নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নোয়েটিক সায়েন্সঃ বিজ্ঞান এবং অবিজ্ঞান যেখানে এক বিন্দুতে

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৩:৪৬



জিওর্দানো ব্রুনো কে চার্চ হত্যা করেছিলো কারন তিনি বলছিলেন, পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে। পৃথিবী সৌরজগতের তুচ্ছ গ্রহ ছাড়া এর আলাদা কোনো গুরুত্ব নেই। পৃথিবী ও বিশ্বজগত্ চিরস্থায়ী নয়, একদিন এসব ধ্বংস হয়ে যাবে। আবার মানুষকে ভালোবাসার কথা বলার অপরাধে যীশু খ্রিষ্ট কে ক্রুশ বিদ্ধ করা হয়েছিল। আশি বছরের গ্যালিলিও গ্যালিলি বিনা চিকিৎসায় কারাগারে মৃত্যু বরন করেন কারন তার অপরাধ ছিল তিনি বলেছিলেন, সূর্য নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘোরে। ওদিকে অজ্ঞানতার কুপমন্ডুক থেকে আরবদের মুক্তি দেবার জন্য যখন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বিভিন্ন কথা কথা বলছিলেন, তখন তাকে পাথর মেরে জর্জরিত করেছিল মক্কার বর্বর আরবরা। বিজ্ঞান বা ধর্মপ্রচারের পথ কোনটাই কোন কালেই কিন্তু কণ্টকহীন ফুল বিছানো পথ ছিল না। দুটো পথেই আছে অসংখ্য রক্ত ঝড়ানো ইতিহাস।

এই সব রক্তাক্ত ঘটনাকে ছাড়িয়ে আপনি আরো পিছিয়ে যান যেখানে ইতিহাসের শুরু হয়েছে সেখানে আপনি দেখবেন ইতিহাসের শুরুতে বিজ্ঞান আর ধর্ম কোন আলাদা বস্তু ছিল না, একই পথে ধর্মের পাশাপাশি বিজ্ঞান এগিয়ে যাচ্ছিল, ধর্মের মাঝে থেকেই এক নির্দিষ্ট গোষ্ঠী তাদের জ্ঞান অন্বেষান চালিয়ে যাচ্ছিল। ধর্মীয় পুরোহিতদের মাঝ থেকেই একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে মানুষের উপকারে আসার জন্য বিভিন্ন আবিস্কার (যদিও আধুনিক বিচারে তা হাস্যকর রকম সামান্য বিবেচিত) করে যাচ্ছিল। এবং তাদের অর্জিত জ্ঞান অনেকটা বংশ বা সম্প্রদায়ের ভেতর অত্যন্ত গোপন রাখত।

এক পর্যায়ে, সে গোপন জ্ঞান মানুষের সামনে প্রকাশ পেতে শুরু করল। কিভাবে? ধরুন কোন একটা মানুষ অসুস্থ্য হয়ে আছে তাকে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ধর্মের নামে ধ্বজ্বাধারী পুরোহিত অং বং করে অনেক মন্তর পরেও ভালো করতে পারল না, অথচ গোপন জ্ঞানের অধিকারী যা বংশ পরম্পরায় অনেক যুগ ধরে কোন এক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের গবেষনায় নিরাময় যোগ্য তাদের কেউ নির্দিষ্ট ওষুধ দিয়ে ওই রোগীটিকে সুস্থ্য করে তুলল, ব্যাস ওই গোপন জ্ঞানের অধিকারী মানুষটিকে হয়ত ডাইনী বা যাদুকর আখ্যা দিয়ে মেরে ফেলা হল ধর্মীয় পুরোহিতদের দ্ধারা। এগুলো অনেক অনেক সময় আগের কথা, অনেক দিন ধরে অবিচারের কথা। এক সময় ধর্মীয় কুপমন্ডুক স্বার্থান্বেষী পুরোহিতদের বা ধর্মবেত্তাদের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গেল কিছু মানুষ, যারা স্বাধীন ভাবে জ্ঞান চর্চা শুরু করে। বিজ্ঞান আলাদা হয়ে যায়, ধর্ম থেকে। আবার সব ধর্মবেত্তা যে স্বার্থপর বা অজ্ঞানতার অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল তা কিন্তু না, কিন্তু তারা ছিল অল্প। তাই ধর্মের জ্ঞান চর্চার ওপর স্থান নেয় অজ্ঞানতা।

ইতিহাসের শুরুতে কিন্তু সবাই বিজ্ঞানী ছিল না, জ্ঞানতঃ হোক বা অজ্ঞানতা বশতঃই হোক মানুষ ধর্মকে বা সৃষ্টিকর্তাকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকার লড়াই শুরু করে। এক পর্যায়ে সেখান থেকে বিজ্ঞানের আবির্ভাব হয়। আর যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখেন তবে ভিন্ন হিসাব, কিন্তু আমি এই লেখায় কোন ধর্মীয় দৃষ্টি কোন ব্যাবহার করব না।



পৃথিবীতে যে প্রতিদিন কোটি মানুষ বিভিন্ন ভাবে প্রার্থনা করে, সে প্রার্থনা কি আসলে কোন কাজ দেয়? নাকি পূর্ব পুরুষের অভ্যাস? মৃত্যুর পর কি জীবন আছে? মানুষের শরীরের মাঝে কি এমন একটা বস্তু আছে যা হৃদস্পন্দন থেমে যাবার পর মস্তিস্ককে কর্মক্ষমতাহীন করে একটা জীবিত মানুষকে মৃত মানুষ নামে পরিনত করে? মানুষের কি ক্ষমতা আছে অসুস্থ্যকে মানসিক শক্তির মাধ্যমে সুস্থ্য করে তোলার?



এই সব অবৈজ্ঞানিক ব্যাপারকে ব্যাখ্যা করার জন্য বিজ্ঞানের একটা নতুন শাখার জন্ম নেয় যাকে নোয়েটিক সায়েন্স নাম দেয়া হয়। না কোন প্রীষ্ট বা মৌলভী অথবা ধর্মগুরু এই সায়েন্সের জন্ম দেয় নি। এই সায়েন্সের প্রতিষ্ঠাতাদের নামের মাঝে যে নামটা জ্বল জ্বল করে তার নাম মাহাশুন্যচারী এডগার ডীন মিচেল। ১৯৭১ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী এপোলো-১৪ চন্দ্রযানের মাধ্যমে যিনি প্রায় নয় ঘন্টা চাঁদে হাটেন ষষ্ঠ মানব হিসাবে।



ইনিষ্টিটিউট অভ নোয়েটিক সায়েন্স (IONS) প্রতিষ্ঠার পর এর প্রসিডেন্ট হিসাবে দুই যুগ পার করেন উইলিস হারম্যান কর্মক্ষেত্রে যিনি একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের পেটালুমার অদুরে ২০০ একর জমির ওপর অবস্থিত এই নোয়েটিক সায়েন্সের হেডকোয়ার্টার। বর্তমানে বেশ জোরেশোরেই এর রিসার্চ চলছে যত সব অবৈজ্ঞানিক অশৈলী কান্ড কারখানা নিয়ে।

নোয়েটিক সায়েন্সের মুল ব্যাপারটা আসলে মানব মনের অব্যাবহৃত সম্ভাবনাকে কিভাবে বৈজ্ঞানিক আওতায় আনা যায়। মহাশুন্যচারী এডগার মিচেল দাবী করেন তিনি যখন মহাশুন্য ছিলেন তখন নাকি ই এস পি (Extrasensory perception) বা সিক্সথ সেন্সের মাধ্যমে নোয়েটিক সায়েন্স ইনিষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় অর্থ জোগানদাতাদের একজন পল টেম্পেল সহ অনেকের সাথেই যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। ভাগ্যিস এই সব বয়ান একজন এষ্ট্রোনটের মুখ দিয়ে বের হয়েছিল, এগুলো যদি অন্য কারো মুখ দিয়ে বের হত তবে আজকে তুলোধুনো খেতে হত, আর তার সাথে যদি ধর্মের সামান্যতম যোগাযোগ থাকত তবে তো কথাই নেই!

ক্যালিফোর্নিয়ার ইনিষ্টিটিউট অভ নোয়েটিক সায়েন্স এবং প্রিন্সটন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যানোম্যালিস রিসার্চ ল্যাব বেশ পরিস্কারভাবে প্রমান করেছে মানব মস্তিস্ক যদি যথাযথভাবে ফোকাস করা হয় তবে সেটা ভৌত বস্তুকে প্রভাবিত বা রূপান্তর করতে সক্ষম। এটা কোন চামচ বাকানো ট্রিকস না, বরং তার থেকেও বেশী, কিন্তু এটা এখনো পরিস্কার না কিভাবে আমাদের চিন্তাশক্তি ভৌত জগতের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে এর আন্ত আনবিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। সোজা কথায় বস্তুর ওপর মানব মনের প্রভাব।



মানুষ যখন ধ্যানে বা মেডিটেশানে বসে তখন ধ্যানের একটা পর্যায়ে যায়, তখন সাব এ্যাটমিক স্তরে কিছু কনার অস্তিত্ব এবং বিনাশ হয় কেবল মাত্র ওগুলোর অবলোকন করার উদ্দ্যেশ্যর ওপর, এই যে সাব এ্যাটমিক লেভেলে (মানুষের কনসাসনেস আবদ্ধ শারীরিক বস্তুর বাইরে অবস্থিত জগত) যে কনা দেখতে পাওয়া যায় তার অবস্থান বদলে দেবার ক্ষমতা মানুষের মনের আছে তার থেকেও বড় ব্যাপার সেটা নির্দিষ্ট অভিমুখেও পরিচালিত করা যায়। নোয়েটিক সায়েন্সের আর একজন প্রবক্তা লীন ম্যাকট্যাগার্টের কথায়ঃ জীবন্ত সত্তা হল এমন এক ধরনের প্রভাবক যা কিনা কোন কিছুর মধ্য থেকে একদম বাস্তব কিছু বদলে দেবার সম্ভাবনা তৈরী করে। আমাদের এ মহাবিশ্ব তৈরীতে সব চাইতে জরুরী যে উপাদানের প্রয়োজন সেটা হল, এটাকে কোন সত্ত্বা কর্তৃক অবলোকন করা

নোয়েটিক সায়েন্সের সব থেকে মজার ব্যাপার হল, ধ্যানের মাধ্যমে সাব এ্যাটমিক স্তরে যে কনাগুলোর উদয় হয়ে ভৌত জগতকে প্রভাবিত করে তাকে নিয়ন্ত্রনের জন্য অনুশীলনের প্রয়োজন আছে, তবে তার থেকে বড় ব্যাপার কিছু কিছু মানুষ জন্মগত ভাবে এব্যাপারে অন্যদের থেকে বেশি দক্ষতা নিয়ে জন্মায়, যারা হয়ত আপাত দৃষ্টিতে অলৌকিক কাজকর্ম দেখাতে সক্ষম। নোয়েটিক সায়েন্স প্রাচীন আধ্যাত্মিকতা এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মাঝে হারানো সংযোগ হিসাবে দেখা দিতে পারে, যদিও এই বিজ্ঞান এখনো প্রাথমিক পর্যায়েই আছে।

প্রতিনিয়ত আমাদের জ্ঞানের পরিধি বিস্তার লাভ করছে, যতই জানতে পারছি ততই আমাদের শেখার ক্ষমতা বাড়ছে, বাড়ছে আমাদের জ্ঞানের পরিধি, বিজ্ঞানের নতুন একটা আবিস্কার আমাদের আর একটা আবিস্কারের পথ উন্মুক্ত করছে, এবং এটা হচ্ছে জ্যামিতিক হারে, এজন্যই বিগত পাঁচ হাজার বছরের তুলনায় গত পঞ্চাশ বছরে বিজ্ঞান অনেক অগ্রগতি হয়েছে।



বিজ্ঞানের সব থেকে যে আধুনিক একটা থিওরী সুপারষ্ট্রিঙ্গ থিওরী। একেবারে নতুন একটি মডেল, একদম রিসেন্টলি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অবজার্ভেশানের ওপর ভিত্তি করে এটা গড়ে উঠছে, অথচ ত্রয়োদশ শতকে লিখিত ইহুদীদের রহস্যময় “কাব্বালাহ” অনুসারীদের “দ্য কমপ্লিট জোহার” এই সুপারষ্ট্রিঙ্গ থিওরীর দশ মাত্রার পৃথিবীর কথা বলা আছে (অবশ্যই আপনি আশা করবেন না তা আধুনিক কালের গানিতিক হিসাব নিকাশ দ্ধারা পরিপূর্ন)। এরকম আরো কিছু উদাহরন টানতে পারেব, তবে টানব না, কারন সেক্ষেত্রে আমাকে আপনারা আবার কি উপাধি দিয়ে বসবেন আল্লাহ মালুম কারন আমি তো আর এডগার মিচেল না এক অনুবাদ কপি পেষ্ট টাইপ রাইটার।

একটা সময় পৃথিবীর সব থেকে প্রতিভাবান মানুষটিও বিশ্বাস করত এই পৃথিবী সমতল, পৃথিবী যদি গোল হত তবে এর ওপরের সমুদ্রের পানি পড়ে যেত। সে সময় আপনি যদি বলতেন পৃথিবী সমতল তো নাই, বরং গোল এবং এর ওপর এক না দেখা রহস্যময় শক্তি (যাকে আমরা মহাকর্ষ শক্তি বলি) একে পৃথিবী পৃষ্ঠে আটকে রেখেছে, তবে আপনার কি অবস্থা হত ভাবুন দেখি?!

নোয়েটিক সায়েন্স মানুষের মানসিক শক্তি, এবং আধ্যাত্মিক শক্তি নিয়ে গবেষনার এক নতুন দ্বার উন্মুক্ত করছে। এনিয়ে হাসাহাসি কৌতুক আপনি করতেই পারেন কিন্তু কে জানে দিন শেষে হয়ত এডগার মিচেলরাই হাসবে। আজকে যে অনুজীবকে চোখে দেখা যাচ্ছে না, যার প্রভাবে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে হয়ত লাখ মানুষ মারা যাবে, কোন এক দিন দেখব কিছু মানুষ এক জায়গায় হয়ে গোল হয়ে বসে অথবা বিশেষ কোন বৈজ্ঞানিক গ্যাজেট হাতে অথবা মাথায় নিয়ে নিজেদের ধ্যানের চুড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত করে চোখের অদেখা করোনা নামক এই সব অনু জীব গুলোকে নিমেষে ধ্বংস করে দেবে?

কে জানে আমরা যেভাবে মহাশুন্য পাড়ি দেবার কথা ভাবি তা কোন দিন পরিত্যাক্ত হয়ে, মানসিক শক্তিকে এক করে নির্দিষ্ট অভিমুখে গ্যালাক্সির পর গ্যালাক্সি পেরিয়ে যাব, সেদিন হয়ত হাস্যকর ভাবে মানুষ ভাববে এই সময়ের মানুষ কত বোকার মত কিছু যন্ত্রপাতি নিয়ে এক যান্ত্রিক যানের সাহায্যে মহাশুন্য পাড়ি দেবার কথা ভাবছিলো। মানুষের মনের অঢেল শক্তি নিয়ে কাজ করার জন্য নোয়েটিক সায়েন্সের প্রতিষ্ঠা। আধ্যাত্মিকতার রহস্যময়তা হয়ত কোন দিন ধরা দেবে সেদিন..... সেদিন বিভিন্ন ধর্মগুরুদের অলৌকিক...... বাদ দেন অহেতুক আলোচনা, কিন্তু গ্রীক শব্দ “নোয়াস” থেকে আগত (মানে “মানবমন অথবা জানার পথ”) নোয়েটিক বিজ্ঞান যে নতুন পথের দিশা দেবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নাই।

কৃতজ্ঞতাঃ লেখাটা লিখতে আমি ড্যান ব্রাউনের দ্যা লষ্ট সিম্বল বই দ্ধারা অনুপ্রানিত যা অতি সম্প্রতি রিভাইস করলাম

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:০১

রাফা বলেছেন: আশরাফুল মখলুকাত..ষৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ তার মস্তিষ্কের অতি ক্ষুদ্র অংশ ব্যাবহার করতে সক্ষম এখন পর্যন্ত।
ভবিষ্যতের মানুষ আরো বেশি ব্যবহার করতে পারবে বলেই আমার বিশ্বাস।

ভালো লিখেছেন।ধন্যবাদ,শ.শায়রী।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৯:১৩

শের শায়রী বলেছেন: আমারো একই বিশ্বাস রাফা ভাই, মানুষের মস্তিস্কের আরো কিছুটা অংশ অথবা কিছু মস্তিস্ক এক সাথে ইউজ করা (অনেকটা সুপার কম্প্যুটারের মত) যেদিন আমরা শিখব অনেক কিছুই আমাদের করায়ত্ত্ব হবে।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৬:৩১

মা.হাসান বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি আপনার অন্যান্য পোস্ট এর সঙ্গে মানানসই না। প্রচুর তথ্যগত ভুল আছে। লস্ট সিম্বল বিখ্যাত একটা ব্ই । লেখক খুব ভালো করে জানেন মানুষকে কিভাবে একটা ধরে রাখার মত কাহিনী উপহার দিতে হয়। কিন্তু আদতে ওটা একটা উপন্যাস মাত্র ,সত্য না ।

এডগার ডিন মিচেল নামের একজন লোক ছিলেন সত্য। তিনি চাঁদে পা ও রেখেছিলেন (মুন কন্সপিরেসি থিওরি অনুসারে অবশ্য কেউ চাঁদে পা রাখে নি কখনো, সেটা ভিন্ন বিষয়) । ইনস্টিটিউট অফ নোয়েটিক সাইন্স নামের একটা প্রতিষ্ঠান ও খোলা হয়েছিল। ধারণা করা হয় ডিন মিচেল সিআইএর একজন এজেন্ট ছিল। ওই ইনস্টিটিউট সিআইএ'র একটা কাভার ছিল। ওখানে প্যারানরমাল একটিভিটি নিয়ে গবেষণা করা হতো । ইউরি গেলার ওনাদের একজন টেস্ট সাবজেক্ট ছিল । আমার ব্যক্তিগত ধারণা, পুরো ব্যাপারটা ছিল পয়সা মেরে দেওয়ার ধান্দা বাজি। কোল্ড ওয়ার এর ওই সময়টাতে আমেরিকান সামরিক বাজেটের অনেক অংশই লুটপাট হয়েছে।লুটপাট শুধু বাংলাদেশেই হয় না, আমেরিকাতে অনেক বেশি হয়। এই ইউরি গেলার ছিল একজন ফ্রড। যাহোক জর্জ বুশ সিনিয়র সিআইএর ডিরেক্টর থাকার সময়ে ইনস্টিটিউট অফ নোয়েটিক সাইন্স অনেক বাজেট পায়। পরবর্তীতে প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটির সব গবেষণা একটা প্রজেক্ট এর আন্ডারে আনা হয়, প্রজেক্ট এর নাম দেওয়া হয় স্টারগেট প্রজেক্ট। আরো পরে সিআইএ বুঝতে পারে পুরা জিনিসটা ভুয়া। প্রজেক্ট বন্ধ হয়ে যায়। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার কয়েক বছর পর পুরো প্রোজেক্টের তথ্য ডিক্লাসিফাইড করা হয়।

এটা সত্য যে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি একসময় এই সংক্রান্ত রিসার্চের সঙ্গে জড়িত ছিল। ব্যাপক সমালোচনার মুখে তারা এই প্রজেক্ট বন্ধ করে। মানব মস্তিষ্ক ফোকাস করার বিষয়টি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। পৃন্সটন নিজেই স্বীকার করে এই প্রজেক্ট ছিল সুডো সাইন্স।

সুপার স্ট্রিং থিওরি একটি অতি আধুনিক থিওরি না। এটি পঞ্চাশের দশকে গড়ে উঠেছে , ষাটের দশকের সমৃদ্ধ হয়েছে ,এবং সত্তরের দশকে সম্ভবত মৃত্যুবরণ করেছে। সম্ভবত এজন্য বলছি যে গত ত্রিশ চল্লিশ বছরে স্ট্রিং থিওরি তে নতুন কিছু বলার মত যোগ হয়নি, বিভিন্ন নতুন বিজ্ঞানীরা এসে এটাকে জটিল থেকে জটিলতর করেছে। স্ট্রিং থিওরির অনেকগুলো ভার্সন আছে। কোন ভার্সনে১০, কোন ভার্সনে ১১, আবার কোন ভার্সনে ২৬ ডাইমেনশন এর কথা বলা হয়েছে । বুক অফ জহার এ বলা আছে দশটা চ্যানেল দিয়ে ঈশ্বরের নূর প্রবাহিত হওয়ার কথা। এটা থেকে যদি কেউ মনে করে ওই বইয়ে স্ট্রিং থিওরির কথা বলা হয়েছে তবে তো মুশকিল। Ten Sefirot লিখে সার্চ করে দেখতে পারেন। ড্যান ব্রাউন অ্যাঞ্জেলস অ্যান্ড ডিমনস লেখার পর সার্ন কে তাদের ওয়েবসাইটে যেয়ে পরিষ্কার করে লিখতে হয়েছিল যে তারা এই পরিমাণ অ্যান্টিম্যাটার বানাচ্ছে না, যা দিয়ে পৃথিবীকে ধ্বংস করা যায়। লস্ট সিম্বল এরপর সার্ন কি করেছে তা থেকে করে দেখতে হবে।

উপরে এক বা দু জায়গায় বলেছি 'আমার অনুমান' । এটুকু বাদে বাকি পুরোপুরি রেফারেন্স দিতে পারবো যদি প্রয়োজন হয়। তবে আপনি নিজে একবার উইকিপিডিয়াতে ক্রস চেক করে দেখলেই সত্যটা খুঁজে পাবেন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৩০

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, আপনি আমার প্রিয় একজন মানুষ, তার থেকেও বড় ব্যাপার, আপনার পড়াশুনা আছে, ভালোই পড়াশুনা আছে (আমি কিন্তু জেনেই বলছি :) ) আর যারা পড়াশুনা করে তাদের মতামতের এবং সে যদি হয় আমার প্রিয় মানুষ তবে তার মন্তব্য আমার কাছে অবশ্যই গুরুত্ব পায়। যাক আপনার সাথে আমি খুব বেশী আর্গুমেন্ট এ যাব না। প্রথমেই বলে রাখি আপনার মন্তব্যটা এত দারুন ঝরঝরে আমি মুগ্ধ, ভুল না হলে আপনার লেখার হাত অনেক অনেক কালের অনুশীলনে পরিশীলিত।

আমিও জানি “বিষাদ সিন্ধু” বই থেকে যদি ইতিহাস আহরন করতে যাই তবে সেটা হবে এক মারাত্মক বোকামী। অতবড় মহাকাব্যর মাঝ থেকে সত্যি ইতিহাস লিখতে গেলে দুই পাতায় এটে যাবে, বাকীটা লেখকের কল্পনাপ্রসুত। কিন্তু অত বড় বইতেও অন্তত সব মিলিয়ে দুই পৃষ্ঠার ইতিহাস আছে যা সত্যিকারের ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে। তেমনি ব্রাউন বলেন আর ক্রিশ্চিয়ান জাকের রামেসিস সিরিজ বা উইলবার স্মিথের ফারাও সিরিজের যে ঢাউস বইগুলো আছে তাতে সত্যিকারের ইতিহাস অতি অল্প বাকী সব কিন্তু পাঠক টানার জন্য মসলা। বাস্তবতা হল ওই অতি অল্প ইতিহাস নিয়ে যদি আপনি সত্যিকারের ইতিহাসের খোজে নেমে যান তবে কিন্তু দারুন এক ইতিহাসের মুখোমুখি হবেন।

চাদে পা রাখা না রাখা নিয়ে অনেক কন্সপেরিসি থিওরী আছে, মজার এবং আমি এনজয়ও করি। এ্যাটিকাস ইনিষ্টিটিউট ইউ এস গভর্নমেন্ট স্বীকৃত এক মাত্র প্যারানরম্যাল কনফার্ম কেস! এনিয়েও অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। থাকুক, কি আসে যায়! নোয়েটিক সায়েন্স নিয়েও আপনি যেমন বলছেন এটা শীতল যুদ্ধ কালীন টাকা মেরে খাবার একটা ধান্ধা, কিন্তু এটাও সত্যি নোয়েটিক সায়েন্স নামক একটা ইন্সিটিউট কিন্তু ছিল, আর আমেরিকান সরকারী টাকা মেরে খাওয়া আসলেই খুব কঠিন একটা কাজ। এডগার মিচেল কে আপনি সি আই এ এজেন্ট হিসাবে বলেছেন, হতেও পারে, আসলে শীতল যুদ্ধ কালীন এই সাইডে কে যে সি আই এ এজেন্ট আর লৌহ যবনিকার ওই সাইডে কে যে কে জি বি এজেন্ট ছিল বা ছিল না তা কিন্তু নিশ্চিতভাবে বলার কোন সুযোগ নাই। সে একটা সময় গেছে বটে। উরি গেলার কে নিয়ে আমার অত ইন্টারেষ্ট নাই। যাই হোক আপনি যেমন বলছেন এটা পয়সা মারার একটা ধান্ধা হতেও পারে। তবে মজার ব্যাপার এখনো কিন্তু নোয়েটিক ইন্সটিটিউট চালু আছে যেমন আছে ইটি প্রকল্পের SETI ( একটা লেখা লিখছিলাম জানি না আপনি দেখছেন কিনা ইটি, সেটি, ভিনগ্রহের বুদ্ধিমান জীবের অস্তিত্ব কি আসলেই আছে (শেষ পর্ব) ). আমার ইন্টারেষ্টটা এখানেই।

আবার দেখুন প্রিন্সটন ভার্সিটির মত শিক্ষাঙ্গন যখন বলে সুডো সায়েন্স তখন যাব কোথায়? আসলেই কি স্বীকার করেছিল নাকি স্বীকার করানো হয়েছিল? চাইলেই এখানেও বিরাট এক কন্সপেরেসি থিওরী দাড় করানো যায়। :P

হাসান ভাই, আপনি বিদগ্ধ মানুষ, আপনার সাথে তর্কে যাবার যোগ্যতা আমার নাই, তবে এই জায়গায় সামান্য দ্বিমত পোষন করি যেমন আপনি বলেছেন সুপার স্ট্রিং থিওরি একটি অতি আধুনিক থিওরি না। এটি পঞ্চাশের দশকে গড়ে উঠেছে , ষাটের দশকের সমৃদ্ধ হয়েছে ,এবং সত্তরের দশকে সম্ভবত মৃত্যুবরণ করেছে। কারন সুপার ষ্ট্রিং থিওরী একবারে আসে নি যেটাকে আপনি পঞ্চাশের দশকে বলছেন। মুলতঃ ডে বাই ডে এটা পরিশীলিত হচ্ছে যদিও এই গুলো এখনো হাইপোথিটিক্যাল অবস্থায় আছে। নিশ্চয়ই আপনি জানেন এই ষ্ট্রিং থিওরীর বিবর্তিত রূপ, তাও দিয়ে দেই

• 1 1943–1959: S-matrix theory
• 2 1959–1968: Regge theory and bootstrap models
• 3 1968–1974: dual resonance model
• 4 1974–1984: bosonic string theory and superstring theory
• 5 1984–1994: first superstring revolution
• 6 1994–2003: second superstring revolution
• 7 2003–present

বুক অভ জোহারের পিডিএফ কপি আমার কাছে আছে সব বুজি নি, অল্প কিছু বুজছি আর ঈশ্বরের দশ নুরের ব্যাপারের সাথে ষ্ট্রিং থিওরী এখন না মিললেও শুরুর দিকে ষ্ট্রিং থিওরী কিন্তু দশ মাত্রাকে ধরা হয়েছে। এখানেও পাবেন Zohar

ভাই, আপনার সাথে যুক্তিতে যাবার যোগ্যতা আমার নেই, সত্যি আই মীন ইট, তবে এগুলো নিয়ে ভাবতে ভালো লাগে, হাতাহাতি করতেও মজা পাই, আর বর্তমানে এই সব আজাইরা কামে অঢেল সময়। এই ধরনের মন্তব্য পড়েও শান্তি। অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৭:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


মনে হচ্ছে, ভুতের গল্পের মতো রহস্যময় এলাকা বিজ্ঞানের মাঝেও খুঁজে পেয়েছেন? বিজ্ঞানকে সঠিভাবে অনুধাবন না করে, উহাকে পরিবেশন করা যায় না, বিজ্ঞানে এ্যাসট্রোলোজী নেই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪২

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী কি ইদানিং খুব টেনশানে আছেন??? প্রায় একই কমেন্ট দুইবার লিখছেন এটা আপনার মানসিক অস্থিরতার প্রমান। কেন মুরুব্বী দেবালয়ে কি অসুরদের আক্রমন খুব জোরেশোরে শুরু হয়েছে? টেনশান নিয়েন না বাসুকী হিমালয় কে সবে পেচিয়ে ধরছে, এখন সমুদ্র মন্থন করে অমৃত তুলতে যেটুকু দেরী। আমি বোধ হয় টোটাল পোষ্টে একবার এষ্ট্রোনট শব্দটা উল্লেখ্য করছি, কিন্তু এ্যষ্ট্রোলজির উল্লেখ্য তো কোথাও হয় নি |-) মুরুব্বী আমেরিকা থাকেন নিশ্চয়ই এষ্ট্রোনট আর এ্যাষ্ট্রোলজির পার্থক্য বোঝেন?

ব্লগে আমি খেয়াল করছি এক মাত্র আপনিই বিজ্ঞানকে সঠিক ভাবে উপলদ্ধি করেন। এমন করাই করেন যে মহাশুন্যচারীকে জ্যোতিষি বানাইয়া ফেলেন। সামু ব্লগের এক জীবন্ত কিংবদন্তী আপনি আমার প্রিয় মুরুব্বী। আপনি না থাকলে ব্লগের বিজ্ঞান থেকে শুরু করে আমেরিকার পত্রিকা জ্ঞান সবার অজানা থাকত। আমার টুপি খোলা অভিবাদন। !:#P

৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ৮:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ম, এষ্ট্রোলোজী, যাদুটোনা, ভুত-জ্বীন, হালকা বিজ্ঞান, রাজতন্ত্রের রাজনীতি ও বাকপটুতা মিলে আপনার ভাবানর জগত একটা জগাখিচুড়ি অবস্হার মাঝে চলে গেছে

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: এই দুই লাইন আগের মন্তব্যের সাথে এক করে দিলে কি এমুন ক্ষতি হইত মাননীয় মুরুব্বী!! হুদা কামে ব্লগে মন্তব্য দিয়া মন্তব্য বাড়ান। যাউজ্ঞা, যার জন্য আপনাকে আমি কইলজার ভেতর দিয়ে পছন্দ করি তা হইল, আপনি আমাকে হুমায়ুন আহমেদের মিসির আলী আর ডয়েলের শার্লক হোমসের মিশ্রনে কিছু একটার কথা মনে করিয়ে দিলেন। আচ্ছা আপনি কিভাবে ওই আমেরিকায় বসে আমার মানসিক অবস্থা বুজলেন? :|| একদম কারেক্ট, আমার ভাবনার জগত জগাখিচুরী। আচ্ছা আপনি কি কালাজাদু টাদু জানেন নাকি? আমার কেমুন যেন সন্দেহ হচ্ছে, নাহলে তো এভাবে মেলার কথা না। তবে দেশে এখন ভয়াবহ অবস্থা, সব কিছুর দাম উর্ধ্বগতি। বাধ্য হয়ে এভাবে নিজের ভাবনা গুলোকে খিচুড়ি বানাইয়া দুপুর আর রাতে লাঞ্চ ডিনার সেরে ফেলি।

আমি হতভম্ভ আপনি এই ব্যাপারটা কিভাবে বুজলেন? আপনি কি এ্যাষ্ট্রোনট ( আপনি তো আবার এ্যাষ্ট্রোনট মানে বুজেন জ্যোতিষি ;) )

৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৫০

বিভ্রান্ত পাঠক বলেছেন: মিশেল ফুকোর "ক্ষমতার ধারণা" কিংবা গ্রামসীর "হেজেমনি"র বহিঃপ্রকাশ, যেখানে এক জ্ঞান দিয়ে আরেক জ্ঞানের উপর আধিপত্য করা হয়।।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১০

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই, কিন্তু আমার মিশেল ফুকো বা গ্রামসীর ওপর ধারনা শুন্য। মিশেল ফুকোর নামের সাথে পরিচিত আছি, শুধু এটুকুই ভাই।

৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমার আগ্রহ আছে বিশেষ করে ইএসপি নিয়ে আমি প্রচুর আগ্রহি। এই ইএসপি নিয়ে আমি একটা লেখা লিখেছিলাম ব্লগে (অলৌকিকের লৌকিক ব্যাখ্যা) এবং এই আইডিয়ার উপর ভিত্তি করে একটি সাইন্স ফিকশানও গামা লেভেল) লিখেছিলাম যেটা গত বছর ব্লগের সংকলনের সাথে বই মেলায় এসেছিল।

মাঝে মাঝে এই ধরণের টপিক মনের খোরাক যোগায়। আরো লিখতে থাকুন।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১৮

শের শায়রী বলেছেন: এই টপিকস গুলো আমারো খুব ইন্টারেষ্টিং লাগে আমি অবশ্যই আপনার পোষ্টে যাব, এবং পড়ব।

লিখব অবশ্যই। আপাতত নিয়ার ডেথ এক্সপেরিয়েন্স নিয়া পড়ছি।

৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

নতুন বলেছেন: মানুষের মনের ক্ষমতা যদি সত্যি হতো তবে ভালোই হতো।

অবশ্য মানুষের ক্ষমতা এক রকমের অসীস, আমাদের এই পুথিবিতে কতোই রকমের কাজই না মানুষ করতেছে।

নানান রকমের জিনিস আবিস্কার করে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করেছে মানুষ।

সেই ভাবেই আরো অনেক কিছু ভবিষ্যতে আবিস্কার করবে মানুষ যা এখন অসম্ভব মনে করে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই, মানুষের ক্ষমতা অবশ্যই সসীম, কিন্তু এই মানুষেরই ভাবনা অসীম ক্ষমতাধর। আজ যা অবাস্তব দূর ভবিষ্যতে তাই হয়ত বাস্তব। এর নামই বিজ্ঞান। আমার ধারনা মানুষ এক সময় তার মানসিক ক্ষমতাকে কাজে লাগানো শিখবে, সেদিন অনেক কিছু থেকেই মানুষ মুক্ত হবে।

পাঠে এবং মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই

৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিজ্ঞান সমস্ত অসম্ভবকে সম্ভব করে। এখন পৃথিবীতে অগণিত মানুষ মরছে , এই বিজ্ঞানের ফলে কিছু আবিষ্কার হলেই মানুষ বাঁচে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৫৫

শের শায়রী বলেছেন: বিজ্ঞানের অবিস্কার দ্ধারাই মানুষের উপকার হবে নিশ্চয়ই নেওয়াজ ভাই।

৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি টং-চা-দোকানের চটুল বাকপটুতাকে ব্লগে এনে, বিশ্বের নিস্পত্তি হয়ে যাওয়া বিয়কে কম বুঝে, সেই কম-বুঝাটাকে পন্ডিতি হিসেবে দাঁড় করায়ে সবাইকে হতবাক করার চেষ্টা করছেন; আপনি ভুল যায়গায় সেই চেষ্টা চালাচছেন, এটা ব্লগ।

বিজ্ঞান হচ্ছে মানুষের লব্ধজ্ঞান; অবিজ্ঞান হচ্ছে, অসত্য, কুসংস্কারে পরিপুর্ণ ধারণা; ২টার মাঝে কোথায় মিলনবিন্দু নেই; সত্য ও মিথ্যার মাঝে কমন কোন প্যারামিটার নেই। ষ্টান্টিং'এর যায়গা, বাকপটুতার যায়গা হচ্ছে, টং-চা দোকান, ব্লগ সঠিক যায়গা নয়।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় মুরুব্বী আপনি উত্তেজিত, টেনসড। এই বয়সে আমাকে নিয়ে এত টেন্স নিয়েন না। বিশ্বের নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া বিষয় কোনটা? যোগ্যতা থাকলে উত্তর দিন। অবশ্য আপনার সাথে তর্ক চলে না কারন বিজ্ঞানে আপনি শেকসপীয়র, সাহিত্যে নিউটন, কবিতায় উত্তম কুমার।

বিজ্ঞান আর অবিজ্ঞানের মাঝে মিলনবিন্দু যদি নাই থাকে তবে কিভাবে আপনার মত জ্ঞানের হেড অফিসের সাথে ব্লগের লিলিপুটিয়ান দের এক সাথে ব্লগিং চলছে :P

১০| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু পোস্ট মানুষকে ইন্সপায়ার করে। আর কিছু পোস্ট মানুষকে লজ্জিত করে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

শের শায়রী বলেছেন: কোন পোষ্ট লজ্জিত হবার মত আপনার মনে হয়েছে প্রিয় রাজীব ভাই? আর কোন পোষ্ট মানুষ কে ইন্সপায়ার্ড করে?

১১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২১

বক বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, এরকম একটা লেখা লেখার আশা ছিল কিন্তু সার্মথ্য ছিল না। আপনি সেটা লিখেছেন।

এডগার মিচেল চাদ থেকে তার অর্থের যোগান দাতার সাথে যোগাযোগ করেছেন বললে মধ্যযুগে পড়ে থাকা কাঠ মোল্লার কথা মনে হয়না, কিন্তু যখন কোন মসজিদের ইমাম বলেন ওমর ( রা: ) মদীনা থেকে শত শত মাইল দুরে যুদ্ধেরত সেনাপতি সাহাবী ( রা: ) কে পাহাড়ের দিকে তাকাতে বলেন তখন স্মার্ট লোকদের কাছে আজগুবি মনে হয়।

আল্লাহপাকের অনুগ্রহ প্রাপ্ত রা যে জ্ঞান বা বিজ্ঞানের সন্ধান পেয়েছিলেন তা পৃথিবীর সমস্ত বিজ্ঞানীরা হয়ত আদৌ পাবে কিনা সন্দেহ। সমস্যাটা হচ্ছে যখন কেউ উক্ত জ্ঞানের সন্ধান পেয়ে যায় তখন তার কাছে ইহজাগতিক সমস্ত কিছুই এত ঠুনকো হয়ে যায় যে তিনি দুনিয়ার মানুষের কাছে জাহির বা প্রমানের এতটুকুও প্রয়োজন বোধ করেন না। ফলে আমদের কাছে ওসব মধ্যযুগীও মনে হয়।

আল্লাহ আমাকে মাফ করুন, আমি একটা কিতাবে ( বইয়ে) পড়ে ছিলাম। ওলী আল্লাহ রা মহা বিশ্ব কে হাতের তালুর উপর একটা গোল দানার মত দেখতে পান। শুধু দানার নিচের অংশটা তার কাছে লুকায়িত থাকে। আর নবী রাসুলেরা হাতের তালুর মত সমস্ত অংশটা একসাথে দেখতে পান। ( কোন অংশ লুকায়িত না)

দুনিয়ার লোকজন যখন সে বিজ্ঞানের সন্ধানে নামে তখন সেটার পিছনে উদ্দেশ্য থাকে দুনিয়া ফলে তখন সেটা হয়ে যাবে নোয়েটিক সাইন্স , বা প্যরা নরমাল কিছু একটা । সেটা সেই পথের বা বিজ্ঞানের আংশিক মাত্র। ( আমি শুনেছি ৬ ডাইমেনশন পর্যন্ত যেতে পারে - যাকে ম্যজিক বলা যায়, স্প্রিচুয়াল নয়)। আপনি যখন দুনিয়ায় কিছু পাওয়ার জন্য ঐ বিজ্ঞান চর্চা করবেন তখন আপনি সিস্টেমের মধ্যে থেকে সিস্টেমকে কন্ট্রোল করতে চাইবেন, যেটা আপনাকে ৬ ডাইমেনশনের উপরে উঠতে দিবেনা। তার উপরে উঠতে চাইলে আপনাকে স্প্রিচুয়াল হতে হবে (মানে মোল্লা টাইপের কিছু হতে হবে)। সেটা তো আবার ঠিক স্মার্টনেসের সাথে যায় না।

বাস্তবে আমাদের আকাবির রা যে কোন স্তরের বিজ্ঞানের অধিকারী ছিলেন সেটা আমরাও জানি না বা জানার চেস্টাও করি না।

আপনি স্টাডি করে মজা পান তাই বেয়াদবি না নিলে আপনাকে একটা ইউটিউবের লিংক দিচ্ছি। আমার কাছে সমসাময়িক জ্ঞানের আদলে স্প্রিচুয়ালিটির ব্যাখ্যা মনে হয়েছে। পুরোটা বোঝার ক্ষমতা আমার হয়নি। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন। আমি নিজেও জানি না এটা দিয়ে কেউ পথপ্রাপ্ত হবে নাকি পথভ্রস্ট হবে। শয়তান অভিশপ্ত হওয়ার আগে সবচেয়ে বেশী জ্ঞানী ছিলো এবং সে আমাকে আপনাকে পথভ্রস্ট করার জন্য দুর্দান্ত পরিশ্রমী। তবে এই জ্ঞান নিয়ে যে গুছিয়ে স্টাডি হচ্ছে তা বোঝা যায়।

CONSCIOUSNESS AND PERSONALITY. From the inevitably dead to the eternally Alive

বিক্ষিপ্ত কিছু কথা বললাম। কিছু মনে করবেন না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই আমার কৃতজ্ঞতা জানুন অসাধারন এক মন্তব্যের জন্য। ইউ টিউব লিঙ্কে জাষ্ট একটু চোখ বুলিয়ে এসেছি, দারুন লাগছে সময় করে দেখব। তবে আপনার মন্তব্যে যে জিনিসটা আমার ভালো লাগছে তা হল নতুন ভাবনার খোরাক জোগানো।

অসাধারন একটা লাইন সমস্যাটা হচ্ছে যখন কেউ উক্ত জ্ঞানের সন্ধান পেয়ে যায় তখন তার কাছে ইহজাগতিক সমস্ত কিছুই এত ঠুনকো হয়ে যায় যে তিনি দুনিয়ার মানুষের কাছে জাহির বা প্রমানের এতটুকুও প্রয়োজন বোধ করেন না।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানুন ভাই।

১২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

মা.হাসান বলেছেন: শের শায়রী ভাই, আমার পড়ার পরিধি আসলে খুব কম। ব্লগে দু-এক জন প্রতিভা আছেন যারা আইনস্টাইনের মতো কবিতা লিখেন, রবীন্দ্রনাথের মতো বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লেখেন, সেকসপিয়ারের চেয়ে ভালো ইংরেজী জানেন। এদের কাছ থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করি এই আর কি।

ব্লগে আসার আগে পরীক্ষার খাতার বাইরে মূলত বাজারের ফর্দ ছাড়া কিছু লেখার সুযোগ হয়নি। ব্লগে আমার অধিকাংশ লেখাই গুনি জনদের মতে গার্বেজ। ভাবতেছি এখন থেকে শুধু কবিতা লিখবো।

আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, আমি যাকে এই ব্লগে পীর মানি সেই শ্রদ্ধেয় মুরুব্বী চাদ্গাজী আমাকে টং ঘরের আড্ডাবাজ হিসাবে ডিক্লেয়ার করছে। আমি নাকি আবোল তাবোল কি সব ভুল ভাল বকছি। কিন্তু কি ভুল বকছি তাই সে বলতে পারছে না।

তবে ভালো লাগছে এই জেনে যে এখনো দুই চার জন আছে যারা আইনস্টাইনের মতো কবিতা লিখেন, রবীন্দ্রনাথের মতো বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লেখেন, সেকসপিয়ারের চেয়ে ভালো ইংরেজী জানেন =p~

১৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:১১

নতুন বলেছেন: টাকা আর ক্ষমতার জন্য সুডো সায়ান্স দিয়ে অনেক সময় মানুষকে বিভ্রন্ত করে।

অনেকেই ধমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে তেমনি কিছু মানুষ বিজ্ঞানকে নিজের লাবে ব্যবহার করে।

হোমিওপ্যাথি ও সুডো সায়ান্স কিন্তু কয়েক কোটি মানুষ বিশ্বে হোমিয়প‌্যাথী ব্যাবহার করে, বিশ্বাস করে।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৯

শের শায়রী বলেছেন: নতুন ভাই এনিয়ে তো কোন সন্দেহ নেই যে সব সময়ই সব জায়গায় কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থের জন্য সব করতে পারে। তবে হোমিওপ্যাথি যে সুডো সায়েন্সের অন্তর্গত এটা জানা ছিল না।

১৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

পলাতক মুর্গ বলেছেন: হোমিয়প‌্যাথিতে কাজ হয়, এইটা সুডো সাইন্স আগে জানতাম না।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১০

শের শায়রী বলেছেন: আমারও ভাই এটা জানা ছিল না, আজকে নতুন ভাইর কাছ থেকে জানলাম।

১৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: রেফারেন্স দিতে পারিব না , তবে মানুষের অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা লইয়া বিজ্ঞানের গবেষণা বোধয় আরও পুরোনো ! শোনা যায় , হিটলার এবিষয়ে কাজ শুরু করিয়াছিলেন। সিআইএর কিছু প্রজেক্টেও নাকি কাজ হইয়াছে , এখনও হইতাছে ! ইউরি গেলাররে ভুয়াই মনে হইয়াছে।সাইকোলজিতে সম্ভবত : এধরণের অব্যাখ্যাত গবেষণা আছে যাহা অমীমাংসিত।

তবে ব্যক্তিগত অভিমত হইলো বিজ্ঞান ইহার তল পাইবে না ! মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস , বহু বিশ্বাসযোগ্য মুসলমানের চাক্ষুস অভিজ্ঞতা জিন , জাদু--টোনাই বিজ্ঞান কখনও তল পাইলো না , আর মানুষের সত্যিকারের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা যাহা আরও জটিল বিষয় তাহার তল বিজ্ঞান পাইবে ইহা বিশ্বাসযোগ্য নহে ! ভন্ড, বুজরুকদের ভণ্ডামি ধইরাই বিজ্ঞান বইলা দিলো আলৈকিক বইলা কিছু নাই ! অথচ লক্ষ লক্ষ্ ঘটনার ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারে না !

আর মুসলমান হিসাবে কইতে পারি মুজিজা ,কারামতের তল বিজ্ঞান কোনদিন পাইবে না ! অস্বীকার করিয়াই যাইবে ! আল্লাহ্পাকের সুন্নতের রহস্যই বিজ্ঞান আজও শেষ করিতে পারে নাই , এক কোয়ান্টাম মেকানিক্সের রহস্যই পুরো পুরি ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারে নাই , সৌরজগতের , মানুষের শরীরের হাজারো , লক্ষ্ সুন্নতই এখনও অব্যাখ্যাত , আর কুদরত তো সরাসরি সুন্নতের বিপরীত , যাহা আল্লাহ পাকের হুকুমের সাথে সংশ্লিষ্ট। উহার ব্যাখ্যা নাই ,তল নাই ,মানুষের উহা চিন্তা করার ক্ষমতাই নাই ! ব্যাখ্যা না করিতে পারিয়া ,লজিকে না ধরিতে পারিয়া অস্বীকার করার ক্ষমতাই শুধু মানুষের আছে , তাও সীমিত পর্যায়ে স্বাধীন সত্তা হিসেবে আল্লাহ্পাক তৈরী করিয়াছিলেন বলিয়াই ! (গাজী কাহু আর নূতন আইলো বইলা !)

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: টারজান ভাই, ৭০ এর দশকে সি আই এ "ষ্টারগেট প্রজেক্ট" হাতে নিছিল, যে প্রজেক্ট ছিল অদৃশ্য ভাবে কারো ওপর নজরদারি করা। সোজা বাংলায় গায়েবী ভাবে বিচরন করে দ্বীন দুনিয়া ভ্রমন করা :P পরে ৯৫ তে মার্কিন জনগনের চাপে এইডা বন্ধ হয়ে যায়। তো সি আই এ যখন গায়েবী ভ্রমন নিয়া অফিসিয়ালি কাজ করে তখন সেটা হইয়া যায় প্রজেক্ট, আর ধর্ম বা সত্যিকারের ধার্মিকদের ব্যাপারে যদি এগুলো উল্লেখ্য থাকে তবে হইয়া যায় গাঁজাখুরী কেচ্ছা।

আমার মুরুব্বী আছেন একজন এই ব্লগে উনি ব্যাসিকালি কিছুই জানেন না, জানেন শুধু কমেন্ট দিয়া কেউ কেউ করতে, উনি আইনস্টাইনের মতো কবিতা লিখেন, রবীন্দ্রনাথের মতো বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা লেখেন, সেকসপিয়ারের চেয়ে ভালো ইংরেজী জানেন। তো উপদেশ থাকল আমি যেমন উনার কাছ থেকে শিখার চেষ্টা করি আপনিও তাই করেন। আখেরে ফয়দা হবে। ;)

১৬| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৪

এইচ তালুকদার বলেছেন: সুখপাঠ্য,অনেক আগ্রহ নিয়ে পড়লাম,ions সম্পর্কে ভালো ধারনা নেই।তবে কি আমার স্বল্প জ্ঞানে লাল ফিতাওয়ালা কাব্বালাহ, আটকোনা ক্রসওয়ালা সাইন্টোলজিস্ট E নট ইকুয়ালস টূmc2 ওয়ালা বাবা নিত্যানন্দ এদেরকে একই মনে হয়েছে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:২১

শের শায়রী বলেছেন: এক দম খারাপ বলেন নাই ;)

১৭| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৪

মৈত্রী বলেছেন: You should read the divine matrix or Fractal Time

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আমি চেষ্টা করব বই দুটো কালেক্ট করার।

১৮| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: অনেক সময় পোষ্টের চেয়ে মন্তব্য এবং উত্তর গুলো বেশি ভালো লাগে।

তাই দুই তিন বার করে আপনার পোষ্টে আসি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: ইউ আর ওয়েলকাম।

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২

নতুন বলেছেন: তবে হোমিওপ্যাথি যে সুডো সায়েন্সের অন্তর্গত এটা জানা ছিল না।

পলাতক মুর্গ বলেছেন: হোমিয়প‌্যাথিতে কাজ হয়, এইটা সুডো সাইন্স আগে জানতাম না।
০৫ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১০০
লেখক বলেছেন: আমারও ভাই এটা জানা ছিল না, আজকে নতুন ভাইর কাছ থেকে জানলাম।



হোমিওপ্যাথী যে কাজ করে তার কোন প্রমান এখনো বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত না। হোমিও দ্রবন এখনো কোন প্লাসিবোর চেয়ে বেশি কায`কর তা কোন বৈজ্ঞানিক পদ্বীতে প্রমান করতে পারেনাই।

হোমিওপ‌্যাথীর প্রবক্তারা বিভিন্ন ভাবে এর ব্যক্ষা দেওয়ার চেস্টা করে কিন্তু তারা মানুষকে বিজ্ঞানের নামে বিভ্রান্ত করে।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: ক্লিয়ার নতুন ভাই। এই পয়েন্টটা আমিও জানি কিন্তু এভাবে ভাবি নি। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২০| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: কথা একটাই We shall over come

শুভ রাত্রি।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫০

শের শায়রী বলেছেন: শুভ সন্ধ্যা।

২১| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৪:৩২

সোহানী বলেছেন: লিখা যা লিখছেন তাতে যা তর্ক বিতর্কের ঝড় চলছে তাতে অন্তত প্রমানিত হয় যে বাংলাদেশে এখন সত্যিই লকডাউন চলছে :D

লিখায় ভালোলাগা আর ম.হাসান ভাইয়ের মন্তব্যে সুপার লাইক।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: মুলতঃ এখানে আন্তঃ মহাদেশীয় বিতর্ক চলছে B-))

আর আপনি তো ম.হাসান ভাইয়ের মন্তব্যে সুপার লাইক। দিয়া খালাস, কিন্তু আমার জন্য প্যানিক, কারন উনার মন্তব্যের উস্কানির ঝাল আমাকে সামলাইতে হয়, তাও আবার বিশ্বের সব থেকে বড় সুপার পাওয়ারের /:) এক কিংবদন্তী ব্লগারের।

২২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রাতের আঁধারে সূর্যের বাস্তবতা জোর করে বোঝানো যায় না
ভোর হতে দিন, নিজেই বুঝে যাবে ;)

আপনার যেখানে যেখানে কিছু বলতে গিয়ে থেমে গেছেন সেখানে সেখানে আমার খুব মজা লেগেছে :)
অব্যক্ততার ব্যক্তানুভবের অনুভবে!

ধর্ম বিজ্ঞানের সুতিকাগার। কোন ধর্ম? প্রচলিত আচার সর্বস্বতা? লেবাসধারীতা? মূর্খতার অন্ধঅনুসারীরা?
না। ধর্ম নিজেই এক আলোকিত পথের নাম। যাকে অনুসন্ধান করে অনুভব করতে হয়।
যে জন্য কোরআন বলেছে- মরার আগে মর মুসলমান না হয়ে মরোনা।
মুসলমান জন্মসূত্রে হওয়া যায় না। গেলে এই নির্দেশ আসতো না।

আবার দেখুন -বারবার বলা হয়েছে- হে মুহম্মদ, আপনি ইব্রহিমের ধর্ম অনুসরন করুন।
ইব্রাহিমের ধর্ম কি? উনার জ্ঞান অন্বেষার পথ পদ্ধতি কি ছিল?
গল্প হিসেবে সবাই জানি কিন্তু বিজ্ঞান হিসেবে মানি না।
জ্ঞান অন্বেষনের পুরো পথটাই ছিল অনুসন্ধান, বিশ্লেষন, গ্রহণ/বর্জন, পুন:অনুসন্ধান, বিশ্লেষন-অনুসিদ্ধান্ত।

যাকগে।
প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র স্বত্তা। আর জবাব দিহিতা স্রেফ নিজের কাজের জন্য।
তাই সকলের জন্য পীড়িত না হয়ে আত্মানুসন্ধানে তীব্রতায় ব্রতী হোন।
সাফল্যের পর -কল্যান হোক সবার জন্য। :)

সাধনার বিষয়গুলো স্রেফ ধর্মীয় আবেগে এবং দৃষ্টিতে দেখা হয় বলে- তার বিজ্ঞান অংশটুকু অবহেলিতই রয়ে গেছে আজো।
আপনার উল্লেিখত অসাধান লাইনের কারণেই- যখন কেউ উক্ত জ্ঞানের সন্ধান পেয়ে যায় তখন তার কাছে ইহজাগতিক সমস্ত কিছুই এত ঠুনকো হয়ে যায় যে তিনি দুনিয়ার মানুষের কাছে জাহির বা প্রমানের এতটুকুও প্রয়োজন বোধ করেন না।

আর নিরবতার কারণটাও সহজ- ত্রিমাত্রিক জীবকে মাত্রা ভেদ করার তত্ত্ব শেখানো দূরে থাক বিশ্বাস করানোই যেখানে পাহাড় সম বাঁধা সেখানে -সত্যানুভবতো ছায়াপথে ভ্রমন করানোর চেয়ে দু:সাধ্য ;)

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০২

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই আপনার মন্তব্য মানে কোন কোন পোষ্টের মুল বক্তব্যকে ছাপিয়ে অনেক কিছু প্রকাশ করে ফেলে, এটা ওই পোষ্টের জন্য অনেক বড় পাওয়া, যেমন এই পোষ্টে এই মন্তব্য। শুধু কৃতজ্ঞতা জানালেও কম হয়ে যায়। ভালো থাকুন প্রিয় ম্যা'ভাই।

আর নিরবতার কারণটাও সহজ- ত্রিমাত্রিক জীবকে মাত্রা ভেদ করার তত্ত্ব শেখানো দূরে থাক বিশ্বাস করানোই যেখানে পাহাড় সম বাঁধা সেখানে -সত্যানুভবতো ছায়াপথে ভ্রমন করানোর চেয়ে দু:সাধ্য কি দারুন!!!

২৩| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: শের শায়রী ভাই আপনি১২ নম্বর প্রতিমন্তব্যে যা বলেছেন , সে ক্ষেত্রে দুটো সম্ভাবনা আমার মাথায় উঁকি দেয়। প্রথম সম্ভাবনা এই যে, লোকে যেরকম ভাবে, জনাব চাঁদগাজী সত্তরের কাছাকাছি একজন মুরুব্বী। উনি আন্তরিকভাবে চান না আপনি ডিরেইলড হয়ে যান। সে কারণে মাঝে মাঝে আপনাকে বিভিন্ন সদুপদেশ দেন। দ্বিতীয় সম্ভাবনা এই যে, যেমনটা কোন এক মন্তব্যে দেখেছি, চাঁদগাজী নামের আড়ালে একজন সুন্দরী ভদ্রমহিলা ব্লগিং করেন। তিনি সম্ভবত আপনার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন। এক্ষেত্রে বিষয়টা আপনাকে ডেলিকেটলি হ্যান্ডেল করতে হবে। এ বিষয়ে নীল আকাশ ভাই, নীল মুক্তা আপু, শায়মা আপু, নিজামুদ্দিন ভাই , মডারেটর জাদিদ ভাই- এনারা অভিজ্ঞ লোক। এনারা সকলেই আপনাকে পরামর্শ দিতে পারবেন। তবে আপনার অভিজ্ঞতা কেমন বা পরামর্শ আদৌ লাগবে কি না জানি না।

অনেক শুভকামনা।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩১

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই, দ্বিতীয় সম্ভাবনার কথা একটু চোখ বুইজা ভাবার চেষ্টা করলাম... কিন্তু ঘরে যে আছে সে খিচ খাইয়া কইয়া উডল "কি লিখতে লিখতে আবার চোউখ বুইজ্জা কার কথা ভাব.... তোমার স্বভাব চরিত্র তো....." আমি কিভাবে এই মুর্খ মেয়ে মানুষ কে বুজাই আমি আসলে চাদ্গাজী নামক এক সুন্দরী ব্লগারকে নিয়ে ভাবার চেষ্টা করছিলাম যা আমাকে ব্লগার হাসান ভাই উপদেশ দিছে :(

আপনার পরামর্শেই খালি খালি খিচ খাইলাম, আর কারো উপদেশ..... মাফ ও চাই দোয়াও চাই

২৪| ০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩১

হাসান রাজু বলেছেন: পড়তে পড়তে লস্ট সিম্বলের ক্যথরিনের ল্যাবের কথা ভাবছিলাম । পড়া শেষে দেখলাম লস্ট সিম্বল থেকে অনুপ্রেণিত।

০৬ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: পুড়ানো বইগুলার মাঝে যেগুলা পছন্দের সেগুলা রিভাইস করছি হাসান ভাই :)

২৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩০

Rajibrpsoft বলেছেন: পুরো লেখটি পরে বেশ ভালো লাগলো...তবে আমার স্বল্প knowledge দিয়ে বলি মানুষ তার বুদ্ধি দিয়ে যতই এগিয়ে যাক কিছু question এর উওর কখনও পাবেনা । কারণ আল্লাহর নিষেধও আছে।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই, কোন সন্দেহ নাই, মানুষ অনেক কিছুই জানবে কিন্তু সব কিছু কোন দিনই জানবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.