নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখীমানুষ

সুখী মানুষ

সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।

সুখী মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ বিশ্ব বন দিবস

২১ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

আচ্ছা, শ্বাস বন্ধ করে বাঁচা যায়? না, বাঁচা যায় না। শ্বাসে জীবনমন্ত্রের এমন কী আছে? অক্সিজেন। শরীর একটা যন্ত্র, এই যন্ত্রের জ্বালানি হচ্ছে অক্সিজেন। বাতাস মানেই কি অক্সিজেন নয়? নাহ্, বাতাস মানেই অক্সিজেন নয়। বাতাস মানে অক্সিজেন, নাইট্রোজেন আর অন্য কিছু গ্যাস। অক্সিজেন ছাড়া প্রাণ বাঁচে না, অক্সিজেন ছাড়া আগুনও জ্বলে না। তাহলে অক্সিজেন তো শেষ হয়ে যাওয়ার কথা! হ্যাঁ, শেষ হয়ে যাওয়ার কথাই তো। শেষ হচ্ছে না যে? অক্সিজেন শেষ হচ্ছে না, কারণ গাছ অক্সিজেন তৈরি করে তা বাতাসে ছাড়ছে।

পৃথিবীতে এসে প্রথম শ্বাসটি নিয়েই আমরা ঋণী হই গাছের কাছে। একটু বড় হয়ে সবজি খেতে শিখি। এই সবজিও তো ছোট অর্থে গাছই। আর একটু বড় হয়ে মাছ, ডিম, মাংস_এসব খাই। মাছ শেওলা খায়। শেওলা ছোট অর্থে গাছই। গরু, খাসি_এসবও ঘাস খায়। ঘাসও তো গাছই। শেষমেশ কী দাঁড়াল। বেঁচে থাকার জন্য আমরা যে খাদ্য গ্রহণ করি, তাও গাছ থেকেই আসে। তাহলে গাছ কী খায়? হুম, সাধারণত গাছই একমাত্র প্রাণী, যা সূর্যের আলোর সাহায্যে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে। কারো ওপর নির্ভর করতে হয় না তাকে। গাছ নিজেই নিজের খাবার তৈরি করে। আমরা গাছ খেয়ে বাঁচি। গাছের দেওয়া অক্সিজেন শ্বাসের মাধ্যমে নিয়ে প্রাণযন্ত্র সচল রাখি।

আজ ২১ মার্চ, বিশ্ব বন দিবস। এখন কী বলে বোঝাতে হবে আজকের এই দিনটির গুরুত্ব কতটুকু? পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্ব রাখতে গেলে গাছ লাগবে। একটা, দুটো গাছ তো এত লক্ষ-কোটি মানুষ, কোটি কোটি প্রাণীর অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারবে না! সহজ হিসাবে, পৃথিবীর স্থলভাগের চার ভাগের এক ভাগ থাকতে হবে গাছ। তবেই অক্সিজেনের চাহিদা অনুযায়ী তার সাপ্লাই আসবে।

অনেক জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে। এবার উপদেশ নয়; বরং প্রাণ বাঁচানোর আকুতি জানাচ্ছি। নিজে যতটুকু শ্বাস নিচ্ছেন, অতটুকু অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে পারে এই কয়টা গাছ লাগানো কি আপনার অবশ্য কর্তব্য নয়? ধরে নিলাম, আপনি অনেক ব্যস্ত মানুষ। গাছ লাগানোর সময় আপনার নেই। যারা বন উজাড় করে দিচ্ছে অসাধু উপায়ে, তাদের অন্তত ঠেকান। উপকূলজুড়ে যে সবুজের সমারোহ, তা আমাদের শুধু যে অক্সিজেন দেয় তা নয়। সিডরের মতো প্রলয়ংকরী দুর্যোগে নিজের বুক পেতে আমাদের রক্ষাও করে।

এবার বনের আর্থিক উপকারিতার কথা বলি। এককথায়, বনের আর্থিক উপকারিতা এতটা বেশি যে এসসিএ নামের একটি প্রতিষ্ঠান ইউরোপের ২.৫ মিলিয়ন হেক্টর জমির ওপর অত্যন্ত লাভজনক বাণিজ্যিক বন গড়ে তুলেছে। আজ শুধু জীবন রক্ষায় গাছের গুরুত্ব বলা হলো। গাছ লাগানো বা না লাগানো, বনায়ন রক্ষা করা বা না করা_সবই এখন আপনার বিবেক ও বুদ্ধি-বিবেচনার ওপর ছেড়ে দিলাম।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১

আদম_ বলেছেন: অত্যধিক বৃক্ষপ্রীতির কারণে বন্ধুমহলে আমার নাম হয়ে গিয়েছিলো "ফরেস্টার"।

এসব পোস্টে কমেন্ট পাবেননা। তাই বলে হতাশ হবেননা। আপনার লেখার হাত সুন্দর।

আদম

০১ লা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

সুখী মানুষ বলেছেন: হা হা হা...
ভাই আপনি ভালো মানুষ, নিরব বন্ধুর মত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.