নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাছের মত চোখ থাকলে ভাল হত, জাগতিক সব সূক্ষ্ম আর জটিল বাস্তবতাগুলো অবলোকন করার মত সুযোগ থাকত ।।

শৈপীল

আমার মস্তিষ্কে আমার দ্বারা তৈরিকৃত, আমার কল্পনা জগৎটি অনেক বড়। আমি আমার কল্পনার চরিত্রের একটি চরিত্র। আমার নিজের এই কল্পনার জগৎটির জন্য আমাকে অনেক সময় ব্যায় করতে হয়, তাই আপনাকে নিয়ে ভাবার মত সময় আমার কাছে নেই।জানি আপনারও থাকবে না !!!

শৈপীল › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুকতারার কন্টাক্ট নাম্বার

১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১৩

বারান্দায় একা বসে আছে অর্ন। কোন কাজ নেই
তার এখন। ফ্ল্যাটে সে একা। ক্যারেন্টও নেই।
অনেকদিন পর তার একজনের কথা মনে পড়ল। কিন্তু,
এ মনে পড়া বৃথা...!!
আকাশের চাদটা দেখা যাচ্ছে, বারান্দা দিয়ে।
খুব সুন্দর চাদ। চাদের উপর
দিয়ে মাঝে মাঝে মেঘ যাচ্ছে। অর্ন প্রানপন
চেষ্টা করছে তার মোবাইল দিয়ে সেই
ছবি তোলার। কয়েকটা তুলেও ফেলল..কিন্তু,
ছবি বেশি ক্লিয়ার নাহ। এ ছবি সে ছবি সোয়াইপ
করতে করতে, একটা মেয়ের
ছবি স্ক্রীনে ভেসে উঠল। অর্ন একটু হাসল আবার
আকাশের দিকে তাকাল। আকাশের তারা গুলোও
অনেক সুন্দর, ইসস.. তারাগুলো যে কেন মোবাইল
ফোন ইউজ করেনা..!! ইউজ করলে অর্ন ফোন দিত,
- হ্যালো..
- জ্বী বলুন..
- আপনি কী শুকতারা বলছেন?
- হ্যা কি দরকার?
- আপনি কি করছেন??
- জ্বলজ্বল করছি..
- এখন তো সকাল, জ্বলজ্বল করছেন কেমনে??
- আপনি কি পাগল। পৃথিবীতে সব জায়গায় রাত
দিন কি একসাথে হয়?
- ও, সরি..সরি... আমি ঘরে থাকি তো..অতশত
বুঝিনা..
- অর্ন, ফোন রাখুন..আমি এখন খন্ডিত হব..
- ও আচ্ছা..টেক কেয়ার..
- আপনিও টেক কেয়ার করবেন...আর
পারলে রাত্রে ফোন দিয়েন..
-জ্বী, শুকতারা..
কল্পনা থেকে বের হয়ে, অর্ন আবার হাসে।
মোবাইলের স্ক্রীনের মেয়েটির দিকে আবার
তাকাই। অর্নের চোখে পানি কেন??
কে এই মেয়েটা?
ও আচ্ছা, চিনেছি..এ তো অবনী..
কি আজব। অর্ন অন্ধকারে কাদে..!!
জানতাম না তো...!
অবনী মেয়েটা অনেক ভাল ছিল। অর্ন
ভালবাসতো ওকে....
ও বাসতনা। অর্ন বলেনি কখনও ওকে..!!
বরং অবনী আর অবনীর বয়ফ্রেন্ড এর সব ছবি ঐ
তুলত...
অবনী যখনই বলত, তখনই অর্ন
ক্যামেরা নিয়ে হাজির..!!
অবনীর বয়ফ্রেন্ড-কে, অর্নর একদম সহ্য হতনা।
ছেলেটা কেমন যেন..! অবনীর প্রতি ফিলিংস
কম।
পহেলা বৈশাখের দু'দিন ন
আগে, অবনী অর্নকে ফোন দিল...
- ফ্রি আছিস..??
- হ্যা..
- পহেলা বৈশাখের কিছু ক্যাপচার করাব
তোকে দিয়ে, সকালে আসিস..
- ওকে..
- তোর কি সবসময়ই আমার জন্য টাইম থাকে??
- না..ক্যামেরাটা তো পড়েই থাকে..!!
- তোর কি গার্লফ্রেন্ড হবেনা কখনও...
- অর্ন অনেক
কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, দেখি.....

পহেলা বৈশাখের সকালে একটা টেক্সট আসল
অর্নর ফোনে।
"সব ছেলেরাই, এক রকম হয় কিনা জানিনা। তুই
আলাদা ছিলি আমার চোখে। তোকে কখনও
বুঝিনি। তুই মানুষটা জটিল। ভাল থাকিস। আর
দেখা হবেনা। "
মেসেজটা অবনীর।
অর্ন অবনীকে কল করে, অনেকবার। কেউ রিসিভ
করেনা। অর্ন সাদা পাজ্ঞাবীটা পরে আর
ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে ছোটে অবনীর
বাড়ীর দিকে। অবনীর বাড়ী পৌঁছে,
অর্ন নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারেনা।
ওর সামনে পড়ে আছে, অবনীর নিথর শরীর।
অবনীর
শরীরটা আছে, সেই শরীরে প্রাণপাখিটা আর
নেই।
অবনী সুইসাইড করেছে। কারন, তার বয়ফ্রেন্ড তার
সাথে ব্রেক আপ করেছে। তার নাকি আর
অবনীকে ভাল লাগছেনা..!! ছোট্ট
একটা চিরকুটে আরও কিসব জানি লেখা...
অর্ন কি মনে করে, ক্যামেরাটায়
সজোরে মাটিতে আঘাত করে। মুহূর্তেই ছিন্ন
ভিন্ন হয়ে যায় ক্যামেরার সব কিছু...!!

অর্ন আবার তার মোবাইলের স্ক্রীনের
দিকে তাকাই। অবনী হাসছে.. খুব সুন্দর সে হাসি।
হাসলে তার মুখে টোল পড়ে..!!
এটা ছিল অর্নের তোলা
অবনীর প্রথম ছবি। এটা অর্ন লুকিয়ে তুলেছিল।
ভেবেছিল কোন এক বিকালে, অবনীর
পাশে বসে এই ছবি তাকে দেখাবে..!!
কিন্তু, সবার সব আশাতো পূরণ হয়না...
অর্ন আবার তারাদের দিকে তাকায়। অর্নর
দাদী বলত, মানুষ
মারা গেলে নাকি তারা হয়ে যায়। অর্ন, অনেক
তারাদের ভীড়ে অবনী তারাটাকে খোঁজার
চেষ্টা করে..কিন্তু, সব তারা যে একরকম...!!
শুকতারাকে একটা ফোন করতে হবে। আজ অর্ন
শুকতারাকে প্রোপজ করবে। আর ওর কাছ
থেকে অবনী তারা কোনটা এটা চিনে নেবে।
তারপর...শুকতারাকে ডিভোর্স দিয়ে,
অবনী তারাটার কন্টাক্ট নাম্বার নিবে...!
স্ক্রীনের ছবিটার দিকে তাকিয়ে অর্ন আবার
হাসে...!!
এই হাসি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না...!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.