নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ্যালিগেটর বেইটঃ সাদা মানুষের কালো অমানবিকতা

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৪



মহান আমেরিকা, গ্রেট আমেরিকা! খুব বেশী দিন আগে না ধরুন একশত বছর ও হয় নি, কিছু দুর্দান্ত সাহসী শিকারীর জন্ম হয়েছিল। মুলতঃ ফ্লোরিডা, লুইজিয়ানার মত দক্ষিনের জলাভুমি অঞ্চল রাজ্যে এদের সাহসিকতা দেখা যেত। এরা ছিল অসীম সাহসের অধিকারী !!! ভয় কাকে বলত এরা জানত না। সে সময় কুমিরের চামড়ার চাহিদা খুব বেড়ে গিয়েছিল, কারন টাকাওয়ালাদের পায়ের জুতো, প্যান্টের বেল্ট, অথবা মানিব্যাগে এই কুমিরের চামড়ার খুব চাহিদা ছিল। কুমির শিকার চাট্টিখানি ব্যাপার না। পৃথিবীতে সব প্রানীর বিবর্তন হয়েছে, বলা হয়ে থাকে সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে কুমিরের পূর্ব পুরুষ যেমন ছিল আজো তেমনি একই হিংস্রতা নিয়ে এই প্রজাতিটি বেচে আছে। তো এহেন কুমির শিকার করতে মারাত্মক সাহসী পুরুষদের দরকার হয়। শুধু সাহস থাকলেই তো হবে না, সাথে থাকতে হবে বুদ্ধি। পানির কুমিরকে ডাঙ্গায় টেনে বন্দুকের গুলি মেরে হত্যা করা! পানি থেকে কুমিরকে ডাঙ্গায় উঠানোর জন্য কুমিরকে “টোপ” ইংরেজীতে যাকে বলে “বেইট” দেইয়া হত। এই টোপ হিসাবে ব্যাবহৃত হত ছোট ছোট কালো মানুষদের বাচ্চাদের।

নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম শুনছেন? রাইটার। অনেকেই হয়ত শুনেন নি। আচ্ছা “টেনিদা”র নাম শুনেছেন? এইবার হয়ত অনেকেই বলবেন হ্যা শুনেছেন। সেই বিখ্যাত ডায়লগ যার মুখে অহরহ উচ্চারিত হত "ডি-লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফিলিস ইয়াক ইয়াক" সেই টেনিদার স্রষ্টা নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়। অনেক আগে সেই নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের টোপ নামে একটা গল্প পছড়িলাম। গল্পটার প্লট এত ভয়াবহ ছিল যে সেটা আর মাথা দিয়ে বের হয় নি, গত দুই তিন দিন যাবত যখন এ্যালিগেটর বেইট নিয়ে অন্তর্জালে হাতড়াচ্ছিলাম মাথার মাঝে টোপ গল্পটা হানা দিয়ে যাচ্ছিল। শেষে অনেক ঝামেলা করে সেই গল্পটা যে বইতে আছে সেটা বের করলাম, বের করে আজকে অন লাইনে সার্চ দিয়ে দেখি অন লাইনেও সেটা আছে।

টোপ গল্পটা মুলতঃ একজন রাজাবাহাদুর এন আর চৌধুরীর গল্প। যিনি লেখককে তার বাঘ শিকার বাহাদুরি দেখানোর জন্য তার ষ্টেটে নিমন্ত্রন করলেন। প্রথম দু’দিন সারা রাত শিকারের অপেক্ষায় থেকেও বাঘের আর দেখা মেলে না, শেষ রাতে রাজা বাহাদুর মদ খেয়ে লেখককে নিয়ে শিকারের মাচায় উঠলেন, কিছুক্ষন পর কপিকলের সাহায্যে রাজাবাহাদুর টোপ নামিয়ে দিল, সে টোপ খেতে এক সময় বাঘ চলে আসে এবং টোপে থাবা চালিয়ে দেয়, রাজা বাহাদুর অব্যার্থ লক্ষ্যে গুলি চালিয়ে সে বাঘ কে হত্যা করে, এদিকে আবার কপিকলের সাহায্যে টোপ টাকে টেনে তোলা হল, লেখক অজ্ঞান হবার আগে প্রচন্ড আতংকে লক্ষ্য করেন টোপ আর কিছুই না সকালে রাজা বাহাদুরের উঠানে খেলারত তার হাউজ কীপারের কয়েকটা বেওয়ারিশ ছেলে দেখছিলো তার একটা। (গল্পটা চাইলে পড়ে আসুন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প – টোপ। )

এই টোপ গল্পটার প্লট এত অভিনব লাগছিলো যে আজ থেকে অন্তত বিশ বছর আগে পড়া গল্পটা মনের মাঝে গেথে আছে। এত দিন পর এলিগেটর বেইট নিয়ে যখন কিছু প্রবন্ধ অন লাইনে পড়ছিলাম, তখন খুব স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় প্রশ্ন আসছে নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায় কি তার টোপ গল্পের প্লট কি তবে এই এলিগেটর বেইট কাহিনী শুনে পেয়েছিল?

১৮৬৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৩তম সংশোধনে অন্তর্ভুক্তির মধ্য দিয়ে কাগজে-কলমে আমেরিকায় দাসপ্রথার বিলুপ্তি ঘটলেও, বাস্তবের চিত্রটা ছিল একদমই আলাদা। নামেই দাস প্রথার বিলোপ হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে আমেরিকায় দাস প্রথা ভালোই চলছিলো বিলোপের আড়ালে।



বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিককার ঘটনা এগুলো সাদা চামড়ার ভদ্রলোকরা এই ঘটনাগুলো ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করলেও এক পর্যায়ে কিছু মানুষের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ইতিহাসের নিষ্ঠূরতম দিকটি বেড়িয়ে আসে। এনিয়ে যারা কাজ করছে এমন একজন রিসার্চারকে অরল্যান্ডোর কাছাকাছি অবস্থিত ষ্ট্যানফোর্ড শহরের বাসিন্দা জানায় এই “এ্যালিগেটর বেইট” বা “গেটর বেইট” এর ব্যাপারে সে তার দাদার কাছ থেকে শুনছে। তারা নিগ্রো বাচ্চাদের মায়েরা যখন দিনের বেলায় কাজ করত অথবা অন্য কোন কাজে একটু এদিক ওদিক যেত তখনি ওত পেতে থাকা কুমির শিকারীরা বাচ্চা গুলোকে চুরি করত।



১৯২৩ সালে প্রকাশিত টাইম ম্যাগজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাচ্চা গুলোর বয়স থাকত এক বছর বা এর আশেপাশে, বাচ্চাগুলোকে চুরি করেই এক টানে জলাভুমিতে কোন নির্জন স্থানে মুরগীর বাচ্চার মত রেখে দিত। রাত হলেই বাচ্চাগুলোর হাতে বা গলায় দড়ি দিয়ে বেধে অগভীর জলায় নামিয়ে দিত। প্রানের আতংকে শিশুগুলো চিৎকার দিতে থাকত। এক পর্যায়ে এই সব বাচ্চার চিৎকার বা দাপাদাপিতে কুমিরগুলো গভীর পানি থেকে তীরের দিকে আসত। ওদিকে বীর কুমির শিকারী সুবিধা জনক স্থানে বন্দুক নিয়ে বসে থাকত। কোন কোন ক্ষেত্রে বাচ্চাটার কপাল ভালো হলে কুমির এসে বাচ্চার সামনে থেমে যেত আর শিকারী গুলি করে কুমিরটাকে হত্যা করত।



তবে সব বাচ্চার কপাল এত ভালো হত না, কোন কোন কুমির এক টানে দৌড়ে এসে বাচ্চাটাকে কামড় দিয়ে মুখের মাঝে নিয়ে যখন খেতে শুরু করত তখন কিছুটা স্থির হলেই শিকারী গুলি করার সুযোগ পেত আর গুলি করে কুমিরটাকে মেরে ফেলে তারা দামী চামড়া সংগ্রহ করত। হতভাগ্য শিশুটি তখন হয়ত আধা খাওয়া অবস্থায় কুমিরটির মুখের মাঝে থাকত। শিকারীদের ভাষায় কুমির শিকারের জন্য এই সব নিগ্রো শিশুদের “পিকানিন্নিস” বলা হত। এরা মানুষ নামের তুল্য ছিল না।

আবার এই সব “পিকানিন্নিস”দের অনেক সময় পাওয়া কঠিন হয়ে যেত সেক্ষেত্রে ব্যাবসায়িক ভিত্তিতে তাদের সরবরাহ করার জন্য তাদের মা বাবাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হত, শিশুটির মুল্য বাবদ তার মা বাবাকে দুই ডলার দেয়া হত



বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে এই বিষয়টিকে আড়াল করার চেষ্টা করা হলেও, একাধিক সূত্রে ইতিহাসের পাতা থেকে এসব তথ্যের যথার্থতা নিশ্চিত করা গেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি সূত্র হলো, মিশিগানের ফেরিস স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অবস্থিত জিম ক্রো মিউজিয়াম। সেখানে সংরক্ষিত বিভিন্ন হাউজ আর্টিফ্যাক্টস (পোস্টকার্ড, নিকন্যাক, প্রোডাক্ট প্যাকেজিং ইত্যাদি) দেখলে বোঝা যায়, বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে আমেরিকান পপ কালচারে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি বর্বরতা কতটা গভীরভাবে মিশে গিয়েছিল। ফ্লোরিডার এক বাসিন্দার বাড়ীতে একটা ছবি পাওয়া যায় যেখানে দেখা যায় নয়টি “পিকানিন্নিস”। নীচে লেখা “এলিগেটর বেইট”।



১৯০৮ সালের ১৩রই জুন ওয়াশিংটন টাইমসের প্রতিবেদনে দেখা যায় সেখানে কিভাবে নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস জুওলোজিক্যাল গার্ডেন এর রেপটাইল কীপাররা দুটো “পিকানিন্নিস” ব্যাবহার করে উইন্টার ট্যাংক থেকে সামার ট্যাংকে স্থানান্তর করে। হেড কীপার স্নাইডার কিভাবে তার সহকারী টমি কে নিয়ে দুটো পিকানিন্নিস বা এলিগেটর বেইট ব্যাবহার করে ২৫ টি কুমিরকে তাদের শীত কালীন আবাসস্থল থেকে গরম কালীন নিবাসে স্থানান্তর দর্শকদের সামনে করছে তার বেশ সুন্দর বর্ননা দেয়া আছে। দুটো মানব শিশুকে (যদিও সেকালে এদের মানব শিশু বলা হত না, এরা ছিল পিকানিন্নিস) ব্যাবহার করে ২৫ টি হিংস্র কুমিরকে কিভাবে প্রলুদ্ধ করে বোকা বানানো হয় তার বেশ রসিয়ে বর্ননা দেয়া আছে।



এই সব গেটর বেইটসদের নিয়ে আবার গান বানানোও হতঃ

[Chorus]
Hush-aby, don’t yo’ cry,
mammy’s little piccaninny’s gwine to get a present mighty soon,
When de stars am a-peepin’ and de moon it am a-creepin’
den yo’ mammy’s gwine to sing ‘dis tune,
Shut yo’ eye bye and bye,
mam will whip yo’ if yo’ cry,
Someone am a-comin’ thro’ de gate;
Go to sleep, don’t yo’ peep,
listen to me tell yo’,
yo’s mammy little alligator bait.

সময় পরিবর্তিত হয়েছে, কিন্তু মানুষের নির্মমতা কি কমেছে? হয়ত এখন আগের মত খোজা করন বা এ্যালিগেটর বেইট হিসাবে শিশুদের ব্যাবহার করা হয় না, কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে কি নির্মমতা কি উঠে গেছে? আমার কাছে মনে হয় যত দিন যাচ্ছে সভ্য হবার নামে আমরা আরো নির্মম হচ্ছি। হয়ত ধরন টা পরিবর্তিত হয়েছে।

এই লেখাটা লিখতে গিয়ে কেন যেন অনেক অনেক আগে রিচার্ড কনেলের লেখা “দ্য মোষ্ট ডেঞ্জারাস গেম” গল্পটার কথা মনে পড়ে গেল। যেখানে গল্পের নায়ক রেইনসফোর্ড জাগুয়ার শিকারে গিয়ে এক রাশিয়ান জেনারেল জ্যারফের হাতে পড়ে তার নির্জন দ্বীপে। সেখানে জেনারেল জ্যারফ এর কাজই হল যে বা যারাই জাহাজ ডুবিতে তার দ্বীপে আশ্রয় নেয় তাকে সে খাবার দিয়ে চাঙ্গা করে কয়দিন পর জঙ্গলে ছেড়ে দেয় কথা থাকে তিন দিন যদি সে জেনারেলের হাত থেকে বেঁচে থাকতে পারে তবে সে মুক্তি পাবে। তবে আজ পর্যন্ত কেউ জেনারেল জ্যারফের শিকার হওয়া থেকে বেচে থাকে নি। শেষ পর্যন্ত রেইনসফোর্ড অবশ্য জ্যারফ কে হত্যা করতে সমর্থ হয় তবে সে এক দারুন কাহিনী। কেন যেন খুব ইচ্ছা করে এই সব পিকানিন্নিস গুলো যদি ওই সব অমানুষ শিকারীগুলোকে কুমিরের বেইট বানিয়ে নিজে শিকারী হয়ে বসে থাকতে পারত তবেই যথার্থ বিচার হত।

চাইলে কেউ এক নজর ছোট্ট ইউটিউব থেকে ঘুরে আসতে পারেন



ছবিঃ অন্তর্জাল। সূত্রঃ লেখার বিভিন্ন স্থানে নীল রংয়ের শব্দগুলোতে লিংক দেয়া আছে যেখান থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ৯২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৯২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৯

ওমেরা বলেছেন: কি ভয়ংকর কাহিনী । আমরা তো কথায় কথায়ই বলি মানবিকতা হারিয়ে যাচ্ছে , আগেই বা ছিল কই !,
পাশবিকতা, নির্মমতা আগেও ছিল এখনো আছে শুধু ধরনটাই পাল্টেছে। তবে মানবিকতাও আগেও ছিল এখনো আছে বলেই পৃথিবী টিকে আছে ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া তথ্যবহুল একটা লিখার জন্য।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:০৫

শের শায়রী বলেছেন: আপনি যেমন লিখছেন বোন তবে মানবিকতাও আগেও ছিল এখনো আছে বলেই পৃথিবী টিকে আছে । এটাই মুল কথা। তবে আমরা যেন এই সব পাষন্ডদের ক্ষমা করে দিলেও ওই সব নিরীহ শিশুদের কথা না ভুলে যাই, তাই এই সব লেখা।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: কুমির চাষ তো এখন লাভ জনক। অনেক কোাম্পানি এখন কুমির চাষ করে।
নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প গুলো আমি পড়েছি। জটিল লেখক। টোপো গল্পের লিংকটা দেওয়ার জন্য একটা বিশেষ ধন্যবাদ।
কোনো কারনে আপনি কি আম্রিকার উ্পরে রেগে আছেন?

মানুষের বাচ্চা দিয়ে কুমির শিকার!!!!!!!!!!!!!!!!!

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১১

শের শায়রী বলেছেন: না রাজীব ভাই আমেরিকার ওপর রাগ হবার কোন কারনই নেই। এর আগের পোষ্ট দিয়েছিলাম খোজাদের নিয়ে সেখানে কিন্তু এর সাথে যারা যার জড়িত ছিল তাদের সবার নাম টানার চেষ্টা করছি ইতিহাস এবং লেখার স্বার্থে। সেখানে এই পোষ্টে যা বাস্তবতা তাই এসেছে। এর বেশি কিছু না।

অশেষ ধন্যবাদ মন্তব্যে।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৫২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: শুনেছি আফ্রিকার রাজারা ক্ষমতায় টেকার জন্য, বন্দুকের বিনিময়ে স্বদেশীদের বিক্রি শুরু করে সাদাদের কাছে। কি নির্মম পরিণতি হতো মানুষগুলোর। অনেকে সমুদ্রেই মারা যেত। পৃথিবীর ইতিহাস পড়লে মনে হয়, প্রতিবাদ বা বিদ্রোহ না করার কারনেই মানুষের মধ্যে বৈষম্য প্রকট হয়েছে প্রতিবার। আমাদের সমাজেও একই বাস্তবতা।

টোপ গল্পটা রেডিও মিরচিতে শুনেছিলাম। দারুণ একটা গল্প।
এমেরিকায় এখনো সংখ্যালঘুদের প্রতি সদয় মানুষদের হাতে গোনা যায়। তাই উচ্চ শিক্ষার জন্য এমেরিকা আমাকে টানে না ঠিক।
খুব সুন্দর লিখেছেন। নিবন্ধিত কুমির শিকারী এবং কুমিরের চামড়ার চাহিদা, বর্তমানে উভয়ই এমেরিকায় আছে।
বড় মন্তব্য করে ফেললাম, দু:খিত এবং ধন্যবাদ

৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৪১

শের শায়রী বলেছেন: টোপ অসাধারন এক গল্প নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়ের, যদিও তার সিগনেচার লেখা টেনিদা। আর কালোদের এখনো অনেক দেশে মুলতঃ তাদের নিজেদের দেশে মানুষ হিসাবে এখনো মুল্য দেয়া হয় না। অনেকটা পশুর মত বিহেভ করা হয়। সে তুলনায় ইউরোপ আমেরিকায় পরিস্থিতি অনেক ভালো বলেই আমার ধারনা।

আর বড় মন্তব্যে দুঃখের কিছু নাই ব্রাদার, এটা পোষ্টের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা। আমাদের সমাজেও কিন্তু বৈষম্য একই রকম যদি আপনি দেখেন।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:১৫

নতুন বলেছেন: নতুন একটা বিষয় জানতে পারলাম।

মানুষ অনেকটাই মানবিক হয়েছে কিন্তু দাস প্রথা অন্য ভাবে চলছে।

এখন লাইফস্টাইলই এমন করেছে যে মানুষ নিজেই বড় কম্পনীর জন্য কাজ করে।

মানুষ এখন নিজে অন্যদের জন্য কাজ করে বিভিন্ন জিনিস কিনে নেয় এবং ভাবে তারা সুখী কিন্তু আজীবন দাসীর মতনই কাজ করে যায়।

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩০

শের শায়রী বলেছেন: এখন লাইফস্টাইলই এমন করেছে যে মানুষ নিজেই বড় কম্পনীর জন্য কাজ করে।

মানুষ এখন নিজে অন্যদের জন্য কাজ করে বিভিন্ন জিনিস কিনে নেয় এবং ভাবে তারা সুখী কিন্তু আজীবন দাসীর মতনই কাজ করে যায়।


এক কথায় দারুন ভাবে সব বুজিয়ে দিয়েছেন, অনেক অনেক ধন্যবাদ নতুন ভাই।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪২

রাােসল বলেছেন: Thanks to share the reality and for your writing style. Waiting for your next especially historical issue.

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

শের শায়রী বলেছেন: ইউ আর ওয়েলকাম ব্রাদার।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: জিম করবেটের মতো শিকারীরা ছাগলের বেইট ব্যবহার করে বাঘ শিকারের জন্য। সাদারা একসময়ে কালোদেরকে মানুষই মনে করতো না, জানোয়ার ভাবতো। কাজেই তাদেরকে বেইট হিসাবে ব্যবহারে আশ্চর্যের কি আছে!! ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, এরা সভ্য (??) দুনিয়ায় মানুষের মর্যাদা পাওয়া শুরু করেছে খুব বেশী দিন হয় নাই।

এই আধুনিক যুগেও 'গ্রেইট আম্রিকা'তে কালোদেরকে মানুষ হিসাবে দেখা হলেও অত্যন্ত নীচু চোখে দেখা হয়। টেরাম্প পারলে এদেরকে এখনও বেইট হিসাবেই ব্যবহার করতো। :-B

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: আহ জিম করবেট একটা মানুষ ছিল। সেই ছোড কালে সেবা দিয়ে ওর প্রায় সব শিকার কাহিনীর অনুবাদ বের হত। আর গোগ্রাসে গিলতাম। গ্রেইট আম্রেকায় অল্প কিছু ব্যাতিক্রম ছাড়া কালোরা এখনো নিগৃহিত, তবে নিজ ভুমে আফ্রিকায় ওদের রাজা বাদশাহ বা নামে প্রেসিডেন্ট গুলো ওদের সাথে যে ব্যাবহার করে সে তুলনায় আম্রেকায় ভালোই আছে বলতে হবে। এখনো কিন্তু আপনি ইউরোপের (দু একটা রাষ্ট্র বাদে) দিকে তাকালে দেখবেন কালোদের সংখ্যা এবং জীবন যাপন প্রনালী খুবই খারাপ।

আর টেরাম্পের মত রেসিষ্ট কে যারা প্রেসিডেন্ট বানায় তাদের মানসিকতাও কিন্তু প্রশ্ন সাপেক্ষ। :-B

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: তথ্যবহুল আলোচনা । জেনে অভিভূত হলাম। অত্যাচার এবং নির্যাতনের ধরন এবং হাত বদল হয় দেশ এবং দেশান্তরে । তবে এর মাঝেও মানবতা একটূ হলেও আছে বলে দুনিয় আছে।

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা নেওয়াজ ভাই মানবতা তো অবশ্যই আছে, এবং সেটাই বেশী, কিন্তু অমানবিকতার শিকার হয়ে যারা জীবন দিয়েছে আমরা যেন তাদের ভুলে না যাই।

৮| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:২৬

ইলি বলেছেন: ভয়ংকর কাহিনি।

০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:১১

শের শায়রী বলেছেন: আসলে আমি যেটুকু লিখছি তা প্রায় না লেখার মত। আপনি যদি পোষ্টে দেয়া লিংক গুলো একবার পড়ে দেখেন দেখবেন কি নির্মম, কি বিভৎস।

৯| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১২:২৭

সোহানী বলেছেন: আপনার এ লিখাগুলো পড়তে গেলে নার্ভকে অনেক শক্ত রাখতে হয়। এরকম কালোদেরকে নিয়ে বঞ্চনার ইতিহাস প্রায় প্রতিটি দেশে দেশে। কিন্তু এর কি সমাধান হয়েছে? না হয়নি, শুধু এটির ভিন্নতা এসেছে।

আপনি নিশ্চয় জানেন আমেরিকা কানাডা বা ব্রিটেন এ এরিয়া ভিত্তিক বসবাস। কালোদের এলাকা, সাদাদের এলাকা, ব্রাউন এলাকা। এ নিয়ে অনেক অনেক রিপোর্ট আছে। এবং এখনো সবাই যত্ন সহকারে তা মেইটেইন করছে। খুব কমই এর দেয়াল ভেঙ্গে সমান কাতারে দাঁড়াতে পেরেছে।

দেশের বাইরে থাকি বলে এগুলো হাড়ে হাড়ে বুঝি। হয়তো এ্যালিগেটর বেইট নেই (বা হয়তো আছে আমরা কম জানি) কিন্তু তারচেয়েও বিভৎস বেইট এর চর্চা চলে দেশে দেশে।

আমার এক বান্ধবী আছে আফ্রিকান একটা দেশ থেকে (নামটা বল্লাম না কারন সত্য মিথ্যা জানি না বলে)। সে বললো এখনো তাদের দেশে বাচ্চা মেয়ে কেনা বেঁচা হয়, এমনকি বাবার হাত থেকেও এ মেয়েগুলো নিরাপদ নয়। মেয়েগুলো চোখের জলে ইশ্বরের আড়শ কি কাঁপে না? (ওর প্রশ্ন ছিল সেটি)

তাহলে এ অসভ্যতা এখনো আমরা লালন করছি বিংশ শতাব্দীতে এসেও। খোদ মানবতার পতাকার ডিজাইনার আমেরিকার সমাজ খুঁড়লে এরকম ইতিহাস কোনায় কোনায় পাবেন। কানাডা অবশ্য চেস্টা করছে এদের এসব নিয়ে গ্যাপ কমাতে। আর খোদ আরবে কি হচ্ছে!!!! অসভ্য ইতর আরবগুলা কি করছে আমাদের মেয়েগুলোকে!!! আমরা নিজ দেশেই কি খুব ভালো আছি?

মানবতার আড়ালে চরম অমানবতা চলছে সর্বত্র।

সরি লম্বা মন্তব্য করে ফেল্লাম........

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২১

শের শায়রী বলেছেন: চাকুরী সুবাদে কিছু দেশ বিদেশ ঘোরার সুযোগ হয়েছে বোন, তাই জানি অনেক দেশেই ওই সাদা, কালো, ব্রাউন অলিখিত ভাগ করা আছে। সভ্যতার মুখোশ পরে সুপ্রিমরা (পড়ুন সাদারা) দেখেও না দেখার ভান করে, আর কালো, পীত, ব্রাউন রা ভাবে নিজ দেশের থেকে তো ভালো আছি।

আর আফ্রিকার কথা এখনো কিছু না বলা ভালো, ইউরোপ আমেরিকার থেকে নিজ দেশে ওরা অতীতে যেমন নিজ রাজাদের দ্ধারা পন্য হিসাবে ব্যাবহৃত হত এখনো তাই হচ্ছে। মানুষ আর পশুতে খুব একটা প্রভেদ এখনো ওই সব দেশে আপনি দেখবেন না।

আরবদের পতন খুব একটা দূরে নেই, তেলের চাহিদা অনেক কমে গেছে, মানুষ এখন অল্টারনেট এনার্জির বহু ব্যাবহার এখন খুব অল্প সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই ইতরগুলোর ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে রাস্তায় বসা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

আর এশিয়ায় মানবতা এখন রাজনীতিতে পর্যবসিত। দারুন এক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা বোন।

১০| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ২:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সেদিন মানুষের নুনু কেটে 'খোজা' বানানোর যেই পোষ্টটা দিয়েছিলেন, উহা ছবি টবি দিয়ে অনেকটা ওয়ার্কশপের মতো করে দিয়েছিলেন; আশাকরি, ব্লগারেরা ভালোভাবেই রপ্ত করেছেন, অনেকই উপকৃত হয়েছেন; যারা 'রগ' কাটে তাদের জন্য সাপ্লিমেন্টাল ওরার্শপের ক্লাশ হয়েছে। আপনি উইকি মুইকি থেকে ঐতিহাসিক ঘটনা কাট এন্ড পেষ্টে ভালো দক্ষ। ইন্জিনিয়ারেরা যেটাতে লেগে যায়, সেটাতেই ভালো করেন।

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০

শের শায়রী বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রথম লাইনের তৃতীয় যে শব্দ ব্যবহার করছেন, সেটা একজন ভদ্র লোক কিভাবে ব্যাবহার করে? খুব সম্ভবতঃ বয়সের কারনে আপনি আপনার বেড রুমের ভাষা ব্লগে ব্যাবহার শুরু করছেন, দয়া করে এটা করবেন না, পারিবারিক ভাষা পাব্লিকলি ব্যাবহার না করাই উচিত। এত দিন জানতাম আপনি অশ্লীল শব্দ ব্যাবহার করেন না। দেখা যাচ্ছে এইবার ব্লক উঠানোর পর আপনার উন্নতি হয়েছে।

আমি যে উইকি মুইকি সাথে বই পড়ে পোষ্ট দেই তা প্রতিটি পোষ্টেই আমি নিজে সুত্রে উল্লেখ্য করে দেই এতে নতুনত্ব নেই মুরুব্বী।

আচ্ছা আপনাকে কি আমি কোন দিন বলছিলাম আমি ইঞ্জিনিয়ার? উপরন্ত আপনি আমাকে আপনার এক পোষ্টে এক কমেন্টে বলছেন আপনি নাকি নিউজার্সির কোন কলেজ ফলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করছেন, যদিও আমি বিশ্বাস করি নাই, কারন ইঞ্জিনিয়ার বানান করতে গেলে আপনার দাত ভেঙ্গে যাবার কথা। আবার সেই মন্তব্য পরে আপনি ডিলিটও দিয়েছেন :)

১১| ০১ লা মে, ২০২০ ভোর ৫:১৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: খুব ভয়ানক ব্যাপার--সেই সাথে খুব নির্মমও বটে---

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

শের শায়রী বলেছেন: সভ্যতার মুখোশে নির্মমতা এখনো চলছে হয়ত ভিন্ন ভাবে। ধন্যবাদ আপনাকে দারুন এক মন্তব্যে।

১২| ০১ লা মে, ২০২০ ভোর ৬:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


হাঁউ, মাঊ, কাঁউ, মানুষের বাচ্ছার গন্ধ পাঁউ; আমেরিকায়ও আপনার মতো 'ঠাকুর মা'র ঝুলি' ভক্তের সংখ্যা অগণিত, অসংখ্য।

'বিগ ফুট'এর ( বন্য মানুষ) উপর কোটী ভিডিও বিক্রয় হচ্ছে, বড় বড় চ্যানেলে আপনার মত পন্ডিতেরা সপ্তাহে ২০/২৫ ঘন্টার প্রাগ্রাম করে, যাদুঘর আছে, ট্যুর আছে, সাইটিং সাইট আছে; ৩/৪ বিলিয়ন ডলারের বিজনেস। আপনি ইহার উপর কপি-পেষ্ট শুরু করলে, ব্লগে ২/১ বছর লিখতে পারবেন।

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

শের শায়রী বলেছেন: ৭১ এ রাজাকাররাও এভাবে পাকিস্তানের অন্ধ সমর্থন দিত। শত প্রমান দিলেও পাকিস্তানের দোষ দেখত না। ইদানিং কিছু আমেরিকান রাজাকার ও দেখা যাচ্ছে হাজার প্রমানেও আমেরিকার কোন দোষ দেখে না ;)

১৩| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ৭:১২

রাফা বলেছেন: আপনার গল্পটা পড়তে গিয়ে রুটস-এর কিন্তা-কুন্তির কথা মনে পড়ে গেলো। প্রাগ-ঐতিহাসিক যুগ থেকেই এই বৈশম্য আর নিপিড়ন চলে আসছে।এখনও অব্যাহত আছে ।আগেকার যুগে হিংস্র প্রাণীর খাচায় ছেড়ে দিয়ে মানুষ'কে যুদ্ধ করতে বাধ্য কর'তো।

আপনার এই পিকানিন্নিস হোচ্ছে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের উটের জকি হিসেবে ব্যবহ্রত বাচ্চাগুলো।সাদা চামড়ার পরিবর্তে আবির্ভুত হয়েচে শেখ নামের অসভ্যগুলো।মানুষ যত আধুনিক হোকনা কেনো বর্বরতা কখনই পরিত্যাগ করে নাই।

ধন্যবাদ,শে.শায়রী।নতুন করে পুরনো ইতিহাস সামনে নিয়ে আসায়।

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

শের শায়রী বলেছেন: রাফা ভাই মন্তব্যের প্রতি কথায় এক মত। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১৪| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১০:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
মানুষরে তোর মানুষ হওয়া হইলনা
দুপেয়ে জীবই রইলি হিংস্র বন্য পশুসনা :-/ X(

আহা! সেই অবুঝ সেই শিশুদের আত্মাদের শান্তির জন্য, মুক্তির জন্য অফুরান প্রার্থনা।

ম্যা'ভাই, এমন তব্দা খাওয়ায় দেন! ঝিম মেরে বসে ভাবতে হয়! কি লিখব?
এই বর্বররাই নাকি সভ্যতার মাই-বাপ!
এখনো তারা বেট বানাচ্ছে ইরাক, ইয়েমেন, লিবিয়া, সিরিয়ার নারী, শিশু, আমজনতাকে!
মূখোশের ভালমানুষী আর মিডিয়ার সং সাজ-পোষাকে তারা ভাল মানুষ সেজেছে বটে! ইতিহাসের কষ্টিপাথরে তারা
এমনই লোমহর্ষক হত্যাকারী হয়েই চিহ্নিত হয়ে থাকবে, যারা নিজেদের স্বার্থে পুরো দুনিয়াটাকে যুদ্ধ আর হত্যাযজ্ঞের বেটিং ময়দান বানিয়েছিল।

+++++



০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই যেদিন এই রেসিষ্ট ট্রাম্প কে প্রেসিডেন্ট বানাল আমেরিকান পাব্লিক ভোট দিয়ে সেদিনই বোঝা গেছে এদের মানসিকতায় স্থায়ী কোন পরিবর্তন আসে নি। এরা এখনো দুনিয়াটাকে পিকানিন্নিসদের মত ভাবে। হয়ত নির্মমতার চেহারাটা ভিন্ন মুখোশ লাগিয়েছে, এই আর কি।

১৫| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১০:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আহা হতভাগ্য শিশুগুলো। কি অমানবিক। সাদা চামরার দু’য়েকটা শিশু এভাবে মারা গেল অবস্থার হয়তো পরিবর্তণ হতো।

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

শের শায়রী বলেছেন: সাদা চামড়া তো প্রভুর জাত, তারা মারা যাবে কেন! পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা মাইদুল ভাই।

১৬| ০১ লা মে, ২০২০ সকাল ১১:১০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মানুষ কতটা নির্মম হতে পারে ভাবাই যায়না!

০১ লা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৩

শের শায়রী বলেছেন: মানুষের নির্মমতা বড় অবিশ্বাস্য!

১৭| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন শায়রীভাই। আপনার পোস্ট মানেই মজাদার। কখনো কখনো তা নির্মম সত্যও হয়ে থাকে।
কালো মানুষদের নিয়ে সাদারা কি বর্বরতাই না চালিয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে আফ্রিকাই একমাত্র মহাদেশ যাদের জাতীয়তাবোধের ধারণাকে আমরা মনের অজান্তে অস্বীকার করি। সেটাও সাদা চামড়ার ইউরোপীয়দের জন্য। এক গায়ের দুই রং আফ্রিকান এটাই যেন কালোদের একমাত্র পরিচয়। আপনাকে একটা জিনিস শেয়ার করবো পরবর্তী মন্তব্যে।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:০৬

শের শায়রী বলেছেন: পৃথিবীর মধ্যে আফ্রিকাই একমাত্র মহাদেশ যাদের জাতীয়তাবোধের ধারণাকে আমরা মনের অজান্তে অস্বীকার করি। এটা এখনো পূর্ন মাত্রাতেই আছে প্রিয় পদাতিক ভাই। পরের মন্তব্যটা অসাধারন হয়েছে।

১৮| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ডক্টর বিপ্লাব দাসগুপ্ত পরে ১৯৬৫-৭২ সাল পর্যন্ত লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই সময়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিভিন্ন সংস্থার উপদেষ্টা মন্ডলীর পদে থাকাকালীন দীর্ঘদিন আফ্রিকায় কাজ করতে হয়েছিল। নিজ অভিজ্ঞতা 'অতলান্তিক আফ্রিকা' নামক বইতে লিপিবদ্ধ করেছেন।
পৃষ্ঠা ৪১-" গল্ফ অফ গিনির উত্তরে ট্রপিক্যাল রেইন ফরেস্ট। তার উত্তরে সাভানা। সেখানে প্রচুর নদী আর জল। ওই নদী দিয়ে ক্যানোতে চড়ে দাস ব্যবসায়ীরা আসতো। ওদের দলে থাকতো 30-40 জন দাঁড়ি। হাতে থাকতো বর্শা ছুরি এবং ইউরোপের থেকে পাওয়া বন্ধুক। ওরা একটা গ্রামে নামতো, গভীর রাতে চুপি চুপি হানা দিত। আগুন দিয়ে ঘর জ্বালিয়ে মানুষগুলোকে ধরতো তারপর শেকলে বেঁধে ক্যানোতে তুলতো। লম্বা ছিপছিপে ক্যানো মুহূর্তের মধ্যে জল কেটে চলে যেতো দূরে। লিসবন হয়ে উঠলো দাসবিক্রির বাজার। একাদশ শতাব্দীতে সংখ্যাটা যেখানে বছরের 1000 ছিল ষোড়শ শতকে সংখ্যাটা বেড়ে হয় চার হাজারের মতো।

পৃষ্ঠা৪৩- ডাকার থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে সমুদ্রের উপরে ছোট্ট দ্বীপ ছিল,নাম গোরি। চিড়িয়াখানার পশুর খাঁচার মতোই সারি সারি লোহার খাঁচা। বিভিন্ন জায়গা থেকে দাসদের ধরে সেখানে রাখা হতো। বিছানা বালিশ তো নেই, ভালো মালিক হলে কিছু কিছু স্থানে খড় দেওয়া হত। প্রাকৃতিক সব কাজ ওই খাঁচার মধ্যেই করতে হতো। খাওয়া-দাওয়া দিত সামান্যই, যেটুকু না দিলে ওরা বাঁচবে না। ওদের হাতে ও পায়ে লোহার বেড়ি থাকতো এবং শেকল লাগানো থাকত। পালানোর চেষ্টা করলে ভয়ঙ্কর শাস্তি দেওয়া হতো। বিরাট সাঁড়াশির মতো যন্ত্র বা ইঁদুর কলের মতো শাস্তি কল।

একই পৃষ্ঠায়:-জাহাজে তুলবার আগে ভালো করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা হত। দাশেরা উলঙ্গ হয়ে লাইন দিয়ে দাঁড়াতো- পুরুষ মহিলা বাদ বিচার হতো না। ডাক্তার সর্বাঙ্গ টিপে টিপে দেখতো।কোনো অসুখ থাকলে সরিয়ে দিত। যদি মনে করত সমুদ্রযাত্রার ধকল সহ্য করতে পারবেনা তাহলেও সরিয়ে দিত।

তারপর মালিকরা যেমন গরু বা ভেড়ার গায়ে চিহ্ন দেয় তেমনি ভাবে গনগনে আগুনে পোড়ানো লাল লোহা দিয়ে বুকে বা পিছনে মার্ক দেওয়া হতো। কিন্তু সেই ঘা যতক্ষণ না শুকোতে ততদিন কষ্টের শেষ ছিল না। কিন্তু কে ভাববে সেই কথা।

এত সাবধানতার পরেও দাসেরা মরতো কখনো কখনো ডজনে ডজনে মরত। জাহাজ যখন ওপারে ভীড়তো তখন দেখা যেত অর্ধেক দাসই মৃত অথবা দুই-তৃতীয়াংশ মৃত বা পঙ্গু।খোলের মধ্যে না ছিল আলো-হাওয়া, শেকল দিয়ে আটকে রাখা ফলে প্রাকৃতিক কাজো ওখানে করত, মশা মাছি ভনভন করত। দুর্গন্ধ ছড়াতো। কখনো কখনো মহামারী হওয়াটাও আশ্চর্য ছিলনা।

লিসবন হোক লিভারপুল হোক বা মার্কিন দুই মহাদেশেরই হোক সেখানে দাসদের নিয়ে বড়বাজার ছিল। বিজ্ঞাপন দেয়া হতো কাগজে। অমুক দাসের দৈর্ঘ্য কত, স্বাস্থ্য কেমন,দেখতে কেমন। বলা হতো কোন ধরনের কাজ জানে-চাষ, খনির, ছুতোরের। স্বভাব কেমন-বন্য কিম্বা মালিকের অনুগত।
ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের অতিরিক্ত আরও একটা কাজ ছিল। বছর বছর বাচ্চা উৎপাদন করা। যে দাস প্রতিবছর বাচ্চা দিত তার খুব কদর ছিল।ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিভিন্ন দ্বীপে চিনি উৎপাদনে যাদের লাগানো হলো তাদের মধ্যে বিবাহ বলে কিছু আর থাকলো না। দাসের আবার বিয়ে! তার আবার সংসার!

পরবর্তীকালে সময়ের বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে মার্টিন লুথার কিং বা ম্যালকম এক্স প্রমুখের নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থানে কালোরা স্বপ্ন দেখতে থাকে। ওদের মধ্যে মারাত্মক কৃষ্ণ চেতনা দেখা দেয়। লজ্জা ভুলে অনেকেই রুটস বা জন্মসূত্র খুঁজতে সেনেগাল, গাম্বিয়া গিনি প্রভৃতি স্থানে ভিড় জমায়।
কঙ্গোর রাজা চিঠি দিয়ে পর্তুগীজ রাজাকে লিখেছিলেন, তোমরা আর দাস নিও না। আমাদের দেশে যে মানুষ একেবারে নিঃশেষ হয়ে গেল।
তবে দাস ব্যবসা বন্ধের প্রধান কারণ অর্থনৈতিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাসেরা মুক্তি পেয়ে বিহ্বল হয়ে গেল। যুক্তরাষ্ট্রের একদল ভালো মানুষের উদ্যোগে জাহাজ ভর্তি করে দাসদের নিয়ে পশ্চিম আফ্রিকায় লাইবেরিয়াতে পাঠানো হল। লাইবেরিয়া কথাটা লিবারেশন থেকে এসেছে। ওখানে তখন বেশি মানুষ ছিল না।জমি মোটামুটি চাষের উপযোগী। ভালো আমেরিকাররা ব্যাক্তিগত সাহায্য দিয়ে দেশটিতে দাসদের থাকার ব্যবস্থা করলো।তারা শুরু করলো এক নতুন জীবন।

আশাকরি ভবিষ্যতে দাসদের নিয়ে একটা পোস্ট দেবেন।

শুভকামনা প্রিয় ভাইকে।





০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৩২

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, প্রথমেই অশেষ কৃতজ্ঞতা এত অসাধারন একটা মন্তব্যের জন্য। আপনি যেমন আপনার মন্তব্যে আফ্রিকান দাসদের ব্যাপারে ডক্টর বিপ্লব দাসগুপ্তর বইর বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিয়ে পোষ্টকে সমৃদ্ধ করছেন আমি এখানে আমেরিকার দাস প্রথার কিছু তথ্য দেইঃ

আমেরিকায় দাসপ্রথা শুরুর ইতিহাস
১৬১৯ সাল। একটি ডাচ জাহাজে করে ২০ জন আফ্রিকান মানুষকে নিয়ে আসা হয় ভার্জিনিয়ার জেমসটাউনে। ভার্জিনিয়াসহ গোটা আমেরিকা তখন ছিলো ব্রিটিশ উপনিবেশভূক্ত। তখন উত্তর আমেরিকায় খুঁটি গেড়ে বসেছে ইউরোপীয় সওদাগররা। তারাই ছিলো তখনকার আমেরিকান সমাজের জোতদার, জমিদার, মহাজন। তারা দেখতে পেলো, স্বাধীন শ্বেতাঙ্গ মাসিক বেতনভোগী চাকরদের বদলে এইসব আফ্রিকান নিগ্রো মানুষদের কিনে নিয়ে দাস হিসেবে ব্যবহার করা গেলে অনেক পয়সা বেঁচে যায় ।

আসল পরিসংখ্যান পাওয়া যদিও কঠিন, তবু ঐতিহাসিকদের মতে অষ্টাদশ শতকে আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ কৃষ্ণাঙ্গ দাসকে আফ্রিকা থেকে আমেরিকায় আমদানি করা হয়েছিলো। এরা ছিল আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে স্বাস্থ্যবান ও যোগ্যতাসম্পন্ন নরনারী।

সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দীতে মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ায় এই কৃষ্ণাঙ্গ দাসদের দিয়ে তামাক, ধান ও নীলের চাষ করানো হত। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ১৮০৮ সালে আফ্রিকা থেকে দাস আমদানি বেয়াইনি ঘোষণা করে।

আমেরিকান বিপ্লবের পর দাসপ্রথা রহিত করার ডাক আসে। উত্তরে বসবাসকারী আমেরিকানরা এ আন্দোলন শুরু করেন। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উত্তরে দাসদের তেমন অবদান ছিলো না বললেই চলে। তাই উত্তরের অধিবাসীরা কালো মানুষদের উপর সাদা মানুষদের অত্যাচারকে আমেরিকানদের উপর ব্রিটিশদের অত্যাচারের সাথে তুলনা করে নেটিভ আমেরিকানদের দাস ব্যবস্থা বিলোপের জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করে।

এ কথা অনেকেই জানেন না , আমেরিকার স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহীদদের একজন হলেন ক্রিস্পাস অ্যাটাকস, যিনি শুরুতে একজন দাস হিসেবে আমেরিকায় এসেছিলেন । আমেরিকার স্বাধীনতার বিপ্লবে প্রায় ৫ হাজার কৃষ্ণাঙ্গ সেনা ও নাবিক অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে অঘোষিতভাবে দাসপ্রথাকে স্বীকৃতি দিয়ে আইন পাস করা হয়। সরাসরি 'দাস' শব্দটি সেখানে না থাকলেও কৌশলে আফ্রিকান কাল জাতের মানুষদের অধিকার খর্ব করা হয়। একজন দাসকে ধরা হয় একজন স্বাধীন নাগরিকের তিন-পঞ্চমাংশের সমতুল্য !

অষ্টাদশ শতকে আমেরিকার দক্ষিণের তামাক উৎপাদনের জমিগুলো অনাবাদী হয়ে পড়ায় সেখানে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয় ও ক্রমবর্ধমান দাস ব্যবসায় ভাটা পড়ে। একই সময়ে ইংল্যান্ডের টেক্সটাইল কারখানাগুলোর বেশ বিস্তৃতি ঘটে। ফলে ব্রিটিশ মুলুকে আমেরিকান তুলার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণে তুলা ভালো জন্মাতো। কিন্তু তুলা চাষের জন্য কাঁচা তুলার আঁশ থেকে বীজ ছাড়িয়ে ওই বীজ বপন করতে হতো; যা ছিলো বেশ কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ।

১৭৯৩ সালে এলি হুইটনি নামক একজন তরুণ আইরিশ স্কুল টিচার কটন জীন নামে একটি মেশিন আবিষ্কার করেন। যেটি দিয়ে সহজেই কাঁচা তুলার আঁশ দিয়ে বীজ আলাদা করা যেতো। এটির ব্যবহার খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে তুলা চাষের জন্য দাসদের উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমে যায়।

উত্তরের সমাজে দাস ব্যবস্থা কখনোই খুব একটা ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায় নি। যদিও সেখানকার অনেক বনেদি লোকজনই দাস ব্যবসার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলেন। তারা মূলত দক্ষিণের মানুষদের সঙ্গে দাস বাণিজ্য করতেন।

১৮০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস আফ্রিকা থেকে দাস আমদানি বেআইনি ঘোষণা করে। আমদানি বন্ধ হলেও অভ্যন্তরীণ দাস ব্যবসা চলতে থাকে রমরমা। পরবর্তী ৫০ বছরে দাসদের সংখ্যা বেড়ে ৩ গুণ হয়। ১৮৬০ সালে তাদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪০ লাখ।; যা ছিলো দক্ষিণের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি!

প্রভুরা এমনভাবে দাসদের নিয়ন্ত্রণ করত, যাতে তাঁরা সম্পূর্ণরূপে প্রভুদের আয়ত্তে থাকে। দাসদের আলাদা একটা গণ্ডি ছিলো। একজন দাস আরেকজন দাসকেই শুধু বন্ধু বা সঙ্গী হিসেবে পেতে পারত। নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে তারা যেতে পারত না। দাসদের জন্য পড়ালেখা শেখা ছিলো নিষিদ্ধ।

প্রভুরা তাদের অধীনে থাকা সব দাসীদের সাথে চাইলেই যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারতেন। একান্ত বাধ্যগত দাসদের প্রভুরা নানা রকম পুরস্কার দিতেন, আর কেউ বিদ্রোহ করতে চাইলে তার উপর নেমে আসতো কঠোর শাস্তি। এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে সংখ্যায় এত বেশি হওয়ার পরও দাসরা কেন প্রভুদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ হয়ে বিদ্রোহ করত না ! এখানেও কূটকৌশল প্রয়োগ করে রেখেছিলো শাসকগোষ্ঠী। দাসদের মধ্যে যারা বেশী দক্ষ বা পারদর্শী অথবা শিল্পী , তাদেরকে অন্যান্য দাসদের থেকে অধিক মর্যাদা দেয়া হতো। এতে করে দাসশ্রেণির মধ্যেও উঁচু নিচু জাতের বৈষম্য সৃষ্টি করতে পেরেছিলো শাসকরা। স্বাভাবিকভাবেই অধিক সম্মানপ্রাপ্ত দাসরা তাদের থেকে নিচু জাতের দাসদের তাচ্ছিল্যের চোখে দেখতো। এ কারণে কৃষ্ণাঙ্গ দাসরা সবাই এক হয়ে শ্বেতাঙ্গ প্রভুদের লাঞ্ছনার প্রতিবাদ করতে পারে নি।

দাস বিবাহপ্রথার কোন আইনি ভিত্তি ছিলো না, দাসরা চাইলে তাদের পছন্দনীয় দাসীদের বিয়ে করতে পারত এবং বিয়ের পর সন্তান-সন্ততি নিয়ে বড় পরিবার গড়ে তুলত। এ ব্যাপারে প্রভুরা দাসদের উৎসাহ দিতেন। কারণ দাসের ছেলে মেয়ে যে দাসই হবে ! তারাও কাজ করবে ওই প্রভুরই অধীনে। তারপর শক্ত সামর্থ্যবান হয়ে গেলে চড়া দামে বাজারে বেঁচে দেয়া যাবে। এভাবে অনেক দাস পরিবার ভেঙ্গে যেত, দেখা যেত এক পরিবারের সবাইকে ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এমনই নোংরা চক্রান্ত করত প্রভুগোষ্ঠী।


দাসদের বিদ্রোহ

মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ছোট ছোট দাস বিদ্রোহ সংঘটিত হতো। বিদ্রোহগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলো গ্যাব্রিয়েল প্রশের নেতৃত্বে রিচমন্ড বিদ্রোহ (১৮০০) এবং ডেনমার্ক ভেসার নেতৃত্বে চার্লসটন বিদ্রোহ (১৮২২) । কিন্তু খুবই কম সংখ্যক আন্দোলনই সফলতার মুখ দেখেছিলো। প্রভুরা কঠোর হাতে এসব আন্দোলন দমন করতেন।

তবে যে দাস আন্দোলনটি শ্বেতাঙ্গ প্রভুগোষ্ঠীর ভিত কাঁপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলো সেটি সংঘটিত হয় ১৮৩১ সালের আগস্টে। ভার্জিনিয়ার সাউদাম্পটন কাউন্টিতে হওয়া আন্দোলনটিতে নেতৃত্ব দেন ন্যাট টারনার। ন্যাটের সঙ্গী ছিলো ৭৫ জন প্রতিবাদী দাস। তাঁরা সবাই মিলে দুই দিনে প্রায় ৬০ জন অত্যাচারী শ্বেতাঙ্গ মানুষকে হত্যা করে। পরে সরকারী মিলিশিয়ারা এসে অস্ত্রের মুখে আন্দোলন প্রতিহত করে।

কিন্তু ন্যাটের বাহিনীর কার্যকলাপে সুযোগ পেয়ে যায় শ্বেতাঙ্গ অত্যাচারীরা। তারা বলতে থাকে, আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গরা যে আসলে কতটা বর্বর জাতি তা ভার্জিনিয়ার নৃশংসতা দিয়েই প্রমাণিত হয়, তাই তাদেরকে সভ্য মানুষে পরিণত করার জন্য দাসপ্রথা ছাড়া গত্যন্তর নেই। তাই দাসদের ব্যাপারে আইন আরও কঠিন করা হয় , যাতে তারা কখনোই শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে মুক্তির পথে পা বাড়ানোর সাহস না পায় !

দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনে
এদিকে দক্ষিণে দাসদের বিরুদ্ধে এই দমননীতির প্রয়োগে উত্তর উত্তাল হয়ে ওঠে। এক কথায় বলতে গেলে ইতোমধ্যেই জ্বলতে থাকা দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দেয়। ১৮৩০ থেকে শুরু করে ১৮৬০, এ আন্দোলন ক্রমান্বয়ে শক্তিশালী হতে থাকে। ফ্রেড্রিক ডগলাসের মত কৃষ্ণাঙ্গ দাসও নেতা যেমন এতে নেতৃত্ব দেন , তেমনি শ্বেতাঙ্গ কিছু সমর্থকদেরও অবদান কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। মুক্তচিন্তার বাহক পত্রিকা দ্য লিবারেটরের প্রতিষ্ঠাতা উইলিয়াম লয়েড গ্যারিসন , দাসপ্রথার বিরুদ্ধে লেখা তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস আঙ্কল টম'স কেবিন এর লেখক হ্যারিয়েট বেকার স্টো রা ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তিত্ব, যারা দাসপ্রথা লোপের জন্য কৃষ্ণাঙ্গদের সমর্থন দিয়েছিলেন।

১৭৮০ এর দশকে স্বাধীন কৃষ্ণাঙ্গরা এবং উত্তরের কিছু দাসপ্রথা লোপের পক্ষে থাকা ব্যক্তির উদ্যোগে দক্ষিণের কিছু দাসকে মুক্ত করা সম্ভব হয়। মাটির নিচের সুড়ঙ্গ দিয়ে বিশেষভাবে তাদের পালাতে সাহায্য করা হত। এই প্রক্রিয়াটি ১৮৩০ এর দিকে আরও গতি পায়। ৪০,০০০ থেকে ১ লক্ষ লোক পালাতে সক্ষম হয়। এই সফলতা আমেরিকার উত্তরাংশের মানুষকে দাসপ্রথা বিলোপ আন্দোলনকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করে।

১৮০৮ সালের দিকে দাস ব্যবসা নিষিদ্ধ ঘোষিত হয় বহু দেশে। তারপরেও চোরাবাজারে হরদম বেচাকেনা হতে থাকে দাস নামে বহু মানুষ। দাসের চালান আসত জাহাজের খোলে ভরে। যাত্রার আগে দাসদের সবাইকে খোল থেকে বাইরে এনে মেয়ে-পুরুষ নির্বিশেষে দাঁড় করানো হতো উলঙ্গ করে! তারপর মাথা মুড়িয়ে, লবণ মেশানো পানিতে শরীর ধুইয়ে বসানো হতো খেতে। দেওয়া হতো যৎসামান্য খাবার। এরপর বুকে সিলমোহর গরম করে ছেঁকা দিয়ে বসিয়ে দেওয়া হতো বিশেষ চিহ্ন। বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর দাসের মালিক আরও একটি চিহ্ন বসাবেন কপালে, একই পদ্ধতিতে, তপ্ত সিলমোহর কপালে বসিয়ে! এভাবে অব্যক্ত যন্ত্রণার মধ্যদিয়ে মানুষের গায়ে খচিত হতো ক্রীতদাসের চিহ্ন। এরপর একজনের পা আর একজনের পায়ে বেঁধে সারি সারি ফেলে রাখা হতো ক্রীতদাসদের। শিকলের আরেক প্রান্ত বাঁধা থাকত জাহাজের দেয়ালে, নড়াচড়ার উপায় ছিল না কোনোভাবে। দিনে দুবার দেওয়া হতো সামান্য খাবার আর পানি।

সামান্যতম প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলেই গায়ে পড়ত নির্মম চাবুক। সপ্তাহে একদিন লোক আসত দাসদের নখ কেটে দিতে। কেউ যাতে নিজেদের মধ্যে মারামারি করে মরতে না পারে কিংবা ধারালো নখ দিয়ে শিরা কেটে আত্মহত্যা করতে না পারে, এই জন্য ছিল এই ব্যবস্থা। মৃত্যু তো রুখতেই হবে, কারণ দাস ব্যবসা মানেই কাঁচা পয়সা, দাসের মৃত্যু মানেই লোকসান। জাহাজের খোলগুলো ছিল মাত্র দুই ফুট উঁচু। তার ভিতর অবিশ্বাস্যভাবে গাদাগাদি করে থাকতে হতো ক্রীতদাসদের। ১৮৪৭ সালে ‘মারিয়া’ নামের একটি জাহাজের পঞ্চাশ ফুট দীর্ঘ আর পঁচিশ ফুট চওড়া একটি খোলে পাওয়া গিয়েছিল ২৩৭ জন দাস। ‘ব্রুকস’ জাহাজের একশ ফুট লম্বা আর পঁচিশ ফুট চওড়া একটি খোলে ঢোকানো হয়েছিল ৬০৯ জন দাস। ব্রুকস-এর ক্যাপ্টেন খোলের ভিতর বসিয়েছিলেন আরও একটি তক্তা, তাতে দুই ফুট উঁচু খোলে ধরানো হয়েছিল দুই প্রস্থ মানুষ। সোজা হয়ে শোয়া তো দূরের কথা, পাশ ফেরারও উপায় ছিল না। এভাবে ব্রুক্সসের দাসদের থাকতে হয়েছিল টানা দশ সপ্তাহ। মল-মূত্র-কফ-থুথু-বমি সব জড়ো হতো ওখানেই।

এমন অনাচার সহ্য না করতে পেরে অনেক সময়ই আত্মহত্যা করতে চাইত ক্রীতদাসরা। তারা খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিত মরার জন্য। কিন্তু এত সহজে তো লোকসান দিতে রাজি নয় জাহাজের ক্যাপ্টেন। তাই প্রত্যেক জাহাজেই রাখা হতো বিশেষ একটি যন্ত্র, যার সাহায্যে দাসের ঠোঁট কেটে দাঁত ভেঙে পেটে নল ঢুকিয়ে খাইয়ে খাইয়ে বাঁচিয়ে রাখা হতো। একবার এক শিশু দাস কোনোমতেই খেতে রাজি না হওয়ায় চাবুক মেরে হত্যা করা হয় তাকে। তারপর ওই শিশুর মাকে বাধ্য করা হয় সন্তানের মৃতদেহটিকে সাগরের বুকে নিক্ষেপ করতে। শাস্তি দেবার জন্য খোলের ভিতর বন্দি দাসদের শরীরে নল দিয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হতো ফুটন্ত পানি।

১৮৪৪ সালে ‘কেন্টাকি’ জাহাজের দাসরা বিদ্রোহ করলে নির্মমভাবে দমন করা হয় ওই বিদ্রোহীদের। কাউকে গলায় দড়ি দিয়ে, কাউকে গুলি করে মেরে কিংবা জীবন্ত অবস্থাতেই বরফে সাগরের পানিতে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এমনতর কাহিনীর যেন শেষ নেই কোনো। ‘ব্রিলান্ড’ জাহাজের ক্যাপ্টেন হোমানস দাস ব্যবসা করত লুকিয়ে-চুরিয়ে। কেননা তখন দাস ব্যবসাকে করা হয়েছে বে-আইনি। এমনই এক চালানের সময় তার জাহাজের পিছু নিল ব্রিটিশ নৌবাহিনীর চারটি জাহাজ। হোমানস দেখল মহাবিপদ, তার জাহাজের খোল ভর্তি ক্রীতদাস, ধরা পড়লে তো আর রক্ষা নেই। বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ৬০০ জন দাসকে পরপর মালার মতো বাঁধলেন একে অন্যের সাথে, তারপর জাহাজের সব বড় বড় নোঙর বেঁধে তাদেরকে ডুবিয়ে দিলেন সাগরের পানিতে। নৌ-বাহিনীর লোকেরা জাহাজ পরীক্ষা করে ফিরে গেল সন্তুষ্ট হয়ে। ওই জাহাজে কোনো ক্রীতদাস নেই! পেছনে পরে রইল ৬০০ মৃত মানুষের দেহ।

আসলে দাসদের নিয়ে লিখতে গেলে শুধু নির্মমতা প্রিয় ভাই, আর অনেকেই এই নির্মমতা নিয়ে লিখছেন। হয়ত সামনে কোন এক দিন লিখব। আবারো অশেষ কৃতজ্ঞতা দারুন এক মন্তব্যে


দাসদের এভাবেই ছোট ছোট খুপরিঘরে ফেলে রাখা হত, এই ঘরগুলোকে বলা হত 'স্লেইভ পেন'। ১৮৬১ সালে ভার্জিনিয়াতে তোলা হয় ছবিটি;

১৯| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:০১

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ভয়ঙ্কর ব্যপার, আচ্ছা গরু ছাগল না দিয়ে মানব শিশু দেওয়ার কথা তাদের মাথায় এলো কেন?

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: ভালো প্রশ্ন করছেন। সেকালে দাস বিবাহপ্রথার কোন আইনি ভিত্তি ছিলো না, দাসরা চাইলে তাদের পছন্দনীয় দাসীদের বিয়ে করতে পারত এবং বিয়ের পর সন্তান-সন্ততি নিয়ে বড় পরিবার গড়ে তুলত। এ ব্যাপারে প্রভুরা দাসদের উৎসাহ দিতেন। কারণ দাসের ছেলে মেয়ে যে দাসই হবে ! তারাও কাজ করবে ওই প্রভুরই অধীনে। তারপর শক্ত সামর্থ্যবান হয়ে গেলে চড়া দামে বাজারে বেঁচে দেয়া যাবে। এভাবে অনেক দাস পরিবার ভেঙ্গে যেত, দেখা যেত এক পরিবারের সবাইকে ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতার কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। একটা ভেড়া, ছাগলের যে দাম ছিল একটা কৃষ্ণাঙ্গ দাসের বাচ্চার সে দাম ছিল না। সেক্ষেত্রে ইদুরের বাচ্চার মত জন্ম নেয়া কালো মানুষদের সন্তানদের বেইট হিসাবে ব্যাবহার করাই লাভজনক ছিল।

অশেষ ধন্যবাদ ভাই পাঠে এবং মন্তব্যে।

২০| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:



সাদা মনের মানুষ বলেছেন, " ভয়ঙ্কর ব্যপার, আচ্ছা গরু ছাগল না দিয়ে মানব শিশু দেওয়ার কথা তাদের মাথায় এলো কেন? "

-তখন আমেরিকায় গরু, ছাগল ছিলো না; "ছিলো ঠাকুর মা'র ঝুলি"। ফ্লোরিডায় আজকেও লোকালয়ে কুমীর ঘুরে; আগে কুমীরের ভয়ে মানুষ রাতে বের হতো না; সেখানে কুমীর শিকারে "বেইট" লাগবে কেন? এই পোষ্টের লেখক কি নিয়ে লিখছেন, সেটার উপর ১ পয়সার ধারণাও নেই।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: পোষ্টের সাথে লিংক দেয়া আছে, দেখে আসুন, সে আমলের নিউজ পেপার ও দেয়া আছে, নিশ্চয়ই এগুলো আমার বানানো না। যত্তসব আমেরিকান রাজাকার! ভাগ্যিস এই আমলে আমেরিকায় গেছেন ওই আমলে ফ্লোরিডা ম্লোরিডা গেলে নির্ঘাত আপনি পিকানিন্নিস হিসাবে ব্যবহৃত হতেন =p~

২১| ০১ লা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


ফ্লোরিডায় এখনো কুমীর শিকারের লাইসেন্স দেয়, বছরের নিদ্দিষ্ট সময়ে মানুষ কুমীর শিকার করতে পারে; এখন কুমীরের সংখ্যা অনেক কমে গেছে, তাতেও "বেইট"এর দরকার হয় না; অনেক বাংগালী অজগর সাপ ও কুমীরের ভয়ে ফ্লরিডার বনান্চলের কাছে বাড়ী কিনে না; আপনি না জেনে, ঠাকুর মা'র ঝুলি লিখছেন। কাঁঠাল পাতার ব্যবসা ভালোই চালিয়ে যাচ্ছেন।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: আপনি তো ব্লগে শুক্কুরে শুক্কুরে আটদিন আসছেন, আগে ব্লগে একটা সিম্বল খুব চলত আপনার মত কাউকে পেলে, দেখবেন? দাড়ান দেখাচ্ছি

২২| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা হচ্ছে আমেরিকা! ইহা নিয়ে লিখতে মাথার দরকার হয়, ইহা খলীফা ওমর (রা: ) বেদুইন রাজ্য নয়, যা মাথায় আসলো লিখে দিলেন। আমেরিকান সাধারণ মানুষের মানবিক কারণে আমেরিকা আজকের যায়গায় এসেছে; আপনি আমেরিকা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখলে এইসব রূপকথা লিখতেন না।

কুমীর শিকারে কোন বেইটের দরকার হয় না; আপনি যেই সময়ের কথা লিখেছেন, সেই সময় ফ্লোরিডায় কুমীরের ভয়ে মানুষ রাতে সহজে বের হতো না, কুমীর ছিল আশপাশে; আজো আছে। আমেরিকায় একটা বাচ্চা, কালো হোক বা সাদা হোক তার গায়ে হাত দিতে দিবে না আমেরিকানরা। আপনার এসব ব্যাপারে ১ পয়সারও ধারণা নেই।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৪৭

শের শায়রী বলেছেন:

২৩| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


পদ্মাসেতুতে বাচ্চার মাথা লাগবে, কুমীর শিকারে "বেইট" হিসেবে বাচ্চা লাগবে, এগুলো আপনার মতো লেখকদের পোষ্টে পাওয়া যায়; কি লিখছেন, ভেবেচিন্তে লিখুন; বুয়েটের মানসন্মান ডুবানো উচিত নয়।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: আমি যে বুয়েটের এটার কোন প্রমান আপনার কাছে আছে? না থাকলে ফাও বুয়েট বুয়েট কইরেন না তো।

২৪| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "পোষ্টের সাথে লিংক দেয়া আছে, দেখে আসুন, সে আমলের নিউজ পেপার ও দেয়া আছে, নিশ্চয়ই এগুলো আমার বানানো না। যত্তসব আমেরিকান রাজাকার! ভাগ্যিস এই আমলে আমেরিকায় গেছেন ওই আমলে ফ্লোরিডা ম্লোরিডা গেলে নির্ঘাত আপনি পিকানিন্নিস হিসাবে ব্যবহৃত হতেন "

-আপনি আমাদের ব্লগকে যেমন উর্বর করছেন, আমেরিকায় আপনার মতো মানুষের অভাব নেই; ওরা ব্রুকলীন ব্রীজে মানুষ বলি থেকে "হরর হাউজ", "বিগফুট", গল্ল চালিয়ে যাচ্ছে। আপনি না বুঝে ব্লগ ভরায়ে ফেলেছেন।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: ক্রিষ্টাল ক্লিয়ার। ৭১ এ যারা পাকিস্তানী রাজাকার ছিল তাদের মেন্টালিটি কেমন ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৫| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৮:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


বুয়েট আপনাদের থেকে ইন্জিনিয়ার না বানায়ে " ঠাকুর মা'র ঝুলির" রাক্ষস কোক্কসের লেখক বানায়েছে।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:০০

শের শায়রী বলেছেন: প্রমান দেন আমি বুয়েটের। কোথায় বলছি আমি বুয়েটের?

২৬| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:০৬

সায়েল মুহাম্মদ বলেছেন: প্রাচীন,মধ্য,আধনিক সব যুগেই বর্বরতা ছিলো, এখনো চলছে। ধরন শুধু পাল্টেছে। প্রাচীন ইনকা সভ্যতা তার মধ্যে অন্যতম।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:১৬

শের শায়রী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। হ্যা প্রাচীন সভ্যতাগুলোর মাঝে নৃশংসতা অনেক বেশি ছিল।

২৭| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " প্রমান দেন আমি বুয়েটের। কোথায় বলছি আমি বুয়েটের? "

-আপনার লেখায় অবশ্য মনে হয় না যে, আপনি বুয়েটের! ব্লগের কে যেন বলেছিলেন যে, আপনি বুয়েটের এবং সরকারী চাকুরী করেন; কে বলেছিলেন মন্তব্যে আমি ভুলে গেছি। আপনি বুয়েটের না'হলে ভালোই হয়; আপনার কাট-পেষ্টের মান খুবই নীচু।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:১৭

শের শায়রী বলেছেন: =p~

২৮| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:১৮

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এই লোকটার প্রথম কমেন্ট, আজ সেহরির পর রিপোর্ট করেছিলাম, ব্লগ কতৃপক্ষ আমলে নেয়নি।

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:২৩

শের শায়রী বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদের কোন লেখায় জানি পড়ছিলাম, আগের দিনে প্রত্যেক গ্রামে একটা পাগল থাকতে হত না হলে সে গ্রামের ইজ্জত থাকত না, গ্রামে নতুন কেউ আসলেই পাগলের পাগলামি শুরু হোত লুঙ্গি খুলে মাথায় পেচানোর মধ্য দিয়ে। সম্ভবতঃ ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিজেদের প্রসার এবং প্রচারে সেই রকম কিছু একটা পালছে। ;)

২৯| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৩১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: =p~ =p~ =p~

কিন্তু উনি যে হারে ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করছে, ফেসবুকে এগুলো ভাইরাল হলে, ব্লগটা আবার ব্যান করা হবে হয়তো!

০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: সে দায় ব্লগ কর্তৃপক্ষের আমরা আপাতত পাগলের ছাগলামি উপভোগ করি :-B

৩০| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ৯:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন, " এই লোকটার প্রথম কমেন্ট, আজ সেহরির পর রিপোর্ট করেছিলাম, ব্লগ কতৃপক্ষ আমলে নেয়নি। "

-ইফতারির পর রিপোর্ট করলে একটু ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হতে পারে, হয়তো; পেট শান্তি, মন শান্তি

০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৫:১৭

শের শায়রী বলেছেন: রোযা রাখছেন মুরুব্বী

৩১| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১০:৩২

মা.হাসান বলেছেন: Statists র হিসাব মত ১৮৬৫ সাল পর্যন্ত ইউএসএ তে প্রায় দেড় কোটির মত কালো মানুষকে দাস হিসেবে আনা হয়েছিল। এদের মধ্যে এদের বংশধর সহ ১৮৬৫ পর্যন্ত বেঁচে ছিল ৪৪ লাখের মতো, এরমধ্যে ৪০ লাখ দাস হিসেবে, বাকিরা যদিও দাস ছিল না, মানুষের অধম ছিল বাকি এক কোটির মতো লোক আনার পথে, এবং পরবর্তীতে অত্যাচারে মারা যায় । ওই সময়ে চারটা স্টেট বাদে আর কোথাও ওদের ভোটিং রাইট ছিল না। যে কনস্টিটিউশন নিয়ে আমেরিকা গর্ব করে, এটা যখন প্রণয়ন করা হয় তখন মোট জনসংখ্যার অর্ধেক, মহিলারা, কোন ভোট দিতে পারতেন না। মোট জনসংখ্যার ছয় ভাগের এক ভাগ , কালোরা , কোন ভোট দিতে পারতেন না।

এখন কালোরা সংখ্যায় ১২ থেকে ১৩ শতাংশের মতো, কিন্তু আমেরিকান জেল গুলোতে বন্দীদের মধ্যে ৪০% কালো।সাদারা কালো দেরকে গিনিপিগ বানিয়ে ড্রাগ টেস্ট করেছে, এটার রেফারেন্স আপনার গত পোস্টে দিয়েছিলাম। অনেক জায়গাতেই কালোরা সাদাদের রেস্টুরেন্টে ঢুকতে পারত না, কালোদের আলাদা স্কুল ছিল , সাদাদের স্কুলে যেতে পারত না। কালোরা ভিয়েতনাম যুদ্ধে অধিক সংখ্যায় অংশ নিয়েছিল কারণ ওদেরকে প্রমিস করা হয়েছিল যুদ্ধে অংশ নিলে পলিসি পরিবর্তন করা হবে। সোহানী আপা ওনার মন্তব্যে খানিকটা বলেছেন পলিসি কতটা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে কানাডিয়ানরা ভালো এ কথার সঙ্গে একমত না। কানাডায় সাদারা আদিবাসীদের কাছ থেকে বাচ্চা কেড়ে নিতে এই বলে যে আদিবাসীরা বাচ্চা পালন করতে অক্ষম। এই বাচ্চাদেরকে বাসার গৃহকর্মী নিযুক্ত করা হতো এবং স্যাৎস্যাতে সাথে ঠান্ডা জায়গায় ঘুমাতে দেয়া হতো। অসংখ্য বাচ্চা নিউমোনিয়া তে বা এরকম কারনে মারা যেত।
আমেরিকানরা কত ভালো একাত্তরে, চুয়াত্তরে, আমরা দেখেছি। যারা কিসিঞ্জারের দেয়া অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে তারা আমেরিকার খারাপ দেখবে কি করে।
অনেক তথ্যবহুল পোস্টের জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৩৮

শের শায়রী বলেছেন: আপনি লিখছেন আমেরিকানরা কত ভালো একাত্তরে, চুয়াত্তরে, আমরা দেখেছি। যারা কিসিঞ্জারের দেয়া অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে তারা আমেরিকার খারাপ দেখবে কি করে। এই লাইনটার মানে মনে হয় ব্যাপক, যা আমার মত সাধারনের বোধগম্যের বাইরে ;)

আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডানোবাবু ক্ষমতায় এসেছেন অনেকটা হোয়াইট সুপ্রিমেসী প্রচার কইরা যা সেই সময় নির্বাচনের বিভিন্ন প্রবন্ধ দেখলেই বুজবেন, হয়ত এখনো আপনার খেয়াল আছে। তাই তাদের ওভারঅল মানসিকতা এখনো কেমন বুজার জন্য কিন্তু বিজ্ঞানী হতে হয় না।

সব থেকে খারাপ কথা কি জানেন? সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ারে জিউ হলোকাষ্টের সময় ইহুদীদের যে সব কনষ্ট্রেশন ক্যাম্প ছিল তার মুল দায়িত্ব ছিল জুইস কিছু মানুষের হাতে যাদের "ক্যাপু" বলা হত। এদের ওপর আবার খবরদারি করত নাৎসিরা আবার সে সময় কালোদের ওপর যে নিগ্রহ হত তা হত মুলতঃ তাদের স্বজাতির দ্ধারা যারা কিছুটা ভালো থাকা বা ভালো খাবারের লোভে। এটা অন্যায়ের কিছু নাই, কারন ঐ সব পরিস্থিতিতে নিজে বাচলে বাপের নাম। যাক বর্তমানে ও কিছু কালুয়া আছে যারা সামন্য কিছু সুবিধার জন্য সাদাদের পদলেহন করতে দ্বিধা করেনা। আগে যা হয়েছে মানে সেই বিংশ শতাব্দীতে তা নিয়ে আমার অভিযোগ নেই কারন সে সময় পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন, কিন্তু এই যুগে!!! এটা ঠিক আমার বোধগম্য না।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা হাসান ভাই।

৩২| ০১ লা মে, ২০২০ রাত ১১:২১

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: যারা কিসিঞ্জারের দেয়া অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছে তারা আমেরিকার খারাপ দেখবে কি করে।

এরাকি লিনচিং এর কথাও অস্বীকার করে!?

০২ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৪০

শের শায়রী বলেছেন: লিনচিং মব তো দূরে থাকুক এই সব সাদাদের দেবতা জ্ঞানে সব অন্যায় ই জায়েজ বলে রায় দেয়। অবাক হবেন না এ রকম সব যুগে সব সময়ই ছিল, থাকবে B-)) এবং আছেও।

৩৩| ০২ রা মে, ২০২০ ভোর ৬:০৩

জাফরুল মবীন বলেছেন: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব;অমানুষ সৃষ্টির নিকৃষ্টতম জীব।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৪১

শের শায়রী বলেছেন: মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব;অমানুষ সৃষ্টির নিকৃষ্টতম জীব। দারুন এক মন্তব্যে সুপার লাইক জাফরুল ভাই।

৩৪| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ৮:০৯

চাঙ্কু বলেছেন: অনেকদিন পরে ব্লগে সুন্দর একটা লেখা পড়লাম। হোয়াইট সুপ্রিমিষ্টরা আম্রিকাতেও এখন আছে, দাস প্রথাতো কিছুদিন আগেও ছিল কিন্তু তাই বলে কুমিরের বেইট হিসাবে মানুষকে ব্যাবহার করবে বলে চিন্তা করিনি!

০২ রা মে, ২০২০ রাত ৮:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই আমার কৃতজ্ঞতা জানুন আপনার মত পুরানো একজন ব্লগার কে পোষ্টে উৎসাহ ব্যাঞ্জক কমেন্ট দেবার জন্য। আমার কাছেও প্রথমে অবিশ্বাস লাগছিলো ভাই যখন এগুলো নিয়ে ঘাটাঘাটি করছিলাম। আসলেই ভীষন নৃসংশ ছিল এই প্রথাটা।

আবারো পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৩৫| ০২ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:৪০

করুণাধারা বলেছেন: ছোটবেলায় আঙ্কেল টমস কেবিন পড়ার পর পড়েছিলাম রুটস, কিন্তু অ্যামেরিকার কালো মানুষদের সাথে সাদাদের এই আচরণকে ঠিক কী বিশেষণ দিয়ে বোঝানো যায় বুঝতে পারছি না... সাদারা কালো মানুষদের মানুষ বলেই ভাবতে না। ভয়ংকর কাহিনী!! সেই সাদাদের উত্তর পুরুষেরা আজো অ্যামেরিকায় বাস করছে!

তবে এতটা নির্দয় না হলেও, শিশুদের প্রতি দয়ামায়াহীন মানুষ আমি দেখেছি। মধ্যপ্রাচ্যে থাকাকালীন দেখতাম একটা চ্যানেলে সারাদিন উটের দৌড় প্রতিযোগিতা দেখাত (এখন মনে হয় এই প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়েছে) তখন সেই চ্যানেলে বাঙলা কথা শুনে অবাক হতাম। দেখতাম কোন আরব হাতের ওয়াকি টকিতে বলছে, "আরো জোরে, আরো জোরে"। কথাটা বলা হত উট চালক ৫-৭ বছর বয়সী বালকের উদ্দেশ্যে, উটের পিঠে ওয়াকি টকির রিসিভার লাগানো থাকত। এই বালক গুলো বেশিরভাগই বাঙলাদেশের বা আফ্রিকার, ওদের বোঝানোর জন্য ওদের মালিক এইটুকু বাঙলা শিখে নিয়েছিল। যাতে উটের পিঠে ওজন কম হয়, সেজন্য এই বালকদের ওজন কম রাখতে প্রায় অনাহারে রাখা হত। মাঝে মাঝেই এরা উটের পিঠ থেকে পড়ে পায়ের চাপায় মারা যেত। মৃত্যুই ছিল এই বালকদের নিয়তি।

এই বিপজ্জনক খেলায় যে আরবরা বাচ্চাদের নিয়োজিত করে তারা নিঃসন্দেহে অমানুষ। কিন্তু এই বাচ্চাদের জেনে শুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিল যে পাচারকারী, সে তো আমাদের স্বজাতি। অর্থের জন্য মানুষ কিভাবে মনুষ্যত্ব বিসর্জন দেয়!!!

পোস্ট ছাড়াও মন্তব্য, প্রতিমন্তব্য থেকেও অনেক কিছু জানা হল। আর বিষয়বস্তুর সাথে সম্পূর্ন সম্পর্কহীন মন্তব্যগুলো বিনোদন হিসেবেই নিলাম। :D

তথ্যসমৃদ্ধ, পরিশ্রমী এই পোস্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ৯:১০

শের শায়রী বলেছেন: বোন আরবদের বর্বরতা নিয়ে বলার কিছু নেই, তবে আমার ধারনা পেট্রোডলারের গরমে এই সব কুলাঙ্গারদের অত্যাচার শেষ হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। যেভাবে তেলেত দাম পড়ে গেছে এবং মানুষ যেভাবে অল্টারনেট এনার্জিতে অগ্রসর হচ্ছে তাতে খুব বেশি দিন আর লাগবে না এই তেলের চাহিদা শেষ হতে। তবে একই সাথে চিন্তা লাগে একটা বিরাট অংশের মানুষ ওই সব দেশে কাজ করে (যদিও অনেকাংশেই সে সব কাজ অমানবিক) কিছু উপার্জন করত সেটা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এটাও ঠিক এক দরজা বন্ধ হলে অন্য দরজা খুলে যায়।

বিষয় বস্তুর সাথে সম্পূর্ন সম্পর্কহীন মন্তব্যগুলো বিনোদন হিসেবে নেয়ায় অশেষ কৃতজ্ঞতা বোন :)

৩৬| ০২ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫১

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভয়কর এক অজানা কাহিনী জানলাম।

অটঃ তথ্যসমৃদ্ধ ভাল লেখা সবার জন্য নয়। তাই ভাল লেখার মান বোঝার ক্ষমতা যাদের নাই, তাদের আমার মনে হয় আপনার ব্লগে ব্লক করলেই ভাল করবেন।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১০:২৭

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ঢাবিয়ান ভাই। আমি আসলে আজ পর্যন্ত ব্লগে কাউকে ব্লক দেইনি। কেমন যেন নিজেকে পরাজিত পরাজিত লাগে। তবে হ্যা কেউ যদি নোংরামি করে তবে সেক্ষেত্রে বিনা দ্ধিধায় ব্লক দেব।

৩৭| ০২ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯

রূপম রিজওয়ান বলেছেন: সালাম জানবেন,গুরুজি। ভালো আছেন আশা করি। করোনা বিষয়ক ঝামেলায় ছিলাম।

অফ টপিক: আপনি বেশ কদিন আগে কোথাও এক জায়গায় মন্তব্যে পড়েছিলাম জুডাস চরিত্রটাকে অন্যরকমভাবে উপস্থাপন করে সিরিজ লিখবেন। আইডিয়াটা কিন্তু দারুণ :-B। তেমনই দাবি রেখে গেলাম।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১০:৩০

শের শায়রী বলেছেন: রূপম এখন কেমন আছ? পরীক্ষা টরীক্ষা তো আপাতত নেই, এই চান্সে দু একটা পোষ্ট দিয়ে ফেল। তোমার পোষ্ট মিস করি। আর জুডাসের চরিত্রটা অন্যভাবে উপস্থাপন করার আইডিয়া নীল আকাশ ভাইর একটা পোষ্ট থেকে পেয়েছি, এনিয়ে একটা গল্প লেখার ইচ্ছা আছে। দাবী পুরনে সচেষ্ট হব প্রিয় ভাই।

৩৮| ০২ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

মিরোরডডল বলেছেন: ভয়ংকর ব্রুটাল :(

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১০:৩২

শের শায়রী বলেছেন: নির্ধিদ্ধায়। তবে আশার কথা এই সব নৃশংসতা এখন আর নেই, আর যা আছে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অন্তত লোক চোক্ষুর অন্তরালে চলে গেছে।

৩৯| ০২ রা মে, ২০২০ রাত ৯:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,




মানুষ শুধু সৃষ্টির শ্রেষ্ঠই নয়, সবচেয়ে নিকৃষ্টও বটে!

বেশ কিছু মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্য নিয়ে সমৃদ্ধ একটি পোস্ট।

০২ রা মে, ২০২০ রাত ১০:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: মানুষ শুধু সৃষ্টির শ্রেষ্ঠই নয়, সবচেয়ে নিকৃষ্টও বটে! কোন সন্দেহ নেই শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই।

৪০| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১২:৫২

নীল আকাশ বলেছেন: সব ছাগলের বড় হয়ে পাঠা হতে দেয়া হয় না।
শুধুমাত্র অপদার্থ যেসব ছাগল থাকে তাদের এভাবে ছেড়ে দেয়া হয় পাঠা হবার জন্য।
পাঠারা ব্যা ব্যা আওয়াজ সব সময় জোরে জোরেই করে নিজেরা যে পাঠা সেটা প্রমাণ করার জন্য।
আপনাকে আমি অনেক আগেই বলেছিলাম, পাঠা পালবেন না।
শুভ রাত্রী।

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: কি মন্তব্য! লা জওয়াব ভাই। হাসতেই আছি =p~

৪১| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ১:৫৪

সোহানী বলেছেন: আচ্ছা ভাই, আপনারা কইলাম বারবার আপনার লিখা আপনি লিখেন। শুধু শুধু অপাত্রে কেন নিজের সময় ও মেধার অপচয় করেন!!! ভাই, নতুন লিখায় মন দেন ক্যাচাল বাদ দিয়া।

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: মাঝে মাঝে কি আমারে একটু বিনোদন নিতেও দিবেন না (অভিমানের ইমু কৈ)। এই গুলা হইল নির্দুষ বিনোদন ;)

৪২| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ২:৫৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আমেরিকায় থেকে আমেরিকার দালিলিক ইতিহাস অস্বীকার করলে জাতে উঠা যায় না! ইতিহাসকে অস্বীকার করা অনেকটা দাসদের জন্ম পরিচয় হীনতার মতোই জোরালো।

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: এগুলো দেখবেন দালাল কিসিমের মানুষের মাঝে বেশী। যারা দালালী করে তারা বুড়ীরেও ছুড়ি বইলা চালায় :P

৪৩| ০৩ রা মে, ২০২০ রাত ৩:৪৫

Rajibrpsoft বলেছেন: অনেক কিছু বলতে ইচ্ছে করছে তবে রাগটাকে আর দুঃখটাকে চেপে বলতে হয় ....মানুষের এই বর্বরতার কারণে আমরা দিনে দিনে এক নিষ্ঠুর আযাবের দিকে এগুচ্ছি.....ধন্যবাদ ভাই হ্রদয়স্পর্শি একটা ঘটনা লেখার জন্য

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫১

শের শায়রী বলেছেন: আমি নিজেও জানতাম না এই ঘটনা প্রিয় ভাই, মানুষের এই নিষ্ঠুরতা কিভাবে মানুষ সে সময় প্রথা হিসাবে নিত তাই ভাবছি। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৪৪| ০৩ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: প্রথমে আদিবাসীদের মেরে কেটে বাস্তুচ্যুত করে, রিজার্ভেশনে রেখে তারা বসতি স্থাপন করেছে। এরপর লাখে লাখে কালোদের আফ্রিকা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে-মেরে রেল-ট্রাক, স্থাপনা নির্মাণ করেছে চরম নির্মমতা দেখিয়ে। এছাড়াও নানারকম অনৈতিক, শুভ-অশুভ কার্যকলাপের ফসল আজকের অতি-উন্নত মানবিক সমাজ? অথচ আমরা মার খেয়ে, মরে-পচে-গলে, গার্মেন্টসে রাত-দিন কামলা দিয়ে, বস্তির এক ঘরে ৮জন গাদাগাদি করে বাস করে অসভ্যই থেকে গেলাম! মানবিক হতে পারলাম না।

০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৪:২৭

শের শায়রী বলেছেন: আমেরিকায় থেকে কয়জন আমেরিকান জানে যে ওয়াল ষ্ট্রিট, নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ, আমেরিকান স্টক এক্সচেঞ্জ, মরগান গ্যারান্টি ট্রাস্ট এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং পণ্য এক্সচেঞ্জগুলি একত্রিত হয় এবং এটি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই নয়, বিশ্বজুড়ে আর্থিক ও মূলধনের বাজারগুলির কেন্দ্রবিন্দু। নিউ ইয়র্ক স্টক মার্কেট বা আর্থিক বাজারের প্রতিশব্দ হিসাবে, এটি আমেরিকান পুঁজিবাদের কেন্দ্রস্থল হিসাবে ব্যবহৃত হয় ওয়াল স্ট্রিট। কাইওয়াই হ'ল নিউ ইয়র্কের জন্মস্থান। ১৬২৩ সালে, ডাচরা নিউ আমস্টারডাম হিসাবে ম্যানহাটন দ্বীপকে উপনিবেশ স্থাপন শুরু করে। ১৬৫৩ ডাচ গভর্নর পিটার স্টুয়েভাসেন্ট শহরের উত্তরে শূকর ও ছাগলকে রোধ করার জন্য একটি প্রাচীর তৈরি করেছিলেন। এটি ওয়াল স্ট্রিট নামের মূল। এই প্রাচীর তৈরী হয় দাসদের ঘামের বিনিময়ে। পরে এটি একটি ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয় এবং নিউ আমস্টারডামের নামকরণ করা হয় নিউ ইয়র্ক। আঠারো শতকের শুরুতে, বণিকরা এই শহরে চলে এসেছিল, তবে এখানে সিটি হল, দাস বাজার, কারাগার ইত্যাদি ।

অতীতে বিশ্বের প্রায় সব স্থাপনাই দাস দের দ্ধারা তৈরী। দাস ব্যাবসা কি আজো শেষ হয়েছে? ইউরোপ আমেরিকায় ১০০/২০০ ডলারে যে শার্ট পরে আজকে কোন CEO মিটিং করছে যার কলারের নীচে লেখা থাকে মেড ইন বাংলাদেশ, যা দেখে ইউরোপ আমেরিকায় বাংলাদেশীদের বুক গর্বে ফুলে ওঠে তাদের কয়জন জানে ঐ শার্ট যারা তৈরী করছে তাদের কেউ কেউ হয়ত ওই শার্ট বাবদ ১/২ ডলার পেয়েছে (আন্দাজে বললাম কারন গার্মেন্টস ব্যাবসা নিয়ে আমার ধারনা নেই, তবে কম বেশী অমনই পার শার্ট বাবদ হয়ত মজুরী পায়)। এবং সব শেষে আপনি যেমন বললেন মার খেয়ে, মরে-পচে-গলে, গার্মেন্টসে রাত-দিন কামলা দিয়ে, বস্তির এক ঘরে ৮জন গাদাগাদি করে বাস করে অসভ্যই থেকে গেলাম! মানবিক হতে পারলাম না।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা

৪৫| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ২:৫২

সুপারডুপার বলেছেন:


শের শায়রী ভাই ,

ব্যাস্ততার জন্য সব ব্লগ পড়া হয়ে ওঠে না। আজই আপনার এই পোস্ট পড়লাম। আপনি মনে হয় স্যার -ম্যাডামের চোখকে ফাঁকি দিয়ে স্কুলে শেষের বেঞ্চের দিকে বসে সেবার বই, ওয়েস্টার্ন, মাসুদ রানা , তিন গোয়েন্দা, ফেলুদা ইত্যাদি বই অনেক বেশি পড়তেন :P , অথবা আপনার বাচ্চা কাচ্চা কিশোর ছেলের সাথে আপনি এখনো পড়ছেন , জানিনা । এইরকম বই পড়ার প্রভাব আপনার অনেক লেখাতে পড়ে ... হয়তোবা এই রকম বই বা সিরিজ আপনি অলরেডি পাবলিশড ও করেছেন , জানিনা।

নচিকেতার একটা গানের কিছু লাইন বলি :

জিতে গেলে হিপ হিপ হুররে শুনবে তুমি
হেরে গেলেই শেম শেম
ইটস এ গেম, ইটস এ গেম।।

বিজয়ীরা বরাবর ভগবান এখানেতে,
পরাজিতরাই পাপী এখানে
রাম যদি হেরে যেত, রাবায়ন লেখা হত
রাবন দেবতা হত সেখানে
কেন পথ নিয়ে মাথাব্যাথা?
কেন পথ নিয়ে মাথা ব্যাথা, জেতাটাই বড় কথা
হেরে গেলেই শেম শেম
ইটস এ গেম, ইটস এ গেম।।

সোহানী আপা উনার কোনো এক পোস্টে বলেছিলেন: 'সাথে সাথে ওই গ্রুপের একটি কালো ছেলে আমার এ্যাক্সেন্ট শুনে বলে উঠলো, ফাকিং ইন্ডিয়ান।' । দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার সুবাদে আমি নিজেও কিছু কালোদের অসভ্যতা স্পষ্টভাবে জানি। সাদারাও যে একবারে নাই তা বলবো না .... আর এরাবিয়ান - পাকিদের কথা না-ই বলি। যাউকগা ... ভেবেন না আবার আমি বর্ণবাদীকে সমর্থন করতে চাচ্ছি। যে দেশই বা ধর্মই করুক আমি সবসময় -ই বর্বর দাস প্রথা ও বর্ণবাদিতা তীব্র ঘৃণা করি ।

আপনি অনেক কিছু পড়েন ও জানেন। আপনার কাছে তিনটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাচ্ছি :

১) যদি কালোরা জিতে যেত ও সাদারা পরাজিত হত , আজকের পৃথিবী দেখতে কেমন হত ?
২) ৭১- যদি পাকিরা ও তাদের দোসর রাজাকাররা খুন ধর্ষণ মা বোনের ইজ্জত লুটার পরেও জিতে যেত এবং মুক্তিকামী বাংলাদেশিরা পরাজিত হত, কেমন হত ইতিহাস? সেই ইতিহাস আপনি কিভাবে নিতেন ?

করোনার দিনে কেন জানি সবার -ই মেজাজটা একটু রুক্ষ। আমার কোনো কথায় মাইন্ড করলে , সরি। ভালো থাকবেন।

০৪ ঠা মে, ২০২০ ভোর ৫:০৪

শের শায়রী বলেছেন: বিংগো সুপার ডুপার ভাই, এক দম বুলস আই। শুধু কি ক্লাশ! আম্মার হাতের তাল পাখার ডান্ডার বাড়িও পড়ছে অনেক পিঠে এই সব পড়ার জন্য, আজ থেকে পাচ বছর আগেও মাসুদ রানার রেগুলার ক্রেতা ছিলাম, কিন্তু মাসুদ রানাকে যখন ড্যান ব্রাউন, স্মিথ, নেভিল এদের বইর নায়ক হিসাবে আনল আর পড়ে মজা লাগল না, কারন মাসুদ রানা হল একজন স্পাই কোন টেকি না, কিন্তু আমি বুজতে পারি সেবা হয়ত আর্থিক কারনে এইগুলো করছে কিন্তু আমার মত বুড়োদের কাছে মাসুদ রানার যে কাল্পনিক অবয়ব তাকে মেরে ফেলছে। হ্যা আমার বই পড়ার নেশা বা বিশ্ব সাহিত্যের হাতেখড়ি তার জন্য আমি সেবা অনুবাদ এবং ইন্ডিয়ান কিছু অনুবাদের কাছে ঋনী, সে কালে ইংরেজী বুজতাম না। বড় হয়ে ইংরেজী কিছু কিছু বুজে (এখনো যে খুব একটা বুজি তা কিন্তু না) এখন সরাসরি ইংরেজী বই পড়ি তাও যা পাই হাতের কাছে। পাশাপাশি বাংলা সাহিত্য মুলতঃ ইন্ডিয়ান রাইটারদের বই।

তবে লজ্জার সাথে বলতে হয় আমি কোন দিনই সিরিয়াস পাঠক না, দেকার্ত, রুশো বা প্লেটোর রিপাবলিক এগুলো আমি পড়ি নাই, কেন যেন পড়ার উৎসাহ ও পাই না, তার থেকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন জার্নাল পড়তে (যদিও প্রায় সময়ই কিছু বুজি না) এবং ইতিহাস পড়তে ভালো লাগে। ইদানিং ধর্ম নিয়ে লাগছি, বিভিন্ন ধর্ম নিয়ে পড়াশুনা করছি যা আগে কোন দিনই করিনি। কেন লাগছি সে ভিন্ন প্রসঙ্গ। জানছি, বুজছি তবে একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ের জানাশুনা।

এ কথা অনস্বীকার্য্য আমি খুব সস্তা এবং চটুল মাপের পড়ুয়া। আর ব্লগে লেখালেখি করি নিজের আনন্দে। সেখানে কেউ যদি পড়ে অনেক বড় পাওয়া। ব্লগাররা অনেক জানে শোনে তাই তাদের ব্যাপারে আমার মতামত দেবার প্রশ্নই আসে না, যদি কারো লেখা ভালো লাগে প্রসংশা করি এই পর্যন্ত। কারো লেখা নিয়ে তর্কে বা চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস আমার নেই, যোগ্যতাও নেই।

আপনি যে গানের লিরিক দিয়েছেনঃ সেখানেই আপনার প্রশ্নের জবাব নিহিত

বিজয়ীরা বরাবর ভগবান এখানেতে,
পরাজিতরাই পাপী এখানে
রাম যদি হেরে যেত, রাবায়ন লেখা হত
রাবন দেবতা হত সেখানে


আপনার যেদুটো প্রশ্ন এখানে আছে তার জবাব আমি যদি প্রতি মন্তব্যে দেই সেটা কোন ভাবেই যুক্তি সঙ্গত হবে না, কারন আপনার প্রশ্নের ব্যাপকতা। এর জবাব দেয়া এখানে আমার পক্ষে অসম্ভব। সেক্ষেত্রে একের পিঠে আর এক প্রশ্ন আসবে, যা লিখে প্রকাশ করা যাবে না, খুব সম্ভবতঃ আপনি বিদেশে থাকেন কোন দিন দেশে আসলে খবর দিয়েন চা, সাথে সিগারেট আর আড্ডা দিতে দিতে যদি জমেই যায়, সেক্ষত্রে না হয় লাঞ্চ ডিনারটা আমার সাথেই করবেন তখন না হয় জবাব দেব। আপাতত একটা বই সাজেষ্ট করি সেই বইটা পড়বেন, আমি পড়ে ঝিম মেরে বসে ছিলাম কয়েক দিন :) আপনার প্রশ্নের সাথে সম্পর্কিত। না ডাইরেক্ট না তবে ইন ডাইরেক্ট। অল্টারনেট হিষ্টোরী বলতে পারেন, এমন বই আমি জীবনে দ্বিতীয় টি পড়ি নি, সম্ভবত লেখাও হয় নি The Years of Rice and Salt। অবশ্যই বইটা পড়বেন। আপাতত উইকি লিঙ্ক দিলাম এক নজর দেখুন।

আমি খুব সাধারন একজন মানুষ, বড় মানুষদের সংস্পর্শেও খুব একটা যাই নি, ঠিক মত সহবতও শিখি নি। যা শিখছি পরিবার থেকে সেক্ষেত্রে অনেক ভুল আমার থাকতেই পারে। নিজ গুনে মার্জনা করবেন।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

৪৬| ০৪ ঠা মে, ২০২০ রাত ১০:৫৭

অপু তানভীর বলেছেন: শের সাহেব করছেন ডা কি? পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ঠ যুদ্ধার প্রিয় দেশের বিরুদ্দে এ কি কতা লেখছেন !!
কুব কারাাপ কাম করছেন !! কুব কারাপ কাম করছেন ! =p~ =p~


পুস্টে পিলাচ দিয়া গেলাম !

০৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:০৫

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ শুকরিয়া অপু ভাই। পেলাচের জন্য ধইন্যা =p~ । মুরুব্বী আমার, ভুল জায়গায় হাত দিছে। হাতের জ্বলুনিতে অস্থির এখন :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.