![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই রমজানে যারা মুসলিম ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশায় আছেন তাদেরকে কিছু অনুরোধ করা যেতে পারে।
এই রমজানের খাদ্যে ও ইফতারিতে ভেজাল মিশিয়ে লাভ করা থেকে বিরত হওয়া যায়।
এই মাস ঘুষ বন্ধ করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
সিন্ডিকেট করে দ্রব্য মূল্যের দাম না বাড়ানো যেতে পারে।
বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজে লাভের বখরা না নেয়া যেতে পারে।
এগুলো যারা রোজা রেখে এক ফোঁটা পানি ও খান না, মানুষকে ইফতার খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন এবং হারাম খাবার খান না তাদের জন্য।
আমাদের এই দেশে অনেক ভাল মানুষ আছে, আর ও কিছু যদি এর সাথে যোগ হয়।
আমাদের আবেগকে ধারন করতে কিছু উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
ছাত্রদের উপর নির্মম নির্যাতন ও বর্বর হত্যা কাণ্ডের ঘটনা ইতিহাসের পাতায় লেখার জন্য একত্রে সংকলন করার উদ্যোগ নেয়া হউক। জেলা উপজেলা ও এলাকা ভিত্তিক প্রতিবেদন গুলো গ্রন্থ বদ্ধ করা হউক।
যারা এর সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হউক।
ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘৃণিত কাজ প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হউক।
দেশী বিদেশি সংযোগ বের করার জন্য তদন্তের ব্যবস্থা করা হউক।
বিচার বহির্ভূত গ্রেফতার , আটক ও হত্যার ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধ হউক।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত ধরনের অনিয়ম হয়েছে তার সঠিক তদন্ত কিংবা অনুসন্ধান হয়েছে কিনা জানা নাই। যদি হয়ে থাকে তাহলে কি বিচার হয়েছে এবং কি শাস্তি হয়েছে তা কেউ জানে না।
দিন দিন এ ধরনের অনিয়মের কারনে ধীর ধীরে এক দুই কোটি এখন এক দুই লাখ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। সামনের দিকে এই অবস্থা চলতে থাকলে কি যে হবে জানা নাই।
আমাদের সব ইন্সটিটিউশান ভেঙ্গে পড়ছে যা ভয়াবহ। ব্রিটিশদের এখন কিছু না থাকলে ও তাদের ইন্সটিটিউশান গুলো মজবুত কাঠামোর কারনে তারা এখন ও বিশ্বের মোড়ল। আমাদের এগুলো নষ্ট হলে আমরা আবার দাসের যাতে পরিণত হব।
ঘটে যাওয়া এই ঘটনা গুলো সঠিক ভাবে গ্রন্থবদ্ধ করা না হলে বা গুছিয়ে লিখে না রাখলে আবেগ যখন শেষ হয়ে যাবে তখন তা থাকবে না।
যে কোন ধরনের এফ আই আর ঠিক মত না হলে বিচার মুখ থুবড়ে পড়ে ও অপরাধী পার পেয়ে যায়। এর নেতিবাচক ফল আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি।
উত্তেজনা ও আবেগ শেষ হলে যদি সব থমকে যায় তাহলে এসবের কোন ফল আসবে না, আগের ছকে ফিরে যাবে সবাই, হয়ত অন্য রুপে। দেশ ও মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আমাদের দেশের টাকা দেশে রাখার জন্য শক্ত উদ্যোগ নিতে হবে। দেশ দেউলিয়া করে অন্য দেশে যারা যাচ্ছে তাদের তথ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে এদেরকে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
দেশের আইন সুবিধাভোগীদের জন্য বানালে যে কি ক্ষতি হয় এখন বোঝা যাচ্ছে। আবেগ তাড়িত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় একটা একটা করে সেক্টর, ধরতে হবে, জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কাজ করতে হবে।
একই সাথে একদল সমস্যা গুলো সমাধানে চেষ্টা করবে, একদল এসব নিয়ম কানুন ঠিক করবে, একদল আইনের মারপ্যাঁচ বুঝে সঠিক বিচার নিশ্চিতের চেষ্টা করবে। একদল দেশের ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো প্রায়োরিটি করে তা এগিয়ে নিয়ে যাবে। একদল অর্থ পাচার বন্ধ করে অর্থ গন্তব্য ও ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করে যেতে হবে। বলা সহজ, করা কঠিন। সচেয়ে বড় কথা বেড়ালের গলায় ঘণ্টা পরাবে কে, তবে পড়াতে হবে।
©somewhere in net ltd.