নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা নিয়ে ভাবছি না, ভাত খেয়ে বেচে থাকার চিন্তা করছি

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:১০



গোপাল কৃষ্ণা গোখলে একদা বলেছিলেন, “যা বাঙ্গালী আজকে ভাবে ইন্ডিয়া ভাবে পরদিন”। কথাটা একটু ঘুরিয়ে বললে কি অন্যায় হবে “যা এই দেশের সাধারন মানুষ আজকে ভাবে দায়িত্বশীলরা ভাবে দুই মাস পর।” দুই মাস আগে থেকেই সরকারী সংস্থা (আইইডিসিআর) প্রধান মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার নাম এবং চেহারার সাথে পরিচিতি লাভ করছি। একই সাথে অভয়ও পেয়েছি উনার শান্তশিষ্ট মুখভঙ্গিতে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে। সব কিছু আন্ডার কন্ট্রোল এই টাইপের বক্তব্যে জাতি অশেষ সাহসের সাথে অতি স্বাভাবিক ভাবে যার যার কর্মযজ্ঞ করে গেছে। একই সাথে নিশ্চয়তা পেয়েছিলাম বিভিন্ন মন্ত্রী মহোদয়দের অভয়বানীতে আর যাই হোক এই দেশে করোনা আসবে না।

দুই মাস না হোক এই ব্লগের মাস খানেক আগে কিছু ব্লগ খুজলেই পাওয়া যাবে যারা লিখছিলো এই দেশে করোনা আসলে কপালে দুঃখ আছে। সেই দুঃখ এসে গেছে। অফিশিয়ালি দুই জন মারা গেছে আর চব্বিশ জন আক্রান্ত হয়েছে। এবং করোনা ছড়ায় জ্যামিতিক হারে।

জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাবে বলে অনেক আগে থেকেই ভবিষ্যতবানী করা হয়েছিল। ঠিক সেই কথাটিই এখন বাস্তবে এসে গেছে। (দেখুন করোনা সচেতনতার পাশাপাশি আমাদের দরকার) চালের দাম বেড়ে গেছে, সেটা যে কারনেই হোক আর কারন যে খুব একটা অন্যায় তাও মনে হয় না, কারন যদি কোন শহর লক ডাউন হয়ে যায় স্বাভাবিক ভাবেই দাম বেড়ে যাবে। না এটা শুধু আমাদের মানসিকতা না, এ মানসিকতা সারা বিশ্বের। তো আমাদের দোষ দিয়ে লাভ কি? এগুলো বড় কোন ব্যাপার না, এগুলো সাধারন বিষয়। কারন এই ধরনের মহামারীতে এটা অতি স্বাভাবিক।

আমার কাছে অস্বাভাবিক যেটা মনে হয় সেটা হল গত দুই মাস মীরজাদী যতটা অভয় দিয়েছেন, সেই অনুযায়ী কি কাজ করছেন? কোথায় জানি একটা ঘটনা পড়ছিলাম, সত্যি মিথ্যা জানি না, ঘটনাটা এমন, কেউ একজন খুব সম্ভবতঃ মহানবীর সাথে দেখা করতে আসছে, এসে বলল, “হে নবী আমি আপনার সাথে দেখা করতে আসছি।” নবী বললেন, “ভালো কথা তা তোমার উটটা কি করছ?”

“আমি আল্লাহর ওপর ভরসা করে উটটা বাইরে ছেড়ে রেখে আসেছি?” লোকটি বিশাল বিশ্বাসের সাথে বলল।

আল্লাহর নবী স্মিত হেসে বলল “আল্লাহর ওপর অবশ্যই ভরসা রাখবে, কিন্তু উটটা বেঁধে রেখে আসা উচিত ছিল, বিশ্বাসের সাথে কাজটাও করতে হবে।” শেষ পর্যন্ত উটের কি হয়েছিল সে ঘটনা আমার মনে নেই, এটাও মনে নেই এই ঘটনা কোথায় পড়ছিলাম না শুনছিলাম।



যাই হোক, মাননীয়া মীরজাদী থেকে মাননীয় দায়িত্বশীলদের মুখের কথায় আমরা বিশ্বাস করে বসেছিলাম, অবশ্য এর বাইরে আমাদের করারই বা কি আছে? তো বিপদ যখন ঘাড়ের ওপর এসেই গেল দেখলাম কোন হাসপাতালে ডাক্তার নার্স কারো পিপিই (পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট) নেই। জোড়াতালি দিয়ে নাকি পিপিই নামে কিছু জিনিস দেশে তৈরী হচ্ছে। পিপিই এত সহজ জিনিস না। সেক্ষেত্রে এর মুল্য থাকত না। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় নিশ্চয়ই দেখছেন কিভাবে পিপিই পরে আছে যারা বিদেশে চিকিৎসা দিচ্ছে। এই দুইটা মাসে কি প্রতিদিন আমাদের অভয় দেয়ার পাশাপাশি বিদেশ থেকে পিপিই আনা খুব কঠিন কিছু ছিল?

ডাক্তারদের পিপিই আমার কাছে ফার্ষ্ট প্রায়োরিটি। সেখানে আজকে পত্রিকায় দেখলাম মিডফোর্ড হাসপাতালে মাস্ক সরবরাহ সম্ভব না, আবার কয়েক ঘন্টা পরই ঘোষনা আসল মাস্কের কোন অসুবিধা নাই, (দেখুন সম্পদ স্বল্পতায় সকলকে মাস্ক দেওয়া যাচ্ছে না: মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিচালক ) কোনটা সঠিক ধরে নেব? আবার দেখুন এই করোনায় মনে হয় একটা মাস্ক দিয়েই সব প্রটেকশান হয়ে যাবে! বাস্তবতা হল মাস্ক কোন ব্যাপারই না, বায়োহ্যাজার্ড ডিসপোজাবেল স্যুট সহ সারা দেহ ইনক্লুডিং চোখের গগলসই পারে একটা মানুষ কে থিওরিটিক্যালি যথাযথ প্রটেকশান দিতে। আছে কি সে প্রটেকশানের ব্যাবস্থা? অধিকাংশ স্থানে চিকিৎসা সেবা ভয়াবহ আঁকার ধারন করছে, সিজন চেঞ্জ হচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই সর্দি, কাশির প্রকোপ। সর্প ভ্রমে রজ্জু দশায় ডাক্তাররা এখন সাধারন সর্দি, কাশির চিকিৎসাও দিচ্ছে না। সর্বোচ্চ প্রস্তুতির নিদর্শন। (দেখুন খুলনায় দুজনের মৃত্যু নিয়ে উৎকণ্ঠা)

গত দুই মাস মীরজাদীর অভয় বানীতে মনে করছিলাম কাজ হয়ে যাবে, সেখানে ভয়াবহ ব্যাপার হল দুই মাসেও হাতে এই রোগ নির্নয়ের কীট আসে নাই, এখন শুনি সিঙ্গাপুর কিছু দেবে, চায়না কিছু দেবে দয়া করে। আর কি দয়ার দানের ওপর এখনো আছি, করোনা নির্নয়ের কীট কি এতই অমূল্য যে গত দুই মাসেও দেশে আসল না? দয়ার দান হিসাবে যা আসবে তা কতটুকু আমাদের মত সাধারন পর্যন্ত পৌছাবে? অবশ্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী এর মাঝেই বলে দিয়েছেন করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজনে চীনের মতো হাসপাতাল: অর্থমন্ত্রী প্রশ্ন হল সেই প্রয়োজনটা কবে হবে? যাই হোক উনারা বিজ্ঞ মানুষ নিশ্চয়ই উনাদের প্রয়োজন বুজবেন।

ডাক্তারদের কথা বাদ দেই, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট গুলোতে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, ধরেন বাসের কন্ট্রাক্টর বা ট্রেন লঞ্চের টিকিট চেকার, কেবিন বয় এদের নিরাপত্তা দেবার জন্য নির্দেশনা কি? আচ্ছা কোর্টে, আদালতে যে সব আইনজীবি বা ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন তাদের নিরাপত্তা কি? কোর্ট কাচারী গেলে দেখবেন, গিজ গিজে মানুষ কাকে বলে? অবশ্য ওখানে না গিয়েও তো উপায় নেই। ব্যাঙ্কের কর্মচারীরা এক খানা মাস্ক নাকের আগায় লাগিয়ে পাব্লিক ডীল করে মনে হয় মাস্কের মাধ্যমে করোনা ঠেকাবে ওদিকে হাতে যে টাকা গুনতে গিয়ে হাজারো জীবানু লাগিয়ে ফেলছে (আশা রাখি তার মাঝে করোনা ভাইরাস নাই) তার কি হবে? আর সাধারন পুলিশদের কর্মকর্তা থেকে কনেষ্টবলরা তো সারাদিন পাব্লিক সংস্পর্শে থাকে তারা কতটা নিরাপদে আছে?



এগুলো বর্তমান সমস্যা। একটু সামনের দিকে তাকান। পাচ ছয় লাখ প্রবাসী দেশে এসেছেন গত দুই মাসে (দেখুন দু’মাসে দেশে ফিরেছে সোয়া ৬ লাখ), এরা আপাতত আর বিদেশে যেতে পারছেন না, মানে এদের পাঠানো বৈদিশিক মুদ্রা যেমন আমরা হারাচ্ছি, তেমনি এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তারা দেশেও খুব বেশি কিছু করতে পারবেনা। করোনার কারনে যেখানে প্রচুর ছোট খাট গার্মেন্টস এবং ইন্ডাষ্ট্রি বন্ধের হুমকির মুখে সেখানে দেশে আসা প্রবাসীদের এই চাপ পরিস্থিতি আরো খারাপ করে দেবে নির্ধিদ্ধায়।

এই দেশের বিরাট একটা অংশের মানুষ দিন আনে দিন খায়, এই যে লক ডাউনের ভয়, বা স্কুল কলেজ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পূর্ন আংশিক বন্ধ হওয়ায় এই সব প্রান্তিক আয়ের মানুষ গুলোর পরিবার কি খাবে? স্বাভাবিক অবস্থাতেই তাদের হিমশিম খেতে হত, এখন তাদের কি হবে? এক বারো ভাবছেন? এই পরিস্থিতি যদি আরো দুই তিন মাস চলে তবে মধ্যবিত্তের অবস্থা কি হবে? না আমি ভাবতে চাই না, ভাবার দায়িত্বও আমার না। আমি আমার পরিবার নিয়ে ভাবি, এই ধরনের পরিস্থিতিতে মানুষ বড় স্বার্থপর হয়ে যায়। গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা আছে আমার "প্যান্টোনিক্স ২০" খাই। ১০ টার ষ্ট্রিপ কিনতাম ৭০ টাকা, আজকে কিনতে গেছি বলে ৮৪ টাকা। আরো ওষুধ কিনতে হয় নিজের জন্য, নিজের মায়ের জন্য, নিশ্চিত তার দামও বেড়ে গেছে। তবে কি ওষুধ খাব না? চাল কেজি প্রতি ৫/৭ টাকা বেড়ে গেছে।

রিক্সাওয়ালা, বা নিম্ন মধ্যবিত্তরা কি ভাত খাবে না? অবশ্য না খেয়েও ৮/১০ দিন বেচে থাকতে পারবে, তার পর? সেই ৮/১০ দিন পর? যদি আগামী দুই তিন মাস এই অবস্থা বিরাজ করলে আমরা মধ্যবিত্তরা কি ভাবে বাচব? আমেরিকায় নাকি আগামী তিন চার মাস বাড়ী ভাড়া না দেবার জন্য আন্দোলন তৈরী হচ্ছে, আমাদের দেশে তো আন্দোলন করার উপায় নেই। আন্দোলন অনেক আগেই হিমাগারে গেছে। কিভাবে কি হবে?

আজকে না হয় মাস্ক পরে বীর বাঙ্গালী করোনা প্রতিরোধ করল অথবা মীরজাদী সেব্রিনার অভয়বানীতে বুক বেঁধে করোনাকে দেখে নিলাম, কিন্তু এক মাস, দুই মাস, তিন মাস বা চার মাস এই পরিস্থিতি থাকে তবে দায়িত্বশীলরা কি জানবেন, কি হবে? নাকি তখন আমাদের শুনতে হবে, ইউরোপ আমেরিকায় রিসেশান বা অর্থনৈতিক মন্দা চলছে সে তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি এ অবস্থায় সপ্তাহে এক দিন খেয়ে থাকার উপদেশও কি শুনতে হবে?



করোনার কারনে উচ্চবিত্তদের মৃত্যুভয় দেখা দিয়েছে, মধ্যবিত্তদের আতংক কিন্তু নিম্নবিত্তদের? তাদের ভাত খেয়ে থাকাটাই এখন বড় চিন্তা, এদের জন্য তখন হয়ত এই ব্লগেই সহায়তার জন্য ফান্ড হবে, কিন্তু সে ফান্ডে কয়জনকে কয়বেলা খাওয়াবেন? আর এটা তো আপনার আমার দায়িত্ব না। যাদের দায়িত্ব তারা কি ভাবছেন?

করোনা হলে বুজতেও পারব না, কারন আমাদের করোনা ভাইরাস নির্নয় কীট নেই, চিকিৎসা তো অনেক পরে। সাধারন সর্দি কাশি নিওমোনিয়া হলেও মারা যাওয়া এখন স্বাভাবিক কারন সাধারন চিকিৎসা না পেলে নিওমোনিয়াও মারাত্মক অষুখ। কিন্তু এগুলো থেকে বেচে থাকার পর পেটের ক্ষুধা কিভাবে নিবারন করব সামনের দিন গুলোতে? কেউ কি বলবেন?

লেখাটা কি খুব নিম্ন শ্রেনীর হয়ে গেল? কিছুই যায় আসে না, বাস্তবতা এর থেকেও নিষ্ঠুর। আপনি হয়ত বিদেশে থেকে ভালো আছেন, কিন্তু এই দেশেই আপনার আত্মীয় পরিজন পরিচিতরা থাকে।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন:

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪২

শের শায়রী বলেছেন: জ্বি ভাই উনাদের ভরসায়ই বসে আছি এখনো। উনারা যা করবেন আর বলবেন আমাদের মত মানুষদের তাই বিশ্বাস করতে হয়!

২| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


এগুলো শতবার এসে গেছে ব্লগে, নতুন কিছু নেই আপনার লেখায়

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: এগুলো পরিস্থিতির সাপেক্ষে অনেকটা ধর্মগ্রন্থের মত, শতবার কেন? লাখ বার আসলেও বলা শেষ হবে না। আরো শতবার আসুক মুরুব্বী।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৬

সোহানী বলেছেন: ভাই, যত দিন যাচ্ছে তত আতংকিত হচ্ছি। কি করা উচিত বুঝে উঠতে পারছি না। সামর্থ্য থাকলে কিছু করতাম কিন্তু সে সামর্থ্য নেই। আমি এখনো বুঝতে পারছি না প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে কি একজন ও বুদ্ধিমান প্রানী ছিল না? একজনও উনাকে বলতে পারেননি এই মূহুর্তে আতশবাজি নয় মাস্ক/কিট/পিপিই দরকার, দরকার একটি পরিকল্পনা। হয়তো উনারা পরিকল্পনা বা ব্যবস্থা বলতে নিজের পরিবারকে বুঝিয়েছেন। প্রায় প্রত্যেকেরইতো কোন না কোন ভাবে সেকেন্ড হোম আছে, তাই এ নিয়ে উনারা কোনভাবেই চিন্তিত নয়। কিন্তু এ মানুষগুলোর কি হবে? কি হবে মধ্যব্ত্তি বা গরীব মানুষগুলোর? রোগে মরবে, ক্ষুধায় মরবে, চিকিৎসা না পেয়ে মরবে। মরতেই থাকবে মরতেই থাকবে । সবচেয়ে খারাপ লাগছে ওই অসহায় ডাক্তারদের জন্য। নিজের পরিবারের সবাই ডাক্তার বলে ওদের অবস্থাটুকু বুঝতে পারি। বারবার ফোন করে বারন করছি কিন্তু ওরা ঘরে বসে থাকতে পারছে না। শুধু করোনা নয় ওদেরকে সামলাতে হয় হাজার রোগী। কিভাবে ওরা সামাল দিবে এতো কিছু? একটি রাষ্ট্রের ব্যার্থতা কোন পর্যায়ে গেলে ব্যাক্তি পর্যায়ে এতোটা রিস্ক নিতে হয়.............। আর চিন্তা করতে পারছি না, মাথা হ্যাং হয়ে যাচ্ছে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: শোনেন বোন আমি যা ভাবছি তার একশত ভাগের এক ভাগ প্রকাশ করতে পারছি না, কারন সে সাহস আমার নেই। তাই বাস্তবতা আপনি ওখানে বসে যতটুকু বুজছেন তার থেকে অনেক খারাপ। মানুষ জন সর্দি, কাশি নিউমোনিয়ায় কোন চিকিৎসা পাচ্ছে না দেখেন এদেশের শ্রমিকদের জীবনের মুল্য কতটুকু কারখানা চালু রাখার সিদ্ধান্ত শ্রম মন্ত্রণালয়ের অথচ একবারো ভাবল না এই শ্রমিকরা আক্রান্ত হলে কেউ রেহাই পাবে না।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৫:০৭

সুপারডুপার বলেছেন:




খবর পেলাম করোনা ভাইরাস হটলাইন নম্বরগুলো কাজ করে না। করোনা ভাইরাস হটলাইন নম্বরগুলো দিয়ে কি লাভ ! সামনে হয়তো মৃত্যুর হার বাড়বে। তখনকার জন্য মৃত্যুর পর দাফন - কাফন জানাজা এইগুলো ঠিকমত হয়, তার হটলাইন নম্বর দেন। যেদেশে সরকার ও জনগণের কেউই কথা শোনে না গড ও তাদের হেল্প করবে বলে মনে হয় না। কারণ , "God helps those who help themselves" । দেশে চলমান সড়ক দূর্ঘটনায় তার প্রমান। বাস্তবতায় গডকে ডাকলেও সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ রক্ষা হচ্ছে না।

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: দেখুন করোনায় কিভাবে দাফন করতে হয়, কারা করবে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন যেভাবে সমস্যা হল কে করোনায় মারা যাচ্ছে কে সাধারন সর্দি জ্বরে মারা যাচ্ছে তা নির্নয় কিভাবে হবে? গত কয়েক দিন যাবত করোনা সরকারীভাবে ২৪শেই আটকে আছে, বাড়ছেও না কমছেও না। মনে হয় করোনাকে জালে বন্দী করা গেছে!!!!!

৫| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:০৭

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন প্রিয় ভাইয়া।
আপনজন নিয়ে সাবধানে থাকুন।
দোয়া রইলো।

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: দোয়া রইল প্রিয় কবি। সাবধানে থাকুন সবাইকে নিয়ে।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৮:২২

দূর আকাশের নীল তারা বলেছেন: মীরজাদী মুখে খুব খুব চটাং চটাং কথা বলে, কাজের বেলায় ফাঁকা কলসী।

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: এই কথা বলার সাহস আমার নেই নীল তারা। উনারা অনেক বড় বড় অফিসার।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৭

নীল আকাশ বলেছেন: মিডফোর্ড হাসপাতালে মাস্ক সরবরাহ সম্ভব না এই নিয়ে লিঙ্ক কাজ করছে না। সম্ভবত গায়েব করে দিয়েছে। ইচ্ছে করলে এখানেই দিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু মনে হচ্ছে দেয়া ঠিক হবে না। গতকালকে চট্টগ্রাম থেকে একজন চিকিতসক'কে ধরে নিয়ে গেছে চট্টগ্রাম হাসপাতালে করোনায় মৃত্যুর আসল সংখ্যা বলে দেয়ার জন্য।

আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ''আমি বলবো, ছোটখাটো অসুস্থতা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। ছোটখাটো অসুখ বাড়িতে থেকেই সুস্থ হয়ে যাওয়া সম্ভব।'' কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো উনি এখন নাকি নিজেই অসুস্থ অবস্থায় আছেন। কিযে বিপদ হলো?

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: ভাই, গত কিছুদিন দেখি করোনা ভাইরাস ২৪শেই আটকে আছে। সম্ভবত করোনা এই দেশে ধরা খাইছে, এখন ছট ফট করছে কিভাবে বাইর হবে, কিন্তু দেখেন পত্রিকাওয়ালারা কিভাবে আতংক ছড়াচ্ছে!!!!! সিলেটে আইসোলেশনে থাকা এক নারীর মৃত্যু আরো মজার ব্যাপার এদেশে মরার পর করোনা ভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা করা হয়।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে প্রথম করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত সেখানে মৃতের সংখ্যা ছিলো মাত্র তিনজন। গত দুই মাসে বিশ্বে মারা গেছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ!
আমরা বাংলাদেশে কতটুকু নিরাপদ?

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: রাজীব ভাই আপনার প্রশ্ন আমরা বাংলাদেশে কতটুকু নিরাপদ? ভাই আপনি বুদ্ধিমান মানুষ স্রেফ পত্রিকার সাধারন নিউজ গুলো দেখলেই বুজবেন আমরা কতটুকু নিরাপদ।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৭

রাশিয়া বলেছেন: করোনা এসে গেছে, ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে, ২ জন মারা গেছে - এই জন্য প্রশ্ন জেগেছে সরকার করছেটা কি? এখনও কোন আক্রান্ত হবার খবর পাওয়া না যেত আর সরকার ২ লাখ পিপিই আর ১০ লাখ কিট আনিয়ে রাখত - তখন জিজ্ঞেস করতেন, শুধু শুধু ট্যাক্সের টাকার অপব্যবহার করার অধিকার সরকারকে কে দিয়েছে?

বাঙালি বড়ই আজব চীজ। তাই মদ গাঞ্জা না খেয়েও করোনায় আক্রান্ত হয়।

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: কারেক্ট ভাই, সব দোষ এই মদ গাঞ্জা না খাওয়া জাতিরই, তবে জাতির মাথাদের কোন দুষ কিন্তু নাই। তারা সব সময়ই ঠিক বলে ;)

১০| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কিছু বলার ভাষা নেই।
সুযোগ নেই
এখনো দমন পীড়নে তত্তে রোগ তথ্য গুম করার খবর দেখি!
খবরে করোনার চেয়ে বেশী আতংকিত হই।

সত্য বলা মহাপাপ - জমানা কি এমনই?

মাত্র ১০৭৮ কিট হাতে নিয়ে, ডাক্তার নার্সদের পিপিই শুন্যে রেখে কিভাবে তারা করোনা মোকাবলেয়া প্রস্তুত ছিল
হয়তো শতাব্দি গবেষনায়ও সে সত্য জানা যাবে না।
ভয়ংকর দুর্যোগ ঘরের দুয়ারে। অসহায়ের শেষ অস্ত্র প্রার্থনা ছাড়া গতি নেই

সাথে নিত্য পণ্যের হাহাকার কোথাও পৌছববে ভাবলেও ভয় হয়।
আল্লাহর বিশেষ রহমতের আশাতেই বসে আছি নিরুপায়।

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

শের শায়রী বলেছেন: ম্যাভাই, কিছু লিখতে গেলে ভয় হয় না জানি অজান্তে কোন আইন ভঙ্গ করে ফেলি। আর আইন মেনে চলা তো আমাদের একান্ত অপরিহার্য, সেখানে মহামারী কোন বিষয়ই না।

শুধু ভরসা এইটুকুই যে আল্লাহর রাসুল বলছে

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পাঁচ প্রকার মৃত শহীদঃ মহামারীতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহ্‌র পথে শহীদ হলো। (বুখারি, হাদিস : ২৮২৯)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মহামারিতে মৃত্যু হওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য শাহাদাত। (বুখারি, হাদিস : ২৮৩০)

আমাদের যে পরম করুনাময় ছাড়া আর কেউ নেই।

১১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩

রাােসল বলেছেন: Thanks for your writings

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

শের শায়রী বলেছেন: এ্যানী টাইম ব্রাদার।

১২| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কথা হলো গিয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা হলেতো অনেকের চাকুরী যাবে । তাদের দেশে ফেরত আসতে হবে । কষ্টের বিষয় হলো করোনা ঘরে ডেকে এনে এরপর বন্ধ করা কেমন কাজ হলো । আগে কি বন্ধ করা যেত না । করোনা তো কুমিরের মত বড় না । ভাইরাস । কিগ্ছুধধ ঢুকলে তারা সংখ্যাবৃদ্ধি করে সবার জন্য মৃত্যু ডেকে আনবে । এত বড় বড় বিদগ্ধ অপদার্থ সরকারে আছে তারা কি অনুধাবন করতে পারলো না । পুরো পৃথিবী কি মেধ্যাশূণ্য ? অপদার্থের আস্তানা ।?

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় কবি তোমার প্রশ্নের জবাব দেবার মত সামর্থ্য আমার নেই। কি বলব! ঘরে আগুন লাগানোর পর পানি ঢাললে কি হবে?

১৩| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: করোনা সনাক্তকরন কিট না থাকার ফায়দা সরকার নিবে, সেটার জন্য তৈরী থাকেন। বলবে এই এই ভাইরাসের কারনে বাংলাদেশে তেমন কোন মৃত্যুই হয় নাই। বিভিন্ন রোগে দেশে এমনিতেই প্রচুর আদম সন্তান মারা যাচ্ছে। সংখ্যাটা সেটাতে মার্জ হয়ে যাবে। এরপরেই মন্ত্রীরা বলা শুরু করবে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর ভয়েই করোনা এই দেশে তান্ডব চালানোর সাহস পায় নাই!

না এটা শুধু আমাদের মানসিকতা না, এ মানসিকতা সারা বিশ্বের। আপনার এই কথাটা পুরাপুরি সঠিক না। আমাদের এখানে নিত্য ব্যবহার্য জিনিসের দাম বেড়েছে ঠিকই, তবে সেটা এশিয়ান শপগুলোতে। সেখান থেকে আর ক'জনই বা শপিং করে! কোন সুপার স্টোরই দাম বাড়ায় নাই, উল্টা কিছু জিনিস অফারে দিয়ে দাম কমিয়েছে।

আর যারা দাম বাড়াচ্ছে, তাদের বড় অংকের জরিমানা করার প্রক্রিয়া চলছে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৯

শের শায়রী বলেছেন: ভুয়া ভাই, আপনি যে মন্তব্য করছেন প্রথম প্যারায় তার প্রতিউত্তর দেবার মত সাহস আমার নেই। আমাদের এখানেও সমানে জরিমানা চলছে, তার মাঝ দিয়েও দাম বেড়ে যাচ্ছে কোথাও কোথাও। কিভাবে কি হবে সে চিন্তায় আমি অস্থির। কিভাবে খাব, কিভাবে চলব? এই যদি হয় আমাদের মত সো কল্ড মিডেল ক্লাশদের তাইলে নিম্ন বিত্তদের কি অবস্থা হবে যারা দিন আনে দিন খায়? তাদের নিয়ে কি ভাবনা দায়িত্বশীলদের কিছুই জানি না।

যে মহিলা আমাদের বাসায় ছুটা কাজ করে সে আরো তিনটা বাসায় কাজ করত, সব বাসা থেকে তাকে বলে দিয়েছে তাকে যেতে হবে না আর কাজে, অবশ্য দু একজন বলছে তার কাজ আছে মাসের শেষে সে কাজ না করেও বেতন পাবে, অবশ্য সব বাসা থেকে না। কোন কোন বাসা থেকে থেকে পত্রপাঠ বিদায়। এই মহিলা কি খাবে? আম্মা বলে দিয়েছে উনাকে আসতে তবে আসার পর হাত টাত ধুয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে কাজ করতে বলছে (অবশ্য আগেও এই নিয়ম চলত)। প্রশ্ন হল এই টাইপের প্রান্তিক মানুষ গুলা কাজ হারালে কি হবে। আম্মা এবং আমার সন্তানের মা এরা ওই মহিলাকে দুপুরের খাবার সহ রাতের খাবারও দিয়ে দিচ্ছে, মানে আমাদের সামার্থ্যের মাঝে যা আছে আর কি।

কথা হল, আমি কি রিস্ক নিচ্ছি নাকি এই মহিলাকে কাজে রেখে? সেক্ষেত্রে এইটুকুই বুজি আমাদেরও বিভিন্ন প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হয়, সেখানে যে কেউ ইনফেক্টেড হতে পারি, শুধু শুধু এই মহিলাকে কাজ থেকে ছাড়িয়ে দিয়ে তার সামান্য খোরাক বন্ধ করে দেবার মত মানসিকতা আমাদের নেই। এই মুহুর্তে আতংকের পাশাপাশি সবাই কে সবার পাশে দাড়াতে হবে সাবধানতা অবলম্বন করেই। কিন্তু মাস লেভেলে দায়িত্বশীলরা কি ভাবছে? যদি এটা আরো ছড়ায়? তারা কি পারবে এত বিপুল জন গোষ্ঠীর ক্ষুন্নীবৃত্তির চাপ সামলাতে? শুধু সচেতনাই কি সব? নেই টেষ্ট করার কোন কীট, নেই চিকিৎসা। এখন টনক নড়ে লাভ কি? পত্রিকায় দেখছি খুলনা, সিলেটে করোনা সন্দেহে মৃত্যু!

শুধু ভরসা আমাদের আল্লাহ। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ

আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, পাঁচ প্রকার মৃত শহীদঃ মহামারীতে মৃত, পেটের পীড়ায় মৃত, পানিতে ডুবে মৃত, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত এবং যে আল্লাহ্‌র পথে শহীদ হলো। (বুখারি, হাদিস : ২৮২৯)

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, মহামারিতে মৃত্যু হওয়া প্রতিটি মুসলিমের জন্য শাহাদাত। (বুখারি, হাদিস : ২৮৩০)

আমাদের যে পরম করুনাময় ছাড়া আর কেউ নেই।

১৪| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: সরকার যথাযথ দায়িত্ব পালন করলে বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

শের শায়রী বলেছেন: তাই যেন থাকে, কিন্তু অল রেডি যেটুকু দাম বাড়ছে তার কি হবে রাজীব ভাই?

১৫| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৯

তারেক ফাহিম বলেছেন: চেয়ে চেয়ে দেখবো মরন আসলে মরবো :((

২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: শুধু আল্লাহ আল্লাহ করেন এখন যেন মরলে সর্দি কাশিতে না মরেন তাহলে দাফন কাফনেও কেউ যেতে পারবে না করোনা সন্দেহে :) । নিয়ম কিন্তু জারি হয়ে গেছে পেপারে দেখলাম।

১৬| ২২ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: মানুষের অতি আতঙ্ক কে পুজি করে ব্যবসায়ীরা নিত্যপন্যের দাম যে হারে বাড়াছে না খেতে পেয়েই অনেকে মরে যাবে। ব্যবস্থা নিতে হবে দ্রুত।

২২ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: একজাক্টলি মাইদুল ভাই আমার পোষ্টের মুল বক্তব্যও এই টুকু।

১৭| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৩:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: সিংগাপুর থেকে একটা ফ্লাইটে ২০০ টেষ্ট কিট বক্স যাচ্ছে বাংলাদেশে যা দিয়ে ১০০০০ এর মত টেষ্ট করা যাবে। এটা সিঙ্গাপুর তেমাসেক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ সরকারকে গিফট দিয়েছে। সিংগাপুর সরকার থেকে এই সহায়তা এই মুহূর্তে অবশ্যই বাংলাদেশের জন্যে একটা বড় প্রাপ্তি।
আড়াইশ কোটি বাজি পুড়িয়ে খরচ করা যায় আর কিছু অর্থ দিয়ে এই ধরনের কিট সিংগাপুর বা অন্য দেশ থেকে জরুরীভাবে কিনতে চাইলে অবশ্যই কিনা সম্ভব, তারা যেহেতু ডোনেট করতে পারে তাদের কাছ থেকে কিনতে চাইলে কিনাও যাবে, গায়ে পড়ে ওরা যদি সাহায্য হিসেবে ২০০ বক্স দিতে পারে, ওদের কাছে পয়সা দিয়ে কিনতে চাইলে আরো বেশী কেনা যাবে। এজন্য চাই কর্তাব্যাক্তি/প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: আশা করি কর্তাদের সুবুদ্ধির উদয় হবে ভাই।

১৮| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিগত কিছুদিন প্রচন্ড ব্যস্ত থাকায় ব্লগে আসা সম্ভব হয়নি। চরম অনিশ্চয়তার মধ্যেও আশা করি ভাল আছেন। লেখাটি ভালো লেগেছে।
সামনের দিনগুলো আরও ভয়াবহ হতে চলেছে। আমাদের এখানেও কিছু জিনিসপত্র অগ্নিমূল্য। কিছু কিছু স্থানে বিদেশ থেকে আগত দেশবাসীর সঙ্গে পুলিশের চোর-পুলিশ খেলা চলছে। বাকি জনতার ধমকানো চমকানি সামনে অব্যাহত। সামনের দিনগুলো আরও কত নির্মম হতে পারে সেই আশঙ্কায় শঙ্কিত। যতটা সম্ভব গৃহবন্দি করা ছাড়া আর কোথায় কোন রাস্তা নেই। জানিনা শেষ কোথায়।

অফুরান শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: ভাবছিলাম কয়েক দিন ধরে প্রিয় ভাই কোথায়? যাক ভালো লাগছে আপনাকে দেখে। সাবধানে থাকবেন। প্রার্থনা করি পরিবার সহ যেন ভালো থাকেন।

১৯| ২২ শে মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ’’প্রত্যেকটি দুর্যোগই কোনো না কোনো সুযোগ তৈরি করে দেয়।’’ ইংরেজি কথাটি ছিল বড় সুন্দর--
In every calamity there is an opportunity.
---- কে বলতে পারে করোনায় কত কীই না কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসতে যাচ্ছে?

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০১

শের শায়রী বলেছেন: কে জানে কি কল্যান বয়ে আনে, আর সে কল্যান দেখার জন্য আমরা কত জন বেচে থাকব!

২০| ২২ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: খাদ্য সংকট নিয়ে আসলেই চিন্তা করার আছে।
নিন্মবিত্তের বেঁচে থাকাটাই কঠিন হয়ে যাবে।হয়ত অনেকেই সাহায্যর হাত বাড়াবেন কিন্ত কথা হচ্ছে কোনো কাজ কেন আমরা গুছিয়ে করতে পারিনা?এই পরিস্থিতি উদ্ভব হবে কেন?

আগে থেকে জানা ছিল সবই তবুও সবাইকে নিয়ে বিপদে পড়লাম কেন আমরা?
উত্তর অবশ্য রেডি আছে--আল্লাহর গজব!মরে গেলে বলবে হায়াত ছিলনা।
আল্লাহ মেহেরবান যে গোমূত্র খাওয়ার চল নেই এদেশে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০২

শের শায়রী বলেছেন: যাই ঘটুক না কেন সব কিছুর জবাব প্রস্তত আছে আমাদের!

২১| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:২৮

সুপারডুপার বলেছেন:
লেখক বলেছেন: গত কয়েক দিন যাবত করোনা সরকারীভাবে ২৪শেই আটকে আছে, বাড়ছেও না কমছেও না। মনে হয় করোনাকে জালে বন্দী করা গেছে!!!!!

- শের শায়রী ভাই, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। টেস্ট হচ্ছে না বলে ধরা পড়ছে না। টেস্ট হলে এক্সপোনেনশিয়ালি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। এখন মৃত্যুর সংখ্যা দিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা অনুমান করা যেতে পারে। করোনাতে মোটামুটিভাবে ০.২% মৃত্যুর হারে ৩ জন মৃত্যুতে দেশে ন্যূনতম (১০০ /০.২)*৩ = ১৫০০ জন করোনায় আক্রান্ত। সময়ের সাথে এটা আরো বাড়তেই থাকবে। সরকার যদি মৃত্যুর সংখ্যাও গোপন করে / মৃত্যুর পর টেস্ট না করে । করোনাতে আক্রান্তের সংখ্যা অনুমান করা কঠিন হয়ে যাবে।

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৪

শের শায়রী বলেছেন: বুজতে আছি না সুপারডুপার ভাই, কি হচ্ছে, কি হবে সামনের দিন গুলোতে।

২২| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৩৩

আকন বিডি বলেছেন: শামীম ওসমানকে দেখলাম কোরআন মাজিদ বুকে জরিয়ে কবর জিয়ারত করতে। ৫২৫৭ বার কোরআন খতম দেয়া হয়েছে তার কথা মত।
যার যা আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকা লাগবো।
আমাদের নিস্ক্রীয়তার কারণে তাদের এতো কিছু। যেমন আমরা তেমন আমাদের নেতা।
কি আর করা যাবে?

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:০৭

শের শায়রী বলেছেন: আমাদের তো খুব বেশি কিছু করার নেই ভাই, দেখে যাওয়া ছাড়া।

২৩| ২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: গতকাল মিরপুরে করোনা আক্রান্ত যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তাদের ফ্ল্যাট যেই বিল্ডিংয়ে সেই বিল্ডিং, এবং আশেপাশের ৪০ টা বিল্ডিং কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে। ফলে এসব বাসায় কাজ করা বিপুল সংখ্যক কাজের মহিলা কাজ হারিয়েছে। প্রচুর রিক্সাওয়ালা, এমনকি উবার- পাঠাও এর ড্রাইভার কাজ হারিয়েছেন, এরপর শুরু হবে কারখানা থেকে ছাঁটাই। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের চলবে কীভাবে?

২২ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:১০

শের শায়রী বলেছেন: বোন দেখুন মিরপুরে আক্রান্ত ব্যাক্তির সন্তানের ষ্টেটমেন্ট চিকিৎসা জুটেনি, করোনায় মৃত পিতাকে নিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস আসলে কিছু ভাবতে ভালো লাগছে না। করোনা নিয়ে আর লিখতেও ইচ্ছা করছে না। টায়ার্ড লাগছে কেন যেন।

২৪| ২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১২:১৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিশ্ব যখন করোনা মোকাবেলা নিয়ে ব্যস্ত তখন বিশ্বের টপ দুই শয়তান সৌদি ও রাশিয়া মরার উপর খাড়ার ঘার মতো তৈলযুদ্ধ করে অর্থনীতির চরম বারোটা বাজিয়ে ফেলেছে | মানুষ কয়েকদিন পর আশ্রয়/বাসস্থান হারিয়ে না খেয়ে মরার অবস্থা হবে |

২৩ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: দারুন একটা খেলা জমে উঠছে, দুনিয়া জুড়ে। জাষ্ট এনজয় স্বামীজি। এছাড়া আমাদের আর কি বলার আছে বলুন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.