![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগষ্ট ২০১২
হোটেল থেকে বের হয়ে প্রথমেই গেলাম কেবল কার ষ্টেশনে । সুন্দর করে সাজানো এলাকা, লেক, ফুলের বাগান, সাজানো ঘর বাড়ী এবং বেশ কিছু সুভেনিরের দোকান। দূরে আকাশ ছোঁয়া খাড়া পাহাড়ের নীচেই কেবল কার ষ্টেশন এবং ওরিয়েন্টাল ভিলেজ । ক্যাবল কারের মেইটেনেন্স চলছে পরে আসতে বলল । একটু দমে গেলেও আসে পাসের ছবি তোলার জন্য এতই ব্যস্ত ছিলাম যে, খারাপ লাগেনি । সুন্দর প্রকৃতি এবং সাজানো পরিবেশ পেয়ে বাচ্চারাও বেশ খুশী । লেকের উপর কাঠের হ্যাংগিং ব্রিজ যা উঠলেই দুলে উঠে। এছাড়া পাকা ব্রিজও আছে। এ সব কিছুই পর্যটকদের জন্য বৈচিত্র এনে দেয়। একটু ঘোরাঘুরি করার পর যখনই ভাবছিলাম পরের স্পটে যাব, ঠিক তখনি জানলাম ক্যাবল কার আবার চালু হয়েছে। তাড়াতাড়ি কিউতে দাড়ালাম টিকেটের জন্য।
ক্যাবল কার ষ্টেশন
আমাদের গাইড কাম ড্রাইভার মুসা এসে বলল আমি টিকেট এনে দিচ্ছি। তার বিশেষ কার্ড আছে। ততণে লাইন বিশাল লম্বা হয়ে গেছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে মুসা টিকেট নিয়ে আসল। আমরা লাইন ছেড়ে সরাসরি এট্রি পয়েন্টে চলে গেলাম, সেখান থেকে সিড়ি দিয়ে ক্যাবল কার স্টেশনে যেতে হয়। এখানেই কারে লোকজন উঠে পরবর্তী গন্তব্যে রওয়ানা হয়। আমরা দুই বাংলাদেশী পরিবার এক সাথে একটা কারে উঠলাম। জেটিং হাইল্যান্ডের ক্যাবল কার থেকে এই কেবল কারে চড়ার রোমাঞ্চ অনেক গুন বেশী। প্রায় খাড়া ভাবে দ্রুত গতিতে পাহাড়ের দিকে এই কার উঠছে। কারে বসে দুপাশের পাহাড় সারি, সামনের বিশাল পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্য এবং আশেপাশের এলাকা সুন্দর লাগে । সবচেয়ে ভাল লাগে একটু দূরে সাগরের মাঝে ছোট ছোট সবুজ দ্বীপমালা। নীল সাগরের বুকে যেন সবুজ ভাসছে। ছোট ছোট বোট ও নৌকা সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে কোনটা আবার ঘাটে বাধা। উপর থেকে এ দৃশ্য মনোমুগ্ধ করার মত।
পাহাড়ের গাঁ বেয়ে উছলে পড়া সাদা মোটা ফিতার মত জল প্রপাত, যদিও তা বেশ দূরে মনে হচ্ছিল । কিছুদূর চলার পর জল প্রপাতের উৎস মুখ দেখলাম কেবল কার থেকে। সাধারণত আমরা প্রপাতের নীচে থাকি, পানিতে গা ভেজাই প্রপাতের উপরের দৃশ্য তাই একটু অন্যরকম অনুভূতির জন্ম দেয়। কেবল কারের ২ টা ষ্টেশন, প্রথম স্টেশনে অনেকে নেমে গেল। নতুন পর্যটক উঠল কয়েকজন। তারপর শেষ ষ্টেশনে নেমে অবজারভেশন ডেকের দিকে এগিয়ে গেলাম। বিশাল এলাকা নিয়ে পাহাড়ের চুড়ায় কাঠ ও লোহা দিয়ে দর্শকদের জন্য এই অবজারভেশন ডেক। তিন তালা পর্যন্ত এই ডেক আছে।
সকালের রোদের আলো এবং মেঘের উড়ে যাওয়া এবং গা ছুয়ে যাওয়ার অনুভুতি এখানে পাওয়া যায়। ডেকে উঠে চারিদিকের প্রকৃতি মানুষকে বিহবল করে তোলে। পাহাড়, সাগর, গাছপালা সবমিলিয়ে প্রকৃতির মাঝে যেন নিজেকে নতুন করে আবিস্কার করি । পাহাড়ের নীচে সাগরের দৃশ্য আরোও সুন্দর। গাঢ় নীল, সবুজ ও হালকা সবুজ সাগরের পানি একটা আরেকটা থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। একটা পাত্রে তিন রং এর সমাহারের মাঝে আনন্দময় সাগরের বুকে ছোট ছোট বিন্দুর মত দ্বীপমালা। প্রাণভরে চারপাশ দেখলাম। নীচে কেবল কার পয়েন্টে হালকা ড্রিংকস ও খাবারের ব্যবস্থা আছে। মোম দিয়ে হাতের ছাপ দ্রুত বানিয়ে দেয়। একটা কাউন্টারে ছবি তোলার ও ব্যবস্থা আছে।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
শোভন শামস বলেছেন: আপনার বই এর কথা জানলাম। পেলে সংগ্রহ করব।
ভ্রমন গল্প লিখে যান, পরতে ভাল লাগে।
সুন্দর এক টা বই পরছি। ভ্রমন সমগ্র , সঞ্জিব চট্টোপাধ্যায়ের লিখা
বাকি লিখা গুলো পরবেন আশাকরি
ধন্যবাদ
২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব বলেছেন: চলুক।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৮
শোভন শামস বলেছেন: সুন্দর এক টা বই পরছি। ভ্রমন সমগ্র , সঞ্জিব চট্টোপাধ্যায়ের লিখা
বাকি লিখা গুলো পরবেন আশাকরি
ধন্যবাদ
৩| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯
আন্ধার রাত বলেছেন:
ভাল লাগলো।
দেখতে পারেন
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
শোভন শামস বলেছেন: বাকি লিখা গুলো পরবেন আশাকরি
ধন্যবাদ।
দেখলাম ভাল লেগেছে,সাথেই থাকব
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩
নাহিদ তামিম বলেছেন: ওখনে কার এন্ড মটরসাইলেক ভাড়া পাওয়া যায়, আমরা পুরা ২দিন মটরসাইকেলে গুরছি লাংকাউই শহর।
০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯
শোভন শামস বলেছেন: বাকি লিখা গুলো পরবেন আশাকরি
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
সুফিয়া বলেছেন: আমি অক্টোবর, ২০১১ তে ঘুরে এসেঠছ লংকাভি। সত্যিই প্রকৃতির উজাড় করা সৌন্দর্য এখানে ডানা মেলেছে মানুষের গড়ে তোল আয়োজনের মাধ্যমে। যেদিকে তাকানো যায় চক্ষু জুড়িয়ে যায়।
আপনার লেখা আমার সেই ভ্রমণ স্মৃতির কথা মনে করিয়ে দিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।