নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাছের মত চোখ থাকলে ভাল হত, জাগতিক সব সূক্ষ্ম আর জটিল বাস্তবতাগুলো অবলোকন করার মত সুযোগ থাকত ।।

শৈপীল

আমার মস্তিষ্কে আমার দ্বারা তৈরিকৃত, আমার কল্পনা জগৎটি অনেক বড়। আমি আমার কল্পনার চরিত্রের একটি চরিত্র। আমার নিজের এই কল্পনার জগৎটির জন্য আমাকে অনেক সময় ব্যায় করতে হয়, তাই আপনাকে নিয়ে ভাবার মত সময় আমার কাছে নেই।জানি আপনারও থাকবে না !!!

শৈপীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয় ও বিশ্বাস

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৫৭

ভয় ও বিশ্বাস, শব্দ দুটির অর্থ ভিন্ন হলেও এ দুটি শব্দ একে অপরের সাথে গভীরভাবে জড়িত। যাকে পয়সার এপিঠ আর ওপিঠ ভেবে তুলনা করা যেতে পারে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কিভাবে জড়িত?
ভয় আর বিশ্বাস জিনিসটা-ই বা কি? কেন এই জিনিসের উদ্ভব হল?
সত্যি বলতে আমারও সঠিক জানা নেই। কিন্তু, যেসব জিনিস দৃশ্যমান নয়,যা প্রমান করার জন্য কোন দলিলপত্র লাগেনা , সেগুলোকেই আমরা ভয় ও বিশ্বাস বলে ধরে নেই । বাস্তব উদাহরনে যদি যেতে হয় তাহলে লেখা যেতে পারে এভাবে, আপনার খুব কাছের একজন বন্ধু আপনার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার হিসাবে চাইল এবং এক সপ্তাহের মধ্যে সে টাকাটা আপনাকে ফেরত দিয়ে দেবে বলে জানালো। আপনি আপনার বন্ধুকে এতটাই ভালভাবে চেনেন যে, বিনা দ্বিধায় অন্য কোন তৃতীয় পক্ষকে না জানিয়েই তার হাতে টাকাটা তুলে দিলেন। উদাহরনে এখন পর্যন্ত যেটা কাজ করছে সেটা হচ্ছে বিশ্বাস । আপনার বন্ধু’র, আপনার উপর বিশ্বাস ছিল বলেই সে আপনার কাছে টাকাটা চেয়েছে আর আপনার বন্ধুর উপর আপনার বিশ্বাস আছে বলেই আপনি টাকাটা তাকে দিয়েছেন । তাহলে এখানে ভয় কোথায়??
[বিশ্বাস ঠিকই করি কিন্তু ভয় পায় কিনা, সন্দেহ আছে...]

এখন,টাকা ধার দেবার ছয় দিন পর আপনার বন্ধুটির আর খবর নেই । তখন আপনার মাথায় চিন্তা আসবে আপনার ধার দেয়া টাকাটা নিয়ে । ভয়ের সৃষ্টি হবে এবং আরেকটা জিনিসেরও সৃষ্টি হবে, সেটা হল অবিশ্বাস । এটিও দৃশ্যমান নয় । আধ্যাত্মিক উদাহরন যদি দিতে হয়, যদি আমি জিজ্ঞেস করি “ভূতে বিশ্বাস করেন বা ভূতে ভয় পান”??
আপনার উত্তর যদি “হ্যা” হয় তাহলেও আপনার কাছে ভূত নামক জিনিসটি দৃশ্যমান নয় আবার আপনার উত্তর যদি “না”-ও হয়, তাহলেও আপনার কাছে ভূত নামক জিনিসটি দৃশ্যমান নয়। তাহলে “না” আর “হ্যা” এর পার্থক্য কোথায়? যদি পার্থক্য-ই না থাকে তাহলে হয় আমার প্রশ্নটি ঠিক নেই অথবা আপনার উত্তরটি ।
যদি জিজ্ঞাস করি “সৃষ্টিকর্তা”-কে বিশ্বাস করেন বা “সৃষ্টিকর্তা”_কে ভয় পান?
আপনার উত্তর কি হবে? থাক, এই উত্তরটা আপনার কাছেই রাখুন ।
বাস্তব জগতে ফিরে আসি। যদি জিজ্ঞাস করি, পড়াশোনা কেন করছেন?
যদি আপনার উত্তর হয় ভাল লাগছে তাই। তাহলে বেশিরভাগ মানুষ ভাববে, আপনি মিথ্যে বলছেন অথবা ভাব নিচ্ছেন । কিন্তু কেন?

এখানেও সেই বিশ্বাস নামক জিনিসটি কাজ করছে। যা দৃশ্যমান নয়। কিভাবে?
বেশীরভাগ মানুষ এটা বিশ্বাস করতে ভালবাসে যে , পড়াশোনা করলে ভবিষ্যতে আপনাকে বেকার থাকতে হবেনা আব আপনি অনেক সুখে থাকবেন। যদিও আপনি পড়াশোনা করছেন আপনার ভাল লাগার জন্য । কিন্তু বিশ্বাসের কাছে আপনার ভাললাগাও হেরে যেতে পারে । কিন্তু বিশ্বাস দৃশ্যমান নয় ।
বস্তুত আমরা যে জিনিসকেই ভয় পায় সে জিনিসকেই বিশ্বাস করি অথবা যে-ই জিনিসকে বিশ্বাস করি সেই জিনিসটাকেই ভয় পায়। ভয় আর বিশ্বাস কোনটিই দৃশ্যমান নয়। আর তা হবার প্রয়োজনও নেই । যদি এই ভয় আর বিশ্বাস না থাকত তাহলে কি হত?
আপনি কোন ইচ্ছা করতে পারতেন না, আপনি কিছু আশা করতে পারতেন না, আপনি স্পেশাল কোন মানুষকে পাবার আশা করতে পারতেন না, আর সব থেকে বড় কথা অদ্ভুত_অদ্ভুত স্বপ্নও আর আপনি দেখতেন না। কিছু জিনিসে লজিক অথবা কারন কোনটাই কাজ করেনা ।
যদিও বানী চিরন্তনী, “কারন ছাড়া এই পৃথিবীতে কিছুই ঘটেনা”।
তাহলে ভয় আর বিশ্বাসের পিছনে কারন কী?
হতে পারে সুন্দর সমাজ ব্যবস্থার জন্য, হতে পারে খারাপ-ভাল বোঝার জন্য,হতে পারে সুখ-দুঃখ অনুধাবনের জন্য, হতে পারে নিজেকে নিজে চেনার জন্য.... অনেক কিছুই হতে পারে ।
এত কিছু কেন লিখলাম ?
কিছু মানুষ থাকে যারা প্রমানে বিশ্বাসী । প্রমান ছাড়া কথায় শুনতে চায় না। মুখের কথা তাদের মগজের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপে বাধা দেয় । সামান্য কিছু টাকা তাদের হাতে ধরালে-ই আবার মুখের কথা বিশ্বাস করতে শুরু করে। এরা অসুস্থ মস্তিষ্কের সুস্থ মানুষ। এবং সমাজের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ।
যাহোক,বিশ্বাস আর ভয়ের মধ্যে কোনটা বেশী শক্তিশালী ?
অবশ্যই বিশ্বাস । কারন, গরম লাগলেই যে সুইচ টিপে বৈদ্যুতিক পাখা নামক মেশিনটির নিচে মাথা রেখে আরাম পাচ্ছেন । এই বিশ্বাসে যে, সেটি খুলে এসে আপনার মাথায় পড়বেনা । এখানে ভয় কাজ করছেনা । নিজের সুখ রক্ষার্তে আরেকজনের সুখ নষ্ট করছেন, ভয় পাচ্ছেন না । ঘুষ নিচ্ছেন, মানুষের বিশ্বাস অর্জনের পর তাকে ঠকাচ্ছেন, কিন্তু ভয় পাচ্ছেন না । পরিস্থিতি এমনই, খারাপ হোক আর ভাল হোক বিশ্বাস টিকে আছে কিন্তু ভয় বিলুপ্ত হচ্ছে । আচ্ছা, একটা একটা প্রশ্নের উত্তর দিন তো , ঐ যে যেটার উত্তর আপনার কাছে রাখতে বলেছিলাম । আচ্ছা, বাদ দিন , কোন এক জায়গায় থার্ড ব্র্যাকেট-এ একটা কথা লেখা ছিল ওটাই আপনার উত্তর না তো ...!!
বিঃদ্রঃ আপনার দিকে অনেক চোখই তাকিয়ে আছে । তারা আপনার বাহ্যিক দেখেই আপনাকে বিচার করছে। কিন্তু একটা চোখ আপনাকে ঠিক আপনার মত করেই দেখছে এবং আপনার কৃতকর্মগুলোকেও অবলোকন করছে। আপনারই অন্তরালে ।যেকোন কাজ করার আগে একবার সেই চোখের কথা ভাবুন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.