নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাছের মত চোখ থাকলে ভাল হত, জাগতিক সব সূক্ষ্ম আর জটিল বাস্তবতাগুলো অবলোকন করার মত সুযোগ থাকত ।।

শৈপীল

আমার মস্তিষ্কে আমার দ্বারা তৈরিকৃত, আমার কল্পনা জগৎটি অনেক বড়। আমি আমার কল্পনার চরিত্রের একটি চরিত্র। আমার নিজের এই কল্পনার জগৎটির জন্য আমাকে অনেক সময় ব্যায় করতে হয়, তাই আপনাকে নিয়ে ভাবার মত সময় আমার কাছে নেই।জানি আপনারও থাকবে না !!!

শৈপীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেলুন রহস্য

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

বেলুনটা আজও স্পেশাল আমার কাছে।
অনেকবার চেষ্টা করেছি ফেলে দেবার কিন্তু,
পারিনি। বেলুনটার বয়স প্রায় চার বছর, আমার
পুরানো ম্যানিব্যাগের একপাশে পড়ে থাকতে-
থাকতে সে পুরা অসুস্থ হয়ে গেছে। তার
অবস্থাও এখন খারাপ। শরীরের অনেক অংশ নষ্ট
হয়ে গেছে।
কী ভাবছেন? পাগল হয়ে গেছি। না, পাগল
হয়নি । ওই যে, একটা কথা আছেনা, ‘মেয়েদের
চেয়ে ছেলেদের স্মৃতিতে কিছু মোমেন্ট দাগ
কাটে বেশী” । আমারও সেই অবস্থা।
স্কুলে থাকাকালীন সময়ে , একফ্রেন্ডের চয়েস
আর আমার চয়েস সবসময় এক হয়ে যেত। ফলপ্রসূ
যে মেয়েকে আমি চুস করলাম সেই একই
মেয়েকে,ও চুস করল।
মেয়েটির পছন্দ যখন আমার ফ্রেন্ডের
দিকে ছিল একটু, আমি তাকে পছন্দ করা ত্যাগ
করলাম। বরং, তাদের রিলেশান
কিভাবে পার্মানেন্ট করা যায়, সেই
রাস্তা বের করতে শুরু করলাম। টিফিন-
পিরিয়ডে ওদের কথা বলানো , ফেসবুকে আমার
ফ্রেন্ডের আইডি খুলে দেয়া ,ঐ মেয়ের
সাথে চ্যাট করার জন্য। এরকম ছোটখাট কাজ
করতে লাগলাম। মোটামুটি ওদের রিলেশান
ভালই হয়ে গেল । আর পাহাড়াদার এর
ডিউটি থেকে মুক্ত হলাম। ঐ মেয়ের
সাথে ভার্চুয়ালি ছাড়া কোনদিন
কথা বলিনি আমি। কিন্তু, যাকে ভাল লাগে তার
জন্য দুর্বলতা থাকেই একটু ।
আমারও ওরকম ছিল, কিন্তু অতটা সিরিয়াস না।
ওদের ব্রেক-আপ হইছিল, নাইনের শেষের
দিকে । খুব খারাপ লাগছিল। আবার ভালোও
লাগতেছিল। কিন্তু, ব্রেক-আপ কারণ
ছিল,মেয়ের নতুন রিলেশান। তাই আবার খারাপ
লাগতেছিল।
স্কুলের rag day-এর আগের দিন, আমার
ইনবক্সে একটা টেক্সট পাইলাম, দেখি ঐ
মেয়ে লিখছে, তুমি আসতেছ?
আমার যাওয়ার ইচ্ছা ছিলনা। আর তার থেকে বড়
কথা, মেয়ের সাথে আমি অতটা ফ্রি-
না যে আমাকে এই টেক্সট দিবে। তাই ভাবলাম
ভুল করে চলে আসছে।
রিপ্লাই দিলাম না ।
পরদিন
স্কুলে যথারীতি হলরুমে পার্টি হইতেছে , এক
ফ্রেন্ড আইস্যা কইল,
তোরে দেখা করতে বলছে। হলরুমের
পাশে কম্পিউটার ল্যাবে- ঐ মেয়ে ওয়েট
করতেছে।
একটু অবাক হইয়া কইলাম, আমারে ডাকছে?
গেলাম কম্পিউটার ল্যাবে,মেয়ে কইল,
কালকে টেক্সট এর রিপ্লাই দিলা না, ক্যান?
আমি মনে করছিলাম, তুমি ভুল করে পাঠাইছ।
আচ্ছা, তুমি কি কিছু আমারে বলবা?
কী, বলব?
স্পেশাল কিছু?
না।
সিওর?
হ্যা,সিওর।।
মেয়েটা একটা পার্টির একটা বেলুনে ফু-
দিতে দিতে, বেলুনটা আমার হাতে ধরাই
দিয়া বলল, এটা ফুলায়ে হলরুমে আস। তারপর ,এক
ইমোশনাল হাসি দিয়া বাহির হইয়া গেল।
আমি ঐ বেলুন নিয়ে আর হলরুমে গেলাম
না ,সোজা বাসায় আসলাম।
আর ওর ফার্স্ট গিফট
হিসেবে ওইটা রেখে দিলাম। যতবারই
বেলুনটা ফুলাই ততবারই মনে হয় ওর ঠোট স্পর্শ
করছি।
অবশ্যই এটা পাগলামী বা ন্যাকামি। কিন্তু, আমার
কাছে ঐ মূহুর্তগুলা কেন জানি চরম লাগে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.