নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমকামিতা এবং ইসলাম, সুস্পষ্ট বক্তব্য

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:১৭



কিছুটা হতভম্ভ কিছুটা ব্যাথিত হয়েই এই পোষ্টটা আমি দিলাম। তবে পোষ্ট টি দেবার আগে আবারো স্বীকার করে নেই ধর্ম নিয়ে আমার জ্ঞান অতি সীমাবদ্ধ। আর প্রতিটা ধর্মকেই আমি শ্রদ্ধা করি, কারন আমার ধর্ম আমাকে অন্য ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতেই শেখায়। একই সাথে কেউ যদি সংশয়বাদী বা অবিশ্বাসী হয় তাতেও আমার কোন সমস্যা নেই।

কিন্তু সমস্যা তখনি দেখি যখন কিছু মাদ্রাসার হুজুর নামধারী “পাপিষ্ঠ” মাদ্রাসার এতিম বাচ্চাদের ওপর বলাৎকারের কারনে কিছু অবিশ্বাসী শিশুকামের সাথে ইসলাম এবং ইসলামের মহানবী (সঃ) এর নাম জড়িয়ে কিছু জাল তাফসীরের সূত্র ধরে সমগ্র ইসলাম ধর্মকে কলুষিত করার অপচেষ্টা করছে। আজকেই কমেন্টের সুত্র ধরে কোন এক বিজ্ঞ ব্লগাররের ব্লগে গিয়ে এই ব্যাপার গুলা দেখলাম। ব্যাপারটা এমন না যে, আজকেই এটা দেখলাম, কিন্তু যখনি কোন মাদ্রাসার হুজুর কর্তৃক (মাদ্রাসায় ও কিছু কুকুরের বাচ্চা আছে যারা এতিম বাচ্চাদের শিক্ষার নামে বলাৎকার করে যাদের হুজুর বলতে আমি মোটেই রাজি না।) বলাৎকার হবার পর পুরা ইসলামের ওপর দোষ ফালায় কেউ কেউ এক ধাপ এগিয়ে মহানবীকেও খারাপ কথা বলতে ছাড়ে না নাউজুবিল্লাহ।

সুরা আরাফের ৮০ এবং ৮১ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা সুস্পষ্ট ঘোষনা দিয়েছেনঃ

এবং আমি লূতকে প্রেরণ করেছি। যখন সে স্বীয় সম্প্রদায়কে বললঃ তোমরা কি এমন অশ্লীল কাজ করছ, যা তোমাদের পূর্বে সারা বিশ্বের কেউ করেনি ? [ সুরা আরাফ ৭:৮০ ]

তোমরা তো কামবশতঃ পুরুষদের কাছে গমন কর নারীদেরকে ছেড়ে। বরং তোমরা সীমা অতিক্রম করেছ। [ সুরা আরাফ ৭:৮১ ]



এর ব্যাখ্যায় যাবার আগে অল্প কিছু কথা বলতে হয়, জর্দানের বাহরে মাইয়িত বা বাহরে লুতে তীরবর্তী অঞ্চলে “সুদুম” বা “সডাম” বা আমুরাহ জনবসতি গড়ে উঠেছিল। এ এলাকায় বসবাসকারীদের বিশ্বাস ছিল এখন যেখানে তরাঙ্গায়িত সমুদ্র তা কোন এক কালে ছিল জনবসতি। এই জনবসতিই ছিল “সুদুম”।যখন লুত কওমের ওপর আল্লাহর অভিশাপ নেমে আসে তখন এক ভয়ংকর ভুমিকম্পের কারনে সমুদ্রের ৪০০ মিটার নীচে নেমে যায় এজন্যই এই সমুদ্রটির নাম “বাহরে মাইয়াত” বা “বাহরে লুতা” নামে যা কিনা আপনি “ডেড সী” নামে চেনেন।



হযরত ইব্রাহিম (আঃ) এর ভাইয়ের নাম ছিল হারুন (আঃ)। লুত ছিল উক্ত হারুন (আঃ) এর ছেলে মানে লুত ছিল ইব্রাহিম (অঃ) ভাইয়ের ছেলে। লুত যখন ইব্রাহিম (আঃ) কাছে কানানে আসেন সেখানেই তার ওপর ওহী নাযিল হয় এবং তিনি ইব্রাহিম (আঃ) এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সদুম নামক স্থানে চলে আসেন সেখানকার বিপদগামী সম্প্রদায়কে পথে আনার জন্য। লুত (আঃ) যখন সুদমবাসীকে তাদের পাপাচার সন্মন্ধ্যে সতর্ক করে দিচ্ছিল তখন তারা উল্টো বলতে থাকল

তাঁর সম্প্রদায় এ ছাড়া কোন উত্তর দিল না যে, বের করে দাও এদেরকে শহর থেকে। এরা খুব সাধু থাকতে চায়। [ সুরা আরাফ ৭:৮২ ]

এখান থেকেই বোজা যায় সুদম কওম কতখানি অধঃপাতিত হয়েছিল, তাদের অধঃপতনের আরো কিছু কাহিনী আমি পড়ছি পড়ে স্তম্ভিত হয়ে গেছি যে তারা কত সীমাহীন অধঃপতিত হয়েছিল। তারা হযরত লুত কে নিয়ে উপহাস করতে থাকে।

আল্লাহপাক তখন সুরা আনকাবুতের ২৯ নাম্বার আয়াতে বলেনঃ

তোমরা কি পুংমৈথুনে লিপ্ত আছ, রাহাজানি করছ এবং নিজেদের মজলিসে গর্হিত কর্ম করছ? জওয়াবে তাঁর সম্প্রদায় কেবল একথা বলল, আমাদের উপর আল্লাহর আযাব আন যদি তুমি সত্যবাদী হও। [ সুরা আনকাবুত ২৯:২৯ ]



এদিকে তখন অন্য এক ঘটনা ঘটছিলো এক দিন হযরত ইব্রাহিম (আঃ) যখন এক জঙ্গলে পরিভ্রমন করছিলেন তখন সেখানে তিন জন অত্যন্ত সুশ্রী অতিথি দেখতে পেলেন তিনি তাদের দাওয়াত দিয়ে তার বাসায় নিয়ে গেলেন এবং ভালো আহারের ব্যাবস্থা করলেন, কিন্তু দেখলেন যে ওই তিনজন খাবার খাচ্ছে না, তখনকার প্রচলিত রীতি অনুযায়ী হযরত ইব্রাহীম কিছুটা চিন্তিত কিছুটা ভীত হলেন ভাবলেন এরা তার দেয়া খাবার অস্বীকার করছে তার মানে এরা শত্রু। তখন ওই তিন জন তাকে আশ্বস্ত করল যে না তারা তার শত্রু বরং তারা তার রবের কাছ থেকে প্রেরিত এবং সদুম ধ্বংস করার জন্য আযাবের ফেরশতা।

যখন আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা এই জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা জালেম। [ সুরা আনকাবুত ২৯:৩১ ]

তখন ইব্রাহিম (আঃ) তাদের বললেন, তা কি করে হয়? ওখানে তো মিল্লাতের হানিফের একজন লুত (আঃ) আছে।

সে বলল, এই জনপদে তো লূতও রয়েছে। তারা বলল, সেখানে কে আছে, তা আমরা ভাল জানি। আমরা অবশ্যই তাকে ও তাঁর পরিবারবর্গকে রক্ষা করব তাঁর স্ত্রী ব্যতীত; সে ধ্বংসপ্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। [ সুরা আনকাবুত ২৯:৩২ ]



যাই হোক আমি আর আপনাদের বিরক্ত করে পোষ্ট বাড়াব না আরো বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে লুত (আঃ) সদুম সম্প্রদায় ধ্বংস হয়ে যায়।

“আপনার প্রাণের কসম, তারা আপন নেশায় প্রমত্ত ছিল। অতঃপর সুর্যোদয়ের সময় তাদেরকে প্রচন্ড একটি শব্দ এসে পাকড়াও করল। অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম এবং তাদের উপর কঙ্করের প্রস্থর বর্ষণ করলাম। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। জনপদটি সোজা পথে অবস্থিত রয়েছে। নিশ্চয় এতে ঈমানদারদের জন্যে নিদর্শণ আছে।" [ সুরা হিজর ১৫:৭২-৭৭ ]

তেরশ বছর আগে আরবের কোন এক অশিক্ষিত ( অতি জ্ঞানী অবিশ্বাসীদের দেয়া উপাধি) নবীর কাছে পাঠানো ওহীর মাধ্যমে সদুম নগরী বর্তমানে আবিস্কার হয়েছে “ডেড সী”র দক্ষিন পূবে মক্কা থেকে সিরিয়ায় যাওয়ার পথের পাশে।

আসি মুল ব্যাপারে, আরবের কিছু মানুষের সমকামিতা বা আমাদের কিছু মাদ্রাসার হুজুর নামধারী পাপিষ্ঠের কারনে কিছু অতিজ্ঞানী অবিশ্বাসী কিছু জাল হাদীস অথবা মিথ্যা তাফসীরের উদ্ধৃতি দিয়ে সমকামিতার সাথে ইসলামের সম্পর্ক সৃষ্টির প্রয়াস পায় এবং কেউ কেউ এক পা এগিয়ে আমার প্রানের নবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে নিয়েও কটুক্তি করে তাদের জন্য বলে দিতে চাই, আমার কাছে কোরানের ওপর কোন কিতাব নেই, সুতারাং কোন হাদীস বা তাফসীর দেখিয়ে কোন অবস্থাতেই এই ঘৃনিত পন্থাকে ইসলামে জায়েজ করার করার উপায় নেই। এবং যে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এই ওহী নিয়ে আসে আল্লাহর কাছ থেকে তাকে নিয়ে দয়া করে এই সব নোংরা কথা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।

ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান অতি সীমিত, আমি হয়ত আজকে তোমাদের সাথে কুট তর্কে পারব না। কিন্তু তিনি নিশ্চয়ই সর্বজ্ঞ। আমার অতি অল্প জ্ঞানে আমি যেটুকু পারলাম লিখলাম। আমি বাইবেল তোরাহর কোন বানী টানি নাই কারন পোষ্ট বড় হয়ে যাবে বিধায়। তবে সে সব জায়গায় ও এনিয়ে কিছু কিছু লেখা আছে।

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে যারা ধর্মের অপ ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষ হত্যা করে তারা যেমন পরিত্যাজ্য তেমনি পরিত্যাজ্য যারা শতকোটি মানুষের অনুসরনীয় মহান মানুষটিকে নিয়ে নোংরামি করে।


দেখুনঃ Sodom and Gomorrah
Have Sodom and Gomorrah been Found?
Archeologists: Sodom and Gomorrah literally destroyed by fire and brimstone falling from the sky

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ধর্মকে যে যার মতো কাস্টমাইজ করে ফেলে বলে এই অবস্থা | আপনার কাছ থেকে অন্য ধর্মগুলোরও এই বিষয়ে কি বলা আছে তা নিয়ে পোস্ট আশা করছি |

ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অন্যদের কিছু বদ্ধমূল ধারণা আছে | মুসলিমরা সন্ত্রাসী এই ধারণার পাশাপাশি আরো একটি হচ্ছে মুসলিমরা চরম মিথ্যাবাদী,এবং অসৎ | এর বিরুদ্ধে জোরালো যুক্তি দিতে অধিকাংশ হুজুরদের মধ্য থেকে কোনো সাড়াশব্দ দেখা যায় না - এর কারণ সম্ভবত তাদের রুটি রুজির একটি অন্যতম উৎস অসৎ পথে অর্জিত সম্পদশালীদের দানখয়রাত |

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ভাই আমি খুব সামান্য একজন মানুষ। যার জ্ঞান অতি সীমিত। নিজেই অনেক কিছু জানিনা, কিভাবে আমি আর একজন কে জানাব! তবে যেহেতু বলছেন, আল্লাহ যেন তৌফিক দেন কিছু ব্যাপারে লিখে যেতে পারি যাতে অন্তত কিছু ভ্রান্ত ধারনা যেন পরিবর্তিত হয়। নিজে জানার চেষ্টা করছি।।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।।

২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:২২

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আপনার মূল্যবান তথ্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি এটাও বলার প্রয়োজন বোধ করছি যে, প্রায় প্রতিটি ধর্মেরই কম-বেশী সুর্নিদিষ্ট কিছু গাইডলাইন আছে, যেটা ঐ ধর্মকে একটা ডেফিনিশনে আবদ্ধ করে দেয়। এটা অত্যন্ত জরুরী। মানুষ যখনই ধর্মকে নিজের মতো করে পালন বা ভাবতে শুরু করে নিজেকে ঐ ধর্মের অনুসারী হিসেবে দাবী করা শুরু করে, সমস্যা তখনই হয়। যেটা প্রায়ই মানুষকে করতে দেখি সেটা হলো, ধর্মানুসারীদের দিয়ে ধর্মকে বিচার করা শুরু করেন। এটাকে আমি নিতান্তই বোকামি বা গোড়ামী বলে মনে করি। এক শ্রেনীর মানুষ আছেন যারা এভাবেই ধর্মকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিজের যুক্তি প্রতিষ্ঠিত করার মিথ্যে প্রয়াস চালান। আমাদের বোঝা উচিত যে, ধর্ম নিজে একটি অস্তিত্বের মতো, যেটা যেমন তাকে সেভাবেই দেখা উচিত। কে কিভাবে ব্যাখ্যা করছে সেটা নিতান্তই ব্যক্তিগত ভাবনা সেটার সাথে কোন ধর্মকে জড়িয়ে ফেলা শুধুই মুর্খতার প্রমান। ধন্যবাদ আবারও।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

শের শায়রী বলেছেন: ইফতেখার ভাই আপনি যেমন লিখছেন যেটা প্রায়ই মানুষকে করতে দেখি সেটা হলো, ধর্মানুসারীদের দিয়ে ধর্মকে বিচার করা শুরু করেন এই এক লাইন দিয়েই আমার কাছে মনে হয় সব কথার ব্যাখ্যা হয়ে যায়।

দারুন এক মন্তব্য। গত কাল এক অতিজ্ঞানীর পোষ্টে গিয়েছিলাম আর এক মন্তব্যের সুত্র ধরে, আমি হতভম্ভ হয়ে গিয়েছিলাম, কিভাবে মানুষ এভাবে মনগড়া কিছু জাল তাফসীর নিয়ে শত কোটি মানুষের অনুকরনীয় এক ধর্ম গুরুকে যা তা বলে? এমন নোংরা কোন কথা নেই যা বলেনি, সেই জ্ঞানী আবার নিজেকে এই ব্লগের এত বড় জ্ঞানী ভাবে যে কাউকে তার সমপর্যায়ে আলোচনার যোগ্যই ভাবে না। এটা ও সত্যি ২০১৫ পর অসাধারন কিছু ব্লগার চলে যাবার পর তাদের শুন্য স্থান পুরন হয়নি, যার কারনে কিছু জানা শোনা মানুষের অন্যায় বা ভুল কিছু আসলেও সেভাবে যৌক্তিক প্রতিবাদ দেখি না।

আমাদের মহানবী কে উনি এমন কিছু নাই যা বলে নাই, যার কারনে এই পোষ্ট দিয়েছিলাম এই কারনে তাকে যে অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে তা পবিত্র কোরানে সু স্পষ্ট নিষেধ করা আছে আর এই কোরান এর মাধ্যমই হল মহানবী। ব্যাপারটা যেন এমন যে শার্ট টা আপনি দোকান থেকে কিনে নিয়ে আসলেন সেই শার্ট কেনার জন্যই আপনাকে চোর বলা হচ্ছে। যাই হোক, ভাই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৫:৪০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
কিছুদিন আগে ছাত্রী ধর্ষনের প্রতিবাদে তোলপার মানববন্ধন, অনশন।

কিন্তু মসজিদ-মাদ্রাসায় অগনিত ছাত্র ধর্ষন, অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ষন+হত্যা। লাশ মসজিদে লুকানো।
এরা কি ছাত্র না? কোথায় অনশন? কোথায় মানববন্ধন?

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই মসজিদে ছাত্র ধর্ষন অনেক ক্ষেত্রে হত্যা এর জন্য কোথায় অনশন বা মানব বন্ধন? এই আপনার প্রশ্ন তো। এর সাথে ধর্মের সম্পর্ক কি? আর যে সব বললেন সেগুলোকে সাথে সাথই এ্যারেষ্ট করা হয়েছে, তার পরো যদি না হয় তার জন্য কি ধর্ম দায়ী? মহানবী দায়ী? আমার পোষ্ট এই সংক্রান্ত।

৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৮:২৯

নীল আকাশ বলেছেন: এই পৃথিবীর কোন যুক্তিই সমকামিতাকে সমর্থন করতে পারে না। আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত ভাবে পড়াশুনে করেছি।
ব্লগে অনেক দিন পরে আমিই এর বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেই। প্রথমে এই বিষয়ের উপর একটা গল্প লেখার পর এই বিরুদ্ধে মডারেটরের অনুরোধে একটা সিরিজ লেখায় হাত দেই যার ২ টা পর্ব ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে।
গল্পঃ নাবিলা কাহিনী ৪ - অচেনা হৃদয়
সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষন - সূচনা
[link|https://www.somewhereinblog.net/blog/nilakas39/30285899|সমকামিতার স্বরূপ অন্বেষনঃ সমকামিতা এবং মিথ্যাচার [পর্ব এক]]
আমি লেখার গুরুত্ব বুঝে ইসলাম ধর্মের দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে বের হয়ে এসে সাধারণ আষায় লিখেছি যেন সবাই এটা বুঝতে পারে।
একই বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সবাইকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

শের শায়রী বলেছেন: নীল আকাশ ভাই, আমার এই পোষ্ট লেখার পেছনে কালকে একটা কারন ছিল এক কমেন্টের সুত্র ধরে আর একজনের পোষ্টে গিয়ে দেখি (সঙ্গত কারনেই পোষ্ট দাতার নাম উল্লেখ্য করলাম না), তিনি মহানবীকে নিয়ে যাচ্ছেতাই লিখছে এমনকি সমকামীতা সহ আরো ঘৃনিত অপবাদ দিতেও কুন্ঠা করেনি। অথচ এই মহানবীই আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত ওহী মাধ্যমে একে ঘৃনিত কাজ হিসাবে বলেছেন, একটা কওমকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছে এই পাপাচারের জন্য যা আমরা আল্লাহর নবীর মাধ্যমেই জানতে পারি।

অথচ তাকেই এই অপবাদ কিছু জাল তাফসীর আর জাল হাদীসের মাধ্যমে। আমি সেভাবে ধার্মিক না, কিন্তু সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী এবং মহান রাসুলের অনুসারী যখন তাকে নিয়ে এই মিথ্যাচার তখন আর থাকতে পারলাম না, রাত একটায় একটা পোষ্ট দিয়ে ওই ব্লগারের পোষ্ট চোখে পড়ে, নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানে এর পর রাত তিনটা পর্যন্ত জেগে এই ব্লগ লিখি। কারন যৌক্তিক কিছু আমি সহ্য করতে পারি, কিন্তু মিথ্যা না।

কেউ যদি সমকামী হয়ও তাতে আমার কিছু না, (এই যুগ টাই এমন) কিন্তু আমার মহানবীকে কেন এই অপবাদ দেবে? ঢালাওভাবে একটা ধর্মকে দায়ী করবে? সেই পয়েন্ট থেকে পবিত্র কোরানের রেফারেন্স টেনে এই পোষ্ট দিয়েছি।

আপনার পোষ্ট আমি দেখছি সেটাতে মন্তব্যও দিয়েছিলাম যখন লিখছিলেন। এই ঘৃনিত মানব বিকৃতির বিরুদ্ধে ঘৃনা এ ছাড়া আমার কোন ব্যাক্তিগত অনুভুতি নেই এই ব্যাপারে।

৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: সমকামিতা বিকৃতি রুচির কাজ।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:০৯

শের শায়রী বলেছেন: সহমত রাজীব ভাই।

৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: কি বলি কতটা ঘ্রণা সেটাই বুঝলেন -----------

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই।

৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দেখুন ধর্মের মধ্যে যে বা যারা মানি কিছু ভন্ড হুজুর, কিছু ভন্ড সাধু আছে যারা ধর্মকে টানে সব কিছুর মধ্যে। যেসন ধরুন অনেকে বলে যে ধর্মের নাম করে মসজিদ, মাদ্রাসায় ভন্ডামি করা হয়। আসলে ধর্মের নাম করে নয়, ধর্মের জন্য নয়। এরা হচ্ছে পশুর থেকেও অদম। এদের কখনো মানুষ বলে বিবেচনা করা যায় না। তাই এদের মতো অমানুষদের উচিত সমাজ, দেশ লোকলয় থেকে বিচ্ছেদ করা বা হত্যা করা। কিন্তু আমাদের দেশে এটা হচ্ছে না।

তাই আমি সব সময় মনে করি যে কোন ধর্ম কখনো কোন কিছুর মধ্যে টানা উচিত নয়, অন্যায়, অপবাদ, অশ্লীল, হত্যা, ধর্ষণ এইসব কোন ধর্মের কারণে হয় না। এসব হয় মানুষের মন-মানসিকতা থেকে, মানুষের অমানুষি কার্যাকলাপ থেকে। তাই আমার একটাই কথা আমি মনে করি এই ধরণের মানুষদের সমাজ, দেশ, লোকায়ল থেকেই বের করা বা হত্যা করা উচিত।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৩

শের শায়রী বলেছেন: এদের থেকে শত হস্তে দূরে থাকাই শ্রেয় ভাবি আপা। মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।।

৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:২৮

রানার ব্লগ বলেছেন: এই ব্যাপারে আমার একটা জিজ্ঞাসা আছে, আমি সুত্র দিতে পারছি না কারন খুজে বের করতে ইচ্ছে করছে না।

১। বলা হয়ে থাকে যদি দুই একি লিঙ্গের লোক কামের বসবর্তি হয়ে দুজন কাছাকাছি হয় তখন আল্লাহের আরশ কাপতে থাকে।

২। এটাও বলা হয় যে, বেহেস্তে গেলে পুরুষ বেহেস্তবাসি কে ৭-১০ বছর বয়সি ছেলে গোলেমান দেয়া হবে উপভগের জন্য

এখানে আমার প্রশ্ন হল একি কাজে এমন বিপরিত মনভাব কেন ? একটু চটুল ভাষায় বললে বলতে পারি কেয়েমতের পর আল্লাহ কি আরশ ধংস করে দিবে ?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই, আপনার প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলি, আল্লাহর আরশ কাপাকাপি এত সোজা হলে অনেক আগেই ভেঙ্গে পড়ত :)

আর দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাব, কোথায় লেখা আছে বেহেশতে গেলে ৭-১০ বছর বয়সি ছেলেদের দেয়া হবে উপভোগের জন্য? কোরানে কি এমন কিছু লেখা আছে? যদি না থাকে তবে আর যেখানেই থাকুক তার কোন মুল্য নেই, কারন কোরানই প্রথম এবং শেষ কথা আমার কাছে।

৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: মজার ব্যাপার হল মাদ্রাসায় এই সব ভন্ড হুজুররা আমার উল্যেখিত দ্বিতীয় কথন খানা উল্যেখ করে ভেস্তের লোভ দেখিয়ে এই ধরনের অপকর্ম করে। আর একটু খেয়াল করবেন তারা এতিম বাচ্চা বেশি খোজে কারন এতিম বাচ্চাদের অভিভাবক নাই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৩২

শের শায়রী বলেছেন: মাদ্রাসার না সব জায়গায় কিছু না কিছু মানুষ থাকে যারা তাদের সুবিধা মত বানী বানিয়ে সেটাকে প্রচার করে অনৈতিক সুবিধা নেয়, সেটা আপনি ধর্ম, রাজনীতি বা ইতিহাসে বলুন। এদের অপকর্মর জন্য ধর্ম, রাজনীতি বা ইতিহাস দায়ী না।

১০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৪৮

একাল-সেকাল বলেছেন:
ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে, "DON'T JUDGE A BOOK BY ITS COVER"
কিছু কুলাঙ্গার সর্বত্রই থাকে। মসজিদ, মন্দিরে জুতা চুরি হয় বলে কেউ যদি বলে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা হচ্ছে চুরের আস্তানা। নিঃসন্দেহে মন্তব্যকারী নিজের মূর্খতাকেই জাহির করল।

খিস্ট্রান ধর্ম

বাইবেলে সমকামিতার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা না থাকলেও আংশিক যা আছে তার সারমর্ম হলো:

সমকামিতা এক ধরনের পাপ। এক্ষেত্রে রোমীয় ১:২৬-২৭ সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষা দেয় যে, ঈশ্বরের অবাধ্য হওয়া এবং তাঁকে অস্বীকার করার ফলস্বরূপ সমকামিতার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। লোকেরা যখন অবিশ্বাসের কারণে পাপ করতেই থাকে, তখন ঈশ্বর “লজ্জাপূর্ণ কামনার হাতে” তাদের ছেড়ে দেন যেন তারা আরও জঘন্য পাপে ডুবে যায় এবং ঈশ্বরের কাছ থেকে দূরে থাকার ফলে নিস্ফল ও নৈরাশ্যের জীবন অনুভব করতে পারে। ১ করিন্থীয় ৬:৯ পদে বলা হয়েছে যে, যারা সমকামিতায় “দোষী”, তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকার পাবে না।

ঈশ্বর সমকামিতার মনোভাব দিয়ে মানুষ সৃষ্টি করেন নাই। পবিত্র বাইবেল বলেছে, লোকেরা পাপের কারণে সমকামী হয় (রোমীয় ১:২৪-২৭) এবং এটা তাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছার পরিণতি।


হিন্দু ধর্ম

হিন্দুধর্ম শাস্ত্রেও সমকামিতার বিধান দেখতে পাওয়া যায়| না। দেবতা বিষ্ণু ও মহাদেব শিবের হরিহর রুপে মিলন এইরকম একটি পৌরানিক আখ্যান থেকে অনেকের মতে সমকামিতা নির্দেষ করে | যদিও বিষ্ণূ সেই সময় নারীরুপে ছিলেন বলে সমকামিতার অভিযোগ যুক্তিতে খাটে না।
তাছাড়া যেহেতু এইসব কাহিনী পুরানসমূহ হতে জানা যায়, তাই হিন্দু ধর্মালম্বীরা এই কাহিনিকে আধ্যাত্ত্বিক বা যেসব বিষয়ে ভক্তি ও য়ুক্তির এক রহস্য লুকিয়ে থাকে এমন বিষয়ই মনে করে থাকেন।

বাংলাদেশে সমকামিতার শাস্তি আছে। তারপর ও যারা এই ঘৃণ্য কর্ম করে তাদেরকে ধর্মের মত রাষ্ট্রও আইন মানাতে ব্যর্থ। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, চোরায় না শুনে ধর্মবাণী।"

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই আপনার মন্তব্যের এই লাইনেই মসজিদ, মন্দিরে জুতা চুরি হয় বলে কেউ যদি বলে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা হচ্ছে চুরের আস্তানা। নিঃসন্দেহে মন্তব্যকারী নিজের মূর্খতাকেই জাহির করল। জবাব নিহিত আছে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।।

১১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: @ একাল-সেকালঃ বিভিন্ন ধর্মে সমকামিতা কে কী দৃষ্টিতে দেখা হয় সেটা বিস্তারিত ভাবে লেখা হচ্ছে। আমার রানিং সিরিজেই পোস্ট দিবো।

১২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:০৯

নীল আকাশ বলেছেন: @ রানার ব্লগঃ আল্লাহর আরশ কাপাকাপির ব্যাপার আমার কাছে বিশ্বাস যোগ্য নয়। আমি এই বিষয়ে ইসলামে অনেক কিছু পড়েছি এটা এখনও পাই নি।

শুনুন, একজন ধর্ষনকারীর একমাত্র পরিচয় হলো সে ধর্ষনকারী। সে হিন্দু, মুসলিম না নাস্তিক তাতে কিছু যায় আসে না। সে এই অপরাধ কোথায় করেছে সেটা তাতেও কিছু যায় আসে না।
ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো লিখেছেন। অনেকদিন আগে নীল আকাশ ভাইও বিষয়টি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট দিয়েছিলেন।

শুভেচ্ছা নিয়েন প্রিয় শায়রীভাই।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০২

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, জ্বি নীল আকাশ ভাই এনিয়ে লিখছিলেন, তবে আমি লিখছি এক দম ধর্মগ্রন্থ থেকে কারন পোষ্টেই উল্লেখ্য করছি, কিছু মানুষ আছে, ধর্ম বা বিভিন্ন ধর্মীয় মহাপুরুষদের নামে বাজে কথা বলে আনন্দ পায়, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে প্রতিটা ধর্মকে সন্মান এবং অন্য ধর্মাবলাম্বীদের ধর্মগুরুদের নিয়ে বাজে কথা বলার চিন্তাও করিনা, অথচ কিছু মানুষ যারা বিভিন্ন ধর্মগুরুদের যা তা বলে তাদের একজনের পোষ্টের পরিপ্রেক্ষিতে এই পোষ্ট দিয়েছি।

অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই

১৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার রাসূল প্রেম কবুল হোক।
পেরেশান হবেন না ভায়া, তারাতো এরচে জঘন্য ছিল। নামাজরত রাসুল সা: এর উপর উটের নাড়ী ভুড়ি চাপিয়ে দিয়েছিল!
তারাতো আরো জঘন্য ছিল- পথে কাটা বিছিয়ে রাখতো!
তারাতো আরো জঘণ্য ছিল উনাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল-

তাদেরই অনুসারীরাতো রয়েই গেছে। তাদের আচরণে সেই পাপ তারা বহন করছে। হেদায়েত কে তারা তুচ্ছ ভেবে ফু দিয়ে উড়িয়ে দিতে চাইছে! হাজার বছরে কতজন কতভাবেই না চেষ্টা করলো! পেরেছে কি? না। পারেনা। সত্য আপন জৌতিতে সমুজ্জ্বল।

ধার্মিকের ভুলে ধর্মকে কাঠগড়ায় তোলার মানুষের যেমন অভাব নেই - আবার ধর্মের শক্ত প্রতিপক্ষ পূজিবাদের স্বার্থও তাতে দারুন জ্বালানী জোগায়। ধর্ম যখন কৃচ্ছতার জীবন যাপনে, উৎসাহিত করে, পূজিবাদ আঁতকে ওঠে!
যখন সাম্যতার বানী প্রতিষ্ঠিত করার আহবান জানায় - আর্তচীতকার করে পূজিবাদ সকল অস্ত্র প্রয়োগ করে ধর্মকেই অপ্রয়োজনীয় প্রমাণে। যুগে যুগে এমনইতো দেখি পরম্পরাকে বিশ্লেষন করলে।

এখনো পূঁজিবাদের একমাত্র প্রতিপক্ষ ধর্ম। সত্য ধর্ম। তাই তারাই সবচে বেশি বিনিয়োগ করে ধর্মহীনতার সংস্কৃতি বিকাশে। আর যে পোষাকি, আচার ধর্মী ধর্ম তাতেও তারা উৎসাহি ! কারণ তাতে বানিজ্যটা রয়েই যায়!

তাই ইগনোর করুন। তাদের অপরাধ শীঘ্রই তাদের গ্রাস করবে। এবং তারা প্রতিফল দেখতে পাবে।
ধৈর্য এবং বিনয়ের সাথে সত্য সাধনাই সাধকের কাজ।

++++++++++

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

শের শায়রী বলেছেন: আপনার মন্তব্য এক সুশীতল বাতাস ম্যাভাই।

কৃতজ্ঞতা।

১৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩০

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটা পোস্ট। এই বিষয়ে আমার একটা আগ্রহ ছিল। জানা দরকার। আগামিকাল পড়ে তারপর মন্তব্য জানাচ্ছি। এখন ঘুমাই। শুভ রাত্রি।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৭

শের শায়রী বলেছেন: আকতার ভাই কি ঘুম দিয়ে উঠে আর পড়ছেন কিনা সেটা আমরা জানি না :)

১৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৭

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:

খুবই উল্লেখযোগ্য একটি পোষ্ট। গুরুত্বপূর্ণ তো বটেই-
আপনার আগের পোষ্টগুলো বিভিন্ন ঘটনাপরম্পরায় দ্রষ্টব্য ছিল, কিন্তু এই পোষ্টটি নিখুতভাবে আপনার বিচক্ষণতা তুলে ধরেছেন।
তবে আপনার এই পোষ্টে কিন্তু আপনি সমকাম সম্পর্কিত ধর্মীয় প্রকৃত ব্যাখ্যার পাশাপাশি সমকামের পারিবারিক, সামাজিক, শারীরিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে একটু বিস্তারিত লিখতে পারতেন, তাহলে কিন্তু ধর্ম কেন তার বিপক্ষে তা পরিস্কার হতো!
শুভকামনা বড়ভাই! একজন মুগ্ধ পাঠক হিসাবে আপনার সবরকম ভালো থাকা কামনা করছি-

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই আমার,

এই পোষ্ট আমি সমকামিতার বিরুদ্ধে পারবারিক, সামাজিক বা শারীরিক ক্ষতির দৃষ্টি নিয়ে লিখি নি, যখন লিখতে বসেছিলাম, এক মারাত্মক ক্ষুদ্ধ অভিব্যাক্তি নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। যেটা আমি নীল আকাশ ভাইর কমেন্টে দিয়েছি। সেটাই আবার লিখলাম

আমার এই পোষ্ট লেখার পেছনে কালকে একটা কারন ছিল এক কমেন্টের সুত্র ধরে আর একজনের পোষ্টে গিয়ে দেখি (সঙ্গত কারনেই পোষ্ট দাতার নাম উল্লেখ্য করলাম না), তিনি মহানবীকে নিয়ে যাচ্ছেতাই লিখছে এমনকি সমকামীতা সহ আরো ঘৃনিত অপবাদ দিতেও কুন্ঠা করেনি। অথচ এই মহানবীই আল্লাহর কাছ থেকে প্রেরিত ওহী মাধ্যমে একে ঘৃনিত কাজ হিসাবে বলেছেন, একটা কওমকে আল্লাহ ধ্বংস করে দিয়েছে এই পাপাচারের জন্য যা আমরা আল্লাহর নবীর মাধ্যমেই জানতে পারি।

অথচ তাকেই এই অপবাদ কিছু জাল তাফসীর আর জাল হাদীসের মাধ্যমে। আমি সেভাবে ধার্মিক না, কিন্তু সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী এবং মহান রাসুলের অনুসারী যখন তাকে নিয়ে এই মিথ্যাচার তখন আর থাকতে পারলাম না, রাত একটায় একটা পোষ্ট দিয়ে ওই ব্লগারের পোষ্ট চোখে পড়ে, নিজের ক্ষুদ্র জ্ঞানে এর পর রাত তিনটা পর্যন্ত জেগে এই ব্লগ লিখি। কারন যৌক্তিক কিছু আমি সহ্য করতে পারি, কিন্তু মিথ্যা না।

কেউ যদি সমকামী হয়ও তাতে আমার কিছু না, (এই যুগ টাই এমন) কিন্তু আমার মহানবীকে কেন এই অপবাদ দেবে? ঢালাওভাবে একটা ধর্মকে দায়ী করবে? সেই পয়েন্ট থেকে পবিত্র কোরানের রেফারেন্স টেনে এই পোষ্ট দিয়েছি।

পাঠে কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয় ভাই।

১৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:৫৮

অব্যর্থ বলেছেন:

রাজীব নুর বলেছেন: সমকামিতা বিকৃতি রুচির কাজ।

উপরের কমেন্টটি আপনার, নীল আকাশ ভাইয়ের ব্লগে কমেন্টটি করেছিলেন। আপনার আইডি হ্যাক ট্যাঁক হইসে নাকি রাজীব ভাই? আমি জানি আপনি ধর্মীয় বিষয়ে অন্যদের মত সরাসরি কটু কথা না বলে "sarcasm" এর আশ্রয় নেন কিন্তু তারপরও মনে হল কোন অঘটন ঘটল কি না।

১৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪১

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: যাদের রুচি বিকৃত তারাই সমকামিতায় লিপ্ত হয়--- আন্তরিক ধন্যবাদ একটি মূল্যবান পোস্ট দেয়ার জন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: মন্তব্যে অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন বোন।

১৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৯

আরোগ্য বলেছেন: লূত আ এর সম্প্রদায় যেমন বলেছিল, " বের করে দাও এদের, এরা খুব সাধু থাকতে চায় "। তদ্রূপ আমরা মুসলমানদেরও দায়িত্ব সর্ববিষয়ে সাধুবাদ অবলম্বন করা কিন্তু পরশ্রীকাতররা হিংসা করে নানা মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাদের ধ্বংসের দিকে ধাবিত করতে চায়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: ভাই মুসলমানদের মাঝেও অনেক খারাপ মানুষ আছে, যাদের অনেক হীনমন্যতা সহ অনেক দুর্বলতা আছে, কিন্তু তার জন্য আমি ধর্মকে দায়ী করতে রাজীনা, একই কথা অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রেও খাটে।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা ভাই।

২০| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ ভোর ৬:২৪

রাফা বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় ধর্মের পক্ষে সঠিক যুক্তি উপস্থাপনের চেষ্টা ভালো লেগেছে।ধর্ম নিয়ে পোষ্টে আমি সাধারনত মন্তব্য করিনা কারন যুক্তির চাইতে কুযুক্তি প্রধান্য পায় সচারাচর।না করার আরো একটি কারন আমার একটি সত্য কথা তাদের অন্তরে (মুনাফেক)আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে।তখন তারা যুক্তি না দিয়ে আমার আল্লাহ্ এবং রসুলকে নিয়ে এমন জঘন্য কথা বলবে যা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া দোযখের আজাবের অনুরুপ।@ ইফতেখার আহমেদ-প্রকৃত ধর্মের অনুসারিরা ধর্মকে গৌরবজ্জল করে তুলে।বর্তমান আন্তর্জাতিক প্রচার মাধ্যমে যাদেরকে ইসলাম ধর্মের অনুসারি রুপে হাজির করা হয়।তারা কি প্রকৃতপক্ষে ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে? অবশ্যই করেনা হাতে গুনে বলে দেওয়া যাবে তারা ২/১ পার্সেন্টও নয় এবং তারা ইসলামের শত্রু বললেও কম বলা হবে।কারন কোন ধর্মের অনুসারিই তার ধর্মকে বিতর্কিত করবেনা জিবন থাকতে।বরং তারা ধর্মকে মহিননান্বিত করবে।

যে ধর্মে স্পষ্ট বলে দেওয়া আছে যে একজন সাধারন মানুষকে হত্যা কসলো সে যেনো সমস্ত মানব জাতিকেই হত্যা করলো।বলুন কেউ জেনে শুনে এতবড় গুণাহর কাজ কি করতে পারে ? বিপরীতে আছে কেউ যদি একজন মানুষের জিবন রক্ষা করলো সে সমস্ত মানব জাতির জিবন রক্ষাকারিদের একজন বলেই পরিগণিত হবে।যে ধর্ম এই শিক্ষা দেয় সে ধর্মের অনুসারি কি আত্মঘাতি হত্যায় নিস্পাপ মানুষ হত্যা করতে পারে? গুটি কয়েক আল্ কায়েদা আর আইসিস দেখিয়ে যদি বলে এটাই ইসলাম ।এই দেখুন ইসলামের প্রকৃত রুপ -এর উত্তর কি হোতে পারে বলুন! কোটি কোটি মুসলিম হজ্ব,জাকাত,সালাত-এর মাধ্যমে যা করছে তার প্রচার কোথা্য! বর্তমান যুগটা হইতেছে বিজ্ঞান ও মিডিয়ার যুগ ,কাজেই এগুলো কাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নিশ্চই বলার অপেক্ষা রাখেনা। কাজেই এর জবাব দিতে হলে এগুলোতে দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই।লোহা দিয়ে লোহা কাটতে হয়।আফসোস মুসলিমদের হাতে এত ধন সম্পদ থাকার পরেও আমরা প্রকৃতপক্ষে কিছুই করতে পারছিনা।

সবশেষে, সত্যের কাছে মিথ্যা চিরদিনই বিলিন হয়ে যায়।সত্যের মশাল নিয়ে এগিয়ে আসা টুকুই এখন সময়ের মূল দাবি।দুঃখিত দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য। ধন্যবাদ,শে.শায়রী।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪১

শের শায়রী বলেছেন: অনেক সময় মন্তব্য মুল পোষ্টের বক্তব্যকে সুচারু রূপে প্রকাশ করে এটাই ব্লগের সৌন্দর্য্য। আপনার মন্তব্যও সেই রকম আমার কাছে। অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

নতুন বলেছেন: ধমের গোড়া বিশ্বাস এবং অনেক কিছুই পরিস্কার কিছু না।

এই গ্রে এরিয়ার জন্যই বিভিন্ন মানুষ ধমের ব্যক্ষ্যা নিজের সুবিধা মতন করে।

আইএসএস মানুষ হত্যা করে ইসলামের নামে, তারা অনুসারীদের শহীদ হবার জন্য সপ্ন দেখায়। মজার ব্যাপার হইলো যেই নেতা অন্যকে আত্নঘাতী বোমার মেরে বেহেস্তে যাবার জন্য অনুপ্রানিত করে তিনি কিন্তু সবাইকে পাঠানোর কাজই করে, নিজে বেহেস্তে যেতে চায় না। B-)

রাজনিতি এখানে ধম`কে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়, সাধারন মানুষের ধম`বিশ্বাসকে ব্যবহার করে নেতারা।

সমকামীতা অবশ্যই ভালো কিছু না কিন্তু ধমে নিষেধের জন্যই তাদের উপরে নিযাতন করতে হবে সেটা কতটুকু ঠিক।

Sodom and Gomorrah এর কাহিনি ওল্ড টেস্টিমেন্টে এসেছে এবং নতুন বাইবেলেও আছে... কোরানেও এসেছে...

শুধু ঈহুদী, খৃ্স্টান এবং ইসলামে কঠিন ভাবে সমকামিতার বিরোধিতা করে...

Zoroastrianism, হিন্দু, Confucianism, Buddhism বা অন্য কোন ধমে কিন্তু সমকামিতার পক্ষে বা বিপক্ষে তেমন জোরালো কথাবাত্রা নাই। তাই তারা সমকামী হলে ফাসী চাইবেনা।

ধম`গুলি বিভিন্ন ইসু তার প্রয়োজন মতন ব্যবহার করেছে, সমকামী ইসুও তেমন একটা বিষয়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, সমকামী ইস্যু নিয়ে আমার খুব একটা মাথাব্যথ্যা নেই। ব্যাক্তিগতভাবে এই ব্যাপারটা আমি ঘৃনা করি, সেটা একান্ত আমার ব্যাক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু ধর্মে বিশ্বাস না করলেই কি ধর্ম গুরু বা পথ প্রদর্শকদের নিয়ে যা তা ঘৃনিত মন্তব্য করতে হবে? আমি এই পোষ্ট মুলত লিখছি অন্য আর একজনের পোষ্টের উদ্ধৃতি দিয়ে (সঙ্গত কারনেই তার নাম লিখলাম না)। সেখানে মহানবীকে এই অপবাদে অভিযুক্ত করা হয়েছে (নাউযুবিল্লাহ)।

আমার কথা ক্লিয়ার, কিছু মানুষের ধর্মের অপ ব্যাখ্যা দিয়ে যেমন আই এস বা দেওয়ানবাগীর ইসলাম দিয়ে যেমন ধর্মকে বিচার করা উচিত না, তেমনি ধর্মে অবিশ্বাসী হলেই ধর্ম প্রচারকদের নামে বাজে কথা বা ধর্ম নিয়ে আঘাত দিয়ে লেখা উচিত না। ধর্ম একান্ত ব্যাক্তিগত ব্যাপার। সেখানেই থাকুক।

মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।

২২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

নতুন বলেছেন: যখন কেউ ধম` বিদ্বেষী হয়ে মন্তব্য করে তখন সেই ধম`কে ছোট করার উদ্দেশ্য হয়ে যায়।

সমালোচনা করার সময় যুক্তি এবং তথ্য দিয়ে সমালোচনা করা উচিত।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১১

শের শায়রী বলেছেন: এই যুক্তি আর তথ্যের বড় অভাব প্রিয় ভাই, অন্ধ মৌল বাদীদের যেমন অন্ধ যুক্তি, অন্ধ ধর্ম বিদ্বেষকারীদের তেমন অন্ধ বিদ্বেষ।

আবারো কৃতজ্ঞতা প্রিয় ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.