নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নানা দেশ কত কথা

শোভন শামস

আমার দেখা নানা দেশের কথা সবার জন্য - পাঠকের ভাল লাগাতেই আনন্দ

শোভন শামস › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসে হাট বাজার- আবিদজান, আইভরিকোস্ট

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২



ওসমান এর সব্জী দোকান



এক বছর প্রবাস জীবনে কত কিছুইতো প্রয়োজন। আবিদজানে থাকাকালীন প্রতিদিন বাজার করা যেত না নানা কারনে। সপ্তাহে দুই এক দিন কিংবা ছুটির দিনে বাজারে যেতাম। শাক সব্জি, চাল তেল, মাছ, মাংস মুরগী সবই কিনতে হত। জোন চারের কাছেই বেশ কিছু সবজির দোকান আছে।এসব দোকান থেকে মাঝে মাঝে কেনাকাটা করতাম, তবে বিকেল বেলা হাঁটতে বের হলেই একটু দূরে গিয়ে দরকারি জিনিষ নিয়ে আসতাম। আমাদেরকে কাঁচা বাজার করতে কয়েকটা মার্কেটে যেতে হত। পথের পাশেও ছোট ছোট দোকান আছে, ওই সব দোকান থেকেও কিনতাম মাঝে মাঝে।



পারগোলার কাছেই দেড় মাইলের মধ্যে একটা ছোট বাজার আছে। রশিদ এর সাথেই এখানে আসা। প্রথম দিন এসেছিলাম বাগেট কিনতে।ফরাসী এই লম্বা ধরনের একটু শক্ত এই পাউরুটি এখানে বেশ চলে। লম্বা এই পাউরুটি ভিতরে গরুর মাংশের টুকরা কাবারের মত দিয়ে একটা ফাস্ট ফুড বানিয়ে দেয় ৫০০ সিএফএ দাম, বেশ ভালই লাগে খেতে। এগুলো পরিষ্কার পরিবেশে ও হাতে গ্লাভস পড়ে করে বলে স্বাস্থ্য সম্মতও। রাস্তার অন্য পাশেই ফুটপাত ছেড়ে দিয়ে অস্থায়ী শেডে ৫/৬ টা সব্জী ও ফলের দোকান। এই দোকান গুলোর উল্টা পার্শ্বে পেষ্ট্রি ও বেকারী শপ সাথে চাইনিজের ছোট্ট ফুড পয়েন্ট।সব্জী কিনতে গিয়ে ওসমানের সাথে পরিচয়।



ওসমান মৌরিতানিয়ার মুসলিম। হালকা শরীর, গায়ের রঙ কালো, তবে ব্যবহার বেশ ভাল। হাসি খুশি থাকে সব সময়। সে ইংরেজি বলতে পারে কিছু , আমাদের সাথে তাঁর বেশ ভাব হয়ে গেল। এই দোকান থেকে মুলা, পেয়াজ টমেটো আলু সবই প্রায় কিনতাম।দাম রিজনেবল। ওসমান না থাকলে তার ভাই মেহেদী থাকে, সেও ভাল। তার দোকানে কোন জিনিষ না থাকলে পাশের দোকানগুলো থেকে এনে দেয়। এদের সবচেয়ে ভাল গুন হোল এরা ওজনে কম দেয় না। আলু ৩০০ সিএফএ টমাটো ৫০০/৬০০, এই দোকানের আশেপাশে ফলের দোকানও আছে। আপেল এক কেজি ১০০০ সিএফএ । পেপে বেশ সস্তা, মিষ্টি হয় এবং ভেতর লাল রঙের। সবচেয়ে সস্তা জাম্বুরা জাতীয় ফল। ৬টা ৫০০ সিএফএ মানে এক ডলারের মত। এগুলো প্রচন্ড টক ও হালকা মিষ্টি। এক দিনই খেলাম। সেখান থেকে ডিম কিনি ৫০ সিএফএ প্রতিটা।



এখানকার বেকারিটা বেশ উন্নত মানের। নানা ধরনের ব্রেড ও বিস্কিট বানানোর পাশাপাশি উন্নত মানের কেক পেস্ট্রি ও বানায় ।সামনে চেয়ার টেবিল পাতা আছে, লোকজন বসে খাওয়া দাওয়া করছে।কিছু দিনের মধ্যেই দেখলাম একটা চাইনিজ ছেলে ছোট্ট একটা জানালা খুলেছে একটা ছোট খাবারের দোকান শুরু করেছে ।চিকেন, প্রন, ফ্রাইড রাইস উইথ সস ও অন্যান্য। লাঞ্চ ও নাস্তা প্যাক আকারে এই জানালা দিয়ে বিক্রি করে। ১৫০০ সিএফএ এক প্যাক খাবারের দাম , দুপুরের খাবার হিসেবে চমৎকার। এক দিন নিজে খেলাম এক দিন গেষ্ট খাওয়ালাম চার জন। খেতে বেশ মজা । ভাল লাগল যে চাইনিজ একজন আফ্রিকার এই দেশে ছোট্ট জায়গায় বসে তার ব্যবসা চালাচ্ছে। এরা হার্ড ওয়ার্কিং জাতি। আমাদের হাঁটার পথেই পড়ে এই এলাকা। বিকেল বেলা বুলেভা মার্সেলেই দিয়ে এদিক হয়ে পারগোলা হোটেলে যাই। এই চক্কর প্রায় সাড়ে চার কিলো মিটার ।



এখান থেকে একটু সামনে গেলে বেশ কয়েকটা আফ্রিকান সুভেনিরের দোকান আছে। দেশে আসার সময় এইসব দোকান থেকে কিছু জিনিসপত্র কিনেছিলাম। সুন্দর এবং মজবুত কাজ এখান কার কারিগরদের।এই রাস্তা দিয়ে ভালেরি জিস্কারড দেসটা সড়কে যাওয়ার ট্রাই জাংসানে বেশ কয়েকটা বেকারি আছে। এগুলো মধ্যম মানের। গরম গরম রুটি কিনে নিতাম এখান থেকে। বাগেত কেনার সময় গরম থাকত, তখন খেতে নরম ও বেশ মজা, ঠাণ্ডা হলেই এটা শক্ত হয়ে যায়। তখন চা বা দুধে চুবিয়ে খেতে হয়।সকাল বিকাল মানুষের লাইন পড়ে যায় রুটি কেনার জন্য। বিস্কিট ও কেনা হত এসব বেকারি থেকে।



এক বছরে এসব এলাকার মানুষের সাথে একটা পরিচয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।প্রথম দিকে অনেক দোকান পাট বন্ধ ছিল, এগুলোর মালিক বেশীরভাগ ফরাসী কিংবা লেবানিজ। যুদ্ধ শুরু হতেই তারা দেশ ছেড়ে চলে যায়। কিছুদিন পর পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার ফিরে এসে ব্যবসা শুরু করে। এখন দোকান গুলোতে অনেক জিনিসপত্র আছে। সবই প্রায় বিদেশী। ফ্রান্সের জিনিসপত্র এখানে পাওয়া যায়। ভোর বেলায় আমরা হাঁটতে যেতাম, সকালের আবহাওয়া একটু গুমোট মনে হত। বাতাস কফির বাষ্পে ভারী মনে হত।পারগোলা এলাকার আশেপাশে অনেক কফি প্রসেসিং ফ্যাক্টরি আছে। নেসলের এখানকার ফ্যাক্টরি থেকে উন্নত মানের কফি ইউরোপের বাজারে যায়। নেসলের ফ্যাক্টরি টা বিশাল এলাকা নিয়ে এবং এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ উন্নত।



একটু অন্ধকার থাকার সময় বের হলে আরেক জগতের দেখা মিলত। রাতের অভিসার সেরে অনেক অভিসারিকারা তখন তাদের নিজ বাসস্থানে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেখা যেত।অতি অল্প দামে এদেশে মানুষের দেহ হাতবদল হয়। সবাই যে আইভরিয়ান তা কিন্তু না, আশেপাশের দেশের অনেকে এই আদিম পেশায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছে অভাবের কারনে, অর্থের প্রয়োজনে।সাদাদের কদর এখানে অনেক বেশি, তাই উত্তরের দেশগুলো থেকেও মোটা অঙ্কের লাভের জন্য অনেকে এদেশে চলে আসত।



বিকেলের দিকে আরেক দৃশ্য, বাড়ী ফেরার পথে মানুষগুলো সেই রাতের খাবার ছোট ছোট পলিথিনের প্যাকে করে নিয়ে যেত। ছোট প্যাকে একটু তেল, একটু চাল, অল্প ডাল দোকানে রেডি থাকত। এক রাতের এই রেশন দিয়ে তাদের রাত পার করত। পরদিনের জন্য আবার নতুন করে জীবন সংগ্রাম। পথের পাশে টেবিলের উপর এক লিটারের কাঁচের বতলের ভিতর বেশ বড় দানার বাদাম বিক্রি হত। এগুলো এক হাজার কিংবা দেড় হাজার সি এফ এ তে বিক্রি হত। বেশ চলত এই বাদাম। বাড়ির মধ্যে মহিলা বাচ্চারা মিলে বাদাম থেকে খোসা ছাড়িয়ে বোতলের ভেতর সেগুলো ভরত।



সাইদা বীচ এলাকাতে এই বাদাম পাওয়া যেত না। এই এলাকা থেকে বাজার কাছে ছিল। সেখানে ঘানা, বেনিন, মালি, গিনি ইত্যাদি দেশের মানুষ মুরগী গরুর মাংস, মাছ বিক্রি করত। মাছের বাজার আমাদের দেশের মতই। কাঁদা ময়লার পাশেই মাছের ঝুড়ি নিয়ে বসে গেছে জেলেরা। এখানেও মাছ বিক্রেতারা অধিকাংশ মহিলা।সুন্দর ভাবে তারা ব্যবসা চালিয়ে যেত। ফার্মের এবং দেশি দুই ধরনের মুরগী এখানে পাওয়া যায়। দাম রিজনেবল। আমাদের সামনেই জবাই করে প্রসেস করে দিত । রুমে এসে এগুলো শুধুমাত্র ফ্রিজে রেখে দিতাম। রাতে কিংবা দুপুরে সময় পেলে এগুলো দিয়ে পেট পুজা হত। সুখ দুঃখে আবিদজানের দিন গুলো এভাবে কেটে যেত।









থ্রেসভিল বাজার এলাকাতে







আবিদজান শহরে বাজারের অভাব নাই। পারগোলাতে থাকার সময় যেমন আশপাশের বাজারে যাওয়া হত তেমনি পরে আটলান্টিকের পারে সাইদা বিচ এলাকাতে আসার পর আমরা কাছের বাজারে যেতাম। নতুন এই এলাকার বাজারে আগে আসিনি কখনো। এখানে সাগর থেকে একটু দুরেই রেল লাইন চলে গেছে। মালি, বুরকিনা ফ্রাসো থেকে মালবাহী ট্রেন এই লাইন দিয়ে আবিদজান পোর্টে আসে।মাঝে মাঝে এই লাইনে কিছু পাসেঞ্জার ট্রেন দেখা যায়। মানুষজন কোথায় যায় তা অবশ্য জানা হয়নি। সাইদা বীচ থেকে বের হয়ে মেইন রোডে এসে ডান দিকে গেলে এয়ারপোর্টের দিকে রাস্তা চলে গেছে, বামের রাস্তা আবিদজানের বিশাল রিফাইনারি এলাকার পাশ দিয়ে গিয়ে রেল স্টেশনের কাছে এসে সব্রকো ও থ্রেসভিলের দিকে চলে গেছে।



থ্রেসভিল বিশাল ব্যবসা কেন্দ্র, এই এলাকাতে পাইকারি বাজার, কাঁচা বাজার এবং সব ধরনের জিনিষ পাওয়া যায়। আমাদেরকে প্রায় সময় এখানে আসতে হত কেনাকাটার জন্য। প্রথমে যখন এসব জায়গা চেনা ছিল না, তখন অন্য দোকান থেকে বেশী দামে জিনিসপত্র কিনতাম। কাঁচা বাজার ও মুদি দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন হলে থ্রেসভিলে চলে আসতাম। এখানকার বাজার একটা বিশাল তিনতালা দালানের মধ্যে। সামনে অনেক বড় কার পার্ক আছে।গাড়ি পার্ক করে নিরাপদে বাজার করা যায়।যাওয়ার পথে এখানকার দারোয়ানকে খুশি হয়ে কিছু দিলে সে আরও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে। একটা ছাত্রের সাথে দেখা হলো এখানে সিকিউরিটি গার্ড। ইংরেজী একটু বলতে পারে। আমাদেরকে জিনিসপত্র কিনতে সাহায্য করল।



সব ধরনের সব্জি এখানে পাওয়া যায়। অনেক মহিলা দোকানী এখানে আছে, তবে মজার কথা হল এরা কেউ আইভরিয়ান না। সবার পিঠেই একটা বাচ্চা, নীচে আরে এক দুটো ঘরাঘুরি করছে। তাদের স্বামীদের কোন খবর নাই, তবে স্ত্রীরা তাদের স্বামীর অনুগত, দিনের শেষে এরা ঘরে ফিরে আসে। এই প্রায় সবাই পাশের দেশ মালি, গিনি কিংবা বুরকিনা ফ্রাসোর।ফাতেমার পিঠে একটা ছেলে আর তার দোকানের সামনে ঘুরে বেরাচ্ছে তার চার পাঁচ বছরের মেয়ে। ঘরে কার কাছে রেখে আসবে, তাই সাথে করে নিয়ে আসে। স্বামীর কোন খবর নেই আপাতত। এদের থেকে আম ও অন্যান্য ফল কিনতাম , এদের সবচেয়ে ভাল গুন হল এরা ওজনে কম দেয় না। মেপে দিয়ে কিছু একটু বেশি দিয়ে দেয়।







এই একই বাজারে নাইজেরিয়ান মুসলিম কসাই আইভরিয়ান একজন কে নিয়ে গরুর মাংস বিক্রি করছে। তার সাথে গল্প হোল। মাঝে মাঝে দেশে যায়, টাকার জন্যই এখানে পড়ে আছে।এই বাজারে মুদি দোকান ও আছে। সেখান থেকে পাইকারি দরে জিনিষ পত্র কেনা যায়। থ্রেসভিল বেশ বড় এলাকা, এখানে অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিষ পত্র ও পাওয়া যায়। লেবানিজদের বেশ কিছু কাপড়ের দোকান আছে এখানে, পর্দার কাপড় বেশ ভাল দামে পাওয়া যেত, এখান থেকে অনেক কাপড় কেনা হয়েছে। এখানে মসজিদ আছে একটা, এটা ও বেশ বড়, প্রতিদিন আজান হয় এখানে, থ্রেসভিলে আসলে এই মসজিদে মাঝে মাঝে নামায পরতাম। কেনাকাটা নতুন জায়গা দেখা, নতুন মানুষের সাথে কিছু আলাপ সব মিলিয়ে দিনগুলো কেটে যেত এরকমভাবে।





মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৮

বিদেশী গুপ্তচর বলেছেন: মিলব??

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

মহসিন৭১ বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ ++++++

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২২

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ ++++

৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

নূর আদনান বলেছেন: বর্ননা ভাল লাগল

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

শরীফ উদ্দিন সবুজ বলেছেন: আইভরি কোষ্ট ঘুরে এসেছেন এমন একজন সাংবাদিক বলেছেন, আইভোরি কোষ্টে হাসপাতাল ও ওষুধের দোকানের চাইতে অনেক বেশি নাইট ক্লাব। ফ্রান্স দেশটাকে লুট করার জন্য তাদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দিয়ে , আর দেশের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে দেশে অশান্তি তৈরী করেছে। মাদক, যৌনতা ছড়িয়ে দিয়ে প্রজন্মকে নষ্ট করে দিয়েছে। সেখানে সুস্থ, পূর্ন পরিবারের লোক পাওয়া কঠিন। ফ্রান্স কারভিউ দিয়ে ঐ দেশের মুল্যবান সম্পদ বিশেষ করে হিরা প্লেনে তুলে নিয়ে যায়।
আমাদের দেশেও একদিকে আমেরিকা লবি, অন্যদিকে ভারত লবি কাজ করছে। দেশটাকে কি তারা আইভরি কোষ্ট বানিয়ে ছাড়বে ?
গতবার ওয়ান ইলেভেন দেশকে বাচিয়ে দিয়েছিলো। এবার কি হবে খোদা তা'আলা জানে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৬

শোভন শামস বলেছেন: অনেক সোনা ফ্রান্সে যায় আবিদজান বন্দর দিয়ে।কেউ জানেনা শুধু কেবল ফ্রান্স জানে......

ধন্যবাদ

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৮

ম্যানিলা নিশি বলেছেন:

ভাল লেগেছে আপনার লেখা।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ , সাথে থাকবেন

৭| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

অদীত বলেছেন: ভালো লাগল। দেশটির সমাজ ব্যবস্থায় ফরাসি সংস্কৃতির প্রভাব নিয়ে একটা লেখা দিতে পারেন।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪

শোভন শামস বলেছেন: ফরাসিরা এদের দেশে সুন্দর রাস্তা বানিয়ে দিয়েছে।
ব্রুয়ারি আছে, দেদার বিয়ার চলে,
ফরাসী ভাষায় কথা বলে, গোসল করে না বলেই মনে হয়,
সমাজ ব্যবস্থায় তেমন পরিবর্তন আসেনি তবে ধনী শ্রেণী আরও ধনী হয়েছে।

অনেকে ফ্রান্স পার্লামেন্টের এম পি ।

ভাল থাকুন ধন্যবাদ

৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০০

জুন বলেছেন: অনেক ভালোলাগলো শোভন শামস আপনার পোষ্ট। অনেক কিছু জানা হলো
আপনার পোষ্ট থেকে সেই আবিদজান তথা আইভরি কোষ্ট সম্পর্কে। কিন্ত সেখানকার মানুষের জীবন বড্ড কষ্টের বলে শুনেছি।
ফ্রেঞ্চ কলোনী আইভরি কোষ্টের এক ভদ্রলোকের সাথে আমার রোমে পরিচয় হয়েছিল। তখন তার বয়স ত্রিশের কোঠার নীচে । সে আমাকে বলেছিল তার ১২ বছর বয়সী এক পুত্র সন্তান রয়েছে। তার বাবা ফ্রান্সে পররাস্ট্র দফতরে উচ্চ পদের রয়েছে। তার বাবা ৯ টি বিয়ে করেছে আইন মোতাবেক। তার কয়টি আপন আর সৎ ভাই বোন তা তার জানা নাই। এত অঢেল সম্পদ যে দেশে সেই দেশের ছেলেটি রোমের ফুটপাথে কাপড় বিক্রী করতো।

+

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

শোভন শামস বলেছেন: ঠিক বলেছেন। এদের পারিবারিক বন্ধন অনেক কারনে বেশ শিথিল।
অনেক সময় ভাই বোন একজন আরেক জনকে চেনে না।

কত বিচিত্র দেশ আরও কত বিচিত্র মানুষের জীবন।

ভাল থাকুন । ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.