![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
তিনি ফেসবুকে আমার বন্ধু।
অতএব গোপন কথাটা ফাঁস করতে যাচ্ছি বলে একটা ভয় থেকেই গেলো।
ভাই, এডভান্স ক্ষমাপ্রার্থী।
আমরা একসাথে কাজ করতাম। আমি যখন তার ইন্টারভিউ নেই তখনই ঠিক করি লোকটাকে আমি নিবো। অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, স্মার্টনেস তার চোখে মুখে।
চাকরী করা শুরু করলেন। সামহাউ তিনি বুঝে গেলেন তাকে আমি পছন্দ করি। তার টুকটাক অন্যায়, অপরাধে আমি কিছু বলতে পারি না। একেক দিন একেকটা অজুহাত থাকে। উদাহরণ দেই-
একবার এক ক্লায়েন্টকে ফোন দিলাম
- ভাইজান সামান্য কিছু টাকা বাকী ছিলো
- টাকা তো আমি দিয়ে দিয়েছি!
- ওপস সরি। আসলে ভুলটা মনে হয় আমারই হয়েছে। যাক এই উসিলায় কথাতো হলো। তো বলেন, চা খেতে আসবেন নাকি আসবো...।
কিন্তু আমি জানি, টাকা তো আমি পাই নাই! আদরের সেই কলিগকে ডাকলাম
- ভাই ঐ ক্লায়েন্টের টাকা কে আনলো?
- অরুন ভাই, আপনারে আমি কতবার বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু লজ্জায় বলতে পারি নাই। মেয়েলি বিষয় কি না।
আমি ভেবে পাই না, টাকা আমার মেয়েলী হয় কিভাবে!
- ভাই, ক্লায়েন্ট নিজে মেয়ে না। আপনিও মেয়ে না। তাহলে বাকী থাকলো টাকা। টাকাকে মেয়েলী ভেবে লজ্জা পাচ্ছেন?
- হি হি হি না অরুণ ভাই। ঘটনা হইলো যেদিন টাকাটা তুলছি ঠিক সেদিনই আপনার ভাবীরে নিয়ে যাওয়া লাগলো ডাক্তারের কাছে।
- আচ্ছা থাক বুচ্ছি।
এমন ঘটনা যাই ঘটুক ভদ্রলোক অসাধরণ স্মাটনেসের সাথে হেন্ডেল করেন। এক দিন জিজ্ঞাসা করলাম
- ভাই আপনি জীবনটাকে এত মজা'র কিভাবে করে ফেলছেন বলেন তো? সব পরিস্থিতিরই দেখি একটা মজার এন্ডিং আছে আপনার কাছে। ঘটনা কী?
- ঘটনা হইলো অরুণ ভাই, এইটা আমার পারিবারিক গুন। আমার দাদা'র মৃত্যুর পর আমরা টের পাইলাম, বাসার কাজের বুয়ার নামে তিন কাঠা জমি দিয়ে গেছেন উনি। দাদার এই রোমান্টিসিজম আমার রক্তে আছে।
এমন রোমান্টিক ব্যক্তিকে আদর করা চলে, শাসন করাও চলে কিন্তু তার সাথে রাগ করা চলে না কিছুতেই।
তিনি যখন চাকরি ছেড়ে গেলেন তখন তার হয়ে সমস্ত ঋণ আমাকেই শোধ করতে হয়েছে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, কতটা মজার মানুষ হলে এর পরেও লোকটাকে এত ভালো লাগে।
ভাই, আপনার সেই ঋণ আমি শোধ করে দিয়েছি। এই জন্য আপনি মোটেই আমার কাছে ঋণী নন। কারন এর বিনিময়ে আপনি যে সম্মান, ভালোবাসা, আনন্দ আমাকে দিয়েছেন তার মূল্য অনেক বেশী।
আর শত হইলেও এমন রোমান্টিক দাদা যার আছে তার জন্য সেভেন মার্ডার মওকুফ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
সুখী মানুষ বলেছেন: সত্যি কাহিনীরে ভাই
২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:০৩
পার্থ তালুকদার বলেছেন: আমার দাদা'র মৃত্যুর পর আমরা টের পাইলাম, বাসার কাজের বুয়ার নামে তিন কাঠা জমি দিয়ে গেছেন উনি। --------------
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২০
সুখী মানুষ বলেছেন: এই পোষ্ট পড়ার পর ভদ্রলোক গত রাতে ফোন দিয়েছিলেন
খুব মজা পেয়েছেন তিনি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
ল্যাটিচুড বলেছেন: এটা কি গল্প নাকি সত্যি কাহিনী, মজা পাইছি .....।