নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নানা দেশ কত কথা

শোভন শামস

আমার দেখা নানা দেশের কথা সবার জন্য - পাঠকের ভাল লাগাতেই আনন্দ

শোভন শামস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাভেলগ বেইজিং-২ গ্রেট ওয়াল,বেইজিং অলিম্পিক স্টেডিয়াম

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:১৯


পরদিন সকাল বেলা একজন গাইড একটা মাইক্রো নিয়ে আসল। আমাদেরকে জানাল যে এটা মার্কেটিং প্যাকেজ, পাঁচ জায়গাতে এক ঘণ্টা করে থাকতে হবে তারপর তারা গ্রেট ওয়ালে নিয়ে যাবে, সময় থাকলে সামার প্যালেসে যাবে তা না হলে দিন শেষ।
প্রথমে বুঝতে পারিনি কি বলছে, আমাদেরকে চা এম্পরিয়ামে নিয়ে এলো। এখানে চা এর গুনাগুনের উপর বেশ সুন্দর বক্তৃতা দিল, তারপর নানা ধরনের চা খেতে দিল। সব শেষে চা কেনার জন্য বলল। আমরা এখান থেকে কিছু কিনলাম না। তারপর আমাদেরকে পার্ল মার্কেটে নিয়ে গেল, ভাল ভাবে সব কিছু দেখলাম এবং কিছু কিনলাম না। গাইড বেশ বিরক্ত দেখলাম। আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করল আমরা কিছু কিনব কিনা।আম্রা না বলাতে সে তার এজেন্সির সাথে কথা বলে আমাদেরকে নিবে না বলে জানালো। আমরাও হোটেলে রেখে আসার জন্য বললাম। পরে নতুন একজন গাইড এসে আমাদেরকে বেইজিং শহরের ভেতরে বানানো গ্রেট ওয়াল দেখাবে বলল। আমরা যাব বাদালিং পয়েন্টে গ্রেট ওয়াল দেখতে, এখনেই আসল চীনের প্রাচীর দেখা যায়।

গ্রেট ওয়াল – বেইজিং
এখন বেইজিং শহরের কাছাকাছি জায়গাতে গ্রেট ওয়ালের রেপ্লিকার সাজিয়ে সেখানে একটা পার্ক বানিয়ে রেখেছে। এখানে কেবল কারে করে প্রাচীর দেখা যায়, খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। অনেকে এখন কষ্ট করে চীনের প্রাচীরে না উঠে কেবল কারে করে প্রাচীর দেখে আসে। এখন আসল কথা বের হয়ে আসল। বাদালিং পয়েন্ট অনেক দূরে, তাই এই টাকায় যাওয়া যাবে না তাই ডাবল টাকা দিয়ে আমরা আমাদের মত প্ল্যান করলাম। এখন শান্তিতে বাদালিং পয়েন্টের দিকে রওয়ানা হলাম। প্রায় এক ঘণ্টার বেশী পথ। আমরা অবশেষে গ্রেট ওয়াল এলাকার পারকিং এ পৌঁছে গেলাম।

গ্রেট ওয়াল – বেইজিং
টিকেট নিয়ে ভেতরে ঢুকতে হয়। আমরা হেঁটে ওয়ালের কাছে গেলাম। ধাপে ধাপে সিঁড়ি উঠে গেছে পাহাড়ের গা বেয়ে। আমরা উপর দিকে উঠা শুরু করলাম। উপর থেকে আশেপাশের এলাকার দৃশ্য দেখতে অপূর্ব লাগে। কিছুদূর দিয়ে দুর্গের মত কামরা বানানো আছে। এখানে বিশ্রাম করা যায়, ভেতরে সিঁড়ি আছে তা দিয়ে ছাদে উঠে আশেপাশের এলাকা দেখা যায়। বেশ খাড়া সিঁড়ি, উঠতে উঠতে সবাই একটু হাপিয়ে গেল, আবার একই পথে নামতে হবে। বাতাস বেশ ঠাণ্ডা তাই তেমন কষ্ট হচ্ছে না। আমরা বেশ কিছুক্ষণ উঠে বিশ্রাম নিয়ে আবার নামতে লাগলাম।

নীচে নেমে সুভেনিরের দোকানে গেলাম, সেখানে ঘুরে দেখার পাশাপাশি আইসক্রিম খেল সবাই। প্রায় তিনটার বেশী বাজে। আমরা ফিরতি পথে রওয়ানা হলাম। প্রায় এক ঘণ্টার বেশী জার্নি করে আমরা সামার প্যালেসের সামনে চলে আসলাম। পাঁচটার ভেতর এর গেইট বন্ধ হয়ে যায়। সামার প্যালেসের সামনে কিছু ছবি তুললাম । এখানে অনেক পর্যটকে এলাকা জমজমাট। এটা শহরের কাছে বলে মেট্রো স্টেশানে থেকে ও এখানে আসা যায়। এখানে তিন চাকার ব্যাটারি চালিত যানে করে চলাচল করা যায়।

বার্ড নেস্ট অলিম্পিক স্টেডিয়াম
এখানে কিছুক্ষণ থেকে আমরা বেইজিং অলিম্পিক স্টেডিয়ামের দিকে রওয়ানা হলাম। এখন বিকেল হিয়ে গেছে, ট্রাফিক জ্যাম আছে শহরে। আমরা শেষ বিকেলের দিকে বার্ড নেস্ট স্টেডিয়ামে পৌঁছে গেলাম। এখানে গাড়ি রেখে গাইড নিয়ে আমরা এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম। বিশ এলাকা নিয়ে এই স্টেডিয়াম কমপ্লেক্স। এখানে হাঁটার জায়গা আছে, এক সারিতে অনেক দোকান আছে , নানা ধরনের খেলনা ও সুভেনির এখানে বিক্রি হয়। অনেকে ঘুড়ি উড়াচ্ছে, একটা সুতায় অনেক ঘুড়ি লেজের মত বাধা, এগুলো বিক্রিও হচ্ছে। বেশ জোরালো বাতাস বইছে, ঘুড়ি গুলো ওড়ার দৃশ্য ভাল লাগছে। মাঝে মাঝে বেরসিক পুলিস এসে এদেরকে সরিয়ে দেয়, এদের এখানে ব্যবসা করার অনুমতি নেই তাই তাদের জিনিষ আটকে রাখে। পুলিস চলে গেলে আবার ঘুড়ি উড়ে। এখানে বেশ কিছু ছবি উঠালাম। আএ কাছেই অলিম্পিক সুইমিং পুল, সেটার দৃশ্য ও নান্দনিক। শেষ বিকেলটা ভাল ভাবেই কাতল। সন্ধ্যাড় দিকে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম। সারাটা দিন অনেক হাঁটা হল, দেখা হল অনেক ঐতিহাসিক জায়গা। চীনের রাজধানীতে আসা সার্থক হল।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: চমৎকার আরও একটি পর্ব ভ্রাতা +

অনেক শুভকামনা :)

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৬

শোভন শামস বলেছেন: সাথে থাকবেন,

আপনাদের ভাল লাগাতেই আনন্দ

ধন্যবাদ +++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.