নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই।।

শের শায়রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবর - ছোট গল্প

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৫



এই ভুবনে

আয়নাল শেখের শেষ বয়সের "বাবা ন্যাওটা ছেলে" টা হঠাৎ অল্প জ্বর, কাশি, সর্দিতে মারা গেছে। বড় বাবা ন্যাওটা ছেলে। এই দশ/ এগারো বছর বয়সেও বাবার সাথে ঘুমাতে হয়। আর আয়নাল শেখও ছেলেকে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না। সেই ছেলে মারা গেল কয়দিন আগে।

গ্রামে গঞ্জে সাধারনতঃ বাড়ীর লাগোয়া কবর দেয়া হয় নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্তদের। আয়নাল শেখের ছেলেকেও উঠানের এক কোনায় বড় জামরুল গাছের নীচে কবর দেয়া হয়েছে।

ছেলেটা মারা যাবার পর প্রতিদিন রাতের বেলা আয়নাল শেখ একটা চাটাই আর কাঁথা বালিশ নিয়ে ছেলের কবরের পাশে গিয়ে শোয়। ছেলেটার বড় ভয়, একা ঘুমাতে পারে না। রাতের বেলা নাকি দু একজন দেখছে আয়নালের পাশে একটা ছেলে ঘুমায়।

অন্যভুবনে

আয়নাল শেখের শেষ বয়সে স্ত্রী সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যাবার পর, সেই ছেলেকে কোলে পিঠে করে মানুষ করে যখন দশ / এগারো বছর বয়স সেই সময় আয়নাল শেখ মারা গেল অল্প জ্বর, কাশি, সর্দিতে। ছেলেকে ছাড়া আয়নাল শেখ কিছু বুজত না।

গ্রামে গঞ্জে সাধারনতঃ বাড়ীর লাগোয়া কবর দেয়া হয় নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্তদের। আয়নাল শেখেকেও উঠানের এক কোনায় বড় জামরুল গাছের নীচে কবর দেয়া হয়েছে।

বাবা মারা যাবার পর প্রতিদিন রাতের বেলা মা মরা বাবা সোহাগী ছেলেটা একটা চাটাই আর কাঁথা বালিশ নিয়ে বাবার কবরের পাশে গিয়ে শোয়। বাবা বুড়ো হয়ে যাবার পর কেমন যেন ভীতু হয়ে গেছিল, ভয় নাকি সন্তানের প্রতি মমতা! একা ঘুমাতে পারে না। রাতের বেলা নাকি দু একজন দেখছে আয়নালের ছেলের পাশে একটা বুড়ো মানুষ ঘুমায়।

ভিন্ন জগতে

আয়নাল শেখের শেষ বয়সের "বাবা ন্যাওটা ছেলেটা" হঠাৎ অল্প জ্বর, কাশি, সর্দিতে মারা গেছে। বড় "বাবা ন্যাওটা ছেলে"। এই দশ/ এগারো বছর বয়সেও বাবার সাথে ঘুমাতে হয়। আর আয়নাল শেখও ছেলেকে ছাড়া ঘুমাতে পারেন না। সেই ছেলে মারা গেল কয়দিন আগে। আয়নাল শেখ এই বয়সে সন্তান হারানোর কষ্ট সইতে পারল না। আধা ঘন্টার মাঝে নিজেও ষ্ট্রোক করে মারা গেল।

গ্রামে গঞ্জে সাধারনতঃ বাড়ীর লাগোয়া কবর দেয়া হয় নিম্ন বা নিম্ন মধ্যবিত্তদের। আয়নাল শেখ এবং তার ছেলেকে উঠানের এক কোনায় বড় জামরুল গাছের নীচে কবর দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি।

অনেকেই দেখছে বাপ বেটা রাতের বেলা কবরের পাশে ঘুমিয়ে আছে।

মানুষ বড় কুসংস্কারাচ্ছন্ন। কি দেখতে কি দেখে কে জানে? ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ এগুলোতো দেখা যায় না।

আরো অনেক জগতে আয়নাল শেখ এবং তার ছেলে কিভাবে আছে আমরা কিন্তু.....

“এ ভুবনে ডুবল যে চাঁদ সে ভুবনে উঠল কি তা?
হেথায় সাঁঝে ঝরল যে ফুল হোথায় প্রাতে ফুটল কি তা?
এ জীবনের কান্না যত― হয় কি হাসি সে ভুবনে?
হায়! জীবন এত ছোট কেনে?
এ ভুবনে?”


(উপরের লাইন কয়েকটি তারাশঙ্কর এর "কবি" থেকে)

কবর কাউকে নিরাশ করে না। যে যেমন চায় তাকে তেমন দেয়।।

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২০

সত্যপীরবাবা বলেছেন: আধিভৌতিক + কোয়ান্টাম বহু জগৎ .... গল্পটা চমৎকার।

২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৯

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা সত্যপীরবাবা। আপনাকে আবার ভাই ডাকা এক সমস্যা, কারন বাবা কে তো ভাই ডাকা যায় না, কি আর করা!! তাই নিকেই ডাকলাম ;)

২| ২৮ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



পড়েছি, আমি মৃত্যু ইত্যাদি নিয়ে কিছু পড়তে চাই না।

২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১১

শের শায়রী বলেছেন: এইডা আবার কেমুন প্যারাডক্স মুরুব্বী? পড়ছি আবার কন মৃত্যু নিয়া পড়তে চাই না। আপনারে নিয়া আর পারি না।

৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২০

কল্পদ্রুম বলেছেন: মাল্টি ইউনিভার্সের ধারণা আমাকে সবসময় অভিভূত করে।খুবই অদ্ভুত একটা ধারণা।

২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১২

শের শায়রী বলেছেন: এই মাল্টি ইউনিভার্স দিন দিন আমার একটা অবশেসান হয়ে দাড়াচ্ছে। ব্যাপারটা মোটেও ভালো কিছু না ভ্রাতা।

৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন

২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:১৩

শের শায়রী বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ ভাই

৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: বেশ ভয় ভয় লাগছে।
ভয় লাগছে কেন বুঝতে পারছি না।
রাত বলেই কি?

দিনের বেলা আরেকবার পড়ে দেখতে হবে।

২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫১

শের শায়রী বলেছেন: নিশ্চয়ই এতক্ষনে ভয় কেটে গেছে রাজীব ভাই।

৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:৪৫

ডি মুন বলেছেন: ইন্টারেস্টিং
ভিন্ন ভিন্ন সম্ভাবনা। ভালো লাগলো পড়ে।

কবর কাউকে নিরাশ করে না। যে যেমন চায়, তাকে তেমন দেয়।। --- সত্যিই !!

২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫২

শের শায়রী বলেছেন: অবশ্যই কবর কাউকে নিরাশ করে না ডি মুন ভাই, যে যেমন চায়, তাকে তেমন দেয়। কবরে যাবার আগে কে কি নিয়ে গেল সেটাই এখানে মূখ্য।

৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৪৫

আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: সত্যি নাকি ? বিশ্বাস করা মুশকিল।

২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৬

শের শায়রী বলেছেন: আমিও বিশ্বাস করি নাই ভাই :)

৮| ২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:৫৬

ইসিয়াক বলেছেন:



আমার কেন জানি চোখ ভিজে গেল,কেন গেলো তা বলতে পারবো না।
ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার। সাবধানে থাকুন।শুভকামনা।

২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: বাবা ছেলের চিরন্তর ভালোবাসায় চোখে ভিজে ওঠারই কথা প্রিয় কবি।

ভালো থাকুন। সুস্থ্য থাকুন।

৯| ২৯ শে জুন, ২০২০ ভোর ৬:০২

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: কী কাকতালীয় ব্যাপার! আমার মাথায় হঠাৎ করে কবরে ঘুরার ভুত চেপেছিলো।কয়দিন কবর নিয়ে খুব ভাবনা এসেছিলো। আজ আবার আপনার লিখনীতে ব্যতিক্রমধর্মী একটা লিখা। কিন্তু ভাইয়া, শেষ লাইন'টা ''কবর কাউকে নিরাশ করে না। যে যেমন চায় তাকে তেমন দেয়।'' ঠিক বুঝলামনা।

যদিও মাল্টিইউনিভার্স নিয়ে তেমন কোনো জ্ঞান নেই, তবে প্যারালাল ওয়ার্ল্ড নিয়ে ছোটদের একটা সিরিজ দেখেছিলাম ''স্পেল বাইন্ডার।'' বেশ ইন্টারেস্টিং!!

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৮

শের শায়রী বলেছেন: বোন এই বাক্যটি দ্ধারা আমি বুজাতে চেয়েছি, "সবার শেষ ঠিকানায় যখন আমরা যাব তখন আমরা সেখানে থাকার জন্য এই পৃথিবীতে কে কি নিয়ে যাব"। হিংসা, লোভ, ভালোবাসা, মহত্ত্ব, দ্বেষ, চুরি, দানশীলতা যে যেমন কাজ করে নিজ ঠিকানায় যখন পার্মানেন্টলি উঠবে, সেই ঠিকানা তাকে তেমন রিটার্ন দেবে। যেমন আয়নাল শেখ বা তার ছেলেকে দিয়েছে তাদের আন্তরিক বাবা ছেলের ভালোবাসায়।

স্পেল বাইন্ডার দেখা হয়ে ওঠে নি। দেখি ইউ টিউবে সার্চ দিয়ে দেখতে হবে। মাল্টিভার্সের ব্যাপারে আমার অপার কৌতুহল।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১০| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

নীল প্রজাপ্রতি বলেছেন: মৃত্যু চিরন্তর।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৯

শের শায়রী বলেছেন: একই সাথে কর্ম অবিনশ্বর প্রজাপতি।

১১| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অন্যভুবন আর ভিন্নজগতের পার্থক্য কি? ব্যাখ্যা করেন।

আপনের এই নিরীক্ষাধর্মী গল্প পছন্দ হইছে। আপনেরে অভিনন্দন। :)
বাঘরাও যে আজকাল মানুষের মতোই কবরের ব্যাপারে উৎসাহী হইতাছে.......এইটা দেইখা ভালো লাগলো। :P

মা.হাসান কি ডরে আপনের এই পোষ্টে আসেন নাই? কিউরিয়াস মাইন্ড জানতে চায়! =p~

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

শের শায়রী বলেছেন: কুন পার্থক্য নাই ভুয়া ভাই, বার বার একই শব্দ লিখলে গল্পের আবেদন থাকছিলো না, তাই একটু নতুনত্ব আনছি। অভিনন্দনে কুন কাজ হয় আইজকাল :( সব নগদের যুগ ;)

মা.হাসান ভাই ইদানিং এদিক ওদিক দেশ বিদেশে ফোন করা নিয়ে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে =p~

১২| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪০

করুণাধারা বলেছেন: একদম অন্যরকম লেখা!! ভালো লাগলো।

অন্য ভুবনে কত কিছুই ঘটছে। আপনার হঠাৎ কবরের কথা মনে হল কেন?

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: বোন হঠাৎ কোথায় এখন তো চারিদিকে লাশের মিছিল, আর লাশ মানেই তো কবর। খুব মনে পড়ে কবরের কথা, কখন স্থায়ী নিবাসে চলে যেতে হয় বুজতেও পারব না।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা।

১৩| ২৯ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

তারছেড়া লিমন বলেছেন: ভাইডি কত বছর পর আবার পেলাম B-) B-)

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: একটা সময় ছিল আমার পোষ্টে আপনার কমেন্ট থাকবে না সেটা ভাবতেই পারতাম না। তারপর আমি হারিয়ে গেলাম। অনেক দিন পর এসে পুরানো মুখ গুলোকে খুজলাম। খুজে খুজে কাউকে পেলাম আবার কেউ কেউ হঠাৎ দেখা দিচ্ছে, কি যে ভালো লাগছে লিমন ভাই এত দিন পর আবার আপনাকে দেখে। কেমন আছেন তাই বলেন। ভীষন খুশী আপনাকে পেয়ে।

১৪| ২৯ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৯

সত্যপীরবাবা বলেছেন: এই ভুবনে ডুবল যে চাঁদ অই ভুবনে উঠল কি তা
এই ভুবনের কান্না যত হয় কি হাসি সেই ভুবনে?

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

শের শায়রী বলেছেন: আহ তারাশঙ্করের কথা মনে করিয়ে দিলেন আবার,

“এ ভুবনে ডুবল যে চাঁদ সে ভুবনে উঠল কি তা?
হেথায় সাঁঝে ঝরল যে ফুল হোথায় প্রাতে ফুটল কি তা?
এ জীবনের কান্না যত― হয় কি হাসি সে ভুবনে?
হায়! জীবন এত ছোট কেনে?
এ ভুবনে?”

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে পোষ্টে এ্যাড করে দিচ্ছি এই ছত্রটা ভাই।

১৫| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: একটা চমৎকার আইডিয়া। আমার যে প্রশ্নটা ছিল, মফিজ ভুইয়া সেটা করে ফেলেছেন - অন্যভুবন আর ভিন্ন জগতের মধ্যে তফাত কী?

বাবা-পুত্রের মধ্যে যে মায়ার টান ফুটে উঠেছে, বা একের প্রতি অপরের হাহাকার, আমাকে সেটাই সবচাইতে বেশি টেনেছে। শুধু ১ নাম্বার সিকোয়েলটাকে একটা স্বতন্ত্র গল্প হিসাবে ভাবলেও এর আবেদন অটুট থাকবে।

একটা বিষয় একটু প্লিজ ক্লারিফাই করুন - শেষ বয়সের বাবা বলতে কি ছেলে বোঝানো হয়েছে? 'বাবা' কেন বলা হলো?

৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

শের শায়রী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই আসলে কোন পার্থক্য নাই। শব্দের হেরফের ঘটানোর জন্যই একই শব্দ ভিন্ন ভাবে ব্যাবহার করছি, লেখার খাতিরে। আপনি লাষ্ট লাইনে লিখছেন "শেষ বয়সের বাবা বলতে কি ছেলে বোঝানো হয়েছে? 'বাবা' কেন বলা হলো?" আসলে আমি ওখানে শেষ বয়সের "বাবা ন্যাওটা ছেলে" বুজাতে চেয়েছি। যেমন অনেকে "মা ন্যাওটা ছেলে" হয়। আসলে এখানে আমার ভুল আমি যদি ইনভার্টেড কমার মাঝে শব্দটা দিতাম তবে আর এই কনফিউশান হত না। আমি ভুল স্বীকার করে ঠিক করে দিয়েছি পোষ্টে প্রিয় ভাই।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৬| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথমেই কবরের ছবিটা মনের উপর চাপ তৈরী করে। অ্যাবসট্রাক্ট ছবি হলে ভালো হতো।

আইডিয়াটা চমৎকার লাগলো। বিভিন্ন সময় একই গানে দুই ধরণের সুর করা হয়। 'নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক, মাদলখানি বাজে...' গানটা এফএম এর যুগে দুই রকম সুরে প্লে হতে শুনতাম।

গল্পে এ ধরনের এক্সপেরিমেন্ট নতুন লাগলো।

আমার দাদা মারা যাবার পর আমার একমাত্র ফুফু প্রায় রাতে গিয়ে দাদার কবরের পাশে বসে থাকতেন। অনেক বছর আগের কথা, এখন অবশ্য দাদা-দাদি-ফুফু, সবাই একই যায়গায় চলে গেছেন।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৮

শের শায়রী বলেছেন: পদ্ম ভাই ইচ্ছা করেই ছবিটা দিয়েছি। আমার নিজেরও কবরের ছবি দেখলে কিছুটা চাপ অনুভব হয় মনের ওপর বা শব্দটা শুনলেও, তাই ইচ্ছা করেই এই ছবি আর নাম ব্যাবহার।

জ্বি একটু হাল্কা এক্সপেরিমেন্ট করলাম, একটা লেখাকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই লেখা লিখলে কেমন লাগে দেখলাম।

গ্রামে গঞ্জে কিন্তু মানুষের মাঝে এই কবর নিয়ে আমি কোন বিকার দেখিনি। অতি সাধারন ভাবে এরা ব্যাপারটা দেখে, চাপ বা ভয় বা অন্য কিছু যাই বলেন সেগুলো আমাদের মত শহুরে মানুষদের। আমার দাদা বাড়ী বা নানা বাড়ীতে কবরের পাশে শান বাধানো পুকুরের পাশে সবাই গল্পে বসে, কেউ কেউ মাঝ রাতেও একা গিয়ে বসে থাকে, যেটা আমার পক্ষে সম্ভব না। কিন্তু কেন?

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই।

১৭| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেবযান উপন্যাসটা এরকম মৃত্যুর পরের জগত নিয়ে। মৃত্যুর পর নায়ক নায়িকার মিলন হয়। তবে এই উপন্যাসটার জন্য উনি কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হন। তবে ওনার অন্য সব উপন্যাসের মতই আমার কাছে ভালো লেগেছে।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:২৪

শের শায়রী বলেছেন: বিভুতি ভুষন বাংলা সাহিত্যকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে, আন ফরচুনেটলি দেবযান পড়া হয়ে ওঠে নি, তবে কাহিনি সংক্ষেপ জানি। উনার "চাঁদের পাহাড়" পড়ছেন? "আরন্যক" ও পড়ছি, আর পথের পাচালি তো সবাই দেখেই ফেলছে। বাহ আপনি তো অনেক পড়াশুনা করেন। আমি এই গুনটাকে সব সময়ই শ্রদ্ধা করি।

পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৮| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জানার বাইরে কতকিছু ও আছে ।
অন্যধারার গল্পে ভালোলাগা ।

৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৬

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা আপা

১৯| ২৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩১

রাকু হাসান বলেছেন:


কবর কাউ কে নিরাশ করে ,যে যেমন চায় ,তেমন দেয়। :|| ভিন্ন স্বাধের লেখা।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।

২০| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৩

শায়মা বলেছেন: চক্র। গল্পটার নাম হওয়া উচিৎ ছিলো চক্র :)

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

শের শায়রী বলেছেন: হুম বোন তাও দেয়া যেত। "চক্র" ভালো নাম। শীর্ষেন্দুর চক্র পড়ছেন?

২১| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৩৫

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: সুন্দর করে ব্যাখ্যা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
'স্পেল বাইন্ডার' দেখতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ান সিরিজ সম্ভবত। ভালো লাগলে সোনা বাবাইদেরও দেখাতে পারেন।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

শের শায়রী বলেছেন: অবশ্যই দেখব বোন। অবশ্যই দেখব, আমার ইদানিংকার রুটিনই হল দু ছেলেকে নিয়ে রাত ১১ টায় ছবি বা কোন ডকুমেন্টারি দেখা।

ছেলেদের নিয়েই দেখব। ভালো থাকবেন বোন।

২২| ৩০ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: অন্য রকম লেখা। ত্রিকালজ্ঞ

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫১

শের শায়রী বলেছেন: বাহ সুন্দর একটা শব্দ অনেক দিন পর শুনলাম "ত্রিকালজ্ঞ"।

অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন পাঠে এবং মন্তব্যে।

২৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৪৪

মিরোরডডল বলেছেন:



শায়রীর লেখা ছোট গল্প এই প্রথম পড়লাম মনে হয় ।
ভালোবাসা মায়া, স্নেহ এগুলো দেখা যায়না ।
সত্যি তাই অনুভব করা যায় ।
আচ্ছা শায়রীর নিজের মৃত্যু নিয়ে কি কখনও ভাবে । ইফ সো , সেটা কি ?
কবর নিয়ে ভাবনা আছে কোনও ?

বাংলা যত শব্দ আছে, সবচেয়ে ভয়াবহ শব্দ আমার কাছে মনে হয় কবর ।
এই শব্দটা আমি খুব ভয় পেতাম , এখনও পাই কিন্তু সময়ের সাথে অনেক কিছু পরিবর্তন হয় ।
বাবা যখন মারা গেলো , সেই ভীতু আমি পাশে দাড়িয়ে কবর খোরা থেকে শুরু করে কবর দেয়া দেখলাম ।
মানুষের খুব কাছের মানুষ যখন চলে যায় , এই অনুভূতিগুলো হয়তো বদলে যায় সময়ের সাথে ।

আমাদের মৃত্যু কার কখন কোথায় কিভাবে হবে , উই ডোন্ট নো । তারপরও উই শুড হ্যাভ আওয়ার প্ল্যান । এখন এটাই আমার মনে হয় । মৃত্যুর পর অন্য কারো যেন এতটুকুও ঝামেলার কারণ না হই, তাই নিজের সবকিছু নিজেই ঠিক করে যাওয়া । ইউ ওন্ট বিলিভ, পরে একসময় বলবো আমি লাস্ট দেড় বছর ধরে কি করছি ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩২

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা বোন ভালোবাসা মায়া, স্নেহ এগুলো দেখা যায়না । এগুলো অনুভবের ব্যাপার, আবার অন্যদিকে দেখুন লোভ, হিংসা, ক্রোধ এগুলো কিন্তু দেখানো যায়, কি একটা অদ্ভুত ব্যাপার তাই না, ভালো অনুভুতিগুলো দেখা যায় না, কিন্তু খারাপ অনুভুতি গুলো দেখা যায়।

হ্যা শায়রী প্রায়ই মৃত্যু নিয়ে ভাবে, মৃত্যু আমার কাছে অপার কৌতুহলের ব্যাপার, একটা রহস্যময় আনন্দদায়ক ব্যাপারও বটে। কিছু দিন আগে একটা লেখাও দিয়েছিলাম হয়ত আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে মৃত্যু ভীতিকে জয় করুন, এক অপার আনন্দের এক সন্ধান পাবেন। হ্যা প্রিয় মানুষ যখন জন্ম নেয় বা মৃত্যু বরন করে তখন ভাবনার জগতে এক বিরাট আলোড়ন খেলে যায়, এটাই স্বাভাবিক। তবে অনেকেরই কিন্তু মৃত্যু নিয়ে খুব একটা হেল দোল নেই।

জানার অপেক্ষায় থাকলাম লাষ্ট দেড় বছর ধরে আপনি কি করছেন। ভালো থাকুন বোন।

২৪| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ লেখকঃ জানতে চেয়েছেন বিভুতিভূষণের বই পড়া সম্পর্কে ;
আরণ্যক (বহুবার পড়েছি), চাঁদের পাহাড় ( এটার সিনেমাও দেখেছি, নায়ক হোল দেব) , পথের পাঁচালি‌, অপরাজিত, অপুর সংসার, ইছামতি, আদর্শ হিন্দু হোটেল (আংশিক), দেবযান, অশনি শঙ্কেত পড়েছি। বিভূতিভূষণ উপন্যাস সমগ্র আমার কাছে আছে।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: এই সময়ে বই পড়া মানুষ খুব একটা চোখে পরে না, আপনি ব্যাতিক্রম। শুভেচ্ছা জানবেন। কেউ বই পড়লে আমার কেন যেন খুব ভালো লাগে।

২৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: তবুও, এত যদি, কিন্তু তবে'র জালে ভালোবাসাটাই পরিশুদ্ধ।

গল্প ভালো লেগেছে।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪১

শের শায়রী বলেছেন: হামা ভাই আপনার ভালো লাগা অনেক বড় প্রাপ্তি গল্পের ক্ষেত্রে। কৃতজ্ঞতা জানুন ব্রাদার।

২৬| ০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১৫

জেন রসি বলেছেন: যা মানুষ জানে তা নিয়ে সে খুব একটা কল্পনা করতে পারেনা।যা মানুষ জানেনা তা নিয়েই মূলত তার কাল্পনিক জগত। না জানাকে কল্পনা দিয়ে রিপ্লেস। মৃত্যুর পরে কি হবে তা নিয়ে মানুষের জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। তবে তার সাথে একধরনের ভয়, আতংক, বিষাদও মিশে থাকে। আপনার গল্পটি এক্সপেরিমেন্টাল। গল্প ভালো লেগেছে।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: মৃত্যুর এই না জানা রহস্যটাই আমার কাছে এর অপার সৌন্দর্য্য। হ্যা এটা এক ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল গল্পও বটে। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি কৃতজ্ঞ।

২৭| ০১ লা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।

মানুষ মরণশীল। কবরের খবর মানুষ রাখতো না । এখন হয়তো রাখে। কারণ যে কোন বয়সের মৃত্যু এখন খুব সাধারণ বিষয় ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৪

শের শায়রী বলেছেন: হ্যা এখন যারা জীবিত তাদের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কবরকে ভুলতে পারবে না কবি। পাঠে এবং মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।

২৮| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
ইয়ে 'কবর' সে হো বেখবর
সোচা নেহী কাভী তুম খোদ হি হো 'এক কাবর'!
ইয়ে জিসম ক্যায়া হ্যায়,
বারজাখইতো হ্যায়, রুহছে পুছ হায় বে-খবর!!

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

শের শায়রী বলেছেন: বড় সত্যি কথা ম্যা'ভাই। তবে ইদানিং অনেকেই দেখি জীবনের মানে চেঞ্জ করে ফেলছে। আগের সেই উদ্যামতা নেই।

২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
গল্পের নতুনত্ব-এ চমতকৃত হলাম।

এইক ঘটার ভিন্ন ভিন্ন প্রত্যক্ষনের মত করে গল্প এই প্রথম পড়লাম।

হায় জীবন এত ছোট কেন ভুবনে ! +++++

০৩ রা জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০০

শের শায়রী বলেছেন: পাঠে এবং মন্তব্যে অশেষ কৃতজ্ঞতা মাইদুল ভাই।

৩০| ১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:১৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: কবি জসীমউদ্দীনের 'কবর' কবিতাটির​ কথা মনে পড়লো। তিন ভুবনের কথা বেশ ভালো করে দেখিয়েছেন। কথাতে ছোট কিন্তু প্রত্যেকটি ভুবনই ব্যাপ্তিতে বিশাল।
বড্ড দেরী করে ফেললাম।শুভেচ্ছা প্রিয় ভাইকে।
অফটপিক:-অনেকদিন আপনাকে না দেখতে পেয়ে চিন্তিত।প্লিজ কেমন আছে জানেন।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৩

শের শায়রী বলেছেন: প্রিয় ভাই, আমি দুঃখিত কিছুদিন জীবন জীবিকায় এত ব্যাস্ত ছিলাম যে কোন খোজ নিতে পারি নাই আপনাদের। মার্জনা প্রার্থনীয়। আপনি ভালো আছেন তো।

৩১| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:০০

সোহানী বলেছেন: আরে অনেকদিন আপনার কোন খোঁজ নেই। মিরোরডলের লেখায় খোজঁ দেখে ছুটে এলাম। অবশ্য আমিও অনিয়মিত বলতে গেলে কারন হোম অফিস শুরু করেছি। তাই ............। যাইহোক যেখানেই থাকেন তাড়াতাড়ি ছুটে আসে............

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৪

শের শায়রী বলেছেন: বোন ফিরে এসেছি, এখনো কিছুটা ঝামেলায় আছি। লাইফ এখন বড্ড ঝামেলা দিচ্ছে কি করব। ভালো আছেন তো।

৩২| ২২ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেগেছে।

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৫

শের শায়রী বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন পাঠে এবং মন্তব্যে।

৩৩| ২৫ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:৪৯

কাতিআশা বলেছেন: মনটা কেন জানি বিষন্ন হয়ে গেল! চলে তো যেতে হবেই, তবুও...

২৬ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩৬

শের শায়রী বলেছেন: আমি কিছুটা উৎকন্ঠিত প্রতীক্ষায় কবে আসবে সেই রহস্যময় সময়? সব কিছু যখন উন্মোচিত হবে। সত্য মিথ্যা প্রমানিত হবে বোন। ভালো থাকুন।

৩৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫১

Rajibrpsoft বলেছেন: প্রথমে বুঝি নাই,,,পরে আবারো পরলাম,,,,বুঝলাম..।কবিতার লাইন গুলো বুক ঝাঝরা কইরা দিল ......

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.