![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যিকারের সুখীমানুষের সাথে আমার একটাই পার্থক্য, সুখীমানুষের গায়ের জামা ছিলো না, আমার আছে।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তো নোবেল পাওয়ার কথা ছিলো না! এইটা পাওয়ার কথা ছিলো কাজী নজরুল ইসলামের।
যিনি এই কথা বলছেন তিনি মাষ্টার্স পাস। আমি কী বলবো ভেবে পাচ্ছিনা। এমন শিক্ষিত একজন মানুষকে চট করে বেকবুও বলা যায় না। আমি চুপ করে আছি। আর ভদ্রলোক ভাবছেন - দিলাম তো চুপ করাইয়া! এমন মোক্ষম কথা কি কেউ জানে!
তিনি আবার শুরু করলেন
- ঘটনা হইলো যেই দিন নোবেল দেওয়া হইবো, সেদিন রবীন্দ্রনাথ দাওয়াত দিলো নজরুলকে। আর বুদ্ধি কইরা একটা কবিতার অর্ধেকটা লেইখা রাখলো টেবিলে।
এবার আমি বেশ মজা পেলাম। খুব আগ্রহ নিয়ে তাকালাম
- আচ্ছা, আচ্ছা...
- আরে শুনেন না মিয়া! এইসব কথা জানে কয় জন? তো এর পরে হইলো কী। নজরুল তো অর্ধেক কবিতা দেইখা নিজেরে আর সামলায়ে রাখতে পারলো না। বাকী কবিতাটা লেখা শুরু করে দিলো। আর এই ফাঁকে রবীন্দ্রনাথ তারে বল্লো, নজরুল তুমি বসো আমি বাথরুম থেকে আসি।
আমি এই সুযোগটা নিলাম। বল্লাম
- ব্যাস, এই ফাঁকে ব্যাটা রবীন্দ্রনাথ চলে গেলো নোবেল আনতে?
তিনি যথেষ্ঠ জ্ঞানী। ঈষৎ মুচকি হেসে বিজ্ঞের মত মাথা নাড়ালেন। বল্লেন
- নাহ মিয়া নোবেল কি গেলেই দিয়া দেয়? রবীন্দ্রনাথ গেলো পরীক্ষা দেওয়ার জন্য নোবেল জয় করার। নজরুলতো পরীক্ষাই দিতে যাইতে পারলো না।
আমি খুব মন খারাপের ভান করে মুখে চ্চু চ্চু শব্দ করলাম। অবশ্য এই চ্চু চ্চু শব্দ অবশ্য নজরুল যে নোবেল পায় নাই তার জন্য না। এই শব্দ করলাম, এই ভদ্রলোকের জন্য। কতটা বেকুব হলে মাষ্টার্স পাশ করার পরেও এই গল্প কার না কার থেকে শুনে এসে আবার তা বরে বেড়াচ্ছে। খুব ইচ্ছা করতেছিলো রবীন্দ্রনাথের সেই বাথরুমে ব্যাটারে কিছুক্ষণ আটকায়ে রাখি।
-০-
- কবিগুরু নোবেল পান ১৯১৩ সালে। নজরুলের জন্ম ১৮৯৯ এ। অর্থাৎ নজরুল যখন মাত্র ১৪ বছরের বালক তখন রবীন্দ্রনাথ নোবল জয়ী বিশ্বকবি।
- আর নজরুল যখন ১৯১৭ থেকে ১৯২০ সালে সেনাবাহিনীতে চাকরী করেন তখন তার জীবনের প্রথম কবিতা প্রকাশ হয়। কবিতার নাম, মুক্তি।
-০-
কবিগুরু তার "বসন্ত" নাট্য উৎসর্গ করেন স্নেহধন্য নজরুলকে। নজরুলও তার পরম শ্রদ্ধেয় রবীন্দ্রনাথের ছোট্ট একটা চিরকূরে ভাঙ্গতে রাজি হন অনশন। এবং রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর অল ইন্ডিয়া রেডিওতে কবিতায় বলেন - কবি গুরু সান্ত্বনা নাহি পাই।
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:১৬
ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল।
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:১৫
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের শৈশবে রবি ঠাকুর আর নজরুল কে বড় এটা নিয়ে তর্কাতর্কি আর মারামারি পর্যন্ত দেখেছি। দেশ স্বাধীন হলে রবি ঠাকুরের গান হল জাতীয় সঙ্গীত( যদিও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে তা চলছিল) , সেইসব দামড়া অপদার্থরা একটু চেপে গিয়ে খুত ধরা শুরু করল । জামাতের পুরো উত্থানের পরতো প্রকাশ্যেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের ইচ্ছে উঠেছিল অনেকের।
ভালো লাগলো আপনার শেষের তথ্যগুলো যা এইসব ইচ্ছেধারীদের আপাতত চুপ করিয়ে দেবে । আচ্ছা ডঃ ইউনুসের নোবেলে কি টয়লেট কেস ঘটেছিল ??
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
মদন বলেছেন: