![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন মানুষের জীবন এক বিশাল ক্যানভাস। এখানে সুখ, দুঃখ, হাসি কান্নার মিশেল থাকে। এই জীবনে কেউ বেশী কষ্ট করে কেউ বা কম। একজন সফল মানুষের জীবনের ফেলে আসা সংগ্রামের কথা লিখতে ইচ্ছে হল। শুরু করেছি দেখি কিভাবে শেষ করা যায়।
মাঝপথে এই যাত্রা শুরু, এর আগে ও পরে অনেক কথা আছে, সে গুলো আসতে আসতে বেরিয়ে আসবে আশা করি। আশা করি পাঠকের ধৈর্য শেষ পর্যন্ত থাকবে। সবাই ভাল থাকুন।
ইমন কিভাবে সাউথ হেম্পটনে এসে পৌছাল সেটা আরেক গল্প। সেখানে সে এক আত্মীয়ের বাসায় উঠল, এদের ঠিকানাই তার কাছে ছিল। সন্ধ্যার দিকে সে তাদের বাসায় পৌছাল, তারা বেশ আন্তরিক।
তাকে দেখে খুশি, নতুন মেহমান, বলল, এত কষ্ট করে এখানে এসেছেন, কয়েকদিন বেড়ান। সে যতই বলে তার কাজ দরকার, কিছু টাকা জমাতে হবে, এই কথা কেউ বিশ্বাস করে না। এর আগেরবার সে কোন কাজ না পেয়ে আবার ওদেসাতে ফেরত গিয়েছিল। এর ফলে তার পকেটের অবস্থা এবারে বেশ করুন।
এক সপ্তাহ চলে গেল, তবু কেউ তার কাজ খুজে দেয়ার চেষ্টা করছে না। সে বুঝতে পারল তাকে নিজের চেষ্টা নিজেকেই করতে হবে। সে বাসায় টেলিফোন ছিল তবে সেটা ব্যবহার করতে গেলে সবাই জানতে চাইত কার সাথে কথা বলছে, কি বলছে ইত্যাদি। সে বুঝল, এখান থেকে কাজের জন্য কথা বলা সম্ভব না।
এদের বেশ ভাল অবস্থা, তাদের ছেলেরা পড়াশোনা করে। টাকা থাকায় এলাকায় তাদের বেশ দাপট ও সম্মান আছে। বাসায় খাওয়া দাওয়ার মান ভাল। আরামে বেশ কিছু দিন কাটিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু ইমন তো এভাবে সময় নষ্ট করতে পারে না। তাকে পড়াশোনা শেষ করতে হবে।
সেটা করতে গেলে টাকা দরকার। আগের যে সোভিয়েত সরকারের বৃত্তি পেয়েছিল সেটা এখন বন্ধ। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেছে, এখন ইউক্রেন আলাদা রাষ্ট্র, তারা আগের আমলের বৃত্তি দিবে না। সব বিদেশী ছাত্রদেরকে দেশে ফিরে যেতে বলেছে, তা না হলে নিজ খরচে পড়তে হবে। দুই বছরে চার সেমিস্টার পড়া শেষ। ভাল ফলাফল করেছে, মনে অনেক স্বপ্ন নিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নে এসেছিল, সব যেন ভেঙ্গে পড়ছে। দেশে ফিরে কি করবে, তাই ইংল্যান্ডে ভাগ্য পরীক্ষার জন্য আসা। নিজের মনে সে তার ফেলে আসা সময়ের কথা ভাবছিল।
তাকে পারতে হবে, তার কাছে থাকা শেষ সম্বল পাঁচ পাউন্ড বদলে কয়েন নিয়ে নিল। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় কয়েন ফোনের বুথ ছিল তখন। একটা ইয়োলো পেজ ফোন ডাইরেক্টরি নিয়ে সে এই জায়গার হোটেলের নাম্বার গুলো সংগ্রহ করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে লাগল। সবার কাছ থেকে একটা উত্তর এখন তাদের লোক লাগবে না।
এদিকে কয়েন শেষের পথে, চিন্তা বেড়ে যাচ্ছে, কি করবে, কি হবে, ফিরে যাওয়ার শুধু একটা ওপেন টিকেট আছে তার কাছে। এবার তার হারার উপায় নেই। কয়েন প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এই সময় একটা হোটেল জানাল তাদের কিচেনে একজন লোক লাগবে। সে যেন হাতে প্রান ফিরে পেল, কাজের বিষয়ে জানাল যে তাকে দুই বস্তা পেয়াজ ও এক বস্তা আলু খোসা ছাড়াতে হবে, সাথে সাথে সে রাজি। তাকে ঠিকানা বলে দিল, সিটি সেন্টারের কাছে হোটেল, পরেরদিন তাকে জয়েন করতে বলল।
তার কাছে তখন এক পাউন্ডের মত আছে, সব কিছু গুছিয়ে পরদিন সকালে বাসে করে রওয়ানা হয়ে গেল। বাস ভাড়া এক পাউন্ডের মত, হাতের সব কয়েন বাসের টিকেটের জন্য দিয়ে দিল। তার হাট এখন শূন্য। সামনে এক জীবন, তাকে এগিয়ে যেতে হবে।
হোটেলে এসে সোজা মালিকের সামনে। তাকে দেখে মালিক বলল, আপনাকে দেখে তো শিক্ষিত মনে হয়, আপনি কি কিচেনের কাজ পারবেন।
সাধারণত এখানকার শিক্ষিত ছেলেরা এই কাজ করে না। তাই মালিক তাকে তার মত জানাল । ইমনের কোন পছন্দ অপছন্দের সুযোগ ছিল না ।
আমি সবই পারব।
যদি পারেন তাহলে আমার কোন সমস্যা নাই, উপরে থাকার সিট আছে, এখানে খাবার ফ্রি।
এক দিনে আপনি বার পাউন্ড পাবেন, এর বেশী আমি দিতে পারব না। সপ্তাহে ছয় দিন কাজ এক দিন ছুটি। আপনি রাজি থাকলে এখনই কাজে লেগে যান।
কাজ শুরু হয়ে গেল, আহ কি শান্তি। পকেটের শেষ টাকাটাও বাস ভাড়াতে চলে গেছে। এখন শূন্য হাতে নতুন জীবন শুরু।
কিচেনের পেয়াজের খোসা ছাড়াতে গিয়ে চোখের পানি, নাকের পানিতে একাকার। তার উপর বিশাল বিশাল বস্তা। সব মিলিয়ে বেশ পরিশ্রমের কাজ। তবুও শান্তি, একটা কাজ পেয়েছে, থাকার ও খাবারের চিন্তা করতে হবে না এখন।
নিজেকে সে দ্রুত নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিল। মালিক তার কাজে খুশি, তার সাথে যারা কাজ করে তারাও একজন শিক্ষিত মানুষ পেয়ে খুশি। এভাবে এক সপ্তাহ শেষ হয়ে গেল।
সপ্তাহ শেষে তাকে তার পাওনা টাকা মালিক দিয়ে দিল। অনেক দিন পর আবার তার হাতে টাকা এসেছে। এবার আবার মুক্ত বাতাসে সে শ্বাস নিতে পারবে, বুকের উপর চেপে বসা পাথর কিছুটা হালকা লাগছে এখন।
সপ্তাহের ছুটিতে সে এবার আত্মীয়ের বাসায় টেলিফোন করল। এখন তার সমস্যা সমাধান হয়েছে। তার পকেটে টাকা আছে। সবার সাথে যোগাযোগ করা যায়।
‘আরে মামা আপনি কোথায় আছেন, কেমন আছেন?’
আমি এখানে একটা হোটেলে কাজ পেয়েছি। ভালই আছি।
মামা কোন হোটেল, কি কাজ করেন সেখানে? ইমন হোটেলের কথা জানাল।
তাদের এই সমাজে সিলেটী দুই দলের ভিতরে ইজ্জত নিয়ে বেশ মনকষাকষি ছিল, কেউ কাউকে সহ্য করতে পারত না। একদল আরেক দলকে ছোট করে দেখত।
‘আরে মামা এরা তো আমাদের সাথে যায় না, আমাদের প্রেস্টিজ শেষ হয়ে যাবে যদি জানে আমাদের কুটুম্ব এই হোটেলে কাজ করে।
আপনি কি আমাদের কথা জানিয়েছেন?’
না আমি কিছু বলিনি।
‘যাক ইজ্জত বাঁচছে। এখনই আপনি সব নিয়ে রেডি থাকেন, আমি আপনাকে নিতে চলে আসছি।
কাউকে কিছু বলার দরকার নাই। আপনার নতুন চাকুরী একটা হয়ে গেছে ধরে নেন। আমরা একটা বড় রেস্টুরেন্টে ম্যানেজারের কাজ দিচ্ছি। এখানের চেয়ে বেশী টাকা দিবে’। আমি এই হোটেলের সামনে আসতে পারব না, আমাকে সবাই চিনে, আপনি সব কিছু নিয়ে দুই ব্লক দূরে আসেন আমি অপেক্ষা করব সেখানে।
সব কিছু নিয়ে ইমন সেখানে গেলে তার আত্মীয়কে দেখতে পায়। সে তাকে গাড়িতে করে কাছের এক দ্বীপের বিশাল হোটেলের সামনে নিয়ে আসে।
এটার মালিক বাংলাদেশী এরাও সিলেটের মানুষ, মিলিওনিয়ার। এই মালিকের বেশ কয়েকটা হোটেল আছে। এই জায়গাটা একটা দ্বীপের মত, বাসে করে এখানে আসা যায়। এদেশের ধনীদের বসবাস এই এলাকায়। জেটিতে অনেক ব্যক্তিগত ইয়ট বাঁধা, বাংলো বাড়ি সব কিছু সুন্দর ও গুছানো। পাঁচ তালা বিশাল হোটেল, সব অভিজাত মানুষ এখানে আসে তাদের স্বাদ পরিবর্তনের জন্য। রমরমা ব্যবসা। এখানে ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু হল।
কাজের চাপ আগের চেয়ে কম, পরিবেশ ভাল, তার কাজে মালিক খুশি। কাজের ইচ্ছা থাকায়, এবং শিক্ষিত বলে তার সহকর্মীরাও তাকে ভালভাবে গ্রহণ করেছে। এখানে ও থাকার ভাল ব্যবস্থা আছে, খাবার ও ফ্রি। এভাবে সপ্তাহ পার হয়ে যায়। হতে একটু বেশী টাকা আসে, ইমনের সুদিন ফিরে আসছে যেন।
একদিন হোটেলের মালিক তাকে ডেকে বসতে বলে তার খোঁজ খবর নিল।
‘আপনার কাজে আমি খুশি, আমাদের কাস্টমাররা ও সন্তুষ্ট। আপনি কি এই কাজই করতে চান। আপনি শিক্ষিত মানুষ, আমাদের এখানে শিক্ষিত ছেলে নেই’।
‘আমাদের এখানকার ছেলেরা পড়তে চায় না, টাকা আছে কিছু করে না। শিক্ষিত মানুষ আমার ভাল লাগে। আপনি চাইলে আমি আপনাকে একটা অপশন দিতে চাই’।
আপনি এখানে পড়াশোনা করতে চাইলে আমি আপনার সব ব্যবস্থা করে দিব। টাকা পয়সার জন্য আপনার কোন চিন্তা করতে হবে না। আপনি শুধু পড়াশোনা করবেন।
আমার একটা মেয়ে আছে, এই মেয়েকে আমি একটা রেস্টুরেন্ট লিখে দিব। পড়াশোনা শেষে আপনি ইঞ্জিনিয়ারিং কাজও করতে পারেন না চাইলে ব্যবসা তো আছেই।
আমার এক বন্ধু আছে, সে ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটির চান্সেলর, আমি বললে সে আপনাকে সেখানে নিয়ে নিবে।
এই চান্সেলর বন্ধু চোস্ত ইংরেজ তবে বাংলাদেশী খাবার খুব পছন্দ করত এবং এই মালিকের হোটেল প্রথম থেকেই সে খাবার খেতে আসত। বহু বছর একসাথে থাকার সুবাধে তাদের মধ্যে ভাল সখ্যতা গড়ে উঠেছিল।
সেদিন বিকেলে মালিকের বন্ধু সেই চান্সেলর হোটেল ডিনারের জন্য আসে।
তাকে ইমনের পড়ার কথা জানালে সে পরদিন তাকে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসতে বলে।
এরপর মালিক ইমন কে বলে আপনি যদি পড়তে চান তাহলে কাল সকাল সাত’টায় রেডি থাকবেন, আমি আপনাকে ইউনিভার্সিটিতে নিয়ে যাব।
পরদিন সময়মত গাড়ি নিয়ে মামা হাজির। ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে চান্সেলরের সাথে কথা বলে সে দিনই ভর্তি হয়ে যায়, পরদিন থেকে ক্লাস শুরু।
ক্লাসে যাওয়ার পর ইমন দেখল দুই বছর ধরে যা সে পরে এসেছে এখানে আবার নতুন করে তা পড়তে হবে, তা ছাড়া এর মধ্যে তার বয়স হয়ে গেছে, এখানকার ছাত্ররা তার থেকে বয়সে ছোট, সেখানে নানা ধরনের ভাষাগত সমস্যা। সে রাশিয়ান ভাষায় ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিষয়গুলো পড়েছে। সেখানে সে অনেক কষ্ট করেছে ও ভাল ফলাফল করেছে। এখন আবার তাকে নতুন করে পড়তে হবে। সে তার ইউনিভার্সিটিতে চার সেমিস্টারে বিশ’টা সাবজেক্ট শেষ করে এসেছে। নতুন করে আবার সেই একই বিষয় তার পড়তে ইচ্ছে করছিল না। এখানকার পরিবেশ ও তাকে তেমন আকর্ষণ করতে পারেনি। সব মিলিয়ে তার ভাল লাগছিল না নতুন করে শুরু হওয়া এই ছাত্র জীবন।
সে তার মালিককে বলল, মামা পড়ার টাকাটা কি দুই সপ্তাহ পরে দেয়া যায়। এর মধ্যে যেন ফি না জমা দেয়, মামার বন্ধু ও তাতে রাজি হয়ে গেল।
পড়ার খরচ বেশ এখানে, সেমিস্টার ফি প্রায় চারহাজার পাঁচশ টাকা, বই পত্র, আসা যাওয়া সব মিলিয়ে বিশাল অঙ্কের খরচ। এত ঋণ সে কিভাবে শোধ করবে।
দুই সপ্তাহ ধরে মামা থাকে প্রতিদিন গাড়িতে করে ইউনিভার্সিটিতে নামিয়ে দিয়ে আসত, আবার ক্লাস শেষে নিয়ে আসত। এই জিবিন ইমনের ভাল লাগছিল না। সে স্বাধীন মুক্ত জীবন যাপন করেছে, কষ্ট থাকলেও সেখানে সেই ছিল সব। এই রাজকীয় পরাধীনতা সে মানতে পারছিল না।
ক্লাস করে এসে রাতে সে হোটেলে কাজ করত তাকে পড়াশোনা ও করতে হত। বেশ চাপে থাকতে হত তাকে। সে এই ঝামেলা থেকে বের হয়ে আসতে চাইছিল।
দুই সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগে মালিককে সে সব বুঝিয়ে বলল। তাকে জানালো আর দুই বছর পর তার পড়া শেষ হয়ে যাবে। তখন সে ফিরে আসবে এখানে। কথাটা খারাপ বলেন নাই, অনেক টাকার বিষয়, যদি ও আমি আপনার থেকে টাকা নিতাম না। অবশ্যই আপনার ভাল না লাগলে আপনি পড়বেন না। জোরাজুরির কিছু নাই এখানে।
সে আবার তার হোটেলের স্বাভাবিক কাজে ফিরে গেল।
ইমন তার এখানকার কাজের টাকার একটা হিসেব করে ফেললো। সে একবছর কিংবা বেশী হলে চৌদ্দ মাস কাজ করবে। সে হিসেবে সে বেশ কিছু টাকা পাবে, এই টাকাটা মামার সাথে আলোচনা করে অগ্রিম নিয়ে নিল, এবং তা দেশে বাবার কাছে পাঠিয়ে দিল।
ইউক্রেনে ফিরে গিয়ে পড়াশোনা করার জন্য,তার কাছে আর টাকা থাকল না ।
নিজেই সে এই সিধান্ত নিয়েছে, এখন সে কিভাবে টাকা পাবে।
দেশে তার বাবা এতে বেশ খুশি, তিনি জানেন না তার এখনকার অবস্থা। ইমন তাকে কিছু জানায়নি। কিন্তু তাকে তো আরও টাকা যোগার করতে হবে।
সমস্যা থাকলে সমাধানও হয়। এই হোটেলের কাছেই ছিল একটা লণ্ড্রী শপ, হোটেলের সব কাপড় এখানে ধোয়া হত। সপ্তাহ শেষে ম্যানেজার রিসিট রেখে সেই বিল দিয়ে দিত। ম্যানেজার হিসেবে সে লণ্ড্রী শপের টাকা সময় মত দিয়ে দিত, এতে লণ্ড্রী শপের মালিক ও তাকে পছন্দ করত।
ঠিক সে সময় লণ্ড্রী শপে একজন কর্মীর দরকার হল, ছয় ঘণ্টার কাজ। ইমন লণ্ড্রী শপের মালিকের সাথে কথা বলে তার সুবিধামত ছয় ঘণ্টা কাজের সময় বের করে ফেলল। এখানে তেমন বেশী টাকা না হলে ও তার উপার্জন বেড়ে গেল, হাতে টাকা আসা শুরু হল।
ছয় মাসের টুরিস্ট ভিসায় সে এসেছে, সময় পার হয়ে যাচ্ছে, তাই সে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদল করল। এর ফলে আবেদন একসেপ্ট বা রিজেক্ট না হওয়া পর্যন্ত সে সময় পেল। তার রিটার্ন টিকেটের মেয়াদ ও শেষ হয়ে গেল। তাকে নতুন করে আবার ফিরে যাওয়ার টিকেট কিনতে হবে।
এসব কোন কিছুই সে চিন্তায় না এনে একমনে কাজ করে যেতে লাগল।
হোটেল মালিক মামা কিন্তু তার ভিসা সমস্যা , ইমিগ্রেশান ও অন্যান্য কাজ ঠিক করে দেয়ার কথা জানিয়েছিল। সে তা গ্রহণ করেনি। এখন সব কিছু তাকেই সামলাতে হবে।
এক সময় তাকে ইংলান্ড ছাড়ার চিঠি দিল, তার কাছে বেশ কিছু টাকা জমেছে। সে আবার নতুন করে টিকেট করে ইউক্রেনের পথে রওয়ানা হল।
এই এক বছরে সেই দেশ অনেক বদলে গেছে। এখানকার মানুষ যুদ্ধের আশংকা করছিল এক সময় তা কেটে গেছে। তবে সামনে যদি আবার কিছু হয় এবং তাকে দেশে ফিরে যেতে হয় এজন্য সে টিকেটের টাকা রেখে বাকী টাকা দিয়ে একটা গাড়ি কিনে ফেলল।
নতুন করে আবার ভর্তি হয়ে পড়াশোনা শুরু করল এখানে। আবার একটা নতুন জীবন সংগ্রাম শুরু হল।
চলবে---
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩
শোভন শামস বলেছেন: ঠিক বলেছেন, সংকটের মাঝে বেঁচে থাকাই জীবন। সাফল্যের গল্পই মানুষ শুনতে চায়।
সবার সংগ্রামও আবার এক না। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১০
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: জীবনে চলতে পথে কঠিন সংগ্রাম করে চলতে হয়
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩২
বিজন রয় বলেছেন: জীবন মানেই সংগ্রাম, যুদ্ধ, ব্যর্থতা, সফলতা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে মানুষের জীবন সহজ নয়।
তাকে লড়াই করেই এগিয়ে যেতে হয়।