নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শোভন রাউৎ

শোভন রাউৎ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ণপ্রথা কি এবং কেন?

৩০ শে মে, ২০১২ ভোর ৪:২৭

বর্ণপ্রথা-বর্তমান সময়ে হিন্দুধর্মের অন্যতম বড় শত্রু। কিন্তু প্রকৃত সত্য কি?

অনেকেই হয়তো জানেন।তবু যারা জানেন না তাদের জন্য আরেকবার বেদের আলোকে আলোচনা করছি।

প্রথমেই নামের ব্যাপারটা। মূল এবং সঠিক নাম হচ্ছে বর্ণাশ্রম।এখানে বর্ণ শব্দটি এসেছে 'Vrn' root থেকে যার অর্থ 'To choose বা পছন্দ করা অর্থাত্‍ পছন্দ অনুযায়ী আশ্রম বা পেশা নির্ধারন।

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমাজে এখন একে জন্মসূত্রে বিবেচনা করা হয়।ভট্যাচার্য,চট্টোপাধ্যায় নামের পাশে থাকলেই ব্রাক্ষ্মন অথবা দাস, রায় থাকলেই শূদ্র এরকম হাস্যকর কিছু ধারনা প্রচলিত।আমি বুঝিনা কিভাবে মানসিকভাবে সুস্থ বলে পরিচিত এই আমরা এগুলো বিশ্বাস করি। চলুন দেখা যাক বেদ এ ব্যাপারে কি বলে।

ঋগবেদ ১.১১৩.৬

"একজন জ্ঞানের উচ্চ পথে(ব্রাক্ষ্মন

,অপরজন বীরত্বের গৌরবে(ক্ষত্রিয়)

,একজন তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে(পেশাভিত্তিক),আরেকজন সেবা এর পরিশ্রম এ(শূদ্র)।

সকলেই তার ইচ্ছামাফিক পেশায়,সকলের জন্যই ঈশ্বর জাগ্রত।

ঋগবেদ ৯.১১২.১

একেকজনের কর্মক্ষমতা ও আধ্যাত্মিকতা একেকরকম আর সেঅনুসারে কেউ ব্রাক্ষ্মনকেউ ক্ষত্রিয় কেউ বেশ্য কেউ শূদ্র।

ব্রাক্ষ্মন কে?

ঋগবেদ ৭.১০৩.৮

যে ঈশ্বরের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত, অহিংস,সত্‍,নিষ্ ঠাবান, সুশৃঙ্খল,বেদ প্রচারকারী, বেদ জ্ঞানী সে ব্রাক্ষ্মন।

ক্ষত্রিয় কে?

ঋগবেদ ১০.৬৬.৮

দৃড়ভাবে আচার পালনকারী, সত্‍কর্মের দ্বারা শূদ্ধ, রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন,অহিংস,ঈশ্বর সাধক,সত্যের ধারক ন্যায়পরায়ন,বিদ্ বেষমুক্ত ধর্মযোদ্ধা,অসত্য এর বিনাশকারী সে ক্ষত্রিয়।

বেশ্য কে?

অথর্ববেদ ৩.১৫.১

দক্ষ ব্যবসায়ী দানশীল চাকুরীরত এবং চাকুরী প্রদানকারী

শূদ্র কে?

ঋগবেদ ১০.৯৪.১১

যে অদম্য,পরিশ্রমী, অক্লান্ত জরা যাকে সহজে গ্রাস করতে পারেনা,লোভমুক্ত কষ্টসহিষ্ণু সেই শূদ্র

ঋগবেদ ৫.৬০.৫

কর্ম ও গুন ভেদে কেউ ব্রাক্ষ্মন,কেউ ক্ষত্রিয়,কেউ বেশ্য,কেউ শুদ্র। এদের সবার জন্য ঈশ্বরের সমান ভালোবাসা।

তাহলে দেখুন কি পাপটাই না করে চলেছি আমরা!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

বোকা ছেল বলেছেন: আগে কাউকে ব্যাখ্যা কাউকে পারতাম না
এখন পারবো।
:)

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩০

গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: ঋগবেদ ১.১১৩.৬
"একজন জ্ঞানের উচ্চ পথে(ব্রাক্ষ্মন
,অপরজন বীরত্বের গৌরবে(ক্ষত্রিয়)
,একজন তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে(পেশাভিত্তিক),আরেকজন সেবা এর পরিশ্রম এ(শূদ্র)।
সকলেই তার ইচ্ছামাফিক পেশায়,সকলের জন্যই ঈশ্বর জাগ্রত।


নীলাভ জ্ঞানমুদ্রা, পীতাভ নক্ষত্র।

৩| ২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১:২৩

শোভন রাউৎ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.