নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহান জাদুকরের মহা জাদু আবিস্কারের পেছনের গল্পঃ থিওরী অভ রিলেটিভিটি

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১০:৫৮



বেচে থাকা না থাকা নিয়ে আইনষ্টাইনের এক রকম উদাসীনতা লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে শেষ বয়েসে। আশ্চর্য্যের ব্যাপার এই যে এই প্রজ্ঞার মুলেও কিন্তু সেই একই বিজ্ঞান চিন্তা। পদার্থবিদ্যা তাকে বুজিয়ে দিয়েছে সময় একটা মায়া মাত্র। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত এগুলো আসলে সাধারনের বিভ্রম। ১৯৫৫ সালের ১৫ই মার্চ মারা যায় তার প্রিয় বন্ধু মিশেল বেসো। মহাবিজ্ঞানী নিজের মৃত্যুর এক মাস আগে বিধবা মিসেস বেসোকে স্বান্ত্বনা জানিয়ে লিখলেন, “আমরা যারা বিশ্বাস করি ফিজিক্সে, তাদের কাছে অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত যতই জোরদার হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত নেহাতই তা একটা মায়া।" আইনষ্টাইনের এই মন্তব্যে মাঝেও নিহিত আছে ফিজিক্সের এক চিরন্তন তত্ত্ব।

আমাদের মত সাধারন মানুষের কাছে, সময় যেন একটা নদীর স্রোতের মত। তা বয়ে চলার একটা নির্দিষ্ট দিক আছে। আমাদের জন্মের পর শৈশব, কৈশর, যৌবন, বার্ধক্য এবং সব শেষে মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা সাধারন মানুষ সময় নিয়ে একটা ধারনা মনের মাঝে লালন করে বেড়ে উঠি যা কাল থেকে কালান্তরে বদ্ধমুলভাবে আমাদের মনের মাঝে প্রোত্থিত। অথচ পদার্থবিদ্যার বিভিন্ন সূত্রের দিকে তাকালে এই বিশ্বাস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যেতে বাধ্য। বোঝা যায় সময় জিনিসটা আমরা যেভাবে দেখি তা আসলে সে রকম কিছু না, তার থেকে অনেক রহস্যময় এবং জটিল।



একটা উদাহরন দিলে বোঝা যাবে, ধরা যাক কোন একটা দিক দিয়ে দেখলে দেখা যাবে চাঁদটা পৃথিবীর চারদিকে ঘড়ির কাটা যেদিকে ঘোরে সেদিকে ঘুরছে এবং ঘুরছে নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র মেনে। এখন নিউটনের সূত্রের মাঝে কিন্তু এমন কিছু বলা নেই যে চাঁদটাকে পৃথিবীর চারিদিকে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরতে হবে। নিউটনের সুত্র মেনেই কিন্তু চাঁদটা ঘড়ির কাটার উল্টো দিকেও ঘুরতে পারত। তাতে কিন্তু নিউটনের সুত্রের কোন ব্যাঘাত ঘটত না। অর্থ্যাৎ পৃথিবীর এই উপগ্রহটা এখন যে দিকে আমরা আপাত দৃষ্টিতে সামনের দিক বলে ভাবছি সেদিকে না ঘুরে এর উল্টো মানে পেছনের দিকেও ছুটতে পারত যাতে বর্তমান বিজ্ঞানের নিয়মের কোন হের ফের হত না, কিন্তু চাদের ওই ঘড়ির কাটার বিপরীতে ছোটাতো সময়ের উল্টা দিকে হাটা হত বর্তমান ঘোরার সাপেক্ষে। মানেটা তাহলে দাড়াচ্ছে এই যে সময়ের গতিমুখ ভবিষ্যত থেকে বর্তমান সেখান থেকে অতীত হলেও বিজ্ঞানের কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হত না। মানে সময়ের আগে পরে বলে কোন কথা নেই।

যদিও আইনষ্টাইনের মৃত্যুর পর আবিস্কার হয়েছে কিছু পার্টিকেলের (কনার) ক্ষয়ের ব্যাপারে এই সুত্র খাটে না। ওখানে সময় একটা নির্দিষ্ট অভিমুখেই চলছে। কিন্তু গ্রহ নক্ষত্র চলাফেরায় সময় ব্যাপারটা আসলে বিদঘুটে, সেখানে সময়ের দিক থাকা না থাকা একটা অবান্তর। নিজের আয়ূস্কাল কে আইনষ্টাইন দেখছিলেন পদার্থবিজ্ঞানের এই দৃষ্টিতে। যার কারনে মৃত্যুর আগ দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে না চেয়ে আইনষ্টাইন তার সেক্রেটারিকে হেলেন ডুকাশ কে বলছিলেন “আমি মরতে চাই ডাক্তারদের সাহায্য ছাড়া”।

মৃত্যু সম্পর্কে আইনষ্টাইন ছিলেন উদাসীন। প্রায় ক্ষেত্রেই মহাপুরুষরা এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতেন। বিখ্যাত নৃতত্ত্ববিদ জেমস ফ্রেজার তার “গোল্ডেন বাও” বইতে দীর্ঘ আলোচনা টানছেন ধর্ম এবং ম্যাজিক নিয়ে। এক বন্ধু একবার আইনষ্টাইনকে স্মরন করিয়ে দিলেন মৃত্যু নিয়ে সে বইর এক প্রতিপাদ্যে যাতে ফ্রেজার লিখেছিলেন প্রাগৈতিহাসিক যুগে ধর্মের উৎপত্তির মুলে ছিল মানুষের মৃত্যু ভয়। ফ্রেজারের ওই সিদ্ধান্তের কথা বলে বন্ধুটি মন্তব্য করেছিলেন “মৃত্যু ব্যাপারটা আসলেই একটা রহস্য।” এর জবাবে আইনষ্টাইন বলেছিলেন, “এবং একটা পরিত্রান।” মজার ব্যাপার হল বিজ্ঞান বলতে আমরা যেভাবে প্লেন, এসি, মাইক্রোওভেন, গাড়ী, ওষুধ, টিকা আবিস্কার বুজি তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান বা আরো এ্যাডভান্স পদার্থ বিজ্ঞান কিন্তু আরো অনেক গভীর ভাবে বিজ্ঞানকে দেখে, যা সাধারন মানুষের বোধের বাইরে কিছু একটা চলে আসছে ধীরে ধীরে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স, প্যারালাল ইউনিভার্স, মিরর ওয়ার্ল্ড, ষ্ট্রিং থিওরী এগুলো কিন্তু স্রেফ কিছু আবিস্কার না তার থেকেও অনেক বড় কিছু (সমস্যা হল আমি নিজেও এগুলো প্রায় কিছুই বুজি না যে ব্যাখ্যা দেব, তবে যেটুকু বুজি তা সাধারন আবিস্কারের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না, অনেকটা উপলদ্ধির জগতকে ধাক্কা দেয়।)



আইনষ্টাইন নিজেও মনে হয় মহাবিশ্বের এই সব অশৈলী কান্ড কারখানা দেখে বিভ্রান্ত হয়ে যেতেন! কিভাবে একটু আলোচনা করি সোজা সাপ্টা ভাবে। ১৯১৬ সালে আইনষ্টাইন যখন তার “জেনারেল থিওরী অভ রিলেটিভি” আবিস্কার করেন তখন তার সেই তত্ত্বের সমীকরনকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য বিজ্ঞানীরা মহাবিশ্বের বিভিন্ন চরিত্র নির্নয়ে নেমে পড়েন। থিওরী অভ রিলেটিভি কি? পদার্থ, শুন্যস্থান এবং সময়কে এক সুত্রে বেধে ফেলার সুত্র। শুনলেই কেমন যেন গা গুলিয়ে ওঠে, কোথায় ম্যাটার, কোথায় টাইম আর কোথায় স্পেস! এই তিনকে আবার সুত্রের মাধ্যমে বেধে ফেলা। যাক অত চিন্তার কিছু নাই, আপনি আমি বাধা ছাদার আগে আইনষ্টাইন সুত্র দিয়ে এই তিনটাকে এক করে কষে বেধে দেয়।

তিনটে আপাতদৃষ্টিতে আলাদা স্বয়ংসম্পূর্ন ব্যাপার মনে হলেও আসলে যে তারা আলাদা না, বরং এদের বাড়া কমার ব্যাপার একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল এটাই থিওরী অভ রিলেটিভিটির মুল প্রতিপাদ্য। স্পেস, টাইম এবং ম্যাটারকে সুত্র দিয়ে বেধে ফেলে আইনষ্টাইন যে শুধু মহাবিশ্বের বিভিন্ন চলাফেরা বুজতে সাহায্য করেন তা নয় বরং পুরা ব্রাক্ষ্মান্ডের ভুত ভবিষ্যত সন্মন্ধ্যেও একটা ধারনা দেন।



অথচ মজার ব্যাপার কি জানেন, এই ধারনাটা আইনষ্টাইনের নিজেরই পছন্দ হয় নি। পদার্থ একে অন্যকে আকর্ষন করে এটা এখন ক্লাশ ফাইভের একটা বাচ্চাও জানে। এই আকর্ষন বলের কারনে মহাবিশ্বের ছোট হয়ে আসার কথা, তার নিজের তত্ত্বের এই সিদ্ধান্ত মানতে চাননি আইনষ্টাইন নিজেই, যেহেতু আইনষ্টাইনের বিশ্বাস ছিল মহাবিশ্ব স্থির তাই নিজের সিদ্ধান্তকে আগ্রাহ্য করে নিজের উদ্ভাবিত সমীকরনকে একটু বদলে দেন। একদিকে থিওরী অভ রিলেটিভিটি বলছে মহাবিশ্ব সঙ্কুচিত হবে ওদিকে তার মন বলছে না তার আকার অপরিবর্তিত থাকবে – এই ভয়াবহ দোটানায় পড়ে নিজের সমীকরনে জুড়ে দেন একটা নতুন জিনিস যাকে তিনি বলেন “কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট”।

এই “কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট” আনার কারনটা কি? এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুজে গেছেন? এই জিনিস তার থিওরীকে সামঞ্জস্য বজায় রাখার জন্যই আনা হল। এই জিনিস আমদানী করে আইনষ্টাইন এক নতুন ধরনের ফোর্স নিয়ে আসেন যা মহাবিশ্বকে তার থিওরী অনুযায়ী সংকুচিত হওয়া থেকে বাধা দিয়ে একে প্রসারিত করে। অনেকটা তার থিওরী যদি মাইনাস হয় তবে এই কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট হল প্লাস। দুই ধরনের বলের কারনে মহাবিশ্ব স্থির আছে।

আইনষ্টাইন এই মহাবিশ্বকে অপরিবর্তিত রাখতে চাইলেন তার থিওরী অভ রিলেটিভিতে এই কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট এনে! কিন্তু আস্তে ধীরে এটা নিয়ে যখন অন্যান্য বিজ্ঞানীরা কাজ করতে শুরু করলেন তখন থেকে ফিসফাস গুঞ্জন শুরু হল না এই মহাবিশ্ব অপরিবর্তনশীল না, এই মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে, অনেকটা একটা বেলুনকে কন্টিনিউয়াসলি ফুলালে যেভাবে বাড়ে সেভাবে। নিজের উদ্ভাবিত সুত্রে কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট আনা যে এক বিরাট ভুল “বিগেষ্ট ব্লান্ডার” তা ওর মনে হয়। ১৯২৩ সালে জার্মান গনিতজ্ঞ হারম্যান ওয়েইলকে এক চিঠিতে আইনষ্টাইন লিখলেন “মহাবিশ্ব যদি আপাত স্থির নাই থাকে তবে দূর হয়ে যাক কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট।” ১৯২৯ সালে হাবল টেলিস্কোপ নিশ্চিত প্রমান দেয় মাহবিশ্ব সম্প্রসারিত হচ্ছে।



আইনষ্টাইনের নিজের ইচ্ছায় বাদ দেয়া কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট আবারো ফিরে আসল। বিজ্ঞানীরা ধারনা করলেন মহাবিশ্ব সম্প্রসারনে আইনষ্টাইনের কল্পিত ওই কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্টই দায়ী। তাদের দাবী এরকম একটা বলের জন্যই গ্রাভিটি তার নিজের চেষ্টায় মহাবিশ্বের সংকোচন ঘটাতে পারছে না। বরং গ্রাভিটির আকর্ষন উপেক্ষা করে বেড়ে চলছে মহাবিশ্ব। এজন্য বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ এই কসমোলজিক্যাল কনষ্ট্যান্টকে “এ্যান্টি গ্রাভিটি” নাম দিয়েছেন। এ এক অদ্ভুত জিনিস। (কয়েক দিন আগে এ্যান্টিগ্রাভিটি নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম চাইলে এক পাক দেখে আসতে পারেন এ্যান্টিগ্রাভিটি যা এখনো গবেষনার পর্যায়ে )

এই এ্যান্টি গ্রাভিটি এক অদ্ভুত জিনিস মহাশুন্যের এক বিশুদ্ধ শুন্য স্থান, যার মাঝে এক কনাও পদার্থ নেই অথচ তারও একটা নিজস্ব বিকর্ষন বল আছে। ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিচ্ছে আশেপাশের স্পেস কে। এক ভুতুড়ে কান্ড। ধাক্কা মানে তো এনার্জি আবার ম্যাটার ছাড়া এ্যানার্জি!! না তা সম্ভব না। এনিয়ে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে এখনো কোন সন্তোষজনক জবাব পাওয়া যায় নি, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানী ডাঃ মাইকেল টার্নার বলেন, “বিষয়টা তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞানের সব থেকে বড় প্রহেলিকা।”

ভ্যাকুয়ামেরও যে এনার্জি থাকতে পারে এরকম একটা ইঙ্গিত ১৯৩০ এর দশকে প্রথম পাওয়া যায় কয়েকজন বিজ্ঞানীর গবেষনায়, তারা কিন্তু আবার মহাকাশ নিয়ে গবেষনা করছিলেন না, তারা গবেষনা করছিলেন পার্টিকেল ফিজিক্স বা কনাপদার্থবিদ্যা নিয়ে। পল এ্যাড্রিয়েন, মরিস ডিরাক, রিচার্ড ফাইনম্যান, জুলিয়ান সুইংগার, মিনিচিরো টোমোনগোর মত বিজ্ঞানীরা কাজ করছিলেন আইনষ্টাইনের রিলেটিভিটির সাথে পদার্থবিদ্যার আর এক শাখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর যোগাযোগ নিয়ে, এব্যাপারে গবেষনা করতে গিয়ে তারা দেখলেন শুন্যস্থান মোটেই শুন্য নয়, আমরা যাকে শুন্যস্থান মনে করছি তার মাঝে আপনা থেকে বা শুন্য থেকে আবির্ভুত হতে পারে অতিক্ষুদ্র কনা!

পারে, তবে একটা শর্তে, আবির্ভাবের সাথে সাথে মানে অকল্পনীয় অল্প সময়ের মাঝেই তা আবার ফের মিলিয়ে যাবে। উপস্থিতিটা যদি এমন হয় কখন সৃষ্টি হল কখন মিলিয়ে গেল তা যদি ধরাই না পরে তবে শুন্য স্থানের মাঝেই জন্ম এবং মৃত্যু নিতে পারে তারা। এরকম কনাদের বিজ্ঞানীরা বলেছেন “ভার্চুয়াল পার্টিকেল”। হ্যা এই ভার্চুয়াল পার্টিকেলের অস্তিত্ব নিয়েও গবেষনা হচ্ছে তবে সে আলাপ আজকের মত তুলে রাখি। অন্য দিন সে গল্প বলা যাবে।

শোনা কথা আপাতত করোনা ভাইরাসের মধ্যে একটা বড় আবিস্কার নাকি হয়েছে পুরুষ জাতি দ্ধারা আর সেটা হল ঘর ঝাড়ু দেবার সময় সামনে আগাতে হয় আর ঘর মোছার সময় নাকি পেছনে যেতে হয়। অনেকেই হয়ত হাতে নাতে এর প্রমান দিয়েছেন, আর যারা দেন নি তারা কি একবার চেষ্টা করবেন?

ছবিঃ অন্তর্জাল। সূত্রঃ লেখায় বিভিন্ন স্থানে নীল রংয়ের শব্দে লিংক যুক্ত করা হল। এর বাইরেও বিভিন্ন বিজ্ঞান সাময়িকি থেকে সংগৃহিত

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৯/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১১

এইচ তালুকদার বলেছেন: আইন্সটাইন আসলেই জিনিয়াস।

০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: কোন সন্দেহ নাই ভাই।

২| ০৫ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: এরকম জ্ঞানী লোক দুনিয়াতে খুব কম আছে।
খুব সুন্দর লিখেছেন।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।

৩| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১২:১৮

অপু তানভীর বলেছেন: এই ব্যাপারটা আমার কাছে কোনদিন ঠিক মত পরিস্কার হয় নি । এক সময় খুব আগ্রহ ছিল । তারপর আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলাম । যাক নতুন করে আবার পড়ার আগ্রহ জন্মালো ।



ফর গড সেক, এই পোস্টে কোন ছাগলের সাথে বেহুদা আর অপ্রয়োজনে তর্ক করবেন না !

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: অপু ভাই, "আমি যাই বঙ্গে আমার কপাল যায় সঙ্গে" হাজির হইয়া গেছে জ্ঞানের মহাসাগর নীচে দেখেন। কি করুম। যাউক আপনার ইচ্ছা পালনে সচেষ্ট থাকব। কোন চতুস্পদীর সাথে বেহুদা ম্যা ম্যা না করে চুপ থাকার যথাসাধ্য চেষ্টা করুম B-)

৪| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৩৫

মা.হাসান বলেছেন: শোনা কথা বলছেেন কেন? নিজে পরীক্ষা করে দেখেন নাই? এটা তো ভালো কথা না!! কেউ খাবে কেউ খাবেনা (বা কেউ করবে কেউ করবে না )তা হবে না, তা হবে না। তবে যদি এর ভিতর CPT invariance নিয়ে আসেন তাহলে কিন্তু কোনো সমস্যা নেই, দু দিক দিয়েই একই রেজাল্ট হবে।

আইনস্টাইন যে সময়ে জন্ম নিয়েছিলেন তা ছিলো তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের স্বর্ন যুগ (এখন থিওরিটিশিয়ানরা কোন ঠাসা, এক্সপেরিমেন্টালিস্টদের জয় জয় কার)। নিউটনের তত্ত্ব আড়াইশ বছর রাজত্ব করেছে। আইনস্টাইনের তত্ত্বের একশ বছর পূর্তী হয়েছে কেবল। বেটার মডেল এসে পুরাতন কে রিপ্লেস করবে, এটা তো আসলে রহস্য না, পরিত্রান; আইনস্টাইন ভালো করেই বুঝতেন।

জেনারেল রিলেটিভিটি আবিষ্কারের পর আইনস্টাইন আরও ৩৫-৪০ বছর বেঁচে ছিলেন, কিন্তু উল্লেখ যোগ্য আর কিছু করে যেতে পারেন নি, বরং শেষের দিকের একটা সময় আধ্যাত্মিক চিন্তায় বেশি ব্যস্ত ছিলেন। যদিও কোয়ান্টাম মেকানিক্সের জন্মের সঙ্গে তিনি অনেকখানি জড়িত, কিন্তু কোয়ান্টাম মেকানিক্স এ তিনি খুব একটা আস্থা রাখতে পারেন নি। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে গিয়েছেন। মৃত্যুশয্যায় তার শেষ ভাবনা-- I want to know God's thoughts.

তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যার মুলে আসলে কোনো ইকুয়েশন নেই। আছে দর্শন চিন্তা । কজালিটি। ভাবনার উত্তরগুলো মিললে তখন হয় তো তার প্রকাশের জন্য ইকুয়েশন লাগবে। বাকি যা দেখেন সব কজালিটির শাখা-প্রশাখা।

অ্যান্টিগ্রাভিটি সাইন্স ফিকশনের বিষয়, বাস্তব সম্মত না, পাওয়া গেলে ফিজিক্সের সব টেক্সট বই নতুন করে লিখতে হবে। এফিসিয়েন্ট এনার্জি কনভারশনের জন্য ম্যাগনেটো হাইড্রো ডাইনামিক ইঞ্জিন অনেক বেশি রিয়ালিস্টিক সলুশন।

গেয়ো যোগি ভিখ পায় না। নিজেদের মাঝের বড় বিজ্ঞানীকে নিয়ে পোস্ট না দিয়ে জার্মান আইনস্টাইনকে নিয়ে পোস্ট দিলেন। :|

প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে লেখার জন্য পুনরায় অনুরোধ করে গেলাম। B-))

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: হাসান ভাই আসলে বাসায় এত মানুষ নিজ হাতে নাতে পরীক্ষা করার সুযোগ পাইতাছি না, যখনি পরীক্ষা করার চেষ্টা করি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ জনরা হা রে রে রে রে বলে এমন ভাবে মারতে আসে আসে যেন জাত যাবে। আমি জানি তারা সবাই এ ব্যাপারে এক্সপার্ট তাই অহেতুক তাদের সাথে লাগতে মুর্খামি। আর এই মুর্খামি আমি করব না।

ইনফ্যাক্ট তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান দিন দিন অপদার্থের (!) মানে আত্মিক বা উপলদ্ধির ভাবনার দিকে ধাবিট হচ্ছে এবং পরে তা সুত্রের মধ্য নিয়ে আসছে, যদিও হাতে গোনা একটা বা দুইটা বিষয়কেই এই সুত্র মুত্র দিয়া আটকাতে পারছে এখন পর্যন্ত বাকী গুলা এখনো তত্ত্বের মধ্যে তা সে আপনি কোয়ান্টাম বলেন আর প্যারালাল বলেন। এই সব উপলদ্ধিই এক দিন মানুষকে বিজ্ঞানের দ্ধারা নতুন জগত দেখাবে, তবে সেদিন তা দেখার জন্য আপানি আমি থাকব না, কারন বিজ্ঞান কে তার জন্য অনেক দূর যেতে হবে।

আর এ্যান্টি গ্রাভিটি যদি না মানেন তবে "ভার্চুয়াল পার্টিকেল" তো মানেন? ডার্ক এনার্জি! আসলে পুরা ব্যাপারটা এখনো বিভ্রমের মাঝে। আবার এগুলো আপনি যদি অস্বীকার করেন তবে মহাবিশ্ব এক্সপান্ডের ব্যাপারটার কোন ব্যাখ্যা নাই কিন্তু।

আমিও ভাবছি একটা প্রেম ভালোবাসা নিয়ে লেখা দেব। অনেক দিন কাঠ খোট্টা মৃত্যু ফিত্যু নিয়া লিখতে লিখতে নিজের সুকোমল বৃত্তি হারিয়ে যাচ্ছে।

৫| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। পড়ে ভালো লাগলো। বিজ্ঞানীদের মধ্যে আইনস্টাইন অনন্য । উনার এবং উনার আবিষ্কার চিন্তা ভাবনা আনন্দ নিয়েই পাঠ করে থাকি।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: আইনষ্টাইন... আইনষ্টাইনই তার কোন তুলনা নেই কবি। আমি উনার সব কিছু অতি আনন্দের সাথে পাঠ করি তবে আবিস্কারের খটোমটো ব্যাপার গুলা এড়িয়ে যাই...... বুজি না। পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৬| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১:৫৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সরল রেখা বা সমান্তরাল রেখা ভুপৃষ্ঠে আমরা আঁকতে পারি পার্ফেক্টলি ভাবতে পারি বা এ দিয়ে থিউরি রচনা করতে পারি।
বাস্তবতা হচ্ছে পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বে সরল রেখা বা সমান্তরাল রেখা হয় না, থাকে না।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

শের শায়রী বলেছেন: রিলেটিভিটি তো তাই বলছে হাসান ভাই এবং এটা তো বাস্তবতা, আসলে আপনি কি বুঝাতে চেয়েছেন বুঝি নি আমি।

৭| ০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৪:০৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মহাজ্ঞানী নিয়ে মহামূল্যবান লেখা । যুগ যুগ বেঁচে এই বিজ্ঞানী।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

শের শায়রী বলেছেন: মহাবিশ্ব নিয়ে মানুষের চিন্তাধারার অমুল পরিবর্তন বা বলতে পারেন মহাবিশ্বকে মানুষ চিনতে শুরু করছে এই মানুষটার হাত ধরে।

৮| ০৬ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক অনেক আগে ভিনগ্রহের কোন এক অধিবাসী বলেছিলেন, হে পৃথিবীবাসী, জ্ঞানের সমুদ্রে তোমরা এখনও শিশু। তোমাদের আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। :P

বৃটিশ থিওরেটিক্যাল পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং এই কথাই একটু ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে কোন এক সময় বলেছিলেন, ''আদপে বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে পরিবর্তনকে মেনে নেয়ার সক্ষমতা''। অর্থাৎ পরিবর্তনের জন্য আমাদেরকে তৈরী থাকতে হবে। কিসের পরিবর্তন? জ্ঞান-বিজ্ঞানের পরিবর্তন। মানে হলো, বিজ্ঞান এখনো তার চুড়ান্ত অবস্থায় যায়নি, তাই পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী! কন্সট্যান্টও বদলাতে পারে। আইনস্টাইনও যে এই ধারনার সাথে একাত্ম, সেটা সময়ে সময়ে বোঝা গিয়েছে, যেটা এই লেখায় উঠে এসেছে।

এখন বলেন তো, আমাদের ব্লগের যারা মহাজ্ঞানী কিংবা বিজ্ঞানী রয়েছেন তারা সবকিছুকেই বিজ্ঞান দিয়ে কিভাবে অকাট্যভাবে প্রমাণ করতে চান? এখানে সময় একটা বড় ভূমিকা পালন করছে। কিভাবে?

প্রশ্ন দু'টা আপনার জন্য ধাধা। সমাধান কাম্য। :-B

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: এই রাম সমস্যা দিয়া কিসের জন্য মাইনষেরের ফ্যাসাদে ফালান? আমি তো হেইভাবে ব্লগে কেউরে চিনি না, তয় যেডা দেখছি ধর্মরে দুইডা গাইল দিয়ে বিজ্ঞানের যৌক্তিকতা প্রমানে অনেক সামর্থ্য হয়েছে, আমিও হাইলি ইম্প্রেসড। আর খুব সম্ভবতঃ সময় যেহেতু আপেক্ষিক তাই কারো জন্য ভালো কারো জন্য খারাপ যাচ্ছে ;)

ছূড কালেও কোন ধাধা সমাধানে আমি গাধার মত বুদ্ধি দেখাইতাম এই জায়গাও একই অবস্থা, মানুষরে দুরাবস্থায় ফেলাইয়া মজা লন :( আমার উত্তর কি সডিক?

৯| ০৬ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৫৪

জাফরুল মবীন বলেছেন: ভাই শের শায়রী অ্যান্টি গ্র্যভিটি ফোর্সই কি ডার্ক এনার্জি? পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯

শের শায়রী বলেছেন: জাফরুল ভাই, ইনফ্যাক্ট এ্যান্টি গ্রাভিটি ফোর্স কেই অনেক জায়গায় ডার্ক এ্যানার্জি বলা হচ্ছে, এখনো যে এদুটো আলাদা কোন বল তার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি Dark energy is the name given to an unexplained force that is drawing galaxies away from each other, against the pull of gravity, at an accelerated pace. Dark energy is a bit like anti-gravity. Where gravity pulls things together at the more local level, dark energy tugs them apart on the grander scale।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

১০| ০৬ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:১৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পোস্ট ভালো, তবে আমাদের মতো বোকা লোকদের পক্ষে বুঝা মুশকিল।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

শের শায়রী বলেছেন: ভাই লজ্জা দিয়েন না, আমি নিজেও প্রায় কিছুই বুজি না এগুলার, অনেকটা হাত আন্দাজে লিখি, কেউ ভুল ধরিয়ে দিলে কৃতজ্ঞ চিত্তে ঠিক করে নেই।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা আবুহেনা ভাই।

১১| ০৬ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি আইনষ্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিলিটি'কে সঠিকভাবে না বুঝায়, কিংবা সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে না পারায়, এই লেখাটি ঠিক আইনষ্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিলিটি না হয়ে, "শের শায়রীর থিওরী অব রিলেটিভিলিটি" হয়ে গেছে; অভিননদন।

০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী অল্প কথায় কাজ সারবেন, আজাইরা কথা কম। প্রথমে আমি যে এগুলো খুব একটা ভালো বুজিনা তা পোষ্টের মাঝেই উল্লেখ্য আছে। দ্বিতীয় গৎ বাধা কথা না বলে পরিস্কার করে আইনষ্টাইনের থিওরী অভ রিলেটিভি একটু ব্যাখ্যা দিয়া যান। আর এক্তা ব্যাপারে আজকে ক্লিয়ার হলাম, থার্ড ম্যানকে খুজে পেলাম, এখন প্রশ্ন হতে পারে থার্ড ম্যান কে? তাইলে এডিংটনের সেই বিখ্যাত গল্পটা আবার বলিঃ

বিজ্ঞানের দুটি শর্তঃ তত্ত্ব এবং প্রমান। আইনষ্টাইন তত্ত্ব দিয়েছেন আর এডিংটন তা প্রমান করেন। এই এডিংটনকে একবার রিলেটিভিটি বিশেষজ্ঞ লুডভিগ সিলভারষ্টেইন বলছিলেন, “আপনিই তো এই জগতের তিনজনের একজন যিনি রিলেটিভিটি বোজেন।”

জবাবে এডিংটন অবাক বিস্ময়ে উত্তর দিয়েছিলেন, “ভাবছি আমি আর আইনষ্টাইন ছাড়া সেই তৃতীয় জন কে?”


তো আমার মনে হয় আইনষ্টাইন এবং এডিংটনের পর সেই বিখ্যাত তৃতীয় জন আমরা পেয়ে গেছি, এইবার আমাদের একটু জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করেন। কিন্তু আর একটা মাত্র কমেন্ট দেবেন আপনি। ফালতু কোন বাত না।

এ্যাডভান্স অশেষ শুকরিয়া

১২| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার বসার ঘরে আইনস্টাইনের ছবি আছে।

০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: হকিনসের অফিস রুমেও আইনষ্টাইন আর মেরিলিন মনরোর ছবি ছিল।

১৩| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ব্লগার ভুয়া মফিজ আপনারে কইসিল হোরাস আই এর মাদুলি নিতে। এখন দেখেন গুরু শিষ্য একসাথে হাজির ! শিষ্যের বাসায় নাকি আইন্সটাইনের ছবি আসে =p~ =p~ ট্রাক্টরের ছবি থাকলেই বেশি মানানসই হইত।

০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

শের শায়রী বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, আমার গলায় জন্মের পরই হোরাস আই সহ আরো গোটা পাচেক মাদুলি ধারন করিয়া আছি, তাই আর ভয় নাই :P

১৪| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:২০

নীল আকাশ বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: ফর গড সেক, এই পোস্টে কোন ছাগলের সাথে বেহুদা আর অপ্রয়োজনে তর্ক করবেন না !
হায়রে অপু ভাই, আপনি মনে হয় ভুলে গেছেন, পাঠারা জন্মগত ভাবেই পাঠা হয়। এদের কোন দিন পরিবর্তন হয় না।
গতকালকে থেকে টানা অফিসে। মাথায় জ্যাম লেগে গেছে। আইনস্টাইনের এই সবকিছু সোজা এন্টিনার উপর দিয়ে গেছে। দুঃখিত।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০০

শের শায়রী বলেছেন: একটু ঠান্ডা মাথায় দেখেন তাইলেই দেখবেন এই পোষ্টের থেকে ভালো মন্তব্য নিশ্চয়ই দিতে পারবেন, আমি অনেক কিছুই এর বুঝিনি। আমার বিশ্বাস আপনি এর থেকে ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন প্রিয় ভাই।

১৫| ০৬ ই মে, ২০২০ বিকাল ৩:০৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভালো পোস্ট শায়রী ভাই। আপনি চেষ্টা করেছেন বোঝাতে আমিও‌ চেষ্টা করেছি বুঝতে। কিন্তু কোনো একটা জায়গায় ক্লিক করলোনা। তবে সেই দায় আপনার নয়, মহান বিজ্ঞানীর।‌ উনি যদি জানতেন ভবিষ্যতে বিজ্ঞান না জানা অনেকে ওনার থিওরির প্রতি আকৃষ্ট হবেন বা বাংলা ভাষার বৃহত্তম ব্লগ 'সামুতে' থিওরি অফ রিলেটিভিটি নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হবে তাহলে বোধহয় আরো সহজ করে ব্যাখ্যা রেখে যেতেন।
ছোট বেলায় না বুঝতে পারলে প্রায়ই বলতাম,বাকিটা মুখস্থ করে সেরে নেবো। এতবছর পরে আজ আবার সেই ফর্মুলা প্রয়োগ করলাম। সূত্রের মূল বক্তব্য, স্পেস টাইম এবং ম্যাটারকে একসূত্রে বেঁধে দেওয়া। তবে আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত যে স্পেসটা একেবারেই শূন্য নয়, পার্টিক্যাল অফ কনায় পরিপূর্ণ।
সবশেষে করোনা কালীন সময়ে পুরুষ জাতি সম্পর্কে আপনার সুদীর্ঘ গবেষণা ধর্মী সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন না জানিয়ে পারিনা। পর্যবেক্ষকটির আরও ভালো ফলাফলের আশাকরি।‌

ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, আপনি যেমন বলছেন তবে আধুনিক গবেষণায় প্রমাণিত যে স্পেসটা একেবারেই শূন্য নয়, পার্টিক্যাল অফ কনায় পরিপূর্ণ। আমিও কিন্তু সেটা পোষ্টে উল্লেখ্য করছি শেষের দিকে এসে যদিও বিস্তারিত না, আমি লিখছিঃ

ভ্যাকুয়ামেরও যে এনার্জি থাকতে পারে এরকম একটা ইঙ্গিত ১৯৩০ এর দশকে প্রথম পাওয়া যায় কয়েকজন বিজ্ঞানীর গবেষনায়, তারা কিন্তু আবার মহাকাশ নিয়ে গবেষনা করছিলেন না, তারা গবেষনা করছিলেন পার্টিকেল ফিজিক্স বা কনাপদার্থবিদ্যা নিয়ে। পল এ্যাড্রিয়েন, মরিস ডিরাক, রিচার্ড ফাইনম্যান, জুলিয়ান সুইংগার, মিনিচিরো টোমোনগোর মত বিজ্ঞানীরা কাজ করছিলেন আইনষ্টাইনের রিলেটিভিটির সাথে পদার্থবিদ্যার আর এক শাখা কোয়ান্টাম মেকানিক্স এর যোগাযোগ নিয়ে, এব্যাপারে গবেষনা করতে গিয়ে তারা দেখলেন শুন্যস্থান মোটেই শুন্য নয়, আমরা যাকে শুন্যস্থান মনে করছি তার মাঝে আপনা থেকে বা শুন্য থেকে আবির্ভুত হতে পারে অতিক্ষুদ্র কনা!

পারে, তবে একটা শর্তে, আবির্ভাবের সাথে সাথে মানে অকল্পনীয় অল্প সময়ের মাঝেই তা আবার ফের মিলিয়ে যাবে। উপস্থিতিটা যদি এমন হয় কখন সৃষ্টি হল কখন মিলিয়ে গেল তা যদি ধরাই না পরে তবে শুন্য স্থানের মাঝেই জন্ম এবং মৃত্যু নিতে পারে তারা। এরকম কনাদের বিজ্ঞানীরা বলেছেন “ভার্চুয়াল পার্টিকেল”। হ্যা এই ভার্চুয়াল পার্টিকেলের অস্তিত্ব নিয়েও গবেষনা হচ্ছে তবে সে আলাপ আজকের মত তুলে রাখি। অন্য দিন সে গল্প বলা যাবে।


করোনা কালীন পুরুষ জাতির যুগান্তকারী আবিস্কারটা আমি যখন হাতে কলমে এক্সপেরিমেন্ট করতে গেছি তখন ঐ আবিস্কারের যারা সত্যিকার দাবীদার সেই নারী জাতি ঘরের মাঝে যারা আছে তারা শুরুতেই আমার এক্সপেরিমেন্ট কে দাত মুখ খিচিয়ে ব্যার্থতায় পর্যবসিত করছে, আমার বিজ্ঞান সাধনাকে এভাবে বাধা দানে এক মাত্র তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা ছাড়া আমার আর করার কিছুই নাই :((

১৬| ০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,




প্রিয় একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। লেখক শের শায়রীর মতোই আমাদের অনেক সাধারণ পাঠকের কাছেই পদার্থবিদ্যা একটি অতি জটিল জিনিষ। তার উপর আবার লিখেছেন থিওরী অভ রিলেটিভিটি নিয়ে। মহা জটিল একটি বিষয়।
তবে “থিওরী অভ রিলেটিভিটি” কিন্তু একটি বিষয় নয়-পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত দু’টি বিষয়। প্রথমটি “স্পেশাল থিওরী অভ রিলেটিভিটি” পরেরটা “ জেনারেল থিওরী অভ রিলেটিভিটি” ।
শিরোনামে “থিওরী অভ রিলেটিভিটি” আবিস্কারের পেছনের গল্পের কথা বললেও লেখাতে তেমন গল্প পাইনি। হতে পারে আমার বোঝার ভুল!

তবে এটা ঠিক, আইনষ্টাইন তার “থিওরী অভ রিলেটিভিটি”র ফাঁকফোকড় ভরাতে যে “কসমোলোজিক্যাল কনষ্ট্যান্ট” এর থিয়রী নিয়ে এসেছিলেন, তাতে তার নিজেরই আস্থা ছিলোনা। যে কথা আপনার লেখাতেও আছে। ১৯১৭ সালে এই থিয়রীটি দেয়ার পরে পরে আইনষ্টাইনের মনে হয়েছিলো, আসলে তিনি একটি ব্লান্ডারই করে ফেলেছেন।

তিনি মনে হয় “ঈশ্বরের মন” বুঝতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। ১৯২২ সালে তরুন এক ছাত্র ইসথার সালামানের সাথে হাটতে গিয়ে এমন কথাটি বলেই ফেলেছিলেন। বলছিলেন -আসলে আমি জানতে চাইছি, ঈশ্বর কিভাবে এই জগৎ তৈরী করলেন। ঘটনাগুলো এই রকমের না হয়ে ঐরকমের কেন এসব নিয়ে আমার মাথাব্যথার কিছু নেই। আমি শুধু ঈশ্বরের মন বুঝতে চাইছি।

যদিও “ঈশ্বর” শব্দটি মনে হয় তিনি একটা মেটাফোর হিসেবেই নিয়েছিলেন যেখানে তার মূল বক্তব্য ছিলো আধুনিক পদার্থবিদ্যার চুড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানো নিয়ে। এজন্যে তার দরকার ছিলো প্রকৃতির চালচলনের ধর্ম নিয়ে একটি সহজবোধ্য, পূর্নাঙ্গ, সুচারু ব্যাখ্যা প্রদান করা। যেখানে উত্তর মিলবে, আকাশ কেন নীল এই প্রশ্নের। উত্তর মিলবে, মহাকর্ষ আমাদের টানছেই বা কেন এমন প্রশ্নের। পরবর্তীতে পদার্থবিদরা যার নাম দিয়েছেন “ থিয়রী অব এভরীথিং”।

আসলে “ঈশ্বরের মন” একেবারে ঠিকঠাক ভাবেই পড়তে পেরেছিলেন আইনস্টাইন! আজ থেকে একশো বছরেরও বেশী আগে। তিনি বলে দিতে পেরেছিলেন, এই ব্রহ্মাণ্ডের মূল চালিকাশক্তির কোনও বিনাশ নেই। সেই শক্তি অবিনাশী! ব্রহ্মাণ্ড কালে কালে যুগে যুগে দিনে দিনে যতই ফুলে-ফেঁপে উঠুক না কেন, হইহই করে চার পাশে ছড়িয়ে পড়ুক না কেন, সেই আদি, অনন্ত চালিকাশক্তির ঘনত্ব আগেও যা ছিল, এখনও তাই আছে। কোটি কোটি বছর পরেও ব্রহ্মাণ্ডের সেই চালিকাশক্তির ঘনত্ব একই থাকবে। এটাকেই তিনি নাম দিয়েছিলেন “কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট”।
যাকে আমরা মহাশূন্য বলে জানি, সেখানেও নাকি ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে ব্রহ্মাণ্ডের সেই অবিনাশী শক্তি। শূন্য আসলে শূন্য নয়। তার উঠান-অন্দরমহল সবটাই ভরা রয়েছে আমাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা একটি ‘ভুতুড়ে’ শক্তিতে। ব্রহ্মাণ্ড ফুলছে ফাঁপছে বলে যেই না শূন্যতার সৃষ্টি হচ্ছে, অমনি ঝুপ করে সেই শূন্যতায় ঢুকে পড়ছে এই ‘ভুতুড়ে’ শক্তি। আর সেই শক্তিই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গোটা ব্রহ্মাণ্ড। মহাশূন্যের সর্বত্র! তার শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত। আর এই শক্তিই এক দিন ব্রহ্মাণ্ডকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে দেবে। বেলুন ফোলাতে ফোলাতে যেমন এক সময় সশব্দে ফেটে যায়, তেমনি! ফলে, নিজে অবিনাশী এই শক্তিই এক দিন হয়ে দাঁড়াবে এই ব্রহ্মাণ্ডের বিনাশের কারণ!
“ডার্ক এনার্জি সার্ভে ইয়ার ওয়ান রেজাল্ট: কসমোলজিক্যাল কন্সট্রেইন্টস্ ফ্রম গ্যালাক্সি ক্লাস্টারিং” রিপোর্ট যেটি করেছে আমেরিকার ফার্মিল্যাব, তারা সম্প্রতি বলে দিয়েছেন, ১০০ বছর আগে একেবারে ঠিক কথাটাই বলেছিলেন আইনস্টাইন। আট বছর আগে “প্ল্যাঙ্ক” উপগ্রহের করা একটি সার্ভেতেও দেখা গিয়েছিল আইনস্টাইনের পূর্বাভাস ঠিক ছিল।

এই “ডার্ক এনার্জি” যে কি বস্তু তা এখনও জেনে বা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের।
এর জন্ম হোলই বা কী ভাবে ,কোথা থেকেই বা এলো সে,তার জন্মের পিছনে কলকাঠি নাড়লই বা কে,এসব নিয়ে গবেষণার পর গবেষনা চলছে। চলুক।

পোস্টের শুরুর দিকে বলেছেন - “অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যত এগুলো আসলে সাধারণের বিভ্রম।” বুঝতে পারিনি ঠিক কি বোঝাচ্ছেন, সময়কে একটা বিভ্রম বলে।
পদার্থবিদরা তো সময়কে বলেন- সব ঘটনাপ্রবাহের অগ্রগতি যা অতীত থেকে বর্তমান হয়ে ভবিষ্যতে প্রবাহমান। তারা তো সময়কে ত্রিমাত্রিক জগতে ঘটনার বর্ননায় বাস্তবের “চতুর্থ মাত্রা” (ফোর্থ ডিমেনশান) ও বলে থাকেন। বাস্তব জগতে সময় তো একমুখি। তা বিভ্রম হবে কি করে? সময় তো একটা অপরিবর্তনীয় পদ্ধতি। যেমন একটি ডিমকে আপনি ওমলেট বানিয়ে ফেলতে পারেন কিন্তু সেটাকে আর ডিম বানাতে পারবেন না। সময়কেও তেমনি পেছনে নিতে পারবেন না। সময়কে কেন যে পেছনে নেয়া যাবেনা এটা এ পর্যন্ত বিজ্ঞানের এক অমিমাংসীত প্রশ্ন।

আপনার ঐ "বিভ্রম" দিয়ে কি দর্শন জাতীয় কিছু বোঝাতে চাইলেন ?

দেখা যাক, বিজ্ঞান আমাদের শত শত প্রশ্নের কতো কতো জবাব কবে দিতে পারে!

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৫৪

শের শায়রী বলেছেন: প্রথমেই এত অসাধারন মন্তব্যের জন্য আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানুন শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই। খুব পরিস্কার ভাবে এব্যাপারে জ্ঞান না থাকলে এত অসাধারন মন্তব্য দেয়া যায় না, কখনো কখনো পোষ্টের মন্তব্য পোষ্টের মুল কনটেন্ট থেকেও ভালো হয় যা মুলতঃ ব্লগের সৌন্দর্য্য। পোষ্টের পূর্নতা পায় এ ধরনের মন্তব্যে।

আসলে গল্প বলতে আমি এখানে থিওরী রিলেটিভিটির তাত্ত্বিক আলোচনা থেকে এ নিয়ে আইনষ্টাইনের এই থিওরী আবিস্কারের ব্যাপারে সময় সময় যে মত পরিবর্তন বা এ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় তার যে আলোচনা করছেন তাই বুজাতে চেয়েছি। আপনি বুজতে পারেন নি সে আমার লেখার সীমাবদ্ধতা ধরে মার্জনা করবেন।

আপনি যেমনটা বলছেন, “থিওরী অভ রিলেটিভিটি” কিন্তু একটি বিষয় নয়-পরষ্পর সম্পর্কযুক্ত দু’টি বিষয়। প্রথমটি “স্পেশাল থিওরী অভ রিলেটিভিটি” পরেরটা “ জেনারেল থিওরী অভ রিলেটিভিটি” । সম্পুর্ন ঠিক। আমি আসলে পুরা ব্যাপারটা ক্যারেক্টারাইজ করে একটা ধারনা দেবার চেষ্টা করছি, তাও যতটা না তাত্ত্বিক তার থেকে অনেকটা গল্পের মত, আপনি ব্যাপারটা খোলসা করে লেখার জন্য আমার কৃতজ্ঞতা জানুন।

আপনি সময়ের ব্যাপারটা যেভাবে বলছেন, এক্ষেত্রে আমি আইনষ্টাইনের সেই বিখ্যাত উক্তি দিয়েই আপনার জবাব দেবার চেষ্টা করি যেটা সে থিওরী অভ রিলেটিভিটিতে সময়ের আপেক্ষিকতা বুজাতে ব্যাবহার করছেঃ

তিনি হিসাব কষে দেখালেন একটি ছুটন্ত ট্রেনের যাত্রীর কাছে প্লাটফর্মে দাঁড়ানো যাত্রীর তুলনায় টাইম অবশ্যই ধীরে চলে। মানে হল যে জিনিস যত জোরে ছুটবে সময় তত ধীরে বইবে। তবে সেটা বুজবে ট্রেনে চড়া আর প্লাটফর্মে দাঁড়ানো মানুষটির সাপেক্ষে যে স্থির আছে।



কিন্তু সমস্যা হল বিশ্ব ব্রাক্ষ্মান্ডের কোন কিছুই স্থির না, গ্রহ বলেন আর গ্যালাক্সি বলেন বা নক্ষত্রপুঞ্জ যাই বলেন সবই নিয়ত নড়াচড়া করছে। তাই সময় ও স্থির না। সময় ও আপেক্ষিক।

আবার আইনষ্টাইন মজা করে অন্য জায়গায় সময়ের এই বিভ্রম বা আপেক্ষিকতা নিয়ে দারুন একটা উদাহরন দিয়েছেন, “আপনি যদি একটা গরম কেটলিতে এক মিনিট হাত রাখেন তবে মনে হবে এক ঘন্টা আর এক জন সুন্দরী মহিলার পাশে এক ঘন্টা বসে থাকলে মনে হবে এক মিনিট, এটাই আপেক্ষিকতা।” বাস্তব জগতের সাপেক্ষে আপনি যদি সময়কে নিরিক্ষন করেন সেক্ষেত্রে আপনি যা বলেছেন তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই, আবার অনেকে এই সময়কে "ফোর্থ ডাইমেনশান" হিসাবে বর্ননা করছেন সেটা যখন আপনি মোটা দাগে ষ্ট্রিং থিওরী নিয়ে আলোচনা করবেন তখন দেখবেন। সেখানে মানে ষ্ট্রিং থিওরীতে বেশ কয়েকটা ডাইমেনশানের উল্লেখ দেখা যায়। আসলে সময়কে সামনে পেছন দেখা অনেকটা উপলদ্ধির ব্যাপার যেটা পোষ্টে চাঁদের ঘুর্নন দিয়ে একটা উদাহরন দিয়েছি। হয়ত বুজাতে পারিনি, সেটাও আমার ব্যার্থতা বলে ধরে নেবেন।

আবারো বলি দারুন এক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।।

১৭| ০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " মুরুব্বী অল্প কথায় কাজ সারবেন, আজাইরা কথা কম। প্রথমে আমি যে এগুলো খুব একটা ভালো বুজিনা তা পোষ্টের মাঝেই উল্লেখ্য আছে। দ্বিতীয় গৎ বাধা কথা না বলে পরিস্কার করে আইনষ্টাইনের থিওরী অভ রিলেটিভি একটু ব্যাখ্যা দিয়া যান।"

-আপনার লেখায় আইনষ্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিলিটির মুল ব্যাপারগুলো (পাস্টুলেটগুলো) বাদ পড়েছে, বা পরিস্কার হয়নি; থিওরী অব রিলেটিভিলিটি হচ্ছে ২টি: জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিলিটি ও স্পেশাল থিওরী অব রিলেটিভিলিটি; সেটা আপনি পরিস্কার করেননি।

জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিলিটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আপনার "ভুল টারমিনিলোজী ও অপরিস্কার ব্যাখার" কারণে থিওরিটি অনেকটা গোজামিলের মতো হয়ে গেছে।

আপনি জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিলিটি নিয়ে বেশী আলাপ করেছেন, কিন্তু উহার মুল বক্তব্য পরিকার করেননি; উহার মুল বক্তব্যে থাকার দরকার ছিলো, "মহা বিশ্বে প্রতিটি বস্তুর মাঝে যে মধ্যাকর্ষণ আছে, তাকে অদৃশ্য শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা না করে আইষ্টাইন উহাকে বস্তুর চারিপাশের স্পেসের কার্ভিং ও রেপিং'এর কারণে হচ্ছে বলে প্রমাণ করেছেন" ।

আপনি আইনষ্টাইনের জেনারেল থিওরী অব রিলেটিভিলিটি'র ইকুয়েশন দেখায়েছেন, সেখানকার "টার্মগুলো" ব্যাখ্যা না করায় উহা দুর্বোধ্য হয়ে রয়ে গেছে। আপনি শুধু কসমোলজিক্যাল কনষ্টেন্ট (লেমডা ) নিয়ে যে সামান্য ধারণা দিয়েছেন, উহা পরিস্কার নয়; লেমডার ভুমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কয়েকটা ভুল বাক্য যোগ করেছেন; যেমন, " অনেকটা তার থিওরী যদি মাইনাস হয় তবে এই কসমোলজিক্যাল কনষ্টেন্ট হল প্লাস।" প্রশ্ন, থিওরী কি করে মাইনাস হতে পারে? আবার লেমডার মান যদি প্লাস থেকে মাইনাসের রেন্জে থাকে, উহা এক সময় শুন্য (০) হবে, তখন ইকুয়েশনের মানে কি দাঁড়াবে, তার ব্যাখ্যা নেই।

যেখানে আপনি ইকুয়েশনে লেমডার ভুমিকা ব্যাখ্যা করেছেন, সেখানে লিখেছেন, " দুই ধরণের বলের কারণে মহাবিশ্ব স্হির আছে"। এখানে "স্হির" সঠিক শব্দ নয়, মহা বিশ্বের পরিসর কনট্রেকটিং, বা স্পেনডিং'এর বেলায় বাংলা শব্দ "স্হির" ভুল অর্থ প্রকাশ করে, এখানে "মহাবিশ্বের পরিশর অপরিবর্তিত" বললে, বুঝা যেতো। এরপর অপরিস্কার রয়ে গেছে কোন ২টি বলের কথা আপনি বলেছেন?

ইহা সায়েন্টিক ব্যাপার, এটাকে পরিস্কারভাবে ব্যাখ্যা করার দরকার ছিলো, তা হয়নি।

আইনষ্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিলিটি নিয়ে লেখার ইচ্ছা আমার নেই; আপনি যা লিখেছেন, পারলে উহাকে ঠিক করেন, না পারলে এইভাবে থাকুক।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৫২

শের শায়রী বলেছেন: মুরুব্বী গুড। ভেরী গুড ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তবে আপনি যা বলেছেন তার প্রায় সবই আপনার আগের মন্তব্যে শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই টেনেছেন। আমিও সেখানে তার প্রতি মন্তব্যে তার জবাব দিয়েছি। এখানে থিওরী অভ রিলেটিভিটি যে দুটো পর্যায়ে এসেছে তা যাদের সামান্য ধারনা আছে তারাই জানে আমি এখানে ক্যারেক্টারাইজ করছি এবং বিভিন্ন পর্যায়ে এনিয়ে আইনষ্টাইনের যে দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছিল সেই গল্পকে বলছি।

আপনি লেখছেন মহা বিশ্বে প্রতিটি বস্তুর মাঝে যে মধ্যাকর্ষণ আছে, তাকে অদৃশ্য শক্তি হিসেবে ব্যাখ্যা না করে আইষ্টাইন উহাকে বস্তুর চারিপাশের স্পেসের কার্ভিং ও রেপিং'এর কারণে হচ্ছে বলে প্রমাণ করেছেন আপনি যেভাবে শব্দে শব্দে ভুল ধরেন মুল ব্যাপারে না গিয়ে সেখানে আপনার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি আইনষ্টাইন এটা প্রমান করেন নি প্রমান করেছেন এডিংটন আইনষ্টাইন থিওরী দিয়েছে। এনিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে সেটা দেখে আসুন আইনষ্টাইন এবং নিউটনের স্পেসটাইমের রোমাঞ্চকর দ্বন্দ্ব । এখানে আপনার ব্যাখ্যার সব কিছু দেয়া আছে এবং সেখানেও আপনার মন্তব্য আছে।

মুলতঃ আপনি নতুন কিছু দিতে পারেন নি আপনার মন্তব্যে যেটা জী এস ভাই দিয়েছেন।

আপনি আবারো আমার সাথে "ভুল ভুল" খেলা খেলতে চাচ্ছেন, আপনি লিখছেন লেমডার ভুমিকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে কয়েকটা ভুল বাক্য যোগ করেছেন; যেমন, " অনেকটা তার থিওরী যদি মাইনাস হয় তবে এই কসমোলজিক্যাল কনষ্টেন্ট হল প্লাস।" প্রশ্ন, থিওরী কি করে মাইনাস হতে পারে? আবার লেমডার মান যদি প্লাস থেকে মাইনাসের রেন্জে থাকে, উহা এক সময় শুন্য (০) হবে, তখন ইকুয়েশনের মানে কি দাঁড়াবে, তার ব্যাখ্যা নেই। এখানে প্রশ্ন করার মত কিছু নেই, নিজেকে বিজ্ঞ প্রমান করার মত কিছু নেই আমি এখানে প্লাস মাইনাস আক্ষরিক ভাবে আনি নি, এনেছি আইনষ্টাইন যে মহাবিশ্ব স্থির সেটা বুজানোর জন্য। আপনার এই "ভুল ধরা ভুল ধরা" খেলায় আপনি কিন্তু আইনষ্টাইনেরও ভুল ধরতে পারবেন, কিভাবে? উপরে জী এস ভাইয়ের মন্তব্যে আইনষ্টাইনের একটা মজার কোট দিয়েছি যেটা সে রিলেটিভিটি বুজানোর জন্য বলছেঃ

“আপনি যদি একটা গরম কেটলিতে এক মিনিট হাত রাখেন তবে মনে হবে এক ঘন্টা আর এক জন সুন্দরী মহিলার পাশে এক ঘন্টা বসে থাকলে মনে হবে এক মিনিট, এটাই আপেক্ষিকতা।” এখানে আপনি নিশ্চয়ই আইনষ্টাইন কে জিজ্ঞাস করতে পারতেন কিভাবে এক মিনিট গরম কেটলিতে হাত রাখা যায় :P

আপনি যে এই পোষ্টের কিছুই বুজেন নি, জাষ্ট ওপরের জী এস ভাইর মন্তব্য এবং আমার দেয়া লিংকের ওপর দু এক লাইন চোখ বুলিয়ে ভুল ধরতে আসছেন তা এই প্যারা দেখলেই বোঝা যায়, আপনি লিখছেন যেখানে আপনি ইকুয়েশনে লেমডার ভুমিকা ব্যাখ্যা করেছেন, সেখানে লিখেছেন, " দুই ধরণের বলের কারণে মহাবিশ্ব স্হির আছে"। এখানে "স্হির" সঠিক শব্দ নয়, মহা বিশ্বের পরিসর কনট্রেকটিং, বা স্পেনডিং'এর বেলায় বাংলা শব্দ "স্হির" ভুল অর্থ প্রকাশ করে, এখানে "মহাবিশ্বের পরিশর অপরিবর্তিত" বললে, বুঝা যেতো। এরপর অপরিস্কার রয়ে গেছে কোন ২টি বলের কথা আপনি বলেছেন? ওখানে আইনষ্টাইনে ধারনা বলা হয়েছে, আর আমি লিখছি "স্থির" এবং আপনি বাংলায় তর্জমা দিছেন "মহাবিশ্বের পরিশর অপরিবর্তিত" এই ভুল ধরে আপনি লিখছেন আমার বিরাট ভুল হয়েছে, তাও আপনি "পরিসর" বানান ভুল লেখছেন।

শোনেন মুরুব্বী, মন্তব্য কপি পেষ্ট খারাপ করেন নাই, কিন্তু সব বিষয় আপনার না। এখানে আর একটা কথা না বললেই না সেটা হল শ্রদ্ধেয় জী এস ভাইর জবাব আমি যেভাবে দিয়েছি আপনাকে সেভাবে দেই নি, কেন দেই নি জানেন? আপনার টার্গেটই হল আর একজন কে হেয় করার মেন্টালিটি, সুতারাং নিজেও যে হেয় হবেন সে তো স্বাভাবিক। নো হার্ড ফিলিংস। খেলতে নামছেন। খেলুন। কিন্তু ফালতু খেলা খেলবেন না।

১৮| ০৬ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনারা কয়েকজন ব্লগার, আমাকে নিয়ে এই পোষ্টে অকারণ খারাপ কথা বলছেন; আমি আইনষ্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিলিটি'র উপর আপনাদের মন্তব্য দেখেছি।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৫৭

শের শায়রী বলেছেন: আমি জানি না কে কে আপনাকে নিয়ে কি খারাপ কথা বলেছে এই পোষ্টে, তবে আমি যে আপনার মন্তব্যের জবাব রূঢ় ভাবে দিয়েছি তাতে কোন সন্দেহ নেই। আগে আর একজন কে সন্মান দিতে শিখুন পরে নিজের সন্মান নিয়ে ভাবুন। অহেতুক আর মন্তব্য দেবেন না। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ১৭ নম্বর মন্তব্যকারী@ চাঁদগাজীর ব্যাখ্যাটি খুব ভালো লেগেছে।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০৭

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই আমারো ভালো লাগছে, তবে উনার মন্তব্যের প্রায় সব টুকু জী এস ভাইর মন্তব্যের হেরফের এবং আমার লেখা আইনষ্টাইন এবং নিউটনের স্পেসটাইমের রোমাঞ্চকর দ্বন্দ্ব পোষ্টের কিছুটা চেঞ্জ ভার্সন। বুজতাম উনি যদি ল্যামডার মানটা বলে দিতেন গুগল ঘেটে। সে কষ্টটুকুও উনি করেননি, তাই খুব বেশী ইম্প্রেসড হই নি আমি উনার মন্তব্যে। :)

২০| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বরাবরের মতোই দারুন সহজ বর্ণনায় কঠিন বিষয়কে উপস্থাপনা।

ভাল লাগলো।
এ প্রসংগে একজন বিশ্বাসী হিসেবে আমার বিশ্বাসের ভিত থেকে দারুন কিছু বাক্য পাই। যা আমাকে ভাবতে বাধ্য করে। এবং তা আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই।

আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সেদিন আমি আকাশমণ্ডলী গুটিয়ে নেব যেমন লিখিত কাগজপত্র গুটিয়ে রাখা হয়।’ (সূরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১০৪)।
এই বাক্যনুসারে বিগ্র ক্রান্চ তত্ত্বই সত্য। যা মহান যাদুকরের ১৯১৬র সূত্রে প্রকাশিত হয়েছে।
“ এই আকর্ষন বলের কারনে মহাবিশ্বের ছোট হয়ে আসার কথা, তে। যদিও তিনি নিজেও পরে তার নিজের তত্ত্বের এই সিদ্ধান্ত মানতে চাননি নিজেই, ”

এবং চলমান বাস্তবতায় যা সংশোধন করে ১৯১৭র ফর্মূলা দিয়েছেন যাতে কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট দিয়ে সেই শুন্যতাকে পূর্ন করতে চেয়েছেন।

এই মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে, অনেকটা একটা বেলুনকে কন্টিনিউয়াসলি ফুলালে যেভাবে বাড়ে সেভাবে।
এ প্রসংগে পবিত্র গ্রন্থের শুরুতে পাই এই বাক্য -
মহান আল্লাহ বলছেন, আমি নিজ হাতে আসমান সৃষ্টি করেছি এবং আমিই এর বিস্তৃতি ঘটাই। (সুরা : জারিয়াত, আয়াত : ৪৭)।
এবং সৃষ্টির শুরুতে বিগ ব্যাং বা পৃথকীকরণ নিয়ে বলছে -
"সত্য প্রত্যাখানকারীরা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলি ও পৃথিবী মিশে ছিল ওতপ্রোতভাবে; অত:পর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম" (আম্বিয়া:৩০)।

আয়াতটি আমাদেরকে একেবারে পরিস্কারভাবে বলছে পৃথিবী ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্রেরা একসময় একজায়গায় পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ে এদের জন্ম হয়।

আজকের বিজ্ঞান কি বলে এ সম্বন্ধে ? ষ্টিফেন হকিং এর বিগ ব্যাং থিওরী আজ সর্বময় স্বীকৃত। এ থিওরী অনুযায়ী মহাবিশ্বের সকল দৃশ্য অদৃশ্য গ্রহ নক্ষত্র সৃষ্টির শুরুতে একটি বিন্দুতে পুঞ্জিভুত ছিল। এবং একটা বিশাল বিষ্ফোরণের মাধ্যমে এরা চারিদেকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। কিভাবে মরুভুমির বুকে সংকলিত দেড় হাজার বছর আগের একটি বই এ এই বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাটা ধারণ করতে পারল ?

ড:মিলার বলেছেন, এই আয়াতটি নিয়ে চিন্তা-গবেষণার পর কোরআন যে ঐশী গ্রন্থ তা মেনে নিতে বাধ্য হই। যারা প্রচার চালাচ্ছে কোরআন হযরত মুহাম্মদ (সএর নিজস্ব বক্তব্য তাদের দাবি নাকচ করার জন্য এই একটি আয়াতই যথেষ্ট।
ড:মিলার বলেছেন, দেড় হাজার বছর আগে ইসলামের নবীর পক্ষে কিভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে কথা বলা সম্ভব, যিনি কোন দিন কোন স্কুলে পড়ালেখা করেন নি। কারণ এটি এমন এক বৈজ্ঞানিক বিষয়, যা সম্পর্কে তত্ত্ব আবিষ্কার করে মাত্র কয়েক বছর আগে ১৯৭৩ সালে নোবেল পুরুস্কার পেয়েছেন এক বিজ্ঞানী। মিলারের মতে এই আয়াতে সেই বিগ ব্যাং এর কথাই বলা হয়েছে যার মাধ্যমে পৃথিবী, আকাশমন্ডলী ও তারকারাজি সৃষ্টি হয়েছে।এই বিগ ব্যাং থিওরীর একটা অনুসিদ্ধান্ত হল "অনবরত দূরে সরে যাওয়া গ্রহ নক্ষত্রগুলো একসময় আবার কাছাকাছি আসা শুরু করবে কেন্দ্রবিমুখী বল শুন্য হয়ে যাওয়ার ফলে এবং সময়ের ব্যাবধানে সব গ্রহ নক্ষত্র আবার একত্রে মিলিত হয়ে একটা পিন্ডে পরিনত হবে"।

এবং কোরআনে সেই বিষয়েও বাক্য পাই এভাবে -
"সেই দিন আকাশমন্ডলীকে গুটিয়ে ফেলব, যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর" (সূরা আম্বিয়া : ১০৪)

এছাড়াও অধুনা আবিস্কৃত ব্লাক হোল নিয়ে পাই এই বাক্য -

"আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানে তারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।" (সূরা ওয়াক্বিয়া : ৭৫, ৭৬)

৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, মহাবিশ্বে এমন জায়গা আছে, যেখানে তারকা পতিত হয়। ঠিক পরের আয়াতেই এটাকে, মহাসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। মহাকাশে এরকম স্থান আছে, এটা মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ব্লাক হোলস।

আমার ভাবনা হলো সম্প্রসারন আর সংকোচনের এই ধাঁধার সমাধান কি?
কোরআন্ও প্রথমে বলেছে সম্প্রসারিত হচ্ছে। আবার শেষে বলেছে একে সংকুচিত করে আনছি। বিজ্ঞান এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে এবং তত্ত্বে সম্প্রসারন হচ্ছে এটাতেই দৃঢ়।
মহাজাগতিক ক্ষুদ্রতরঙ্গ পটভূমি বিকিরণ এর যে সব নীতি মালা অনুসরন করে বিস্তৃতি তত্ত্ব দাড়িয়ে ঠিক ঐখানেই এর সামাধানও লুকানো। আজ যে তরঙ্গ বিশ্লেষন করছি তা কোটি কোটি বছর আগে বিচ্ছুরিত। যা পৃথিবীতে সম্প্রতি পৌছেছে। যে মুহুর্তে বিগ ক্রান্চের আদেশ হয়েছে সেই সময়ের তরঙ্গ আমরা পেতে হয়তো এমনি সময় কমবেশি লাগবে। তখন আমরা বিশ্লেষন করতে করতে হয়তো সেই মহাপ্রলয়/বিগক্রান্চ শুরু হয়ে যাবে।
যার ইশারা পাই এমন বাক্যে -
তারা খাবার জন্য লোকমা হাতে তুলবে কিন্তু মূখে পৌছবে না। বা কাপড় মেলে ধরবে দেখার জন্য কিন্তু গোটানোর সময় পাবে না। এত দ্রুতই তা সংঘটিত হবে। অবশ্য এটাকে বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রকাশ করা যাবে। ১৯১৬র সূত্রানুসারে।

আপনি এসব নিয়ে বিস্তর পড়ালেখা করেনতো ম্যাভাই। তাই আপনার সাথেই চুপি চুপি ভাবনা শেয়ার করলাম। আশা করি বিরক্ত হননি।


০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:১৪

শের শায়রী বলেছেন: ম্যা'ভাই, নিজে যে আসলে কত কম জানি আপনার মন্তব্য পড়ে আর একবার উপলদ্ধি করলাম। সম্পূর্ন ভিন্ন আঙ্গিকে আপনি এই পোষ্টের যে ভাবে ব্যাখ্যা দিলেন তাতে আপনার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা জানালেও কম বলা হয়। ধর্মের ব্যাপারে খুব অল্প জানি , অবশ্য কোন ব্যাপারেই খুব ভালো একটা জানি না ম্যা'ভাই, সেখানে আপনার এই মন্তব্যটা আমাকে অনেক কিছু নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।

অসাধারন এক মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন ম্যা'ভাই। পবিত্র কোরান শরীফ নিয়ে আরো বেশী করে জানার উৎসাহ পেলাম।

২১| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,




প্রতিমন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
সময়ের ব্যাপারে আমারও একবার মনে হয়েছিলো আপনি "বিভ্রম" শব্দটি দিয়ে হয়তো আপেক্ষিকতার কথাই বুঝিয়েছেন। সময়ের আপেক্ষিকতা (আপেক্ষিকতাবাদ) নিয়ে যে উদাহরণটি দিয়েছেন আইনষ্টাইনের ভাষাতে সেটাও লিখতে চেয়েছিলুম। কিন্তু লেখিনি মন্তব্য অনেক বড় হয়ে যাবে এই ভয়ে (যেটুকু আগের মন্তব্যে লিখেছি তাও কিন্তু অনেক বড়) আর ঠিকঠাক না বুঝে ঐ উদাহরণ দেওয়াটা বাহুল্য হবে ভেবে।
অন্যদিকে শুরুতেই বেঁচে থাকা নিয়ে আইনষ্টাইনের উদাসীনতা আর পরে মৃত্যু নিয়েও তাঁর দার্শনিক মন্তব্য ("পরিত্রান";) দেখে ভেবেছিলুম আপনিও মনে হয় সময়টাকে "বিভ্রম" বলে কোনও দার্শনিক কিছু বোঝাতে চেয়েছেন কিনা। সব মিলিয়ে তাই ঐ উদাহরণটি দেয়া হয়নি। তাই আগের মন্তব্যে সময় বিভ্রম নিয়ে প্রশ্নটি রেখেছি।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪৫

শের শায়রী বলেছেন: কারেক্ট শ্রদ্ধেয় জী এস ভাই, আসলে বিভ্রম বুজাতে আপেক্ষিকতা বুজিয়েছি :)

২২| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার মন্তব্যের উত্তর পড়েছি; আপনি যতটুকু বুঝেন, সেটা নিয়ে পোষ্টে উহ আহ করেছেন; থিওরীকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি; ধন্যবাদ

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২৩| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার পোষ্ট পড়ে বুঝা যাচ্ছে না, নিউটনের ল'অব গ্রেবিটির বাইরে আইনষ্টাইন গ্রেবিটি'কে কিভাবে ব্যাখা করে, নিজের ম্যাথামেটিক্যাল ইকুয়েশন দিয়েছেন।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ জ্ঞানী মেজাই মুরুব্বী ;)

২৪| ০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:০০

পাঠক০০৭ বলেছেন: শের ভাই আগের নিকের পরিচয় দিলে হয়ত চিনবেন, তবে আপাতত দিচ্ছি না। অনেক দিন পর আপনার পোষ্ট পড়লাম। ইউ আর এ ভাইভ্রেন্ট ব্লগার। নিত্য নতুন বৈচিত্রময় বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে লিখছেন। এতে দারুন একটা কাজ। নিজের জ্ঞানও বাড়ে, আমরাও অনেক কিছু জানতে পারি। এই পোষ্টে মন্তব্যগুলো দেখে ভালো লাগছে।

০৬ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫০

শের শায়রী বলেছেন: বুজতে পারছি পরিচিত কেউ হবেন পুরানো নিকের। কিন্তু যেহেতু পরিচয় দেন নি তাই নতুন করেই পরিচয় হলাম :) । পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভ্রাতা।

২৫| ০৮ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৩

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আইনষ্টাইন বলেছিলেন, “এবং একটা পরিত্রান।” এই লাইনটার একটু ব্যাখ্যা দিবেন প্লিজ। মানুষ মৃত্যুকে পরিত্রাণ ভাবে জন্যই কি আত্মহত্যা করতে চায় ?
সব ভয় নাকি মৃত্যুভয়ের সাথে জড়িত। মৃত্যুভয় কি সবার সবসময় থাকে ?
লিখা নিয়ে আর কী বলব !! আপনার লিখা মানেই এত এত তথ্য , অজানা জগতে পরিভ্রমণ। ভালো থাকবেন ভাইয়া।

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৫:১৮

শের শায়রী বলেছেন: আইনষ্টাইন বলেছিলেন, “এবং একটা পরিত্রান।” এই লাইনটার একটু ব্যাখ্যা দিবেন প্লিজ। মানুষ মৃত্যুকে পরিত্রাণ ভাবে জন্যই কি আত্মহত্যা করতে চায় ?

না বোন আত্মহত্যা আর আইনষ্টাইনের পরিত্রান এক জিনিস না। কাপুরুষের জীবন থেকে পলায়নের নাম আত্মহত্যা। আর “পরিত্রান” তাও আইনষ্টাইনের মত দার্শনিক বিজ্ঞানীর জন্য অবশ্যই যথার্থ শব্দ। কিছু দিন আগে মৃত্যু নিয়ে একটা লেখা দিয়েছিলাম, প্রতি মন্তব্য হিসাবে একটু বড় হবে, তবে পড়ে দেখতে পারেন হয়ত কিছুটা আইডিয়া আসবে বা আপনার ভাবনা অন্য কিছু পাবেঃ

মৃত্যুকে নিয়ে কেন মানুষ এত ভয় পায়? এই ব্যাপারটা আমার মাথায় কখনো বুঝে আসে না। তবে যাদের অঝেল টাকা পয়সা আছে জীবনের বর্তমান সুখকে উপভোগ করতে পারছে তারাই হয়ত মৃত্যুকে ভয় পায়। অথচ এক বারো কি ভাবছেন জীবনের সুন্দর সমাপ্তি কিন্তু মৃত্যুতেই নির্বাপিত। ধরুন কিছু কাল আগে পপ সম্রাট মাইকেল জ্যাকসন মারা গেল, খুব কিন্তু বেশী বয়সে না, জীবন কে অত্যাধিক ভালোবাসত, সেই ভালোবাসা থেকে জীবন প্রলম্বিত করার ইচ্ছায় অক্সিজেন টেন্ট বানিয়ে তার মাঝে নিয়ম করে ঘুমাত, যেন কোষগুলো টেন্টের মাঝে থেকে সজীব থাকে আর মাইকেল যেন অন্ততঃ দেড়শ বছর বেচে থাকতে পারে। নিয়তির পরিনতি! কি হয়েছিল, কত বছর বেঁচে ছিল সবাই জানেন।

মৃত্যু তো খারাপ কিছু না, অন্তত আমার কাছে। আপনার আমার আগে কয়েক বিলিয়ন মানুষ এই পৃথিবীর বুকে হেটে গেছে, হেসে খেলে সন্তান সন্তানি নিয়ে বেঁচে গেছে আবার নিয়ম মাফিক মাটির নীচে অথবা আগুনে পুড়ে বিলীন হয়ে গেছে।

মৃত্যুর মত অবিসংবিদিত সত্য এই ধরাধামে আর কিছুই নাই, অথচ প্রতি মুহুর্তে আমরা এটাকে অস্বীকার করে জীবনকে টেনে লম্বা করার ইচ্ছা রাখি। কিন্তু একটা উদাহরন দেখান তো দেখান তো যেখানে কেউ একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বেঁচে ছিল! না কোন উদাহরন আপনার সামনে নাই।

মৃত্যুকে কেন আপনি জীবনের অংশ হিসাবে ভাবতে পারছেন না? কেন একে আলাদা একটা ভয়াবহ সত্ত্বা হিসাবে দেখছেন? যে মানুষটা এই মুহুর্তে মারা যাচ্ছে বা গেল, সেও কিন্তু আপনার মত জীবনকে ভালোবেসে একে চেয়েছিল আরো অন্তত এক মুহুর্ত বেশী বেঁচে থাকতে, কিন্তু সে কি পেরেছে? না পারে নি। তবে এনিয়ে আপনি আমি কেন এত ভাবব? অবশ্যাম্ভাবী এই ব্যাপারটাকে আতংক না জীবনের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হিসাবেই মেনে নিই না কেন?

হ্যা মৃত্যুর প্রকারভেদ আছে, কেউ খুব স্বাভাবিক ভাবে কোন এক সময় হৃদযন্ত্রের স্পন্দন বন্ধ হয়ে অন্ততলোকে যাত্রা করে, আবার কেউ কেউ অনেক দিন রোগে ভুগে কষ্ট পেয়ে ওই একই লোকে যায়, আবার কেউ কেউ কোন দুর্ঘটনায় অদেখা ভুবনে যাত্রা করে, হ্যা আমার যদি কোন চাওয়া থেকেই থাকে তবে সেটা হোক যেন খুব বেশী কষ্ট না পেয়ে বা আপনজনদের কষ্টে না ফেলে পরপারে চলে যাওয়া।

কেন আপনি মৃত্যুটাকে একটা অদেখা কোন জায়গায় ভ্রমনের সুযোগ হিসাবে দেখছেন না? না, সেই অদেখা ভুবন দেখতে গিয়ে নিজ হাতে নিজের জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেবার মানে নেই, যত দিন “জীবন” নামক কিছু একটা বয়ে বেড়াতে হবে ততদিন সেটাকে বয়ে এই দুনিয়ায় ভালোভাবে বেঁচে থেকে মৃত্যুকে ভয় না পাওয়ার মাঝেই আমার কাছে স্বার্থকতা।

আপনি কোথা থেকে এসেছেন? একটা ডিম্বানু অথবা শুক্রানুর মিলনের মাঝে দিয়ে, তার আগে কোথায় ছিলেন? কিভাবে ছিলেন? “জীবন” নামক বস্তুটা কি অতি ক্ষুদ্র কোন শুক্রানু ডিম্বানুর মিলনের মাঝে নিহিত? কি অদ্ভুত! জীবন যদি এত অদ্ভুত হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে আমি তো দেখি মৃত্যুটা অতি সাধারন। কোন উত্তেজনা নেই, ধুকপুক করে চলতে থাকা হৃদযন্ত্র নামক একটা শারীরিক অঙ্গ থেমে যাওয়ার নামই মৃত্যু।

মৃত্যুকে নিয়ে আমিও একটা সময় কিছুটা অস্বস্তিতে ছিলাম, হয়ত কিছুটা ভীতিও আর সবার মত। কিন্তু জীবনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা সময় এই মৃত্যুকে নিয়ে ভাবার সময় পেলাম, খুব কাছ থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবার সুযোগ আসল, প্রতি মুহুর্তে আতংক বিরাজ করত, এই বোধহয় মৃত্যু হয়, কিন্তু এক পর্যায়ে ভীতিটা কেটে গেল। জীবনের মানেটা মনে হয় সে মুহুর্তে বুঝে গেলাম।

আমি কেন ভয় পাচ্ছি? এটাতো এমন না যে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠী বা পরিস্থিতিতে মানুষের মৃত্যু হয়, মৃত্যু মানুষের অমোঘ সত্য। ভয়ের কিছু নেই। আমার আগে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ এই স্বাধ নিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও নেবে। তার মাঝে ভালো, মন্দ, চোর, ডাকাত, সাধু, সন্ত সবাই আছে। তবে কেন এই অহেতুক ভীতি? কেন আমি স্বাভাবিক ভাবে একে আমন্ত্রন জানাচ্ছি না? জানি এখানে এসে কেউ কেউ হয়ত বিভ্রান্তিতে পড়ে যাচ্ছেন। মৃত্যুকে আমন্ত্রন! না ঠিক আমন্ত্রন হয়ত হবে না, আসলে সঠিক শব্দটা আমি এই মুহুর্তে চয়ন করতে পারছি না। তবে এই উপলদ্ধি পেতে হলে আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতির মাঝে দিয়ে যেতে হবে। অথবা পরিস্থিতি তৈরী করতে হবে।

আপনি কি জানেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসীরা কিভাবে যুদ্ধ বন্দীদের অত্যাচার করত তা উপলদ্ধি করার জন্য কেউ কেউ টাকা দিয়ে সে অত্যাচার অনুভব করার জন্য এ ব্যাপারে সার্ভিস দেয় এমন নির্দিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠান থেকে অত্যাচারের সেবা নেয়। না আমি আপনাকে টাকা দিয়ে মৃত্যু বা অত্যাচারের সেবা কিনতে বলছি না। সুযোগ বা নিজে থেকে সে অবস্থায় পতিত হলে অল্প কিছু মানুষ সে অনুভুতির কাছাকাছি যেতে পারে। অনুভব করতে পারে।

মৃত্যু আপনাকে আমাকে এমন এক নতুন অনুভুতির স্বাধ দেবে যে স্বাধ আপনি একবারই নিতে পারবেন। মাত্র একবার, এবং সে স্বাধের অনুভব আপনি বলার জন্য আর ফিরে আসবেন না। কি অসাধারন একটা ব্যাপার তাই না? আচ্ছা মৃত্যুর পর কি স্বর্গ, নরক, দোযখ, বেহেশত এগুলো দেখা যাবে? মৃত্যু কি নিকষ অন্ধকার?

হ্যা এই নিকষ অন্ধকার অনুভুতি থেকেই মৃত্যুভীতি মানুষকে চালিত করে। তবে আমার কেন যেন মনে হয় মৃত্যু মানে নিকষ কোন অন্ধকার অনুভুতি না, তা সে অন্য যে কোন অনুভুতিই হোক।

সে কি অন্য কোন জগৎ? যে জগতে আপনি আবার এই জগতের মত অন্য কোন অনুভুতিতে সেটা হয়ত আমাদের চেনা কোন অনুভুতি থেকে আলাদা সেই অনুভুতিতে বাস করবেন?

মৃত্যুর পরবর্তী জীবন নিয়ে অনেক বড় বড় মানুষের অপার কৌতুহল ছিল, যাদের জীবনাচার বা মানব সভ্যতায় তাদের অবদান আমাদের কৌতুহলী করে, রবীন্দ্রনাথ, স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, নিউটন, ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ছাড়াও অনেক মনীষী জীবনের অপর যাত্রা যাকে আমরা মৃত্যু নামে অভিহিত করি তা নিয়ে অপার কৌতুহলী ছিলেন।

মৃত্যু ভীতিকে জয় করুন। অপার রহস্যের এক সন্ধান পাবেন। তবে মৃত্যু ভীতির সব থেকে বড় কারন দুটো। মানুষ ভেদে একঃ অঢেল টাকা পয়সা জীবন কে ভোগে মত্ত রেখে মৃত্যুকে ভয় পাওয়ায় দুইঃ ভালোবাসা, প্রিয়জনদের ছেড়ে যাবার মায়া। সামান্য চেষ্টা করলে এই দুটোর কোনটা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য একটু ভাবুন, অথবা অন্য কিছু কিনা সেক্ষেত্রে অতি অল্প চেষ্টায়ই এথেকে মুক্ত হয়ে মৃত্যু ভীতিকে উপেক্ষা করতে পারবেন, পারবেন সময় হয়ে শান্ত শিষ্ট ভাবে স্মিত হেসে সবাইকে ভালোবেসে অন্তত যাত্রায় গমন করতে। ভয় কি, আপনার আমার আগে কোটি কোটি মানুষ ওই যাত্রায় গিয়েছে, তাদের যা হয়েছে আপনার আমারো তাই হবে, নতুন কিছু না।

সময়ের সাপেক্ষে জীবনের তুলনায় মৃত্যু অনেক বেশী মহিমান্বিত, অনেক বেশি রহস্যময়।

অনেক অনেক ধন্যবাদ বোন।।

২৬| ০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:০৯

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: আমার মতে, মৃত্যুভয়ের আসল কারণ হলো মৃত্যু পরবর্তী কবরের আজাবের কথা ভেবে। ছোটবেলা থেকে আমরা জেনে আসি যে আমাদের প্রতি অর্পিত ধর্মীয় দায়িত্ব পালন না করলে মরার পরে কবরে কঠিন আজাব হবে। একারণেই হয়তো মৃত্যু নিয়ে ভয় হয়। অপ্রাপ্ত বয়স কালে মৃত্যু নিয়ে খুব ভয় ছিল আমার কারণ একটাই আমি অন্ধকার প্রচন্ড ভয় পাই। মনে হতো, অন্ধকার কবরে একা থাকবো কেমনে ! এই ভয়ে মরতে চাইতাম না। মৃত্যু পরবর্তী শাস্তির কথা না শুনলে হয়তো ভয় পেতোনা কেউ।

আমন্ত্রণ ব্যাপারটা হয়তো একটু অন্যরকম। সেক্ষেত্রে 'আলিঙ্গন' বলতে পারি। ইদানিংকালে আমার কাছে মনে হয় আমি যদি কারো ক্ষতি না করি, অন্যায় কিছু না করি, ভালো কিছু করার চেষ্টা করি তবে মৃত্যুকে হাসিমুখে আলিঙ্গন করতে দ্বিধা থাকবে কেন !

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:১৮

শের শায়রী বলেছেন: আসলে ছোট কালে আমাদের মৃত্যু সন্মন্ধ্যে আযাবের বর্ননা দেয়ার থেকে সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবাসার জন্য উদ্দীপ্ত করা হলে এই ভয়টা আর থাকে না। আমাকে এই কবর আযাবের ভয় একটা সময় কুড়ে কুড়ে খেয়েছে, সেখান থেকে আমি শিক্ষা নিয়েছি, আমি আমার ১৫ বছর আর ১০ বছরের ছেলেকে বুজানোর চেষ্টা করি, কেউ একজন আছে যাকে ভালোবাস, যে কিনা সবার মৃত্যুর পর ভালোবেসে বুকে টেনে নেয়, ভয়ের কিছু নেই। জানি না কতটা কাজ হচ্ছে, তবে তাদের আমার ছোট কালে যেভাবে মৃত্যু ভীতি ভীত করত মনে হয় ছেলেদের সেভাবে ভীতি নাই আমাইও এটাই চাই।

আপনার দ্বিতীয় প্যারায় সঠিক ভাবনা ভাবছেন বলেই আমার ধারনা।

২৭| ০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:২৮

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: বাচ্চাদের বুঝানোর চেষ্টা করবেন -বাবা তুমি ভালো মানুষ হও। তাইলে তুমিও ভালোকিছু পাবে।
ছোটদের সহজ করে পজিটিভ কথা দিয়ে শিক্ষা দিতে হবে বলে মনে করি। দুই বাবাকে আমার পক্ষ থেকে অনেক আদর আর ভালোবাসা জানাবেন।

০৯ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: অবশ্যই জানাব তাদের ঘুম থেকে ওঠার পর তাদের ফুপীর কথা। দু'জনেই এখন সেহেরী খেয়ে গভীর ঘুমে বোন। আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা জানুন।

২৮| ১১ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

হাসান রাজু বলেছেন: ফিজিক্সের এইসব থিউরি আবিস্কারের আগে ও মহাবিশ্ব যেমন চলছিল এখনো সেভাবেই চলছে। শুধু মাঝখান থেকে এলো চুলের আইনস্টাইন থিওরি দিয়ে বিশাল নাম কামাইয়া লইছেন।

ঠিক তেমনি আদিকাল হইতে ঘর পরিস্কার হয়ে আসছে। কিন্তু থিওরি অব রিভার্সিভইলীটি অব ক্লিনিং মুভমেন্ট ঘর ঝাড়ু দেবার সময় সামনে আগাতে হয় আর ঘর মোছার সময় নাকি পেছনে যেতে হয়। এই থিউরি যিনি আবিস্কার করেছেন তার উদ্দেশ্যে কি তিন চারটা নোবেল ছুঁড়ে দেয়া যেত না???

১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১:১৪

শের শায়রী বলেছেন: ফিজিক্সের এইসব থিউরি আবিস্কারের আগে ও মহাবিশ্ব যেমন চলছিল এখনো সেভাবেই চলছে। শুধু মাঝখান থেকে এলো চুলের আইনস্টাইন থিওরি দিয়ে বিশাল নাম কামাইয়া লইছেন। দারুন এক দার্শনিক উপলদ্ধি প্রিয় হাসান ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.