন্ন মতভেদ দেখেই এই পোষ্ট দিয়েছি। এর জবাব ও অনেকে অনেক সুন্দর ভাবে দিয়েছে, পোষ্ট এবং পোষ্টের মন্তব্য দেখলেই বুজবেন, সেখানে আপনার মন্তব্যের আগা মাথা কিছু বুজি নাই। আবার আপনি লিখেছেন নবীদের চূড়ান্ত তালিকায় কোন নারী নাই নবীদের চুড়ান্ত তালিকা বলতে আপনি কি বুজাচ্ছেন? জানামতে এক লক্ষ দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই দুনিয়ায় প্রেরন করছেন যেখানে পবিত্র কোরানে মাত্র ২৫ জন নবীর নাম সু স্পষ্ট ভাবে আছে। আশা রাখি ব্যাপারটা ক্লিয়ার করবেন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ইসলাম ধর্মে এই একটি জিনিসই ব্যদিক্রম যে, এই ধর্মে কোন মহিলা নবীর আগমন ঘটেনি।
কারণ একজন নারীকে যদি নবী হতে হয় তাহলে তাকে সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দিতে হবে।
কিন্তু কুরআনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে পুরুষরা হলো পরিবারের প্রধান। সুতরাং পুরুষ যদি
পরিবারের প্রধান হয়ে থাকে তবে কিভাবে নারী সমগ্র মানুষের নেতৃত্ব দেবে?
এছাড়াও একজন নবীকে নামাজের ইমামতি করতে হয়। কিন্তু নামাজে বেশ কিছু অঙ্গভঙ্গি
রয়েছে যেমন- কিয়াম, রুকু, সাজদাহ ইত্যাদি। যদি একজন নারী নবী নামাজের নেতৃত্ব
দিত তবে জামাআতের পেছনে যে সকল পুরুষ সলাত আদায় করত এটা তাদের এবং
ইমাম উভয়ের জন্যই বেশ বিব্রতকর হত। তাছাড়া
একজন নবীকে সাধারণ মানুষের সাথে সর্বদা দেখা সাক্ষাৎ করতে হয়। কিন্তু এটা
একজন মহিলা নবীর পক্ষে অসম্ভব। কারণ ইসলাম নারী-পুরুষ পরস্পরের মেলামেশার
ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। যদি মহিলা নবী হতো এবং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সে
যদি গর্ভবতী হতো, তবে তার পক্ষে কয়েক মাস নবুওয়াতের স্বাভাবিক দায়িত্ব
পালন করা সম্ভব হতো না।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৫

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা নূর ভাই।

২০| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: নারীরা নবী হলে, নবী করিম,হযরত মুহাম্মদ ( সা: ) এর কোনো মেয়ে হতো না । যে কারনে মহানবী ( সা: ) কোনো ছেলে ছিলনা ।
কেননা ছেলে থাকলে,মহানবী ( সা: ) এর পরে সেও নবী হত । হয়ত আমি গুছিয়ে লিখতে বা বুঝাতে পারিনাই ।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: হাসু মামা, মহানবীর ছেলে মেয়ে থাকার সাথে মেয়েদের নবী হবার কোন সম্পর্ক নেই কারন কোরান শরীফে সুস্পষ্ট বলা আছে, আখেরী নবী আসার সাথে সাথে নবুয়তের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এটা আসলে বংশ পরম্পরার কোন ব্যাপার না, আমার প্রশ্ন ছিল আখেরী নবী আসার আগে কিছু কিছু পূন্যবতী নারীর কথা কোরান শরীফে আসে তারা কি নবী হতে পারেন কিনা?

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: নারীরা নবী হতে পারেন না।
্ধর্ম বলে নারীরা থাকবে পুরুষের অধীনে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৪:২০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নারীরা কি নবী হতে পারেন?

নবী হইছে কি হয় নাই বিচার করবে কে?
বলপ্রয়োগ করে এলাকা দখল করে আস্তানা বানিয়ে করে একটা অবস্থান তৈরি করে উল্লেখযোগ্যসংখক অনুসারি/সমর্থক, কিতাব। এরপর ইতিহাস বিচার করে তিনি নবী/পয়গম্বর/মহাপুরুষ/মহীয়সী কি না।

নবী হইছে কি হয় নাই বিচার করবে কে?
ঈশ্বর/আল্লা/ভগবান কোথায়?

ঈশ্বর পৃথিবীতে একবারই দেখা দিছিলেন অষ্পষ্ট ভাবে পাহাড়ের চুড়ায়। মুছাকে। আর একবার জিবরাইলের মাধ্যমে থেকে থেমে কিছু আদেশ উপদেশ। এরপর ঈশ্বরও লাপাত্তা জিবরাইলও লাপাত্তা। এরপর হাজার বছর পার। কোন খবর নেই।
এরপর সেই কিতাবের আয়াতের চৌদ্যরকম ব্যাখ্যা দিয়ে শতভাগে বিভক্ত নবীর উম্মতরা/অনুসারিরা।

ঈশ্বর একবার আসমানের একটা জানালা খুলে একটা কাশি দিয়ে তো বলতে পারে - "তোরা গ্যাঞ্জাম না করে এক হয়ে যা"।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২২

শের শায়রী বলেছেন: এর পরো কেউ যদি নবীর উম্মত হয়ে শান্তি পায় এবং তাতে যদি কারো কোন ক্ষতি না হয় তবে তো আমি কোন সমস্যা দেখি না হাসান ভাই। আপনি হতে চান না তা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত।

২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

রাশিয়া বলেছেন: ধর্মীয় কোন পোস্ট দেখলে সেখানে হাসান সাহেবের মূর্খ নাকটা না গলালে শান্তিই থাকেনা। উনি কি বলেন তা নিজেও জানেন না। আবোল তাবোল বলে পোস্টের জায়গা ভরিয়ে কি আনন্দ যে পান ওনারা, জানিনা।

নবী রাসুলগণ বলপ্রয়োগে কোন রাজ্য দখল করেননি। তার প্রমাণ এক্সডাস ও হিজরত। অত্যাচারিত হয়ে তারা এলাকা ছেড়ে চলে গেছেন, কিন্তু দখলদারি কায়েম করেননি।

নবীদের মত কাজকর্ম অনেকেই করেছেন, কিন্তু সকলে নবী হতে পারেননি। নবী কেবল তারাই যাদেরকে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে নবুওয়াত দেয়া হয়েছে।

ঈশ্বর মুসা (আ) কেও দেখা দেননি। তিনি কেবল একটা নূরের চমক দেখিয়েছিলেন, তাতে মূসা নবী সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিলেন।

ঈশ্বর লা পাত্তা হয়ে যাননি। তিনি

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৩

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।

২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ। তবে কোন নারী নবী নন। তিন শ্রেণীর মানুষ জিম্মাদার বা আমীর হতে পারে না নারী পাগল আর নাবালক এটা তাবলীগের ওসুল। জিম্মাদার যেহেতু হতে পারবেন না নবী হওয়া নামুঙকিম।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৪

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩৩

এম ডি মুসা বলেছেন: নারী নবী নন কিন্তু আল্লাহ্ ত এমন কিছু বলেননি যেটা আমারা এখনো জানতে পেরেছি। যাইহোক নারী রা আমাদের মা আল্লাহ্ নারীদের জন্য বিশেষ আয়াত নাজিল করেছেন

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:২৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.