নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোয়ারান্টাইন, মেন্দাসিয়াম, জোবরিষ্ট ভাইরাস, ইনফার্নো...

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪০



ড্যান ব্রাউনের “ইনফার্নো” পড়ছেন? আমি আবার ড্যান ব্রাউনের মারাত্মক ভক্ত। ড্যান ব্রাউনের সব কয়টি বইই কালেকশানে আছে। ইনফার্নো হল ভাইরাস ছড়ানো নিয়ে ড্যান ব্রাউন ষ্টাইলের এক মহাকাব্য। অনেক আগে পড়ছিলাম, এই করোনা ভাইরাস আসার পর আবারো হাতে নিলাম পড়ার জন্য। এই পোষ্ট সেই ইনফার্নোর টুকরা টাকরা নির্যাস আর বিভিন্ন অন্তর্জাল থেকে নিয়ে তৈরী। কি করব বাসায় বসে তো সময় পাস করতে হবে সেক্ষেত্রে লেখা লেখি আর পড়াশুনা আমার জন্য সব থেকে আনন্দদায়ক ব্যাপার।



আচ্ছা কোয়ারেন্টাইন শব্দটির সাথে আমাদের এখন সবার পরিচয় ঘটছে, কিন্তু এর উৎপত্তি কোথা থেকে জানেন? মধ্যযুগ। ইতালির অন্যতম প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র ভেনিস। সব দিক দিয়ে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর সম্পদশালী সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে শক্তিশালী শহর। বিদেশীদের প্রতি অত্যন্ত বন্ধুশীল এই শহরের বাসিন্দারা। বাস্তবতা হল ইতালির সাথে আমাদের দেশের মানুষের চারিত্রিক অনেক মিল আছে। যাই হোক, প্রানঘাতী প্লেগ বানিজ্যিক জাহাজের মাধ্যমে জীবানু আক্রান্ত ইদুরের মাধ্যমে চীন থেকে ভেনিসে আসে। ততদিন চীনের এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা মারা গেছে সেই প্লেগে। ইউরোপে আসা মাত্র এই রোগের ছোবলে তিনজনের একজন আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কবলে ঢলে পরে। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ, শিশু কেউই রক্ষা পায়নি সেই ছোবল থেকে।



সে প্লেগের আক্রমনে ভেনিসের অবস্থা এমন হয় যে, লাশ কবর দেবার মত মানুষ পাওয়া যেত না, উপায়ন্ত না দেখে প্লেগে আক্রান্ত মরা মানুষগুলো ভাসিয়ে দেয়া হত ভেনিসের খালে বিলে। কিছু কিছু খাল বিলে এত লাশ জমে গিয়েছিল যে সেখানে গন্ডোলা (ভেনিসে অসংখ্য খাল, বিল আছে সেখানে যে নৌকা গুলো চলে যাতে এখন পর্যটকরা ঘুরে বেড়ায় তাকে “গন্ডোলা” বলে) চালাতে গেলে লগি দিয়ে লাশ সরিয়ে তারপর জায়গা করে এগোতে হত।



শহরকে রক্ষা করার জন্য গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা মৃত্যুর মিছিলকে সামলাতে পারছিলো না, এক পর্যায়ে শাসক শ্রেনী বুজতে পারে (যদিও ততদিনে দেরী হয়ে গেছে, এখনকার পরিস্থিতি কি খুব বেশী পরিবর্তিত হয়েছে?) বিদেশী জাহাজে করে প্লেগে আক্রান্ত ইদুরের মাধ্যমে এই রোগ ইতালিতে ঢুকছে। তারা একটা ডিক্রি জারি করে বাইরে থেকে কোন জাহাজ আসলে সরাসরি বন্দরে ঢুকতে পারবে না, বন্দর থেকে কিছুটা দূরে সে জাহাজ নোঙর করা থাকবে এবং চল্লিশ দিন থাকার পর জাহাজ থেকে মাল নামানোর অনুমতি দেয়া হত – ইতালিয় ভাষায় চল্লিশ সংখ্যাটিকে বলে “কোয়ারান্তা” – সেখান থেকে কোয়ারান্টাইন – ইতালিতে কোয়ারান্তা মানে “চল্লিশ” খুবই তিক্ত স্মৃতি। সেই তিক্ত স্মৃতি আবারো পৃথিবী জুড়ে ফিরে আসছে যার নাম কোয়ারান্টাইন।



এই ইনফার্নো বইতেই রহস্যময় একটা জাহাজের নাম আছে “মেন্দাসিয়াম”। মেন্দাসিয়াম হল সুইডোলোগোসের রহস্যময় দেবতা। এই দেবতা পারদর্শী হল মিথ্যাচার, জালিয়াতি আর বানোয়াট কাজকর্মে। বিশ্বাস করুন ইউরোপে এমন কিছু গোপন বেসরকারী সংস্থা আছে যারা টাকার বিনিময়ে মানুষের দৃষ্টি অন্য দিকে ফেরায়। সেখানে ন্যায় অন্যায় বোধটা অপ্রয়োজনীয়। ক্লায়েন্ট এর চাওয়াটাই সেখানে মুখ্য। এদের কাজের দু একটা উদাহরন দেই। আমেরিকা ইরাক আক্রমন করার আগে সাধারন সেন্টিমেন্ট তাদের দিকে নিয়ে যাবার জন্য বিশাল এক কেমিক্যাল যুদ্ধাস্ত্রর গল্প ফাদে সে এমনই এক গল্প এর সমর্থনে প্রচুর প্রমানও হাজির হয় কিন্তু হাজার মানুষের জীবনহানির পরে যখন আমেরিকা যুদ্ধে জেতে দেখা যায় সব ফকফকা। ইরানে কন্ট্রা কেলেঙ্কারী মনে আছে? এই কাজগুলো করা হয় বেসরকারী এই সব কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে অঢেল টাকার মাধ্যমে। যেখানে পরবর্তী অন্যায়কে জায়েজ করার জন্য পাব্লিকলি একটা ইল্যুশান তৈরী করা হয়। আপাতত মেন্দাসিয়ামের কাহিনী এটুকুই থাকুক।



এইবার আসি জোবরিষ্ট ভাইরাসের কাহিনী। ইনফার্নোর পুরা কাহিনীই এই জোবরিষ্ট ভাইরাসকে নিয়ে। বারট্রান্ড জোবরিষ্ট নামক একজন জিনতত্ত্ব বিদ একটা পেপার লেখে তাতে সে হিসাব করে দেখায় মানবজাতি বিলুপ্তির একেবারে দ্বারপ্রান্তে দাড়িয়ে আছে, পৃথিবীর জনসংখ্যা যদি কোন দৈব দুর্বিপাকে দ্রুত এবং ব্যাপকহারে হ্রাস না পায় তবে আমাদের প্রজাতি আগামী একশত বছরও টিকবে না। দুনিয়ার ডাক্তারদের উচিত প্রাকটিস বন্ধ করে দেয়া কারন মানুষের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি পেলে সেটা মানব জাতির জন্য ভয়াবহ পরিনতি বয়ে আনবে।

যাই হোক এই ইউরোপের ব্লাক ডেথের পর এক তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গেলে প্রকৃতি মানুষ্য প্রজাতির অযাচিত অংশ কমিয়ে আনে এবং রেনেসার পথ তৈরী করে দেয়, বারট্রান্ড জোবরিষ্ট এটা হিসাব করে দেখিয়েছিল ইউরোপে তিন জনের একজন মারা যাওয়ার যে রেশিও সেটা একেবারে যথার্থ একটা অনুপাত। বর্তমানে যে হারে মানুষ বাড়ছে তাতে সে এমন একটা ভাইরাস তৈরী করে যাতে মানুষ মারা যাবে না শুধু পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ মানুষ তাদের প্রজনন ক্ষমতা হারাবে এবং এক প্রজন্ম পরই যথার্থ মনুষ্য প্রজাতি পৃথিবীতে থাকবে যারা নতুন পৃথিবী গড়বে। এই ভাইরাসকে ঠেকানোর জন্য শুরু হয় ট্রান্সহিউম্যানিষ্ট গ্রুপ বনাম রবার্ট ল্যাংডনের এক ক্লাসিক্যাল যুদ্ধ যা ইনফার্নো উপন্যাসের মুল উপজীব্য।



এখন চলুন দেখি ইনফার্নো কি? “ম্যাপ অভ হেল” নামেই যার পরিচয়। নরকের মানচিত্র। দান্তের ডিভাইন কমেডি যারা পড়ছেন তারা জানেন এখানে নরকের বর্ননা কত ভয়াবহভাবে দেয়া হয়েছে। মুলতঃ দান্তের এই লেখা প্রকাশ হবার পর পরই খৃষ্টান সম্প্রদায়ের মাঝে ওই যুগে ব্যাপকভাবে চার্চে যাবার আকুলতা দেখা যায়। অনেকের ই ভুল ধারনা আছে “ডিভাইন কমেডি” র ব্যাপারে। অনেকে ভাবেন যেহেতু এখানে কমেডি শব্দটা আছে এটা বোধ হয় স্যাটায়ার বা মজার কোন বই। আসলে এটা সম্পূর্ন ভুল ধারনা। মধ্যযুগে ইটালিয়ান সাহিত্য দুই ধারায় বিভক্ত ছিল ট্র্যাজেডি এবং কমেডি। ট্র্যাজেডি টাইপের লেখানি ছিল উচ্চ মার্গীয় আর লেখা হত ফর্ম্যাল ভাবে আর কমেডি প্রতিনিধিত্ব করত তৎকালীন পরিভাষায় নিম্ন মানের সাহিত্যকে আর লেখা হত কথ্য ভাষায়। অনেক টা আমাদের “আলালের ঘরের দুলাল” এর মত।



ডিভাইন কমেডির লেখক দান্তে অলিঘিয়েরি। এখন কার ইতালি তখন বিভিন্ন ছোট ছোট রাজ্যে বিভক্ত ছিল। দান্তে ফ্লোরেন্স এ জন্ম গ্রহন করেন ১২৬৫ সালে আর মারা যান ১৩২১ সালে। বিশ্ব সাহিত্যর অন্যতম অসাধারন এই লেখাটা তিন ভাগে বিভক্ত, ইনফার্নো, পারগেতোরিও আর পারদিসো। এটা ১৪২৩৩ লাইনের একটা মহাকাব্য। আসলে এই ডিভাইন কমেডির আগে ধর্মের নরকের বর্ননা এত ডিটেইলস আর কারো লেখায় আসে নি। রাতারাতি দান্তের নরক মানুষের কল্পনাকে বাস্তবতায় রূপ দেয়।

ধর্মীয় বই ছাড়া আর কোন বই শিল্পকলা, সাহিত্য আর সঙ্গীতের ওপর এত বেশী প্রভাব বিস্তার করতে পারে নাই। এটি প্রকাশ পাবার পর গত সাতটি শতাব্দী যেভাবে শিল্প সাহিত্যকে প্রভাবিত করেছে আর কোন লেখা সম্ভবতঃ এত প্রভাবিত করতে পারে নি। লংফেলো, চসার, মার্ক্স, বালজাক, বোর্হেস এমনকি বেশ কয়েকজন পোপ ও এটাকে ভিত্তি ধরে নিয়ে লেখা লেখি করেন।



মন্তেভারদি, চায়কোভকস্কি, লিসজিৎ, ওয়াগনার, পুচ্চিনি সৃষ্টি করে গেছেন মহান কিছু সঙ্গীত। আধুনিক অনেক ভিডিও গেমস এই দান্তের ডিভাইন কমেডির নরকের বর্ননায় অনুপ্রানিত। সিষ্টিন চ্যাপেলের স্রষ্টা মাইকেল এ্যাঞ্জেলো ও কিন্তু এই দান্তের ডিভাইন কমেডি দ্ধারা প্রভাবিত ছিলেন। সিষ্টিন চ্যাপেলের বেদীর ওপর এ্যাঞ্জেলো যে ছবি একেছেন তাও ইনফার্নোর তৃতীয় ক্যান্টো দ্ধারা অনুপ্রানিত হয়ে।



চিত্র শিল্পী বত্তিচেল্লী। সান্দ্রো বত্তিচেল্লী। রেনেসার কেন্দ্র বিন্দু ফ্লোরেন্স এ বত্তিচেল্লীর জন্ম ১৪৪৫ সালে। অসংখ্য জগৎ বিখ্যাত ছবির স্রষ্টা। তবে সমালোচকদের মতে তার সেরা কাজ লা মাপ্পা দেল ইনফার্নো বা ম্যাপ অভ হেল। দান্তের বিভীষিকাময় নরকের ছবি ভুগর্ভস্থ ফানেলের আকারে একেছেন বত্তিচেল্লি। আগুন, সালফার, নর্দমা, দানবে পরিপূর্ন একটি ফানেল যার একদম নীচে প্রানকেন্দ্রে শয়তান নিজে। ভয়ঙ্কর তিন মাথা বিশিষ্ট লুসিফার তার তিনটি মুখ দিয়ে তিন জন মানুষকে খাচ্ছে।

পুরা ছবিটা নয়টি স্তরে বিভক্ত। পাপীদের পাপের ভয়াবহতা অনুসারে এক এক দল এক এক স্তরে ঠাই পেয়েছে। একবারে উপরে কামুক দের জন্য। সেখানে দেখা যায় এক নারকীয় ঝড় তাদের উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে মুলতঃ নিজেদের রিপু নিয়ন্ত্রন রাখার ব্যার্থতার প্রতীক হিসাবে এই ঝড়। তার ঠিক নীচেই পেটুকরা যাদের দেখানো মলমুত্রে নর্দমায় মুখ ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত খাবার গ্রহনের শাস্তি। ভুলে যাবেন না আমরা মধ্যযুগের মানসিকতা নিয়ে আলাপ করছি। এর নীচে ধর্মদ্রোহীরা। এরপর আছে ঘুষখোররা। আছে বদরাগীদের জন্য আলাদা স্তর। ফ্রড, বিশ্বাসঘাতকদের জন্য ভিন্ন স্তর। সর্বশেষে, যে মানুষটা দান্তের ডিভাইন কমিডি আর বত্তিচেল্লীর চিত্র দ্ধারা অনুপ্রানিত হয়ে বিশ্ব সাহিত্য কে নাড়া দিয়ে গেলেন তিনি আর কেউ না দ্যা দ্যা ভিঞ্চি কোড এর লেখক ড্যান ব্রাউন তার “ইনফার্নো” বইর মাধ্যমে। আমার এখানকার অধিকাংশ তথ্য উনার বই অবলম্বনে। ড্যান ব্রাউন মানেই নিঃশ্বাস আটকে পড়া শুরু করা।

জানি না কো ইন্সিডেন্স নাকি ড্যান ব্রাউনের “ইনফার্নো” নিয়ে ছবি হয়েছে ২০১৬ সালে আর তাতে অভিনয় করছেন টম হ্যাঙ্কস যিনি কিনা করোনা ভাইরাসে ইনফেক্টেড হয় সবে মাত্র আজকে আইসোলেশান থেকে মুক্তি পেয়েছেন। ছবিটা দেখতে চান? লিঙ্ক (দেখুন Inferno ) তবে আমি কিন্তু বই পড়ার সমর্থন দেব, ড্যান ব্রাউনের সিনেমাগুলোর থেকে বই পড়ায় হাজার গুন বেশি উত্তেজনা। কেন যেন ড্যান ব্রাউনের বই সিনেমায় ঠিক ভাবে ফুটে ওঠে না। যেমনটা হয় নাই তার সব থেকে বিখ্যাত বই দ্যা দ্যা ভিঞ্চি কোড এ।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাদ্দাম হোসেন কুর্দী গ্রামের উপর বিষাক্ত গ্যাসের বোমা ফেলেছিলো।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:০১

শের শায়রী বলেছেন: দ্যাটস ট্রু মুরুব্বী। তো.... এদিয়ে কি বুজাতে চাচ্ছেন?

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ তুমি দুনিয়ার সব মানুষকে হেফাজত করো।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০১

শের শায়রী বলেছেন: হেফাযতের মালিক এক মাত্র আল্লাহ। নিশ্চয়ই তিনি সর্বোত্তম ফয়সালার মালিক।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার লেখায় আছে, আমেরিকা ইরাকে কেমিক্যাল অস্ত্রের মিথ্যা অভিযোগ এনেছিলো।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৩

শের শায়রী বলেছেন: মুরব্বী বিষাক্ত গ্যাস বোমা খুব সাধারন একটা ব্যাপার, স্বীকার করুক না করুক অনেক দেশের হাতেই এটা আছে এবং সাধারন একটা অস্ত্র। কিন্তু যেসব অভিযোগে ইরাক আক্রমন করে মানে ক্যামিক্যাল যুদ্ধাস্ত্র ডেভলপ সহ বায়োলজিক্যাল অস্ত্র ডেভলপ ইত্যাদি সেগুলো কিন্তু যুদ্ধের পর কোন আলামত পায় নাই। আমি জানি ওই দেশের "ক্যামিকেল আলী" কথা। আপনি কি আমাকে কোন অথেনটিক সোর্স ডিতে পারেন যেখানে ইরাক দখলের পর বিশ্ব প্রমান করতে পারছে সাদ্দামের আমলে ইরাকে ক্যামিকেল বা বায়লজিক্যাল উইপন ডেভলপ করছিলো প্রানঘাতী পর্যায়ে? গ্যাস বোমা আর ক্যামিকেল অস্ত্র এক করে ফেলবেন না মুরুব্বী।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১২

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: কোয়ারেন্টাইনের ইতিহাস জেনে দারুন লাগল!
ড্যান ব্রাউন আমারো খুব পছন্দের লেখক।তার লেখা মানেই ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মাঝে এক চমকপ্রদ যাত্রা,অনেক অজানাকে জানা।
আজকাল ইনফার্টিলিটির সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়।যখনি নিকটের কারো এমন কিছু শুনি তখন মাঝে মাঝে ইনফার্নো বইটির কথা মনে হয়।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৯

শের শায়রী বলেছেন: ড্যান ব্রাউন মানেই কিছু ইতিহাস আর ঐতিহ্যের এক অসাধারন থ্রিলার। হ্যা আমারো একই কথা মনে হয় যখনি কোন ইনফার্টিলিটির কথা শুনি। এবং কেন যেন এটা অনেক বিস্তার ও লাভ করছে, অনেকেরই এই সমস্যা দেখা যায়।

পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি লিখেছেন, "আপনি কি আমাকে কোন অথেনটিক সোর্স ডিতে পারেন যেখানে ইরাক দখলের পর বিশ্ব প্রমান করতে পারছে সাদ্দামের আমলে ইরাকে ক্যামিকেল বা বায়লজিক্যাল উইপন ডেভলপ করছিলো প্রানঘাতী পর্যায়ে? "

-যুদ্ধের আগে সাদ্দাম নিজে বলেছিলো যে, তার কাছে এমন কিছু আছে, কোন আমেরিকান সৈন্য ইরাক থেকে জীবিত যেতে পারবে না; এগুলো ছিলো সাদ্দামের পাগলামীর অংশ; কিন্তু এগুোর ভিত্তিতে তার কথানুসারে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিয়েছিলো; সর্বোপরি, কেহ চাহেনি যে সাদ্দাম ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকুক।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৩

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী আপনি লিখছেন -যুদ্ধের আগে সাদ্দাম নিজে বলেছিলো যে, তার কাছে এমন কিছু আছে, কোন আমেরিকান সৈন্য ইরাক থেকে জীবিত যেতে পারবে না; এগুলো ছিলো সাদ্দামের পাগলামীর অংশ; কিন্তু এগুোর ভিত্তিতে তার কথানুসারে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্হা নিয়েছিলো; সর্বোপরি, কেহ চাহেনি যে সাদ্দাম ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকুক। যুদ্ধের আগে কে কি বলছে সেটা ধইরা যুদ্ধ করা কোন সুস্থ্যতার লক্ষ্মন বলতে পারেন? আর সর্বোপরি, কেহ চাহেনি যে সাদ্দাম ২৪ বছর ক্ষমতায় থাকুক। আপনি লিখছেন হ্যা আমিও চাইনি সে ক্ষমতায় থাকুক কিন্তু এর মানে কি আর এক দেশ গিয়ে তারে টাইনা নামাবে? সেক্ষেত্রে এখন বিশ্ব পরিস্থিতিতে কত জন সাদ্দামকে টেনে নামাতে হবে?

আপনার প্রতি আমার প্রশ্ন ছিল আপনি কি আমাকে কোন অথেনটিক সোর্স ডিতে পারেন যেখানে ইরাক দখলের পর বিশ্ব প্রমান করতে পারছে সাদ্দামের আমলে ইরাকে ক্যামিকেল বা বায়লজিক্যাল উইপন ডেভলপ করছিলো প্রানঘাতী পর্যায়ে? আপনি সেটা পারেন নি, আর না পাইরা আউলা ঝাউলা কথা বলছেন আপনার স্বভাব মত। প্রকারান্তে আপনি কিন্তু ওই মেন্দাসিয়াম থিওরীই প্রমান দিলেন। যাই হোক ওটা একটা ফিকশনাল বইর কেচ্ছা, সেটাকেই আপনি সিরিয়াস নিয়ে তর্কে গিয়া লেজে গোবর বানাইয়া দিছেন। আচ্ছা আমেরিকা নিয়া কিছু কইলে আপনার এত গায় লাগে ক্যান কন দেখি মুরুব্বী?

৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৪০

মেটালক্সাইড বলেছেন: বিগত দুই মাস ধরে যখন করোনাভাইরাস নিয়ে ডিটেলস লেখা, রিপোর্ট বা অন্যান্য এনালাইস পড়তাম বা দেখতাম তখনি মনের কোণে "ইনফার্নো" ছবির পুরো কাহিনী ভেসে উঠতো। আর আপনি ব্লগে সেটির বাস্তব রুপ্ তুলে দিয়েছেন।

মারাত্নক তথ্য বের হয়েছে যে, এটি ৩৮০ বার জিনগত বৈশিষ্ট্য বদলে নিয়েছে পরিবর্তিত আবহাওয়া ও মানব সংক্রমণে। দ্বিতীয়ত এটি মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণের মধ্যে সংক্রমিত হচ্ছে না।

এখন পর্যন্ত যত তথ্য ঊদ্ঘাটন হয়েছে তা প্রাকৃতিক ভাইরাসের যে বৈশিষ্ট্য তার সাথে মিলছে না বরং মনুষ্যসৃষ্ট ভাইরাসের যে বৈশিষ্ট্য তার সাথে সামঞ্ঝস্য দেখা যাচ্ছে।

আর এই ভাইরাসের সংক্রমণ যেসব দেশগুলোতে দেখা যাচ্ছে বা হচ্ছে, সেসব দেশ বিশ্ব পরিমন্ডলে কম বেশি গুরুত্ব বহন করে।

সবচেয়ে বড় রহস্য হচ্ছে, পাকিস্তান আর চীন মানিকজোড়। প্রতিদিন হাজার হাজার দুইদেশের মানুষ হেটে বা বাহনে শুধু পাসপোর্ট বা বিনা পাসপোর্টে আসা যাওয়া করে। চীনে যখন এই ভাইরাস মারাত্নক অবস্থায় ছিল তখন আরেক মানিকজোড় কিভাবে অক্ষত অবস্থায় বেচে গেল গাজাখুরি মনে হলেও চিন্তার উপাদান লুকায়িত।
একই চিত্র ভাবায় নেপাল,ভারত,মায়ানমারের ক্ষেত্রেও।

যেহেতু এটি বায়ুবাহিত আর চীন দক্ষিণ এশিয়ার প্রান্তে স্বাভাবিক নিয়মে পার্শ্বপ্রান্তের দেশে দ্রুত সংক্রমিত হওয়ার কথা তদুপরি বিগত দুই তিনমাস দক্ষিণ এশিয়ায় সব অঞ্চলে শীত বা ঠান্ডা ছিল যা এই ভাইরাসটির জন্য আদর্শ।

মনে হচ্ছে, ভয়ানক কোন একটা সত্য এর পেছনে লুকিয়ে আছে যা প্রকাশ্য কেউ আনছে না।
কারণ WHO & IMF হঠাথ ঈশ্বরের অবতারের মত ভবিষ্যতবাণী করছে আর তা অল্প পরে সত্য হয়ে যাচ্ছে।

ধন্যবাদ লেখককে কাব্য, কাহিনী, থ্রিলার ও মুভি একসাথে সুন্দরভাবে বিন্যাসের জন্য।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনি যা নিয়ে আলোচনা করলেন সেটা "কন্সপেরিসি থিওরী" হিসাবে মার্কেটে বেশ চালু আছে, এর বাইরেও এই ভাইরাস নিয়ে অনেক কন্সপেরিসি থিওরী চালু যেমন ধরেন এই ভাইরাস চীনে আমেরিকা দিয়া আসছে... এই টাইপের। আর পাকিস্তানের অবস্থা কিন্তু ভালো না।

আমাদের সাব কন্টিনেন্ট হল টিউব লাইট কিসিমের, সব দেশেই আক্রান্ত হচ্ছে কিন্তু ধরা পড়ছে অনেক দেরীতে। হতে পারে এই সব কন্সপেরিসি থিওরীর মাঝে কোনটা হয়ত সত্য কিন্তু সেটা আমাদের পক্ষে হয়ত কোন দিনই জানা সম্ভব হবে না।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৩

উপেক্ষিতা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা আপনাকে।

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:১৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: History repeats itself!

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

শের শায়রী বলেছেন: আর ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না :)

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ ভোর ৬:১৯

কানিজ রিনা বলেছেন: ড্যান ব্রাউন ইনফার্নো পড়েছি আপনার লেখা
পড়ে মনে পরল। আপনার উপস্থাপন ভাল
লাগল ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা বোন।

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:৩৩

ইসিয়াক বলেছেন: অজানা অনেককিছু জানা হলো শোভন ভাইয়া :`>
এতো এতো পড়ার টাইম পান কিভাবে?
চমৎকার পোষ্টে ভালো লাগা প্রিয়ব্লগার।
ভালো থাকুন। সতর্ক থাকুন।
শুভকামনা।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি সাবধানে থাকবেন। আর পড়ার সময়? আমি এক মাত্র ঘুম ছাড়া সব সময়ই হাতে কিছু একটা রাখি পড়ার জন্য সে খাবার থেকে শুরু করে ইয়ে মানে টয়.... :P কি করুম কন বাজে অভ্যাস ছোড বেলা থেকে ধরছে, ছাড়াছাড়ির লক্ষন নাই ;)

১১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:১১

সোহানী বলেছেন: হিস্ট্রি রিপিট ইটসেল্ফ......। একটার পর একটা এরকম দূর্যোগ আসছে আর আমরা নিজেদেরকে আপডেট করছি। আবার আসছে আবার......।

ম্যালথাসের সে থিউরির কথা মনে পড়ে গেল আবার। প্রকৃতি সবকিছু ব্যালেন্স করে কোন না কোনভাবে...।

বরাবরের মতোই অসাধারন লিখা।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: হ ম্যালথাসের থিওরী আসলেই কাজের। প্রকৃতি অসাঞ্জ্যতা বেশী দিন সহ্য করে না বোন। প্রকৃত সৃষ্ট দুর্যোগ সাথে থাকে মানুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ। নিজেদের আপডেট করতে করতে এখন কততম ভার্সনে আছি নিজেই জানি না :P

১২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:১৪

পদ্মপুকুর বলেছেন: ইসিয়াক দেখি আপনার নাম জানে!!!@@

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

শের শায়রী বলেছেন: পদ্ম ভাই ব্লগ URL এ কিন্তু আমার নাম দেয়া আছে, :)

১৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: চীন থেকে ইতালেতে প্লাগ সেই প্রাচিন কালে এবং এই আধুনিক কালেও যোগটা কি কোন মিরাকল।
কোয়ারান্তা থেকে কোয়ারান্টাইন বেশ ইতিহাস জানা হলো।
লেখা ভালো লগল।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রিয় বোন। আমারো সেটাই ধারনা আর কেন যেন এই সব মহামারী হলেই চায়না আর ইতালী শুরুতে ধরা খায়, এটা আসলেই অদ্ভুত একটা ব্যাপার!

১৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: শুভ সকাল।
আপনার পোষ্ট পড়ে আজকের দিনটি শুরু করলাম।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

শের শায়রী বলেছেন: সন্মানিত বোধ করছি প্রিয় ভাই। অনেক অনেক শুকরিয়া।।

১৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০২

রাজীব নুর বলেছেন: অ‌নেক কিছু তো কমা‌নো হ‌লো। আতশবা‌জিটা বন্ধ করা যেত না? আমার বঙ্গবন্ধু‌কে এভা‌বে অপমান না কর‌লে কি হ‌তো না?

এই বিষয়ে আপনার মতামত কি?

১৮ ই মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই এমন একটা বিষয় আমার মতামত চাইলেন, মানে রাজনীতি, যা আমি খুব সচেতনভাবে এড়িয়ে যাই। যাক দেখুন বঙ্গবন্ধু একটা জাতির সবার মাথার মুকুট, তাকে যখন দলীয় করা হয় তখন যারা সেটা করে আমি বলব সেটা উনাকে ব্যাক্তিস্বার্থেই উনাকে নীচে নামানো হয়। আতশবাজির ব্যাপারে আমি আর কি বলব? যারা এটা করছে তারা নিশ্চয়ই আমার থেকে ভালো বোঝেন এবং সচেতন এবং দায়িত্বশীল। তাই তাদের কাজের ব্যাপারে আমার মত মানুষের মন্তব্য না করাই উত্তম।

১৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: প্রিয় ভাই,
দুর্দান্ত একটা পোস্ট লিখেছেন।
ড্যান ব্রাউন আমার খুব পছন্দের লেখক। তার লেখা মানেই অনেক অজানা তথ্য খুজে পাওয়া। তার এই ইনফারনো বই আমি পড়েছি তবে সিনেমাটা দেখা হয় নি। দেখতে হবে।
তবে আমি পড়ে মজা পেলাম দ্যান্তের বই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায়। এর অনেক কিছু আমি জানতাম না।
পোস্টা লাইকড এবং সোজা প্রিয়'তে।
ধন্যবাদ।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:০৬

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, ব্রাউনের বই মানে সামথিং এক্সট্রা অর্ডিনারী। অজানা সব বিষয়ে জানা। তবে ড্যানের বই আর সিনেমায় আকাশ পাতাল তফাৎ হয়, আসলে ওর বই এক এক লাইন কয়েকবার করে পড়া। আর দান্তের বই নিয়ে একটু চোরামি করছি আমার নিজেরই পুরানো একটা পোষ্ট নরকের মানচিত্র থেকে কপি করছি :P

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ভাই।

১৭| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:০৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনের এই লেখাটা একটু খাপছাড়া হইছে। অনেক কিছু নিয়া এক পোষ্টে আলাপ করতে গিয়া আউলায়া ফালাইছেন। লেখার বিষয় বস্তুতে ধারাবাহিকতার অভাব আছে। বোঝা যায়, আপনের মাথায় অনেক কিছু ছিল লেখার সময়, কিন্তু সময় নিয়া সেগুলি সাজান নাই। এতো তাড়াহুড়া কিয়ের? আপনের তো টাইমের অভাব নাই। :P

সবাই আপনের এই পোষ্টের অনেক প্রশংসা করছে বরাবরের মতোই, আমিও তাই করতে পারতাম। কিন্তু ক্যান জানি মিথ্যা কথা কইতে মন চাইলো না। অনেকরেই মিথ্যা কইরা প্রশংসা করি, কিন্তু আপনে স্বজাতী, প্রতারণা করতে মন চাইলো না। হের লাই স্যরি হইলাম.....আন্তরিকতার সাথেই।

দ্য দা ভিঞ্চি কোড (The Da Vinci Code) আমার পড়া অন্যতম শ্রেষ্ঠ বই। আপনে বইয়ের নাম সবখানে লিখছেন 'দ্যা দ্যা ভিঞ্চি কোড'। দুইটা দ্য কিন্তু এক জিনিস না। প্রথমটা The ঠিক আছে, দ্বিতীয়টা আইছে Da থিকা, যেইটা ভিঞ্চির নামের অংশ। অর্থাৎ 'দা ভিঞ্চি' হের নাম; পুরা নাম লিওনার্দো দি সের পিয়েরো দা ভিঞ্চি (Leonardo di ser Piero da Vinci )।

আশাকরি, আমার কথাগুলি পজিটিভলি নিবেন। আর এমুন মন্তব্য পছন্দ না হইলে জানায়েন.....সঠিক পদক্ষেপ নিমুনে। B-)

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৩

শের শায়রী বলেছেন: স্বজাতি মিছা কতা কেমনে কয় :) ? যা কবার সরাসরি। আসলেই ভিঞ্চির নামে প্যাচ লাগাইয়া দিছি আমি আমার ভুল স্বীকার কইরা নিছি স্বজাতি। তয় এক জায়গায় কিন্তু মিল্লা গ্যাছে দা ভিঞ্চি কোড আমার জীবনের পড়া তিনটা সেরা বইর একটা।

এইডা সত্যি মাঝে মাঝে খুব অস্থির হইয়া যাই, তখন যেন লেখা শ্যাষ করতে পারলেই বাচি। ওদিকে ঘরের আর আশেপাশের সিচ্যূয়েশান দেইখা নিজেও খানিকটা ভড়কাইয়া গেছি :(

না না কুন পদক্ষেপ নিতে হবে না, এক মুরুব্বীড় পদক্ষেপেই আমার ত্রাহি ত্রাহি হস্তক্ষেপ অবস্থা, এর মাঝে আবার আপনি ... মাফ ও চাই দুয়াও চাই।

১৮| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:২৬

করুণাধারা বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট, অনেক কিছু জানলাম। ডিভাইন কমেডির না নিয়ে মনে প্রশ্ন ছিল- আজ উত্তর পেয়ে গেলাম!

ড্যান ব্রাউন আমারও প্রিয় লেখক, কিন্তু ইনফারনো পড়া হয়নি। আপনার পোস্ট পড়ে পড়ার ইচ্ছা হল। বেঁচে থাকলে পড়ার চেষ্টা করব, আপাতত কতদিন বাঁচি সেটাই ভাবার বিষয়। একসাথে একশ জন আক্রান্তকে চিকিৎসা দেবার ক্ষমতা আমাদের দেশ অর্জন করতে পেরেছি কি!!

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৫

শের শায়রী বলেছেন: না বোন এক সাথে একশত জন আক্রান্তকে চিকিৎসা দেবার সক্ষমতা বোধ হয় আমাদের দেশের হয়ে ওঠে নি। যেভাবে অবস্থা খারাপ হচ্ছে.... আর সব থেকে বড় ব্যাপার সবাই যেন জানে কবে থেকে আমাদের অবস্থা খারাপ হবে অথচ যাদের জানার তারা কিছুই জানে না :(

দোয়া রাইখেন।

১৯| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৩

অক্পটে বলেছেন: আপনার লেখায় সব সময়ই এমন কিছু থাকে যা থেকে ভালো কিছু জানা যায়। এবারেরটাও ব্যাতক্রম হয়নি। আপনার লেখা যত বড়ই হোক পড়তে ভালো লাগে।
শুভকামনা প্রিয় ব্লগার।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৫১

শের শায়রী বলেছেন: এই ধরনের মন্তব্য এক দারুন ভালো লাগার অনুভুতি দেয়। আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানুন।

২০| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৩৭

হাসান রাজু বলেছেন: ড্যান ব্রাউন বলেন কিংবা মারিও পুজো উনাদের লেখা থেকে সিনেমা যখন তৈরি করা হয় তখন তা ২ঃ৩০ বা ৩ ঘণ্টায় কখনই ফুটিয়ে তোলা সম্ভব না। আমি দ্যা ভিঞ্চি কোড দেখলাম বই পড়ার আগে ভাবলাম পড়ে ফেললে স্পয়লার হয়ে যাবে। কিন্তু সিনেমা দেখে আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না। পরে সিনেমা দেখে বুঝলাম ঠিকই কিন্তু সেই দমবন্ধ করা উত্তেজনা কাজ করল না। সেই প্যাগন, গোপনসংঘ, ভিঞ্চির লাস্ট সাপারের ব্যাখ্যা পেলাম না।
ব্রাউনের লস্ট সিম্বল পড়েছি, কিন্তু ইনফার্নোর স্বাদ নেইনি এখনো।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩১

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই পইড়া ফালান, গ্যারান্টি ভালো লাগবে। আর ড্যান ব্রাউনের বই মানে বিভিন্ন গোপন ব্যাপার স্যাপারের বিস্তারিত বর্ননা যেটা আবার সিনেমায় দেখানো যায় না, আবার উল্টা দিকে দেখেন, লর্ড অভ দ্যা রিংস বা হ্যারি পটার সিরিজগুলো পড়ার থেকে দেখতে বেশী মজা লাগে।

২১| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: কোথায় আপনি? মন্তব্যের উত্তর কই?

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৩২

শের শায়রী বলেছেন: এই তো প্রিয় ভাই, উত্তরও দিলাম :)

২২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর । তথ্যবহুল পোস্ট।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪০

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

২৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই তাহলে কোয়ারেন্টাইনের কিস্যা!

বাপ্রে কত্ত কিসু জানার আছে ;)
তাইতো বিজ্ঞরা বলেন- জানার কুনু শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই :P =p~

অনেক কিছূ জানলাম।
ধন্যবাদ ম্যা ভাই। দোয়া কইরেন। আমরার কাউন্ট ডাউন শুরু হইছে :((

রাজনীতির মহামারিতে এমনিতেইতো মইরে আছি
প্রাকৃতিক গজব থেকে আল্লাহ যেন রক্ষা করেন।

১৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: রাজনীতির মহামারিতে এমনিতেইতো মইরে আছি
প্রাকৃতিক গজব থেকে আল্লাহ যেন রক্ষা করেন।

ম্যাভাই সব বইলা দিলেন, আমার জন্য আর কিছু রাখলেন না :)

২৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




স্যরি, সেদিন আরেকজন ইন্জিনিয়ারের নাম মনে করতে পারিনি; উনার নিক ছিলো 'ইন্জিনিয়ার কবীর'; অনেকটা নিক ছিলো, সবগুলতে কবীর ছিলো; মনে হয়, তাবলীগ ইন্জিনিয়ার

২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:২৫

শের শায়রী বলেছেন: আচ্ছা জানলাম।

২৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,





দারুন লেখা, চানাচুরের মতো পাঁচমিশেলি!

২০ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:২৭

শের শায়রী বলেছেন: পাথে এবং মন্তব্যে অশষ কৃতজ্ঞতা জানবেন শ্রদ্ধেয় ভাই।

২৬| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৪৫

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ড্যান ব্রাউন আমারও প্রিয় লেখকদের একজন। ইনফার্নো পড়তে গিয়া একটা জিনিস খারাপ লাগলো। ভাইরাস ছাড়ার জন্য তুরস্ক কেন নির্বাচন করা হলো , মুসলিম কান্ট্রি বইলা ? রেসিজমটা কি না থাকিলেই ভালো হইতো না ?

ডা ভিঞ্চি কোড পইড়া তব্দা খাইয়া গেসিলাম ! অপুস দেই যে সত্যিই আছে। ব্যাডায় কত্ত পড়াশুনা করছে। কত্তবড় হেডম , এতো শক্তিশালী অর্গানাইজেশনগুলো নেগেটিভলি উপস্থাপন কইরাও পিডানি খায় নাই !

কন্সপিওরি থিওরির মজা হইলো , ঘটনা ঘটার পরেই আবিষ্কার হয় , আগে কখনও হয় না ! অনেকটা আমাগো দ্যাশের জৌতিষগো বিজ্ঞাপনের মতন , অমুক ঘটনা অমুক জৌতিষ আগেই কইয়া দিছিলেন , মাগার আমরা জানিতে পারিলাম ঘটার পরে !! হে হে হে !

২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: টারজান ভাই আমার মনে হয় ব্রাউনের বইতে খুব একটা রেসিজম থাকে না, আসলে ওর বইতে দেখা যায় ঐতিহ্যবাহী কোণ শহরের উপস্থিতি যা তার গল্পের প্লটের প্রয়োজনেই। দা ভিঞ্চি কোড বা এ্যাঞ্জেল এ্যান্ড ডেমন বইতে দেখেন খ্রিষ্টান ধর্মকে কিভাবে এক হাত নিছে!

আর কন্সরিরেন্সি থিওরী তো কন্সপেরিন্সি! হে হে হে

২৭| ১৯ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কোন কিছুতে মন দিতে পারছিনা। একটা আতঙ্ক কাজ করছে।
তবু এরই মাঝে পড়ে ফেললাম। আপনার চমৎকার তথ্যবহুল উপস্থাপনা কিছু সময়ের জন্য আতঙ্ক ভুলিয়ে দিয়েছিলো।
অসাধারন প্রিয় ভাই।

২০ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: সৌরভ ভাই প্লীজ আতঙ্কিত হবেন না, এই মুহুর্তে যেটা দরকার সাবধানতা এবং মনের জোর। আমার বিশ্বাস সেটা আপনার আছে। পরিবার নিয়ে ভালো থাকুন প্রিয় ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.