![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লস এঞ্জেলস শহরের বাস এবং মেট্রো দিয়ে সাধারণ মানুষ তাদের নিত্য দিনের কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারে। তবে এসব শহরে গাড়ি থাকলে যাতায়াত ও নানা দিকে বেড়াতে যাওয়ার অনেক সুবিধা হয়। এখানে নিউ ইয়র্কের চেয়ে ফুয়েলের দাম বেশী এবং আগের চেয়ে নিত্যপণ্যের দাম এখন অনেক বেড়ে গেছে। এখানে গৃহহীন বা হোমলেসের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ইটন ফায়ার ও অন্যান্য দাবানলের ঘটনায় প্রায় এক লাখের মত বাড়ি জ্বলে যাওয়ায় নানা ধরনের বিল ও ট্যাক্সের পরিমান বেড়ে গেছে। সাধারণ মানুষ নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে বেশ কষ্টে আছে।
এখানে মাঝে মাঝে বাসে করে যেতে হয়। বাসে হুইল চেয়ারের যাত্রীদের জন্য ব্যবস্থা আছে, যারা বিভিন্ন রোগের কারনে পঙ্গু বা মানসিক সমস্যা আছে কিংবা বয়স্ক তাদের বসার জন্য সিট আছে। সে ধরনের যাত্রী এলে তাদের জন্য জায়গা ছেড়ে দেয়া হয়।
বাসের উঠার পরে একজনকে দেখলাম তিনটা ডিজএবল সিট নিয়ে আছে। একটাতে বসেছে বাকী দুটোতে তার ব্যাগ ও অন্যান্য জিনিস রেখেছে। তাকে দেখে অসুস্থ বলে বোঝা যায় না। কেউ কিছু বলে না, দাঁড়িয়ে থেকে নিজের গন্তব্যে নেমে যায়। পথে এক স্টপেজ থেকে একজন মাঝ বয়সী মহিলা উঠল, সাথে দশ বারো বছরের এক মেয়ে।
মহিলার চেহারায় একটু রাগী রাগী ভাব। উঠেই সে তাকে সিট খালি করে দিতে বলল। সে অনিচ্ছা স্বত্বে ও একটা সিট খালি করল, এখন মহিলা বলল পাশের সিট থেকে তার ব্যাগ সরাতে, সে বলল আমি হ্যান্ডইকাপ আমি সরাব না, মহিলা বলল আমি মেয়ের পাশে বসব আমিও বয়স্ক এই সিটে বসার যোগ্য।
সে ছাড়বে না সিট, মহিলা সেখানে বসবেই একটু পরে সে ব্যাগ সরিয়ে জায়গা দিতে দিতে বাস ছেড়ে দিল, মহিলা বসতে গিয়ে তার কোলে ধাক্কা খেয়ে পেছনে পরে গেল, এ সময় সাথে যাত্রীদের সাথে ধাক্কা লেগে বাসের ফ্লোরে পড়ার হাত থেকে বেঁচে গেল। উঠেই মহিলা সেই লোকের মুখে কশে থাপ্পর মেরে দিল। সবাই অবাক আর চুপ, লোকটা বলে উঠল আই এম এসল্টেড, বাস থেমে গেল।
এক কাল মহিলা বাস চালাচ্ছিল। লোকটা বারে বারে আই এম এসল্টেড বলে চিৎকার করছিল, আর বলছিল আই এম ডিজেবল। বাস চালক ফোন করে সিকিউরিটিকে জানিয়ে দিল, বাস কাছের স্টপেজে থেমে গেল। বাস আর চলছে না, দু জন যাত্রী লোকটাকে থামতে বলল, সে জানাল সে তার যেতে পারবে না বাস না চললে। লোকটা বলল তার কাজ আছে দেরি হয়ে যাচ্ছে। চালক কিছু বলে না, শেষে লোকটা চালককে বলল, তুমি কাল বলে আমাকে ফেভার করছ না। চালক চুপ, বাসের যাত্রীরা তাকে চুপ করতে বলল, সে আর কথা না বলে বাস থেকে নেমে গেল। নেমে কিছু দূর গিয়ে ফিরে এসে বাসের নাম্বার প্লেটের ছবি তুলল। চালক এই ঘটনা আবার বাসের নিরাপত্তা বিভাগে জানালো। যাত্রীরা অধৈর্য হয়ে পড়েছে, নির্দেশ পেয়ে বাস চলা শুরু করল।
সেই মহিলা নির্বিকার ভাবে আরেক সিটে বসে গল্প জুড়ে দিল, যেন কিছু হয়নি। বেশ ঝগড়াটে অভিজ্ঞ ও সাহসি মনে হল।
বাসে এটা এক নতুন অভিজ্ঞতা। প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু দেখছি আর শিখছি।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৬
শোভন শামস বলেছেন: জীবনের বাস্তবতা
ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন।
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সুন্দর গল্প।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৭
শোভন শামস বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল
ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন।
৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: চলতে পথে একদিন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৮
শোভন শামস বলেছেন: প্রতিদিনই নতুন নতুন অভিজ্ঞতা
ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন।
৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯
গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: যে বিবরণ দিয়েছেন তাতে মনে হল থাপ্পর খাওয়া লোকটা গলু রাজাকার। ব্যাটা তো নিউইয়র্কে ছিল। গার্বেজের সন্ধানে কি শেষ পর্যন্ত বেটা ক্যালিফোর্নিয়াতে হিজরত করল?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩০
শোভন শামস বলেছেন: এখানে অনেক স্প্যানিশ বা সাউথ আমারিকার মানুষ বসবাস করে। এক সময় এটা তাদের দেশ ছিল।
ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন।
৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
শায়মা বলেছেন: বাসে উঠেও মারামারি ঝগড়া ঝাটি!!!
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩২
শোভন শামস বলেছেন: পাবলিক ট্রান্সপোর্টে এ ধরনের নানা সমস্যা প্রতিদিনই হয়। নতুন নতুন ঝামেলা। এগুলো নিয়েই জীবন।
ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন।
৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:৩৯
জনারণ্যে একজন বলেছেন: এই মাসের প্রথম সপ্তাহের কয়েকটা দিন আপনাদের ওখানেই ছিলাম।
আমি গ্রামের মানুষ, ট্রাফিক তেমন পাইনা বললেই চলে। যতবার গেছি, এলএ'তে ঢোকার আগেই ট্রাফিক দেখে শাপ-শাপান্ত-বাপ-বাপান্ত শুরু করেছি। তারপর টানা পনেরো ঘন্টা ড্রাইভ করে যখন পৌছুলাম, সূর্য ভদ্রলোক দেখি সরাসরি আমার চোখেই ফোকাস করেছেন ঘন্টা দুয়েকের জন্য। যাইহোক, ওই বিরক্তিকর বাম্পার-টু-বাম্পার ট্রাফিক এভোয়েড করার জন্যই রাত তিনটার সময় রওনা দিয়ে চলে এসেছি।
আসার সময় কস্তুরী থেকে ইলিশ মাছ আর নাথ বাবু'র দোকান থেকে সাজিনা, আর পুঁইশাক কিনে এনেছিলাম।
বড়ো শহরের মানুষের ভ্যালুজ খুব ডিফারেন্ট।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৭
শোভন শামস বলেছেন: এখানে অনেক ট্রাফিক, অফিস শেষে অনেক বড় লাইন লেগে যায়। তবে বেশীরভাগ মানুষ নিয়ম মানে।
ধন্যবাদ, সাথে থাকবেন।
৭| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২৪
জনারণ্যে একজন বলেছেন: লেখক বলেছেন: এখানে অনেক ট্রাফিক, অফিস শেষে অনেক বড় লাইন লেগে যায়। তবে বেশীরভাগ মানুষ নিয়ম মানে।
--- ও তাই? জানতাম না তো!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৪৯
শোভন শামস বলেছেন: অনেকেই নিয়ম মানে তা না হলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটত।
ধন্যবাদ সাথে থাকবেন,
৮| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর লেখা।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ২:৫০
শোভন শামস বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। লিখে যান
৯| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: চলার পথের একটি বাস্তব ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা আপনার এ পোস্ট পড়ে মনে হলো, সহিষ্ণুতার অভাব ওখানকার মানুষগুলোর মধ্যেও প্রবলভাবে বিরাজমান।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
শোভন শামস বলেছেন: এখানকার মানুষগুলোর সহিষ্ণুতার অভাব বেশ চোখে পড়ে। সবাই ছুটছে, জীবন সংগ্রামে, এর মাঝে অনেকে ছিটকে পড়ছে, হোম লেসের সংখ্যা বাড়ছে। জীবন এখানে তার আকর্ষণ হারিয়ে ফেলছে বিশেষত যারা পড়ন্ত বয়সী ও বৃদ্ধ।
ভাল থাকুক এদেশের মানুষগুলো।
আমাদের দেশটাও ভাল থাকুক।
ধন্যবাদ সাথে থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৩৪
সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগলো